Ajker Patrika

কোরবানির গোশত খাওয়া ও বিতরণে ইসলামের নির্দেশনা

ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
কোরবানির মাংস। ছবি: সংগৃহীত
কোরবানির মাংস। ছবি: সংগৃহীত

পদ্ধতিগত পার্থক্য বিদ্যমান থাকলেও সব যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। পবিত্র কোরআনে ঐতিহাসিক দুটো কোরবানির বিবরণ বর্ণিত হয়েছে। এক. আদম (আ.)-এর দুই সন্তানের কোরবানি, দুই. ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি।

পূর্ববর্তী উম্মতের জন্য কোরবানির গোশত খাওয়ার বিধান ছিল না। তারা কোরবানি করে তা দূরে ফেলে দিয়ে আসত। এরপর তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হলে আসমান থেকে আগুন এসে জ্বালিয়ে দেওয়া হতো। পবিত্র কোরআনের সুরা আলে ইমরানের ১৮৩ আয়াতে এ বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।

রাসুল (সা.)-এর উম্মতের জন্য কোরবানির গোশত খাওয়া হালাল করে দেওয়া হয়েছে। কোরবানির গোশত নিজে খাবে, পরিবারবর্গকে খাওয়াবে, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে হাদিয়া দেবে এবং গরিব-মিসকিনকে দান করবে।

কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া
কোরবানির পশুর গোশত নিজে খাওয়ার ব্যাপারে অনেক হাদিস রয়েছে। যেমন, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের যে কেউ কোরবানি করে—সে যেন তার কোরবানি থেকে খায়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৯০৬৭)

আত্মীয়-স্বজনদের খাওয়ানো
আলী (রা.)-কে নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) কোরবানির গোশত খেয়েছেন। যেমন, নবী (সা.)-এর হজ সংক্রান্ত সুদীর্ঘ হাদিসে বলা হয়েছে, ‘এরপর কোরবানির স্থানে গিয়ে রাসুল (সা.) স্বহস্তে ৬৩টি পশু কোরবানি করলেন অতঃপর আলীকে দিলেন। তিনি অবশিষ্টগুলো কোরবানি করলেন।

তিনি তাকে (আলীকে) কোরবানির পশুতে অংশীদার করলেন। তারপর তিনি প্রত্যেক পশুর কিছু অংশ নিয়ে পাতিলে রান্না করার আদেশ দিলেন। রান্না হলে দুজনেই সে গোশত থেকে খেলেন এবং ঝোল পান করলেন। (সহিহ্ মুসলিম: ৩০০৯)

গরিব-মিসকিনকে দান করা
কোরবানির গোশত নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি গরিব-মিসকিনকে দান করতে হবে। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলিতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদের চতুষ্পদ জন্তু থেকে যা রিজিক হিসেবে দান করেছেন তার ওপর নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার করো এবং দুস্থ, অভাবগ্রস্তকে আহার করাও।’ (সুরা হজ: ২৮)

কোরবানির গোশত তিন ভাগ করা
ওপরের আলোচনা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে যে, কোরবানির গোশতের অংশীজন নিজে, আত্মীয়-স্বজন এবং গরিব, মিসকিন ও অসহায় শ্রেণি। কাজেই কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া ও অন্যান্যদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনেই উত্তম হলো গোশতকে তিন ভাগ করা।

একভাগ পরিবার-পরিজনের জন্য, একভাগ স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের জন্য আর একভাগ গরিব-মিসকিন ও অসহায়দের জন্য। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক-তৃতীয়াংশ নিজ পরিবারবর্গকে খাওয়াবে, এক-তৃতীয়াংশ প্রতিবেশী ও গরিবদের খাওয়াবে আর এক-তৃতীয়াংশ দ্বারা ভিক্ষুককে দান করবে। (ইরওয়াউল গলিল: ৪/৪১১)

কোরবানির গোশত বিক্রয় ও বিনিময় না করা
কোরবানির গোশত কোরবানিদাতার জন্য বিক্রয় করা একেবারেই অনুচিত বা মাকরুহ তাহরিমি। কেউ বিক্রয় করলে এর মূল্য সদকা করা আবশ্যক। (সুনানুল কুবরা: ১৯৭০৮)

এভাবে কোরবানির গোশত দ্বারা মজুরি দেওয়া জায়েজ হবে না। জবাইকারীকে জবাই করার বিনিময়ে, কসাইকে গোশত তৈরির বিনিময়ে এবং বাড়ির অন্য কর্মচারীকে তাদের কাজের বিনিময়ে কোরবানির গোশত দেওয়া যাবে না।

আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমি যেন তার কোরবানির পশুর কাছে দাঁড়িয়ে থাকি এবং পশুর গোশত, চামড়া এবং ঝুল (উটের পিঠে বিছানো কাপড়) সদকা করে দিই এবং তা থেকে যেন কসাইকে না দিই। আলী (রা.) বলেন, আমরা কসাইকে আমাদের পক্ষ থেকে কোরবানির অংশ ছাড়া অন্য কিছু প্রদান করতাম। (সহিহ্ মুসলিম: ৩২৪১)

তবে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেওয়ার পাশাপাশি সৌজন্যমূলক কোরবানির গোশত হাদিয়া বা দান হিসাবে দেওয়া যেতে পারে।

কোরবানির গোশত সংরক্ষণ করা
কোরবানির গোশত তিন দিনের বেশি সময় ধরে রেফ্রিজারেটরে বা অন্য কোনোভাবে সংরক্ষণ করে রাখার অবকাশ আছে। যদিও ইসলামের প্রথম দিকে তিন দিনের বেশি না রাখার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা ছিল।

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ যেন তিন দিনের অধিক কোরবানির গোশত না খায়। (সহিহ্ মুসলিম: ৫২১২, সুনানে তিরমিজি: ১৫০৯)

অবশ্য এই বিধান পরবর্তীতে রহিত হয়ে গেছে। যেমন পরবর্তীতে বর্ণিত হয়েছে, সুলায়মান ইবনে বুরায়দা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি তোমাদের তিন দিনের অধিক কোরবানির গোশত এ জন্য খেতে নিষেধ করেছিলাম—যাতে সামর্থ্যবান লোকেরা সেসব লোকের প্রতি উদারতা প্রদর্শন করে, যাদের কোরবানি করার সামর্থ্য নেই। (অর্থাৎ কোরবানির গোশত নিজেদের কাছে জমা করার পরিবর্তে গরিবদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়)। এখন তোমরা যত ইচ্ছা খাও, অন্যদের খাওয়াও এবং জমা করে রাখো। (সুনানে তিরমিজি: ১৫১০, সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১৬০)

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৪ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৬ মিনিট
ফজর০৫: ১৭ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
জোহর১১: ৫৯ মিনিট০৩: ৪২ মিনিট
আসর০৩: ৪৩ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট
মাগরিব০৫: ২০ মিনিট০৬: ৩৮ মিনিট
এশা০৬: ৩৯ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)

নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।

পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)

অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৬ মিনিট
ফজর০৫: ১৭ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
জোহর১১: ৫৯ মিনিট০৩: ৪১ মিনিট
আসর০৩: ৪২ মিনিট০৫: ১৭ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৮ মিনিট
এশা০৬: ৩৯ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজানের আগে নামাজ আদায় করা যাবে কি

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)

নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)

প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত