ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

মসজিদ আবাদ করা
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
(সুরা তাওবা: ১৮)
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
আল্লাহর ঘর এবং ইবাদতের উত্তম স্থান হিসেবে মসজিদ পরিষ্কার রাখা মুমিনের দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমরা তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকুকারী-সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘর পবিত্র করো।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদের আবর্জনা পরিষ্কার করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করেন।’ (ইবনে মাজাহ)
উত্তম পোশাক পরা
নামাজ আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী ইবাদত। তাই এই সময় সুন্দর পোশাক ও মার্জিত সাজসজ্জা করা জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বনি আদম, তোমরা প্রতিটি নামাজে সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজে দাঁড়াবে, তবে সে যেন সুন্দর পোশাক পরে।’ (তাবারানি)
দুর্গন্ধযুক্ত খাবার পরিহার করা
যেসব খাবার খেলে মুখে গন্ধ হয়, সেগুলো খেয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় সবজি খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে। কেননা মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও একই কারণে কষ্ট পায়।’ (মুসলিম) অবশ্য পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় গন্ধযুক্ত কিছু খেয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে দুর্গন্ধমুক্ত হয়ে এলে কোনো অসুবিধা নেই।
মসজিদে ঢোকা ও বের হওয়ার শিষ্টাচার মান্য করা
মসজিদে ডান পায়ে প্রবেশ করা এবং বাঁ পায়ে বের হওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন ডান পায়ে শুরু করা এবং যখন মসজিদ থেকে বের হবে, তখন বাম পায়ে শুরু করা তোমার জন্য সুন্নত।’ (মুস্তাদরাক আল-হাকিম)। প্রবেশকালে পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা’ এবং বের হওয়ার সময় পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।’
ধীরস্থিরভাবে মসজিদে যাওয়া
মসজিদে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া উত্তম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা ইকামত শুনবে, তখন নামাজের দিকে চলতে থাকবে। তোমাদের উচিত, স্থিরতা ও গাম্ভীর্য অবলম্বন করা। তাড়াহুড়ো করবে না।’ (বুখারি)
তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা
যেকোনো মসজিদই হোক তাতে প্রবেশের পর মসজিদের সম্মানার্থে দুই রাকাত নফল সালাত পড়া উত্তম। একে ইসলামের পরিভাষায় তাহিয়্যাতুল মসজিদ বলা হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দুই রাকাত নামাজ আদায় না করে বসবে না।’ (বুখারি)
ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা
মসজিদে যতক্ষণ অবস্থান করা হয়, ততক্ষণ ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা সুন্নত। এই অবস্থানের মুহূর্তটি নামাজের মধ্যে গণ্য হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কারও মসজিদে অপেক্ষা করাটা নামাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কারণ সে নামাজের জন্যই বসে আছে।’ (বুখারি)
ইমামের অনুসরণ করা
নামাজে মুসল্লিরা সব সময় ইমামকে অনুসরণ করবেন। কোনোভাবেই নামাজের কোনো কাজ ইমামের আগে করতে যাবেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নামাজ পরিপূর্ণ করার জন্য ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি যখন রুকু করবেন, তখন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন রুকু থেকে উঠবেন, তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন নামাজে বসেন, তখন তোমরাও বসে নামাজ আদায় করবে।’ (বুখারি)
আজানের পর মসজিদ ত্যাগ না করা
আজান হওয়ার পর বৈধ কারণ ছাড়া মসজিদ ত্যাগ করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার এই মসজিদে আজান শোনার পর প্রয়োজন ছাড়া কোনো লোক বাইরে গিয়ে ফিরে না এলে সে মুনাফিক।’ (তাবারানি)
মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল না করা
নামাজরত মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল করা নিষিদ্ধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি মুসল্লির সামনে দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তি জানত যে তার ওপর কী পরিমাণ বোঝা চেপেছে, তবে ‘‘চল্লিশ’’ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকাকেও সে প্রাধান্য দিত।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি জানি না, তিনি চল্লিশ দিন নাকি চল্লিশ বছর বলেছেন।’ (বুখারি)
মসজিদকে চলার পথ হিসেবে ব্যবহার না করা
ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার ছাড়া মসজিদকে অন্য কাজে ব্যবহার করা অনুচিত; বিশেষ করে মসজিদকে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদকে রাস্তা হিসেবে গ্রহণ কোরো না। কেননা সেটা জিকির ও নামাজের জন্য।’ (তাবারানি)
হারানো বস্তু না খোঁজা এবং বেচাকেনা না করা
মসজিদে হারানো বস্তুর ঘোষণা দেওয়া অথবা বেচাকেনা করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদে কোনো লোককে বেচাকেনা করতে দেখলে বলবে, আল্লাহ যেন তোমার ব্যবসায় লাভ না দেন। আর মসজিদে কোনো বস্তু হারানোর ঘোষণা শুনলে তোমরা বলবে, আল্লাহ তা যেন ফিরিয়ে না দেন।’ (তিরমিজি)
অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে অবস্থান না করা
যার জন্য গোসল ফরজ হয়ে গেছে, তার পবিত্র হওয়া ছাড়া মসজিদে অবস্থান করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ঋতুস্রাবযুক্ত নারী এবং অপবিত্র ব্যক্তির জন্য মসজিদে অবস্থান করা আমি বৈধ মনে করি না।’ (আবু দাউদ)
অহেতুক কথাবার্তা না বলা
অন্যের ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো অনর্থক ও দুনিয়াবি কথা মসজিদে বলা জায়েজ নয়। মসজিদে চুপচাপ থাকাও ইবাদত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এমন এক সময় আসবে, যখন মানুষ মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলবে, তখন তোমরা তাদের সঙ্গে বোসো না।’ (বুখারি)
একইভাবে বর্তমানে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখাও মুসল্লির অন্যতম কর্তব্য। কারণ মসজিদে মোবাইল ফোন বাজলে তা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করে। তাই মসজিদে প্রবেশের আগে বা যখনই খেয়াল হয়, তখনই মোবাইল বন্ধ করা জরুরি।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মসজিদ আবাদ করা
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
(সুরা তাওবা: ১৮)
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
আল্লাহর ঘর এবং ইবাদতের উত্তম স্থান হিসেবে মসজিদ পরিষ্কার রাখা মুমিনের দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমরা তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকুকারী-সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘর পবিত্র করো।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদের আবর্জনা পরিষ্কার করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করেন।’ (ইবনে মাজাহ)
উত্তম পোশাক পরা
নামাজ আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী ইবাদত। তাই এই সময় সুন্দর পোশাক ও মার্জিত সাজসজ্জা করা জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বনি আদম, তোমরা প্রতিটি নামাজে সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজে দাঁড়াবে, তবে সে যেন সুন্দর পোশাক পরে।’ (তাবারানি)
দুর্গন্ধযুক্ত খাবার পরিহার করা
যেসব খাবার খেলে মুখে গন্ধ হয়, সেগুলো খেয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় সবজি খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে। কেননা মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও একই কারণে কষ্ট পায়।’ (মুসলিম) অবশ্য পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় গন্ধযুক্ত কিছু খেয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে দুর্গন্ধমুক্ত হয়ে এলে কোনো অসুবিধা নেই।
মসজিদে ঢোকা ও বের হওয়ার শিষ্টাচার মান্য করা
মসজিদে ডান পায়ে প্রবেশ করা এবং বাঁ পায়ে বের হওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন ডান পায়ে শুরু করা এবং যখন মসজিদ থেকে বের হবে, তখন বাম পায়ে শুরু করা তোমার জন্য সুন্নত।’ (মুস্তাদরাক আল-হাকিম)। প্রবেশকালে পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা’ এবং বের হওয়ার সময় পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।’
ধীরস্থিরভাবে মসজিদে যাওয়া
মসজিদে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া উত্তম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা ইকামত শুনবে, তখন নামাজের দিকে চলতে থাকবে। তোমাদের উচিত, স্থিরতা ও গাম্ভীর্য অবলম্বন করা। তাড়াহুড়ো করবে না।’ (বুখারি)
তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা
যেকোনো মসজিদই হোক তাতে প্রবেশের পর মসজিদের সম্মানার্থে দুই রাকাত নফল সালাত পড়া উত্তম। একে ইসলামের পরিভাষায় তাহিয়্যাতুল মসজিদ বলা হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দুই রাকাত নামাজ আদায় না করে বসবে না।’ (বুখারি)
ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা
মসজিদে যতক্ষণ অবস্থান করা হয়, ততক্ষণ ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা সুন্নত। এই অবস্থানের মুহূর্তটি নামাজের মধ্যে গণ্য হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কারও মসজিদে অপেক্ষা করাটা নামাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কারণ সে নামাজের জন্যই বসে আছে।’ (বুখারি)
ইমামের অনুসরণ করা
নামাজে মুসল্লিরা সব সময় ইমামকে অনুসরণ করবেন। কোনোভাবেই নামাজের কোনো কাজ ইমামের আগে করতে যাবেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নামাজ পরিপূর্ণ করার জন্য ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি যখন রুকু করবেন, তখন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন রুকু থেকে উঠবেন, তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন নামাজে বসেন, তখন তোমরাও বসে নামাজ আদায় করবে।’ (বুখারি)
আজানের পর মসজিদ ত্যাগ না করা
আজান হওয়ার পর বৈধ কারণ ছাড়া মসজিদ ত্যাগ করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার এই মসজিদে আজান শোনার পর প্রয়োজন ছাড়া কোনো লোক বাইরে গিয়ে ফিরে না এলে সে মুনাফিক।’ (তাবারানি)
মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল না করা
নামাজরত মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল করা নিষিদ্ধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি মুসল্লির সামনে দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তি জানত যে তার ওপর কী পরিমাণ বোঝা চেপেছে, তবে ‘‘চল্লিশ’’ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকাকেও সে প্রাধান্য দিত।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি জানি না, তিনি চল্লিশ দিন নাকি চল্লিশ বছর বলেছেন।’ (বুখারি)
মসজিদকে চলার পথ হিসেবে ব্যবহার না করা
ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার ছাড়া মসজিদকে অন্য কাজে ব্যবহার করা অনুচিত; বিশেষ করে মসজিদকে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদকে রাস্তা হিসেবে গ্রহণ কোরো না। কেননা সেটা জিকির ও নামাজের জন্য।’ (তাবারানি)
হারানো বস্তু না খোঁজা এবং বেচাকেনা না করা
মসজিদে হারানো বস্তুর ঘোষণা দেওয়া অথবা বেচাকেনা করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদে কোনো লোককে বেচাকেনা করতে দেখলে বলবে, আল্লাহ যেন তোমার ব্যবসায় লাভ না দেন। আর মসজিদে কোনো বস্তু হারানোর ঘোষণা শুনলে তোমরা বলবে, আল্লাহ তা যেন ফিরিয়ে না দেন।’ (তিরমিজি)
অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে অবস্থান না করা
যার জন্য গোসল ফরজ হয়ে গেছে, তার পবিত্র হওয়া ছাড়া মসজিদে অবস্থান করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ঋতুস্রাবযুক্ত নারী এবং অপবিত্র ব্যক্তির জন্য মসজিদে অবস্থান করা আমি বৈধ মনে করি না।’ (আবু দাউদ)
অহেতুক কথাবার্তা না বলা
অন্যের ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো অনর্থক ও দুনিয়াবি কথা মসজিদে বলা জায়েজ নয়। মসজিদে চুপচাপ থাকাও ইবাদত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এমন এক সময় আসবে, যখন মানুষ মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলবে, তখন তোমরা তাদের সঙ্গে বোসো না।’ (বুখারি)
একইভাবে বর্তমানে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখাও মুসল্লির অন্যতম কর্তব্য। কারণ মসজিদে মোবাইল ফোন বাজলে তা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করে। তাই মসজিদে প্রবেশের আগে বা যখনই খেয়াল হয়, তখনই মোবাইল বন্ধ করা জরুরি।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

মসজিদ আবাদ করা
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
(সুরা তাওবা: ১৮)
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
আল্লাহর ঘর এবং ইবাদতের উত্তম স্থান হিসেবে মসজিদ পরিষ্কার রাখা মুমিনের দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমরা তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকুকারী-সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘর পবিত্র করো।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদের আবর্জনা পরিষ্কার করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করেন।’ (ইবনে মাজাহ)
উত্তম পোশাক পরা
নামাজ আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী ইবাদত। তাই এই সময় সুন্দর পোশাক ও মার্জিত সাজসজ্জা করা জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বনি আদম, তোমরা প্রতিটি নামাজে সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজে দাঁড়াবে, তবে সে যেন সুন্দর পোশাক পরে।’ (তাবারানি)
দুর্গন্ধযুক্ত খাবার পরিহার করা
যেসব খাবার খেলে মুখে গন্ধ হয়, সেগুলো খেয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় সবজি খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে। কেননা মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও একই কারণে কষ্ট পায়।’ (মুসলিম) অবশ্য পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় গন্ধযুক্ত কিছু খেয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে দুর্গন্ধমুক্ত হয়ে এলে কোনো অসুবিধা নেই।
মসজিদে ঢোকা ও বের হওয়ার শিষ্টাচার মান্য করা
মসজিদে ডান পায়ে প্রবেশ করা এবং বাঁ পায়ে বের হওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন ডান পায়ে শুরু করা এবং যখন মসজিদ থেকে বের হবে, তখন বাম পায়ে শুরু করা তোমার জন্য সুন্নত।’ (মুস্তাদরাক আল-হাকিম)। প্রবেশকালে পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা’ এবং বের হওয়ার সময় পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।’
ধীরস্থিরভাবে মসজিদে যাওয়া
মসজিদে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া উত্তম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা ইকামত শুনবে, তখন নামাজের দিকে চলতে থাকবে। তোমাদের উচিত, স্থিরতা ও গাম্ভীর্য অবলম্বন করা। তাড়াহুড়ো করবে না।’ (বুখারি)
তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা
যেকোনো মসজিদই হোক তাতে প্রবেশের পর মসজিদের সম্মানার্থে দুই রাকাত নফল সালাত পড়া উত্তম। একে ইসলামের পরিভাষায় তাহিয়্যাতুল মসজিদ বলা হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দুই রাকাত নামাজ আদায় না করে বসবে না।’ (বুখারি)
ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা
মসজিদে যতক্ষণ অবস্থান করা হয়, ততক্ষণ ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা সুন্নত। এই অবস্থানের মুহূর্তটি নামাজের মধ্যে গণ্য হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কারও মসজিদে অপেক্ষা করাটা নামাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কারণ সে নামাজের জন্যই বসে আছে।’ (বুখারি)
ইমামের অনুসরণ করা
নামাজে মুসল্লিরা সব সময় ইমামকে অনুসরণ করবেন। কোনোভাবেই নামাজের কোনো কাজ ইমামের আগে করতে যাবেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নামাজ পরিপূর্ণ করার জন্য ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি যখন রুকু করবেন, তখন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন রুকু থেকে উঠবেন, তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন নামাজে বসেন, তখন তোমরাও বসে নামাজ আদায় করবে।’ (বুখারি)
আজানের পর মসজিদ ত্যাগ না করা
আজান হওয়ার পর বৈধ কারণ ছাড়া মসজিদ ত্যাগ করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার এই মসজিদে আজান শোনার পর প্রয়োজন ছাড়া কোনো লোক বাইরে গিয়ে ফিরে না এলে সে মুনাফিক।’ (তাবারানি)
মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল না করা
নামাজরত মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল করা নিষিদ্ধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি মুসল্লির সামনে দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তি জানত যে তার ওপর কী পরিমাণ বোঝা চেপেছে, তবে ‘‘চল্লিশ’’ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকাকেও সে প্রাধান্য দিত।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি জানি না, তিনি চল্লিশ দিন নাকি চল্লিশ বছর বলেছেন।’ (বুখারি)
মসজিদকে চলার পথ হিসেবে ব্যবহার না করা
ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার ছাড়া মসজিদকে অন্য কাজে ব্যবহার করা অনুচিত; বিশেষ করে মসজিদকে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদকে রাস্তা হিসেবে গ্রহণ কোরো না। কেননা সেটা জিকির ও নামাজের জন্য।’ (তাবারানি)
হারানো বস্তু না খোঁজা এবং বেচাকেনা না করা
মসজিদে হারানো বস্তুর ঘোষণা দেওয়া অথবা বেচাকেনা করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদে কোনো লোককে বেচাকেনা করতে দেখলে বলবে, আল্লাহ যেন তোমার ব্যবসায় লাভ না দেন। আর মসজিদে কোনো বস্তু হারানোর ঘোষণা শুনলে তোমরা বলবে, আল্লাহ তা যেন ফিরিয়ে না দেন।’ (তিরমিজি)
অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে অবস্থান না করা
যার জন্য গোসল ফরজ হয়ে গেছে, তার পবিত্র হওয়া ছাড়া মসজিদে অবস্থান করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ঋতুস্রাবযুক্ত নারী এবং অপবিত্র ব্যক্তির জন্য মসজিদে অবস্থান করা আমি বৈধ মনে করি না।’ (আবু দাউদ)
অহেতুক কথাবার্তা না বলা
অন্যের ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো অনর্থক ও দুনিয়াবি কথা মসজিদে বলা জায়েজ নয়। মসজিদে চুপচাপ থাকাও ইবাদত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এমন এক সময় আসবে, যখন মানুষ মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলবে, তখন তোমরা তাদের সঙ্গে বোসো না।’ (বুখারি)
একইভাবে বর্তমানে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখাও মুসল্লির অন্যতম কর্তব্য। কারণ মসজিদে মোবাইল ফোন বাজলে তা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করে। তাই মসজিদে প্রবেশের আগে বা যখনই খেয়াল হয়, তখনই মোবাইল বন্ধ করা জরুরি।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মসজিদ আবাদ করা
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
(সুরা তাওবা: ১৮)
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
আল্লাহর ঘর এবং ইবাদতের উত্তম স্থান হিসেবে মসজিদ পরিষ্কার রাখা মুমিনের দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমরা তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকুকারী-সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘর পবিত্র করো।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদের আবর্জনা পরিষ্কার করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করেন।’ (ইবনে মাজাহ)
উত্তম পোশাক পরা
নামাজ আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী ইবাদত। তাই এই সময় সুন্দর পোশাক ও মার্জিত সাজসজ্জা করা জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বনি আদম, তোমরা প্রতিটি নামাজে সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজে দাঁড়াবে, তবে সে যেন সুন্দর পোশাক পরে।’ (তাবারানি)
দুর্গন্ধযুক্ত খাবার পরিহার করা
যেসব খাবার খেলে মুখে গন্ধ হয়, সেগুলো খেয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় সবজি খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে। কেননা মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও একই কারণে কষ্ট পায়।’ (মুসলিম) অবশ্য পেঁয়াজ-রসুন বা এ-জাতীয় গন্ধযুক্ত কিছু খেয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে দুর্গন্ধমুক্ত হয়ে এলে কোনো অসুবিধা নেই।
মসজিদে ঢোকা ও বের হওয়ার শিষ্টাচার মান্য করা
মসজিদে ডান পায়ে প্রবেশ করা এবং বাঁ পায়ে বের হওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন ডান পায়ে শুরু করা এবং যখন মসজিদ থেকে বের হবে, তখন বাম পায়ে শুরু করা তোমার জন্য সুন্নত।’ (মুস্তাদরাক আল-হাকিম)। প্রবেশকালে পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা’ এবং বের হওয়ার সময় পড়তে হয় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।’
ধীরস্থিরভাবে মসজিদে যাওয়া
মসজিদে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া উত্তম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা ইকামত শুনবে, তখন নামাজের দিকে চলতে থাকবে। তোমাদের উচিত, স্থিরতা ও গাম্ভীর্য অবলম্বন করা। তাড়াহুড়ো করবে না।’ (বুখারি)
তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা
যেকোনো মসজিদই হোক তাতে প্রবেশের পর মসজিদের সম্মানার্থে দুই রাকাত নফল সালাত পড়া উত্তম। একে ইসলামের পরিভাষায় তাহিয়্যাতুল মসজিদ বলা হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দুই রাকাত নামাজ আদায় না করে বসবে না।’ (বুখারি)
ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা
মসজিদে যতক্ষণ অবস্থান করা হয়, ততক্ষণ ইতিকাফের নিয়তে অবস্থান করা সুন্নত। এই অবস্থানের মুহূর্তটি নামাজের মধ্যে গণ্য হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কারও মসজিদে অপেক্ষা করাটা নামাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কারণ সে নামাজের জন্যই বসে আছে।’ (বুখারি)
ইমামের অনুসরণ করা
নামাজে মুসল্লিরা সব সময় ইমামকে অনুসরণ করবেন। কোনোভাবেই নামাজের কোনো কাজ ইমামের আগে করতে যাবেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নামাজ পরিপূর্ণ করার জন্য ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি যখন রুকু করবেন, তখন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন রুকু থেকে উঠবেন, তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন নামাজে বসেন, তখন তোমরাও বসে নামাজ আদায় করবে।’ (বুখারি)
আজানের পর মসজিদ ত্যাগ না করা
আজান হওয়ার পর বৈধ কারণ ছাড়া মসজিদ ত্যাগ করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার এই মসজিদে আজান শোনার পর প্রয়োজন ছাড়া কোনো লোক বাইরে গিয়ে ফিরে না এলে সে মুনাফিক।’ (তাবারানি)
মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল না করা
নামাজরত মুসল্লিদের সামনে দিয়ে চলাচল করা নিষিদ্ধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি মুসল্লির সামনে দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তি জানত যে তার ওপর কী পরিমাণ বোঝা চেপেছে, তবে ‘‘চল্লিশ’’ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকাকেও সে প্রাধান্য দিত।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি জানি না, তিনি চল্লিশ দিন নাকি চল্লিশ বছর বলেছেন।’ (বুখারি)
মসজিদকে চলার পথ হিসেবে ব্যবহার না করা
ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার ছাড়া মসজিদকে অন্য কাজে ব্যবহার করা অনুচিত; বিশেষ করে মসজিদকে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদকে রাস্তা হিসেবে গ্রহণ কোরো না। কেননা সেটা জিকির ও নামাজের জন্য।’ (তাবারানি)
হারানো বস্তু না খোঁজা এবং বেচাকেনা না করা
মসজিদে হারানো বস্তুর ঘোষণা দেওয়া অথবা বেচাকেনা করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদে কোনো লোককে বেচাকেনা করতে দেখলে বলবে, আল্লাহ যেন তোমার ব্যবসায় লাভ না দেন। আর মসজিদে কোনো বস্তু হারানোর ঘোষণা শুনলে তোমরা বলবে, আল্লাহ তা যেন ফিরিয়ে না দেন।’ (তিরমিজি)
অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে অবস্থান না করা
যার জন্য গোসল ফরজ হয়ে গেছে, তার পবিত্র হওয়া ছাড়া মসজিদে অবস্থান করা জায়েজ নেই। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ঋতুস্রাবযুক্ত নারী এবং অপবিত্র ব্যক্তির জন্য মসজিদে অবস্থান করা আমি বৈধ মনে করি না।’ (আবু দাউদ)
অহেতুক কথাবার্তা না বলা
অন্যের ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো অনর্থক ও দুনিয়াবি কথা মসজিদে বলা জায়েজ নয়। মসজিদে চুপচাপ থাকাও ইবাদত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এমন এক সময় আসবে, যখন মানুষ মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলবে, তখন তোমরা তাদের সঙ্গে বোসো না।’ (বুখারি)
একইভাবে বর্তমানে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখাও মুসল্লির অন্যতম কর্তব্য। কারণ মসজিদে মোবাইল ফোন বাজলে তা ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করে। তাই মসজিদে প্রবেশের আগে বা যখনই খেয়াল হয়, তখনই মোবাইল বন্ধ করা জরুরি।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৭ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৪০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৭ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৪০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৩
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৬ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৭ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০০ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৬ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৭ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০০ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৩
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি:
শীতের কাপড়ের কারণে অনেকে হাতা ঠিকমতো না গুটিয়েই হাত ধুয়ে নেন, ফলে কনুই শুকনো থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মনে রাখতে হবে, কনুই বা পায়ের টাখনুর কোনো অংশ সামান্য শুকনো থাকলেও অজু হবে না। (সহিহ্ মুসলিম: ২৪৬)
তাড়াহুড়ো করে অজু করতে গিয়ে অনেকে পায়ের গোড়ালি ঠিকমতো ভেজান না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আগুনের কঠিন শাস্তি সেই গোড়ালিগুলোর জন্য (যা অজুর সময় শুকনো থাকে)! তোমরা খুব ভালোভাবে অজু করো।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৪১)
ঠান্ডার ভয়ে অনেকে প্রস্রাব-পায়খানার বেগ চেপে রেখে আগের অজু দিয়ে নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি ইসলামের দৃষ্টিতেও অপছন্দের। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাবারের উপস্থিতিতে এবং মল-মূত্রের বেগ চেপে রাখা অবস্থায় কোনো নামাজ নেই।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫৬০)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোনো মুমিনের জন্য মল-মূত্রের বেগ নিয়ে নামাজ পড়া বৈধ নয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)
শীতের কষ্টকে উপেক্ষা করে যথাযথভাবে অজু সম্পন্ন করা মুমিনের ইমানি দৃঢ়তার পরিচয়। তাই আমাদের উচিত, তাড়াহুড়ো না করে অজুর প্রতিটি অঙ্গ ভালোভাবে ধৌত করা এবং পূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের পর আল্লাহর দরবারে দণ্ডায়মান হওয়া।

শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি:
শীতের কাপড়ের কারণে অনেকে হাতা ঠিকমতো না গুটিয়েই হাত ধুয়ে নেন, ফলে কনুই শুকনো থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মনে রাখতে হবে, কনুই বা পায়ের টাখনুর কোনো অংশ সামান্য শুকনো থাকলেও অজু হবে না। (সহিহ্ মুসলিম: ২৪৬)
তাড়াহুড়ো করে অজু করতে গিয়ে অনেকে পায়ের গোড়ালি ঠিকমতো ভেজান না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আগুনের কঠিন শাস্তি সেই গোড়ালিগুলোর জন্য (যা অজুর সময় শুকনো থাকে)! তোমরা খুব ভালোভাবে অজু করো।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৪১)
ঠান্ডার ভয়ে অনেকে প্রস্রাব-পায়খানার বেগ চেপে রেখে আগের অজু দিয়ে নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি ইসলামের দৃষ্টিতেও অপছন্দের। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাবারের উপস্থিতিতে এবং মল-মূত্রের বেগ চেপে রাখা অবস্থায় কোনো নামাজ নেই।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫৬০)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোনো মুমিনের জন্য মল-মূত্রের বেগ নিয়ে নামাজ পড়া বৈধ নয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)
শীতের কষ্টকে উপেক্ষা করে যথাযথভাবে অজু সম্পন্ন করা মুমিনের ইমানি দৃঢ়তার পরিচয়। তাই আমাদের উচিত, তাড়াহুড়ো না করে অজুর প্রতিটি অঙ্গ ভালোভাবে ধৌত করা এবং পূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের পর আল্লাহর দরবারে দণ্ডায়মান হওয়া।

প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব হলো, ইবাদতের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করা, প্রাণবন্ত ও চালু রাখা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৩
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে