আমজাদ ইউনুস

সন্তান-সন্তুতি, সম্পদ বা অনুসারীর সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধতা—এসব প্রকৃত মুমিনের জন্য একপ্রকার আত্মপ্রবঞ্চনা। সত্যিকারের ইমানদার ব্যক্তি শত্রুর মোকাবিলায় বাহিনীর সংখ্যা দেখে আত্মতুষ্ট হয় না এবং সংখ্যার স্বল্পতা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করে না। কারণ বিজয় একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ১০)
একদিন আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এক নবীর ঘটনা বর্ণনা করেন, যাকে আল্লাহ একটি বিশাল ও শক্তিশালী জাতি দান করেছিলেন। তিনি তাঁর জাতির শক্তি ও সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধ ছিলেন। পরে তাঁর জাতির পরিণতি কী ঘটেছিল এই হাদিসে তার বিশদ বিবরণ রয়েছে। হাদিসের আলোকে ঘটনাটি তুলে ধরা হলো—
সুহাইব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন সালাত আদায় করতেন, তখন এমন কিছু বলে ফিসফিস করতেন, যা আমি বুঝতে পারতাম না এবং তিনি আমাদের তা বলতেনও না। একদিন তিনি বললেন, ‘তোমরা কি আমার ফিসফিস করার বিষয়টি খেয়াল করেছ?’ আমরা বললাম, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘আমি এক নবীর কথা স্মরণ করছিলাম, যাকে তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে এক বিশাল সেনাবাহিনী দেওয়া হয়েছিল।’ অন্য এক বর্ণনায় এসেছে—‘তিনি তাঁর জাতির সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন—কে এদের সঙ্গে লড়বে? কে এদের প্রতিরোধ করবে?’
এরপর আল্লাহ তাঁর প্রতি অহি পাঠালেন—‘তোমার জাতির জন্য তিনটি বিকল্প বেছে নাও—এক. তাদের বিরুদ্ধে কোনো বাইরের শত্রুকে চাপিয়ে দেওয়া। দুই. দুর্ভিক্ষ। তিন. মৃত্যু।’ নবী তাঁর সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। তারা বলল, ‘আপনি আল্লাহর নবী, সিদ্ধান্ত আপনার ওপরই ছেড়ে দিলাম।’ এরপর তিনি সালাতে দাঁড়ালেন। যখন তারা কোনো বিপদের সম্মুখীন হতো, তখন তারা সালাতের আশ্রয় নিত। নবী যথেষ্ট সময় নিয়ে সালাত আদায় করলেন, তারপর বললেন, ‘হে আমার প্রভু, বাইরের শত্রুর আক্রমণ নয়, দুর্ভিক্ষও নয়, বরং মৃত্যু। তাহলে তাদের ওপর মৃত্যু চাপিয়ে দাও।’ ফলস্বরূপ, তাদের মধ্য থেকে ৭০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করল।
এ কারণেই আমি ফিসফিস করে বলছিলাম, ‘হে আল্লাহ, তোমার সাহায্যে আমি লড়াই করি, তোমার সাহায্যেই আমি আক্রমণ প্রতিহত করি এবং একমাত্র আল্লাহর শক্তিতেই সবকিছু সম্ভব।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৮৯৩৭)
হাদিস থেকে শিক্ষা
নবী (সা.)-এর শিক্ষা: রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবিদের শিক্ষা দিয়েছেন যে, আত্মতুষ্টি ও আত্মগরিমা জাতির দুর্বলতা ও ধ্বংসের অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই এই ধরনের মনোভাব থেকে সতর্ক থাকা উচিত।
আত্মগরিমার ক্ষতিকর পরিণতি: অহংকার ও আত্মগরিমার ফল সর্বদা ভয়াবহ। এটি তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর নির্ভরতা) দুর্বল করে দেয় এবং মানুষকে পার্থিব উপকরণের ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। এই আত্মতুষ্টির কারণে সেই নবীর জাতিও আল্লাহর শাস্তির স্বীকার হয়েছিল।
পরীক্ষার কারণ কখনো অদৃশ্য হতে পারে: কখনো কখনো পরীক্ষার কারণ সুস্পষ্ট হয় না। এমনকি কোনো নেককার ও মুজাহিদ জাতিও কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে পারে, অথচ তারা বুঝতেও পারে না কেন এই বিপর্যয় এসেছে। তাই সর্বদা আত্মসমালোচনা করা এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া জরুরি।
পূর্ববর্তী জাতিদের শিক্ষা: আমাদের আগেও বহু নেককার ও ধর্মপরায়ণ জাতি ছিল, যাদের সংখ্যা ছিল প্রচুর এবং যারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করত। কিন্তু তাদের মধ্যেও অনেকেই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করেছিল—যেমন, সেই জাতির সত্তর হাজার লোক অল্প সময়ের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছিল।
সংকটের সময়ে নামাজ ও দোয়া: যখন কোনো কঠিন বিষয় সামনে আসে তখন মুমিনের উচিত সালাতে আত্মনিয়োগ করা। যেন আল্লাহ তাকে সঠিক পথনির্দেশনা দেন। এই উদ্দেশ্যে সালাতুল ইস্তিখারার বিধান রয়েছে, যাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে উত্তম সিদ্ধান্তের জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে।

সন্তান-সন্তুতি, সম্পদ বা অনুসারীর সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধতা—এসব প্রকৃত মুমিনের জন্য একপ্রকার আত্মপ্রবঞ্চনা। সত্যিকারের ইমানদার ব্যক্তি শত্রুর মোকাবিলায় বাহিনীর সংখ্যা দেখে আত্মতুষ্ট হয় না এবং সংখ্যার স্বল্পতা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করে না। কারণ বিজয় একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ১০)
একদিন আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এক নবীর ঘটনা বর্ণনা করেন, যাকে আল্লাহ একটি বিশাল ও শক্তিশালী জাতি দান করেছিলেন। তিনি তাঁর জাতির শক্তি ও সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধ ছিলেন। পরে তাঁর জাতির পরিণতি কী ঘটেছিল এই হাদিসে তার বিশদ বিবরণ রয়েছে। হাদিসের আলোকে ঘটনাটি তুলে ধরা হলো—
সুহাইব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন সালাত আদায় করতেন, তখন এমন কিছু বলে ফিসফিস করতেন, যা আমি বুঝতে পারতাম না এবং তিনি আমাদের তা বলতেনও না। একদিন তিনি বললেন, ‘তোমরা কি আমার ফিসফিস করার বিষয়টি খেয়াল করেছ?’ আমরা বললাম, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘আমি এক নবীর কথা স্মরণ করছিলাম, যাকে তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে এক বিশাল সেনাবাহিনী দেওয়া হয়েছিল।’ অন্য এক বর্ণনায় এসেছে—‘তিনি তাঁর জাতির সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন—কে এদের সঙ্গে লড়বে? কে এদের প্রতিরোধ করবে?’
এরপর আল্লাহ তাঁর প্রতি অহি পাঠালেন—‘তোমার জাতির জন্য তিনটি বিকল্প বেছে নাও—এক. তাদের বিরুদ্ধে কোনো বাইরের শত্রুকে চাপিয়ে দেওয়া। দুই. দুর্ভিক্ষ। তিন. মৃত্যু।’ নবী তাঁর সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। তারা বলল, ‘আপনি আল্লাহর নবী, সিদ্ধান্ত আপনার ওপরই ছেড়ে দিলাম।’ এরপর তিনি সালাতে দাঁড়ালেন। যখন তারা কোনো বিপদের সম্মুখীন হতো, তখন তারা সালাতের আশ্রয় নিত। নবী যথেষ্ট সময় নিয়ে সালাত আদায় করলেন, তারপর বললেন, ‘হে আমার প্রভু, বাইরের শত্রুর আক্রমণ নয়, দুর্ভিক্ষও নয়, বরং মৃত্যু। তাহলে তাদের ওপর মৃত্যু চাপিয়ে দাও।’ ফলস্বরূপ, তাদের মধ্য থেকে ৭০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করল।
এ কারণেই আমি ফিসফিস করে বলছিলাম, ‘হে আল্লাহ, তোমার সাহায্যে আমি লড়াই করি, তোমার সাহায্যেই আমি আক্রমণ প্রতিহত করি এবং একমাত্র আল্লাহর শক্তিতেই সবকিছু সম্ভব।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৮৯৩৭)
হাদিস থেকে শিক্ষা
নবী (সা.)-এর শিক্ষা: রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবিদের শিক্ষা দিয়েছেন যে, আত্মতুষ্টি ও আত্মগরিমা জাতির দুর্বলতা ও ধ্বংসের অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই এই ধরনের মনোভাব থেকে সতর্ক থাকা উচিত।
আত্মগরিমার ক্ষতিকর পরিণতি: অহংকার ও আত্মগরিমার ফল সর্বদা ভয়াবহ। এটি তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর নির্ভরতা) দুর্বল করে দেয় এবং মানুষকে পার্থিব উপকরণের ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। এই আত্মতুষ্টির কারণে সেই নবীর জাতিও আল্লাহর শাস্তির স্বীকার হয়েছিল।
পরীক্ষার কারণ কখনো অদৃশ্য হতে পারে: কখনো কখনো পরীক্ষার কারণ সুস্পষ্ট হয় না। এমনকি কোনো নেককার ও মুজাহিদ জাতিও কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে পারে, অথচ তারা বুঝতেও পারে না কেন এই বিপর্যয় এসেছে। তাই সর্বদা আত্মসমালোচনা করা এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া জরুরি।
পূর্ববর্তী জাতিদের শিক্ষা: আমাদের আগেও বহু নেককার ও ধর্মপরায়ণ জাতি ছিল, যাদের সংখ্যা ছিল প্রচুর এবং যারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করত। কিন্তু তাদের মধ্যেও অনেকেই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করেছিল—যেমন, সেই জাতির সত্তর হাজার লোক অল্প সময়ের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছিল।
সংকটের সময়ে নামাজ ও দোয়া: যখন কোনো কঠিন বিষয় সামনে আসে তখন মুমিনের উচিত সালাতে আত্মনিয়োগ করা। যেন আল্লাহ তাকে সঠিক পথনির্দেশনা দেন। এই উদ্দেশ্যে সালাতুল ইস্তিখারার বিধান রয়েছে, যাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে উত্তম সিদ্ধান্তের জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে।
আমজাদ ইউনুস

সন্তান-সন্তুতি, সম্পদ বা অনুসারীর সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধতা—এসব প্রকৃত মুমিনের জন্য একপ্রকার আত্মপ্রবঞ্চনা। সত্যিকারের ইমানদার ব্যক্তি শত্রুর মোকাবিলায় বাহিনীর সংখ্যা দেখে আত্মতুষ্ট হয় না এবং সংখ্যার স্বল্পতা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করে না। কারণ বিজয় একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ১০)
একদিন আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এক নবীর ঘটনা বর্ণনা করেন, যাকে আল্লাহ একটি বিশাল ও শক্তিশালী জাতি দান করেছিলেন। তিনি তাঁর জাতির শক্তি ও সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধ ছিলেন। পরে তাঁর জাতির পরিণতি কী ঘটেছিল এই হাদিসে তার বিশদ বিবরণ রয়েছে। হাদিসের আলোকে ঘটনাটি তুলে ধরা হলো—
সুহাইব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন সালাত আদায় করতেন, তখন এমন কিছু বলে ফিসফিস করতেন, যা আমি বুঝতে পারতাম না এবং তিনি আমাদের তা বলতেনও না। একদিন তিনি বললেন, ‘তোমরা কি আমার ফিসফিস করার বিষয়টি খেয়াল করেছ?’ আমরা বললাম, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘আমি এক নবীর কথা স্মরণ করছিলাম, যাকে তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে এক বিশাল সেনাবাহিনী দেওয়া হয়েছিল।’ অন্য এক বর্ণনায় এসেছে—‘তিনি তাঁর জাতির সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন—কে এদের সঙ্গে লড়বে? কে এদের প্রতিরোধ করবে?’
এরপর আল্লাহ তাঁর প্রতি অহি পাঠালেন—‘তোমার জাতির জন্য তিনটি বিকল্প বেছে নাও—এক. তাদের বিরুদ্ধে কোনো বাইরের শত্রুকে চাপিয়ে দেওয়া। দুই. দুর্ভিক্ষ। তিন. মৃত্যু।’ নবী তাঁর সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। তারা বলল, ‘আপনি আল্লাহর নবী, সিদ্ধান্ত আপনার ওপরই ছেড়ে দিলাম।’ এরপর তিনি সালাতে দাঁড়ালেন। যখন তারা কোনো বিপদের সম্মুখীন হতো, তখন তারা সালাতের আশ্রয় নিত। নবী যথেষ্ট সময় নিয়ে সালাত আদায় করলেন, তারপর বললেন, ‘হে আমার প্রভু, বাইরের শত্রুর আক্রমণ নয়, দুর্ভিক্ষও নয়, বরং মৃত্যু। তাহলে তাদের ওপর মৃত্যু চাপিয়ে দাও।’ ফলস্বরূপ, তাদের মধ্য থেকে ৭০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করল।
এ কারণেই আমি ফিসফিস করে বলছিলাম, ‘হে আল্লাহ, তোমার সাহায্যে আমি লড়াই করি, তোমার সাহায্যেই আমি আক্রমণ প্রতিহত করি এবং একমাত্র আল্লাহর শক্তিতেই সবকিছু সম্ভব।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৮৯৩৭)
হাদিস থেকে শিক্ষা
নবী (সা.)-এর শিক্ষা: রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবিদের শিক্ষা দিয়েছেন যে, আত্মতুষ্টি ও আত্মগরিমা জাতির দুর্বলতা ও ধ্বংসের অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই এই ধরনের মনোভাব থেকে সতর্ক থাকা উচিত।
আত্মগরিমার ক্ষতিকর পরিণতি: অহংকার ও আত্মগরিমার ফল সর্বদা ভয়াবহ। এটি তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর নির্ভরতা) দুর্বল করে দেয় এবং মানুষকে পার্থিব উপকরণের ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। এই আত্মতুষ্টির কারণে সেই নবীর জাতিও আল্লাহর শাস্তির স্বীকার হয়েছিল।
পরীক্ষার কারণ কখনো অদৃশ্য হতে পারে: কখনো কখনো পরীক্ষার কারণ সুস্পষ্ট হয় না। এমনকি কোনো নেককার ও মুজাহিদ জাতিও কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে পারে, অথচ তারা বুঝতেও পারে না কেন এই বিপর্যয় এসেছে। তাই সর্বদা আত্মসমালোচনা করা এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া জরুরি।
পূর্ববর্তী জাতিদের শিক্ষা: আমাদের আগেও বহু নেককার ও ধর্মপরায়ণ জাতি ছিল, যাদের সংখ্যা ছিল প্রচুর এবং যারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করত। কিন্তু তাদের মধ্যেও অনেকেই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করেছিল—যেমন, সেই জাতির সত্তর হাজার লোক অল্প সময়ের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছিল।
সংকটের সময়ে নামাজ ও দোয়া: যখন কোনো কঠিন বিষয় সামনে আসে তখন মুমিনের উচিত সালাতে আত্মনিয়োগ করা। যেন আল্লাহ তাকে সঠিক পথনির্দেশনা দেন। এই উদ্দেশ্যে সালাতুল ইস্তিখারার বিধান রয়েছে, যাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে উত্তম সিদ্ধান্তের জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে।

সন্তান-সন্তুতি, সম্পদ বা অনুসারীর সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধতা—এসব প্রকৃত মুমিনের জন্য একপ্রকার আত্মপ্রবঞ্চনা। সত্যিকারের ইমানদার ব্যক্তি শত্রুর মোকাবিলায় বাহিনীর সংখ্যা দেখে আত্মতুষ্ট হয় না এবং সংখ্যার স্বল্পতা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করে না। কারণ বিজয় একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ১০)
একদিন আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এক নবীর ঘটনা বর্ণনা করেন, যাকে আল্লাহ একটি বিশাল ও শক্তিশালী জাতি দান করেছিলেন। তিনি তাঁর জাতির শক্তি ও সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধ ছিলেন। পরে তাঁর জাতির পরিণতি কী ঘটেছিল এই হাদিসে তার বিশদ বিবরণ রয়েছে। হাদিসের আলোকে ঘটনাটি তুলে ধরা হলো—
সুহাইব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন সালাত আদায় করতেন, তখন এমন কিছু বলে ফিসফিস করতেন, যা আমি বুঝতে পারতাম না এবং তিনি আমাদের তা বলতেনও না। একদিন তিনি বললেন, ‘তোমরা কি আমার ফিসফিস করার বিষয়টি খেয়াল করেছ?’ আমরা বললাম, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘আমি এক নবীর কথা স্মরণ করছিলাম, যাকে তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে এক বিশাল সেনাবাহিনী দেওয়া হয়েছিল।’ অন্য এক বর্ণনায় এসেছে—‘তিনি তাঁর জাতির সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন—কে এদের সঙ্গে লড়বে? কে এদের প্রতিরোধ করবে?’
এরপর আল্লাহ তাঁর প্রতি অহি পাঠালেন—‘তোমার জাতির জন্য তিনটি বিকল্প বেছে নাও—এক. তাদের বিরুদ্ধে কোনো বাইরের শত্রুকে চাপিয়ে দেওয়া। দুই. দুর্ভিক্ষ। তিন. মৃত্যু।’ নবী তাঁর সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। তারা বলল, ‘আপনি আল্লাহর নবী, সিদ্ধান্ত আপনার ওপরই ছেড়ে দিলাম।’ এরপর তিনি সালাতে দাঁড়ালেন। যখন তারা কোনো বিপদের সম্মুখীন হতো, তখন তারা সালাতের আশ্রয় নিত। নবী যথেষ্ট সময় নিয়ে সালাত আদায় করলেন, তারপর বললেন, ‘হে আমার প্রভু, বাইরের শত্রুর আক্রমণ নয়, দুর্ভিক্ষও নয়, বরং মৃত্যু। তাহলে তাদের ওপর মৃত্যু চাপিয়ে দাও।’ ফলস্বরূপ, তাদের মধ্য থেকে ৭০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করল।
এ কারণেই আমি ফিসফিস করে বলছিলাম, ‘হে আল্লাহ, তোমার সাহায্যে আমি লড়াই করি, তোমার সাহায্যেই আমি আক্রমণ প্রতিহত করি এবং একমাত্র আল্লাহর শক্তিতেই সবকিছু সম্ভব।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৮৯৩৭)
হাদিস থেকে শিক্ষা
নবী (সা.)-এর শিক্ষা: রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবিদের শিক্ষা দিয়েছেন যে, আত্মতুষ্টি ও আত্মগরিমা জাতির দুর্বলতা ও ধ্বংসের অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই এই ধরনের মনোভাব থেকে সতর্ক থাকা উচিত।
আত্মগরিমার ক্ষতিকর পরিণতি: অহংকার ও আত্মগরিমার ফল সর্বদা ভয়াবহ। এটি তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর নির্ভরতা) দুর্বল করে দেয় এবং মানুষকে পার্থিব উপকরণের ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। এই আত্মতুষ্টির কারণে সেই নবীর জাতিও আল্লাহর শাস্তির স্বীকার হয়েছিল।
পরীক্ষার কারণ কখনো অদৃশ্য হতে পারে: কখনো কখনো পরীক্ষার কারণ সুস্পষ্ট হয় না। এমনকি কোনো নেককার ও মুজাহিদ জাতিও কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে পারে, অথচ তারা বুঝতেও পারে না কেন এই বিপর্যয় এসেছে। তাই সর্বদা আত্মসমালোচনা করা এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া জরুরি।
পূর্ববর্তী জাতিদের শিক্ষা: আমাদের আগেও বহু নেককার ও ধর্মপরায়ণ জাতি ছিল, যাদের সংখ্যা ছিল প্রচুর এবং যারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করত। কিন্তু তাদের মধ্যেও অনেকেই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করেছিল—যেমন, সেই জাতির সত্তর হাজার লোক অল্প সময়ের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছিল।
সংকটের সময়ে নামাজ ও দোয়া: যখন কোনো কঠিন বিষয় সামনে আসে তখন মুমিনের উচিত সালাতে আত্মনিয়োগ করা। যেন আল্লাহ তাকে সঠিক পথনির্দেশনা দেন। এই উদ্দেশ্যে সালাতুল ইস্তিখারার বিধান রয়েছে, যাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে উত্তম সিদ্ধান্তের জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সন্তান-সন্তুতি, সম্পদ বা অনুসারীর সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধতা—এসব প্রকৃত মুমিনের জন্য একপ্রকার আত্মপ্রবঞ্চনা। সত্যিকারের ইমানদার ব্যক্তি শত্রুর মোকাবিলায় বাহিনীর সংখ্যা দেখে আত্মতুষ্ট হয় না এবং সংখ্যার স্বল্পতা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করে না।
১২ মার্চ ২০২৫
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

সন্তান-সন্তুতি, সম্পদ বা অনুসারীর সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধতা—এসব প্রকৃত মুমিনের জন্য একপ্রকার আত্মপ্রবঞ্চনা। সত্যিকারের ইমানদার ব্যক্তি শত্রুর মোকাবিলায় বাহিনীর সংখ্যা দেখে আত্মতুষ্ট হয় না এবং সংখ্যার স্বল্পতা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করে না।
১২ মার্চ ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সন্তান-সন্তুতি, সম্পদ বা অনুসারীর সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধতা—এসব প্রকৃত মুমিনের জন্য একপ্রকার আত্মপ্রবঞ্চনা। সত্যিকারের ইমানদার ব্যক্তি শত্রুর মোকাবিলায় বাহিনীর সংখ্যা দেখে আত্মতুষ্ট হয় না এবং সংখ্যার স্বল্পতা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করে না।
১২ মার্চ ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

সন্তান-সন্তুতি, সম্পদ বা অনুসারীর সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধতা—এসব প্রকৃত মুমিনের জন্য একপ্রকার আত্মপ্রবঞ্চনা। সত্যিকারের ইমানদার ব্যক্তি শত্রুর মোকাবিলায় বাহিনীর সংখ্যা দেখে আত্মতুষ্ট হয় না এবং সংখ্যার স্বল্পতা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করে না।
১২ মার্চ ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে