মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন মানবতার মুক্তির বার্তাবাহক, ইসলামের শেষ নবী এবং আল্লাহ প্রেরিত শ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য পোষণ করা ইমানের মৌলিক অংশ। তাঁর নাম উচ্চারণের সময় কিংবা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দ ও ভাষার যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শব্দ ব্যবহারে অসতর্কতা বা সীমালঙ্ঘন ইমানের পরিপন্থী হতে পারে।
কোরআনের নির্দেশনা
পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-এর সম্মান রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের চেয়ে তোমাদের কণ্ঠস্বর উঁচু কোরো না এবং তাঁর প্রতি কথার ধরন এমন কোরো না, যেমন তোমরা পরস্পরের সঙ্গে করো। এতে তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট হয়ে যাবে, অথচ তোমরা তা বুঝতেও পারবে না।’ (সুরা হুজরাত: ২)
এই আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে মহানবী (সা.)-এর শানে অসম্মানজনক বা অনুচিত শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির ইমানও বিপন্ন হতে পারে। শব্দের মাধ্যমেই মানুষের হৃদয়ের অবস্থান প্রকাশ পায়, তাই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সংযম ও শিষ্টাচার অবলম্বন করা অপরিহার্য।
মদিনায় বসবাসরত ইহুদিরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে অবমাননা করার উদ্দেশ্যে আরবিতে প্রচলিত শব্দ ‘রা-ইনা’ (যার অর্থ, আমাদের প্রতি মনোযোগ দিন) বিকৃত উচ্চারণ করে ব্যবহার করত। এই শব্দের বিকৃত রূপে অপমানজনক অর্থ (আমাদের রাখাল) প্রকাশ পেত। মুসলমানরাও তাঁদের অজান্তে নবীজিকে সম্বোধন করতে একই শব্দ ব্যবহার করতেন। এর ফলে মুসলমানদের সতর্ক করার জন্য আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা (নবীকে সম্বোধন করে) ‘রা-ইনা’ বলো না; বরং ‘উনজুরনা’ (তাকান) বলো এবং শুনতে থাকো। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা বাকারা: ১০৪)
একটা শব্দের ভিন্ন অর্থের মাধ্যমে রাসুলের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের আশঙ্কা থাকার কারণে আল্লাহ তাআলা তা বলতে নিষেধ করেছেন। এখান থেকে তাঁর প্রতি শব্দচয়নে সতর্কতার গুরুত্ব আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলা কোরআনের কোথাও তাঁকে ‘হে মুহাম্মদ’ বলে সম্বোধন করেননি। বরং প্রতি সম্বোধনে সম্মান বা স্নেহসূচক উপাধি ব্যবহার করেছেন। মুফাসসিরদের মতে, মহানবী (সা.)-এর প্রতি আল্লাহর অত্যধিক ভালোবাসা ও তাঁর অতুলনীয় মর্যাদা বোঝাতেই আল্লাহ তাআলা এমন করেছেন।
রাসুল (সা.)-এর শানে শব্দচয়নে সতর্কতার গুরুত্বের প্রসঙ্গ এলে স্বাভাবিকভাবে কারও মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে তাঁর ব্যাপারে ‘মাটির তৈরি’, ‘উম্মি’ (নিরক্ষর), ‘রাখাল’ ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ করা যাবে কি না, যেগুলো কোরআন ও বিভিন্ন হাদিসে প্রসঙ্গক্রমে তাঁর ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়েছে। এর উত্তর হচ্ছে—রাসুল (সা.)-কে ‘মাটির তৈরি’, ‘উম্মি’ (নিরক্ষর) বা ‘রাখাল’ বলা অসম্মান নয়, যদি তা সঠিক প্রেক্ষাপটে এবং ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয়। কোরআন ও হাদিসে এসব বিষয় নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে এসব শব্দ ব্যবহারের সময় অভিপ্রায় ও প্রসঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘মাটির তৈরি’ বলা
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, সমস্ত মানবজাতিকে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং রাসুল (সা.)ও মানুষ ছিলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই সবকিছুকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষের সৃষ্টি শুরু করেছেন কাদামাটি থেকে।’ (সুরা সাজদা: ৭) এ কারণে রাসুল (সা.)কে ‘মাটির তৈরি’ বলা তাঁর মানবিক দিক বোঝানোর জন্য হলে এটি অসম্মান নয়। তবে, যদি কেউ এতে তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে বলেন, তাহলে তা অন্যায়।
‘উম্মি’ বলা
রাসুল (সা.)-কে কোরআনে স্পষ্টভাবে উম্মি (অক্ষরজ্ঞানহীন বা নিরক্ষর) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা উম্মি রাসুলকে অনুসরণ করে, যার সম্পর্কে তারা তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পেয়েছে।’ (সুরা আরাফ: ১৫৭) রাসুল (সা.)-এর নিরক্ষর হওয়া ছিল তাঁর নবুওয়তের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। এটি তাঁর অসম্মান নয়; বরং এটি প্রমাণ করে যে কোরআন ছিল আল্লাহর অহির ফল, কারণ তিনি নিজে থেকে কিছু লেখার বা সংকলন করার ক্ষমতা রাখতেন না। তবে ‘উম্মি’র অর্থ কখনোই মূর্খ নয়, কেউ এ অর্থ নিলে তা চরম বেয়াদবি হবে।
‘রাখাল’ বলা
রাসুল (সা.) নিজেই বলেছেন, তিনি জীবনের কোনো পর্যায়ে ছাগল চরিয়েছিলেন। এক হাদিসে এসেছে, ‘প্রত্যেক নবীই ছাগল চরিয়েছিলেন।’ সাহাবিরা বললেন, ‘আপনিও?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি মক্কার অধিবাসীদের ভেড়া চরিয়েছি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২১৪৩)
হাদিস বিশারদগণ বলেছেন, নবীদের ভেড়া চরাতে দেওয়ার মূলে রয়েছে তাঁদের নবুওয়তের জন্য প্রস্তুত করা। কারণ ভেড়ার পাল চরানো বড় কষ্টসাধ্য কাজ। যেহেতু একটি সময়ে এসেছে নবীদের পুরো একটি জাতির হিদায়াতের দিশা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে, আল্লাহ তাঁদের এমন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাই রাসুলের রাখাল হওয়ার অর্থ একান্ত দারিদ্র্যের কারণে রাখাল হতে বাধ্য হয়েছেন, এমন বলার সুযোগ নেই।
রাখাল হওয়ার ঘটনাকে ভিত্তি করে রাসুল (সা.)কে সরাসরি রাখাল ছিলেন কিংবা রাখাল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বা দরিদ্র কাউবয় ছিলেন-জাতীয় কথা বলা শোভনীয় নয়। কারণ বক্তার উদ্দেশ্য যেটাই হোক, শ্রোতাদের মনে এসব শব্দের ফলে নবীজির ব্যক্তিত্ব ছোট মনে হতে পারে। তাই রাসুলের শানে এমনভাবে শব্দ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। আল্লাহ তাআলা আমাদের তৌফিক দিন।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন মানবতার মুক্তির বার্তাবাহক, ইসলামের শেষ নবী এবং আল্লাহ প্রেরিত শ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য পোষণ করা ইমানের মৌলিক অংশ। তাঁর নাম উচ্চারণের সময় কিংবা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দ ও ভাষার যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শব্দ ব্যবহারে অসতর্কতা বা সীমালঙ্ঘন ইমানের পরিপন্থী হতে পারে।
কোরআনের নির্দেশনা
পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-এর সম্মান রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের চেয়ে তোমাদের কণ্ঠস্বর উঁচু কোরো না এবং তাঁর প্রতি কথার ধরন এমন কোরো না, যেমন তোমরা পরস্পরের সঙ্গে করো। এতে তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট হয়ে যাবে, অথচ তোমরা তা বুঝতেও পারবে না।’ (সুরা হুজরাত: ২)
এই আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে মহানবী (সা.)-এর শানে অসম্মানজনক বা অনুচিত শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির ইমানও বিপন্ন হতে পারে। শব্দের মাধ্যমেই মানুষের হৃদয়ের অবস্থান প্রকাশ পায়, তাই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সংযম ও শিষ্টাচার অবলম্বন করা অপরিহার্য।
মদিনায় বসবাসরত ইহুদিরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে অবমাননা করার উদ্দেশ্যে আরবিতে প্রচলিত শব্দ ‘রা-ইনা’ (যার অর্থ, আমাদের প্রতি মনোযোগ দিন) বিকৃত উচ্চারণ করে ব্যবহার করত। এই শব্দের বিকৃত রূপে অপমানজনক অর্থ (আমাদের রাখাল) প্রকাশ পেত। মুসলমানরাও তাঁদের অজান্তে নবীজিকে সম্বোধন করতে একই শব্দ ব্যবহার করতেন। এর ফলে মুসলমানদের সতর্ক করার জন্য আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা (নবীকে সম্বোধন করে) ‘রা-ইনা’ বলো না; বরং ‘উনজুরনা’ (তাকান) বলো এবং শুনতে থাকো। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা বাকারা: ১০৪)
একটা শব্দের ভিন্ন অর্থের মাধ্যমে রাসুলের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের আশঙ্কা থাকার কারণে আল্লাহ তাআলা তা বলতে নিষেধ করেছেন। এখান থেকে তাঁর প্রতি শব্দচয়নে সতর্কতার গুরুত্ব আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলা কোরআনের কোথাও তাঁকে ‘হে মুহাম্মদ’ বলে সম্বোধন করেননি। বরং প্রতি সম্বোধনে সম্মান বা স্নেহসূচক উপাধি ব্যবহার করেছেন। মুফাসসিরদের মতে, মহানবী (সা.)-এর প্রতি আল্লাহর অত্যধিক ভালোবাসা ও তাঁর অতুলনীয় মর্যাদা বোঝাতেই আল্লাহ তাআলা এমন করেছেন।
রাসুল (সা.)-এর শানে শব্দচয়নে সতর্কতার গুরুত্বের প্রসঙ্গ এলে স্বাভাবিকভাবে কারও মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে তাঁর ব্যাপারে ‘মাটির তৈরি’, ‘উম্মি’ (নিরক্ষর), ‘রাখাল’ ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ করা যাবে কি না, যেগুলো কোরআন ও বিভিন্ন হাদিসে প্রসঙ্গক্রমে তাঁর ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়েছে। এর উত্তর হচ্ছে—রাসুল (সা.)-কে ‘মাটির তৈরি’, ‘উম্মি’ (নিরক্ষর) বা ‘রাখাল’ বলা অসম্মান নয়, যদি তা সঠিক প্রেক্ষাপটে এবং ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয়। কোরআন ও হাদিসে এসব বিষয় নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে এসব শব্দ ব্যবহারের সময় অভিপ্রায় ও প্রসঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘মাটির তৈরি’ বলা
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, সমস্ত মানবজাতিকে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং রাসুল (সা.)ও মানুষ ছিলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই সবকিছুকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষের সৃষ্টি শুরু করেছেন কাদামাটি থেকে।’ (সুরা সাজদা: ৭) এ কারণে রাসুল (সা.)কে ‘মাটির তৈরি’ বলা তাঁর মানবিক দিক বোঝানোর জন্য হলে এটি অসম্মান নয়। তবে, যদি কেউ এতে তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে বলেন, তাহলে তা অন্যায়।
‘উম্মি’ বলা
রাসুল (সা.)-কে কোরআনে স্পষ্টভাবে উম্মি (অক্ষরজ্ঞানহীন বা নিরক্ষর) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা উম্মি রাসুলকে অনুসরণ করে, যার সম্পর্কে তারা তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পেয়েছে।’ (সুরা আরাফ: ১৫৭) রাসুল (সা.)-এর নিরক্ষর হওয়া ছিল তাঁর নবুওয়তের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। এটি তাঁর অসম্মান নয়; বরং এটি প্রমাণ করে যে কোরআন ছিল আল্লাহর অহির ফল, কারণ তিনি নিজে থেকে কিছু লেখার বা সংকলন করার ক্ষমতা রাখতেন না। তবে ‘উম্মি’র অর্থ কখনোই মূর্খ নয়, কেউ এ অর্থ নিলে তা চরম বেয়াদবি হবে।
‘রাখাল’ বলা
রাসুল (সা.) নিজেই বলেছেন, তিনি জীবনের কোনো পর্যায়ে ছাগল চরিয়েছিলেন। এক হাদিসে এসেছে, ‘প্রত্যেক নবীই ছাগল চরিয়েছিলেন।’ সাহাবিরা বললেন, ‘আপনিও?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি মক্কার অধিবাসীদের ভেড়া চরিয়েছি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২১৪৩)
হাদিস বিশারদগণ বলেছেন, নবীদের ভেড়া চরাতে দেওয়ার মূলে রয়েছে তাঁদের নবুওয়তের জন্য প্রস্তুত করা। কারণ ভেড়ার পাল চরানো বড় কষ্টসাধ্য কাজ। যেহেতু একটি সময়ে এসেছে নবীদের পুরো একটি জাতির হিদায়াতের দিশা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে, আল্লাহ তাঁদের এমন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাই রাসুলের রাখাল হওয়ার অর্থ একান্ত দারিদ্র্যের কারণে রাখাল হতে বাধ্য হয়েছেন, এমন বলার সুযোগ নেই।
রাখাল হওয়ার ঘটনাকে ভিত্তি করে রাসুল (সা.)কে সরাসরি রাখাল ছিলেন কিংবা রাখাল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বা দরিদ্র কাউবয় ছিলেন-জাতীয় কথা বলা শোভনীয় নয়। কারণ বক্তার উদ্দেশ্য যেটাই হোক, শ্রোতাদের মনে এসব শব্দের ফলে নবীজির ব্যক্তিত্ব ছোট মনে হতে পারে। তাই রাসুলের শানে এমনভাবে শব্দ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। আল্লাহ তাআলা আমাদের তৌফিক দিন।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন মানবতার মুক্তির বার্তাবাহক, ইসলামের শেষ নবী এবং আল্লাহ প্রেরিত শ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য পোষণ করা ইমানের মৌলিক অংশ। তাঁর নাম উচ্চারণের সময় কিংবা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দ ও ভাষার যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শব্দ ব্যবহারে অসতর্কতা বা সীমালঙ্ঘন ইমানের পরিপন্থী হতে পারে।
কোরআনের নির্দেশনা
পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-এর সম্মান রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের চেয়ে তোমাদের কণ্ঠস্বর উঁচু কোরো না এবং তাঁর প্রতি কথার ধরন এমন কোরো না, যেমন তোমরা পরস্পরের সঙ্গে করো। এতে তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট হয়ে যাবে, অথচ তোমরা তা বুঝতেও পারবে না।’ (সুরা হুজরাত: ২)
এই আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে মহানবী (সা.)-এর শানে অসম্মানজনক বা অনুচিত শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির ইমানও বিপন্ন হতে পারে। শব্দের মাধ্যমেই মানুষের হৃদয়ের অবস্থান প্রকাশ পায়, তাই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সংযম ও শিষ্টাচার অবলম্বন করা অপরিহার্য।
মদিনায় বসবাসরত ইহুদিরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে অবমাননা করার উদ্দেশ্যে আরবিতে প্রচলিত শব্দ ‘রা-ইনা’ (যার অর্থ, আমাদের প্রতি মনোযোগ দিন) বিকৃত উচ্চারণ করে ব্যবহার করত। এই শব্দের বিকৃত রূপে অপমানজনক অর্থ (আমাদের রাখাল) প্রকাশ পেত। মুসলমানরাও তাঁদের অজান্তে নবীজিকে সম্বোধন করতে একই শব্দ ব্যবহার করতেন। এর ফলে মুসলমানদের সতর্ক করার জন্য আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা (নবীকে সম্বোধন করে) ‘রা-ইনা’ বলো না; বরং ‘উনজুরনা’ (তাকান) বলো এবং শুনতে থাকো। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা বাকারা: ১০৪)
একটা শব্দের ভিন্ন অর্থের মাধ্যমে রাসুলের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের আশঙ্কা থাকার কারণে আল্লাহ তাআলা তা বলতে নিষেধ করেছেন। এখান থেকে তাঁর প্রতি শব্দচয়নে সতর্কতার গুরুত্ব আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলা কোরআনের কোথাও তাঁকে ‘হে মুহাম্মদ’ বলে সম্বোধন করেননি। বরং প্রতি সম্বোধনে সম্মান বা স্নেহসূচক উপাধি ব্যবহার করেছেন। মুফাসসিরদের মতে, মহানবী (সা.)-এর প্রতি আল্লাহর অত্যধিক ভালোবাসা ও তাঁর অতুলনীয় মর্যাদা বোঝাতেই আল্লাহ তাআলা এমন করেছেন।
রাসুল (সা.)-এর শানে শব্দচয়নে সতর্কতার গুরুত্বের প্রসঙ্গ এলে স্বাভাবিকভাবে কারও মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে তাঁর ব্যাপারে ‘মাটির তৈরি’, ‘উম্মি’ (নিরক্ষর), ‘রাখাল’ ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ করা যাবে কি না, যেগুলো কোরআন ও বিভিন্ন হাদিসে প্রসঙ্গক্রমে তাঁর ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়েছে। এর উত্তর হচ্ছে—রাসুল (সা.)-কে ‘মাটির তৈরি’, ‘উম্মি’ (নিরক্ষর) বা ‘রাখাল’ বলা অসম্মান নয়, যদি তা সঠিক প্রেক্ষাপটে এবং ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয়। কোরআন ও হাদিসে এসব বিষয় নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে এসব শব্দ ব্যবহারের সময় অভিপ্রায় ও প্রসঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘মাটির তৈরি’ বলা
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, সমস্ত মানবজাতিকে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং রাসুল (সা.)ও মানুষ ছিলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই সবকিছুকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষের সৃষ্টি শুরু করেছেন কাদামাটি থেকে।’ (সুরা সাজদা: ৭) এ কারণে রাসুল (সা.)কে ‘মাটির তৈরি’ বলা তাঁর মানবিক দিক বোঝানোর জন্য হলে এটি অসম্মান নয়। তবে, যদি কেউ এতে তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে বলেন, তাহলে তা অন্যায়।
‘উম্মি’ বলা
রাসুল (সা.)-কে কোরআনে স্পষ্টভাবে উম্মি (অক্ষরজ্ঞানহীন বা নিরক্ষর) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা উম্মি রাসুলকে অনুসরণ করে, যার সম্পর্কে তারা তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পেয়েছে।’ (সুরা আরাফ: ১৫৭) রাসুল (সা.)-এর নিরক্ষর হওয়া ছিল তাঁর নবুওয়তের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। এটি তাঁর অসম্মান নয়; বরং এটি প্রমাণ করে যে কোরআন ছিল আল্লাহর অহির ফল, কারণ তিনি নিজে থেকে কিছু লেখার বা সংকলন করার ক্ষমতা রাখতেন না। তবে ‘উম্মি’র অর্থ কখনোই মূর্খ নয়, কেউ এ অর্থ নিলে তা চরম বেয়াদবি হবে।
‘রাখাল’ বলা
রাসুল (সা.) নিজেই বলেছেন, তিনি জীবনের কোনো পর্যায়ে ছাগল চরিয়েছিলেন। এক হাদিসে এসেছে, ‘প্রত্যেক নবীই ছাগল চরিয়েছিলেন।’ সাহাবিরা বললেন, ‘আপনিও?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি মক্কার অধিবাসীদের ভেড়া চরিয়েছি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২১৪৩)
হাদিস বিশারদগণ বলেছেন, নবীদের ভেড়া চরাতে দেওয়ার মূলে রয়েছে তাঁদের নবুওয়তের জন্য প্রস্তুত করা। কারণ ভেড়ার পাল চরানো বড় কষ্টসাধ্য কাজ। যেহেতু একটি সময়ে এসেছে নবীদের পুরো একটি জাতির হিদায়াতের দিশা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে, আল্লাহ তাঁদের এমন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাই রাসুলের রাখাল হওয়ার অর্থ একান্ত দারিদ্র্যের কারণে রাখাল হতে বাধ্য হয়েছেন, এমন বলার সুযোগ নেই।
রাখাল হওয়ার ঘটনাকে ভিত্তি করে রাসুল (সা.)কে সরাসরি রাখাল ছিলেন কিংবা রাখাল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বা দরিদ্র কাউবয় ছিলেন-জাতীয় কথা বলা শোভনীয় নয়। কারণ বক্তার উদ্দেশ্য যেটাই হোক, শ্রোতাদের মনে এসব শব্দের ফলে নবীজির ব্যক্তিত্ব ছোট মনে হতে পারে। তাই রাসুলের শানে এমনভাবে শব্দ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। আল্লাহ তাআলা আমাদের তৌফিক দিন।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন মানবতার মুক্তির বার্তাবাহক, ইসলামের শেষ নবী এবং আল্লাহ প্রেরিত শ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য পোষণ করা ইমানের মৌলিক অংশ। তাঁর নাম উচ্চারণের সময় কিংবা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দ ও ভাষার যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শব্দ ব্যবহারে অসতর্কতা বা সীমালঙ্ঘন ইমানের পরিপন্থী হতে পারে।
কোরআনের নির্দেশনা
পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-এর সম্মান রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের চেয়ে তোমাদের কণ্ঠস্বর উঁচু কোরো না এবং তাঁর প্রতি কথার ধরন এমন কোরো না, যেমন তোমরা পরস্পরের সঙ্গে করো। এতে তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট হয়ে যাবে, অথচ তোমরা তা বুঝতেও পারবে না।’ (সুরা হুজরাত: ২)
এই আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে মহানবী (সা.)-এর শানে অসম্মানজনক বা অনুচিত শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির ইমানও বিপন্ন হতে পারে। শব্দের মাধ্যমেই মানুষের হৃদয়ের অবস্থান প্রকাশ পায়, তাই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সংযম ও শিষ্টাচার অবলম্বন করা অপরিহার্য।
মদিনায় বসবাসরত ইহুদিরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে অবমাননা করার উদ্দেশ্যে আরবিতে প্রচলিত শব্দ ‘রা-ইনা’ (যার অর্থ, আমাদের প্রতি মনোযোগ দিন) বিকৃত উচ্চারণ করে ব্যবহার করত। এই শব্দের বিকৃত রূপে অপমানজনক অর্থ (আমাদের রাখাল) প্রকাশ পেত। মুসলমানরাও তাঁদের অজান্তে নবীজিকে সম্বোধন করতে একই শব্দ ব্যবহার করতেন। এর ফলে মুসলমানদের সতর্ক করার জন্য আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা (নবীকে সম্বোধন করে) ‘রা-ইনা’ বলো না; বরং ‘উনজুরনা’ (তাকান) বলো এবং শুনতে থাকো। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা বাকারা: ১০৪)
একটা শব্দের ভিন্ন অর্থের মাধ্যমে রাসুলের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের আশঙ্কা থাকার কারণে আল্লাহ তাআলা তা বলতে নিষেধ করেছেন। এখান থেকে তাঁর প্রতি শব্দচয়নে সতর্কতার গুরুত্ব আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলা কোরআনের কোথাও তাঁকে ‘হে মুহাম্মদ’ বলে সম্বোধন করেননি। বরং প্রতি সম্বোধনে সম্মান বা স্নেহসূচক উপাধি ব্যবহার করেছেন। মুফাসসিরদের মতে, মহানবী (সা.)-এর প্রতি আল্লাহর অত্যধিক ভালোবাসা ও তাঁর অতুলনীয় মর্যাদা বোঝাতেই আল্লাহ তাআলা এমন করেছেন।
রাসুল (সা.)-এর শানে শব্দচয়নে সতর্কতার গুরুত্বের প্রসঙ্গ এলে স্বাভাবিকভাবে কারও মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে তাঁর ব্যাপারে ‘মাটির তৈরি’, ‘উম্মি’ (নিরক্ষর), ‘রাখাল’ ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ করা যাবে কি না, যেগুলো কোরআন ও বিভিন্ন হাদিসে প্রসঙ্গক্রমে তাঁর ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়েছে। এর উত্তর হচ্ছে—রাসুল (সা.)-কে ‘মাটির তৈরি’, ‘উম্মি’ (নিরক্ষর) বা ‘রাখাল’ বলা অসম্মান নয়, যদি তা সঠিক প্রেক্ষাপটে এবং ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয়। কোরআন ও হাদিসে এসব বিষয় নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে এসব শব্দ ব্যবহারের সময় অভিপ্রায় ও প্রসঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘মাটির তৈরি’ বলা
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, সমস্ত মানবজাতিকে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং রাসুল (সা.)ও মানুষ ছিলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই সবকিছুকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষের সৃষ্টি শুরু করেছেন কাদামাটি থেকে।’ (সুরা সাজদা: ৭) এ কারণে রাসুল (সা.)কে ‘মাটির তৈরি’ বলা তাঁর মানবিক দিক বোঝানোর জন্য হলে এটি অসম্মান নয়। তবে, যদি কেউ এতে তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে বলেন, তাহলে তা অন্যায়।
‘উম্মি’ বলা
রাসুল (সা.)-কে কোরআনে স্পষ্টভাবে উম্মি (অক্ষরজ্ঞানহীন বা নিরক্ষর) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা উম্মি রাসুলকে অনুসরণ করে, যার সম্পর্কে তারা তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পেয়েছে।’ (সুরা আরাফ: ১৫৭) রাসুল (সা.)-এর নিরক্ষর হওয়া ছিল তাঁর নবুওয়তের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। এটি তাঁর অসম্মান নয়; বরং এটি প্রমাণ করে যে কোরআন ছিল আল্লাহর অহির ফল, কারণ তিনি নিজে থেকে কিছু লেখার বা সংকলন করার ক্ষমতা রাখতেন না। তবে ‘উম্মি’র অর্থ কখনোই মূর্খ নয়, কেউ এ অর্থ নিলে তা চরম বেয়াদবি হবে।
‘রাখাল’ বলা
রাসুল (সা.) নিজেই বলেছেন, তিনি জীবনের কোনো পর্যায়ে ছাগল চরিয়েছিলেন। এক হাদিসে এসেছে, ‘প্রত্যেক নবীই ছাগল চরিয়েছিলেন।’ সাহাবিরা বললেন, ‘আপনিও?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি মক্কার অধিবাসীদের ভেড়া চরিয়েছি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২১৪৩)
হাদিস বিশারদগণ বলেছেন, নবীদের ভেড়া চরাতে দেওয়ার মূলে রয়েছে তাঁদের নবুওয়তের জন্য প্রস্তুত করা। কারণ ভেড়ার পাল চরানো বড় কষ্টসাধ্য কাজ। যেহেতু একটি সময়ে এসেছে নবীদের পুরো একটি জাতির হিদায়াতের দিশা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে, আল্লাহ তাঁদের এমন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাই রাসুলের রাখাল হওয়ার অর্থ একান্ত দারিদ্র্যের কারণে রাখাল হতে বাধ্য হয়েছেন, এমন বলার সুযোগ নেই।
রাখাল হওয়ার ঘটনাকে ভিত্তি করে রাসুল (সা.)কে সরাসরি রাখাল ছিলেন কিংবা রাখাল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বা দরিদ্র কাউবয় ছিলেন-জাতীয় কথা বলা শোভনীয় নয়। কারণ বক্তার উদ্দেশ্য যেটাই হোক, শ্রোতাদের মনে এসব শব্দের ফলে নবীজির ব্যক্তিত্ব ছোট মনে হতে পারে। তাই রাসুলের শানে এমনভাবে শব্দ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। আল্লাহ তাআলা আমাদের তৌফিক দিন।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন মানবতার মুক্তির বার্তাবাহক, ইসলামের শেষ নবী এবং আল্লাহ প্রেরিত শ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য পোষণ করা ইমানের মৌলিক অংশ। তাঁর নাম উচ্চারণের সময় কিংবা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দ ও ভাষার যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১০ জানুয়ারি ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন মানবতার মুক্তির বার্তাবাহক, ইসলামের শেষ নবী এবং আল্লাহ প্রেরিত শ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য পোষণ করা ইমানের মৌলিক অংশ। তাঁর নাম উচ্চারণের সময় কিংবা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দ ও ভাষার যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১০ জানুয়ারি ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন মানবতার মুক্তির বার্তাবাহক, ইসলামের শেষ নবী এবং আল্লাহ প্রেরিত শ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য পোষণ করা ইমানের মৌলিক অংশ। তাঁর নাম উচ্চারণের সময় কিংবা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দ ও ভাষার যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১০ জানুয়ারি ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন মানবতার মুক্তির বার্তাবাহক, ইসলামের শেষ নবী এবং আল্লাহ প্রেরিত শ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য পোষণ করা ইমানের মৌলিক অংশ। তাঁর নাম উচ্চারণের সময় কিংবা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দ ও ভাষার যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১০ জানুয়ারি ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে