মাহমুদ হাসান ফাহিম

মোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ। আহলে কিতাবরা পূর্ব তথ্য অনুযায়ী এর মাধ্যমে রাসুল (সা.)-এর পরিচয় জানত এবং শনাক্ত করতে পারত যে, তিনিই সেই প্রতীক্ষিত সর্বশেষ নবী। (সিরাত বিশ্বকোষ: ৪/২৬১)
পূর্ববর্তী সব নবী ও রাসুলের সঙ্গেই বিশেষ একটা চিহ্ন বা নিদর্শন ছিল, যা দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যেত তিনি আল্লাহর মনোনীত পুরুষ। এ প্রসঙ্গে হজরত ওয়াহব ইবনে মুনাব্বিহ (র.) বলেন, আল্লাহ তাআলা সব নবীকে তাঁর ডান হাতে নবুয়তের তিলক দিয়ে প্রেরণ করেন। আর মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়তের তিলক ছিল পৃষ্ঠদেশে কাঁধের মাঝখানে।
মোহরে নবুয়তের কথা প্রসিদ্ধ হাদিস ও সিরাত গ্রন্থসমূহে বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। বেশ কয়েকজন সাহাবি তা স্বচক্ষে দেখেছেন, কেউবা হাতে স্পর্শ করেছেন, আবার কেউ চুম্বনও করেছেন। তাঁরা সবাই এর বিবরণ দিয়েছেন। তবে এর আকৃতির বর্ণনা ও সাদৃশ্য নিরূপণ করতে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এর সমাধান দিয়ে ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের অভিমত হলো, মোহরে নবুয়ত রাসুল (সা.)-এর পিঠে বাম কাঁধের কাছে ছিল, যার আকৃতি ছোট অবস্থায় কবুতরের ডিমের, আর বড় হলে হাতের মুষ্টির মতো হতো।’ (ফাতহুল বারি: ৬/৫৬৩)
হজরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর পিঠে মোহরে নবুয়ত দেখেছি, যা দেখতে অনেকটা কবুতরের ডিমের মতো।’ অন্যান্য বর্ণনায় এসেছে, একখণ্ড গোশতের টুকরা বা মাংসপিণ্ড ইত্যাদি। (বাইহাকী, দালাইলুন নুবুওয়াহ: ১/১৫৯) তাতে লেখা ছিল, ‘মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ’ (সা.) এবং তা থেকে মিসকের মতো সুগন্ধি বিচ্ছুরিত হতো। (সুয়ুতি, খাসায়েসুল কুবরা)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

মোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ। আহলে কিতাবরা পূর্ব তথ্য অনুযায়ী এর মাধ্যমে রাসুল (সা.)-এর পরিচয় জানত এবং শনাক্ত করতে পারত যে, তিনিই সেই প্রতীক্ষিত সর্বশেষ নবী। (সিরাত বিশ্বকোষ: ৪/২৬১)
পূর্ববর্তী সব নবী ও রাসুলের সঙ্গেই বিশেষ একটা চিহ্ন বা নিদর্শন ছিল, যা দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যেত তিনি আল্লাহর মনোনীত পুরুষ। এ প্রসঙ্গে হজরত ওয়াহব ইবনে মুনাব্বিহ (র.) বলেন, আল্লাহ তাআলা সব নবীকে তাঁর ডান হাতে নবুয়তের তিলক দিয়ে প্রেরণ করেন। আর মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়তের তিলক ছিল পৃষ্ঠদেশে কাঁধের মাঝখানে।
মোহরে নবুয়তের কথা প্রসিদ্ধ হাদিস ও সিরাত গ্রন্থসমূহে বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। বেশ কয়েকজন সাহাবি তা স্বচক্ষে দেখেছেন, কেউবা হাতে স্পর্শ করেছেন, আবার কেউ চুম্বনও করেছেন। তাঁরা সবাই এর বিবরণ দিয়েছেন। তবে এর আকৃতির বর্ণনা ও সাদৃশ্য নিরূপণ করতে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এর সমাধান দিয়ে ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের অভিমত হলো, মোহরে নবুয়ত রাসুল (সা.)-এর পিঠে বাম কাঁধের কাছে ছিল, যার আকৃতি ছোট অবস্থায় কবুতরের ডিমের, আর বড় হলে হাতের মুষ্টির মতো হতো।’ (ফাতহুল বারি: ৬/৫৬৩)
হজরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর পিঠে মোহরে নবুয়ত দেখেছি, যা দেখতে অনেকটা কবুতরের ডিমের মতো।’ অন্যান্য বর্ণনায় এসেছে, একখণ্ড গোশতের টুকরা বা মাংসপিণ্ড ইত্যাদি। (বাইহাকী, দালাইলুন নুবুওয়াহ: ১/১৫৯) তাতে লেখা ছিল, ‘মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ’ (সা.) এবং তা থেকে মিসকের মতো সুগন্ধি বিচ্ছুরিত হতো। (সুয়ুতি, খাসায়েসুল কুবরা)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

শিরক শব্দের অর্থ অংশীদারত্ব। যেকোনো বস্তুর মালিকানায় অংশীদারত্ব যে কারও কাছে অপছন্দনীয়। বিশেষ করে বস্তুটা যদি একান্তই কারও একচ্ছত্র কর্তৃত্বাধীন হয়, তাহলে তো তাতে কাউকে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগই দেয় না।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর ইতিহাসে জালিম শাসকের সংখ্যা অগুনতি। কিন্তু একসময় ভয়ংকরভাবে তাদের পতন হয়। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্তই হলো জালিমের পতন। অত্যাচারের অবসানেই উদিত হয় ইনসাফের সোনালি প্রভাত। ফেরাউনের অত্যাচারের শাসনের অবসান হলে এক ন্যায়পরায়ণ শাসকের আবির্ভাব হয়েছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। পাপ করে ফেললে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তওবা করে ফিরে আসা...
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

শিরক শব্দের অর্থ অংশীদারত্ব। যেকোনো বস্তুর মালিকানায় অংশীদারত্ব যে কারও কাছে অপছন্দনীয়। বিশেষ করে বস্তুটা যদি একান্তই কারও একচ্ছত্র কর্তৃত্বাধীন হয়, তাহলে তো তাতে কাউকে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগই দেয় না।
এই বিশ্বমণ্ডলের একচ্ছত্র মালিকানা মহান আল্লাহ তাআলার; অন্য কারও নয়। পবিত্র কোরআনে অনেক জায়গায় আল্লাহ নিজের ও মুশরিকদের মাবুদের মধ্যে তুলনা করে বলেছেন, তিনিই একমাত্র মাবুদ আর অন্যান্য যা কিছু তারা শরিক করে, সবই তার গোলাম।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শিরক করলে তা ক্ষমা করেন না, আর এটা ছাড়া অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শরিক স্থির করল সে গুরুতর গুনাহ করল।’ (সুরা নিসা: ৪৮)
এই আয়াত দ্বারা বোঝা গেল, শিরক অমার্জনীয় অপরাধ। যেকোনো গুনাহ বা অপরাধ আল্লাহ ইচ্ছা করলে মাফ করে দিতে পারেন। কিন্তু শিরক এমন এক অপরাধ, যা আল্লাহ কস্মিনকালেও মাফ করবেন না। শিরককারী তথা মুশরিকের জন্য জান্নাত হারাম এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম।
ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার স্থির করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান জাহান্নাম’। (সুরা মায়েদা: ৭২)
আল্লাহর সঙ্গে শিরক না করার ব্যাপারে লোকমান হাকিম স্বীয় পুত্রকে উপদেশদানের কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘(হে নবী, স্মরণ করুন ওই সময়ের কথা) যখন লোকমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বলল—হে বৎস আল্লাহর সঙ্গে শরিক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা মারাত্মক জুলুম।’ (সুরা লোকমান: ১৩)
সমস্ত জগতের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ। সুতরাং একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত বা উপাসনা হবে, অন্য কারও জন্য নয়। পবিত্র কোরআনের সতর্কবার্তা—‘আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো উপাস্য স্থির করো না। তাহলে নিন্দিত ও (আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে) বিতাড়িত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল: ৩৯)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিরক করা ছাড়া আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে (মৃত্যুবরণ করবে), সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি শিরক করা অবস্থায় (মৃত্যুবরণ করবে), সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৯৩)
লেখক: মুফতি মাসউদুর রহমান জামালী, মুদাররিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

শিরক শব্দের অর্থ অংশীদারত্ব। যেকোনো বস্তুর মালিকানায় অংশীদারত্ব যে কারও কাছে অপছন্দনীয়। বিশেষ করে বস্তুটা যদি একান্তই কারও একচ্ছত্র কর্তৃত্বাধীন হয়, তাহলে তো তাতে কাউকে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগই দেয় না।
এই বিশ্বমণ্ডলের একচ্ছত্র মালিকানা মহান আল্লাহ তাআলার; অন্য কারও নয়। পবিত্র কোরআনে অনেক জায়গায় আল্লাহ নিজের ও মুশরিকদের মাবুদের মধ্যে তুলনা করে বলেছেন, তিনিই একমাত্র মাবুদ আর অন্যান্য যা কিছু তারা শরিক করে, সবই তার গোলাম।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শিরক করলে তা ক্ষমা করেন না, আর এটা ছাড়া অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শরিক স্থির করল সে গুরুতর গুনাহ করল।’ (সুরা নিসা: ৪৮)
এই আয়াত দ্বারা বোঝা গেল, শিরক অমার্জনীয় অপরাধ। যেকোনো গুনাহ বা অপরাধ আল্লাহ ইচ্ছা করলে মাফ করে দিতে পারেন। কিন্তু শিরক এমন এক অপরাধ, যা আল্লাহ কস্মিনকালেও মাফ করবেন না। শিরককারী তথা মুশরিকের জন্য জান্নাত হারাম এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম।
ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার স্থির করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান জাহান্নাম’। (সুরা মায়েদা: ৭২)
আল্লাহর সঙ্গে শিরক না করার ব্যাপারে লোকমান হাকিম স্বীয় পুত্রকে উপদেশদানের কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘(হে নবী, স্মরণ করুন ওই সময়ের কথা) যখন লোকমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বলল—হে বৎস আল্লাহর সঙ্গে শরিক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা মারাত্মক জুলুম।’ (সুরা লোকমান: ১৩)
সমস্ত জগতের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ। সুতরাং একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত বা উপাসনা হবে, অন্য কারও জন্য নয়। পবিত্র কোরআনের সতর্কবার্তা—‘আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো উপাস্য স্থির করো না। তাহলে নিন্দিত ও (আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে) বিতাড়িত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল: ৩৯)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিরক করা ছাড়া আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে (মৃত্যুবরণ করবে), সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি শিরক করা অবস্থায় (মৃত্যুবরণ করবে), সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৯৩)
লেখক: মুফতি মাসউদুর রহমান জামালী, মুদাররিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

মোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর ইতিহাসে জালিম শাসকের সংখ্যা অগুনতি। কিন্তু একসময় ভয়ংকরভাবে তাদের পতন হয়। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্তই হলো জালিমের পতন। অত্যাচারের অবসানেই উদিত হয় ইনসাফের সোনালি প্রভাত। ফেরাউনের অত্যাচারের শাসনের অবসান হলে এক ন্যায়পরায়ণ শাসকের আবির্ভাব হয়েছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। পাপ করে ফেললে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তওবা করে ফিরে আসা...
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫৬ মিনিট | ০৬: ১৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৪: ৫৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫৬ মিনিট | ০৬: ১৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৪: ৫৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদারত্ব। যেকোনো বস্তুর মালিকানায় অংশীদারত্ব যে কারও কাছে অপছন্দনীয়। বিশেষ করে বস্তুটা যদি একান্তই কারও একচ্ছত্র কর্তৃত্বাধীন হয়, তাহলে তো তাতে কাউকে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগই দেয় না।
৭ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর ইতিহাসে জালিম শাসকের সংখ্যা অগুনতি। কিন্তু একসময় ভয়ংকরভাবে তাদের পতন হয়। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্তই হলো জালিমের পতন। অত্যাচারের অবসানেই উদিত হয় ইনসাফের সোনালি প্রভাত। ফেরাউনের অত্যাচারের শাসনের অবসান হলে এক ন্যায়পরায়ণ শাসকের আবির্ভাব হয়েছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। পাপ করে ফেললে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তওবা করে ফিরে আসা...
২ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

পৃথিবীর ইতিহাসে জালিম শাসকের সংখ্যা অগুনতি। কিন্তু একসময় ভয়ংকরভাবে তাদের পতন হয়। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্তই হলো জালিমের পতন। অত্যাচারের অবসানেই উদিত হয় ইনসাফের সোনালি প্রভাত। ফেরাউনের অত্যাচারের শাসনের অবসান হলে এক ন্যায়পরায়ণ শাসকের আবির্ভাব হয়েছিল। তাই তো ফেরাউনের ধ্বংসের খবরের সঙ্গে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সুসংবাদও এসেছে পবিত্র কোরআনে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কোরআন এক চিরন্তন বিধানের সংবাদ দেয়। ইরশাদ হয়েছে, পৃথিবীটা যেন জাঁকজমক ও শক্তি-প্রতিপত্তি দেখার কেন্দ্রস্থল এবং সে সঙ্গে দুর্বলদের নিধনের যজ্ঞশালা। শক্তিশালী জাতিগুলো দুর্বল জাতিগুলোকে দাস বানিয়ে রাখে, ভেতরে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদের বিভিন্ন দল ও শ্রেণিতে ভাগ করে রেখে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হতে দেয় না। কারণ, তারা সংহত হয়ে গেলে আর দুর্বল থাকবে না। ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং জালিমের তখ্ত উল্টে ফেলবে।
আবার এমনও হয়, যখন অত্যাচার ও অহংকার সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন পৃথিবীটা শক্তিশালীদের হাত থেকে ছিনিয়ে দুর্বলদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তখন যে মাটিতে দুর্বলকে বলিদান করা হতো, সেখানে সবলদের নিধনস্থান গড়ে ওঠে। সেদিন ছোটকে বড় এবং বড়কে ছোট করে দেওয়া হয়। যারা দুর্বল, অসহায়, যারা শুধু কান্না, হাহাকার, মাতম ও গড়াগড়ি খাওয়ার লোক, তারাই আল্লাহর অনুগ্রহে ধন্য হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো—হে আল্লাহ, সার্বভৌম শক্তির মালিক, আপনি যাকে চান ক্ষমতা দান করেন, আর যার থেকে চান ক্ষমতা কেড়ে নেন। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন এবং যাকে চান লাঞ্ছিত করেন। সমস্ত কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। (সুরা আল ইমরান: ২৬)
আল্লাহ তা’আলা রাজত্ব দিয়ে কাউকে সম্মানিত করেন, কাউকে করেন পরীক্ষা। যারা ন্যায় ও ইনসাফের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করে, এটি তাদের জন্য সম্মানের। আর যারা ক্ষমতাকে নিজের অর্জন মনে করে স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে, ইতিহাসে রয়েছে তাদের জন্য পরম শিক্ষা।

পৃথিবীর ইতিহাসে জালিম শাসকের সংখ্যা অগুনতি। কিন্তু একসময় ভয়ংকরভাবে তাদের পতন হয়। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্তই হলো জালিমের পতন। অত্যাচারের অবসানেই উদিত হয় ইনসাফের সোনালি প্রভাত। ফেরাউনের অত্যাচারের শাসনের অবসান হলে এক ন্যায়পরায়ণ শাসকের আবির্ভাব হয়েছিল। তাই তো ফেরাউনের ধ্বংসের খবরের সঙ্গে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সুসংবাদও এসেছে পবিত্র কোরআনে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কোরআন এক চিরন্তন বিধানের সংবাদ দেয়। ইরশাদ হয়েছে, পৃথিবীটা যেন জাঁকজমক ও শক্তি-প্রতিপত্তি দেখার কেন্দ্রস্থল এবং সে সঙ্গে দুর্বলদের নিধনের যজ্ঞশালা। শক্তিশালী জাতিগুলো দুর্বল জাতিগুলোকে দাস বানিয়ে রাখে, ভেতরে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদের বিভিন্ন দল ও শ্রেণিতে ভাগ করে রেখে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হতে দেয় না। কারণ, তারা সংহত হয়ে গেলে আর দুর্বল থাকবে না। ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং জালিমের তখ্ত উল্টে ফেলবে।
আবার এমনও হয়, যখন অত্যাচার ও অহংকার সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন পৃথিবীটা শক্তিশালীদের হাত থেকে ছিনিয়ে দুর্বলদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তখন যে মাটিতে দুর্বলকে বলিদান করা হতো, সেখানে সবলদের নিধনস্থান গড়ে ওঠে। সেদিন ছোটকে বড় এবং বড়কে ছোট করে দেওয়া হয়। যারা দুর্বল, অসহায়, যারা শুধু কান্না, হাহাকার, মাতম ও গড়াগড়ি খাওয়ার লোক, তারাই আল্লাহর অনুগ্রহে ধন্য হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো—হে আল্লাহ, সার্বভৌম শক্তির মালিক, আপনি যাকে চান ক্ষমতা দান করেন, আর যার থেকে চান ক্ষমতা কেড়ে নেন। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন এবং যাকে চান লাঞ্ছিত করেন। সমস্ত কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। (সুরা আল ইমরান: ২৬)
আল্লাহ তা’আলা রাজত্ব দিয়ে কাউকে সম্মানিত করেন, কাউকে করেন পরীক্ষা। যারা ন্যায় ও ইনসাফের সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করে, এটি তাদের জন্য সম্মানের। আর যারা ক্ষমতাকে নিজের অর্জন মনে করে স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে, ইতিহাসে রয়েছে তাদের জন্য পরম শিক্ষা।

মোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদারত্ব। যেকোনো বস্তুর মালিকানায় অংশীদারত্ব যে কারও কাছে অপছন্দনীয়। বিশেষ করে বস্তুটা যদি একান্তই কারও একচ্ছত্র কর্তৃত্বাধীন হয়, তাহলে তো তাতে কাউকে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগই দেয় না।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। পাপ করে ফেললে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তওবা করে ফিরে আসা...
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। পাপ করে ফেললে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তওবা করে ফিরে আসা প্রকৃত মুমিনের কর্তব্য। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ২২২)।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ—যাঁর হাতে আমার প্রাণ, যদি তোমরা পাপকাজে লিপ্ত না হতে, তা হলে আল্লাহ পৃথিবী থেকে তোমাদের বিলুপ্ত করে পরিবর্তে এমন নতুন এক জাতি নিয়ে আসতেন, যারা গুনাহ করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে আর আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন, গুনাহ মাফ করবেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৭৪৯)
পাপ থেকে ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হলো সালাতুত তওবা বা তওবার নামাজ। গুনাহ করার সঙ্গে সঙ্গে এ নামাজ আদায় করা উচিত। বিগত জীবনের গুনাহ থেকে তওবার নিয়তেও তা পড়া যায়। এই নামাজের জন্য গোসল করা মোস্তাহাব। নামাজের আগে মনে মনে নিয়ত করবে, হে আল্লাহ, দুই রাকাত তওবার নামাজ আদায় করছি, আপনি কবুল করুন। তওবার নামাজ আদায়ের নিয়ম অন্যান্য নফল নামাজের মতোই। নিয়ত করে তাকবির বেঁধে নামাজ শুরু করবে। দুই রাকাতেই ফাতেহার পর অন্য সুরা মেলাবে। বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরিফ ও দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে।
নবীজি (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দা পাপ করে ফেললে এরপর ভালোভাবে অজু করে যদি দুই রাকাত নামাজ আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২১)
তাই প্রতিদিনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তওবার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট ফিরে যাওয়াই প্রকৃত মুক্তির পথ।

তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। পাপ করে ফেললে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তওবা করে ফিরে আসা প্রকৃত মুমিনের কর্তব্য। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ২২২)।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ—যাঁর হাতে আমার প্রাণ, যদি তোমরা পাপকাজে লিপ্ত না হতে, তা হলে আল্লাহ পৃথিবী থেকে তোমাদের বিলুপ্ত করে পরিবর্তে এমন নতুন এক জাতি নিয়ে আসতেন, যারা গুনাহ করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে আর আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন, গুনাহ মাফ করবেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৭৪৯)
পাপ থেকে ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হলো সালাতুত তওবা বা তওবার নামাজ। গুনাহ করার সঙ্গে সঙ্গে এ নামাজ আদায় করা উচিত। বিগত জীবনের গুনাহ থেকে তওবার নিয়তেও তা পড়া যায়। এই নামাজের জন্য গোসল করা মোস্তাহাব। নামাজের আগে মনে মনে নিয়ত করবে, হে আল্লাহ, দুই রাকাত তওবার নামাজ আদায় করছি, আপনি কবুল করুন। তওবার নামাজ আদায়ের নিয়ম অন্যান্য নফল নামাজের মতোই। নিয়ত করে তাকবির বেঁধে নামাজ শুরু করবে। দুই রাকাতেই ফাতেহার পর অন্য সুরা মেলাবে। বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরিফ ও দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে।
নবীজি (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দা পাপ করে ফেললে এরপর ভালোভাবে অজু করে যদি দুই রাকাত নামাজ আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২১)
তাই প্রতিদিনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তওবার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট ফিরে যাওয়াই প্রকৃত মুক্তির পথ।

মোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদারত্ব। যেকোনো বস্তুর মালিকানায় অংশীদারত্ব যে কারও কাছে অপছন্দনীয়। বিশেষ করে বস্তুটা যদি একান্তই কারও একচ্ছত্র কর্তৃত্বাধীন হয়, তাহলে তো তাতে কাউকে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগই দেয় না।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর ইতিহাসে জালিম শাসকের সংখ্যা অগুনতি। কিন্তু একসময় ভয়ংকরভাবে তাদের পতন হয়। ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্তই হলো জালিমের পতন। অত্যাচারের অবসানেই উদিত হয় ইনসাফের সোনালি প্রভাত। ফেরাউনের অত্যাচারের শাসনের অবসান হলে এক ন্যায়পরায়ণ শাসকের আবির্ভাব হয়েছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে