Ajker Patrika

ইসলামে মাতৃত্বের অনন্য মর্যাদা

মুহাম্মদ মিশকাত
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ২১
ইসলামে মাতৃত্বের অনন্য মর্যাদা

মাতৃত্ব নারীর অহংকার। সন্তান গর্ভে ধারণ করা এবং জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা আল্লাহ তাআলা একমাত্র নারীকেই দিয়েছেন। পৃথিবীতে মানুষের জন্মপরম্পরা ধরে রাখতে এটিই আল্লাহর অমোঘ বিধান। একজন নারী গর্ভধারণ ও প্রসবের সময় জীবনের সবচেয়ে কঠিন দিনগুলো পার করেন; নিদারুণ কষ্ট সহ্য করেন। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা মাতৃত্বের কষ্টের বিনিময়ে তাঁর জন্য বিশাল পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। কোরআন-হাদিসে মাতৃত্বের অনন্য মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে।

গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব নিশ্চিতভাবেই একটি কঠিন কাজ। তবে একজন নারী যখন শিশুর জন্ম দেন, তখন একবার সন্তানের ফুটফুটে নিষ্পাপ চেহারার দিকে তাকালেই অতীতের সব কষ্ট-বেদনা মুহূর্তেই ভুলে যান। তাই এই মধুর যন্ত্রণা থেকে পৃথিবীর অধিকাংশ নারীই বঞ্চিত হতে চান না। কারণ, মাতৃত্বের মাধ্যমেই একজন নারীর সহজাত বৈশিষ্ট্য পূর্ণতা লাভ করে। এটি নারীর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ আশীর্বাদ। এর মাধ্যমে আল্লাহ নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। মায়ের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে রাসুল (স.) বলেছেন, ‘মায়েদের পদতলেই সন্তানদের জান্নাত।’ (নাসায়ি, হাদিস: ৩১০৪) 

সন্তান গর্ভে ধারণ করা এবং প্রসবের কঠিন যন্ত্রণা সহ্য করা সন্তানের প্রতি মায়ের বিরাট অনুগ্রহ। এই অনুগ্রহের কথা ভুলে যাওয়া সন্তান কখনোই সুসন্তান হতে পারে না। মা-বাবার আনুগত্যের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ যে আয়াতগুলো নাজিল করেছেন, তাতে বিশেষভাবে মায়ের এই অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমরা মানুষকে তার মা-বাবার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে গর্ভে ধারণ করেন, আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার প্রতি ও তোমার মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। আমারই কাছেই তো ফিরতে হবে।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৪) আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার পাশাপাশি মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশেরও নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন—গর্ভধারণ, জন্মদান, দুধপান ও বাচ্চা লাললপালন করতে গিয়ে একজন মা অসামান্য শারীরিক পরিশ্রম, কষ্ট ও মানসিক যন্ত্রণা বরদাশত করেন। 

একইভাবে অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার মা-বাবার প্রতি সদয় আচরণের। তার মা নিদারুণ কষ্টে তাকে গর্ভে ধারণ করেন এবং নিদারুণ কষ্ট সহ্য করে তাকে প্রসব করেন। তাকে গর্ভে ধারণ করতে এবং দুধপান ছাড়াতে সময় লাগে ত্রিশ মাস। অবশেষে সে যখন পূর্ণ শক্তি লাভ করে এবং চল্লিশ বছরে পৌঁছে যায়, তখন সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আপনি আমাকে আর আমার মা-বাবাকে যে নেয়ামত দিয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার শক্তি আমাকে দান করুন...।’ (সুরা আহকাফ, আয়াত: ১৫) 

একজন গর্ভবতী নারী শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন, নানা রকম সমস্যার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস সময় পার করেন—এসব কষ্টের বিনিময় আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাঁকে দান করবেন। কোনো মুসলিমের গায়ে একটি ছোট কাঁটা বিঁধে ব্যথা পেলেও আল্লাহ তার বিনিময়ে গুনাহ মাফ করে দেন। সেই তুলনায় সন্তান গর্ভধারণ ও প্রসবযন্ত্রণা অনেক বেশি কষ্টের কাজ; নিশ্চয়ই তার বিনিময়ও হবে বহু গুণ বেশি। এমনকি এক হাদিসে এসেছে, ‘যে নারী গর্ভাবস্থায় মারা যান, তিনি শহীদ।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৩১১১) 

এ কারণেই বিভিন্ন হাদিসের ভাষ্যে বাবার চেয়ে মাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে; সেবা করার ব্যাপারে তাঁকে বাবার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এক ব্যক্তি রাসুল (স.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কে আমার উত্তম আচরণ পাওয়ার বেশি হকদার?’ তিনি বললেন ‘তোমার মা।’ সে বলল, ‘তার পর কে?’ তিনি বললেন, ‘তোমার মা।’ সে আবারও বলল, ‘তার পর কে?’ তিনি বলেন, ‘তোমার মা।’ সে পুনরায় বলল, ‘এর পর কে?’ তিনি বলেন, ‘তোমার বাবা।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৯৭১) 

মাতৃত্বের মর্যাদা এতই বেশি যে মহান আল্লাহ তাঁর নবীদেরও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইসা (আ.)-এর বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমি যেন আমার মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহার করি। আমাকে করা হয়নি উদ্ধত-অবাধ্য ও দুর্ভাগা-হতভাগ্য।’ (সুরা মারইয়াম, আয়াত: ৩০-৩২) 

এ ছাড়া মাতৃত্বকালকে নারীর জন্য সহজ করার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। নিরাপদ মাতৃত্ব ও সন্তান লালনপালনের বন্দোবস্ত নিশ্চিত করতে জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইসলামি আইনবিদদের মতে, সাধ্যের চেয়ে বেশি কাজ গর্ভবতী নারীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া বৈধ নয়। বাচ্চা জন্মদানের পর তার লালনপালনের দায়-দায়িত্ব মা-বাবা দুজনের ওপরই বর্তায়; তবে সন্তানের জন্য যাবতীয় বিষয়ের বন্দোবস্ত করা বাবার দায়িত্ব। 

মোটকথা ইসলাম কখনোই কারও প্রতি জুলুম করা অনুমোদন করে না। তাই মাতৃত্ব মোটেও নারীর জন্য অভিশাপ হতে পারে না। বরং তা তাদের জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমত। এটি নারীত্বের পূর্ণতার নিদর্শন এবং দুনিয়া-আখেরাতে বিপুল কল্যাণ লাভের মাধ্যম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের সতর্কবার্তা

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।

পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।

পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০১ মিনিট০৩: ৪৪ মিনিট
আসর০৩: ৪৫ মিনিট০৫: ২০ মিনিট
মাগরিব০৫: ২২ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় ৫০০ কোরআনের হাফেজকে রাজকীয় সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্‌যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।

আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।

তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।

রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।

সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাবলিগ জামাতের খুরুজের জোড় শুরু ২ জানুয়ারি

ইসলাম ডেস্ক 
তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের জোড় ইজতেমা। ছবি: সংগৃহীত
তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের জোড় ইজতেমা। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।

একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।

এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত