Ajker Patrika

পরামর্শভিত্তিক সমাজব্যবস্থার গুরুত্ব

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
পরামর্শভিত্তিক সমাজব্যবস্থার গুরুত্ব

আরবি শুরা শব্দের অর্থ পরামর্শ। ইসলামে পরামর্শ বলতে মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানাশোনা ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রচেষ্টাকে বোঝায়। ইসলামে পরামর্শের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে পরামর্শের মাধ্যমে সমাজের সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ আঞ্জাম দেওয়ার প্রতি অধিক জোর দেওয়া হয়েছে। 

পবিত্র কোরআনে পরামর্শের কথা
শুরা বা পরামর্শের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করানোর জন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে একটি সুরার নামকরণ করেন ‘সুরা শুরা’। এ ছাড়া আরও একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। যেমন—রাসুল (সা.)–কে পরামর্শ করার নির্দেশ দিয়ে ইরশাদ করেন, ‘আর তুমি কাজের বিষয়ে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো। এরপর যখন (কোনো মতের ভিত্তিতে) তোমার স্থির সংকল্প হবে, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করো।’ (সুরা আল ইমরান: ১৫৯)

ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘নবী (সা.)–কেই যেখানে পরামর্শ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে অন্যদের জন্য পরামর্শের আবশ্যকতা সহজেই অনুমেয়।’ (আস সিয়াসাতুস শরয়িয়াহ)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা পরামর্শ করাকে ইমানদারদের বৈশিষ্ট্য বলেছেন। ইরশাদ করেন, ‘(মুমিন তারা,) যারা তাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দেয়, নামাজ কায়েম করে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে কাজ করে এবং আল্লাহর দেওয়া রিজিক থেকে ব্যয় করে।’ (সুরা শুরা: ৩৮)

বিয়ে, বৈবাহিক জীবন, তালাক ইত্যাদি ব্যাপারে পরামর্শ সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ এসেছে অনেক আয়াতে। যেমন—আয়াতে বলেন, ‘আর যদি কোথাও তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, তাহলে স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে একজন সালিস এবং স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে একজন সালিস নির্ধারণ করো। তারা দুজন (পরামর্শ সাপেক্ষে) সংশোধন করে নিতে চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসা ও মিলমিশের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেবেন।’ (সুরা নিসা: ৩৫) 

হাদিসে পরামর্শের গুরুত্ব 
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর চেয়ে অধিক পরামর্শ করতে আর কাউকে দেখিনি।’ (বায়হাকি) একই কথা হজরত আয়েশা (রা.) থেকেও বর্ণিত আছে। (আখলাকুন নবী)

আরেক হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন তোমাদের নেতারা হবেন ভালো মানুষ, ধনীরা হবেন দানশীল এবং তোমাদের কার্যক্রম চলবে পরামর্শের ভিত্তিতে, তখন মাটির ওপরের অংশ নিচের অংশ থেকে উত্তম হবে।’ (তিরমিজি)

যাদের থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়, তাদের উদ্দেশে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যার কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়, সে ওই ব্যক্তির মতো, যার কাছে কোনো আমানত রাখা হয়।’ (আবু দাউদ) অর্থাৎ, আমানতের খিয়ানত করা যেমন কবিরা গুনাহ, তেমনি নিজ স্বার্থের জন্য জেনেশুনে ভুল পরামর্শ দেওয়াও মারাত্মক কবিরা গুনাহ।

মহানবী (সা.)-এর জীবনে পরামর্শ
রাসুল (সা.) ছোট-বড় সব বিষয়ে সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। যেমন হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) নামাজের জন্য ডাকতে কী পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে, তা নিয়ে সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। কেউ শিঙা বাজানোর এবং কেউ ঘণ্টা বাজানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু এগুলো বিধর্মীদের পন্থা হওয়ায় রাসুল (সা.) তা গ্রহণ করেননি। সেই রাতে আবদুল্লাহ বিন জায়েদ নামে এক আনসারি সাহাবি ও ওমর (রা.)–কে স্বপ্নে আজান দেখানো হয়। আনসারি সাহাবি তাৎক্ষণিক রাসুল (সা.)–কে তা জানালে তিনি বেলাল (রা.)–কে স্বপ্নে দেখা পদ্ধতিতে (অর্থাৎ আজান দিয়ে) নামাজে ডাকার নির্দেশ দেন। (ইবনে মাজাহ)

অন্য এক বর্ণনায় দেখা যায়, বদরে গিয়ে নিজেদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী শত্রু দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে কি না—এ নিয়ে রাসুল (সা.) সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। আবু বকর ও ওমর (রা.) যুদ্ধ করার পরামর্শ দেন। রাসুল (সা.) আনসারি সাহাবিদের থেকেও পরামর্শ তলব করেন। তাঁরা যুদ্ধে যাওয়ার পরামর্শ দেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেন। এরপর সাহাবিদের পরামর্শ অনুসারে রাসুল (সা.) বদর প্রান্তরের উদ্দেশে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া) এ ধরনের আরও অসংখ্য ঘটনা হাদিস ও ইতিহাসের কিতাবসমূহে বর্ণিত আছে। 

ইসলামের সোনালি যুগে পরামর্শ
রাসুল (সা.)-এর পরে সাহাবিগণও পরামর্শের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহের সিদ্ধান্ত নিতেন। যেমন—নবীজির ইন্তেকালের পর বনু সায়িদা গোত্রের মিলনায়তনে পরামর্শ সভায় বসে সাহাবিগণ আবু বকর (রা)–কে খলিফা নির্বাচিত করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া) 
তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা.) অভিজ্ঞ সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে কোরআনকে কেবল কুরাইশি লিপিতে লিপিবদ্ধ করে বাকি লিপিগুলো নিশ্চিহ্ন করে দেন। পরবর্তী সময়ে কিছু লোক উসমান (রা.)-এর পদক্ষেপের সমালোচনা করলে আলি (রা.) তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘উসমান (রা.)-এর ব্যাপারে কেউ খারাপ মন্তব্য করবে না। আল্লাহর কসম, তিনি কোরআনের ব্যাপারে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তা মুহাম্মদ (সা.)-এর একদল অভিজ্ঞ সাহাবির সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়েছেন। তাঁর জায়গায় আমি থাকলে আমিও এমনটাই করতাম।’ (আহকামুল কোরআন)

তাবেয়িগণও যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ  ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। বিশিষ্ট তাবিয়ি ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) যখন মদিনার প্রশাসক নিযুক্ত হন, তখন মদিনার সর্বশ্রেষ্ঠ ১০ জন আলিমকে তাঁর অফিসে ডেকে আনেন এবং বলেন, ‘আমি আপনাদের খুবই জরুরি কাজে ডেকেছি। তা হচ্ছে, শহরের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাকে যথোপযুক্ত পরামর্শ দেওয়া। কারণ আমি আপনাদের পরামর্শ ছাড়া কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চাই না। (সিয়ারু আলামিন নুবালা) 

ফকিহদের দৃষ্টিতে পরামর্শ
কোরআন-হাদিস ও সাহাবি-তাবিয়িদের এসব কথা ও ঘটনার আলোকে অধিকাংশ ফকিহ বলেন, কোনো বিষয়ে কোরআন বা হাদিসের স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানাশোনা ও অভিজ্ঞ লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করা ওয়াজিব। কেউ কেউ পরামর্শ করাকে মুস্তাহাবও বলেছেন।

ইমাম কুরতুবি (রহ.) ইবনে আতিয়া (রহ.)-এর বরাত দিয়ে বলেন, ‘পরামর্শ ইসলামের অবশ্যপালনীয় একটি বিধান।’ (তাফসিরে কুরতুবি)

লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মক্কা-মদিনায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি মুসল্লির সমাগম

ইসলাম ডেস্ক 
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।

কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের সতর্কবার্তা

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।

পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।

পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০১ মিনিট০৩: ৪৪ মিনিট
আসর০৩: ৪৫ মিনিট০৫: ২০ মিনিট
মাগরিব০৫: ২২ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় ৫০০ কোরআনের হাফেজকে রাজকীয় সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্‌যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।

আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।

তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।

রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।

সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত