ইজাজুল হক, ঢাকা

পবিত্র কোরআনের ৮৫ তম সুরা—সুরা বুরুজের প্রথম ১০ আয়াতে আসহাবুল উখদুদের ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এসেছে। প্রথম ৩ আয়াতে আল্লাহ চারটি বস্তুর নামে শপথ করে চতুর্থ আয়াত থেকে মূল কাহিনিতে প্রবেশ করেছেন। সেই চার বস্তু হলো—কক্ষপথ বিশিষ্ট আকাশ, কেয়ামতের দিন, আরাফাতের দিন এবং শুক্রবার। মুফাসসিরগণ বলেছেন, ঘটনার গুরুত্ব বোঝাতেই এখানে আল্লাহ তাআলা এসব বস্তুর শপথ করেছেন।
প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে, বর্তমান সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ইয়েমেন সীমান্তবর্তী শহর নাজরানেই এই ঘটনা ঘটেছিল। ইসলামের আগমনের আগে অঞ্চলটি ইয়েমেনের হিমিয়ার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আরব রূপকথার অনুযায়ী, যু-নওয়াস ওরফে ইউসুফ ইবনে শারাহবিল নামের এক ইহুদি শাসকই আলোচ্য ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন। হাদিসে এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ থাকলেও শাসক ও স্থান চিহ্নিত করা হয়নি।
সাহাবি সুহাইব রুমি (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, আগের কোনো এক সময়ের কথা। এক বাদশাহর একজন জাদুকর ও গণক ছিলেন। এক সময় তিনি বুড়ো হয়ে গেলেন এবং বাদশাহকে বললেন, ‘আমাকে একজন বুদ্ধিমান বালক এনে দেন, আমি তাকে এই বিদ্যা শেখাব।’
বাদশাহ এক বুদ্ধিমান বালককে গণকের হাতে সোপর্দ করলেন। ওই বালক যে পথে গণকের কাছে যেত, সে পথে এক পাদরির (খ্রিষ্টধর্মের পণ্ডিত) বাড়িও ছিল। বালক আসা-যাওয়ার পথে পাদরির দরবারে বসত এবং তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনত। পাদরির প্রতি বালকের মুগ্ধতা তৈরি হয়।
একদিন বালকের পথে এক বড় জন্তু (বাঘ বা সাপ) বসে ছিল। ফলে মানুষের চলার পথ বন্ধ হয়ে যায়। বালক ভাবল, জাদুকর সত্য, না পাদরি—তা পরীক্ষা করে দেখার এটিই মোক্ষম সময়। সে একটি পাথরের টুকরা কুড়িয়ে নিল এবং বলল, ‘হে আল্লাহ, যদি পাদরির আমল তোমার কাছে জাদুকরের আমল থেকে উত্তম এবং পছন্দনীয় হয়, তাহলে এই জন্তু মেরে ফেল; যাতে মানুষের চলার পথ চালু হয়ে যায়।’ এই বলে বালকটি পাথর ছুড়লে জন্তুটি মারা গেল।
বালক পাদরির কাছে সব কথা খুলে বলল। পাদরি বললেন, ‘বাবা, এবার তুমি জ্ঞানের পূর্ণতায় পৌঁছে গেছ। তোমার পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। এই পরীক্ষায় কোনোভাবেই আমার নাম প্রকাশ করবে না।’
সেই বালককে আল্লাহ অলৌকিক ক্ষমতা দিলেন। সে অন্ধ, ধবল রোগীসহ অনেক রোগীদের জন্য দোয়া করতে লাগল এবং তারা সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল। তবে কেবল তারাই এই দোয়া পেত, যারা খ্রিষ্টধর্মের (সেকালের সত্যধর্ম) প্রতি ইমান আনার ঘোষণা দিত। একদিন বাদশাহর এক অন্ধ ঘনিষ্ঠজনের চোখও তার দোয়ায় ভালো হয়ে যায়।
এই অলৌকিক ক্ষমতার খবর ইহুদি বাদশাহর কানে গেলে বাদশাহ বিচলিত হয়ে পড়েন। বালকের ধর্মে ইমান আনা কিছু লোককে বাদশাহর আদেশে হত্যা করা হলো। বালককেও হত্যা করার জন্য কয়েকজন লোককে ডেকে বললেন, ‘এই বালককে উঁচু পাহাড়ের ওপর নিয়ে গিয়ে নিচে ফেলে দাও।’ বালক আল্লাহর কাছে দোয়া করলে পাহাড় কাঁপতে লাগল; ফলে সে ছাড়া সবাই পাহাড় থেকে পড়ে মারা গেল।
এবার বাদশাহ তাকে অন্য একদল লোকের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, ‘একে একটি নৌকায় চড়িয়ে সমুদ্রের মাঝে নিয়ে ফেলে দাও।’ সেখানেও বালকের দোয়ায় নৌকা উল্টে গেল। ফলে সকলে পানিতে ডুবে মারা গেল। তবে বালকটি বেঁচে গেল।
এবার বালক বাদশাহকে বলল, ‘আপনি যদি আমাকে হত্যা করতেই চান, তাহলে এর সঠিক পদ্ধতি হলো—একটি খোলা ময়দানে জনগণকে জমায়েত করুন, এরপর “বিসমিল্লাহি রাব্বিল গোলাম” তথা বালকের প্রভুর নামে শুরু করছি বলে আমার দেহে তির মারুন। দেখবেন আমি মারা যাব।’
বাদশাহ তা-ই করলেন। বালকও মারা গেল। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন সমবেত কণ্ঠে বলে উঠল, ‘আমরা এই বালকের রবের প্রতি ইমান আনলাম।’
বাদশাহ আরও বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তিনি তাদের জন্য গর্ত খোঁড়ার এবং সেই গর্তে আগুন জ্বালানোর আদেশ দিলেন। এরপর বললেন, ‘যে ব্যক্তি বালকের ধর্ম থেকে ফিরে আসবে না, তাকে এই আগুনের গর্তে ফেলে দাও।’
একে একে সব ইমানদারই এগিয়ে এল এবং আগুনের শাস্তি বরণ করে নিল। শেষে একটি নারীর পালা এল, তাঁর সঙ্গে শিশুও ছিল। তিনি একটু পশ্চাৎপদ হলে শিশুটি বলে উঠল, ‘মা, ধৈর্য ধরুন। আপনি সত্যের ওপরে আছেন।’ (সহিহ মুসলিম, দুনিয়া বিমুখতা অধ্যায়, আসহাবে উখদুদ পরিচ্ছেদ, হাদিস: ৩০০৫)
তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এরপর সেই প্রলয়ংকরী আগুন বাদশাহ ও তাঁর দলবলকেও গ্রাস করে নেয় এবং পুরো শহর পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এভাবেই আল্লাহর আজাব সেই অবাধ্য শাসক ও তাঁর সহযোগীদের ধ্বংস করেছিল। তবে আগুনে মুমিনদের কোনো কষ্ট হয়নি। কারণ হিসেবে রবি ইবনে আনাস (রহ.) বলেন, ‘মুমিনদের আগুনে ফেলে দেওয়ার পর আগুন তাঁদের গায়ে লাগার আগেই আল্লাহ তাআলা তাদের জান কবজ করে নিয়েছিলেন। এভাবেই তিনি মুমিনদের দহন-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করেন। ফলে তাদের মৃতদেহই কেবল আগুনে পুড়েছিল। এরপর আগুন আরও বেশি জ্বলে ওঠে এবং তার লেলিহান শিখা পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে যারা ইমানদারদের আগুনে দগ্ধ হওয়ার তামাশা দেখছিল, তারাও সেই আগুনে পুড়ে ভস্ম হয়ে যায়।’ (ফাতহুল কাদির)
এই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করেই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ধ্বংস হয়েছে আসহাবুল উখদুদ তথা গর্তওয়ালারা (বাদশাহ ও সাঙ্গপাঙ্গরা), (যে গর্তে) দাউ দাউ করে জ্বলা আগুন ছিল। যখন তারা গর্তের পাশে বসেছিল এবং মুমিনদের সঙ্গে যা ঘটছিল—তা দেখছিল। তারা তাদের (মুমিনদের) শাস্তি দিয়েছিল শুধু এই কারণে যে, তারা প্রশংসিত পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। আসমান-জমিনের রাজত্ব যাঁর, সেই আল্লাহ সবকিছুর সাক্ষী। যারা মুমিন পুরুষ ও নারীকে পুড়িয়ে মেরেছে (বা জুলুম করেছে), এরপর তওবা করেনি, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন-যন্ত্রণা।’ (সুরা বুরুজ: ৪-১০)

পবিত্র কোরআনের ৮৫ তম সুরা—সুরা বুরুজের প্রথম ১০ আয়াতে আসহাবুল উখদুদের ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এসেছে। প্রথম ৩ আয়াতে আল্লাহ চারটি বস্তুর নামে শপথ করে চতুর্থ আয়াত থেকে মূল কাহিনিতে প্রবেশ করেছেন। সেই চার বস্তু হলো—কক্ষপথ বিশিষ্ট আকাশ, কেয়ামতের দিন, আরাফাতের দিন এবং শুক্রবার। মুফাসসিরগণ বলেছেন, ঘটনার গুরুত্ব বোঝাতেই এখানে আল্লাহ তাআলা এসব বস্তুর শপথ করেছেন।
প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে, বর্তমান সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ইয়েমেন সীমান্তবর্তী শহর নাজরানেই এই ঘটনা ঘটেছিল। ইসলামের আগমনের আগে অঞ্চলটি ইয়েমেনের হিমিয়ার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আরব রূপকথার অনুযায়ী, যু-নওয়াস ওরফে ইউসুফ ইবনে শারাহবিল নামের এক ইহুদি শাসকই আলোচ্য ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন। হাদিসে এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ থাকলেও শাসক ও স্থান চিহ্নিত করা হয়নি।
সাহাবি সুহাইব রুমি (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, আগের কোনো এক সময়ের কথা। এক বাদশাহর একজন জাদুকর ও গণক ছিলেন। এক সময় তিনি বুড়ো হয়ে গেলেন এবং বাদশাহকে বললেন, ‘আমাকে একজন বুদ্ধিমান বালক এনে দেন, আমি তাকে এই বিদ্যা শেখাব।’
বাদশাহ এক বুদ্ধিমান বালককে গণকের হাতে সোপর্দ করলেন। ওই বালক যে পথে গণকের কাছে যেত, সে পথে এক পাদরির (খ্রিষ্টধর্মের পণ্ডিত) বাড়িও ছিল। বালক আসা-যাওয়ার পথে পাদরির দরবারে বসত এবং তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনত। পাদরির প্রতি বালকের মুগ্ধতা তৈরি হয়।
একদিন বালকের পথে এক বড় জন্তু (বাঘ বা সাপ) বসে ছিল। ফলে মানুষের চলার পথ বন্ধ হয়ে যায়। বালক ভাবল, জাদুকর সত্য, না পাদরি—তা পরীক্ষা করে দেখার এটিই মোক্ষম সময়। সে একটি পাথরের টুকরা কুড়িয়ে নিল এবং বলল, ‘হে আল্লাহ, যদি পাদরির আমল তোমার কাছে জাদুকরের আমল থেকে উত্তম এবং পছন্দনীয় হয়, তাহলে এই জন্তু মেরে ফেল; যাতে মানুষের চলার পথ চালু হয়ে যায়।’ এই বলে বালকটি পাথর ছুড়লে জন্তুটি মারা গেল।
বালক পাদরির কাছে সব কথা খুলে বলল। পাদরি বললেন, ‘বাবা, এবার তুমি জ্ঞানের পূর্ণতায় পৌঁছে গেছ। তোমার পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। এই পরীক্ষায় কোনোভাবেই আমার নাম প্রকাশ করবে না।’
সেই বালককে আল্লাহ অলৌকিক ক্ষমতা দিলেন। সে অন্ধ, ধবল রোগীসহ অনেক রোগীদের জন্য দোয়া করতে লাগল এবং তারা সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল। তবে কেবল তারাই এই দোয়া পেত, যারা খ্রিষ্টধর্মের (সেকালের সত্যধর্ম) প্রতি ইমান আনার ঘোষণা দিত। একদিন বাদশাহর এক অন্ধ ঘনিষ্ঠজনের চোখও তার দোয়ায় ভালো হয়ে যায়।
এই অলৌকিক ক্ষমতার খবর ইহুদি বাদশাহর কানে গেলে বাদশাহ বিচলিত হয়ে পড়েন। বালকের ধর্মে ইমান আনা কিছু লোককে বাদশাহর আদেশে হত্যা করা হলো। বালককেও হত্যা করার জন্য কয়েকজন লোককে ডেকে বললেন, ‘এই বালককে উঁচু পাহাড়ের ওপর নিয়ে গিয়ে নিচে ফেলে দাও।’ বালক আল্লাহর কাছে দোয়া করলে পাহাড় কাঁপতে লাগল; ফলে সে ছাড়া সবাই পাহাড় থেকে পড়ে মারা গেল।
এবার বাদশাহ তাকে অন্য একদল লোকের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, ‘একে একটি নৌকায় চড়িয়ে সমুদ্রের মাঝে নিয়ে ফেলে দাও।’ সেখানেও বালকের দোয়ায় নৌকা উল্টে গেল। ফলে সকলে পানিতে ডুবে মারা গেল। তবে বালকটি বেঁচে গেল।
এবার বালক বাদশাহকে বলল, ‘আপনি যদি আমাকে হত্যা করতেই চান, তাহলে এর সঠিক পদ্ধতি হলো—একটি খোলা ময়দানে জনগণকে জমায়েত করুন, এরপর “বিসমিল্লাহি রাব্বিল গোলাম” তথা বালকের প্রভুর নামে শুরু করছি বলে আমার দেহে তির মারুন। দেখবেন আমি মারা যাব।’
বাদশাহ তা-ই করলেন। বালকও মারা গেল। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন সমবেত কণ্ঠে বলে উঠল, ‘আমরা এই বালকের রবের প্রতি ইমান আনলাম।’
বাদশাহ আরও বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তিনি তাদের জন্য গর্ত খোঁড়ার এবং সেই গর্তে আগুন জ্বালানোর আদেশ দিলেন। এরপর বললেন, ‘যে ব্যক্তি বালকের ধর্ম থেকে ফিরে আসবে না, তাকে এই আগুনের গর্তে ফেলে দাও।’
একে একে সব ইমানদারই এগিয়ে এল এবং আগুনের শাস্তি বরণ করে নিল। শেষে একটি নারীর পালা এল, তাঁর সঙ্গে শিশুও ছিল। তিনি একটু পশ্চাৎপদ হলে শিশুটি বলে উঠল, ‘মা, ধৈর্য ধরুন। আপনি সত্যের ওপরে আছেন।’ (সহিহ মুসলিম, দুনিয়া বিমুখতা অধ্যায়, আসহাবে উখদুদ পরিচ্ছেদ, হাদিস: ৩০০৫)
তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এরপর সেই প্রলয়ংকরী আগুন বাদশাহ ও তাঁর দলবলকেও গ্রাস করে নেয় এবং পুরো শহর পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এভাবেই আল্লাহর আজাব সেই অবাধ্য শাসক ও তাঁর সহযোগীদের ধ্বংস করেছিল। তবে আগুনে মুমিনদের কোনো কষ্ট হয়নি। কারণ হিসেবে রবি ইবনে আনাস (রহ.) বলেন, ‘মুমিনদের আগুনে ফেলে দেওয়ার পর আগুন তাঁদের গায়ে লাগার আগেই আল্লাহ তাআলা তাদের জান কবজ করে নিয়েছিলেন। এভাবেই তিনি মুমিনদের দহন-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করেন। ফলে তাদের মৃতদেহই কেবল আগুনে পুড়েছিল। এরপর আগুন আরও বেশি জ্বলে ওঠে এবং তার লেলিহান শিখা পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে যারা ইমানদারদের আগুনে দগ্ধ হওয়ার তামাশা দেখছিল, তারাও সেই আগুনে পুড়ে ভস্ম হয়ে যায়।’ (ফাতহুল কাদির)
এই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করেই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ধ্বংস হয়েছে আসহাবুল উখদুদ তথা গর্তওয়ালারা (বাদশাহ ও সাঙ্গপাঙ্গরা), (যে গর্তে) দাউ দাউ করে জ্বলা আগুন ছিল। যখন তারা গর্তের পাশে বসেছিল এবং মুমিনদের সঙ্গে যা ঘটছিল—তা দেখছিল। তারা তাদের (মুমিনদের) শাস্তি দিয়েছিল শুধু এই কারণে যে, তারা প্রশংসিত পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। আসমান-জমিনের রাজত্ব যাঁর, সেই আল্লাহ সবকিছুর সাক্ষী। যারা মুমিন পুরুষ ও নারীকে পুড়িয়ে মেরেছে (বা জুলুম করেছে), এরপর তওবা করেনি, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন-যন্ত্রণা।’ (সুরা বুরুজ: ৪-১০)

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র কোরআনের ৮৫ তম সুরা—সুরা বুরুজের প্রথম ১০ আয়াতে আসহাবুল উখদুদের ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এসেছে। প্রথম ৩ আয়াতে আল্লাহ চারটি বস্তুর নামে শপথ করে চতুর্থ আয়াত থেকে মূল কাহিনিতে প্রবেশ করেছেন। সেই চার বস্তু হলো—কক্ষপথ বিশিষ্ট আকাশ, কেয়ামতের দিন, আরাফাতের দিন এবং শুক্রবার। মুফাসসিরগণ বলেছেন, ঘটনার গুর
০৬ মে ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

পবিত্র কোরআনের ৮৫ তম সুরা—সুরা বুরুজের প্রথম ১০ আয়াতে আসহাবুল উখদুদের ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এসেছে। প্রথম ৩ আয়াতে আল্লাহ চারটি বস্তুর নামে শপথ করে চতুর্থ আয়াত থেকে মূল কাহিনিতে প্রবেশ করেছেন। সেই চার বস্তু হলো—কক্ষপথ বিশিষ্ট আকাশ, কেয়ামতের দিন, আরাফাতের দিন এবং শুক্রবার। মুফাসসিরগণ বলেছেন, ঘটনার গুর
০৬ মে ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পবিত্র কোরআনের ৮৫ তম সুরা—সুরা বুরুজের প্রথম ১০ আয়াতে আসহাবুল উখদুদের ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এসেছে। প্রথম ৩ আয়াতে আল্লাহ চারটি বস্তুর নামে শপথ করে চতুর্থ আয়াত থেকে মূল কাহিনিতে প্রবেশ করেছেন। সেই চার বস্তু হলো—কক্ষপথ বিশিষ্ট আকাশ, কেয়ামতের দিন, আরাফাতের দিন এবং শুক্রবার। মুফাসসিরগণ বলেছেন, ঘটনার গুর
০৬ মে ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র কোরআনের ৮৫ তম সুরা—সুরা বুরুজের প্রথম ১০ আয়াতে আসহাবুল উখদুদের ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এসেছে। প্রথম ৩ আয়াতে আল্লাহ চারটি বস্তুর নামে শপথ করে চতুর্থ আয়াত থেকে মূল কাহিনিতে প্রবেশ করেছেন। সেই চার বস্তু হলো—কক্ষপথ বিশিষ্ট আকাশ, কেয়ামতের দিন, আরাফাতের দিন এবং শুক্রবার। মুফাসসিরগণ বলেছেন, ঘটনার গুর
০৬ মে ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে