আসআদ শাহীন

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এবং শিক্ষণীয়। কেননা ক্ষমতার লোভ বা ইচ্ছে সবারই থাকে, কিন্তু ক্ষমতা পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করা কল্পনাতীত বিষয়। তেমনি এক বাদশাহর গল্প, যিনি ছিলেন এক সময়ের পরাক্রমশালী রাজা—সমৃদ্ধি, ক্ষমতা ও জৌলুসে পরিপূর্ণ যাঁর জীবন। তাঁর সামনে ছিল অসংখ্য অনুচর, ছিল রাজকীয় মহিমা ও বিলাসিতা। কিন্তু এক রাতে, যখন আকাশে চাঁদের আলো নেমে এসেছিল, তিনি চিন্তায় মগ্ন হলেন।
রাজপ্রাসাদের উঁচু মিনারে দাঁড়িয়ে তিনি গভীরভাবে ভাবতে লাগলেন—এ রাজ্য, এই ক্ষমতা, এই আভিজাত্য কি চিরস্থায়ী? তাঁর অন্তর কেঁপে উঠল। তিনি অনুভব করলেন, এ রাজসিক জীবন তাঁকে জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। তাই তিনি শাসন ও রাজত্ব ছেড়ে এমন এক জায়গায় চলে যান, যেখানে তাঁকে কেউ চেনে না। সেখানে তিনি কেবল আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকেন এবং নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিচে গল্পটি হাদিসের ভাষ্যে উপস্থাপন করা হলো—
হজরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন—বনি ইসরাইলের এক বাদশা, যিনি হজরত মুসা (আ.)–এর পর শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন, এক রাতে বায়তুল মুকাদ্দাসের ছাদে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত সেই রাতে তিনি তাঁর অতীত জীবনের বিভিন্ন ঘটনা স্মরণ করতে লাগলেন। গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হয়ে তিনি উপলব্ধি করলেন যে, তাঁর রাজত্ব, ক্ষমতা—এসব কিছুই একদিন বিলীন হয়ে যাবে। তাঁর অন্তর উদ্বেগে কেঁপে উঠল।
অবশেষে, তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন—এই জগতের জৌলুস তাঁকে আর আটকে রাখতে পারবে না। এক নির্জন রাতে, কাউকে কিছু না জানিয়ে, তিনি এক রশির সাহায্যে নিচে নেমে এলেন। পরদিন সকালে দেখা গেল, সেই রশিটি মসজিদে ঝুলে আছে, কিন্তু তিনি সেখানে নেই। তিনি চলতে চলতে সমুদ্রের তীরে এসে পৌঁছালেন। সেখানে দেখলেন, একদল শ্রমিক ইট বানানোর কাজে ব্যস্ত। তিনি তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা কীভাবে উপার্জন করেন। শ্রমিকেরা তাঁকে তাঁদের পরিশ্রমের বিনিময়ে পাওয়া মজুরির কথা জানালে, তিনি তাঁদের দলে যোগ দিলেন।
নিজের হাতে পরিশ্রম করতে লাগলেন, কষ্টার্জিত উপার্জন দিয়ে আহার করতেন এবং বাকি অংশ দান করে দিতেন। যখন নামাজের সময় হতো, তিনি ইবাদতে মগ্ন হয়ে যেতেন। একসময় শ্রমিকেরা এই ব্যতিক্রমী মানুষটির কথা তাঁদের মহাজনের কাছে জানালেন। মহাজন বিস্মিত হলেন—এই সাধারণ জীর্ণশীর্ণ শ্রমিক আসলে কে? তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন। কিন্তু তিনবার পাঠানো হলেও, তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালেন।
অবশেষে, মহাজন নিজেই তাঁকে দেখতে এলেন। বাদশাহ যখন দেখলেন যে, কেউ তাঁকে খুঁজতে এসেছে, তখন তিনি পালিয়ে গেলেন। কিন্তু মহাজন তাঁর পিছু নিলেন এবং অবশেষে তাঁকে ধরে ফেললেন। তিনি বললেন, ‘একটু দাঁড়ান, আমি শুধু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
বাদশাহ থামলেন এবং ধীরে ধীরে নিজের কাহিনি বলতে লাগলেন, ‘আমি একসময়ের বাদশা ছিলাম, কিন্তু এক রাতে আমি উপলব্ধি করলাম, এই রাজ্য, এই ক্ষমতা—এসব কিছুই ক্ষণস্থায়ী। এগুলো আমাকে আমার প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম, আমার আসল কর্তব্য হলো, আমার রবের ইবাদত করা। তাই আমি সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছি, যেন কেবল আল্লাহর জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারি।’
মহাজন বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘আপনি যদি সব ছেড়ে আল্লাহর পথে আসতে পারেন, তবে আমি কেন পারব না?’ তিনিও বাহন থেকে নেমে এলেন এবং বাদশাহকে অনুসরণ করলেন। এরপর তাঁরা দুজন একসঙ্গে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হয়ে গেলেন। তাঁরা আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করলেন, ‘হে আমাদের রব, আমাদের মৃত্যু যেন এক সঙ্গেই হয়।’
অবশেষে, তাঁদের দোয়া কবুল হলো। তাঁরা একসঙ্গে দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন এবং তাঁদের কবর মিসরের রুমাইলা নামক স্থানে পাশাপাশি রয়েছে।
হজরত আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘যদি আমি মিসরের রুমাইলায় থাকতাম, তাহলে রাসুলুল্লাহ (সা.) যে বর্ণনা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী আমি তাঁদের কবর তোমাদের দেখিয়ে দিতে পারতাম।’ (আল বাহরুজ জাখখার,৪ / ২৬৭, হাদিস: ৩৬৮৯, আল মুজামুল কাবির, ১০ / ২১৬, হাদিস: ১০৩৭০)
গল্প থেকে শিক্ষা
চিন্তা ও গভীর মননশীলতার উপকারিতা, যা মানুষকে সঠিক উপলব্ধি ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এটি সর্বোত্তম ফল ও কল্যাণকর পরিণতি এনে দেয়, যেমনটি এই দুই ব্যক্তি চিন্তা ও বিবেচনার মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন।
দুনিয়ার প্রতি নিরাসক্তি ও পরকালের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার মাহাত্ম্য। আল্লাহর কাছে যে অনন্ত পুরস্কার রয়েছে, তা কখনো ক্ষয়প্রাপ্ত হবে না, বরং স্থায়ী ও চিরকালীন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কাছে যা কিছু আছে, তা ফুরিয়ে যাবে; আর আল্লাহর কাছে যা আছে, তা চিরস্থায়ী।’ (সুরা নাহল: ৯৬)
এটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অবধারিত সত্য। কেননা কোরআন-হাদিসে বারবার দুনিয়ার মোহমুক্তির প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে এবং দুনিয়াকে তুচ্ছ মনে করার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও তাঁর কথা, আচরণ ও কর্মের মাধ্যমে মানুষকে দুনিয়াবিমুখতার শিক্ষা দিয়েছেন।
পরকালীন সফলতার জন্য পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করা কোনোভাবেই দুনিয়াবিমুখতার (জুহদ) পরিপন্থী নয়। বরং দুনিয়াবিমুখতার বিরোধী হলো, বিলাসিতায় মত্ত হওয়া, ভোগবিলাসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়া, পরিপূর্ণ স্বাচ্ছন্দ্য খোঁজা, দামি পোশাক-পরিচ্ছদ ও বাহন নিয়ে অতিরিক্ত আসক্ত হওয়া। এ দুই ব্যক্তি দুনিয়াবিমুখতা অবলম্বন করেছিলেন—তাঁরা কেবল প্রয়োজনীয় আহারের জন্য পরিশ্রম করতেন, কিন্তু ভোগবিলাসের পথে নিজেদের জড়াননি।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এবং শিক্ষণীয়। কেননা ক্ষমতার লোভ বা ইচ্ছে সবারই থাকে, কিন্তু ক্ষমতা পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করা কল্পনাতীত বিষয়। তেমনি এক বাদশাহর গল্প, যিনি ছিলেন এক সময়ের পরাক্রমশালী রাজা—সমৃদ্ধি, ক্ষমতা ও জৌলুসে পরিপূর্ণ যাঁর জীবন। তাঁর সামনে ছিল অসংখ্য অনুচর, ছিল রাজকীয় মহিমা ও বিলাসিতা। কিন্তু এক রাতে, যখন আকাশে চাঁদের আলো নেমে এসেছিল, তিনি চিন্তায় মগ্ন হলেন।
রাজপ্রাসাদের উঁচু মিনারে দাঁড়িয়ে তিনি গভীরভাবে ভাবতে লাগলেন—এ রাজ্য, এই ক্ষমতা, এই আভিজাত্য কি চিরস্থায়ী? তাঁর অন্তর কেঁপে উঠল। তিনি অনুভব করলেন, এ রাজসিক জীবন তাঁকে জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। তাই তিনি শাসন ও রাজত্ব ছেড়ে এমন এক জায়গায় চলে যান, যেখানে তাঁকে কেউ চেনে না। সেখানে তিনি কেবল আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকেন এবং নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিচে গল্পটি হাদিসের ভাষ্যে উপস্থাপন করা হলো—
হজরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন—বনি ইসরাইলের এক বাদশা, যিনি হজরত মুসা (আ.)–এর পর শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন, এক রাতে বায়তুল মুকাদ্দাসের ছাদে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত সেই রাতে তিনি তাঁর অতীত জীবনের বিভিন্ন ঘটনা স্মরণ করতে লাগলেন। গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হয়ে তিনি উপলব্ধি করলেন যে, তাঁর রাজত্ব, ক্ষমতা—এসব কিছুই একদিন বিলীন হয়ে যাবে। তাঁর অন্তর উদ্বেগে কেঁপে উঠল।
অবশেষে, তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন—এই জগতের জৌলুস তাঁকে আর আটকে রাখতে পারবে না। এক নির্জন রাতে, কাউকে কিছু না জানিয়ে, তিনি এক রশির সাহায্যে নিচে নেমে এলেন। পরদিন সকালে দেখা গেল, সেই রশিটি মসজিদে ঝুলে আছে, কিন্তু তিনি সেখানে নেই। তিনি চলতে চলতে সমুদ্রের তীরে এসে পৌঁছালেন। সেখানে দেখলেন, একদল শ্রমিক ইট বানানোর কাজে ব্যস্ত। তিনি তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা কীভাবে উপার্জন করেন। শ্রমিকেরা তাঁকে তাঁদের পরিশ্রমের বিনিময়ে পাওয়া মজুরির কথা জানালে, তিনি তাঁদের দলে যোগ দিলেন।
নিজের হাতে পরিশ্রম করতে লাগলেন, কষ্টার্জিত উপার্জন দিয়ে আহার করতেন এবং বাকি অংশ দান করে দিতেন। যখন নামাজের সময় হতো, তিনি ইবাদতে মগ্ন হয়ে যেতেন। একসময় শ্রমিকেরা এই ব্যতিক্রমী মানুষটির কথা তাঁদের মহাজনের কাছে জানালেন। মহাজন বিস্মিত হলেন—এই সাধারণ জীর্ণশীর্ণ শ্রমিক আসলে কে? তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন। কিন্তু তিনবার পাঠানো হলেও, তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালেন।
অবশেষে, মহাজন নিজেই তাঁকে দেখতে এলেন। বাদশাহ যখন দেখলেন যে, কেউ তাঁকে খুঁজতে এসেছে, তখন তিনি পালিয়ে গেলেন। কিন্তু মহাজন তাঁর পিছু নিলেন এবং অবশেষে তাঁকে ধরে ফেললেন। তিনি বললেন, ‘একটু দাঁড়ান, আমি শুধু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
বাদশাহ থামলেন এবং ধীরে ধীরে নিজের কাহিনি বলতে লাগলেন, ‘আমি একসময়ের বাদশা ছিলাম, কিন্তু এক রাতে আমি উপলব্ধি করলাম, এই রাজ্য, এই ক্ষমতা—এসব কিছুই ক্ষণস্থায়ী। এগুলো আমাকে আমার প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম, আমার আসল কর্তব্য হলো, আমার রবের ইবাদত করা। তাই আমি সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছি, যেন কেবল আল্লাহর জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারি।’
মহাজন বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘আপনি যদি সব ছেড়ে আল্লাহর পথে আসতে পারেন, তবে আমি কেন পারব না?’ তিনিও বাহন থেকে নেমে এলেন এবং বাদশাহকে অনুসরণ করলেন। এরপর তাঁরা দুজন একসঙ্গে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হয়ে গেলেন। তাঁরা আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করলেন, ‘হে আমাদের রব, আমাদের মৃত্যু যেন এক সঙ্গেই হয়।’
অবশেষে, তাঁদের দোয়া কবুল হলো। তাঁরা একসঙ্গে দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন এবং তাঁদের কবর মিসরের রুমাইলা নামক স্থানে পাশাপাশি রয়েছে।
হজরত আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘যদি আমি মিসরের রুমাইলায় থাকতাম, তাহলে রাসুলুল্লাহ (সা.) যে বর্ণনা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী আমি তাঁদের কবর তোমাদের দেখিয়ে দিতে পারতাম।’ (আল বাহরুজ জাখখার,৪ / ২৬৭, হাদিস: ৩৬৮৯, আল মুজামুল কাবির, ১০ / ২১৬, হাদিস: ১০৩৭০)
গল্প থেকে শিক্ষা
চিন্তা ও গভীর মননশীলতার উপকারিতা, যা মানুষকে সঠিক উপলব্ধি ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এটি সর্বোত্তম ফল ও কল্যাণকর পরিণতি এনে দেয়, যেমনটি এই দুই ব্যক্তি চিন্তা ও বিবেচনার মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন।
দুনিয়ার প্রতি নিরাসক্তি ও পরকালের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার মাহাত্ম্য। আল্লাহর কাছে যে অনন্ত পুরস্কার রয়েছে, তা কখনো ক্ষয়প্রাপ্ত হবে না, বরং স্থায়ী ও চিরকালীন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কাছে যা কিছু আছে, তা ফুরিয়ে যাবে; আর আল্লাহর কাছে যা আছে, তা চিরস্থায়ী।’ (সুরা নাহল: ৯৬)
এটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অবধারিত সত্য। কেননা কোরআন-হাদিসে বারবার দুনিয়ার মোহমুক্তির প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে এবং দুনিয়াকে তুচ্ছ মনে করার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও তাঁর কথা, আচরণ ও কর্মের মাধ্যমে মানুষকে দুনিয়াবিমুখতার শিক্ষা দিয়েছেন।
পরকালীন সফলতার জন্য পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করা কোনোভাবেই দুনিয়াবিমুখতার (জুহদ) পরিপন্থী নয়। বরং দুনিয়াবিমুখতার বিরোধী হলো, বিলাসিতায় মত্ত হওয়া, ভোগবিলাসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়া, পরিপূর্ণ স্বাচ্ছন্দ্য খোঁজা, দামি পোশাক-পরিচ্ছদ ও বাহন নিয়ে অতিরিক্ত আসক্ত হওয়া। এ দুই ব্যক্তি দুনিয়াবিমুখতা অবলম্বন করেছিলেন—তাঁরা কেবল প্রয়োজনীয় আহারের জন্য পরিশ্রম করতেন, কিন্তু ভোগবিলাসের পথে নিজেদের জড়াননি।
আসআদ শাহীন

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এবং শিক্ষণীয়। কেননা ক্ষমতার লোভ বা ইচ্ছে সবারই থাকে, কিন্তু ক্ষমতা পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করা কল্পনাতীত বিষয়। তেমনি এক বাদশাহর গল্প, যিনি ছিলেন এক সময়ের পরাক্রমশালী রাজা—সমৃদ্ধি, ক্ষমতা ও জৌলুসে পরিপূর্ণ যাঁর জীবন। তাঁর সামনে ছিল অসংখ্য অনুচর, ছিল রাজকীয় মহিমা ও বিলাসিতা। কিন্তু এক রাতে, যখন আকাশে চাঁদের আলো নেমে এসেছিল, তিনি চিন্তায় মগ্ন হলেন।
রাজপ্রাসাদের উঁচু মিনারে দাঁড়িয়ে তিনি গভীরভাবে ভাবতে লাগলেন—এ রাজ্য, এই ক্ষমতা, এই আভিজাত্য কি চিরস্থায়ী? তাঁর অন্তর কেঁপে উঠল। তিনি অনুভব করলেন, এ রাজসিক জীবন তাঁকে জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। তাই তিনি শাসন ও রাজত্ব ছেড়ে এমন এক জায়গায় চলে যান, যেখানে তাঁকে কেউ চেনে না। সেখানে তিনি কেবল আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকেন এবং নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিচে গল্পটি হাদিসের ভাষ্যে উপস্থাপন করা হলো—
হজরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন—বনি ইসরাইলের এক বাদশা, যিনি হজরত মুসা (আ.)–এর পর শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন, এক রাতে বায়তুল মুকাদ্দাসের ছাদে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত সেই রাতে তিনি তাঁর অতীত জীবনের বিভিন্ন ঘটনা স্মরণ করতে লাগলেন। গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হয়ে তিনি উপলব্ধি করলেন যে, তাঁর রাজত্ব, ক্ষমতা—এসব কিছুই একদিন বিলীন হয়ে যাবে। তাঁর অন্তর উদ্বেগে কেঁপে উঠল।
অবশেষে, তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন—এই জগতের জৌলুস তাঁকে আর আটকে রাখতে পারবে না। এক নির্জন রাতে, কাউকে কিছু না জানিয়ে, তিনি এক রশির সাহায্যে নিচে নেমে এলেন। পরদিন সকালে দেখা গেল, সেই রশিটি মসজিদে ঝুলে আছে, কিন্তু তিনি সেখানে নেই। তিনি চলতে চলতে সমুদ্রের তীরে এসে পৌঁছালেন। সেখানে দেখলেন, একদল শ্রমিক ইট বানানোর কাজে ব্যস্ত। তিনি তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা কীভাবে উপার্জন করেন। শ্রমিকেরা তাঁকে তাঁদের পরিশ্রমের বিনিময়ে পাওয়া মজুরির কথা জানালে, তিনি তাঁদের দলে যোগ দিলেন।
নিজের হাতে পরিশ্রম করতে লাগলেন, কষ্টার্জিত উপার্জন দিয়ে আহার করতেন এবং বাকি অংশ দান করে দিতেন। যখন নামাজের সময় হতো, তিনি ইবাদতে মগ্ন হয়ে যেতেন। একসময় শ্রমিকেরা এই ব্যতিক্রমী মানুষটির কথা তাঁদের মহাজনের কাছে জানালেন। মহাজন বিস্মিত হলেন—এই সাধারণ জীর্ণশীর্ণ শ্রমিক আসলে কে? তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন। কিন্তু তিনবার পাঠানো হলেও, তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালেন।
অবশেষে, মহাজন নিজেই তাঁকে দেখতে এলেন। বাদশাহ যখন দেখলেন যে, কেউ তাঁকে খুঁজতে এসেছে, তখন তিনি পালিয়ে গেলেন। কিন্তু মহাজন তাঁর পিছু নিলেন এবং অবশেষে তাঁকে ধরে ফেললেন। তিনি বললেন, ‘একটু দাঁড়ান, আমি শুধু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
বাদশাহ থামলেন এবং ধীরে ধীরে নিজের কাহিনি বলতে লাগলেন, ‘আমি একসময়ের বাদশা ছিলাম, কিন্তু এক রাতে আমি উপলব্ধি করলাম, এই রাজ্য, এই ক্ষমতা—এসব কিছুই ক্ষণস্থায়ী। এগুলো আমাকে আমার প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম, আমার আসল কর্তব্য হলো, আমার রবের ইবাদত করা। তাই আমি সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছি, যেন কেবল আল্লাহর জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারি।’
মহাজন বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘আপনি যদি সব ছেড়ে আল্লাহর পথে আসতে পারেন, তবে আমি কেন পারব না?’ তিনিও বাহন থেকে নেমে এলেন এবং বাদশাহকে অনুসরণ করলেন। এরপর তাঁরা দুজন একসঙ্গে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হয়ে গেলেন। তাঁরা আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করলেন, ‘হে আমাদের রব, আমাদের মৃত্যু যেন এক সঙ্গেই হয়।’
অবশেষে, তাঁদের দোয়া কবুল হলো। তাঁরা একসঙ্গে দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন এবং তাঁদের কবর মিসরের রুমাইলা নামক স্থানে পাশাপাশি রয়েছে।
হজরত আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘যদি আমি মিসরের রুমাইলায় থাকতাম, তাহলে রাসুলুল্লাহ (সা.) যে বর্ণনা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী আমি তাঁদের কবর তোমাদের দেখিয়ে দিতে পারতাম।’ (আল বাহরুজ জাখখার,৪ / ২৬৭, হাদিস: ৩৬৮৯, আল মুজামুল কাবির, ১০ / ২১৬, হাদিস: ১০৩৭০)
গল্প থেকে শিক্ষা
চিন্তা ও গভীর মননশীলতার উপকারিতা, যা মানুষকে সঠিক উপলব্ধি ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এটি সর্বোত্তম ফল ও কল্যাণকর পরিণতি এনে দেয়, যেমনটি এই দুই ব্যক্তি চিন্তা ও বিবেচনার মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন।
দুনিয়ার প্রতি নিরাসক্তি ও পরকালের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার মাহাত্ম্য। আল্লাহর কাছে যে অনন্ত পুরস্কার রয়েছে, তা কখনো ক্ষয়প্রাপ্ত হবে না, বরং স্থায়ী ও চিরকালীন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কাছে যা কিছু আছে, তা ফুরিয়ে যাবে; আর আল্লাহর কাছে যা আছে, তা চিরস্থায়ী।’ (সুরা নাহল: ৯৬)
এটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অবধারিত সত্য। কেননা কোরআন-হাদিসে বারবার দুনিয়ার মোহমুক্তির প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে এবং দুনিয়াকে তুচ্ছ মনে করার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও তাঁর কথা, আচরণ ও কর্মের মাধ্যমে মানুষকে দুনিয়াবিমুখতার শিক্ষা দিয়েছেন।
পরকালীন সফলতার জন্য পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করা কোনোভাবেই দুনিয়াবিমুখতার (জুহদ) পরিপন্থী নয়। বরং দুনিয়াবিমুখতার বিরোধী হলো, বিলাসিতায় মত্ত হওয়া, ভোগবিলাসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়া, পরিপূর্ণ স্বাচ্ছন্দ্য খোঁজা, দামি পোশাক-পরিচ্ছদ ও বাহন নিয়ে অতিরিক্ত আসক্ত হওয়া। এ দুই ব্যক্তি দুনিয়াবিমুখতা অবলম্বন করেছিলেন—তাঁরা কেবল প্রয়োজনীয় আহারের জন্য পরিশ্রম করতেন, কিন্তু ভোগবিলাসের পথে নিজেদের জড়াননি।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এবং শিক্ষণীয়। কেননা ক্ষমতার লোভ বা ইচ্ছে সবারই থাকে, কিন্তু ক্ষমতা পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করা কল্পনাতীত বিষয়। তেমনি এক বাদশাহর গল্প, যিনি ছিলেন এক সময়ের পরাক্রমশালী রাজা—সমৃদ্ধি, ক্ষমতা ও জৌলুসে পরিপূর্ণ যাঁর জীবন। তাঁর সামনে ছিল অসংখ্য অনুচর, ছিল রাজকীয় মহিমা ও বিলাসিতা। কিন্তু এক রাতে, যখন আকাশে চাঁদের আলো নেমে এসেছিল, তিনি চিন্তায় মগ্ন হলেন।
রাজপ্রাসাদের উঁচু মিনারে দাঁড়িয়ে তিনি গভীরভাবে ভাবতে লাগলেন—এ রাজ্য, এই ক্ষমতা, এই আভিজাত্য কি চিরস্থায়ী? তাঁর অন্তর কেঁপে উঠল। তিনি অনুভব করলেন, এ রাজসিক জীবন তাঁকে জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। তাই তিনি শাসন ও রাজত্ব ছেড়ে এমন এক জায়গায় চলে যান, যেখানে তাঁকে কেউ চেনে না। সেখানে তিনি কেবল আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকেন এবং নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিচে গল্পটি হাদিসের ভাষ্যে উপস্থাপন করা হলো—
হজরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন—বনি ইসরাইলের এক বাদশা, যিনি হজরত মুসা (আ.)–এর পর শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন, এক রাতে বায়তুল মুকাদ্দাসের ছাদে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত সেই রাতে তিনি তাঁর অতীত জীবনের বিভিন্ন ঘটনা স্মরণ করতে লাগলেন। গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হয়ে তিনি উপলব্ধি করলেন যে, তাঁর রাজত্ব, ক্ষমতা—এসব কিছুই একদিন বিলীন হয়ে যাবে। তাঁর অন্তর উদ্বেগে কেঁপে উঠল।
অবশেষে, তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন—এই জগতের জৌলুস তাঁকে আর আটকে রাখতে পারবে না। এক নির্জন রাতে, কাউকে কিছু না জানিয়ে, তিনি এক রশির সাহায্যে নিচে নেমে এলেন। পরদিন সকালে দেখা গেল, সেই রশিটি মসজিদে ঝুলে আছে, কিন্তু তিনি সেখানে নেই। তিনি চলতে চলতে সমুদ্রের তীরে এসে পৌঁছালেন। সেখানে দেখলেন, একদল শ্রমিক ইট বানানোর কাজে ব্যস্ত। তিনি তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা কীভাবে উপার্জন করেন। শ্রমিকেরা তাঁকে তাঁদের পরিশ্রমের বিনিময়ে পাওয়া মজুরির কথা জানালে, তিনি তাঁদের দলে যোগ দিলেন।
নিজের হাতে পরিশ্রম করতে লাগলেন, কষ্টার্জিত উপার্জন দিয়ে আহার করতেন এবং বাকি অংশ দান করে দিতেন। যখন নামাজের সময় হতো, তিনি ইবাদতে মগ্ন হয়ে যেতেন। একসময় শ্রমিকেরা এই ব্যতিক্রমী মানুষটির কথা তাঁদের মহাজনের কাছে জানালেন। মহাজন বিস্মিত হলেন—এই সাধারণ জীর্ণশীর্ণ শ্রমিক আসলে কে? তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন। কিন্তু তিনবার পাঠানো হলেও, তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালেন।
অবশেষে, মহাজন নিজেই তাঁকে দেখতে এলেন। বাদশাহ যখন দেখলেন যে, কেউ তাঁকে খুঁজতে এসেছে, তখন তিনি পালিয়ে গেলেন। কিন্তু মহাজন তাঁর পিছু নিলেন এবং অবশেষে তাঁকে ধরে ফেললেন। তিনি বললেন, ‘একটু দাঁড়ান, আমি শুধু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
বাদশাহ থামলেন এবং ধীরে ধীরে নিজের কাহিনি বলতে লাগলেন, ‘আমি একসময়ের বাদশা ছিলাম, কিন্তু এক রাতে আমি উপলব্ধি করলাম, এই রাজ্য, এই ক্ষমতা—এসব কিছুই ক্ষণস্থায়ী। এগুলো আমাকে আমার প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম, আমার আসল কর্তব্য হলো, আমার রবের ইবাদত করা। তাই আমি সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছি, যেন কেবল আল্লাহর জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারি।’
মহাজন বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘আপনি যদি সব ছেড়ে আল্লাহর পথে আসতে পারেন, তবে আমি কেন পারব না?’ তিনিও বাহন থেকে নেমে এলেন এবং বাদশাহকে অনুসরণ করলেন। এরপর তাঁরা দুজন একসঙ্গে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হয়ে গেলেন। তাঁরা আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করলেন, ‘হে আমাদের রব, আমাদের মৃত্যু যেন এক সঙ্গেই হয়।’
অবশেষে, তাঁদের দোয়া কবুল হলো। তাঁরা একসঙ্গে দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন এবং তাঁদের কবর মিসরের রুমাইলা নামক স্থানে পাশাপাশি রয়েছে।
হজরত আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘যদি আমি মিসরের রুমাইলায় থাকতাম, তাহলে রাসুলুল্লাহ (সা.) যে বর্ণনা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী আমি তাঁদের কবর তোমাদের দেখিয়ে দিতে পারতাম।’ (আল বাহরুজ জাখখার,৪ / ২৬৭, হাদিস: ৩৬৮৯, আল মুজামুল কাবির, ১০ / ২১৬, হাদিস: ১০৩৭০)
গল্প থেকে শিক্ষা
চিন্তা ও গভীর মননশীলতার উপকারিতা, যা মানুষকে সঠিক উপলব্ধি ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এটি সর্বোত্তম ফল ও কল্যাণকর পরিণতি এনে দেয়, যেমনটি এই দুই ব্যক্তি চিন্তা ও বিবেচনার মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন।
দুনিয়ার প্রতি নিরাসক্তি ও পরকালের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার মাহাত্ম্য। আল্লাহর কাছে যে অনন্ত পুরস্কার রয়েছে, তা কখনো ক্ষয়প্রাপ্ত হবে না, বরং স্থায়ী ও চিরকালীন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কাছে যা কিছু আছে, তা ফুরিয়ে যাবে; আর আল্লাহর কাছে যা আছে, তা চিরস্থায়ী।’ (সুরা নাহল: ৯৬)
এটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অবধারিত সত্য। কেননা কোরআন-হাদিসে বারবার দুনিয়ার মোহমুক্তির প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে এবং দুনিয়াকে তুচ্ছ মনে করার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও তাঁর কথা, আচরণ ও কর্মের মাধ্যমে মানুষকে দুনিয়াবিমুখতার শিক্ষা দিয়েছেন।
পরকালীন সফলতার জন্য পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করা কোনোভাবেই দুনিয়াবিমুখতার (জুহদ) পরিপন্থী নয়। বরং দুনিয়াবিমুখতার বিরোধী হলো, বিলাসিতায় মত্ত হওয়া, ভোগবিলাসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়া, পরিপূর্ণ স্বাচ্ছন্দ্য খোঁজা, দামি পোশাক-পরিচ্ছদ ও বাহন নিয়ে অতিরিক্ত আসক্ত হওয়া। এ দুই ব্যক্তি দুনিয়াবিমুখতা অবলম্বন করেছিলেন—তাঁরা কেবল প্রয়োজনীয় আহারের জন্য পরিশ্রম করতেন, কিন্তু ভোগবিলাসের পথে নিজেদের জড়াননি।

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৪ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৫ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এবং শিক্ষণীয়। কেননা ক্ষমতার লোভ বা ইচ্ছে সবারই থাকে, কিন্তু ক্ষমতা পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করা কল্পনাতীত বিষয়। তেমনি এক বাদশাহর গল্প, যিনি ছিলেন এক সময়ের পরাক্রমশালী রাজা—সমৃদ্ধি, ক্ষমতা ও জৌলুসে পরিপূর্ণ যাঁর জীবন।
১৭ মার্চ ২০২৫
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৫ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এবং শিক্ষণীয়। কেননা ক্ষমতার লোভ বা ইচ্ছে সবারই থাকে, কিন্তু ক্ষমতা পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করা কল্পনাতীত বিষয়। তেমনি এক বাদশাহর গল্প, যিনি ছিলেন এক সময়ের পরাক্রমশালী রাজা—সমৃদ্ধি, ক্ষমতা ও জৌলুসে পরিপূর্ণ যাঁর জীবন।
১৭ মার্চ ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৪ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এবং শিক্ষণীয়। কেননা ক্ষমতার লোভ বা ইচ্ছে সবারই থাকে, কিন্তু ক্ষমতা পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করা কল্পনাতীত বিষয়। তেমনি এক বাদশাহর গল্প, যিনি ছিলেন এক সময়ের পরাক্রমশালী রাজা—সমৃদ্ধি, ক্ষমতা ও জৌলুসে পরিপূর্ণ যাঁর জীবন।
১৭ মার্চ ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৪ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৫ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এবং শিক্ষণীয়। কেননা ক্ষমতার লোভ বা ইচ্ছে সবারই থাকে, কিন্তু ক্ষমতা পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করা কল্পনাতীত বিষয়। তেমনি এক বাদশাহর গল্প, যিনি ছিলেন এক সময়ের পরাক্রমশালী রাজা—সমৃদ্ধি, ক্ষমতা ও জৌলুসে পরিপূর্ণ যাঁর জীবন।
১৭ মার্চ ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৪ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৫ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৭ ঘণ্টা আগে