আবদুল আযীয কাসেমি

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম। তাতারদের হাতে যখন পুরো মুসলিম বিশ্ব লন্ডভন্ড হতে চলেছিল, তখন যেসব আলেম ও ইসলামি পণ্ডিত মুসলিম বিশ্বের ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম এটি।
প্রাথমিক জীবন
ইবনে তাইমিয়ার পুরো নাম আহমদ ইবনে আবদুল হালিম ইবনে আবদুস সালাম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবুল কাসেম ইবনে তাইমিয়া। উপনাম আবুল আব্বাস। উপাধি তাকিউদ্দিন। তিনি তৎকালীন সালতানাতে রোমের এবং বর্তমান তুরস্কের সানলিউরফা প্রদেশের হাররান নামক শহরে ৬৬১ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শিহাবুদ্দিন আবদুল হালিমও ছিলেন সমকালীন সেরা মুফতিদের একজন। তিনি শৈশবেই বাবার সঙ্গে দামেস্কে চলে আসেন।
শিক্ষাদীক্ষা
দামেস্কেই তিনি বড় হতে থাকেন। দামেস্কের বিখ্যাত আলেমদের কাছে ইসলামের পাঠ গ্রহণ করেন। তার বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন—ইবনে আবদিদ দাইম, ইবনে আবিল ইয়ুসর, মাজদুদ্দিন ইবনে আসাকির ও ইবনে তাবারযাদ প্রমুখ। তিনি হাদিস পাঠে বিশেষভাবে মনোযোগ প্রদান করেন। ফলে স্বল্পসময়ে হাদিস শাস্ত্রের নানা শাখায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। এ ছাড়া ইসলামি আইনশাস্ত্র, কালামশাস্ত্র, আরবি ভাষা ও তাফসির শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। অসাধারণ মেধার অধিকারী ছিলেন। ফলে যে বিষয়েই তিনি কথা বলতেন, মনে হতো তিনি সে শাস্ত্রেরই একজন বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত।
রচনাবলি
ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিস হাফেজ শামসুদ্দিন জাহাবির ভাষায়, ‘ইবনে তাইমিয়া ছিলেন একাধারে ইমাম, আল্লামা, হাফেজুল হাদিস, সমালোচক, চিন্তক, আইনজ্ঞ ও দক্ষ তাফসিরবিদ। ছিলেন দুনিয়াবিমুখ বুজুর্গদের ইমাম ও বিরলপ্রজ ব্যক্তিত্ব। ছিলেন জ্ঞানের সমুদ্র। পৃথিবীর হাতেগোনা শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের একজন। সাহসিকতায় তাঁর নজির মেলা ভার। উদারতা তাঁর ভূষণ। বন্ধু-শত্রু সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতেন। তাঁর রচনাবলি দুনিয়াব্যাপী পঠিত ও চর্চিত, যা তিন শতাধিক খণ্ডে বিস্তৃত।’ (তাযকিরাতুল হুফফাজ: ৪ / ১৯২)
উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি তাঁকে আখ্যা দিয়েছেন ‘জ্ঞানের অকুল উত্তাল সমুদ্র’। তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিখ্যাত কয়েকটি হলো—
সমালোচনা
কিছু কিছু বিষয়ে বিচ্ছিন্ন মতাবলম্বনের কারণে ইবনে তাইমিয়া সমালোচিত হয়েছেন। ঐতিহাসিক জাহাবির মতে, ‘তিনি কিছু মাসআলায় বিচ্ছিন্ন মত অবলম্বন করেছেন। ফলে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছেন। তিনি একজন মানুষ ছিলেন। তাঁরও ভুল-ত্রুটি আছে। তবুও বলতে হয়, আল্লাহর শপথ, আমার চোখ তাঁর মত মহান আর কাউকে দেখেনি। তিনি নিজেও নিজের মত কাউকে পাননি। ইসলামি জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় তিনি পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন।’ (আল মু’জামুল মুখতাস: পৃ: ২৫)
আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি বলেন, ‘হাফেজ ইবনু তাইমিয়া (রহ.) এর স্বভাবে কিছুটা রুক্ষতা ও কঠোরতা ছিল। কোনো দিকে ঝুঁকে পড়লে সেদিকে প্রচণ্ডভাবে ঝুঁকে পড়তেন। আর কিছুর পরোয়া করতেন না। কারও সমালোচনা করলেও তীব্র সমালোচনা করতেন। এ স্বভাবের মানুষজন প্রান্তিকতা থেকে বাঁচতে পারেন না। যদিও তিনি উঁচু মাপের পণ্ডিত আলেম ছিলেন।’ (ফয়জুল বারি: ১ / ৫৯)
দাওয়াত রাজনীতি সংগ্রাম
ইবনে তাইমিয়া কেবল একজন চিন্তক ও তাত্ত্বিক আলেমই ছিলেন না, বরং ইসলামের পুনর্জাগরণে তিনি সুদৃঢ় ভূমিকা রাখেন। খাঁটি তাওহিদের প্রচারে, শিরক-কুফর ও নানা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। বিশেষত তিনি ভ্রান্ত ও বিদআতপন্থী সুফিদের কট্টর সমালোচনা করেন। শুধু দাওয়াতের ময়দানে থেকেই ক্ষান্ত হননি তিনি। মঙ্গলদের বিরুদ্ধে সরাসরি সশস্ত্র যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিরিয়ার শাসককে সব রকম সহযোগিতা করেন। তাতারদের ইসলামি শাসনের নামে বিকৃত রাজনীতিরও কঠোর সমালোচনা করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিতর্কে খ্রিষ্টান পাদ্রীদের পরাস্ত করেন।
কারাবরণ ও মৃত্যু
ইবনে তাইমিয়ার স্বাধীনচিন্তা ও আপসহীন মনোভাব এবং ইসলামি সংস্কার প্রচেষ্টার কারণে শাসকগোষ্ঠী ও কিছু আলেম তাঁর বিরোধিতা করেন। ফলে তিনি বেশ কয়েকবার বন্দী হন এবং শেষ জীবনে ২৮ মাস কারাবরণ করেন। ১৩২৮ সালে (৭২৮ হিজরি) দামেস্কের একটি কারাগারে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৬৫ বছর। তাঁর জানাজায় বিশাল জনসমাগম হয় এবং লাখো মানুষ তাঁর জন্য দোয়া করেন।

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম। তাতারদের হাতে যখন পুরো মুসলিম বিশ্ব লন্ডভন্ড হতে চলেছিল, তখন যেসব আলেম ও ইসলামি পণ্ডিত মুসলিম বিশ্বের ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম এটি।
প্রাথমিক জীবন
ইবনে তাইমিয়ার পুরো নাম আহমদ ইবনে আবদুল হালিম ইবনে আবদুস সালাম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবুল কাসেম ইবনে তাইমিয়া। উপনাম আবুল আব্বাস। উপাধি তাকিউদ্দিন। তিনি তৎকালীন সালতানাতে রোমের এবং বর্তমান তুরস্কের সানলিউরফা প্রদেশের হাররান নামক শহরে ৬৬১ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শিহাবুদ্দিন আবদুল হালিমও ছিলেন সমকালীন সেরা মুফতিদের একজন। তিনি শৈশবেই বাবার সঙ্গে দামেস্কে চলে আসেন।
শিক্ষাদীক্ষা
দামেস্কেই তিনি বড় হতে থাকেন। দামেস্কের বিখ্যাত আলেমদের কাছে ইসলামের পাঠ গ্রহণ করেন। তার বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন—ইবনে আবদিদ দাইম, ইবনে আবিল ইয়ুসর, মাজদুদ্দিন ইবনে আসাকির ও ইবনে তাবারযাদ প্রমুখ। তিনি হাদিস পাঠে বিশেষভাবে মনোযোগ প্রদান করেন। ফলে স্বল্পসময়ে হাদিস শাস্ত্রের নানা শাখায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। এ ছাড়া ইসলামি আইনশাস্ত্র, কালামশাস্ত্র, আরবি ভাষা ও তাফসির শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। অসাধারণ মেধার অধিকারী ছিলেন। ফলে যে বিষয়েই তিনি কথা বলতেন, মনে হতো তিনি সে শাস্ত্রেরই একজন বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত।
রচনাবলি
ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিস হাফেজ শামসুদ্দিন জাহাবির ভাষায়, ‘ইবনে তাইমিয়া ছিলেন একাধারে ইমাম, আল্লামা, হাফেজুল হাদিস, সমালোচক, চিন্তক, আইনজ্ঞ ও দক্ষ তাফসিরবিদ। ছিলেন দুনিয়াবিমুখ বুজুর্গদের ইমাম ও বিরলপ্রজ ব্যক্তিত্ব। ছিলেন জ্ঞানের সমুদ্র। পৃথিবীর হাতেগোনা শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের একজন। সাহসিকতায় তাঁর নজির মেলা ভার। উদারতা তাঁর ভূষণ। বন্ধু-শত্রু সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতেন। তাঁর রচনাবলি দুনিয়াব্যাপী পঠিত ও চর্চিত, যা তিন শতাধিক খণ্ডে বিস্তৃত।’ (তাযকিরাতুল হুফফাজ: ৪ / ১৯২)
উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি তাঁকে আখ্যা দিয়েছেন ‘জ্ঞানের অকুল উত্তাল সমুদ্র’। তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিখ্যাত কয়েকটি হলো—
সমালোচনা
কিছু কিছু বিষয়ে বিচ্ছিন্ন মতাবলম্বনের কারণে ইবনে তাইমিয়া সমালোচিত হয়েছেন। ঐতিহাসিক জাহাবির মতে, ‘তিনি কিছু মাসআলায় বিচ্ছিন্ন মত অবলম্বন করেছেন। ফলে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছেন। তিনি একজন মানুষ ছিলেন। তাঁরও ভুল-ত্রুটি আছে। তবুও বলতে হয়, আল্লাহর শপথ, আমার চোখ তাঁর মত মহান আর কাউকে দেখেনি। তিনি নিজেও নিজের মত কাউকে পাননি। ইসলামি জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় তিনি পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন।’ (আল মু’জামুল মুখতাস: পৃ: ২৫)
আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি বলেন, ‘হাফেজ ইবনু তাইমিয়া (রহ.) এর স্বভাবে কিছুটা রুক্ষতা ও কঠোরতা ছিল। কোনো দিকে ঝুঁকে পড়লে সেদিকে প্রচণ্ডভাবে ঝুঁকে পড়তেন। আর কিছুর পরোয়া করতেন না। কারও সমালোচনা করলেও তীব্র সমালোচনা করতেন। এ স্বভাবের মানুষজন প্রান্তিকতা থেকে বাঁচতে পারেন না। যদিও তিনি উঁচু মাপের পণ্ডিত আলেম ছিলেন।’ (ফয়জুল বারি: ১ / ৫৯)
দাওয়াত রাজনীতি সংগ্রাম
ইবনে তাইমিয়া কেবল একজন চিন্তক ও তাত্ত্বিক আলেমই ছিলেন না, বরং ইসলামের পুনর্জাগরণে তিনি সুদৃঢ় ভূমিকা রাখেন। খাঁটি তাওহিদের প্রচারে, শিরক-কুফর ও নানা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। বিশেষত তিনি ভ্রান্ত ও বিদআতপন্থী সুফিদের কট্টর সমালোচনা করেন। শুধু দাওয়াতের ময়দানে থেকেই ক্ষান্ত হননি তিনি। মঙ্গলদের বিরুদ্ধে সরাসরি সশস্ত্র যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিরিয়ার শাসককে সব রকম সহযোগিতা করেন। তাতারদের ইসলামি শাসনের নামে বিকৃত রাজনীতিরও কঠোর সমালোচনা করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিতর্কে খ্রিষ্টান পাদ্রীদের পরাস্ত করেন।
কারাবরণ ও মৃত্যু
ইবনে তাইমিয়ার স্বাধীনচিন্তা ও আপসহীন মনোভাব এবং ইসলামি সংস্কার প্রচেষ্টার কারণে শাসকগোষ্ঠী ও কিছু আলেম তাঁর বিরোধিতা করেন। ফলে তিনি বেশ কয়েকবার বন্দী হন এবং শেষ জীবনে ২৮ মাস কারাবরণ করেন। ১৩২৮ সালে (৭২৮ হিজরি) দামেস্কের একটি কারাগারে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৬৫ বছর। তাঁর জানাজায় বিশাল জনসমাগম হয় এবং লাখো মানুষ তাঁর জন্য দোয়া করেন।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম।
৩০ মার্চ ২০২৫
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম।
৩০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম।
৩০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম।
৩০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে