Ajker Patrika

জমাদিউস সানির প্রথম জুমা কাটুক আমল ও জিকিরে

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আরবি মাসগুলোর মধ্যে জমাদিউস সানি মাসটি মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এই মাসের প্রথম জুমা আল্লাহর নৈকট্য লাভ, নেক আমল বৃদ্ধি এবং বরকত প্রার্থনার এক অনন্য সুযোগ।

জুমার ফজিলত ও বরকত

সামগ্রিকভাবে জুমার দিনকে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা বিশেষ ফজিলত দান করেছেন। জুমার দিন আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত ও বরকত নাজিল হয়। নবী করিম (সা.) জুমার দিনের একটি বিশেষ মুহূর্তের কথা বলেছেন, যখন দোয়া কবুল হয়। তিনি বলেন, ‘জুমার দিনে একটি মুহূর্ত আছে, তখন যদি কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে কিছু দোয়া করে, আল্লাহ তা অবশ্যই কবুল করবেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৬৭; সহিহ্ মুসলিম: ৮৭৬)

জমাদিউস সানি মাসের প্রথম জুমা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, মাসের শুরুতেই নেক কাজ, দোয়া এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

নবী (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে আল্লাহর নিকট নেক কাজ করে, তার পুরোনো গুনাহ মাফ হয়ে যায়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৭১)

ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির প্রস্তুতি

এই বরকতময় দিনে বিশেষ কিছু ইবাদত আমাদের আত্মাকে শক্তি, শান্তি ও ইমানি দৃঢ়তা প্রদান করে—

নামাজ ও দোয়া: জুমার নামাজে মনোযোগের সঙ্গে অংশগ্রহণ, নফল নামাজ এবং আল্লাহর নিকট বিনম্র চিত্তে দোয়া করা আবশ্যক। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন বেশি বেশি আল্লাহর স্মরণে থাকে, আল্লাহ তার হৃদয়কে আলোকিত করেন।’ (জামে তিরমিজি: ৫০০)

কোরআন তিলাওয়াত: কোরআন তিলাওয়াত মানুষের হৃদয়কে আলোকিত করে এবং মনে প্রশান্তি আনে। জমাদিউস সানি মাসের প্রথম জুমা এমন একটি সময়, যখন কোরআনের প্রতিটি আয়াত দিকনির্দেশনা ও প্রশান্তির উৎস হতে পারে।

সদকা ও দান: সদকা মানুষের জীবনে আল্লাহর রহমত ও বরকত আনতে সাহায্য করে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘সদকা দোষ মুছে দেয় এবং জীবনকে বরকতময় করে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৩৫৮)। এই দিনে দরিদ্র ও অসহায়দের সহায়তা করা নেক আমলের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

পারিবারিক নেক কাজ: পরিবারের প্রতি সদয় হওয়া, পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং সমাজে নেক কাজ করা আমাদের আত্মিক ও সামাজিক উন্নতি নিশ্চিত করে।

নতুন মাসের প্রতিশ্রুতি ও চূড়ান্ত লক্ষ্য

জমাদিউস সানি মাসের প্রথম জুমা আমাদের জন্য এক সতর্কবার্তা—নিজের আমল নতুনভাবে সাজানো, নেক কাজ বৃদ্ধি করা এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহর প্রতি ভক্তি ও দোয়ার মাধ্যমে জীবনকে অর্থপূর্ণ করা সম্ভব। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সততার সঙ্গে ফিরে আসে, তার প্রতি আল্লাহ রহমত ও বরকত প্রেরণ করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭২১)

অতএব, এ দিনটিকে শুধু একটি সাধারণ দিন হিসেবে না দেখে বরকত ও রহমত অর্জনের একটি বিশেষ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য হলো, এ দিনটিকে পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা, আল্লাহর স্মরণে হৃদয় ও মনকে পূর্ণ করা এবং নেক কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ