মো. আবুবকর সিদ্দীক
পৃথিবী থেকে একদিন চিরতরে চলে যেতে হবে। যথাসময়ে মৃত্যুদূত দরজায় এসে কড়া নাড়বে। মৃত্যুর হাত থেকে কারও নিস্তার নেই। জন্ম নিলে মরতেই হবে। পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি, কখনো ঘটবে না। পৃথিবীতে মানুষের আয়ুষ্কালের তারতম্য আছে, এটা মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। বিন্দুমাত্র হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মৃত্যুর পর কয়েক টুকরা সাদা কাপড়েই বিদায় দেওয়া হবে। শূন্য হাতে অন্ধকার কবরে হবে ঠাঁই। মৃত্যুর পরে মহান আল্লাহর মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে, দিতে হবে কৃতকর্মের হিসাব। পাপপুণ্যের এই হিসাবে উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্যেই জীবনের চরম ও পরম সফলতা। কিন্তু বিপরীতটা হলে জীবনটা ষোলো আনাই ব্যর্থ।
আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। ইসলামে মৌলিক ইবাদতগুলো কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হালাল রুজি। ইবাদত করা যেমন ফরজ, তেমনি হালাল উপার্জনও ফরজ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হালাল রুজি অন্বেষণ করা ফরজের পরও একটি ফরজ।’ (বায়হাকি) ইসলামে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ২৩)
এ প্রসঙ্গে এক হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দীর্ঘ সফরে থাকা অবস্থায় এলোমেলো চুল ও ধূলি-ধূসরিত ক্লান্ত-শ্রান্ত বদনে আকাশের দিকে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করছে—হে আমার প্রভু, হে আমার প্রভু। অথচ সে যা খায় তা হারাম, যা পান করে তা হারাম, যা পরিধান করে তা হারাম এবং হারামের দ্বারা সে পুষ্টি অর্জন করে। বলো, তার প্রার্থনা কীভাবে কবুল হবে? (মুসলিম: ২৩৯৩)
অবৈধ পথে উপার্জনকারী বা হারাম ভক্ষণকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান। (মুসনাদে আহমাদ: ১৪৪৪১)
অসততা, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, কালোবাজারি, অতিরিক্ত মুনাফাখোর, ভেজাল কারবারি ইত্যাদি শরিয়তবিরোধী পথে টাকা কামানো নিতান্তই বোকামি। এটি জেনেশুনে আগুনে ঝাঁপ দেওয়ারই নামান্তর। অবৈধ পথে কিংবা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ সঞ্চয় করা কোনো সুবিবেচক মানুষের কাজ হতে পারে না। এটা নিকৃষ্ট, জঘন্যতম ও নিখাদ পাপ। আর পাপের প্রায়শ্চিত্ত অনিবার্য। যিনি করবেন তাকেই পাপের প্রতিফল ভোগ করতে হবে। পরকালে কেউ কারও সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। কারও পাপের ভাগ কেউই নেবেন না।
সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক মহান আল্লাহপাক মানুষের প্রতিটি কাজের হিসাব নেবেন। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোনো কিছুই বাদ যাবে না। পাপের চেয়ে পুণ্যের পাল্লা ভারী হলে আছে সুসংবাদ, বিপরীত হলে ভয়ানক দুঃসংবাদ। নেককার বান্দাদের জন্য মহান আল্লাহ পুরস্কার হিসেবে চির শান্তির বেহেশত প্রস্তুত করে রেখেছেন। অন্যদিকে পাপিষ্ঠদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জাহান্নাম। জাহান্নামে পাপিষ্ঠদের জন্য শাস্তির যে বন্দোবস্ত আল্লাহ করে রেখেছেন, তা অত্যন্ত ভয়াবহ।
জাহান্নামের এই ভয়ানক শাস্তি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ হলো কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনা করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যা অবলম্বন করলে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। তা হলো আল্লাহর কিতাব এবং আমার সুন্নাহ। ‘হাওজে’ (কাওসারে) আমার নিকট অবতরণ না করা পর্যন্ত তা বিচ্ছিন্ন হবে না।’ (হাকেম ৩১৯)
হাশরের দিনে মহান আল্লাহপাকের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে। এই হিসাব না দিয়ে কোনোভাবেই পার পাওয়ার সুযোগ নেই। হাদিসে বর্ণিত আছে, কিয়ামতের ময়দানে প্রত্যেক মানুষকে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে—১) সে তার জীবন কোন পথে শেষ করেছে, ২) যতটুকু দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করেছে তার ওপর কতটুকু আমল করেছে, ৩) সম্পদ কোন পথে আয় করেছে, ৪) সম্পদ কোন পথে ব্যয় করেছে, ৫) নিজের যৌবনকে কোন পথে শেষ করেছে। (জামে তিরমিজি: ২৪১৭)
অবৈধ পথে সম্পদ অর্জন করলে শেষবিচারের দিনে মহান আল্লাহর কাছে পাকড়াও হতে হবে, ভোগ করতে হবে কঠিন শাস্তি। জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। কেউই অন্য কারও পাপের দায়ভার নেবে না। তাহলে কেন অবৈধ পথে পা বাড়াবেন?
পৃথিবীতে মানুষের আয়ুষ্কাল অতি সামান্য। পরকালের জীবন অসীম-অনন্ত। ইহকালের সামান্য কয়েকটি বছর স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানোর জন্য দুর্নীতির আশ্রয় নিলে পরকালের অনন্ত সময়ে নিদারুণ কষ্ট ও যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। জাহান্নামের অতি তীব্র আগুনে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। ইহলোকের সামান্য সময়টুকু সততার সঙ্গে পার করতে পারলেই পরলোকের অনন্ত সময় সুখ ও শান্তিতে কাটবে। পারলৌকিক জীবনের ব্যাপারে উদাসীন মানুষটিই পৃথিবীর সবচেয়ে নির্বোধ মানুষ। সকল কাজে পরকালকে প্রাধান্য দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। লোভ-লালসা, দুঃখ-কষ্ট কিংবা কোনো চাপের কাছে মাথা নত করা যাবে না। কোনো পরিস্থিতিতেই পরকালকে বিসর্জন দেওয়া যাবে না।
পরকালের পরিণতির ভাবনাই মানুষকে দুর্নীতির মতো পাপকাজ থেকে বিরত রাখতে পারে। অধিকন্তু সমাজের সর্বস্তরে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্নীতির ক্ষেত্রসমূহ বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জনগণকে অধিকার সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিবাদমুখর হতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে। পরিবারের সদস্যদের আয়-ব্যয়ের খোঁজখবর রাখতে হবে। সর্বোপরি, নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। অন্য কোনো ব্যক্তিকে পরিবর্তন করার চেয়ে নিজে পরিবর্তিত হওয়াটাই দুর্নীতি প্রতিরোধের সহজতম উপায়। তুমি, আমি তথা আমরা মিলেই তো দেশ। নিজেকে বদলে ফেললেই দেশটা বদলে যাবে। নিজে দুর্নীতিমুক্ত হলেই পূরণ হবে দুর্নীতিমুক্ত দেশের আকাঙ্ক্ষা।
লেখক: জনসংযোগ কর্মকর্তা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়
পৃথিবী থেকে একদিন চিরতরে চলে যেতে হবে। যথাসময়ে মৃত্যুদূত দরজায় এসে কড়া নাড়বে। মৃত্যুর হাত থেকে কারও নিস্তার নেই। জন্ম নিলে মরতেই হবে। পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি, কখনো ঘটবে না। পৃথিবীতে মানুষের আয়ুষ্কালের তারতম্য আছে, এটা মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। বিন্দুমাত্র হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মৃত্যুর পর কয়েক টুকরা সাদা কাপড়েই বিদায় দেওয়া হবে। শূন্য হাতে অন্ধকার কবরে হবে ঠাঁই। মৃত্যুর পরে মহান আল্লাহর মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে, দিতে হবে কৃতকর্মের হিসাব। পাপপুণ্যের এই হিসাবে উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্যেই জীবনের চরম ও পরম সফলতা। কিন্তু বিপরীতটা হলে জীবনটা ষোলো আনাই ব্যর্থ।
আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। ইসলামে মৌলিক ইবাদতগুলো কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হালাল রুজি। ইবাদত করা যেমন ফরজ, তেমনি হালাল উপার্জনও ফরজ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হালাল রুজি অন্বেষণ করা ফরজের পরও একটি ফরজ।’ (বায়হাকি) ইসলামে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ২৩)
এ প্রসঙ্গে এক হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দীর্ঘ সফরে থাকা অবস্থায় এলোমেলো চুল ও ধূলি-ধূসরিত ক্লান্ত-শ্রান্ত বদনে আকাশের দিকে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করছে—হে আমার প্রভু, হে আমার প্রভু। অথচ সে যা খায় তা হারাম, যা পান করে তা হারাম, যা পরিধান করে তা হারাম এবং হারামের দ্বারা সে পুষ্টি অর্জন করে। বলো, তার প্রার্থনা কীভাবে কবুল হবে? (মুসলিম: ২৩৯৩)
অবৈধ পথে উপার্জনকারী বা হারাম ভক্ষণকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান। (মুসনাদে আহমাদ: ১৪৪৪১)
অসততা, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, কালোবাজারি, অতিরিক্ত মুনাফাখোর, ভেজাল কারবারি ইত্যাদি শরিয়তবিরোধী পথে টাকা কামানো নিতান্তই বোকামি। এটি জেনেশুনে আগুনে ঝাঁপ দেওয়ারই নামান্তর। অবৈধ পথে কিংবা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ সঞ্চয় করা কোনো সুবিবেচক মানুষের কাজ হতে পারে না। এটা নিকৃষ্ট, জঘন্যতম ও নিখাদ পাপ। আর পাপের প্রায়শ্চিত্ত অনিবার্য। যিনি করবেন তাকেই পাপের প্রতিফল ভোগ করতে হবে। পরকালে কেউ কারও সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। কারও পাপের ভাগ কেউই নেবেন না।
সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক মহান আল্লাহপাক মানুষের প্রতিটি কাজের হিসাব নেবেন। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোনো কিছুই বাদ যাবে না। পাপের চেয়ে পুণ্যের পাল্লা ভারী হলে আছে সুসংবাদ, বিপরীত হলে ভয়ানক দুঃসংবাদ। নেককার বান্দাদের জন্য মহান আল্লাহ পুরস্কার হিসেবে চির শান্তির বেহেশত প্রস্তুত করে রেখেছেন। অন্যদিকে পাপিষ্ঠদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জাহান্নাম। জাহান্নামে পাপিষ্ঠদের জন্য শাস্তির যে বন্দোবস্ত আল্লাহ করে রেখেছেন, তা অত্যন্ত ভয়াবহ।
জাহান্নামের এই ভয়ানক শাস্তি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ হলো কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনা করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যা অবলম্বন করলে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। তা হলো আল্লাহর কিতাব এবং আমার সুন্নাহ। ‘হাওজে’ (কাওসারে) আমার নিকট অবতরণ না করা পর্যন্ত তা বিচ্ছিন্ন হবে না।’ (হাকেম ৩১৯)
হাশরের দিনে মহান আল্লাহপাকের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে। এই হিসাব না দিয়ে কোনোভাবেই পার পাওয়ার সুযোগ নেই। হাদিসে বর্ণিত আছে, কিয়ামতের ময়দানে প্রত্যেক মানুষকে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে—১) সে তার জীবন কোন পথে শেষ করেছে, ২) যতটুকু দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করেছে তার ওপর কতটুকু আমল করেছে, ৩) সম্পদ কোন পথে আয় করেছে, ৪) সম্পদ কোন পথে ব্যয় করেছে, ৫) নিজের যৌবনকে কোন পথে শেষ করেছে। (জামে তিরমিজি: ২৪১৭)
অবৈধ পথে সম্পদ অর্জন করলে শেষবিচারের দিনে মহান আল্লাহর কাছে পাকড়াও হতে হবে, ভোগ করতে হবে কঠিন শাস্তি। জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। কেউই অন্য কারও পাপের দায়ভার নেবে না। তাহলে কেন অবৈধ পথে পা বাড়াবেন?
পৃথিবীতে মানুষের আয়ুষ্কাল অতি সামান্য। পরকালের জীবন অসীম-অনন্ত। ইহকালের সামান্য কয়েকটি বছর স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানোর জন্য দুর্নীতির আশ্রয় নিলে পরকালের অনন্ত সময়ে নিদারুণ কষ্ট ও যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। জাহান্নামের অতি তীব্র আগুনে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। ইহলোকের সামান্য সময়টুকু সততার সঙ্গে পার করতে পারলেই পরলোকের অনন্ত সময় সুখ ও শান্তিতে কাটবে। পারলৌকিক জীবনের ব্যাপারে উদাসীন মানুষটিই পৃথিবীর সবচেয়ে নির্বোধ মানুষ। সকল কাজে পরকালকে প্রাধান্য দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। লোভ-লালসা, দুঃখ-কষ্ট কিংবা কোনো চাপের কাছে মাথা নত করা যাবে না। কোনো পরিস্থিতিতেই পরকালকে বিসর্জন দেওয়া যাবে না।
পরকালের পরিণতির ভাবনাই মানুষকে দুর্নীতির মতো পাপকাজ থেকে বিরত রাখতে পারে। অধিকন্তু সমাজের সর্বস্তরে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্নীতির ক্ষেত্রসমূহ বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জনগণকে অধিকার সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিবাদমুখর হতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে। পরিবারের সদস্যদের আয়-ব্যয়ের খোঁজখবর রাখতে হবে। সর্বোপরি, নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। অন্য কোনো ব্যক্তিকে পরিবর্তন করার চেয়ে নিজে পরিবর্তিত হওয়াটাই দুর্নীতি প্রতিরোধের সহজতম উপায়। তুমি, আমি তথা আমরা মিলেই তো দেশ। নিজেকে বদলে ফেললেই দেশটা বদলে যাবে। নিজে দুর্নীতিমুক্ত হলেই পূরণ হবে দুর্নীতিমুক্ত দেশের আকাঙ্ক্ষা।
লেখক: জনসংযোগ কর্মকর্তা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়
আল্লাহর দরবারে বান্দার আমল কবুল হওয়ার প্রধানতম শর্ত হচ্ছে ইখলাস বা নিষ্ঠা। আমল হবে কেবল আল্লাহর জন্য, আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে; মানুষের প্রশংসা বা পার্থিব সুবিধার চিন্তা এতে থাকবে না। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কেবল একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
৯ ঘণ্টা আগেসুরা ইখলাস পবিত্র কোরআনের ১১২তম সুরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার চারটি আয়াত রয়েছে। মুশরিকেরা রাসুল (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, তার উত্তরে এই সুরা অবতীর্ণ হয়। উবাই ইবন কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, মুশরিকেরা একবার রাসুল (সা.)-কে বলল, ‘আপনি আপনার প্রভুর বংশতালিকা বর্ণনা করুন। আল্লাহ তাআলা তখন
১ দিন আগেহজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। তবে এর সঙ্গে আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্যের বিষয় জড়িত। তাই সবার জন্য হজ ফরজ নয়। হজ ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে।
২ দিন আগেইসলামে ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহর কুদরত এবং পূর্ববর্তী জাতিগুলোর পরিণাম দেখতে মহান আল্লাহ মানুষকে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের আদেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় ভ্রমণ করেছেন।
৩ দিন আগে