
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটগ্রহণে আর মাত্র তিন দিন বাকি। আগামী ৫ নভেম্বর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। বিভিন্ন জরিপ থেকে দেখা গেছে, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
তবে চূড়ান্ত বিচারে কে জিতবেন, তা এখনই বলা যাবে না, জানা যাবে আরও কয়েক দিন পর। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ‘নস্ত্রাদামুস’ খ্যাত অ্যালান লিচম্যান। তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে আসছেন। একবার ছাড়া প্রতিবারই তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী সফল হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডেকে অ্যালান লিচম্যান বলেছেন, আগামী মঙ্গলবার রাতে কমলা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে দেবেন। এর আগে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লিচম্যান বলেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবেন। অথচ, সে সময় বিভিন্ন জরিপে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এরপর, ২০২০ সালেও লিচম্যান জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পকে হারিয়ে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হবেন।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লিচম্যান বলেন, ‘জনমত জরিপের বিপরীতে গিয়ে আমি গত ৫ সেপ্টেম্বর যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম, তা পরিবর্তন করার দরকার পড়ে এমন কিছু ঘটেনি।’ আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের এই অধ্যাপক গত ৫ সেপ্টেম্বর বলেছিলেন যে, হ্যারিসই এবারের নির্বাচনে জিতবেন।
অ্যালান লিচম্যান সাধারণত বেশ কয়েকটি সূচকের ভিত্তিতে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী করে থাকেন। এসব সূচক কার ‘পক্ষে’ ও কার ‘বিপক্ষে’ তা আমলে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন লিচম্যান।
এসব সূচকের মধ্যে একটি হলো, মধ্যবর্তী নির্বাচনে কোন দল এগিয়ে থাকে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন বা মিডটার্ম ইলেকশনে ডেমোক্রেটিক পার্টি ভালো করেছিল তুলনামূলকভাবে। তবে তার পরও কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ কারণে এ ক্ষেত্রে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও কমলা হ্যারিসের সূচকের ফলাফল ‘বিপক্ষে’।
আরেকটি সূচক হলো ‘ধারাবাহিকতা’। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নয়। এ বিষয়ে লিচম্যান বলেন, ‘বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, যার কারণে এই সূচক ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে যেত।’ কিন্তু বিষয়টি ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে যায়নি।
প্রাইমারি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা ভালো করেছে—বিষয়টিকে ডেমোক্র্যাট তথা কমলা হ্যারিসের জন্য ‘পক্ষে’ সূচক বলে গণনা করছেন লিচম্যান। তৃতীয় পক্ষের প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়ে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন, যা কমলার ‘পক্ষের’ সূচক।
অর্থনীতি লিচম্যানের ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এ ক্ষেত্রে যেহেতু ‘স্বল্প মেয়াদে’ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দায় নেই, তাই বিষয়টি কমলা হ্যারিসের জন্য ‘পক্ষের’ সূচক হয়ে ধরা দেবে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনীতির বিষয়ে লিচম্যান বলছেন, ‘যেহেতু বাইডেনের মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের দুই মেয়াদের চেয়ে অনেক এগিয়ে, তাই বিষয়টি ডেমোক্র্যাট শিবিরের জন্য ‘পক্ষে’ হিসেবে বিবেচিত হবে।’
‘নীতির পরিবর্তন’ শীর্ষক যে সূচকটি লিচম্যান বিবেচনা করেন, সেটিও কমলা শিবিরের পক্ষে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্যারিস চুক্তিতে ফিরে আসা, চিপস বিল, অবকাঠামো বিল, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস (আইন) এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিলের মতো নীতিগত বিষয়গুলো কমলার জন্য ‘পক্ষের’ সূচক হিসেবে ধরা দেবে।
লিচম্যানের ভবিষ্যদ্বাণীর আরেকটি মূল বিষয় হলো ‘সামাজিক অস্থিরতা’। বিষয়টি আমলে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে তিনি বলেন, ‘এখনো কিছু অস্থিরতা আছে, কিন্তু এটি মূল চাবিকাঠি পরিবর্তন করতে দরকারি ব্যাপক ও স্থায়ী সামাজিক অস্থিরতার সঙ্গে কিছুই তুলনীয় নয়, তাই এটি (কমলার জন্য) ‘পক্ষের’ সূচক...তবে হ্যাঁ, বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য নীতির অনেক প্রতিবাদকারী রয়েছে, তবে এখন হ্যারিস সামনে আছেন, বাইডেন নয়, যা সামাজিক অস্থিরতা কমিয়ে দিয়েছে।’
হোয়াইট হাউস কেলেঙ্কারি—লিচম্যানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমার পছন্দের সূচক। রিপাবলিকানরা বছরের পর বছর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ওপর কেলেঙ্কারি চাপানোর চেষ্টা করছে এবং খালি হাতে ফিরে গেছে। তাই সূচকটি কমলা শিবিরের জন্য ‘পক্ষে’।’
ধারাবাহিক ‘ক্যারিশমা’ সূচকটির বিষয়ে লিচম্যান বলছেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সূচক। কিন্তু হ্যারিস এই সূচকে জনগণের আশাকে প্রতিফলিত করতে পারেননি তাঁর নেতৃত্বের মাঝে। তাই এই সূচকটি তাঁর জন্য ‘বিপক্ষে’ যাবে। এ ছাড়া, ‘চ্যালেঞ্জার ক্যারিশমা’ সূচকের বিষয়ে লিচম্যান বলছেন, এ ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে কমলা হ্যারিস। অর্থাৎ, এই সূচক কমলার ‘পক্ষে’।
অর্থাৎ, লিচম্যানের ১১টি সূচকের মধ্যে ৮টিই যাচ্ছে কমলা হ্যারিসের পক্ষে। বিপক্ষে যাচ্ছে মাত্র ৩টি। তাঁর মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যে অবস্থান বিবেচনায় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এই সময়ে এসেও তার খুব একটু পরিবর্তন হয়নি। আর তাই তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীও বহাল থাকছে। অর্থাৎ কমলা হ্যারিসই প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটগ্রহণে আর মাত্র তিন দিন বাকি। আগামী ৫ নভেম্বর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। বিভিন্ন জরিপ থেকে দেখা গেছে, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
তবে চূড়ান্ত বিচারে কে জিতবেন, তা এখনই বলা যাবে না, জানা যাবে আরও কয়েক দিন পর। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ‘নস্ত্রাদামুস’ খ্যাত অ্যালান লিচম্যান। তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে আসছেন। একবার ছাড়া প্রতিবারই তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী সফল হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডেকে অ্যালান লিচম্যান বলেছেন, আগামী মঙ্গলবার রাতে কমলা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে দেবেন। এর আগে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লিচম্যান বলেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবেন। অথচ, সে সময় বিভিন্ন জরিপে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এরপর, ২০২০ সালেও লিচম্যান জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পকে হারিয়ে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হবেন।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লিচম্যান বলেন, ‘জনমত জরিপের বিপরীতে গিয়ে আমি গত ৫ সেপ্টেম্বর যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম, তা পরিবর্তন করার দরকার পড়ে এমন কিছু ঘটেনি।’ আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের এই অধ্যাপক গত ৫ সেপ্টেম্বর বলেছিলেন যে, হ্যারিসই এবারের নির্বাচনে জিতবেন।
অ্যালান লিচম্যান সাধারণত বেশ কয়েকটি সূচকের ভিত্তিতে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী করে থাকেন। এসব সূচক কার ‘পক্ষে’ ও কার ‘বিপক্ষে’ তা আমলে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন লিচম্যান।
এসব সূচকের মধ্যে একটি হলো, মধ্যবর্তী নির্বাচনে কোন দল এগিয়ে থাকে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন বা মিডটার্ম ইলেকশনে ডেমোক্রেটিক পার্টি ভালো করেছিল তুলনামূলকভাবে। তবে তার পরও কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ কারণে এ ক্ষেত্রে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও কমলা হ্যারিসের সূচকের ফলাফল ‘বিপক্ষে’।
আরেকটি সূচক হলো ‘ধারাবাহিকতা’। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নয়। এ বিষয়ে লিচম্যান বলেন, ‘বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, যার কারণে এই সূচক ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে যেত।’ কিন্তু বিষয়টি ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে যায়নি।
প্রাইমারি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা ভালো করেছে—বিষয়টিকে ডেমোক্র্যাট তথা কমলা হ্যারিসের জন্য ‘পক্ষে’ সূচক বলে গণনা করছেন লিচম্যান। তৃতীয় পক্ষের প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়ে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন, যা কমলার ‘পক্ষের’ সূচক।
অর্থনীতি লিচম্যানের ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এ ক্ষেত্রে যেহেতু ‘স্বল্প মেয়াদে’ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দায় নেই, তাই বিষয়টি কমলা হ্যারিসের জন্য ‘পক্ষের’ সূচক হয়ে ধরা দেবে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনীতির বিষয়ে লিচম্যান বলছেন, ‘যেহেতু বাইডেনের মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের দুই মেয়াদের চেয়ে অনেক এগিয়ে, তাই বিষয়টি ডেমোক্র্যাট শিবিরের জন্য ‘পক্ষে’ হিসেবে বিবেচিত হবে।’
‘নীতির পরিবর্তন’ শীর্ষক যে সূচকটি লিচম্যান বিবেচনা করেন, সেটিও কমলা শিবিরের পক্ষে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্যারিস চুক্তিতে ফিরে আসা, চিপস বিল, অবকাঠামো বিল, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস (আইন) এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিলের মতো নীতিগত বিষয়গুলো কমলার জন্য ‘পক্ষের’ সূচক হিসেবে ধরা দেবে।
লিচম্যানের ভবিষ্যদ্বাণীর আরেকটি মূল বিষয় হলো ‘সামাজিক অস্থিরতা’। বিষয়টি আমলে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে তিনি বলেন, ‘এখনো কিছু অস্থিরতা আছে, কিন্তু এটি মূল চাবিকাঠি পরিবর্তন করতে দরকারি ব্যাপক ও স্থায়ী সামাজিক অস্থিরতার সঙ্গে কিছুই তুলনীয় নয়, তাই এটি (কমলার জন্য) ‘পক্ষের’ সূচক...তবে হ্যাঁ, বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য নীতির অনেক প্রতিবাদকারী রয়েছে, তবে এখন হ্যারিস সামনে আছেন, বাইডেন নয়, যা সামাজিক অস্থিরতা কমিয়ে দিয়েছে।’
হোয়াইট হাউস কেলেঙ্কারি—লিচম্যানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমার পছন্দের সূচক। রিপাবলিকানরা বছরের পর বছর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ওপর কেলেঙ্কারি চাপানোর চেষ্টা করছে এবং খালি হাতে ফিরে গেছে। তাই সূচকটি কমলা শিবিরের জন্য ‘পক্ষে’।’
ধারাবাহিক ‘ক্যারিশমা’ সূচকটির বিষয়ে লিচম্যান বলছেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সূচক। কিন্তু হ্যারিস এই সূচকে জনগণের আশাকে প্রতিফলিত করতে পারেননি তাঁর নেতৃত্বের মাঝে। তাই এই সূচকটি তাঁর জন্য ‘বিপক্ষে’ যাবে। এ ছাড়া, ‘চ্যালেঞ্জার ক্যারিশমা’ সূচকের বিষয়ে লিচম্যান বলছেন, এ ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে কমলা হ্যারিস। অর্থাৎ, এই সূচক কমলার ‘পক্ষে’।
অর্থাৎ, লিচম্যানের ১১টি সূচকের মধ্যে ৮টিই যাচ্ছে কমলা হ্যারিসের পক্ষে। বিপক্ষে যাচ্ছে মাত্র ৩টি। তাঁর মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যে অবস্থান বিবেচনায় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এই সময়ে এসেও তার খুব একটু পরিবর্তন হয়নি। আর তাই তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীও বহাল থাকছে। অর্থাৎ কমলা হ্যারিসই প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করে।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালায় এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেয়। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তর চেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করে।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালায় এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেয়। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তর চেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

লিচম্যানের ১১টি সূচকের মধ্যে ৮টিই যাচ্ছে কমলা হ্যারিসের পক্ষে। বিপক্ষে যাচ্ছে মাত্র ৩টি। তাঁর মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যে অবস্থান বিবেচনায় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এই সময়ে এসেও তার খুব একটু পরিবর্তন হয়নি। আর তাই তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীও বহাল থাকছে। অর্থাৎ কমলা হ্যারিসই প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন
০২ নভেম্বর ২০২৪
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

লিচম্যানের ১১টি সূচকের মধ্যে ৮টিই যাচ্ছে কমলা হ্যারিসের পক্ষে। বিপক্ষে যাচ্ছে মাত্র ৩টি। তাঁর মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যে অবস্থান বিবেচনায় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এই সময়ে এসেও তার খুব একটু পরিবর্তন হয়নি। আর তাই তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীও বহাল থাকছে। অর্থাৎ কমলা হ্যারিসই প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন
০২ নভেম্বর ২০২৪
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

লিচম্যানের ১১টি সূচকের মধ্যে ৮টিই যাচ্ছে কমলা হ্যারিসের পক্ষে। বিপক্ষে যাচ্ছে মাত্র ৩টি। তাঁর মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যে অবস্থান বিবেচনায় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এই সময়ে এসেও তার খুব একটু পরিবর্তন হয়নি। আর তাই তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীও বহাল থাকছে। অর্থাৎ কমলা হ্যারিসই প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন
০২ নভেম্বর ২০২৪
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

লিচম্যানের ১১টি সূচকের মধ্যে ৮টিই যাচ্ছে কমলা হ্যারিসের পক্ষে। বিপক্ষে যাচ্ছে মাত্র ৩টি। তাঁর মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যে অবস্থান বিবেচনায় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এই সময়ে এসেও তার খুব একটু পরিবর্তন হয়নি। আর তাই তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীও বহাল থাকছে। অর্থাৎ কমলা হ্যারিসই প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন
০২ নভেম্বর ২০২৪
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে