
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক এই চিনাবাদাম চাষি প্রেসিডেন্ট ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ এড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ক্ষমা করেছিলেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া প্রথম মার্কিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, জিমি মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে ঐতিহাসিক ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি সম্পাদনে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু ইরানের জিম্মি সংকট এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণের মোকাবিলায় খাবি খেয়েছেন। প্রথম মেয়াদ পূর্ণ করার পর ১৯৮০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হন তিনি।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর কার্টার বিশ্বজুড়ে শান্তি, পরিবেশ এবং মানবাধিকার নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাঁর এই পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁর ১০০ তম জন্মদিন উদ্যাপন করেন। তিনি দীর্ঘ সময় ক্যানসারের চিকিৎসাও নিয়েছিলেন এবং জীবনের শেষ ১৯ মাস হসপিস কেয়ারে কাটিয়েছেন।
জেমস আর্ল কার্টার জুনিয়র ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর জর্জিয়ার শহর প্লেইনসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তাঁর বাবা পারিবারিক চিনাবাদামের ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং মা লিলিয়ান ছিলেন নিবন্ধিত নার্স। ১৯৩০—এর দশকে মহামন্দার অভিজ্ঞতা এবং দৃঢ় ধর্মবিশ্বাস তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করেছিল।
উচ্চ বিদ্যালয়ে তারকা বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছিলেন কার্টার। এরপর তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে সাত বছর কাজ করেন। সেসময়ই তিনি তাঁর বোনের বন্ধু রোজালিনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং সাবমেরিন অফিসার হন। তবে ১৯৫৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর কার্টার বাদাম চাষে নামেন। প্রথম বছরের ফসল খরার কারণে নষ্ট হয়েছিল। তবে তারপরও কার্টার ব্যবসা চাঙা করেন এবং ক্রমেই সম্পদশালী হয়ে ওঠেন। তিনি স্থানীয় স্কুল ও গ্রন্থাগারের পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন। এর কয়েক বছর পর জর্জিয়া সিনেটে সিনেটর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট স্কুলে বর্ণবৈষম্য বিলুপ্ত করার রায় দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য থেকে ওঠে আসা কৃষক হিসেবে কার্টারের এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করার কথা ছিল—কিন্তু তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভিন্ন। জর্জিয়া সিনেটে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গ এড়িয়ে চলেছিলেন, যদিও তাঁর বাবা বিচ্ছিন্নতার পক্ষে ছিলেন। এমনকি তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যেও অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী ছিল।
এরপর ১৯৭০ সালে জর্জিয়ার গভর্নর হন জিমি। এর পর তিনি নাগরিকদের আরও অধিকারের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে শুরু করেন। গভর্নর হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সৎভাবে বলছি। বর্ণবৈষম্যের সময় শেষ।’ তাঁর মেয়াদে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে মার্টিন লুথার কিংয়ের ছবি আঁকিয়েছিলেন।
গভর্নর হিসেবে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে, আফ্রিকান-আমেরিকানদের সরকারি কাজে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তবে, গর্ভপাত আইন নিয়ে তাঁর উদার মনোভাব এবং তাঁর দৃঢ় খ্রিষ্টান বিশ্বাসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন ছিল। তিনি নারীদের গর্ভপাতের অধিকার সমর্থন করলেও তিনি এটির জন্য তহবিল বাড়াতে অস্বীকৃতি জানান।
জিমি কার্টার ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার জন্য প্রচারণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্র তখনো ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। প্রচারণায় তিনি নিজেকে এক চিনাবাদাম চাষি হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি ক্যাপিটল হিলের পেশাদার রাজনীতিবিদদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তাঁর সময়োপযোগী প্রচারণা কাজ করে। আমেরিকানরা একজন নবাগত নেতা চেয়েছিল এবং কার্টার সেই চাহিদা পূরণ করেছিলেন। নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর প্রথমদিকে, জনমত জরিপে দেখা গিয়েছিল যে, তিনি মাত্র ৪ শতাংশ ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন পাবেন। কিন্তু ৯ মাস পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করেন।

ক্ষমতায় প্রথম দিনেই তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে সেনাবাহিনীতে যোগদানের নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়া কয়েক লাখ পুরুষকে ক্ষমা করেন। সে সময়কার রিপাবলিকান সিনেটর ব্যারি গোল্ডওয়াটার এই সিদ্ধান্তকে ‘কোনো প্রেসিডেন্টের নেওয়া সবচেয়ে লজ্জাজনক কাজ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কার্টার স্বীকার করেছিলেন, এটি তাঁর দায়িত্ব পালনকালে নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।
কার্টার তাঁর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের নিয়োগ দেন এবং রোজালিনকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করেন। তিনি মার্কিন সংবিধানে একটি সমান অধিকার সংশোধনী আনার চেষ্টা করেছিলেন। যেটি লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা প্রতিশ্রুতি দিত।
জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক নেতাদের একজন হিসেবে কার্টার হোয়াইট হাউসে জিন্স ও সোয়েটার পরতেন এবং শক্তি সংরক্ষণের জন্য হিটার বন্ধ রাখতেন। তিনি হোয়াইট হাউস ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করেন—যা পরে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান সরিয়ে ফেলেন—এবং আলাস্কার অনাবাদি জমি রক্ষার জন্য আইন পাশ করেন।
আমেরিকার অর্থনীতি মন্দার দিকে যেতে থাকলে কার্টারের জনপ্রিয়তা পড়তে শুরু করে। জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ—যার মধ্যে গ্যাসোলিন রেশনিংও ছিল—গ্রহণ করতে দেশকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি, কিন্তু কংগ্রেসে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হন। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনাও পার্লামেন্টে ব্যর্থ হয়। বেকারত্ব ও সুদের হার দুটোই আকাশচুম্বী হয়ে যায়।
মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে তাঁর শুরুটা ছিল বিজয়ের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৮ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষর করেন। কিন্তু বিদেশে সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ইরানে বিপ্লব এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন ছিল কঠিন পরীক্ষা।
কার্টার তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তেহরানে জিম্মি মার্কিনিদের উদ্ধারে বলপ্রয়োগের চেষ্টা বিপর্যয়ে পরিণত হয়। এতে আট মার্কিন সেনা নিহত হন। এই ঘটনা নিশ্চিতভাবেই তাঁর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে শেষ করে দেয়। এরপর ১৯৮০ সালের নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডিকে পরাস্ত করেন কার্টার এবং পরবর্তী নির্বাচনে ৪১ শতাংশ পপুলার ভোট পান। কিন্তু এটি রোনাল্ড রিগ্যানকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। সাবেক এই অভিনেতা ইলেকটোরাল কলেজে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন।
প্রেসিডেন্সির শেষ দিনে কার্টার ইরান থেকে জিম্মিদের মুক্তির জন্য সফল আলোচনার ঘোষণা দেন। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জিম্মি মুক্তি দেখে যেতে পারেননি। দায়িত্ব ছাড়ার সময় কার্টারের জনপ্রিয়তা ছিল আমেরিকার যেকোনো প্রেসিডেন্টের মধ্যে সবচেয়ে কম। কিন্তু পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি তাঁর সুনাম পুনরুদ্ধারের জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালান।
মার্কিন সরকারের পক্ষে তিনি উত্তর কোরিয়ায় শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করেন—যা শেষ পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্র ভেঙে ফেলার জন্য একটি প্রাথমিক চুক্তি ‘অ্যাগ্রিড ফ্রেমওয়ার্কের’ দিকে নিয়ে যায়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরি ‘কার্টার প্রেসিডেনশিয়াল সেন্টার’ আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান এবং সংকট মোকাবিলায় ধারণা ও প্রোগ্রামগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
জিমি কার্টার ২০০২ সালে তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে—থিয়োডর রুজভেল্ট এবং উড্রো উইলসনের পর—নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তবে তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি তাঁর প্রেসিডেন্সির পরের কাজের জন্য এই সম্মান পান। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে একত্রে ‘দ্য এল্ডারস’ নামে একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী শান্তি এবং মানবাধিকারের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০০২ সালে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করার সময়—তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এটি পান—তিনি বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে গুরুতর এবং সর্বজনীন সমস্যা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী এবং দরিদ্র মানুষের মধ্যে বাড়তে থাকা ফারাক।’
দায়িত্ব থেকে অবসরের পর কার্টার একটি সাধারণ জীবনধারা বেছে নেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের আসন তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে চলেছেন এবং জর্জিয়ার প্লেইনসে স্ত্রী রোজালিনের সঙ্গে সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। জিমি কার্টার ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এতে কিছু ভুল দেখি না; যারা এটি করে তাদের দোষারোপ করি না। কিন্তু কখনই আমার ধনবান হওয়ার ইচ্ছা ছিল না।’
জিমি কার্টারই ছিলেন একমাত্র আধুনিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি রাজনীতিতে প্রবেশের আগে যে বাড়িতে বাস করতেন দায়িত্ব ছাড়ার পর সেখানেই ফিরে যান। তাঁর এই বাড়িটি ছিল একটি একতলা ও দুই শয়নকক্ষের বাড়ি। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, কার্টারদের বাড়ির মূল্য ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ডলার। যা তাদের রক্ষা করার জন্য বাইরে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের গাড়ির মূল্যের চেয়েও কম।
জিমি কার্টার ২০১৫ সালে জানান, তিনি ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই রোগেই তাঁর বাবা-মা এবং তিন বোন মারা গিয়েছিলেন। সে বছরই কোমর ভাঙার অপারেশনের কয়েক মাস পর তিনি আবার হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটির স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজে ফেরেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী ১৯৮৪ সালে দাতব্য সংস্থাটির সঙ্গে কাজ শুরু করেন এবং বছরের পর বছর ৪ হাজারের বেশি বাড়ি মেরামত করতে সাহায্য করেন।
তিনি প্লেইনসের মারানাথা ব্যাপটিস্ট চার্চের একটি সানডে স্কুলে পড়াতেও থাকেন। কখনো কখনো তিনি ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের তাঁর ক্লাসে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে রোজালিন কার্টার মারা যাওয়ার পর স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘৭৭ বছরের বিবাহিত জীবনের আমার স্ত্রী আমার করা প্রতিটি কাজের সমান অংশীদার ছিলেন।’
চলতি বছর নিজের জন্ম শতবর্ষ উদ্যাপনকালে কার্টার প্রমাণ করেন যে, তাঁর রাজনৈতিক সচেতনতা এখনো প্রখর। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শুধু নভেম্বরের নির্বাচনে কামলা হ্যারিসের জন্য ভোট দিতে চাই।’ তিনি সত্যিই ভোট দিতে পেরেছিলেন। তবে তাঁর রাজ্য জর্জিয়া শেষ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেয়।
কার্টারের আজীবন জনসেবার চালিকাশক্তি ছিল, তাঁর গভীর ধর্মবিশ্বাস। তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জনসেবাকে আলাদা করতে পারবেন না। আমি কখনোই ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং আমার রাজনৈতিক কর্তব্যের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব অনুভব করিনি। যদি আপনি একটিকে লঙ্ঘন করেন, তবে অন্যটিকেও লঙ্ঘন করবেন।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক এই চিনাবাদাম চাষি প্রেসিডেন্ট ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ এড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ক্ষমা করেছিলেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া প্রথম মার্কিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, জিমি মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে ঐতিহাসিক ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি সম্পাদনে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু ইরানের জিম্মি সংকট এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণের মোকাবিলায় খাবি খেয়েছেন। প্রথম মেয়াদ পূর্ণ করার পর ১৯৮০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হন তিনি।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর কার্টার বিশ্বজুড়ে শান্তি, পরিবেশ এবং মানবাধিকার নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাঁর এই পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁর ১০০ তম জন্মদিন উদ্যাপন করেন। তিনি দীর্ঘ সময় ক্যানসারের চিকিৎসাও নিয়েছিলেন এবং জীবনের শেষ ১৯ মাস হসপিস কেয়ারে কাটিয়েছেন।
জেমস আর্ল কার্টার জুনিয়র ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর জর্জিয়ার শহর প্লেইনসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তাঁর বাবা পারিবারিক চিনাবাদামের ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং মা লিলিয়ান ছিলেন নিবন্ধিত নার্স। ১৯৩০—এর দশকে মহামন্দার অভিজ্ঞতা এবং দৃঢ় ধর্মবিশ্বাস তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করেছিল।
উচ্চ বিদ্যালয়ে তারকা বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছিলেন কার্টার। এরপর তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে সাত বছর কাজ করেন। সেসময়ই তিনি তাঁর বোনের বন্ধু রোজালিনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং সাবমেরিন অফিসার হন। তবে ১৯৫৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর কার্টার বাদাম চাষে নামেন। প্রথম বছরের ফসল খরার কারণে নষ্ট হয়েছিল। তবে তারপরও কার্টার ব্যবসা চাঙা করেন এবং ক্রমেই সম্পদশালী হয়ে ওঠেন। তিনি স্থানীয় স্কুল ও গ্রন্থাগারের পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন। এর কয়েক বছর পর জর্জিয়া সিনেটে সিনেটর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট স্কুলে বর্ণবৈষম্য বিলুপ্ত করার রায় দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য থেকে ওঠে আসা কৃষক হিসেবে কার্টারের এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করার কথা ছিল—কিন্তু তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভিন্ন। জর্জিয়া সিনেটে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গ এড়িয়ে চলেছিলেন, যদিও তাঁর বাবা বিচ্ছিন্নতার পক্ষে ছিলেন। এমনকি তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যেও অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী ছিল।
এরপর ১৯৭০ সালে জর্জিয়ার গভর্নর হন জিমি। এর পর তিনি নাগরিকদের আরও অধিকারের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে শুরু করেন। গভর্নর হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সৎভাবে বলছি। বর্ণবৈষম্যের সময় শেষ।’ তাঁর মেয়াদে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে মার্টিন লুথার কিংয়ের ছবি আঁকিয়েছিলেন।
গভর্নর হিসেবে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে, আফ্রিকান-আমেরিকানদের সরকারি কাজে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তবে, গর্ভপাত আইন নিয়ে তাঁর উদার মনোভাব এবং তাঁর দৃঢ় খ্রিষ্টান বিশ্বাসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন ছিল। তিনি নারীদের গর্ভপাতের অধিকার সমর্থন করলেও তিনি এটির জন্য তহবিল বাড়াতে অস্বীকৃতি জানান।
জিমি কার্টার ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার জন্য প্রচারণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্র তখনো ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। প্রচারণায় তিনি নিজেকে এক চিনাবাদাম চাষি হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি ক্যাপিটল হিলের পেশাদার রাজনীতিবিদদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তাঁর সময়োপযোগী প্রচারণা কাজ করে। আমেরিকানরা একজন নবাগত নেতা চেয়েছিল এবং কার্টার সেই চাহিদা পূরণ করেছিলেন। নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর প্রথমদিকে, জনমত জরিপে দেখা গিয়েছিল যে, তিনি মাত্র ৪ শতাংশ ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন পাবেন। কিন্তু ৯ মাস পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করেন।

ক্ষমতায় প্রথম দিনেই তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে সেনাবাহিনীতে যোগদানের নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়া কয়েক লাখ পুরুষকে ক্ষমা করেন। সে সময়কার রিপাবলিকান সিনেটর ব্যারি গোল্ডওয়াটার এই সিদ্ধান্তকে ‘কোনো প্রেসিডেন্টের নেওয়া সবচেয়ে লজ্জাজনক কাজ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কার্টার স্বীকার করেছিলেন, এটি তাঁর দায়িত্ব পালনকালে নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।
কার্টার তাঁর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের নিয়োগ দেন এবং রোজালিনকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করেন। তিনি মার্কিন সংবিধানে একটি সমান অধিকার সংশোধনী আনার চেষ্টা করেছিলেন। যেটি লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা প্রতিশ্রুতি দিত।
জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক নেতাদের একজন হিসেবে কার্টার হোয়াইট হাউসে জিন্স ও সোয়েটার পরতেন এবং শক্তি সংরক্ষণের জন্য হিটার বন্ধ রাখতেন। তিনি হোয়াইট হাউস ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করেন—যা পরে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান সরিয়ে ফেলেন—এবং আলাস্কার অনাবাদি জমি রক্ষার জন্য আইন পাশ করেন।
আমেরিকার অর্থনীতি মন্দার দিকে যেতে থাকলে কার্টারের জনপ্রিয়তা পড়তে শুরু করে। জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ—যার মধ্যে গ্যাসোলিন রেশনিংও ছিল—গ্রহণ করতে দেশকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি, কিন্তু কংগ্রেসে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হন। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনাও পার্লামেন্টে ব্যর্থ হয়। বেকারত্ব ও সুদের হার দুটোই আকাশচুম্বী হয়ে যায়।
মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে তাঁর শুরুটা ছিল বিজয়ের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৮ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষর করেন। কিন্তু বিদেশে সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ইরানে বিপ্লব এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন ছিল কঠিন পরীক্ষা।
কার্টার তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তেহরানে জিম্মি মার্কিনিদের উদ্ধারে বলপ্রয়োগের চেষ্টা বিপর্যয়ে পরিণত হয়। এতে আট মার্কিন সেনা নিহত হন। এই ঘটনা নিশ্চিতভাবেই তাঁর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে শেষ করে দেয়। এরপর ১৯৮০ সালের নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডিকে পরাস্ত করেন কার্টার এবং পরবর্তী নির্বাচনে ৪১ শতাংশ পপুলার ভোট পান। কিন্তু এটি রোনাল্ড রিগ্যানকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। সাবেক এই অভিনেতা ইলেকটোরাল কলেজে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন।
প্রেসিডেন্সির শেষ দিনে কার্টার ইরান থেকে জিম্মিদের মুক্তির জন্য সফল আলোচনার ঘোষণা দেন। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জিম্মি মুক্তি দেখে যেতে পারেননি। দায়িত্ব ছাড়ার সময় কার্টারের জনপ্রিয়তা ছিল আমেরিকার যেকোনো প্রেসিডেন্টের মধ্যে সবচেয়ে কম। কিন্তু পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি তাঁর সুনাম পুনরুদ্ধারের জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালান।
মার্কিন সরকারের পক্ষে তিনি উত্তর কোরিয়ায় শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করেন—যা শেষ পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্র ভেঙে ফেলার জন্য একটি প্রাথমিক চুক্তি ‘অ্যাগ্রিড ফ্রেমওয়ার্কের’ দিকে নিয়ে যায়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরি ‘কার্টার প্রেসিডেনশিয়াল সেন্টার’ আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান এবং সংকট মোকাবিলায় ধারণা ও প্রোগ্রামগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
জিমি কার্টার ২০০২ সালে তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে—থিয়োডর রুজভেল্ট এবং উড্রো উইলসনের পর—নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তবে তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি তাঁর প্রেসিডেন্সির পরের কাজের জন্য এই সম্মান পান। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে একত্রে ‘দ্য এল্ডারস’ নামে একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী শান্তি এবং মানবাধিকারের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০০২ সালে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করার সময়—তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এটি পান—তিনি বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে গুরুতর এবং সর্বজনীন সমস্যা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী এবং দরিদ্র মানুষের মধ্যে বাড়তে থাকা ফারাক।’
দায়িত্ব থেকে অবসরের পর কার্টার একটি সাধারণ জীবনধারা বেছে নেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের আসন তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে চলেছেন এবং জর্জিয়ার প্লেইনসে স্ত্রী রোজালিনের সঙ্গে সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। জিমি কার্টার ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এতে কিছু ভুল দেখি না; যারা এটি করে তাদের দোষারোপ করি না। কিন্তু কখনই আমার ধনবান হওয়ার ইচ্ছা ছিল না।’
জিমি কার্টারই ছিলেন একমাত্র আধুনিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি রাজনীতিতে প্রবেশের আগে যে বাড়িতে বাস করতেন দায়িত্ব ছাড়ার পর সেখানেই ফিরে যান। তাঁর এই বাড়িটি ছিল একটি একতলা ও দুই শয়নকক্ষের বাড়ি। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, কার্টারদের বাড়ির মূল্য ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ডলার। যা তাদের রক্ষা করার জন্য বাইরে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের গাড়ির মূল্যের চেয়েও কম।
জিমি কার্টার ২০১৫ সালে জানান, তিনি ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই রোগেই তাঁর বাবা-মা এবং তিন বোন মারা গিয়েছিলেন। সে বছরই কোমর ভাঙার অপারেশনের কয়েক মাস পর তিনি আবার হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটির স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজে ফেরেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী ১৯৮৪ সালে দাতব্য সংস্থাটির সঙ্গে কাজ শুরু করেন এবং বছরের পর বছর ৪ হাজারের বেশি বাড়ি মেরামত করতে সাহায্য করেন।
তিনি প্লেইনসের মারানাথা ব্যাপটিস্ট চার্চের একটি সানডে স্কুলে পড়াতেও থাকেন। কখনো কখনো তিনি ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের তাঁর ক্লাসে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে রোজালিন কার্টার মারা যাওয়ার পর স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘৭৭ বছরের বিবাহিত জীবনের আমার স্ত্রী আমার করা প্রতিটি কাজের সমান অংশীদার ছিলেন।’
চলতি বছর নিজের জন্ম শতবর্ষ উদ্যাপনকালে কার্টার প্রমাণ করেন যে, তাঁর রাজনৈতিক সচেতনতা এখনো প্রখর। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শুধু নভেম্বরের নির্বাচনে কামলা হ্যারিসের জন্য ভোট দিতে চাই।’ তিনি সত্যিই ভোট দিতে পেরেছিলেন। তবে তাঁর রাজ্য জর্জিয়া শেষ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেয়।
কার্টারের আজীবন জনসেবার চালিকাশক্তি ছিল, তাঁর গভীর ধর্মবিশ্বাস। তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জনসেবাকে আলাদা করতে পারবেন না। আমি কখনোই ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং আমার রাজনৈতিক কর্তব্যের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব অনুভব করিনি। যদি আপনি একটিকে লঙ্ঘন করেন, তবে অন্যটিকেও লঙ্ঘন করবেন।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে