পরাগ মাঝি

১৯৭৬ সালে বাড়ি থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিলেন ক্যাথি ক্লেইনার। জীবনে এমন মধুর সময় তাঁর আর কখনোই আসেনি। বিশেষ করে মায়ের বকুনি আর কড়া শাসন থেকে দূরে এসে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন তিনি। সারা দিন কোথায় ছিলেন, কী করেছেন, কার সঙ্গে ঘুরেছেন—এসবেরও ছিল না কোনো জবাবদিহি। সংগঠন করতেন বলে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই একটি সরোরিটি হাউসে। একই সংগঠনের আরও জনা ত্রিশেক ছাত্রী ছিলেন ওই বাড়িতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রেমের উন্মাদনা আর বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-আড্ডায় দেখতে দেখতে কেটে গেল দুই বছর। তার পরই একদিন জীবনের এক কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হলেন তিনি।
১৯৭৮ সালের জানুয়ারি মাসের সেই দিনটি ছিল শনিবার। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ক্লান্ত ছিলেন ক্যাথি। দুই দিন পরই ছিল ক্যালকুলাস পরীক্ষা। তাই একটু পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু শরীর আর সায় দিল না। সেদিন তাই মাঝরাতের আগেই রুমমেট কারেন শ্যান্ডলারকে নিয়ে লাইট বন্ধ করে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।
মাঝরাত পেরিয়ে গেলে ঘুমের ঘোরেই কানে বাজে রুমের দরজা খোলার আওয়াজ। চোখ মেলে আলো-আঁধারির মাঝে চশমা ছাড়াই ক্যাথি দেখতে পান একটি মানুষের শরীর। সামনে দাঁড়িয়ে যেন তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছে! এর পরই দেখা গেল একটি হাত উঁচিয়ে ধরেছে অবয়বটি। পরক্ষণেই ক্যাথির মুখের ওপর সজোরে কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করল সে। ক্যাথির কাছে এই আঘাতকে একটি চড়ের মতো মনে হলো। যেন কোনো ব্যথাই পেলেন না তিনি। কিন্তু ওক গাছের একটি মোটা ডাল দিয়ে করা ওই আঘাতে ততক্ষণে চুরমার হয়ে গেছে ক্যাথির চোয়াল। গালের একপাশ ছিঁড়ে ঝুলে পড়েছে।
এর পরই ক্যাথির রুমমেট কারেনের বিছানার দিকে এগিয়ে যায় লোকটি। কারণ ততক্ষণে জেগে উঠেছিলেন কারেন। নির্মমভাবে আঘাত করা হয় তাঁকেও। ক্যাথি তখন চিৎকার করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজই বের হলো না। কারেনকে আঘাত করে লোকটি যখন দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাথির দিকে এগিয়ে এল, তখনই জানালা দিয়ে একটি গাড়ির হেডলাইটের উজ্জ্বল আলো এসে তার মুখের ওপর পড়ল। সরোরিটি হাউসে বসবাস করা এক ছাত্রীকে নামিয়ে দিতে এসেছিল ওই গাড়ি। মুখে আলো এসে পড়ায় ভরকে যায় হামলাকারী এবং রুম থেকে দৌড়ে পালায়। পালানোর সময়ও ওই বাড়ির কয়েক ব্লক দূরে আরেকটি বাড়িতে ঢুকে শেরিল থমাস নামে আরও এক নারীকে গুরুতর জখম করে যায় সে।
আদালতে প্রমাণ হয়েছিল, সেদিনের সেই হামলাকারী আর কেউ নন—আমেরিকার সবচেয়ে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার টেড বান্ডি। ক্যাথি আর কারেন সৌভাগ্যক্রমে তাঁর হাত থেকে বেঁচে গেলেও সেদিন রাতে ওই সরোরিটি হাউসেরই অন্য দুই ছাত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলেন তিনি। তাঁদের একজন মার্গারেট বোম্যান, অন্যজন লিসা লেভি। মূলত ওই বাড়িতে সবার আগে মার্গারেটের রুমেই প্রবেশ করেছিলেন বান্ডি। মার্গারেটকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তিনি যান লিসার রুমে। নির্মমভাবে হত্যা করেন তাঁকেও। শুধু তাই নয়, লিসার নিথর হয়ে যাওয়া দেহটিকে তিনি পাশবিক উপায়ে ধর্ষণও করেন। লিসার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল তাঁর কামড়ের দাগ। আর এই কামড়ের দাগই প্রমাণ করেছিল বান্ডির অপরাধ। ফ্লোরিডার আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
কিন্তু ফ্লোরিডার ওই ঘটনা ছিল টেড বান্ডির দ্বারা সংঘটিত সর্বশেষ নৃশংসতাগুলোর একটি। এর আগেই ওয়াশিংটন, ওরেগন, কলোরাডো, ইউটাহসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত সাতটি অঙ্গরাজ্যে আরও অসংখ্য নারীর জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছিলেন এই সুশিক্ষিত, স্মার্ট এবং সুদর্শন যুবক। নিজের জবানিতেই তিনি অন্তত ৩০ জন নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছিলেন। যদিও তাঁর শিকারের সংখ্যা ৪০-এর বেশি বলে মনে করেন অনেকে। এসব হত্যাকাণ্ডের বেশির ভাগই সংঘটিত হয়েছিল ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে।
১৯৭৪ সালের বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে ওয়াশিংটন এবং ওরেগন থেকে যখন একের পর এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন এর নেপথ্যের ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছিল রাজ্য দুটির পুলিশ। সেবার এ দুটি রাজ্যে মাত্র ছয় মাসেই ছয়জন নারী অপহৃত হন। ওয়াশিংটনের সিয়াটলে লেক সামামিশ স্টেট পার্ক থেকে একই দিনে প্রকাশ্য দিবালোকে নিখোঁজ হয়ে যান জেনিস অ্যান ও ডেনিস মেরি নামের দুই তরুণী। এ ঘটনা পুরো অঞ্চলে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তবে সেদিনই খুনিকে ধরার জন্য একটি সূত্র পেয়ে যায় পুলিশ। এক নারী এসে দাবি করেন, সুদর্শন এক যুবক তাঁকেও অপহরণ করতে চেয়েছিলেন। সরল বিশ্বাসে তিনি ওই যুবককে সাহায্য করতে গিয়েছিলেন। কারণ যুবকের একটি হাত আর্ম স্লিংয়ে (ব্যথাযুক্ত হাত গলায় ঝুলিয়ে রাখা) বাঁধা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সন্দেহ হলে তিনি যুবকের গাড়ির কাছ থেকে দ্রুত সরে এসেছিলেন।
টেড বান্ডির কাছ থেকে বেঁচে যাওয়া সেই নারীই পুলিশকে তাঁর চেহারা, বয়স ও শরীরের গড়ন সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, ঘন বাদামি চুলের ওই যুবকের ভক্সওয়াগন টেন বিটল মডেলের গাড়িটিও ছিল বাদামি। আর তাঁর চোখের মণি দুটি ছিল নীল।
নারীর বর্ণনা শুনে আঁকা একটি ছবি পরে পত্রিকায় প্রকাশ করে সন্দেহভাজন ব্যক্তির সন্ধান চায় পুলিশ। এই ছবি দেখে পুলিশের সঙ্গে অসংখ্য মানুষ যোগাযোগ করেন এবং সন্দেহভাজনদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। তবে তাঁদের মধ্যে অন্তত চারজন ছবিটি দেখে টেড বান্ডির মতো মনে হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই চারজনের মধ্যে একজন ছিলেন বান্ডির ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু, একজন তাঁর সহকর্মী এবং একজন শিক্ষক ছাড়াও ছিলেন তাঁর সেই সময়ের প্রেমিকা এলিজাবেথ ক্লোয়েফার! একটি পার্টিতে প্রথম দেখা হয়েছিল তাঁদের। দুবার বিবাহবিচ্ছেদের মুখোমুখি হওয়া এবং এক কন্যাসন্তানের জননী এলিজাবেথ প্রথম দেখাতেই বান্ডির প্রেমে পড়েছিলেন।
এদিকে চারজন টেড বান্ডির সঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তির চেহারার মিল থাকার কথা জানালেও পুলিশ তা শুরুতে উড়িয়ে দেয়। আইনে অধ্যয়নরত, এমন সুদর্শন আর মার্জিত ব্যক্তিত্বের একজন মানুষ, অতীতে যার কোনো অপরাধের রেকর্ডও নেই, তিনি কীভাবে একের পর এক নারীকে খুন করবেন, তা ছিল পুলিশের কল্পনারও অতীত। ১৯৭৮ সালে ফ্লোরিডার আদালতে চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এমন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বহুবার পার পেয়ে গেছেন বান্ডি। এমনকি তাঁর প্রতি মানুষের এমন মনোভবের সুযোগ নিয়ে দুবার জেল থেকেও পালিয়েছিলেন তিনি।
সন্দেহভাজন হিসেবে শুরুতে টেড বান্ডির বিষয়টি উড়িয়ে দিলেও পুলিশ ঠিকই তাঁর দিকে নজর রাখতে শুরু করেছিল। একপর্যায়ে ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট তাঁকে ট্রাফিক অমান্যের ফাঁদে ফেলে গ্রেপ্তারও করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর ভক্সওয়াগন টেন বিটল গাড়িটির ভেতরে একটি ধাতব দণ্ড, হ্যান্ডকাফ, রশি, গ্লাভস, মুখোশসহ সন্দেহজনক কিছু জিনিস জব্দ করা হয়। সে যাত্রায় জুতসই প্রমাণের অভাবে খুব দ্রুতই ছাড়া পেয়ে যান বান্ডি। তবে পুলিশের নজর বলে কথা! ফলে খুব ঘন ঘন তাঁকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয় এবং আদালতে তাঁর হাজিরা দেওয়া একটি নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়।
১৯৭৫ সালেই বান্ডিকে ক্যারল ডেরঞ্চ নামে এক নারীকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপহরণের পর বান্ডির হাত থেকে ফসকে গিয়েছিলেন ক্যারল। ফলে এই অপহরণে অবধারিতভাবে দোষী সাব্যস্ত হন বান্ডি। তাঁকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কলোরাডোর অ্যাসপেন কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৭৭ সালে কলোরাডোর আরেক তরুণীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয় তাঁকে। এই মামলায় নিজেই নিজের আইনজীবী হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন আইনের ছাত্র বান্ডি। এর ফলে তিনি আইনবিষয়ক পড়াশোনার জন্য আদালত চত্বরের লাইব্রেরিতে যাতায়াতের সুযোগ পেতেন। এই সুযোগেই একদিন লাইব্রেরির দোতলার জানালা থেকে লাফ দিয়ে পালান। কিন্তু আট দিনের মাথায় তিনি আবারও ধরা পড়ে যান।
সেই বছরের ডিসেম্বরে বান্ডি আবারও পালান। এবার অ্যাসপান কারাগারের যে কক্ষে তাঁকে রাখা হয়েছিল, সেই কক্ষের ছাদ কেটে ছোট একটি গর্ত তৈরি করেছিলেন তিনি। আর এই গর্ত দিয়ে সহজে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য শরীরের ১৪ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন। গর্ত দিয়ে বেরিয়ে তিনি জেলারের অফিসকক্ষে ঢুকে পড়েছিলেন। জেলার বাইরে থাকায় সেখানেই কয়েদির পোশাক পাল্টে সাধারণ মানুষের বেশে জেল থেকে বেরিয়ে যান। কেউ তাঁকে সন্দেহও করেনি। এবার আর কোনো ভুল করেননি বান্ডি। যত দ্রুত সম্ভব কলোরাডো ছেড়ে প্রায় ২ হাজার মাইল দূরের অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় গিয়ে হাজির হন। যথারীতি সেখানেও তিনি দুজন নারীকে হত্যার পাশাপাশি আরও তিনজনকে মারাত্মক আহত করেন। গল্পের শুরুতে বলা ক্যাথি ক্লেইনার ছিলেন তাঁদেরই একজন।
সরোরিটি হাউসে সেদিনের সেই হামলার পর ফ্লোরিডায়ই কিম্বার্লি ডায়ান লিচ নামে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকেও অপহরণের পর হত্যা করেছিলেন বান্ডি। ফেরারি জীবনে ফ্লোরিডায় কোনো পরিচয়পত্র তৈরির সুযোগ ছিল না তাঁর। ফলে চাকরিও জোটেনি। এ অবস্থায় চুরি আর ছিনতাই করেই দিন কাটছিল তাঁর। চুরি করা একটি গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চালাতে গিয়েই ফ্লোরিডার পুলিশের হাতে তিনি ধরা পড়ে যান। তবে পুলিশ তখনো জানত না এটাই আলোচিত ও কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার টেড বান্ডি।
বান্ডির পরিচয় ফাঁস হওয়ার পর ফ্লোরিডার কারাগারে থাকা অবস্থায়ই ওই রাজ্যের তিন নারীকে হত্যা এবং আরও তিনজনের ওপর গুরুতর হামলার অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এবারও নিজের মামলা নিজেই লড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই মামলা মিডিয়ার মাধ্যমে শুধু আমেরিকায় নয়, সারা পৃথিবীতেই আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়। মানুষের আগ্রহের কারণেই মামলাটির শুনানি হয় ক্যামেরার সামনে। অবাক করা বিষয় হলো, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মামলা চলার দিনগুলোতে আদালতকক্ষের ভেতরে বান্ডির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অসংখ্য মানুষ অবস্থান করতেন। বান্ডির এসব সমর্থকের প্রায় সবাই ছিলেন নারী। শুনানির সময় বান্ডি কোনো যুক্তি কিংবা পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করলে ওই নারীরা শিস বাজাতেন, হাততালি দিয়ে তাঁকে সাধুবাদ জানাতেন। নীল চোখে বান্ডি তাঁদের দিকে একনজর তাকিয়ে মুচকি হেসে নিজের আসনে গিয়ে বসতেন। শুনানির সেই দিনগুলোতে আদালতকক্ষে একজন নারীর উপস্থিতি ছিল অবশ্যম্ভাবী। তাঁর নাম ক্যারল অ্যান বোনি। অনেক আগে থেকেই বান্ডির প্রেমে পাগল ছিলেন তিনি। ফ্লোরিডার কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বান্ডিকে বিয়েও করেছিলেন। এমনকি বান্ডির একটি কন্যাসন্তানও তিনি গর্ভে ধারণ করেছিলেন।
আদালতে বান্ডির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার সময় তাঁকে উদ্দেশ্য করে বিচারক বলেছিলেন, ‘বৈদ্যুতিক শক দ্বারা আপনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আদেশ দেওয়া হলো। আপনি মারা না যাওয়া পর্যন্ত সেই বিদ্যুৎ আপনার শরীরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে। নিজের যত্ন নিন, যুবক। আপনাকে আন্তরিকতার সঙ্গেই বলছি; নিজের যত্ন নিন। এই কক্ষে মানবতার যে সম্পূর্ণ অপচয় আমি দেখেছি, তা এই আদালতের জন্য একটি চরম ট্র্যাজেডি। সুন্দর যুবক আপনি। ভালো আইনজীবী হওয়ার কথা ছিল। আপনাকে আমার সামনে প্র্যাকটিস করতে দেখলেই বেশি খুশি হতাম আমি। কিন্তু আপনি অন্য পথে চলে গেলেন, বন্ধু। নিজের যত্ন নিন।’
ফ্লোরিডার আদালতে বান্ডির মা-ও উপস্থিত ছিলেন। ছেলে এত বড় অপরাধী কিংবা তাঁর মৃত্যুদণ্ড হবে, তা তিনি ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি। তবু মায়ের মন বলে কথা। রায়ের আগে আদালতকক্ষে তিনি মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ছোটখাটো একটি বক্তব্যও দিয়েছিলেন।
জীবনের শুরুর দিকে মা ইলিনর লুইস কোয়েলকে নিজের বড় বোন হিসেবে জানতেন বান্ডি। আর নানা-নানিকে ভাবতেন বাবা-মা। কারণ মায়ের অপরিণত বয়সেই তিনি গর্ভে এসেছিলেন। সত্যিকার বাবার পরিচয় কোনো দিনও জানা হয়নি তাঁর। কোয়েল অবশ্য দাবি করতেন, জ্যাক ওর্থিংটন নামে এক নাবিকের সঙ্গে মিলনের ফলেই বান্ডির জন্ম হয়েছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে এই নামে নৌবাহিনীতে কারও অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
টেড বান্ডির রহস্যময় সেই জীবনের ইতি ঘটে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার আরও প্রায় এক দশক পর ১৯৮৯ সালে। ফ্লোরিডার কারাগারে বৈদ্যুতিক চেয়ারে বসিয়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুর আগে বান্ডি বলে গিয়েছিলেন, তাঁর দেহাবশেষ যেন কেসকেড মাউন্টেন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ওয়াশিংটন ও ওরেগনজুড়ে বিস্তৃত এই পাহাড়ি বনাঞ্চলেই বান্ডি তাঁর বেশির ভাগ শিকারকে গুম করেছিলেন।

১৯৭৬ সালে বাড়ি থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিলেন ক্যাথি ক্লেইনার। জীবনে এমন মধুর সময় তাঁর আর কখনোই আসেনি। বিশেষ করে মায়ের বকুনি আর কড়া শাসন থেকে দূরে এসে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন তিনি। সারা দিন কোথায় ছিলেন, কী করেছেন, কার সঙ্গে ঘুরেছেন—এসবেরও ছিল না কোনো জবাবদিহি। সংগঠন করতেন বলে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই একটি সরোরিটি হাউসে। একই সংগঠনের আরও জনা ত্রিশেক ছাত্রী ছিলেন ওই বাড়িতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রেমের উন্মাদনা আর বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-আড্ডায় দেখতে দেখতে কেটে গেল দুই বছর। তার পরই একদিন জীবনের এক কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হলেন তিনি।
১৯৭৮ সালের জানুয়ারি মাসের সেই দিনটি ছিল শনিবার। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ক্লান্ত ছিলেন ক্যাথি। দুই দিন পরই ছিল ক্যালকুলাস পরীক্ষা। তাই একটু পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু শরীর আর সায় দিল না। সেদিন তাই মাঝরাতের আগেই রুমমেট কারেন শ্যান্ডলারকে নিয়ে লাইট বন্ধ করে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।
মাঝরাত পেরিয়ে গেলে ঘুমের ঘোরেই কানে বাজে রুমের দরজা খোলার আওয়াজ। চোখ মেলে আলো-আঁধারির মাঝে চশমা ছাড়াই ক্যাথি দেখতে পান একটি মানুষের শরীর। সামনে দাঁড়িয়ে যেন তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছে! এর পরই দেখা গেল একটি হাত উঁচিয়ে ধরেছে অবয়বটি। পরক্ষণেই ক্যাথির মুখের ওপর সজোরে কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করল সে। ক্যাথির কাছে এই আঘাতকে একটি চড়ের মতো মনে হলো। যেন কোনো ব্যথাই পেলেন না তিনি। কিন্তু ওক গাছের একটি মোটা ডাল দিয়ে করা ওই আঘাতে ততক্ষণে চুরমার হয়ে গেছে ক্যাথির চোয়াল। গালের একপাশ ছিঁড়ে ঝুলে পড়েছে।
এর পরই ক্যাথির রুমমেট কারেনের বিছানার দিকে এগিয়ে যায় লোকটি। কারণ ততক্ষণে জেগে উঠেছিলেন কারেন। নির্মমভাবে আঘাত করা হয় তাঁকেও। ক্যাথি তখন চিৎকার করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজই বের হলো না। কারেনকে আঘাত করে লোকটি যখন দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাথির দিকে এগিয়ে এল, তখনই জানালা দিয়ে একটি গাড়ির হেডলাইটের উজ্জ্বল আলো এসে তার মুখের ওপর পড়ল। সরোরিটি হাউসে বসবাস করা এক ছাত্রীকে নামিয়ে দিতে এসেছিল ওই গাড়ি। মুখে আলো এসে পড়ায় ভরকে যায় হামলাকারী এবং রুম থেকে দৌড়ে পালায়। পালানোর সময়ও ওই বাড়ির কয়েক ব্লক দূরে আরেকটি বাড়িতে ঢুকে শেরিল থমাস নামে আরও এক নারীকে গুরুতর জখম করে যায় সে।
আদালতে প্রমাণ হয়েছিল, সেদিনের সেই হামলাকারী আর কেউ নন—আমেরিকার সবচেয়ে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার টেড বান্ডি। ক্যাথি আর কারেন সৌভাগ্যক্রমে তাঁর হাত থেকে বেঁচে গেলেও সেদিন রাতে ওই সরোরিটি হাউসেরই অন্য দুই ছাত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলেন তিনি। তাঁদের একজন মার্গারেট বোম্যান, অন্যজন লিসা লেভি। মূলত ওই বাড়িতে সবার আগে মার্গারেটের রুমেই প্রবেশ করেছিলেন বান্ডি। মার্গারেটকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তিনি যান লিসার রুমে। নির্মমভাবে হত্যা করেন তাঁকেও। শুধু তাই নয়, লিসার নিথর হয়ে যাওয়া দেহটিকে তিনি পাশবিক উপায়ে ধর্ষণও করেন। লিসার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল তাঁর কামড়ের দাগ। আর এই কামড়ের দাগই প্রমাণ করেছিল বান্ডির অপরাধ। ফ্লোরিডার আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
কিন্তু ফ্লোরিডার ওই ঘটনা ছিল টেড বান্ডির দ্বারা সংঘটিত সর্বশেষ নৃশংসতাগুলোর একটি। এর আগেই ওয়াশিংটন, ওরেগন, কলোরাডো, ইউটাহসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত সাতটি অঙ্গরাজ্যে আরও অসংখ্য নারীর জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছিলেন এই সুশিক্ষিত, স্মার্ট এবং সুদর্শন যুবক। নিজের জবানিতেই তিনি অন্তত ৩০ জন নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছিলেন। যদিও তাঁর শিকারের সংখ্যা ৪০-এর বেশি বলে মনে করেন অনেকে। এসব হত্যাকাণ্ডের বেশির ভাগই সংঘটিত হয়েছিল ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে।
১৯৭৪ সালের বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে ওয়াশিংটন এবং ওরেগন থেকে যখন একের পর এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন এর নেপথ্যের ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছিল রাজ্য দুটির পুলিশ। সেবার এ দুটি রাজ্যে মাত্র ছয় মাসেই ছয়জন নারী অপহৃত হন। ওয়াশিংটনের সিয়াটলে লেক সামামিশ স্টেট পার্ক থেকে একই দিনে প্রকাশ্য দিবালোকে নিখোঁজ হয়ে যান জেনিস অ্যান ও ডেনিস মেরি নামের দুই তরুণী। এ ঘটনা পুরো অঞ্চলে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তবে সেদিনই খুনিকে ধরার জন্য একটি সূত্র পেয়ে যায় পুলিশ। এক নারী এসে দাবি করেন, সুদর্শন এক যুবক তাঁকেও অপহরণ করতে চেয়েছিলেন। সরল বিশ্বাসে তিনি ওই যুবককে সাহায্য করতে গিয়েছিলেন। কারণ যুবকের একটি হাত আর্ম স্লিংয়ে (ব্যথাযুক্ত হাত গলায় ঝুলিয়ে রাখা) বাঁধা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সন্দেহ হলে তিনি যুবকের গাড়ির কাছ থেকে দ্রুত সরে এসেছিলেন।
টেড বান্ডির কাছ থেকে বেঁচে যাওয়া সেই নারীই পুলিশকে তাঁর চেহারা, বয়স ও শরীরের গড়ন সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, ঘন বাদামি চুলের ওই যুবকের ভক্সওয়াগন টেন বিটল মডেলের গাড়িটিও ছিল বাদামি। আর তাঁর চোখের মণি দুটি ছিল নীল।
নারীর বর্ণনা শুনে আঁকা একটি ছবি পরে পত্রিকায় প্রকাশ করে সন্দেহভাজন ব্যক্তির সন্ধান চায় পুলিশ। এই ছবি দেখে পুলিশের সঙ্গে অসংখ্য মানুষ যোগাযোগ করেন এবং সন্দেহভাজনদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। তবে তাঁদের মধ্যে অন্তত চারজন ছবিটি দেখে টেড বান্ডির মতো মনে হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই চারজনের মধ্যে একজন ছিলেন বান্ডির ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু, একজন তাঁর সহকর্মী এবং একজন শিক্ষক ছাড়াও ছিলেন তাঁর সেই সময়ের প্রেমিকা এলিজাবেথ ক্লোয়েফার! একটি পার্টিতে প্রথম দেখা হয়েছিল তাঁদের। দুবার বিবাহবিচ্ছেদের মুখোমুখি হওয়া এবং এক কন্যাসন্তানের জননী এলিজাবেথ প্রথম দেখাতেই বান্ডির প্রেমে পড়েছিলেন।
এদিকে চারজন টেড বান্ডির সঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তির চেহারার মিল থাকার কথা জানালেও পুলিশ তা শুরুতে উড়িয়ে দেয়। আইনে অধ্যয়নরত, এমন সুদর্শন আর মার্জিত ব্যক্তিত্বের একজন মানুষ, অতীতে যার কোনো অপরাধের রেকর্ডও নেই, তিনি কীভাবে একের পর এক নারীকে খুন করবেন, তা ছিল পুলিশের কল্পনারও অতীত। ১৯৭৮ সালে ফ্লোরিডার আদালতে চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এমন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বহুবার পার পেয়ে গেছেন বান্ডি। এমনকি তাঁর প্রতি মানুষের এমন মনোভবের সুযোগ নিয়ে দুবার জেল থেকেও পালিয়েছিলেন তিনি।
সন্দেহভাজন হিসেবে শুরুতে টেড বান্ডির বিষয়টি উড়িয়ে দিলেও পুলিশ ঠিকই তাঁর দিকে নজর রাখতে শুরু করেছিল। একপর্যায়ে ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট তাঁকে ট্রাফিক অমান্যের ফাঁদে ফেলে গ্রেপ্তারও করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর ভক্সওয়াগন টেন বিটল গাড়িটির ভেতরে একটি ধাতব দণ্ড, হ্যান্ডকাফ, রশি, গ্লাভস, মুখোশসহ সন্দেহজনক কিছু জিনিস জব্দ করা হয়। সে যাত্রায় জুতসই প্রমাণের অভাবে খুব দ্রুতই ছাড়া পেয়ে যান বান্ডি। তবে পুলিশের নজর বলে কথা! ফলে খুব ঘন ঘন তাঁকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয় এবং আদালতে তাঁর হাজিরা দেওয়া একটি নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়।
১৯৭৫ সালেই বান্ডিকে ক্যারল ডেরঞ্চ নামে এক নারীকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপহরণের পর বান্ডির হাত থেকে ফসকে গিয়েছিলেন ক্যারল। ফলে এই অপহরণে অবধারিতভাবে দোষী সাব্যস্ত হন বান্ডি। তাঁকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কলোরাডোর অ্যাসপেন কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৭৭ সালে কলোরাডোর আরেক তরুণীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয় তাঁকে। এই মামলায় নিজেই নিজের আইনজীবী হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন আইনের ছাত্র বান্ডি। এর ফলে তিনি আইনবিষয়ক পড়াশোনার জন্য আদালত চত্বরের লাইব্রেরিতে যাতায়াতের সুযোগ পেতেন। এই সুযোগেই একদিন লাইব্রেরির দোতলার জানালা থেকে লাফ দিয়ে পালান। কিন্তু আট দিনের মাথায় তিনি আবারও ধরা পড়ে যান।
সেই বছরের ডিসেম্বরে বান্ডি আবারও পালান। এবার অ্যাসপান কারাগারের যে কক্ষে তাঁকে রাখা হয়েছিল, সেই কক্ষের ছাদ কেটে ছোট একটি গর্ত তৈরি করেছিলেন তিনি। আর এই গর্ত দিয়ে সহজে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য শরীরের ১৪ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন। গর্ত দিয়ে বেরিয়ে তিনি জেলারের অফিসকক্ষে ঢুকে পড়েছিলেন। জেলার বাইরে থাকায় সেখানেই কয়েদির পোশাক পাল্টে সাধারণ মানুষের বেশে জেল থেকে বেরিয়ে যান। কেউ তাঁকে সন্দেহও করেনি। এবার আর কোনো ভুল করেননি বান্ডি। যত দ্রুত সম্ভব কলোরাডো ছেড়ে প্রায় ২ হাজার মাইল দূরের অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় গিয়ে হাজির হন। যথারীতি সেখানেও তিনি দুজন নারীকে হত্যার পাশাপাশি আরও তিনজনকে মারাত্মক আহত করেন। গল্পের শুরুতে বলা ক্যাথি ক্লেইনার ছিলেন তাঁদেরই একজন।
সরোরিটি হাউসে সেদিনের সেই হামলার পর ফ্লোরিডায়ই কিম্বার্লি ডায়ান লিচ নামে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকেও অপহরণের পর হত্যা করেছিলেন বান্ডি। ফেরারি জীবনে ফ্লোরিডায় কোনো পরিচয়পত্র তৈরির সুযোগ ছিল না তাঁর। ফলে চাকরিও জোটেনি। এ অবস্থায় চুরি আর ছিনতাই করেই দিন কাটছিল তাঁর। চুরি করা একটি গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চালাতে গিয়েই ফ্লোরিডার পুলিশের হাতে তিনি ধরা পড়ে যান। তবে পুলিশ তখনো জানত না এটাই আলোচিত ও কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার টেড বান্ডি।
বান্ডির পরিচয় ফাঁস হওয়ার পর ফ্লোরিডার কারাগারে থাকা অবস্থায়ই ওই রাজ্যের তিন নারীকে হত্যা এবং আরও তিনজনের ওপর গুরুতর হামলার অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এবারও নিজের মামলা নিজেই লড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই মামলা মিডিয়ার মাধ্যমে শুধু আমেরিকায় নয়, সারা পৃথিবীতেই আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়। মানুষের আগ্রহের কারণেই মামলাটির শুনানি হয় ক্যামেরার সামনে। অবাক করা বিষয় হলো, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মামলা চলার দিনগুলোতে আদালতকক্ষের ভেতরে বান্ডির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অসংখ্য মানুষ অবস্থান করতেন। বান্ডির এসব সমর্থকের প্রায় সবাই ছিলেন নারী। শুনানির সময় বান্ডি কোনো যুক্তি কিংবা পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করলে ওই নারীরা শিস বাজাতেন, হাততালি দিয়ে তাঁকে সাধুবাদ জানাতেন। নীল চোখে বান্ডি তাঁদের দিকে একনজর তাকিয়ে মুচকি হেসে নিজের আসনে গিয়ে বসতেন। শুনানির সেই দিনগুলোতে আদালতকক্ষে একজন নারীর উপস্থিতি ছিল অবশ্যম্ভাবী। তাঁর নাম ক্যারল অ্যান বোনি। অনেক আগে থেকেই বান্ডির প্রেমে পাগল ছিলেন তিনি। ফ্লোরিডার কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বান্ডিকে বিয়েও করেছিলেন। এমনকি বান্ডির একটি কন্যাসন্তানও তিনি গর্ভে ধারণ করেছিলেন।
আদালতে বান্ডির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার সময় তাঁকে উদ্দেশ্য করে বিচারক বলেছিলেন, ‘বৈদ্যুতিক শক দ্বারা আপনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আদেশ দেওয়া হলো। আপনি মারা না যাওয়া পর্যন্ত সেই বিদ্যুৎ আপনার শরীরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে। নিজের যত্ন নিন, যুবক। আপনাকে আন্তরিকতার সঙ্গেই বলছি; নিজের যত্ন নিন। এই কক্ষে মানবতার যে সম্পূর্ণ অপচয় আমি দেখেছি, তা এই আদালতের জন্য একটি চরম ট্র্যাজেডি। সুন্দর যুবক আপনি। ভালো আইনজীবী হওয়ার কথা ছিল। আপনাকে আমার সামনে প্র্যাকটিস করতে দেখলেই বেশি খুশি হতাম আমি। কিন্তু আপনি অন্য পথে চলে গেলেন, বন্ধু। নিজের যত্ন নিন।’
ফ্লোরিডার আদালতে বান্ডির মা-ও উপস্থিত ছিলেন। ছেলে এত বড় অপরাধী কিংবা তাঁর মৃত্যুদণ্ড হবে, তা তিনি ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি। তবু মায়ের মন বলে কথা। রায়ের আগে আদালতকক্ষে তিনি মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ছোটখাটো একটি বক্তব্যও দিয়েছিলেন।
জীবনের শুরুর দিকে মা ইলিনর লুইস কোয়েলকে নিজের বড় বোন হিসেবে জানতেন বান্ডি। আর নানা-নানিকে ভাবতেন বাবা-মা। কারণ মায়ের অপরিণত বয়সেই তিনি গর্ভে এসেছিলেন। সত্যিকার বাবার পরিচয় কোনো দিনও জানা হয়নি তাঁর। কোয়েল অবশ্য দাবি করতেন, জ্যাক ওর্থিংটন নামে এক নাবিকের সঙ্গে মিলনের ফলেই বান্ডির জন্ম হয়েছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে এই নামে নৌবাহিনীতে কারও অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
টেড বান্ডির রহস্যময় সেই জীবনের ইতি ঘটে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার আরও প্রায় এক দশক পর ১৯৮৯ সালে। ফ্লোরিডার কারাগারে বৈদ্যুতিক চেয়ারে বসিয়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুর আগে বান্ডি বলে গিয়েছিলেন, তাঁর দেহাবশেষ যেন কেসকেড মাউন্টেন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ওয়াশিংটন ও ওরেগনজুড়ে বিস্তৃত এই পাহাড়ি বনাঞ্চলেই বান্ডি তাঁর বেশির ভাগ শিকারকে গুম করেছিলেন।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

১৯৭৬ সালে বাড়ি থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিলেন ক্যাথি ক্লেইনার। জীবনে এমন মধুর সময় তাঁর আর কখনোই আসেনি। বিশেষ করে মায়ের বকুনি আর কড়া শাসন থেকে দূরে এসে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন তিনি। সারা দিন কোথায় ছিলেন, কী করেছেন, কার সঙ্গে ঘুরেছেন—এসবেরও ছিল না কোনো জবাবদিহি।
০৫ জুলাই ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় ভুলভাবে আটক হওয়া, আটক অবস্থায় নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ, স্থানীয় আইনের স্বেচ্ছাচারী প্রয়োগ, অপরাধ, নাগরিক অস্থিরতা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তাই দেশটিতে ভ্রমণ না করতে এবং সেখানে অবস্থান না করতে মার্কিন নাগরিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও আইনগত স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশ ছাড়তে জোরালো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সতর্কবার্তা এল এমন এক সময়, যার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রাণঘাতী হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকা লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত হয়েছেন বলে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়।
সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী এই নৌযানটি একটি ‘সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত সংগঠনের’ সঙ্গে যুক্ত। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, নৌকাটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর পথে অবৈধ মাদক পরিবহন করছিল। এক্সে দেওয়া পোস্টে সাউদার্ন কমান্ড জানায়, নৌকায় থাকা চার পুরুষ ‘মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বহু ইঞ্জিনবিশিষ্ট দ্রুতগতির নৌকাটি আচমকা একটি প্রবল বিস্ফোরণে আঘাত পেয়ে আগুনে ঘিরে যায়।
ঘটনাটি অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত মাদকবিরোধী সামরিক অভিযানের অংশ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অভিযান নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে, কারণ এতে নিহতের সংখ্যা এখন ৮৫–এর বেশি ছাড়িয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনার জেরে একযোগে ছয়টি বড় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনের অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি বাতিল করেছে ভেনেজুয়েলা। এর আগে মার্কিন সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলার কারাকাসগামী ফ্লাইটগুলো স্থগিত করেছিল এই এয়ারলাইনগুলো। পরে ভেনেজুয়েলা তাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ২৭ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়া এয়ারলাইনগুলো হলো—আইবেরিয়া, টিএপি পর্তুগাল, গোল, লাতাম, অ্যাভিয়াঙ্কা এবং টার্কিশ এয়ারলাইনস। ভেনেজুয়েলার এই সিদ্ধান্তে হাজারো যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। তবে কিছু ছোট ছোট এয়ারলাইন এখনো দেশটিতে যাতায়াত করছে।
সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ঘিরে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় এলাকায় ১৫ হাজার সেনা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, এই অভিযান মাদকবিরোধী তৎপরতার অংশ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকবিরোধী অভিযানে এত বড় সামরিক উপস্থিতি সাধারণত দেখা যায় না।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় ভুলভাবে আটক হওয়া, আটক অবস্থায় নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ, স্থানীয় আইনের স্বেচ্ছাচারী প্রয়োগ, অপরাধ, নাগরিক অস্থিরতা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তাই দেশটিতে ভ্রমণ না করতে এবং সেখানে অবস্থান না করতে মার্কিন নাগরিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও আইনগত স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশ ছাড়তে জোরালো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সতর্কবার্তা এল এমন এক সময়, যার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রাণঘাতী হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকা লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত হয়েছেন বলে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়।
সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী এই নৌযানটি একটি ‘সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত সংগঠনের’ সঙ্গে যুক্ত। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, নৌকাটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর পথে অবৈধ মাদক পরিবহন করছিল। এক্সে দেওয়া পোস্টে সাউদার্ন কমান্ড জানায়, নৌকায় থাকা চার পুরুষ ‘মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বহু ইঞ্জিনবিশিষ্ট দ্রুতগতির নৌকাটি আচমকা একটি প্রবল বিস্ফোরণে আঘাত পেয়ে আগুনে ঘিরে যায়।
ঘটনাটি অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত মাদকবিরোধী সামরিক অভিযানের অংশ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অভিযান নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে, কারণ এতে নিহতের সংখ্যা এখন ৮৫–এর বেশি ছাড়িয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনার জেরে একযোগে ছয়টি বড় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনের অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি বাতিল করেছে ভেনেজুয়েলা। এর আগে মার্কিন সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলার কারাকাসগামী ফ্লাইটগুলো স্থগিত করেছিল এই এয়ারলাইনগুলো। পরে ভেনেজুয়েলা তাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ২৭ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়া এয়ারলাইনগুলো হলো—আইবেরিয়া, টিএপি পর্তুগাল, গোল, লাতাম, অ্যাভিয়াঙ্কা এবং টার্কিশ এয়ারলাইনস। ভেনেজুয়েলার এই সিদ্ধান্তে হাজারো যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। তবে কিছু ছোট ছোট এয়ারলাইন এখনো দেশটিতে যাতায়াত করছে।
সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ঘিরে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় এলাকায় ১৫ হাজার সেনা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, এই অভিযান মাদকবিরোধী তৎপরতার অংশ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকবিরোধী অভিযানে এত বড় সামরিক উপস্থিতি সাধারণত দেখা যায় না।

১৯৭৬ সালে বাড়ি থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিলেন ক্যাথি ক্লেইনার। জীবনে এমন মধুর সময় তাঁর আর কখনোই আসেনি। বিশেষ করে মায়ের বকুনি আর কড়া শাসন থেকে দূরে এসে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন তিনি। সারা দিন কোথায় ছিলেন, কী করেছেন, কার সঙ্গে ঘুরেছেন—এসবেরও ছিল না কোনো জবাবদিহি।
০৫ জুলাই ২০২৪
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

১৯৭৬ সালে বাড়ি থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিলেন ক্যাথি ক্লেইনার। জীবনে এমন মধুর সময় তাঁর আর কখনোই আসেনি। বিশেষ করে মায়ের বকুনি আর কড়া শাসন থেকে দূরে এসে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন তিনি। সারা দিন কোথায় ছিলেন, কী করেছেন, কার সঙ্গে ঘুরেছেন—এসবেরও ছিল না কোনো জবাবদিহি।
০৫ জুলাই ২০২৪
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সকল নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লালগালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সকল নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লালগালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

১৯৭৬ সালে বাড়ি থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিলেন ক্যাথি ক্লেইনার। জীবনে এমন মধুর সময় তাঁর আর কখনোই আসেনি। বিশেষ করে মায়ের বকুনি আর কড়া শাসন থেকে দূরে এসে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন তিনি। সারা দিন কোথায় ছিলেন, কী করেছেন, কার সঙ্গে ঘুরেছেন—এসবেরও ছিল না কোনো জবাবদিহি।
০৫ জুলাই ২০২৪
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগে