অনলাইন ডেস্ক
ইরান এখনো পারমাণবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শনেরও অনুমতি দেয়নি ইরান। শুক্রবার এয়ারফোর্স ওয়ান থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। খবর আল জাজিরার
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি স্থায়ীভাবে পিছিয়ে গেছে’। তবে তিনি এটাও বলেন, ‘ইরান ভিন্ন কোনো স্থানে কর্মসূচি আবার শুরু করতে পারে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের যদি আবার শুরু করতে হয়, তাহলে সেটা অন্য কোনো জায়গা থেকে করতে হবে। আর তারা যদি সত্যিই শুরু করে, তাহলে সেটা হবে বড় সমস্যা।’ তিনি বলেন, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি আবার শুরু করলে তা ‘মেনে নেওয়া হবে না’।
ট্রাম্প জানান, সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি প্রধান আলোচ্য বিষয় হলেও ইরান প্রসঙ্গেও আলোচনা হবে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) শুক্রবার জানিয়েছে, তারা ইরান থেকে তাদের পরিদর্শকদের ফিরিয়ে নিয়েছে। কারণ, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইরান অভিযোগ করেছে, আইএইএ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা না করে উল্টো ১২ জুন তেহরানের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যা ইরানকে বাধ্য করে ‘অপরিপূর্ণ সহযোগিতাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করতে।
এরপর বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আইএইএর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্নের নির্দেশ দেন। ইরানি সংসদে এ-সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়, যা গার্ডিয়ান কাউন্সিল অনুমোদন করেছে। গার্ডিয়ান কাউন্সিলের মুখপাত্র হাদি তাহান নাজিফ বলেন, ‘জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ বিল অনুযায়ী, আইএইএর সঙ্গে তত দিন সম্পর্ক স্থগিত থাকবে, যত দিন না পারমাণবিক স্থাপনা ও বিজ্ঞানীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গার্ডিয়ান কাউন্সিল (Guardian Council) ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী কর্তৃপক্ষ। এটি ১২ সদস্যের একটি কাউন্সিল, যাদেরকে ইরানের সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল একযোগে ইরানের তিনটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। এসব হামলায় স্থাপনাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করে ওয়াশিংটন। তবে এখনো অজানা রয়েছে যে ইরানের ৯ টনের বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের ভাগ্যে কী ঘটেছে, বিশেষ করে প্রায় ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম, যা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ। এ অবস্থাটি হলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছার এক ধাপ আগের স্তর।
ইরান বরাবরই দাবি করছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগোচ্ছে। যদিও আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পায়নি।
আইএইএর প্রধান গ্রোসি বলেন, ইরানে ফের পরিদর্শন শুরু করাকে তিনি ‘অগ্রাধিকার’ হিসেবে দেখছেন। তবে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যেসব স্থাপনায় বোমা হামলা হয়েছে, সেখানে পরিদর্শনের কোনো মানে নেই। এটি হয় অযৌক্তিক, নয়তো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু নজরদারি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন যেখানে পরিদর্শনকে মূল ইস্যু বানাতে চায়, সেখানে ইরান ‘জাতীয় সম্মান’ রক্ষার নামে বারবার আন্তর্জাতিক নজরদারি প্রত্যাখ্যান করছে। ১২ দিনের সংঘাতের পর আবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কূটনৈতিক দিকনির্দেশনা এবং তেহরানের প্রতিক্রিয়া বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরান এখনো পারমাণবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শনেরও অনুমতি দেয়নি ইরান। শুক্রবার এয়ারফোর্স ওয়ান থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। খবর আল জাজিরার
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি স্থায়ীভাবে পিছিয়ে গেছে’। তবে তিনি এটাও বলেন, ‘ইরান ভিন্ন কোনো স্থানে কর্মসূচি আবার শুরু করতে পারে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের যদি আবার শুরু করতে হয়, তাহলে সেটা অন্য কোনো জায়গা থেকে করতে হবে। আর তারা যদি সত্যিই শুরু করে, তাহলে সেটা হবে বড় সমস্যা।’ তিনি বলেন, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি আবার শুরু করলে তা ‘মেনে নেওয়া হবে না’।
ট্রাম্প জানান, সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি প্রধান আলোচ্য বিষয় হলেও ইরান প্রসঙ্গেও আলোচনা হবে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) শুক্রবার জানিয়েছে, তারা ইরান থেকে তাদের পরিদর্শকদের ফিরিয়ে নিয়েছে। কারণ, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইরান অভিযোগ করেছে, আইএইএ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা না করে উল্টো ১২ জুন তেহরানের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যা ইরানকে বাধ্য করে ‘অপরিপূর্ণ সহযোগিতাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করতে।
এরপর বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আইএইএর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্নের নির্দেশ দেন। ইরানি সংসদে এ-সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়, যা গার্ডিয়ান কাউন্সিল অনুমোদন করেছে। গার্ডিয়ান কাউন্সিলের মুখপাত্র হাদি তাহান নাজিফ বলেন, ‘জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ বিল অনুযায়ী, আইএইএর সঙ্গে তত দিন সম্পর্ক স্থগিত থাকবে, যত দিন না পারমাণবিক স্থাপনা ও বিজ্ঞানীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গার্ডিয়ান কাউন্সিল (Guardian Council) ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী কর্তৃপক্ষ। এটি ১২ সদস্যের একটি কাউন্সিল, যাদেরকে ইরানের সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল একযোগে ইরানের তিনটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। এসব হামলায় স্থাপনাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করে ওয়াশিংটন। তবে এখনো অজানা রয়েছে যে ইরানের ৯ টনের বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের ভাগ্যে কী ঘটেছে, বিশেষ করে প্রায় ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম, যা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ। এ অবস্থাটি হলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছার এক ধাপ আগের স্তর।
ইরান বরাবরই দাবি করছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগোচ্ছে। যদিও আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পায়নি।
আইএইএর প্রধান গ্রোসি বলেন, ইরানে ফের পরিদর্শন শুরু করাকে তিনি ‘অগ্রাধিকার’ হিসেবে দেখছেন। তবে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যেসব স্থাপনায় বোমা হামলা হয়েছে, সেখানে পরিদর্শনের কোনো মানে নেই। এটি হয় অযৌক্তিক, নয়তো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু নজরদারি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন যেখানে পরিদর্শনকে মূল ইস্যু বানাতে চায়, সেখানে ইরান ‘জাতীয় সম্মান’ রক্ষার নামে বারবার আন্তর্জাতিক নজরদারি প্রত্যাখ্যান করছে। ১২ দিনের সংঘাতের পর আবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কূটনৈতিক দিকনির্দেশনা এবং তেহরানের প্রতিক্রিয়া বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনএসপি বলছে, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বহু প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পদ হারিয়েছে, যা মূলত রাষ্ট্রীয় দখলের মাধ্যমে হয়েছে। ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ায় ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে হাজারের বেশি পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে রয়েছে ম্যাকডোনাল্ডস, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো
৪ ঘণ্টা আগেশুল্ক এখন ভূরাজনীতির হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। কুয়ালালামপুরে গতকাল বুধবার আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেইতিমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে তুরস্ক, জর্ডান ও লেবাননের দমকল বাহিনী। এ ছাড়া সাইপ্রাস থেকেও বিমান পাঠানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সিরিয়ার জরুরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী রায়েদ আল সালেহ।
৬ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ সম্প্রতি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তিনি হোয়াইট হাউসকে না জানিয়েই নিয়েছেন বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে অন্তত পাঁচটি সূত্র। হেগসেথের এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের ভেতরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
৬ ঘণ্টা আগে