
গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি রীতিতে ম্যাককিনির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পরিচালনা করেন বাহরামির স্বামী ডা. মোহাম্মদ সাবের বাহরামি।
খুবই অনাড়ম্বর কিন্তু অতিথিদের উপস্থিতিতে আনন্দমুখর এই বিবাহের দৃশ্যকে অস্বাভাবিক ভাবার কোনো কারণ নেই। কিন্তু ম্যাককিনি এবং বাহরামিদের বন্ধুত্বের শুরুটা কেমন ছিল সেই গল্পটি ক্যামেরায় ধারণের আগে খুব কম মানুষেরই জানা ছিল। সিনেমার মতো সেই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্র ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’। এটি গত বছর নির্মিত হলেও এবারের অস্কার মনোনয়নে নাম আসায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
সংক্ষেপে গল্পটি এমন: ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে ক্ষুব্ধ এবং মুসলমানদের প্রতি তীব্র ঘৃণা বয়ে বেড়ানো চওড়া কাঁধের, বাহুতে মার্কিন নেভির ট্যাটু আঁকা এক প্রবীণ ব্যক্তি; তিনি একবার যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ইসলামিক সেন্টার অব মানসিতে গিয়েছিলেন শক্তিশালী বোমা পেতে রাখতে। তিনি চেয়েছিলেন এই মসজিদে আসা সব ব্যক্তিকে একসঙ্গে প্রাণে মেরে ফেলতে।
এই ব্যক্তিই হলেন রিচার্ড ম্যাককিনি। বোমা মেরে হত্যা করতে গিয়েই আশ্চর্যজনকভাবে বদলে যাওয়া ম্যাককিনিকে নিয়েই নির্মিত হয়েছে ৩০ মিনিটের ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম। ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে ইসলামিক সেন্টারের লোকদের সঙ্গে ম্যাককিনির সখ্য গড়ে ওঠে। তাঁদের সাদর অভ্যর্থনায় ব্যর্থ হয়ে যায় তাঁর হত্যা পরিকল্পনা। শুধু তা–ই দ্রুতই বদলে যায় তাঁর জীবনের গতিপথ।
রোববার (১২ মার্চ) অনুষ্ঠেয় ৯৫ তম অস্কার পুরস্কারের জন্য সেরা ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছে ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’।
ম্যাককিনি সম্পর্কে বিবি বাহরামি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে বন্ধু ছিলাম। আর এখন পরিবারের মতো।’ ১৯৭৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালালে গৃহহারা হয়ে পড়েন বিবি বাহরামি। পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানে শরণার্থী হয়ে যান। সেখানে বেশ কয়েক বছর ছিলেন। সেখানে ডা. সাবেরের সঙ্গে পরিচয়। এরপর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁদের বিয়ে হয়। এখন তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
ম্যাককিনি বলেন, বাহরামি পরিবারের সঙ্গে এই ‘অসম্ভব আত্মীয়তা’ অনেকের কাছে ‘বিভ্রান্তিকর’ মনে হতে পারে। এই পুরো যাত্রাটি ছিল অত্যন্ত পরাবাস্তব একটা ব্যাপার!
‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ সিনেমার নির্মাতা জোশুয়া সেফটেল বলেন, এটি হলো ম্যাককিনির দ্বিতীয় সুযোগ এবং রূপান্তরের গল্প। ঘৃণাকে জয় করা একটি প্রেমের গল্প।
সেফটেল বলেন, ‘আজকাল নিরাশায় ডুবে যাওয়াটা সহজ; যখন আমি এই গল্পটি জেনেছিলাম, তখন ভেবেছিলাম, বাহ, মানবতায় বিশ্বাস করার কারণ এখনো রয়ে গেছে। যদি এই দুই ব্যক্তি বন্ধু হতে পারেন, তবে আমাদের কেউ কেন পারে না!’
‘সিক্রেট লাইফ অব মুসলিমস’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র সিরিজে কাজ করতে গিয়ে এই অসাধারণ গল্পের সন্ধান পান সেফটেল। এই সিরিজের মাধ্যমে সেফটেল বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আমেরিকান মুসলমানদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং নেতিবাচক গৎবাঁধা ধারণাগুলো ভেঙে দিতে চাইছিলেন।
এই সিরিজের অনুপ্রেরণা নিজের বিভীষিকাময় শৈশব থেকেই পেয়েছিলেন সেফটেল। নিজের মধ্যে এখনো ছোটবেলার ইহুদি বিদ্বেষের শিকার হওয়ার স্মৃতি দগদগে। তাঁকে একটি ইহুদি শিশু হিসেবে নানাভাবে হয়রানি শিকার হতে হয়েছিল। সেই ঘৃণার শিকল ছিঁড়তে চেয়েছেন তিনি।
সেফটেল বলেন, নাইল ইলেভেনের পর আমি মুসলমানদের প্রতি এই ধরনের ঘৃণা দেখেছিলাম। আমি শুধু ভেবেছিলাম, হয়তো আমি আমার চলচ্চিত্রের কাজ দিয়ে এই জায়গাটাতে কিছু করার চেষ্টা করতে পারি।
২০২১ সালে নাইন ইলেভেন ২০ তম বার্ষিকীর আগে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এবং এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ যৌথভাবে একটি জরিপ করেছিল। সেই জরিপে দেখা যায়, ৫৩ শতাংশ আমেরিকান ইসলামের প্রতি বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। ম্যাককিনিও এই দলেই ছিলেন। বলতে গেলে, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উৎসাহী ও সহিংস মনোভাবেরই ছিলেন তিনি।
দীর্ঘ সামরিক কর্মজীবন রিচার্ড ম্যাককিনিকে অনেকগুলো তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়েছে। তিনি দেখেছেন ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ। যুদ্ধের ময়দানে জীবনবাজি রেখেছেন। কর্মজীবনের সমাপ্তির পর ক্ষুব্ধ, তিক্ত এবং জীবন সম্পর্কে হতাশার বোধ তীব্র হয় তাঁর। এসব ভুলে থাকতে প্রচুর মদ্যপান করতেন। জীবনের একটা দীর্ঘ সময় তাঁর নিয়তি ছিল যুদ্ধে গিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং একটি পতাকা-ঢাকা কফিনে করে বাড়ি ফেরা। বড়জোর বীর হিসেবে একটা সম্মাননা।
যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ম্যাককিনির মনে মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষের জন্ম দেয়। সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় বিদেশে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই মুসলমানরাই ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের শত্রু।
তথ্যচিত্রটিতে ম্যাককিনিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল একটি আইইডি (দূর নিয়ন্ত্রিত বোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো। শুক্রবারে ইসলামিক সেন্টারের বাইরে যখন লোকজন নামাজের জন্য জড়ো হবে তখনই ঘটবে বিস্ফোরণ। আমি কমপক্ষে ২০০ বা তার বেশি মানুষকে হত্যা অথবা জখম করতে চেয়েছিলাম।’
যুদ্ধ থেকে ২০০৬ সালে মানসিতে ফেরেন ম্যাককিনি। এসে দেখেন পুরো এলাকায় মুসলিমদের বাস। স্কুলে মুসলিম শিশুদের সঙ্গে পড়তে হচ্ছে তাঁর সন্তানকেও। এটি সহ্য করতে পারেননি ম্যাককিনি। ২০০৯ সালে ইসলামিক সেন্টারের ওই মসজিদে যাতায়াত শুরু করেন তিনি। সেখানে গিয়ে লোকজনকে বলেন, তিনি ইসলাম সম্পর্কে জানতে চান।
সিনেমায় ম্যাককিনি বলেন, ‘আমি তাঁদের বিশ্বাস করিনি।...আমি ভেবেছিলাম তারা আমাকে বেসমেন্টে আমার গলায় তলোয়ার ধরে রাখবে।’ কিন্তু বাস্তবে, মুসল্লিরা তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁকে আলিঙ্গন করেছিলেন।
সিনেমাতে দেখা যায়, বিবি বাহরামি লোকসংগীতের একজন অনুরাগী শ্রোতা। তাঁর স্বামী ড. মোহাম্মদ সাবের বাহরামি তাঁকে ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের মাদার তেরেসা’ বলে অভিহিত করেন। বাহরামি ম্যাককিনিকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গেছেন, পছন্দের খাবার খাইয়েছেন। বাহরামির সংস্পর্শে শেষ পর্যন্ত নিজের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছেন ম্যাককিনির। অন্তরের কথা শুনেছেন কান পেতে। একদিন ম্যাককিনি বাহরামি বলেন, ‘আমার মুসলিম হওয়া উচিত।’
সিনেমাটির নির্মাতা সেফটেল বলেন, বাহরামি দর্শকদের দেখিয়েছেন, মানুষ তাঁকে আলিঙ্গন করেছেন। কেউ কেউ অশ্রুসজল চোখে তাঁর কাছে এসেছেন, তাঁকে বলেছে যে, তিনি তাঁদের আশা এবং সাহস দিয়েছেন। তাঁদের কমিউনিটির জন্য কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
কেউ কেউ এমন কঠিন প্রশ্নেরও মুখোমুখি করেছেন বাহরামিকে যে, ম্যাককিনিকে তিনি কীভাবে ক্ষমা করেছিলেন?
জবাবে বাহরামি বলেন, যখন তিনি ম্যাককিনির কথা শুনেছিলেন, তাঁর বিশ্বাস হয়নি। ম্যাককিনি পরিকল্পনার কথা জেনে তিনি তাঁকে রাতের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানান। ম্যাককিনি যা ভেবেছিলেন সেটি তাঁর কাছ থেকে জানতে চান। বাহরামি বলেন, আমার এক দৃঢ় বিশ্বাসী (ইমানদার), আমি মনে করি, আমার ইমানের একটি বড় অংশ হলো ক্ষমা।
আরেকটি দিক তুলে ধরেন বাহরামি, তিনি ম্যাককিনির মধ্যে একটা দুর্বলতা টের পেয়েছিলেন। ম্যাককিনি আকুলভাবে ক্ষমাপ্রার্থী ছিলেন।
সেফটেল যখন সিনেমাটির জন্য তাঁর কাছে গিয়েছিলে সেই সময়কার কথা স্মরণ করে বাহরামি বলেন, তিনি তখন অত্যন্ত অসুস্থ। কোমায় ছিলেন। সুস্থ হয়ে সেফটেলের অনুরোধটি বিবেচনা করেছিলেন। বাহরামির ভাষায়, ‘খোদা আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। যদি আমি মারা যাই, গল্পটি তো বেঁচে থাকবে!’
‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ সিনেমাটি ২০২২ সালে ট্রিবেকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বিশেষ জুরি পুরস্কার জেতে। এর প্রযোজকদের একজন পাকিস্তানের নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই। প্রচারিত হচ্ছে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকার ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে।
এ বছর অস্কারের মনোনয়ন পাওয়া ধর্মীয় থিমের সিনেমার মধ্যে ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ একমাত্র নয়। ‘উইমেন টকিং’ নামে একটি সিনেমাও সেরা ছবির জন্য মনোনীত হয়েছে। মিরিয়াম টোউসের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি বলিভিয়ার একটি মেনোনাইট সম্প্রদায়ের (খ্রিষ্টানদের বিশেষ গোত্র) একটি ভয়ংকর সত্য গল্প নিয়ে। ওই সম্প্রদায়ের পুরুষেরা বহু নারী ও শিশু–কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। সিনেমায় দেখানো হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা ধর্ম ত্যাগ করবেন কি না সেই সিদ্ধান্তহীনতায় লড়ছেন। কারণ দাগি অপরাধীদের ক্ষমা করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা, দ্য নিউ ইয়র্কার

গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি রীতিতে ম্যাককিনির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পরিচালনা করেন বাহরামির স্বামী ডা. মোহাম্মদ সাবের বাহরামি।
খুবই অনাড়ম্বর কিন্তু অতিথিদের উপস্থিতিতে আনন্দমুখর এই বিবাহের দৃশ্যকে অস্বাভাবিক ভাবার কোনো কারণ নেই। কিন্তু ম্যাককিনি এবং বাহরামিদের বন্ধুত্বের শুরুটা কেমন ছিল সেই গল্পটি ক্যামেরায় ধারণের আগে খুব কম মানুষেরই জানা ছিল। সিনেমার মতো সেই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্র ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’। এটি গত বছর নির্মিত হলেও এবারের অস্কার মনোনয়নে নাম আসায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
সংক্ষেপে গল্পটি এমন: ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে ক্ষুব্ধ এবং মুসলমানদের প্রতি তীব্র ঘৃণা বয়ে বেড়ানো চওড়া কাঁধের, বাহুতে মার্কিন নেভির ট্যাটু আঁকা এক প্রবীণ ব্যক্তি; তিনি একবার যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ইসলামিক সেন্টার অব মানসিতে গিয়েছিলেন শক্তিশালী বোমা পেতে রাখতে। তিনি চেয়েছিলেন এই মসজিদে আসা সব ব্যক্তিকে একসঙ্গে প্রাণে মেরে ফেলতে।
এই ব্যক্তিই হলেন রিচার্ড ম্যাককিনি। বোমা মেরে হত্যা করতে গিয়েই আশ্চর্যজনকভাবে বদলে যাওয়া ম্যাককিনিকে নিয়েই নির্মিত হয়েছে ৩০ মিনিটের ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম। ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে ইসলামিক সেন্টারের লোকদের সঙ্গে ম্যাককিনির সখ্য গড়ে ওঠে। তাঁদের সাদর অভ্যর্থনায় ব্যর্থ হয়ে যায় তাঁর হত্যা পরিকল্পনা। শুধু তা–ই দ্রুতই বদলে যায় তাঁর জীবনের গতিপথ।
রোববার (১২ মার্চ) অনুষ্ঠেয় ৯৫ তম অস্কার পুরস্কারের জন্য সেরা ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছে ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’।
ম্যাককিনি সম্পর্কে বিবি বাহরামি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে বন্ধু ছিলাম। আর এখন পরিবারের মতো।’ ১৯৭৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালালে গৃহহারা হয়ে পড়েন বিবি বাহরামি। পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানে শরণার্থী হয়ে যান। সেখানে বেশ কয়েক বছর ছিলেন। সেখানে ডা. সাবেরের সঙ্গে পরিচয়। এরপর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁদের বিয়ে হয়। এখন তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
ম্যাককিনি বলেন, বাহরামি পরিবারের সঙ্গে এই ‘অসম্ভব আত্মীয়তা’ অনেকের কাছে ‘বিভ্রান্তিকর’ মনে হতে পারে। এই পুরো যাত্রাটি ছিল অত্যন্ত পরাবাস্তব একটা ব্যাপার!
‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ সিনেমার নির্মাতা জোশুয়া সেফটেল বলেন, এটি হলো ম্যাককিনির দ্বিতীয় সুযোগ এবং রূপান্তরের গল্প। ঘৃণাকে জয় করা একটি প্রেমের গল্প।
সেফটেল বলেন, ‘আজকাল নিরাশায় ডুবে যাওয়াটা সহজ; যখন আমি এই গল্পটি জেনেছিলাম, তখন ভেবেছিলাম, বাহ, মানবতায় বিশ্বাস করার কারণ এখনো রয়ে গেছে। যদি এই দুই ব্যক্তি বন্ধু হতে পারেন, তবে আমাদের কেউ কেন পারে না!’
‘সিক্রেট লাইফ অব মুসলিমস’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র সিরিজে কাজ করতে গিয়ে এই অসাধারণ গল্পের সন্ধান পান সেফটেল। এই সিরিজের মাধ্যমে সেফটেল বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আমেরিকান মুসলমানদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং নেতিবাচক গৎবাঁধা ধারণাগুলো ভেঙে দিতে চাইছিলেন।
এই সিরিজের অনুপ্রেরণা নিজের বিভীষিকাময় শৈশব থেকেই পেয়েছিলেন সেফটেল। নিজের মধ্যে এখনো ছোটবেলার ইহুদি বিদ্বেষের শিকার হওয়ার স্মৃতি দগদগে। তাঁকে একটি ইহুদি শিশু হিসেবে নানাভাবে হয়রানি শিকার হতে হয়েছিল। সেই ঘৃণার শিকল ছিঁড়তে চেয়েছেন তিনি।
সেফটেল বলেন, নাইল ইলেভেনের পর আমি মুসলমানদের প্রতি এই ধরনের ঘৃণা দেখেছিলাম। আমি শুধু ভেবেছিলাম, হয়তো আমি আমার চলচ্চিত্রের কাজ দিয়ে এই জায়গাটাতে কিছু করার চেষ্টা করতে পারি।
২০২১ সালে নাইন ইলেভেন ২০ তম বার্ষিকীর আগে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এবং এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ যৌথভাবে একটি জরিপ করেছিল। সেই জরিপে দেখা যায়, ৫৩ শতাংশ আমেরিকান ইসলামের প্রতি বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। ম্যাককিনিও এই দলেই ছিলেন। বলতে গেলে, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উৎসাহী ও সহিংস মনোভাবেরই ছিলেন তিনি।
দীর্ঘ সামরিক কর্মজীবন রিচার্ড ম্যাককিনিকে অনেকগুলো তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়েছে। তিনি দেখেছেন ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ। যুদ্ধের ময়দানে জীবনবাজি রেখেছেন। কর্মজীবনের সমাপ্তির পর ক্ষুব্ধ, তিক্ত এবং জীবন সম্পর্কে হতাশার বোধ তীব্র হয় তাঁর। এসব ভুলে থাকতে প্রচুর মদ্যপান করতেন। জীবনের একটা দীর্ঘ সময় তাঁর নিয়তি ছিল যুদ্ধে গিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং একটি পতাকা-ঢাকা কফিনে করে বাড়ি ফেরা। বড়জোর বীর হিসেবে একটা সম্মাননা।
যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ম্যাককিনির মনে মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষের জন্ম দেয়। সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় বিদেশে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই মুসলমানরাই ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের শত্রু।
তথ্যচিত্রটিতে ম্যাককিনিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল একটি আইইডি (দূর নিয়ন্ত্রিত বোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো। শুক্রবারে ইসলামিক সেন্টারের বাইরে যখন লোকজন নামাজের জন্য জড়ো হবে তখনই ঘটবে বিস্ফোরণ। আমি কমপক্ষে ২০০ বা তার বেশি মানুষকে হত্যা অথবা জখম করতে চেয়েছিলাম।’
যুদ্ধ থেকে ২০০৬ সালে মানসিতে ফেরেন ম্যাককিনি। এসে দেখেন পুরো এলাকায় মুসলিমদের বাস। স্কুলে মুসলিম শিশুদের সঙ্গে পড়তে হচ্ছে তাঁর সন্তানকেও। এটি সহ্য করতে পারেননি ম্যাককিনি। ২০০৯ সালে ইসলামিক সেন্টারের ওই মসজিদে যাতায়াত শুরু করেন তিনি। সেখানে গিয়ে লোকজনকে বলেন, তিনি ইসলাম সম্পর্কে জানতে চান।
সিনেমায় ম্যাককিনি বলেন, ‘আমি তাঁদের বিশ্বাস করিনি।...আমি ভেবেছিলাম তারা আমাকে বেসমেন্টে আমার গলায় তলোয়ার ধরে রাখবে।’ কিন্তু বাস্তবে, মুসল্লিরা তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁকে আলিঙ্গন করেছিলেন।
সিনেমাতে দেখা যায়, বিবি বাহরামি লোকসংগীতের একজন অনুরাগী শ্রোতা। তাঁর স্বামী ড. মোহাম্মদ সাবের বাহরামি তাঁকে ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের মাদার তেরেসা’ বলে অভিহিত করেন। বাহরামি ম্যাককিনিকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গেছেন, পছন্দের খাবার খাইয়েছেন। বাহরামির সংস্পর্শে শেষ পর্যন্ত নিজের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছেন ম্যাককিনির। অন্তরের কথা শুনেছেন কান পেতে। একদিন ম্যাককিনি বাহরামি বলেন, ‘আমার মুসলিম হওয়া উচিত।’
সিনেমাটির নির্মাতা সেফটেল বলেন, বাহরামি দর্শকদের দেখিয়েছেন, মানুষ তাঁকে আলিঙ্গন করেছেন। কেউ কেউ অশ্রুসজল চোখে তাঁর কাছে এসেছেন, তাঁকে বলেছে যে, তিনি তাঁদের আশা এবং সাহস দিয়েছেন। তাঁদের কমিউনিটির জন্য কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
কেউ কেউ এমন কঠিন প্রশ্নেরও মুখোমুখি করেছেন বাহরামিকে যে, ম্যাককিনিকে তিনি কীভাবে ক্ষমা করেছিলেন?
জবাবে বাহরামি বলেন, যখন তিনি ম্যাককিনির কথা শুনেছিলেন, তাঁর বিশ্বাস হয়নি। ম্যাককিনি পরিকল্পনার কথা জেনে তিনি তাঁকে রাতের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানান। ম্যাককিনি যা ভেবেছিলেন সেটি তাঁর কাছ থেকে জানতে চান। বাহরামি বলেন, আমার এক দৃঢ় বিশ্বাসী (ইমানদার), আমি মনে করি, আমার ইমানের একটি বড় অংশ হলো ক্ষমা।
আরেকটি দিক তুলে ধরেন বাহরামি, তিনি ম্যাককিনির মধ্যে একটা দুর্বলতা টের পেয়েছিলেন। ম্যাককিনি আকুলভাবে ক্ষমাপ্রার্থী ছিলেন।
সেফটেল যখন সিনেমাটির জন্য তাঁর কাছে গিয়েছিলে সেই সময়কার কথা স্মরণ করে বাহরামি বলেন, তিনি তখন অত্যন্ত অসুস্থ। কোমায় ছিলেন। সুস্থ হয়ে সেফটেলের অনুরোধটি বিবেচনা করেছিলেন। বাহরামির ভাষায়, ‘খোদা আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। যদি আমি মারা যাই, গল্পটি তো বেঁচে থাকবে!’
‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ সিনেমাটি ২০২২ সালে ট্রিবেকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বিশেষ জুরি পুরস্কার জেতে। এর প্রযোজকদের একজন পাকিস্তানের নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই। প্রচারিত হচ্ছে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকার ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে।
এ বছর অস্কারের মনোনয়ন পাওয়া ধর্মীয় থিমের সিনেমার মধ্যে ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ একমাত্র নয়। ‘উইমেন টকিং’ নামে একটি সিনেমাও সেরা ছবির জন্য মনোনীত হয়েছে। মিরিয়াম টোউসের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি বলিভিয়ার একটি মেনোনাইট সম্প্রদায়ের (খ্রিষ্টানদের বিশেষ গোত্র) একটি ভয়ংকর সত্য গল্প নিয়ে। ওই সম্প্রদায়ের পুরুষেরা বহু নারী ও শিশু–কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। সিনেমায় দেখানো হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা ধর্ম ত্যাগ করবেন কি না সেই সিদ্ধান্তহীনতায় লড়ছেন। কারণ দাগি অপরাধীদের ক্ষমা করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা, দ্য নিউ ইয়র্কার

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১২ মিনিট আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি র
১২ মার্চ ২০২৩
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি র
১২ মার্চ ২০২৩
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১২ মিনিট আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি র
১২ মার্চ ২০২৩
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১২ মিনিট আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি র
১২ মার্চ ২০২৩
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১২ মিনিট আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
২ ঘণ্টা আগে