আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নারীসংক্রান্ত ইতিহাস বরাবরই জটিল। তিনি ১৯৭৭ সালে ইভানা ট্রাম্পকে বিয়ে করেন। তাঁদের সংসার টিকে ছিল এক দশকের বেশি সময়। মডেল মার্লা ম্যাপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
এরপর ১৯৯০ সালে ট্রাম্প-ইভানা জুটির বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার পর ট্রাম্প ম্যাপলসের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যান। ১৯৯৩ সালে তাঁদের কন্যা টিফানির জন্ম হয় এবং ওই বছরই তাঁরা বিয়ে করেন। তবে এই সম্পর্কও বেশি দিন টেকেনি। ১৯৯৭ সালে ‘জগতের প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির’ কথা বলে তাঁরা আলাদা হয়ে যান।
দ্বিতীয় বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালে ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্কের এক পার্টিতে ট্রাম্পের সঙ্গে পরিচয় হয় স্লোভেনিয়ান-আমেরিকান মডেল মেলানিয়া কনাসের। ২০০৪ সালে মেট গালায় ট্রাম্প মেলানিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০০৫ সালে ফ্লোরিডার পাম বিচে সমুদ্রের তীরের একটি গির্জায় তাঁদের বিয়ে হয়। মেলানিয়া হন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি।
এরপর সামনে আসে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের ঘটনা। স্টর্মি দাবি করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এক রাতের সম্পর্ক হয়েছিল। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ড্যানিয়েলসকে চুপ করাতে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। সেই অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি গুরুতর অপরাধের রায় হয়েছে।
তবে ট্রাম্প নিজেই ‘নারীদের বিষয়ে’ তাঁর একমাত্র আক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য আর্ট অব দ্য কামব্যাক’ বইয়ে তিনি লেখেন, ‘লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে কখনো আমি মন দিয়ে ভালোবাসার সুযোগই পেলাম না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি তাঁকে বেশ কয়েকবার দেখেছি। আমি লক্ষ করেছি, তিনি কীভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করতেন। তাঁর উপস্থিতিতেই গোটা ঘর উজ্জ্বল হয়ে উঠত। তিনি ছিলেন সত্যিকারের রাজকন্যা—স্বপ্নের মতো একজন নারী।’
ডায়ানার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ করে, ১৯৯৬ সালে রাজপুত্র চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার বিবাহবিচ্ছেদের পর ট্রাম্প নাকি তাঁকে ‘সর্বশেষ ট্রফির’ মর্যাদা দিয়ে ‘স্ত্রী’ হিসেবে পাওয়ার চেষ্টা করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসের কলামে ডায়ানার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিবিসির সাবেক সাংবাদিক সেলিনা স্কট লেখেন, ট্রাম্পের পাঠানো বিশাল ফুলের তোড়া নিয়মিত ডায়ানার কেনসিংটন প্যালেসের বাসায় পৌঁছাত। ঠিক একই কৌশলে তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী ইভানাকে পটিয়েছিলেন।
স্কট লিখেছেন, ‘ট্রাম্প ডায়ানাকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রফি হিসেবে দেখতেন। রোজ গুচ্ছ গুচ্ছ গোলাপ আর অর্কিড তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছাত। এতে ডায়ানা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। বিষয়টা তাঁর কাছে মনে হচ্ছিল, যেন ট্রাম্প তাঁকে অনুসরণ বা উত্ত্যক্ত করছেন।’
একদিন ব্যক্তিগত নৈশভোজে ডায়ানা সেলিনা স্কটকে জানান, ‘আমি কী করব? উনি আমাকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন।’ সেলিনা জবাব দেন, ‘ফুলগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দাও।’ ডায়ানা হেসে ওঠেন।
এরপর ১৯৯৭ সালে প্যারিসে ডায়ানার মৃত্যুর পর ট্রাম্প তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের বলেন, তাঁর সবচেয়ে বড় আক্ষেপ হলো ডায়ানার সঙ্গে তিনি প্রেম করতে পারেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন, ডায়ানার সঙ্গে তাঁর রোমান্স হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ডায়ানার সঙ্গে কয়েকবার দেখা ছাড়া তাঁদের মধ্যে আর কোনো ঘনিষ্ঠতা হয়নি। তবে ডায়ানার মৃত্যুর পরও ট্রাম্প তাঁর কথা ভুলতে পারেননি।
১৯৯৭ সালে ডায়ানার শেষকৃত্যের কয়েক মাস পর হাওয়ার্ড স্টার্নের রেডিও শোতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, সুযোগ পেলে তিনি ডায়ানার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যেতেন। তবে আগে তিনি ডায়ানার এইচআইভি পরীক্ষা করাতেন। স্টার্ন জিজ্ঞাসা করেন, ‘মানুষ কেন ভাবে, তুমি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছ যে, তুমি লেডি ডায়ানাকে পেতে পারতে?’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, পারতাম।’ পরে তাঁদের মধ্যে এক নাটকীয় কথোপকথন হয়, যেখানে ট্রাম্প কল্পনায় ডায়ানাকে বলেন, ‘লেডি ডায়ানা, তুমি কি চিকিৎসকের কাছে যাবে?’
স্টার্ন কৌতুক করে বলেন, ‘আমার লেক্সাস গাড়িতে ফিরে যাও। কারণ, আমার নতুন চিকিৎসক আছে। একটু চেকআপ করিয়ে নিতে হবে।’
নতুন শতাব্দীর শুরুর দিকে ২০০০ সালের আরেক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আবারও বলেন, কোনো দ্বিধা ছাড়াই তিনি ডায়ানার সঙ্গে শুতে রাজি ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর ‘টপ টেন’ সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারীর তালিকায় ডায়ানাকে তৃতীয় স্থানে রাখেন। তালিকায় দ্বিতীয় ছিলেন তাঁর সাবেক স্ত্রী ইভানা এবং প্রথম স্থানে বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া।
ডায়ানাকে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি একটু পাগল ছিলেন, তবে এটা তেমন বড় ব্যাপার নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলছি, তিনি অসাধারণ ছিলেন। লেডি ডায়ানা সত্যিকারের রূপসী নারী ছিলেন। আমি তাঁকে কয়েকবার দেখেছি। মানুষ বুঝতেই পারেনি, তিনি এতটা সুন্দর। তিনি ছিলেন সুপারমডেলদের মতো। তাঁর উচ্চতা, সৌন্দর্য, ত্বক—সবকিছু ছিল অবিশ্বাস্য।’
এমন মন্তব্যের পরও ডায়ানার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ট্রাম্পের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে শিষ্টাচার বজায় রেখেছেন, সেটাই বিস্ময়কর। ২০১৯ সালের যুক্তরাষ্ট্র সফরে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নটর ডেম দে প্যারিসের পুনরোদ্বোধনে এবং ২০২৫ সালের এপ্রিলে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উইলিয়াম ট্রাম্পের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উইলিয়াম হয়তো জানতেন, তাঁর মা ডায়ানা ট্রাম্প সম্পর্কে কী ভাবতেন। ২০২৩ সালে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি এমন একটি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছেন, যেখানে বিশ্বনেতা, রাজনীতিবিদ ও সেলিব্রিটির লেখা চিঠি থাকবে। তাঁদের মধ্যে প্রিন্সেস ডায়ানাও আছেন, সবাই নাকি তাঁর ‘পশ্চাদ্দেশ লেহন’ করতে চেয়েছিল।
জবাবে ডায়ানার ভাই আর্ল চার্লস স্পেনসার টুইট করেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, আমার প্রয়াত বোন ডায়ানা নাকি তাঁর পশ্চাদ্দেশ লেহন করতে চাইতেন—এটা শুনে আমি বিস্মিত। কারণ, ডায়ানা যখন জীবিত ছিলেন, ট্রাম্প তাঁর নাম ব্যবহার করে নিউইয়র্কে কিছু রিয়েল এস্টেট বিক্রি করছিলেন। ওই সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রতি তাঁর মনোভাব ফেটে যাওয়া মলদ্বারের চেয়েও খারাপ।’
এদিকে ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে ‘অভূতপূর্ব’ দ্বিতীয়বারের রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উইন্ডসর ক্যাসেলে এই সফর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল
আরও খবর পড়ুন:

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নারীসংক্রান্ত ইতিহাস বরাবরই জটিল। তিনি ১৯৭৭ সালে ইভানা ট্রাম্পকে বিয়ে করেন। তাঁদের সংসার টিকে ছিল এক দশকের বেশি সময়। মডেল মার্লা ম্যাপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
এরপর ১৯৯০ সালে ট্রাম্প-ইভানা জুটির বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার পর ট্রাম্প ম্যাপলসের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যান। ১৯৯৩ সালে তাঁদের কন্যা টিফানির জন্ম হয় এবং ওই বছরই তাঁরা বিয়ে করেন। তবে এই সম্পর্কও বেশি দিন টেকেনি। ১৯৯৭ সালে ‘জগতের প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির’ কথা বলে তাঁরা আলাদা হয়ে যান।
দ্বিতীয় বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালে ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্কের এক পার্টিতে ট্রাম্পের সঙ্গে পরিচয় হয় স্লোভেনিয়ান-আমেরিকান মডেল মেলানিয়া কনাসের। ২০০৪ সালে মেট গালায় ট্রাম্প মেলানিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০০৫ সালে ফ্লোরিডার পাম বিচে সমুদ্রের তীরের একটি গির্জায় তাঁদের বিয়ে হয়। মেলানিয়া হন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি।
এরপর সামনে আসে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের ঘটনা। স্টর্মি দাবি করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এক রাতের সম্পর্ক হয়েছিল। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ড্যানিয়েলসকে চুপ করাতে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। সেই অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি গুরুতর অপরাধের রায় হয়েছে।
তবে ট্রাম্প নিজেই ‘নারীদের বিষয়ে’ তাঁর একমাত্র আক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য আর্ট অব দ্য কামব্যাক’ বইয়ে তিনি লেখেন, ‘লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে কখনো আমি মন দিয়ে ভালোবাসার সুযোগই পেলাম না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি তাঁকে বেশ কয়েকবার দেখেছি। আমি লক্ষ করেছি, তিনি কীভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করতেন। তাঁর উপস্থিতিতেই গোটা ঘর উজ্জ্বল হয়ে উঠত। তিনি ছিলেন সত্যিকারের রাজকন্যা—স্বপ্নের মতো একজন নারী।’
ডায়ানার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ করে, ১৯৯৬ সালে রাজপুত্র চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার বিবাহবিচ্ছেদের পর ট্রাম্প নাকি তাঁকে ‘সর্বশেষ ট্রফির’ মর্যাদা দিয়ে ‘স্ত্রী’ হিসেবে পাওয়ার চেষ্টা করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসের কলামে ডায়ানার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিবিসির সাবেক সাংবাদিক সেলিনা স্কট লেখেন, ট্রাম্পের পাঠানো বিশাল ফুলের তোড়া নিয়মিত ডায়ানার কেনসিংটন প্যালেসের বাসায় পৌঁছাত। ঠিক একই কৌশলে তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী ইভানাকে পটিয়েছিলেন।
স্কট লিখেছেন, ‘ট্রাম্প ডায়ানাকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রফি হিসেবে দেখতেন। রোজ গুচ্ছ গুচ্ছ গোলাপ আর অর্কিড তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছাত। এতে ডায়ানা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। বিষয়টা তাঁর কাছে মনে হচ্ছিল, যেন ট্রাম্প তাঁকে অনুসরণ বা উত্ত্যক্ত করছেন।’
একদিন ব্যক্তিগত নৈশভোজে ডায়ানা সেলিনা স্কটকে জানান, ‘আমি কী করব? উনি আমাকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন।’ সেলিনা জবাব দেন, ‘ফুলগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দাও।’ ডায়ানা হেসে ওঠেন।
এরপর ১৯৯৭ সালে প্যারিসে ডায়ানার মৃত্যুর পর ট্রাম্প তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের বলেন, তাঁর সবচেয়ে বড় আক্ষেপ হলো ডায়ানার সঙ্গে তিনি প্রেম করতে পারেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন, ডায়ানার সঙ্গে তাঁর রোমান্স হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ডায়ানার সঙ্গে কয়েকবার দেখা ছাড়া তাঁদের মধ্যে আর কোনো ঘনিষ্ঠতা হয়নি। তবে ডায়ানার মৃত্যুর পরও ট্রাম্প তাঁর কথা ভুলতে পারেননি।
১৯৯৭ সালে ডায়ানার শেষকৃত্যের কয়েক মাস পর হাওয়ার্ড স্টার্নের রেডিও শোতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, সুযোগ পেলে তিনি ডায়ানার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যেতেন। তবে আগে তিনি ডায়ানার এইচআইভি পরীক্ষা করাতেন। স্টার্ন জিজ্ঞাসা করেন, ‘মানুষ কেন ভাবে, তুমি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছ যে, তুমি লেডি ডায়ানাকে পেতে পারতে?’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, পারতাম।’ পরে তাঁদের মধ্যে এক নাটকীয় কথোপকথন হয়, যেখানে ট্রাম্প কল্পনায় ডায়ানাকে বলেন, ‘লেডি ডায়ানা, তুমি কি চিকিৎসকের কাছে যাবে?’
স্টার্ন কৌতুক করে বলেন, ‘আমার লেক্সাস গাড়িতে ফিরে যাও। কারণ, আমার নতুন চিকিৎসক আছে। একটু চেকআপ করিয়ে নিতে হবে।’
নতুন শতাব্দীর শুরুর দিকে ২০০০ সালের আরেক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আবারও বলেন, কোনো দ্বিধা ছাড়াই তিনি ডায়ানার সঙ্গে শুতে রাজি ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর ‘টপ টেন’ সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারীর তালিকায় ডায়ানাকে তৃতীয় স্থানে রাখেন। তালিকায় দ্বিতীয় ছিলেন তাঁর সাবেক স্ত্রী ইভানা এবং প্রথম স্থানে বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া।
ডায়ানাকে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি একটু পাগল ছিলেন, তবে এটা তেমন বড় ব্যাপার নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলছি, তিনি অসাধারণ ছিলেন। লেডি ডায়ানা সত্যিকারের রূপসী নারী ছিলেন। আমি তাঁকে কয়েকবার দেখেছি। মানুষ বুঝতেই পারেনি, তিনি এতটা সুন্দর। তিনি ছিলেন সুপারমডেলদের মতো। তাঁর উচ্চতা, সৌন্দর্য, ত্বক—সবকিছু ছিল অবিশ্বাস্য।’
এমন মন্তব্যের পরও ডায়ানার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ট্রাম্পের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে শিষ্টাচার বজায় রেখেছেন, সেটাই বিস্ময়কর। ২০১৯ সালের যুক্তরাষ্ট্র সফরে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নটর ডেম দে প্যারিসের পুনরোদ্বোধনে এবং ২০২৫ সালের এপ্রিলে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উইলিয়াম ট্রাম্পের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উইলিয়াম হয়তো জানতেন, তাঁর মা ডায়ানা ট্রাম্প সম্পর্কে কী ভাবতেন। ২০২৩ সালে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি এমন একটি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছেন, যেখানে বিশ্বনেতা, রাজনীতিবিদ ও সেলিব্রিটির লেখা চিঠি থাকবে। তাঁদের মধ্যে প্রিন্সেস ডায়ানাও আছেন, সবাই নাকি তাঁর ‘পশ্চাদ্দেশ লেহন’ করতে চেয়েছিল।
জবাবে ডায়ানার ভাই আর্ল চার্লস স্পেনসার টুইট করেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, আমার প্রয়াত বোন ডায়ানা নাকি তাঁর পশ্চাদ্দেশ লেহন করতে চাইতেন—এটা শুনে আমি বিস্মিত। কারণ, ডায়ানা যখন জীবিত ছিলেন, ট্রাম্প তাঁর নাম ব্যবহার করে নিউইয়র্কে কিছু রিয়েল এস্টেট বিক্রি করছিলেন। ওই সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রতি তাঁর মনোভাব ফেটে যাওয়া মলদ্বারের চেয়েও খারাপ।’
এদিকে ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে ‘অভূতপূর্ব’ দ্বিতীয়বারের রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উইন্ডসর ক্যাসেলে এই সফর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল
আরও খবর পড়ুন:

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ট্রাম্প নিজেই ‘নারীদের বিষয়ে’ তাঁর একমাত্র আক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য আর্ট অব দ্য কামব্যাক’ বইয়ে তিনি লেখেন, ‘লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে কখনো আমি মন দিয়ে ভালোবাসার সুযোগই পেলাম না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি তাঁকে বেশ কয়েকবার দেখেছি। আমি লক্ষ করেছি, তিনি কীভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করতে
২৮ জুন ২০২৫
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

ট্রাম্প নিজেই ‘নারীদের বিষয়ে’ তাঁর একমাত্র আক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য আর্ট অব দ্য কামব্যাক’ বইয়ে তিনি লেখেন, ‘লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে কখনো আমি মন দিয়ে ভালোবাসার সুযোগই পেলাম না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি তাঁকে বেশ কয়েকবার দেখেছি। আমি লক্ষ করেছি, তিনি কীভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করতে
২৮ জুন ২০২৫
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন বাগ্যুদ্ধ। বিরোধীদের দাবি, উত্তর ভারতের বিতর্কিত ‘বুলডোজার রাজ’ এখন কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারও অনুসরণ করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর (সোমবার) ভোর ৪টার সময় বেঙ্গালুরুর কোগিলু গ্রামের ফকির কলোনি ও ওয়াসিম লেআউটে এই অভিযান চালায় বেঙ্গালুরু সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ৪টি জেসিবি (এক্সকাভেটর) এবং ১৫০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ চালানো হয়।

বেঙ্গালুরুতে যখন বছরের সবচেয়ে বেশি শীত বিরাজ করছে, ঠিক তখনই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের দাবি, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই পুলিশ তাদের জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। অনেক পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র এবং আসবাব সরিয়ে নেওয়ারও সময় পায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারা প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছে। তাদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি রয়েছে।
উচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই শ্রমজীবী ও অভিবাসী। বর্তমানে কয়েক শ মানুষ তীব্র শীতের মধ্যে রাস্তার ওপর অস্থায়ী তাঁবু বা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সবচেয়ে সোচ্চার হয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তিনি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘দুঃখজনক, কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের অধীনে এখন সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। যখন কোনো সরকার ভয় এবং পাশবিক শক্তির মাধ্যমে শাসন করে, তখন সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
কেরালার আরেক মন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি এই ঘটনাকে ১৯৭৫ সালের ‘জরুরি অবস্থা’র ক্রূরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সিপিআইয়ের (এম) একটি প্রতিনিধিদল উচ্ছেদস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একটি ‘উচ্ছেদবিরোধী কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
সমালোচনার মুখে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার তাঁর সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন, এলাকাটি মূলত একটি আবর্জনা ফেলার ভাগাড় ছিল এবং ভূমি মাফিয়ারা এটিকে বস্তিতে রূপান্তরের চেষ্টা করছিল।
শিবকুমার দাবি করেন, তাঁরা কাউকে কষ্ট দিতে চান না, বরং সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুলডোজার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। পিনরাই বিজয়নের মতো প্রবীণ নেতাদের মাঠের বাস্তবতা না জেনে মন্তব্য করা উচিত নয়।’
তবে অনেকেই বলছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস সরকারের এমন ‘বুলডোজার’ নীতি তাদের ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন বন্ধুপ্রতিম দলগুলোই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন বাগ্যুদ্ধ। বিরোধীদের দাবি, উত্তর ভারতের বিতর্কিত ‘বুলডোজার রাজ’ এখন কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারও অনুসরণ করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর (সোমবার) ভোর ৪টার সময় বেঙ্গালুরুর কোগিলু গ্রামের ফকির কলোনি ও ওয়াসিম লেআউটে এই অভিযান চালায় বেঙ্গালুরু সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ৪টি জেসিবি (এক্সকাভেটর) এবং ১৫০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ চালানো হয়।

বেঙ্গালুরুতে যখন বছরের সবচেয়ে বেশি শীত বিরাজ করছে, ঠিক তখনই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের দাবি, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই পুলিশ তাদের জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। অনেক পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র এবং আসবাব সরিয়ে নেওয়ারও সময় পায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারা প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছে। তাদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি রয়েছে।
উচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই শ্রমজীবী ও অভিবাসী। বর্তমানে কয়েক শ মানুষ তীব্র শীতের মধ্যে রাস্তার ওপর অস্থায়ী তাঁবু বা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সবচেয়ে সোচ্চার হয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তিনি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘দুঃখজনক, কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের অধীনে এখন সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। যখন কোনো সরকার ভয় এবং পাশবিক শক্তির মাধ্যমে শাসন করে, তখন সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
কেরালার আরেক মন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি এই ঘটনাকে ১৯৭৫ সালের ‘জরুরি অবস্থা’র ক্রূরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সিপিআইয়ের (এম) একটি প্রতিনিধিদল উচ্ছেদস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একটি ‘উচ্ছেদবিরোধী কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
সমালোচনার মুখে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার তাঁর সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন, এলাকাটি মূলত একটি আবর্জনা ফেলার ভাগাড় ছিল এবং ভূমি মাফিয়ারা এটিকে বস্তিতে রূপান্তরের চেষ্টা করছিল।
শিবকুমার দাবি করেন, তাঁরা কাউকে কষ্ট দিতে চান না, বরং সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুলডোজার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। পিনরাই বিজয়নের মতো প্রবীণ নেতাদের মাঠের বাস্তবতা না জেনে মন্তব্য করা উচিত নয়।’
তবে অনেকেই বলছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস সরকারের এমন ‘বুলডোজার’ নীতি তাদের ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন বন্ধুপ্রতিম দলগুলোই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

ট্রাম্প নিজেই ‘নারীদের বিষয়ে’ তাঁর একমাত্র আক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য আর্ট অব দ্য কামব্যাক’ বইয়ে তিনি লেখেন, ‘লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে কখনো আমি মন দিয়ে ভালোবাসার সুযোগই পেলাম না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি তাঁকে বেশ কয়েকবার দেখেছি। আমি লক্ষ করেছি, তিনি কীভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করতে
২৮ জুন ২০২৫
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে সন্ত্রাসীদের জন্য ‘বড়দিনের উপহার’ হিসেবে অভিহিত করলেও স্থানীয়রা বলছেন, তাঁর এলাকায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম-গন্ধও নেই। তাঁরা কখনো আইএস দেখেননি।
সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল জেলার মুসলিমপ্রধান কৃষিভিত্তিক জনপদ জাবোর বাসিন্দা সুলেমান কাগারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি একটি বিকট শব্দ শোনেন এবং মাথার ওপর দিয়ে আগুনের গোলার মতো কিছু একটা উড়ে যেতে দেখেন। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি সশব্দে মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়ে গ্রামবাসীরা দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে পালাতে শুরু করেন।
কাগারা বলেন, ‘আমরা কাল সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। আমাদের জীবনে আমরা এমন ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি।’
এদিকে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অভিযান চালিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই জঙ্গিরা বছরের পর বছর ধরে নিরীহ খ্রিষ্টানদের হত্যা করছে। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যে জাবোর মানুষ আকাশ থেকে পড়েছে।
সুলেমান কাগারা জানান, জাবো গ্রামে মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিষ্টানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। তাদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় সংঘাত নেই। সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাশার ইসাহ জাবো বলেন, ‘এটি একটি শান্ত এলাকা। এখানে আইএস, লাকুরাওয়া বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যক্রমের কোনো ইতিহাস নেই।’
বাশার ইসাহ আরও বলেন, মিসাইলটি গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি খোলা মাঠে আঘাত হানে। এতে কেউ হতাহত না হলেও পুরো জনপদে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাইজেরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় পরে এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজেরিয়া যৌথভাবে সোকোটোর তানগাজা জেলার জঙ্গলে আইএসের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, অভিযানের সময় ব্যবহৃত গোলার ধ্বংসাবশেষ বা ‘ডেব্রিস’ জাবো গ্রাম এবং উত্তর-কেন্দ্রীয় কওয়ারা রাজ্যের কিছু এলাকায় গিয়ে পড়েছে। তারা এটাও দাবি করেছে, এতে কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নামদি ওবাসি মনে করেন, এই বিমান হামলা হয়তো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে কিছুটা দুর্বল করবে, কিন্তু নাইজেরিয়ার বহুমাত্রিক সহিংসতা শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, সুশাসনের অভাব, চারণভূমি ও পানির দখল নিয়ে কৃষক-পশুপালকদের জাতিগত দাঙ্গা এবং গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বই এই অস্থিরতার মূল কারণ।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ তুগার সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামলার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন। তবে নাইজেরিয়ার সাধারণ মানুষ মনে করছে, সন্ত্রাস দমনের নামে সাধারণ জনপদে এ ধরনের হামলা তাদের জীবনকে আরও অনিরাপদ করে তুলছে।

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে সন্ত্রাসীদের জন্য ‘বড়দিনের উপহার’ হিসেবে অভিহিত করলেও স্থানীয়রা বলছেন, তাঁর এলাকায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম-গন্ধও নেই। তাঁরা কখনো আইএস দেখেননি।
সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল জেলার মুসলিমপ্রধান কৃষিভিত্তিক জনপদ জাবোর বাসিন্দা সুলেমান কাগারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি একটি বিকট শব্দ শোনেন এবং মাথার ওপর দিয়ে আগুনের গোলার মতো কিছু একটা উড়ে যেতে দেখেন। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি সশব্দে মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়ে গ্রামবাসীরা দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে পালাতে শুরু করেন।
কাগারা বলেন, ‘আমরা কাল সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। আমাদের জীবনে আমরা এমন ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি।’
এদিকে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অভিযান চালিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই জঙ্গিরা বছরের পর বছর ধরে নিরীহ খ্রিষ্টানদের হত্যা করছে। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যে জাবোর মানুষ আকাশ থেকে পড়েছে।
সুলেমান কাগারা জানান, জাবো গ্রামে মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিষ্টানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। তাদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় সংঘাত নেই। সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাশার ইসাহ জাবো বলেন, ‘এটি একটি শান্ত এলাকা। এখানে আইএস, লাকুরাওয়া বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যক্রমের কোনো ইতিহাস নেই।’
বাশার ইসাহ আরও বলেন, মিসাইলটি গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি খোলা মাঠে আঘাত হানে। এতে কেউ হতাহত না হলেও পুরো জনপদে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাইজেরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় পরে এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজেরিয়া যৌথভাবে সোকোটোর তানগাজা জেলার জঙ্গলে আইএসের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, অভিযানের সময় ব্যবহৃত গোলার ধ্বংসাবশেষ বা ‘ডেব্রিস’ জাবো গ্রাম এবং উত্তর-কেন্দ্রীয় কওয়ারা রাজ্যের কিছু এলাকায় গিয়ে পড়েছে। তারা এটাও দাবি করেছে, এতে কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নামদি ওবাসি মনে করেন, এই বিমান হামলা হয়তো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে কিছুটা দুর্বল করবে, কিন্তু নাইজেরিয়ার বহুমাত্রিক সহিংসতা শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, সুশাসনের অভাব, চারণভূমি ও পানির দখল নিয়ে কৃষক-পশুপালকদের জাতিগত দাঙ্গা এবং গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বই এই অস্থিরতার মূল কারণ।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ তুগার সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামলার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন। তবে নাইজেরিয়ার সাধারণ মানুষ মনে করছে, সন্ত্রাস দমনের নামে সাধারণ জনপদে এ ধরনের হামলা তাদের জীবনকে আরও অনিরাপদ করে তুলছে।

ট্রাম্প নিজেই ‘নারীদের বিষয়ে’ তাঁর একমাত্র আক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য আর্ট অব দ্য কামব্যাক’ বইয়ে তিনি লেখেন, ‘লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে কখনো আমি মন দিয়ে ভালোবাসার সুযোগই পেলাম না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি তাঁকে বেশ কয়েকবার দেখেছি। আমি লক্ষ করেছি, তিনি কীভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করতে
২৮ জুন ২০২৫
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে