Ajker Patrika

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

নিরঙ্কুশ জয়ে ফিরলেন ট্রাম্প

জাহীদ রেজা নূর, নিউইয়র্ক থেকে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পরই সমর্থকদের সামনে হাজির হন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প, রানিংমেট জে ডি ভ্যান্সসহ ঘনিষ্ঠরা। গতকাল ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচ কনভেনশন সেন্টারে। ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পরই সমর্থকদের সামনে হাজির হন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প, রানিংমেট জে ডি ভ্যান্সসহ ঘনিষ্ঠরা। গতকাল ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচ কনভেনশন সেন্টারে। ছবি: এএফপি

অনেকেই বলছিলেন এবার কয়েক দিন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল জানতে। এত দ্রুত ফল বের হবে, কে তা ভাবতে পেরেছিল? সব হিসাব-নিকাশ আর শ্বাসরুদ্ধকর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিরলেন হোয়াইট হাউসে। আইনসভার দুই কক্ষ সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদও গেল ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের হাতে। ফলে রিপাবলিকান পার্টি বলতে গেলে এবার নিজেদের মতো করে দেশ শাসন করতে পারবে। কংগ্রেসে বিল পাস করতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না ট্রাম্পের।

সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৭৭টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করে ফেলেছেন। কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি ইলেকটোরাল ভোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের প্রয়োজন। ট্রাম্পের ঝুলিতে পড়েছে ৭ কোটি ১৭ লাখের বেশি ভোট। আর কমলা পেয়েছেন ৬ কোটি ৬৬ লাখের বেশি ভোট। যদিও গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা পর্যন্ত অ্যারিজোনা, নেভাডা, আলাস্কা, মিশিগান ও মেইন অঙ্গরাজ্যের ফলাফল ঘোষণা বাকি ছিল। অবশ্য মেইন বাদে বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোয় ট্রাম্প এগিয়ে ছিলেন।

এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটেও রিপাবলিকানদের জয়জয়কার। সেখানে ৫২টি আসন রিপাবলিকানদের দখলে গেছে। ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছেন ৪২টি আসন। ফল ঘোষণা বাকি ছয়টির। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে অন্তত ৫০টি আসন প্রয়োজন।

প্রতিনিধি পরিষদও রিপাবলিকানদের দখলে যাবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রিপাবলিকানরা ২০৪টি আসনে জয় পেয়েছে। আর ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছে ১৮২টি। ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যা-গরিষ্ঠতা পেতে একটি দলকে অন্তত ২১৮টি আসন পেতে হয়।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পেছনে রয়েছে বাইডেন আমলে জীবনযাত্রার চড়া ব্যয়, নারীদের ভোট প্রত্যাশার চেয়ে কম পাওয়া, গাজা যুদ্ধের জন্য অনেক মুসলিম ভোট হারানো ইত্যাদি কারণ। ব্যয়ভার বেড়ে যাওয়ায় অনেক মার্কিন নাগরিকই বড় বড় শহর ছেড়ে অপেক্ষাকৃত ছোট শহরের দিকে চলে যাচ্ছেন। জীবনযাত্রার ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাওয়া মার্কিন নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ক্ষমতার পরিবর্তন চাইছিলেন। পাশাপাশি কেউ কেউ এমনও মনে করছেন, ১৯২০ সালে জাতীয় নির্বাচনে মেয়েদের ভোটাধিকার অনুমোদন করা যুক্তরাষ্ট্র এখনো হয়তো নারী প্রেসিডেন্টের জন্য তৈরি নয়।

নির্বাচনের ফল আসতে শুরুর কিছুক্ষণ পরই কমলা হ্যারিসের পরাজয় স্পষ্ট হতে থাকে। এ সময় ভেঙে পড়েন তাঁর অনেক সমর্থক। গত মঙ্গলবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে। ছবি: এএফপি
নির্বাচনের ফল আসতে শুরুর কিছুক্ষণ পরই কমলা হ্যারিসের পরাজয় স্পষ্ট হতে থাকে। এ সময় ভেঙে পড়েন তাঁর অনেক সমর্থক। গত মঙ্গলবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে। ছবি: এএফপি

ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘গার্ডিয়ান’ এর মূল্যায়ন–ট্রাম্পের খামখেয়ালি ধরনের নেতৃত্বের কৌশল এবং রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার কিম জং-উনের মতো কর্তৃত্ববাদী নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে এ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রাজধানীতে সতর্কতার ঘণ্টা বাজাবে। মার্কিন দেশের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতিতে এবার সত্যিই কতটা বা কী ধরনের পরিবর্তন আসে, সেদিকেই সবার নজর থাকবে।

গতকাল বুধবারই জার্মান গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা বলেছেন, সাধারণ মানুষ স্বল্পমেয়াদি সমস্যার কথা ভেবে ভোট দেয়, তাতে দীর্ঘমেয়াদি গুরুত্বপূর্ণ সংকটের অবসান হয় না। ট্রাম্পকে ভোট দিলে তা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই পরিবর্তন আনবে না, ইউরোপের জন্যও তা সংকট সৃষ্টি করবে।

জয় অনেকটাই নিশ্চিত হওয়ার পর ট্রাম্প ফ্লোরিডায় উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমেরিকা আমাদের পক্ষে নজিরবিহীন ও জোরদার রায় দিয়েছে।... এটি হবে আমেরিকার স্বর্ণযুগ।’

৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প হতে যাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি বয়সে নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে জো বাইডেন ৭৭ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। আবার ফৌজদারি অপরাধে আদালতে দোষী সাব্যস্ত প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা এখন যুদ্ধহীন দেশ দেখতে চায়। ট্রাম্পের গত মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে জড়ায়নি। যুদ্ধ মানেই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার অপচয়, আর নিহত সেনার কফিনের সারি। এটা বোঝে মার্কিনরা। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া এবং হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান বিষয়ে অনেক মার্কিন নাগরিক নাখোশ ছিলেন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্পের এই বিজয় এক চমকপ্রদ রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনেরই নজির। কংগ্রেস ভবনে নিজের সমর্থকদের হামলার কলঙ্কের কালো ছায়ার মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউস ছেড়েছিলেন তিনি। সেই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে চার বছর পর মার্কিন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু সেই হোয়াইট হাউসে ফিরছেন তিনি।

ভোটের রাতে কমলা প্রথাগত ভাষণ দেবেন না—এই ঘোষণা থেকেই বোঝা গিয়েছিল ডেমোক্র্যাটদের মনোভাব। ট্রাম্পের জয়ের আভাস ক্রমেই বেশি করে স্পষ্ট হতে থাকলে নির্বাচনী কার্যালয় ছেড়ে যেতে শুরু করেন ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা-কর্মীরা।

ভোটের দিনের ছবি
৫ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে যখন নিউইয়র্কের রাস্তায় বের হয়েছিলাম, তখন রাস্তাঘাট ছিল বেশ সুনসান। কুইন্স ভিলেজ এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল, ভোটাররা আসছেই না। লাইনে কেউ দাঁড়িয়ে নেই। তবে কিছুক্ষণ ভোটকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই দেখতে পেলাম, ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছেন ভোটাররা। নানা বর্ণের নানা বয়সের মানুষ তারা।

এরপর গেলাম ব্রাইটন বিচে। বহুদূরের পথ। আটলান্টিক পারের ব্রাইটন বিচ এলাকাটি মূলত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আসা অভিবাসী মানুষের বসতি। অনেক জরিপেই জানা গেছে, এই এলাকায় ট্রাম্পের পক্ষেই বেশি ভোট পড়বে। আর যাঁরা ইউক্রেন থেকে এসেছেন, তাঁরা ভোট দেবেন কমলা হ্যারিসকে।

বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন
ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তাঁকে অভিনন্দন জানানো শুরু করেছেন বিশ্বনেতারা। এরই মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা অভিনন্দন জানিয়েছেন। চীন সরকার অভিনন্দন জানালেও দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সরাসরি কিছু বলেননি। আর রাশিয়া বলেছে, ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিক অভিনন্দন জানানোর পরিকল্পনা তাদের আপাতত নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বিষ্ণু মূর্তি, নিন্দা জানাল ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।

প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’

ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।

বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত ২১ ডিসেম্বর গাজা সিটিতে ক্রিসমাস উদযাপনের আগে হলি ফ্যামিলি ক্যাথলিক চার্চের বাইরে গাজার শিশু ও সন্ন্যাসিনীরা। ছবি: এপির সৌজন্যে
গত ২১ ডিসেম্বর গাজা সিটিতে ক্রিসমাস উদযাপনের আগে হলি ফ্যামিলি ক্যাথলিক চার্চের বাইরে গাজার শিশু ও সন্ন্যাসিনীরা। ছবি: এপির সৌজন্যে

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।

৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।

গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’

তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।

গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’

৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’

গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।

গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।

অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মস্কোতে বিস্ফোরণ, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত তিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪২
মস্কোর ঘটনাস্থলে পুলিশ। ছবি: বিবিসি
মস্কোর ঘটনাস্থলে পুলিশ। ছবি: বিবিসি

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।

রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।

নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।

বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।

এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
তুরস্কের শানলিউরফা শহর। ছবি: সিএনএন
তুরস্কের শানলিউরফা শহর। ছবি: সিএনএন

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।

দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

বালিক্লিগোলে ভেসে বেড়ায় কালো দাগওয়ালা কার্প মাছ। ছবি: সিএনএন
বালিক্লিগোলে ভেসে বেড়ায় কালো দাগওয়ালা কার্প মাছ। ছবি: সিএনএন

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।

এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।

তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। ছবি: সিএনএন
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। ছবি: সিএনএন

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।

ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

শানলিউরফা নগরীতে ‘সিরা গেসেসি’ নামে রাতের আড্ডা। ছবি: সিএনএন
শানলিউরফা নগরীতে ‘সিরা গেসেসি’ নামে রাতের আড্ডা। ছবি: সিএনএন

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত