
৯ মে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ইসলামাবাদের হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। এরপরই দেশজুড়ে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলা শুরু করেন ইমরানের সমর্থকেরা। তাঁদের ক্ষোভের কেন্দ্রে ছিল দেশটির সেনাবাহিনী।
ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর ভাইরাল হওয়া ৩৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, লাহোরের একটি বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করছেন একদল ক্ষুব্ধ মানুষ। লাঠি হাতে তাঁরা ভাঙচুর করছেন, আর ইমরানের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। এটি ছিল এক সেনা কর্মকর্তার বাসভবন।
ভিডিওটি যিনি ধারণ করছিলেন, ক্যামেরা হাতে নিয়ে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান করা এক সৈনিকের দিকে এগিয়ে যান। এ সময় ওই সৈনিককে উদ্দেশ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, ইমরান খানকে স্পর্শ করবেন না।’
শুধু এ ঘটনাই নয়, একই সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের অন্য প্রদেশেও বিভিন্ন সেনা স্থাপনা ও সেনা কর্মকর্তাদের বাসভবনে হামলা, এমনকি অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেপ্তারকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং তাঁকে আদালতে হাজির করে মুক্তির নির্দেশ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায়, গতকাল শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর দুই সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন।
মুক্তি পেয়ে ইমরান খানও তাঁর গ্রেপ্তারের জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে দায়ী করেন। দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ইমরান ও তাঁর সমর্থকদের বিরোধ এখন তুঙ্গে। কিন্তু এর শুরুটা হলো কীভাবে?
দেখা গেছে, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনবার অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। তিন দশকেরও বেশি সময় তারা রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের দখলে রেখেছে। এমনকি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও তাদের অনেক প্রভাব রয়েছে।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ইমরানের দল পিটিআই ক্ষমতায় আসার পেছনেও সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেছিল নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিরোধীরা। কেউ কেউ এমন দাবিও করেছিলেন, ভোট ডাকাতি করে ইমরানকে ক্ষমতায় এনেছে সেনাবাহিনী।
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়ও ইমরান খানের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই দেখা গেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত এই সম্পর্কে ফাটল ধরে। মূলত দেশটির বৈদেশিক নীতি নিয়েই এই ফাটলের সূত্রপাত ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারানোর পর এর জন্য সরাসরি সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন ইমরান খান। তাঁর অনুসারীরাও এটা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন।
এ বিষয়ে লাহোরে আবদুল আজিজ নামে ইমরানের এক সমর্থক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথা বলতেন ইমরান খান। এটা ছিল এই দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা ভেবেছিলাম, সেনাবাহিনীও এটি বুঝতে পেরেছে। কিন্তু অনাস্থা ভোটে যা ঘটে, তা ছিল কল্পনারও অতীত। কখনোই ভাবিনি দেশে এমন পরিস্থিতি আসবে।’
ক্ষমতা হারানোর পর দ্রুত আরেকটি নির্বাচনের দাবিতে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশজুড়ে সভা-সমাবেশ করেন ইমরান ও তাঁর দলের সমর্থকেরা। নভেম্বরে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে একবার হত্যাচেষ্টাও হয়। এ সময় ইমরান দাবি করেন, সরকার ও কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা তাঁকে হত্যার চেষ্টা করছেন।
সর্বশেষ গ্রেপ্তারের ঘটনাটিও সেনাবাহিনীর নির্দেশে শাহবাজ শরিফের সরকার ঘটিয়েছে বলে দাবি করছেন ইমরান খানের সমর্থকেরা।
দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাসিন্দা আবদুল্লা আফ্রিদি বলেন, ‘যত দিন সেনাবাহিনী সংবিধান মানছিল এবং আমাদের নেতার পাশে ছিল, তত দিন আমরাও তাদের পাশে ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম ভালো-মন্দের বিচারের ক্ষমতা তাদের আছে। কিন্তু যখন দেখলাম সেনাবাহিনী ইমরান খান ও তাঁর আদর্শের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে এবং আমাদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে—তখন থেকে আমরাও তাদের বিরোধিতা করছি।’
সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের সমর্থকদের বিরোধ এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এ অবস্থায় পিটিআই সমর্থকেরা জিকির তুলেছে, ‘ইমরান খান আমাদের লাল দাগ।’
এই দাগ স্পর্শ করলে অর্থাৎ ইমরানের কিছু হলে তাঁর সমর্থকেরাও ছেড়ে কথা বলবে না। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহও সেই ইঙ্গিত দিয়েছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে লিখেছেন পরাগ মাঝি

৯ মে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ইসলামাবাদের হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। এরপরই দেশজুড়ে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলা শুরু করেন ইমরানের সমর্থকেরা। তাঁদের ক্ষোভের কেন্দ্রে ছিল দেশটির সেনাবাহিনী।
ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর ভাইরাল হওয়া ৩৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, লাহোরের একটি বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করছেন একদল ক্ষুব্ধ মানুষ। লাঠি হাতে তাঁরা ভাঙচুর করছেন, আর ইমরানের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। এটি ছিল এক সেনা কর্মকর্তার বাসভবন।
ভিডিওটি যিনি ধারণ করছিলেন, ক্যামেরা হাতে নিয়ে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান করা এক সৈনিকের দিকে এগিয়ে যান। এ সময় ওই সৈনিককে উদ্দেশ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, ইমরান খানকে স্পর্শ করবেন না।’
শুধু এ ঘটনাই নয়, একই সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের অন্য প্রদেশেও বিভিন্ন সেনা স্থাপনা ও সেনা কর্মকর্তাদের বাসভবনে হামলা, এমনকি অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেপ্তারকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং তাঁকে আদালতে হাজির করে মুক্তির নির্দেশ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায়, গতকাল শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর দুই সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন।
মুক্তি পেয়ে ইমরান খানও তাঁর গ্রেপ্তারের জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে দায়ী করেন। দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ইমরান ও তাঁর সমর্থকদের বিরোধ এখন তুঙ্গে। কিন্তু এর শুরুটা হলো কীভাবে?
দেখা গেছে, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনবার অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। তিন দশকেরও বেশি সময় তারা রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের দখলে রেখেছে। এমনকি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও তাদের অনেক প্রভাব রয়েছে।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ইমরানের দল পিটিআই ক্ষমতায় আসার পেছনেও সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেছিল নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিরোধীরা। কেউ কেউ এমন দাবিও করেছিলেন, ভোট ডাকাতি করে ইমরানকে ক্ষমতায় এনেছে সেনাবাহিনী।
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়ও ইমরান খানের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই দেখা গেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত এই সম্পর্কে ফাটল ধরে। মূলত দেশটির বৈদেশিক নীতি নিয়েই এই ফাটলের সূত্রপাত ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারানোর পর এর জন্য সরাসরি সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন ইমরান খান। তাঁর অনুসারীরাও এটা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন।
এ বিষয়ে লাহোরে আবদুল আজিজ নামে ইমরানের এক সমর্থক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথা বলতেন ইমরান খান। এটা ছিল এই দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা ভেবেছিলাম, সেনাবাহিনীও এটি বুঝতে পেরেছে। কিন্তু অনাস্থা ভোটে যা ঘটে, তা ছিল কল্পনারও অতীত। কখনোই ভাবিনি দেশে এমন পরিস্থিতি আসবে।’
ক্ষমতা হারানোর পর দ্রুত আরেকটি নির্বাচনের দাবিতে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশজুড়ে সভা-সমাবেশ করেন ইমরান ও তাঁর দলের সমর্থকেরা। নভেম্বরে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে একবার হত্যাচেষ্টাও হয়। এ সময় ইমরান দাবি করেন, সরকার ও কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা তাঁকে হত্যার চেষ্টা করছেন।
সর্বশেষ গ্রেপ্তারের ঘটনাটিও সেনাবাহিনীর নির্দেশে শাহবাজ শরিফের সরকার ঘটিয়েছে বলে দাবি করছেন ইমরান খানের সমর্থকেরা।
দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাসিন্দা আবদুল্লা আফ্রিদি বলেন, ‘যত দিন সেনাবাহিনী সংবিধান মানছিল এবং আমাদের নেতার পাশে ছিল, তত দিন আমরাও তাদের পাশে ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম ভালো-মন্দের বিচারের ক্ষমতা তাদের আছে। কিন্তু যখন দেখলাম সেনাবাহিনী ইমরান খান ও তাঁর আদর্শের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে এবং আমাদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে—তখন থেকে আমরাও তাদের বিরোধিতা করছি।’
সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের সমর্থকদের বিরোধ এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এ অবস্থায় পিটিআই সমর্থকেরা জিকির তুলেছে, ‘ইমরান খান আমাদের লাল দাগ।’
এই দাগ স্পর্শ করলে অর্থাৎ ইমরানের কিছু হলে তাঁর সমর্থকেরাও ছেড়ে কথা বলবে না। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহও সেই ইঙ্গিত দিয়েছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে লিখেছেন পরাগ মাঝি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২৭ মিনিট আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
১ ঘণ্টা আগে
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

২০১৮ সালে পাকিস্তানে ইমরান খানের দল বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, সেনাবাহিনীই ইমরান খানকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ইমরান খানের সঙ্গেও সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখা গেছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান ও তাঁর সমর্থকদের বিরোধ এখন তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতি হলো কীভাবে?
১৩ মে ২০২৩
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
১ ঘণ্টা আগে
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

২০১৮ সালে পাকিস্তানে ইমরান খানের দল বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, সেনাবাহিনীই ইমরান খানকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ইমরান খানের সঙ্গেও সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখা গেছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান ও তাঁর সমর্থকদের বিরোধ এখন তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতি হলো কীভাবে?
১৩ মে ২০২৩
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২৭ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
১ ঘণ্টা আগে
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ইউরোপে ফেরার পথে তিনি এ তথ্য জানান।
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির মধ্যেও পূর্ব ইউক্রেনের বিতর্কিত দনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দুই নেতা। ক্রেমলিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দোনেৎস্ক অঞ্চলের ‘ফোর্ট্রেস বেল্ট’ বা দুর্গ শহরগুলো থেকে ইউক্রেনীয় সেো সরিয়ে না নিলে তারা কোনো চুক্তিতে আসবে না।
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যার অন্যতম মূল অংশ হলো মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি। ইউক্রেনীয় পার্লামেন্ট এবং মার্কিন কংগ্রেস যৌথভাবে এ প্রতিশ্রুতির পক্ষে ভোট দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছরের গ্যারান্টি দিলেও জেলেনস্কি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন এই মেয়াদ ৩০, ৪০ বা ৫০ বছর করার জন্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলেনস্কি মনে করেন, কোনো শান্তিচুক্তি হলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি হবে নিরাপত্তার সেরা রূপ। তবে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন কোনো শান্তিবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হবে না।
বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছেন, শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে তাঁরা প্রায় ৯৫ শতাংশ সফল। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কিয়েভ দ্রুত চুক্তিতে না এলে আরও ভূখণ্ড হারাবে। রাশিয়া অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়ার বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
এদিকে, জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে ভূমি ছাড়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, বর্তমান ফ্রন্টলাইন বরাবর একটি ‘অসামরিক ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তোলার, যেখান থেকে উভয় পক্ষ তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। জেলেনস্কির প্রস্তাবে আরও আছে, চূড়ান্ত শান্তি পরিকল্পনাটি ইউক্রেনের জনগণের সম্মতির জন্য একটি গণভোটে পেশ করা হবে। এই গণভোট আয়োজনের জন্য অন্তত ৬০ দিনের একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পুতিন এই ৬০ দিনের বিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে আগ্রহী নন।
এদিকে, জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির পরবর্তী বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, চুক্তির ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হলেও বাকি ৫ শতাংশ ‘জটিল ইস্যু’ (দনবাস ও ভূখণ্ড) সমাধান করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ইউরোপে ফেরার পথে তিনি এ তথ্য জানান।
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির মধ্যেও পূর্ব ইউক্রেনের বিতর্কিত দনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দুই নেতা। ক্রেমলিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দোনেৎস্ক অঞ্চলের ‘ফোর্ট্রেস বেল্ট’ বা দুর্গ শহরগুলো থেকে ইউক্রেনীয় সেো সরিয়ে না নিলে তারা কোনো চুক্তিতে আসবে না।
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যার অন্যতম মূল অংশ হলো মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি। ইউক্রেনীয় পার্লামেন্ট এবং মার্কিন কংগ্রেস যৌথভাবে এ প্রতিশ্রুতির পক্ষে ভোট দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছরের গ্যারান্টি দিলেও জেলেনস্কি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন এই মেয়াদ ৩০, ৪০ বা ৫০ বছর করার জন্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলেনস্কি মনে করেন, কোনো শান্তিচুক্তি হলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি হবে নিরাপত্তার সেরা রূপ। তবে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন কোনো শান্তিবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হবে না।
বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছেন, শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে তাঁরা প্রায় ৯৫ শতাংশ সফল। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কিয়েভ দ্রুত চুক্তিতে না এলে আরও ভূখণ্ড হারাবে। রাশিয়া অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়ার বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
এদিকে, জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে ভূমি ছাড়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, বর্তমান ফ্রন্টলাইন বরাবর একটি ‘অসামরিক ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তোলার, যেখান থেকে উভয় পক্ষ তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। জেলেনস্কির প্রস্তাবে আরও আছে, চূড়ান্ত শান্তি পরিকল্পনাটি ইউক্রেনের জনগণের সম্মতির জন্য একটি গণভোটে পেশ করা হবে। এই গণভোট আয়োজনের জন্য অন্তত ৬০ দিনের একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পুতিন এই ৬০ দিনের বিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে আগ্রহী নন।
এদিকে, জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির পরবর্তী বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, চুক্তির ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হলেও বাকি ৫ শতাংশ ‘জটিল ইস্যু’ (দনবাস ও ভূখণ্ড) সমাধান করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

২০১৮ সালে পাকিস্তানে ইমরান খানের দল বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, সেনাবাহিনীই ইমরান খানকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ইমরান খানের সঙ্গেও সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখা গেছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান ও তাঁর সমর্থকদের বিরোধ এখন তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতি হলো কীভাবে?
১৩ মে ২০২৩
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২৭ মিনিট আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
১ ঘণ্টা আগে
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সাল থেকে এই তিন দেশ আরও নিবিড় প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় লিপ্ত হবে। এ বিষয়টিকে লোহিতসাগর ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক বলয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে সাইপ্রাসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিন দেশের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা ২০২৬ সালের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক সহযোগিতা কর্মসূচি স্বাক্ষর করেন। এরপর জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস এবং সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডোলিডেসের শীর্ষ বৈঠকে এই জোটের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
জোটে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী দিনে ইসরায়েল পরিচালিত ‘নোবেল দিনা’ (Noble Dina) নামক নৌ মহড়ায় বড় আকারে যোগ দেবে গ্রিস ও সাইপ্রাস। এসব মহড়ায় ইসরায়েল তাদের আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ও যুদ্ধকৌশল গ্রিস ও সাইপ্রাসের কাছে তুলে ধরবে। বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা ও ড্রোন মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময় করা হবে।
এমনও গুঞ্জন রয়েছে, এই তিন দেশ মিলে প্রায় ২ হাজার ৫০০ সদস্যের একটি যৌথ ‘র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স’ গঠনের পরিকল্পনা করছে, যা ভূমধ্যসাগরের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও অবকাঠামো রক্ষা করবে।
এদিকে গ্রিস তুরস্কের সঙ্গে আকাশপথ ও সমুদ্রসীমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের প্রেক্ষাপটে বিশাল এক প্রতিরক্ষা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’-এর আদলে গ্রিস ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি বহুমুখী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলছে। এর মাধ্যমে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ঠেকানো সম্ভব হবে।
চলতি মাসেই গ্রিসের পার্লামেন্ট ইসরায়েলের এলবিট সিস্টেমস থেকে ৩৬টি ‘পালস’ রকেট আর্টিলারি সিস্টেম কেনার অনুমোদন দিয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া গ্রিস তাদের পুরোনো রুশ নির্মিত এস-৩০০ ও টর-এম১ মিসাইল সিস্টেম বদলে ইসরায়েলি প্রযুক্তিতে সজ্জিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তবে ইসরায়েলের সঙ্গে এই গভীর সামরিক সখ্যতা নিয়ে সাইপ্রাসের প্রধান বিরোধী দল (কমিউনিস্ট একেইএল) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, ফিলিস্তিন ইস্যু ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সাইপ্রাসের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।
অনেকেই মনে করছেন, এই জোট শুধু সামরিক নয়, বরং ভূমধ্যসাগরের বিশাল গ্যাসক্ষেত্রগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার এক ভূরাজনৈতিক কৌশল। তুরস্ক এই জোটকে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে সতর্ক করেছে, যার ফলে ভবিষ্যতের দিনগুলোতে এই অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সাল থেকে এই তিন দেশ আরও নিবিড় প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় লিপ্ত হবে। এ বিষয়টিকে লোহিতসাগর ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক বলয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে সাইপ্রাসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিন দেশের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা ২০২৬ সালের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক সহযোগিতা কর্মসূচি স্বাক্ষর করেন। এরপর জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস এবং সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডোলিডেসের শীর্ষ বৈঠকে এই জোটের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
জোটে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী দিনে ইসরায়েল পরিচালিত ‘নোবেল দিনা’ (Noble Dina) নামক নৌ মহড়ায় বড় আকারে যোগ দেবে গ্রিস ও সাইপ্রাস। এসব মহড়ায় ইসরায়েল তাদের আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ও যুদ্ধকৌশল গ্রিস ও সাইপ্রাসের কাছে তুলে ধরবে। বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা ও ড্রোন মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময় করা হবে।
এমনও গুঞ্জন রয়েছে, এই তিন দেশ মিলে প্রায় ২ হাজার ৫০০ সদস্যের একটি যৌথ ‘র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স’ গঠনের পরিকল্পনা করছে, যা ভূমধ্যসাগরের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও অবকাঠামো রক্ষা করবে।
এদিকে গ্রিস তুরস্কের সঙ্গে আকাশপথ ও সমুদ্রসীমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের প্রেক্ষাপটে বিশাল এক প্রতিরক্ষা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’-এর আদলে গ্রিস ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি বহুমুখী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলছে। এর মাধ্যমে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ঠেকানো সম্ভব হবে।
চলতি মাসেই গ্রিসের পার্লামেন্ট ইসরায়েলের এলবিট সিস্টেমস থেকে ৩৬টি ‘পালস’ রকেট আর্টিলারি সিস্টেম কেনার অনুমোদন দিয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া গ্রিস তাদের পুরোনো রুশ নির্মিত এস-৩০০ ও টর-এম১ মিসাইল সিস্টেম বদলে ইসরায়েলি প্রযুক্তিতে সজ্জিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তবে ইসরায়েলের সঙ্গে এই গভীর সামরিক সখ্যতা নিয়ে সাইপ্রাসের প্রধান বিরোধী দল (কমিউনিস্ট একেইএল) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, ফিলিস্তিন ইস্যু ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সাইপ্রাসের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।
অনেকেই মনে করছেন, এই জোট শুধু সামরিক নয়, বরং ভূমধ্যসাগরের বিশাল গ্যাসক্ষেত্রগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার এক ভূরাজনৈতিক কৌশল। তুরস্ক এই জোটকে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে সতর্ক করেছে, যার ফলে ভবিষ্যতের দিনগুলোতে এই অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

২০১৮ সালে পাকিস্তানে ইমরান খানের দল বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, সেনাবাহিনীই ইমরান খানকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ইমরান খানের সঙ্গেও সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখা গেছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান ও তাঁর সমর্থকদের বিরোধ এখন তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতি হলো কীভাবে?
১৩ মে ২০২৩
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২৭ মিনিট আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
১ ঘণ্টা আগে