Ajker Patrika

ইমরানের মিয়ানওয়ালী আসনে উপনির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা আদালতের

ইমরানের মিয়ানওয়ালী আসনে উপনির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা আদালতের

তোষাখানা মামলায় আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যেসব আসনে জিতেছিলেন সেগুলোতে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এমনই একটি আসন মিয়ানওয়ালী। সম্প্রতি সেই আসনে উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ৯৫ নম্বর আসন মিয়ানওয়ালীতে এখনই উপনির্বাচন করা যাবে না। পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের প্রধান (পিটিআই) ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়ে শুনানি করতে গিয়ে আদালত এই নির্দেশ দেন। 

তোষাখানা মামলায় ইমরানকে অযোগ্য ঘোষণার পর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন দেশটির সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৩ (১) অনুসারে গত ২৪ অক্টোবর ইমরানকে জাতীয় পরিষদের ৯৫ নম্বর আসন মিয়ানওয়ালীকে শূন্য ঘোষণা করে। পরে সেই নোটিশের পরপরই ইমরান খানের পক্ষ থেকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জকে আবেদন করা হয়। 

এর আগে, গত ২১ অক্টোবর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করে। সে সময় ইসিপি জানিয়েছিল—পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান এখন থেকে আর জাতীয় পরিষদের সদস্য নন। পরদিন ২২ অক্টোবর ইমরান খান ইসিপির সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। পরে সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জানায়, ইমরান খানের উপনির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই। 

উল্লেখ্য, সরকারি তোষাখানায় থাকা উপহার সামগ্রী এবং বিক্রয় থেকে আয়ের বিশদ বিবরণ প্রকাশ না করার অভিযোগে ক্ষমতাসীন জোট সরকার গত আগস্টে ইমরান খানের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে অভিযোগ দেয়। তিনি পরে সেটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার কাছে পাঠান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কমিশন ইমরান খানকে ৫ বছরের জন্য নির্বাচনের অযোগ্য বলে ঘোষণা করে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার মন্ত্রীদের বৈঠক, আলোচনায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন সিরিয়ার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত
মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন সিরিয়ার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই বৈঠকে সামরিক শিল্প খাতে ‘কৌশলগত সহযোগিতা’ সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সি (সানা) জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ হাসান আল-শাইবানি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক বিষয়গুলো গুরুত্ব পেলেও মূল আলোকপাত ছিল প্রতিরক্ষা খাতের ওপর।

সানার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিন ও সিরিয়ার মন্ত্রীরা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে সিরীয় সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো, সামরিক সরঞ্জামের আধুনিকায়ন, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে সহযোগিতার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সানা আরও জানায়, বৈঠকে দুই পক্ষ সামরিক ও কারিগরি অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার উপায়গুলো পর্যালোচনা করেছে। এর লক্ষ্য হলো—সিরীয় আরব সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করা এবং সামরিক শিল্পের আধুনিক অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা।

সংবাদ সংস্থাটির তথ্যমতে, দুই পক্ষ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়েও কথা বলেছে। আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে দামেস্ক ও মস্কোর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমন্বয়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে সেখানে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সিরিয়ার পুনর্গঠন প্রকল্প, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

পুতিন সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি রাশিয়ার ‘অবিচল সমর্থন’ পুনর্ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বারবার হামলার নিন্দা জানিয়ে একে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

গত ডিসেম্বরে মস্কোর সাবেক মিত্র ও সিরিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দামেস্কের নতুন কর্তৃপক্ষের এটিই সর্বশেষ মস্কো সফর। দীর্ঘ ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে আসাদ সরকারের প্রধান সহযোগী ছিল রাশিয়া। আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে তারা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহায়তা এবং বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে।

আসাদ ও তাঁর পরিবার রাশিয়ায় আশ্রয় নিলেও মস্কো এখন দামেস্কের নতুন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। বিশেষ করে ভূমধ্যসাগর উপকূলে অবস্থিত হামেইমিম বিমানঘাঁটি এবং তারতুস নৌঘাঁটি ব্যবহারের চুক্তিগুলো বহাল রাখতে চাইছে রাশিয়া, যেখানে এখনো তাদের সেন উপস্থিতি রয়েছে।

গত অক্টোবরে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা রাশিয়া সফর করেন। সে সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, দামেস্ক ও মস্কোর মধ্যে অতীতে হওয়া সব চুক্তি তার সরকার মেনে চলবে। এর মাধ্যমে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, আসাদ-পরবর্তী যুগেও রুশ সামরিক ঘাঁটিগুলো নিরাপদ থাকবে।

আল-শারার সফরের সময় পুতিন বলেছিলেন যে, দুই দেশের সম্পর্ক নবায়নের ক্ষেত্রে ‘অনেক আকর্ষণীয় ও দরকারী সূচনা’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং রাশিয়া এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। মঙ্গলবার রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই সফরের অংশ হিসেবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল-শাইবানির সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এর আগে জুলাই মাসে মস্কো সফরের সময় আল-শাইবানি বলেছিলেন, তাঁর দেশ রাশিয়াকে ‘পাশে’ চায়। লাভরভকে তিনি তখন বলেন, ‘বর্তমান সময়টি নানা চ্যালেঞ্জ ও হুমকিতে ভরা, তবে এটি একটি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সিরিয়া গড়ার সুযোগও বটে। আর এই পথে আমরা অবশ্যই রাশিয়াকে আমাদের পাশে পেতে আগ্রহী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইউক্রেনের আরও এক শহর রাশিয়ার দখলে, মস্কোয় ড্রোন হামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩১
ইউক্রেনের সিভারস্ক শহরে টহলরত দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর একটি ট্যাংক। ছবিটি ২০২৩ সালের শুরুর দিকে তোলা। ছবি: এএফপি
ইউক্রেনের সিভারস্ক শহরে টহলরত দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর একটি ট্যাংক। ছবিটি ২০২৩ সালের শুরুর দিকে তোলা। ছবি: এএফপি

রাশিয়ার রাজধানী মস্কো ও দক্ষিণে অবস্থিত তুলার শিল্পাঞ্চলে রাতভর ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। বুধবার আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই হামলায় এক শিল্পাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগত শহর সিভারস্ক থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন। এর ফলে দেশটির আরও একটি শহর রাশিয়ার দখলে চলে গেল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর, মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন টেলিগ্রামে জানান, রাজধানীর দিকে ধেয়ে আসা অন্তত তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ড্রোনগুলোর ধ্বংসাবশেষ যেখানে পড়েছে, সেখানে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর তিনি দেননি।

রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ড্রোন হামলার কারণে মস্কোর চারটি প্রধান বিমানবন্দরের মধ্যে দুটিতে বিমান ওঠানামা সীমিত করা হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট রাতভর ১৭২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার প্রায় অর্ধেকই ইউক্রেন সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে।

তুলা অঞ্চলের গভর্নর দিমিত্রি মিলিয়ায়েভ টেলিগ্রামে জানান, একটি ড্রোন ভূপাতিত করার পর এর ধ্বংসাবশেষ থেকে স্থানীয় এক শিল্পাঞ্চলে আগুন ধরে যায়। তবে শিল্পাঞ্চলটি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য তিনি দেননি। তিনি আরও জানান, ওই অঞ্চলে ইউক্রেনের ১২টি ড্রোন ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী।

রাশিয়ার ক্রমাগত হামলার জবাবে ইউক্রেনও এখন রাশিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক, জ্বালানি ও লজিস্টিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা জোরদার করেছে।

অন্যদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর তারা পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগত শহর সিভারস্ক থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে। রাশিয়ার সেনারা বর্তমানে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে বড় ধরনের অভিযান চালাচ্ছে।

সিভারস্কের পতন এমন এক সময়ে ঘটল, যখন প্রায় চার বছরের এই যুদ্ধ বন্ধে দ্রুত শান্তি আলোচনায় বসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়ছে। শহরটি দখলের ফলে রুশ বাহিনী এখন সলোভিয়ানস্কের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেল, যা পশ্চিম দিকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দনবাস অঞ্চলের শিল্পশহরগুলোর সমন্বয়ে গঠিত তথাকথিত ‘দুর্গ বলয়ের’ উত্তর প্রান্তের প্রধান কেন্দ্র হলো এই সলোভিয়ানস্ক। যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে এই পুরো অঞ্চলটি আগেই দাবি করে আসছিল রাশিয়া।

ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে শত্রুপক্ষ তাদের বিশাল জনবল ও ছোট ছোট আক্রমণকারী দলের মাধ্যমে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে এগোতে সক্ষম হয়েছে।’ তারা আরও জানায়, সেনাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থেই এই পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যদিও তারা শত্রুপক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকেই রাশিয়া ১০ হাজার জনসংখ্যার এই শহরটি দখলের দাবি করেছিল, যা তখন কিয়েভ অস্বীকার করে। তবে মঙ্গলবার ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা শহরের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে এবং ভেতরে থাকা রুশ সেনাদের সরবরাহ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাবে।

ইউক্রেনীয় ওপেন-সোর্স গ্রুপ ‘ডিপ স্টেট’ জানিয়েছে, চলতি মাসে সিভারস্কের আশপাশে রাশিয়া ধীরে ধীরে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। এদিকে সাবেক লজিস্টিক হাব পোকরোভস্কের আশপাশে এখনো প্রচণ্ড লড়াই চলছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী জানিয়েছে, তারা সেখানে রাশিয়ার একটি বিশাল যান্ত্রিক হামলা প্রতিহত করেছে।

অপারেশন টাস্কফোর্স ইস্ট ইউনিট মঙ্গলবার ফেসবুকে জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া পোকরোভস্কের উত্তর অংশ এখনো ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাশের মিরনোহরাদ শহরেও সেনারা প্রতিরক্ষা ব্যূহ বজায় রেখেছে এবং শহরের উপকণ্ঠে রুশ সেনাদের নির্মূল করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা। চিঠিতে তাঁরা কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও উল্লেখ করেছেন যে আওয়ামী আমলে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি এবং গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই অপরাধগুলো ব্যক্তিগত গণ্য করে গণতন্ত্রের স্বার্থে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে এই চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।

এই পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, বিল হুইজেঙ্গা, সিডনি কামলাগার-ডোভ, জুলি জনসন এবং থমাস আর সুওজি। তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব।’

তাঁরা আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার সংস্কারগুলোও জরুরি। আমরা শঙ্কিত যে সরকার যদি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবারও চালু করে, তবে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’

২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা উল্লেখ করে ওই আইনপ্রণেতারা বলেন, যদি কোনো একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হয়, তবে আগামী নির্বাচনও অবাধ হবে না। চিঠিতে বলা হয়, ‘পররাষ্ট্র দপ্তর এবং অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক লক্ষ করেছেন, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না। এ ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয়ের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে।’

আইনপ্রণেতারা মনে করেন, এই হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য ঘটনার প্রকৃত জবাবদিহি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আদলে হওয়া উচিত, প্রতিশোধের চক্র অব্যাহত রেখে নয়। তাঁরা লিখেছেন, ‘সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং সামষ্টিক অপরাধের বদলে ব্যক্তিগত অপরাধের দায়বদ্ধতা হলো মৌলিক মানবাধিকার। আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, কোনো একটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এই নীতিগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

চিঠির শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি, আপনার সরকার অথবা পরবর্তী কোনো নির্বাচিত সরকার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। দিন শেষে বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজেদের পছন্দমতো সরকার গঠনের অধিকার রাখে, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারবে এবং মানুষের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত হবে।’

আইনপ্রণেতারা আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সামনের মাসগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করতে আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৩
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ছবি: এএফপি

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাইত আল বসতিতে ১, হাজার ২০০ নতুন ঘর নির্মাণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় মন্ত্রী এই বক্তব্য দেন। বক্তৃতায় কাৎজ ২০০৫ সালে ইসরায়েল কর্তৃক পরিত্যক্ত উত্তর গাজার বসতিগুলো পুনর্নির্মাণের অঙ্গীকার করেন।

কাৎজ বলেন, ‘আমরা গাজার অনেক গভীরে আছি এবং আমরা কখনোই গাজা ছেড়ে যাব না, এমন কিছু ঘটবে না।’

কাৎজ আরও যোগ করেন, ‘সময় এলে আমরা উত্তর গাজায় উচ্ছেদ হওয়া সম্প্রদায়গুলোর জায়গায় নাহাল আউটপোস্ট (সামরিক-কৃষি ফাঁড়ি) স্থাপন করব।’

বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ইসরায়েল এবং ইসরায়েল-অধিকৃত উভয় অঞ্চলে দেশটির সৈন্যরা যে ধরনের সামরিক-কৃষি ফাঁড়ি স্থাপন করেছিল, মন্ত্রী মূলত সেই ধরনের আউটপোস্টের কথা উল্লেখ করছিলেন। এই আউটপোস্টগুলোর অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী বেসামরিক বসতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘোষিত নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, গাজায় পুনরায় বসতি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা পশ্চিম জেরুজালেমের নেই। কাৎজের এই বক্তব্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার সঙ্গেও সরাসরি সংঘাত তৈরি করে, যা যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিতে প্রবেশ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। মার্কিন পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপগুলোতে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি ছিটমহল থেকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে এবং সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘ইসরায়েল গাজা দখল বা অ্যানেক্স (সংযুক্ত) করবে না।’

ইসরায়েলি মন্ত্রীর এই বক্তব্য বিভিন্ন মহলের সমালোচনা কুড়িয়েছে। সমালোচকেরা কাৎজের বিরুদ্ধে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি ‘সঙ্কটময়’ মুহূর্তে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অবজ্ঞা করার অভিযোগ তুলেছেন। সাবেক চিফ অব স্টাফ গাদি আইজেনকোট এক্সে লিখেছেন, ‘সরকার যখন এক হাতে ট্রাম্প পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দিচ্ছে, তখন অন্য হাতে তারা গাজা উপত্যকায় বিচ্ছিন্ন বসতি স্থাপনের রূপকথা বিক্রি করছে।’

এই ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে কাৎজ তাঁর মন্তব্য থেকে কিছুটা পিছু হটেছেন। তাঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় বসতি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই’ এবং দাবি করা হয়েছে যে মন্তব্যগুলো ‘শুধু নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে’ করা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত