
আমরা নতুন বছর ২০২৫ সালে প্রবেশ করেছি। আর ঠিক এই সময়ে আমি পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির ও কঠিন সময়গুলোর কথা ভাবছি। এক নির্জন-একাকী কারা কক্ষে বন্দী থেকে আমি দেখছি, কীভাবে আমার দেশ কঠোর স্বৈরশাসনের দখলে চলে গেছে। তবু, সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমি পাকিস্তানি জনগণের দৃঢ় মনোবল ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অবিচল প্রতিশ্রুতিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাসী।
আমার বিরুদ্ধে আনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগগুলো কেবলই গণতন্ত্রের পক্ষে আমার সংগ্রাম স্তব্ধ করার প্রচেষ্টা। কিন্তু এই লড়াই আমার ব্যক্তিগত লড়াই নয়। পাকিস্তানে গণতন্ত্রের অবক্ষয় সুদূরপ্রসারী পরিণতি ডেকে আনছে। একটি অস্থিতিশীল পাকিস্তান শুধু আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে না, বরং বাণিজ্য ব্যাহত করছে এবং বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকেও দুর্বল করছে। বিশ্বকে অবশ্যই এই সংকটের গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে, শুধু পাকিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য নয়, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার স্বার্থেও।
গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে পাকিস্তানে গণতন্ত্রের দমন বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, যা সব মুক্ত ও ন্যায়সংগত শাসনব্যবস্থার পক্ষে দাঁড়ানো দেশগুলোর জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত।
গত বছর ছিল নিপীড়নের এক নজিরবিহীন অধ্যায়। আমার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং এর সমর্থকদের ওপর যে নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, তা পুরো বিশ্বকে হতবাক করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘ একাধিকবার স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার এবং সামরিক আদালতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের বিষয়টি নথিভুক্ত করেছে।
এ পর্যন্ত ১০৩ জন পিটিআই কর্মী ও নেতাকে এসব সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের লঙ্ঘন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এসব বিচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এই পরিস্থিতির ফলে সাধারণ পাকিস্তানিরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পাকিস্তান ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে প্রাপ্ত বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে, যা আমাদের অর্থনীতির জন্য, বিশেষ করে বস্ত্র খাতের জন্য এক ভয়াবহ বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। কিন্তু দেশের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এই ধ্বংসাত্মক পথেই এগিয়ে চলেছে, আমার ও আমার দলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন প্রচারণা চালিয়ে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে বিপন্ন করছে।
বিশ্বের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকেও নজর দেওয়া উচিত। পাকিস্তানে গণতন্ত্রের অবক্ষয়ের সঙ্গে সঙ্গে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটেছে। এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয় বা নিছক কাকতালও নয়।
এই গুরুতর নিরাপত্তা হুমকিগুলোর মোকাবিলা করার পরিবর্তে, পাকিস্তানের সামরিক সম্পদ ব্যয় করা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধপরায়ণ অভিযান চালাতে। বিচার বিভাগের ন্যায়বিচারের রক্ষাকবচ হওয়ার কথা থাকলে তা এখন রাজনৈতিক দমনপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আদালতগুলোতে এখন পিটিআই সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলা চলছে।
নিরীহ মানুষের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, পরিবারগুলো আতঙ্কগ্রস্ত, এমনকি নারী ও শিশুরাও এই দমনপীড়নের হাত থেকে রেহাই পায়নি। আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী, প্রবাসী সমর্থক ও কর্মীদের পরিবারকে হয়রানি ও অপহরণের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার দল নথিভুক্ত করেছে, গত নভেম্বরে ইসলামাবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ১২ জন সমর্থক নিহত হয়েছেন।
আমি দেশের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, বিশেষ করে যে নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছে, তার ব্যাপক কারচুপির বিষয়ে। তা সত্ত্বেও, আমি পিটিআই নেতৃত্বকে সরকারপক্ষের সঙ্গে সংলাপে বসার অনুমতি দিয়েছি, যাতে আরও সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এড়ানো যায়।
আমাদের দাবি ছিল স্পষ্ট—আমাদের কর্মী ও নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে হবে। পাশাপাশি, সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি চাই। কিন্তু এর জবাবে আমাকে ‘গৃহবন্দীত্বের’ বিনিময়ে পিটিআইয়ের জন্য একটি অনির্দিষ্ট ‘রাজনৈতিক পরিসর’ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি।
এদিকে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পরিণত হয়েছে এক নিছক ‘রাবার স্ট্যাম্পে’, যেটি স্বৈরাচারী নীতিগুলোর অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংকুচিত করা, বাক্স্বাধীনতা দমন করা এবং ভিন্নমতকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা—এসব আইন বিতর্ক ছাড়াই পাস করা হয়েছে। রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে এখন ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ’ আখ্যা দিয়ে জোরপূর্বক গুম ও কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মাধ্যমে দমন করা হচ্ছে। পাকিস্তানে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নও প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
এর বাইরেও, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সৈয়দ আসিম মুনিরকে অবশ্যই সংবিধানের সীমারেখা মেনে চলতে হবে। শুধু এভাবেই পাকিস্তান সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে সমৃদ্ধ হতে পারে, একটি সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত ও জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে। ইতিহাস সাক্ষী, পাকিস্তানে স্বৈরশাসন কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, কিন্তু এসব শাসন যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে, তার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্ম বহন করতে হয়েছে।
তবুও, অন্ধকারের মধ্যেও আশার আলো রয়েছে। পাকিস্তানের জনগণ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। তারা মিথ্যার জাল ছিন্ন করতে শিখেছে এবং তাদের এই জাগরণই আমার শক্তির উৎস। ন্যায়বিচার ও মর্যাদার জন্য লড়াই সহজ নয়, কিন্তু এটি অবশ্যই লড়াই করার মতোই একটি সংগ্রাম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সত্যের জয় হবেই। আমরা একসঙ্গে এমন এক পাকিস্তান গড়ে তুলব, যেখানে নাগরিকদের অধিকার রক্ষিত হবে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
পাকিস্তানের বাইরেও বিশ্ব এক সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। যখন বৈশ্বিক সংঘাত ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ক্রমশ বাড়ছে, তখন শক্তিশালী ও নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এই প্রেক্ষাপটে, আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে তাঁর ঐতিহাসিক অভিষেক উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাঁর অসাধারণ রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন জনগণের ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ়তার প্রতিফলন।
তাঁর প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এবারও তাঁর প্রশাসন গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি, বিশেষ করে যেখানে স্বৈরশাসনের হুমকি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিপন্ন করছে।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা একত্রে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব—একটি পাকিস্তান, যা ন্যায়বিচার, সমান সুযোগ ও গণতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাবে।

আমরা নতুন বছর ২০২৫ সালে প্রবেশ করেছি। আর ঠিক এই সময়ে আমি পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির ও কঠিন সময়গুলোর কথা ভাবছি। এক নির্জন-একাকী কারা কক্ষে বন্দী থেকে আমি দেখছি, কীভাবে আমার দেশ কঠোর স্বৈরশাসনের দখলে চলে গেছে। তবু, সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমি পাকিস্তানি জনগণের দৃঢ় মনোবল ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অবিচল প্রতিশ্রুতিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাসী।
আমার বিরুদ্ধে আনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগগুলো কেবলই গণতন্ত্রের পক্ষে আমার সংগ্রাম স্তব্ধ করার প্রচেষ্টা। কিন্তু এই লড়াই আমার ব্যক্তিগত লড়াই নয়। পাকিস্তানে গণতন্ত্রের অবক্ষয় সুদূরপ্রসারী পরিণতি ডেকে আনছে। একটি অস্থিতিশীল পাকিস্তান শুধু আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে না, বরং বাণিজ্য ব্যাহত করছে এবং বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকেও দুর্বল করছে। বিশ্বকে অবশ্যই এই সংকটের গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে, শুধু পাকিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য নয়, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার স্বার্থেও।
গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে পাকিস্তানে গণতন্ত্রের দমন বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, যা সব মুক্ত ও ন্যায়সংগত শাসনব্যবস্থার পক্ষে দাঁড়ানো দেশগুলোর জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত।
গত বছর ছিল নিপীড়নের এক নজিরবিহীন অধ্যায়। আমার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং এর সমর্থকদের ওপর যে নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, তা পুরো বিশ্বকে হতবাক করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘ একাধিকবার স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার এবং সামরিক আদালতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের বিষয়টি নথিভুক্ত করেছে।
এ পর্যন্ত ১০৩ জন পিটিআই কর্মী ও নেতাকে এসব সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের লঙ্ঘন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এসব বিচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এই পরিস্থিতির ফলে সাধারণ পাকিস্তানিরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পাকিস্তান ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে প্রাপ্ত বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে, যা আমাদের অর্থনীতির জন্য, বিশেষ করে বস্ত্র খাতের জন্য এক ভয়াবহ বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। কিন্তু দেশের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এই ধ্বংসাত্মক পথেই এগিয়ে চলেছে, আমার ও আমার দলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন প্রচারণা চালিয়ে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে বিপন্ন করছে।
বিশ্বের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকেও নজর দেওয়া উচিত। পাকিস্তানে গণতন্ত্রের অবক্ষয়ের সঙ্গে সঙ্গে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটেছে। এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয় বা নিছক কাকতালও নয়।
এই গুরুতর নিরাপত্তা হুমকিগুলোর মোকাবিলা করার পরিবর্তে, পাকিস্তানের সামরিক সম্পদ ব্যয় করা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধপরায়ণ অভিযান চালাতে। বিচার বিভাগের ন্যায়বিচারের রক্ষাকবচ হওয়ার কথা থাকলে তা এখন রাজনৈতিক দমনপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আদালতগুলোতে এখন পিটিআই সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলা চলছে।
নিরীহ মানুষের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, পরিবারগুলো আতঙ্কগ্রস্ত, এমনকি নারী ও শিশুরাও এই দমনপীড়নের হাত থেকে রেহাই পায়নি। আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী, প্রবাসী সমর্থক ও কর্মীদের পরিবারকে হয়রানি ও অপহরণের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার দল নথিভুক্ত করেছে, গত নভেম্বরে ইসলামাবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ১২ জন সমর্থক নিহত হয়েছেন।
আমি দেশের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, বিশেষ করে যে নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছে, তার ব্যাপক কারচুপির বিষয়ে। তা সত্ত্বেও, আমি পিটিআই নেতৃত্বকে সরকারপক্ষের সঙ্গে সংলাপে বসার অনুমতি দিয়েছি, যাতে আরও সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এড়ানো যায়।
আমাদের দাবি ছিল স্পষ্ট—আমাদের কর্মী ও নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে হবে। পাশাপাশি, সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি চাই। কিন্তু এর জবাবে আমাকে ‘গৃহবন্দীত্বের’ বিনিময়ে পিটিআইয়ের জন্য একটি অনির্দিষ্ট ‘রাজনৈতিক পরিসর’ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি।
এদিকে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পরিণত হয়েছে এক নিছক ‘রাবার স্ট্যাম্পে’, যেটি স্বৈরাচারী নীতিগুলোর অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংকুচিত করা, বাক্স্বাধীনতা দমন করা এবং ভিন্নমতকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা—এসব আইন বিতর্ক ছাড়াই পাস করা হয়েছে। রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে এখন ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ’ আখ্যা দিয়ে জোরপূর্বক গুম ও কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মাধ্যমে দমন করা হচ্ছে। পাকিস্তানে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নও প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
এর বাইরেও, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সৈয়দ আসিম মুনিরকে অবশ্যই সংবিধানের সীমারেখা মেনে চলতে হবে। শুধু এভাবেই পাকিস্তান সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে সমৃদ্ধ হতে পারে, একটি সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত ও জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে। ইতিহাস সাক্ষী, পাকিস্তানে স্বৈরশাসন কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, কিন্তু এসব শাসন যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে, তার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্ম বহন করতে হয়েছে।
তবুও, অন্ধকারের মধ্যেও আশার আলো রয়েছে। পাকিস্তানের জনগণ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। তারা মিথ্যার জাল ছিন্ন করতে শিখেছে এবং তাদের এই জাগরণই আমার শক্তির উৎস। ন্যায়বিচার ও মর্যাদার জন্য লড়াই সহজ নয়, কিন্তু এটি অবশ্যই লড়াই করার মতোই একটি সংগ্রাম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সত্যের জয় হবেই। আমরা একসঙ্গে এমন এক পাকিস্তান গড়ে তুলব, যেখানে নাগরিকদের অধিকার রক্ষিত হবে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
পাকিস্তানের বাইরেও বিশ্ব এক সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। যখন বৈশ্বিক সংঘাত ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ক্রমশ বাড়ছে, তখন শক্তিশালী ও নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এই প্রেক্ষাপটে, আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে তাঁর ঐতিহাসিক অভিষেক উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাঁর অসাধারণ রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন জনগণের ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ়তার প্রতিফলন।
তাঁর প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এবারও তাঁর প্রশাসন গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি, বিশেষ করে যেখানে স্বৈরশাসনের হুমকি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিপন্ন করছে।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা একত্রে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব—একটি পাকিস্তান, যা ন্যায়বিচার, সমান সুযোগ ও গণতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাবে।

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৮ মিনিট আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
১ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
শহরটির ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, নার্সিং হোমটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
জিমি জানান, ভুক্তভোগীদের অনেক দেহ তাঁদের ঘরের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সন্ধ্যায় যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন বয়স্ক বাসিন্দাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের নিজ নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম মেট্রো টিভি-তে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন নার্সিং হোমটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয়রা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
শহরটির ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, নার্সিং হোমটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
জিমি জানান, ভুক্তভোগীদের অনেক দেহ তাঁদের ঘরের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সন্ধ্যায় যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন বয়স্ক বাসিন্দাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের নিজ নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম মেট্রো টিভি-তে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন নার্সিং হোমটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয়রা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

আমরা নতুন বছর ২০২৫ সালে প্রবেশ করেছি। আর ঠিক এই সময়ে আমি পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির ও কঠিন সময়গুলোর কথা ভাবছি। এক নির্জন-একাকী কারা কক্ষে বন্দী থেকে আমি দেখছি, কীভাবে আমার দেশ কঠোর স্বৈরশাসনের দখলে চলে গেছে। তবু, সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমি পাকিস্তানি জনগণের দৃঢ় মনোবল ও ন্যায়বিচারের প্রতি...
০১ মার্চ ২০২৫
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
১ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

আমরা নতুন বছর ২০২৫ সালে প্রবেশ করেছি। আর ঠিক এই সময়ে আমি পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির ও কঠিন সময়গুলোর কথা ভাবছি। এক নির্জন-একাকী কারা কক্ষে বন্দী থেকে আমি দেখছি, কীভাবে আমার দেশ কঠোর স্বৈরশাসনের দখলে চলে গেছে। তবু, সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমি পাকিস্তানি জনগণের দৃঢ় মনোবল ও ন্যায়বিচারের প্রতি...
০১ মার্চ ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৮ মিনিট আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

আমরা নতুন বছর ২০২৫ সালে প্রবেশ করেছি। আর ঠিক এই সময়ে আমি পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির ও কঠিন সময়গুলোর কথা ভাবছি। এক নির্জন-একাকী কারা কক্ষে বন্দী থেকে আমি দেখছি, কীভাবে আমার দেশ কঠোর স্বৈরশাসনের দখলে চলে গেছে। তবু, সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমি পাকিস্তানি জনগণের দৃঢ় মনোবল ও ন্যায়বিচারের প্রতি...
০১ মার্চ ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৮ মিনিট আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

আমরা নতুন বছর ২০২৫ সালে প্রবেশ করেছি। আর ঠিক এই সময়ে আমি পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির ও কঠিন সময়গুলোর কথা ভাবছি। এক নির্জন-একাকী কারা কক্ষে বন্দী থেকে আমি দেখছি, কীভাবে আমার দেশ কঠোর স্বৈরশাসনের দখলে চলে গেছে। তবু, সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমি পাকিস্তানি জনগণের দৃঢ় মনোবল ও ন্যায়বিচারের প্রতি...
০১ মার্চ ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৮ মিনিট আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
১ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
২ ঘণ্টা আগে