আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েই ইউক্রেনের বিরল খনিজের ওপর নজর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি একটি চুক্তিরও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটন ও কিয়েভ। যদিও নানা কারণে সেই চুক্তি এখনো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইউক্রেনের খনিজে নজর দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, এবার দেশটি নজর দিয়েছে পাকিস্তানের বিরল খনিজেও।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট তথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এরিক মেয়ার গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ সফরে আসেন। সেখানে তিনি একটি খনিজ বিনিয়োগ ফোরামে যোগ দেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে এক বৈঠকে মেয়ার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো পাকিস্তানের অব্যবহৃত খনিজ সম্পদে বিনিয়োগে আগ্রহী।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক ব্যাপক আগ্রহের প্রতিফলন। আলোচনার ঠিক দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে এক ফোনালাপে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা বলেন।
এই আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসেও দেখা যাচ্ছে। কংগ্রেসের পাকিস্তান ককাসের সহসভাপতি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা জ্যাক বার্গম্যান সম্প্রতি খনিজকে অংশীদারত্বের ‘মূল খাত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বার্গম্যান গত সপ্তাহান্তে ইসলামাবাদ সফর করেন। ২০২৩ সালের পর এটি ছিল পাকিস্তানে প্রথম কোনো কংগ্রেস প্রতিনিধিদলের সফর।
পাকিস্তানের খনিজ ভান্ডারে তামা ও সোনার বিশাল মজুত ছাড়াও লিথিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে। ধারণা করা হয়, এই খনিজ সম্পদ ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমাইলের বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এটি যুক্তরাজ্যের আয়তনের দ্বিগুণেরও বেশি।
ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে তাদের খনিজ সম্পদের বিপুল পরিমাণ মজুতের কথা বলে আসছে। বর্তমানে এর আর্থিক মূল্য ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান দীর্ঘকাল ধরে আগ্রহী বিনিয়োগকারী খুঁজে পেতে হিমশিম খেয়েছে। তাই ট্রাম্প প্রশাসনের এই আগ্রহকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান খনিজ সহযোগিতার সম্ভাবনাকে বেশি করে দেখা ঠিক হবে না। গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি এ ধরনের অংশীদারত্বকে বিপজ্জনক জুয়ায় পরিণত করেছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসার পর দুই দেশের সম্পর্কে যখন অংশীদারত্বের ভিত্তি খোঁজা হচ্ছিল, তখন খনিজকে নতুন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের জোরালো আগ্রহ সুবিদিত। চীন সম্প্রতি বিরল মৃত্তিকা রপ্তানি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পাকিস্তানকে সুযোগ হিসেবে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাড়তি প্রেরণা জোগাচ্ছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান হয়তো তাদের খনিজ সম্পদকে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার সুযোগ হিসেবে দেখছে। শাহবাজ শরিফ বলেছেন, খনিজ বিনিয়োগ পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক আর্থিক নির্ভরতা কমাতে এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
তবে নিরাপত্তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। খনি কোম্পানিগুলো প্রায়শই ঝুঁকিপূর্ণ ভূখণ্ডে কাজ করে, তাই উচ্চ ঝুঁকি গ্রহণে তারা অভ্যস্ত। কিন্তু পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্ভাব্য খনি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষভাবে বিপজ্জনক। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে ৫২১টি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এটি ৭০ শতাংশ বেশি।
৫২১টি হামলার ৯৫ শতাংশের বেশি হয়েছে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। সরকারি তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানের বেশির ভাগ খনিজ সম্পদ এই দুটি প্রদেশেই অবস্থিত। ২০২৫ সালেও এই প্রবণতা অব্যাহত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে ৫৪টি সন্ত্রাসী হামলার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৫৩টিই ছিল এই দুই প্রদেশে।
বিচ্ছিন্নতাবাদী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) পাকিস্তানের অন্যতম শক্তিশালী সহিংস গোষ্ঠী। ২০২৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিএলএ এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলার সংখ্যা ১১৯ শতাংশ বেড়েছে।
সাধারণভাবে বলতে গেলে, গত কয়েক দশকে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন এবং বড় অবকাঠামো প্রকল্প স্থানীয় সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সম্পদের শোষণ নিয়ে ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে বিএলএ হামলার অন্যতম কারণ।
ফলে, খনিজ বিনিয়োগকারীরা বারুদের স্তূপের মধ্যে পা রাখতে যাচ্ছেন, যদি তাঁরা দেশটিতে বিনিয়োগ করেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান খনিজ বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা উদ্বেগ পর্যাপ্তভাবে সমাধান করতে পারেনি, যদিও চীনের অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে রক্ষা করার জন্য হাজার হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য যেসব দেশের খনিজ বিনিয়োগকারীরা পাকিস্তানে সুযোগ খুঁজছেন, তারা হয়তো তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী আনার জন্য চাপ দিতে পারেন। এটি পাকিস্তানে অবৈধ। তবে ইসলামাবাদ যদি এতে রাজি হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠবে।
পাকিস্তানে খনিজ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবকাঠামো ও জ্বালানির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, শাহবাজ শরিফ বিনিয়োগকারীদের দেশেই খনিজ প্রক্রিয়াকরণের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানে কর্মরত কানাডাভিত্তিক ব্যারিক গোল্ডের কর্মকর্তারা বলছেন দেশটিতে পর্যাপ্ত সস্তা ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ নেই। (ব্যারিক গোল্ড বেলুচিস্তানে সোনা ও তামার খনি উন্নয়নে পাকিস্তানের সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে।)
পাকিস্তান দীর্ঘকাল ধরে তথাকথিত রিসোর্স কার্স বা সম্পদের অভিশাপের একটি উদাহরণ হয়ে আছে। বিপুল খনিজ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দেশটি অর্থনৈতিকভাবে সংগ্রাম করছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং অন্যান্য বাধা বিবেচনা করলে, এই অবস্থা থেকে খুব শিগগিরই বেরিয়ে আসা কঠিন হবে।
তথ্যসূত্র: ফরেন পলিসি

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েই ইউক্রেনের বিরল খনিজের ওপর নজর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি একটি চুক্তিরও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটন ও কিয়েভ। যদিও নানা কারণে সেই চুক্তি এখনো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইউক্রেনের খনিজে নজর দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, এবার দেশটি নজর দিয়েছে পাকিস্তানের বিরল খনিজেও।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট তথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এরিক মেয়ার গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ সফরে আসেন। সেখানে তিনি একটি খনিজ বিনিয়োগ ফোরামে যোগ দেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে এক বৈঠকে মেয়ার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো পাকিস্তানের অব্যবহৃত খনিজ সম্পদে বিনিয়োগে আগ্রহী।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক ব্যাপক আগ্রহের প্রতিফলন। আলোচনার ঠিক দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে এক ফোনালাপে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা বলেন।
এই আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসেও দেখা যাচ্ছে। কংগ্রেসের পাকিস্তান ককাসের সহসভাপতি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা জ্যাক বার্গম্যান সম্প্রতি খনিজকে অংশীদারত্বের ‘মূল খাত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বার্গম্যান গত সপ্তাহান্তে ইসলামাবাদ সফর করেন। ২০২৩ সালের পর এটি ছিল পাকিস্তানে প্রথম কোনো কংগ্রেস প্রতিনিধিদলের সফর।
পাকিস্তানের খনিজ ভান্ডারে তামা ও সোনার বিশাল মজুত ছাড়াও লিথিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে। ধারণা করা হয়, এই খনিজ সম্পদ ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমাইলের বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এটি যুক্তরাজ্যের আয়তনের দ্বিগুণেরও বেশি।
ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে তাদের খনিজ সম্পদের বিপুল পরিমাণ মজুতের কথা বলে আসছে। বর্তমানে এর আর্থিক মূল্য ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান দীর্ঘকাল ধরে আগ্রহী বিনিয়োগকারী খুঁজে পেতে হিমশিম খেয়েছে। তাই ট্রাম্প প্রশাসনের এই আগ্রহকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান খনিজ সহযোগিতার সম্ভাবনাকে বেশি করে দেখা ঠিক হবে না। গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি এ ধরনের অংশীদারত্বকে বিপজ্জনক জুয়ায় পরিণত করেছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসার পর দুই দেশের সম্পর্কে যখন অংশীদারত্বের ভিত্তি খোঁজা হচ্ছিল, তখন খনিজকে নতুন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের জোরালো আগ্রহ সুবিদিত। চীন সম্প্রতি বিরল মৃত্তিকা রপ্তানি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পাকিস্তানকে সুযোগ হিসেবে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাড়তি প্রেরণা জোগাচ্ছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান হয়তো তাদের খনিজ সম্পদকে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার সুযোগ হিসেবে দেখছে। শাহবাজ শরিফ বলেছেন, খনিজ বিনিয়োগ পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক আর্থিক নির্ভরতা কমাতে এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
তবে নিরাপত্তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। খনি কোম্পানিগুলো প্রায়শই ঝুঁকিপূর্ণ ভূখণ্ডে কাজ করে, তাই উচ্চ ঝুঁকি গ্রহণে তারা অভ্যস্ত। কিন্তু পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্ভাব্য খনি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষভাবে বিপজ্জনক। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে ৫২১টি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এটি ৭০ শতাংশ বেশি।
৫২১টি হামলার ৯৫ শতাংশের বেশি হয়েছে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। সরকারি তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানের বেশির ভাগ খনিজ সম্পদ এই দুটি প্রদেশেই অবস্থিত। ২০২৫ সালেও এই প্রবণতা অব্যাহত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে ৫৪টি সন্ত্রাসী হামলার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৫৩টিই ছিল এই দুই প্রদেশে।
বিচ্ছিন্নতাবাদী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) পাকিস্তানের অন্যতম শক্তিশালী সহিংস গোষ্ঠী। ২০২৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিএলএ এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলার সংখ্যা ১১৯ শতাংশ বেড়েছে।
সাধারণভাবে বলতে গেলে, গত কয়েক দশকে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন এবং বড় অবকাঠামো প্রকল্প স্থানীয় সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সম্পদের শোষণ নিয়ে ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে বিএলএ হামলার অন্যতম কারণ।
ফলে, খনিজ বিনিয়োগকারীরা বারুদের স্তূপের মধ্যে পা রাখতে যাচ্ছেন, যদি তাঁরা দেশটিতে বিনিয়োগ করেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান খনিজ বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা উদ্বেগ পর্যাপ্তভাবে সমাধান করতে পারেনি, যদিও চীনের অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে রক্ষা করার জন্য হাজার হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য যেসব দেশের খনিজ বিনিয়োগকারীরা পাকিস্তানে সুযোগ খুঁজছেন, তারা হয়তো তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী আনার জন্য চাপ দিতে পারেন। এটি পাকিস্তানে অবৈধ। তবে ইসলামাবাদ যদি এতে রাজি হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠবে।
পাকিস্তানে খনিজ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবকাঠামো ও জ্বালানির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, শাহবাজ শরিফ বিনিয়োগকারীদের দেশেই খনিজ প্রক্রিয়াকরণের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানে কর্মরত কানাডাভিত্তিক ব্যারিক গোল্ডের কর্মকর্তারা বলছেন দেশটিতে পর্যাপ্ত সস্তা ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ নেই। (ব্যারিক গোল্ড বেলুচিস্তানে সোনা ও তামার খনি উন্নয়নে পাকিস্তানের সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে।)
পাকিস্তান দীর্ঘকাল ধরে তথাকথিত রিসোর্স কার্স বা সম্পদের অভিশাপের একটি উদাহরণ হয়ে আছে। বিপুল খনিজ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দেশটি অর্থনৈতিকভাবে সংগ্রাম করছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং অন্যান্য বাধা বিবেচনা করলে, এই অবস্থা থেকে খুব শিগগিরই বেরিয়ে আসা কঠিন হবে।
তথ্যসূত্র: ফরেন পলিসি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েই ইউক্রেনের বিরল খনিজের ওপর নজর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি একটি চুক্তিরও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটন ও কিয়েভ। যদিও নানা কারণে সেই চুক্তি এখনো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইউক্রেনের খনিজে নজর দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, এবার দেশটি নজর দিয়েছে পাকিস্তানের বিরল খনিজেও।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট তথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এরিক মেয়ার গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ সফরে আসেন। সেখানে তিনি একটি খনিজ বিনিয়োগ ফোরামে যোগ দেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে এক বৈঠকে মেয়ার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো পাকিস্তানের অব্যবহৃত খনিজ সম্পদে বিনিয়োগে আগ্রহী।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক ব্যাপক আগ্রহের প্রতিফলন। আলোচনার ঠিক দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে এক ফোনালাপে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা বলেন।
এই আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসেও দেখা যাচ্ছে। কংগ্রেসের পাকিস্তান ককাসের সহসভাপতি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা জ্যাক বার্গম্যান সম্প্রতি খনিজকে অংশীদারত্বের ‘মূল খাত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বার্গম্যান গত সপ্তাহান্তে ইসলামাবাদ সফর করেন। ২০২৩ সালের পর এটি ছিল পাকিস্তানে প্রথম কোনো কংগ্রেস প্রতিনিধিদলের সফর।
পাকিস্তানের খনিজ ভান্ডারে তামা ও সোনার বিশাল মজুত ছাড়াও লিথিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে। ধারণা করা হয়, এই খনিজ সম্পদ ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমাইলের বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এটি যুক্তরাজ্যের আয়তনের দ্বিগুণেরও বেশি।
ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে তাদের খনিজ সম্পদের বিপুল পরিমাণ মজুতের কথা বলে আসছে। বর্তমানে এর আর্থিক মূল্য ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান দীর্ঘকাল ধরে আগ্রহী বিনিয়োগকারী খুঁজে পেতে হিমশিম খেয়েছে। তাই ট্রাম্প প্রশাসনের এই আগ্রহকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান খনিজ সহযোগিতার সম্ভাবনাকে বেশি করে দেখা ঠিক হবে না। গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি এ ধরনের অংশীদারত্বকে বিপজ্জনক জুয়ায় পরিণত করেছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসার পর দুই দেশের সম্পর্কে যখন অংশীদারত্বের ভিত্তি খোঁজা হচ্ছিল, তখন খনিজকে নতুন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের জোরালো আগ্রহ সুবিদিত। চীন সম্প্রতি বিরল মৃত্তিকা রপ্তানি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পাকিস্তানকে সুযোগ হিসেবে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাড়তি প্রেরণা জোগাচ্ছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান হয়তো তাদের খনিজ সম্পদকে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার সুযোগ হিসেবে দেখছে। শাহবাজ শরিফ বলেছেন, খনিজ বিনিয়োগ পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক আর্থিক নির্ভরতা কমাতে এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
তবে নিরাপত্তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। খনি কোম্পানিগুলো প্রায়শই ঝুঁকিপূর্ণ ভূখণ্ডে কাজ করে, তাই উচ্চ ঝুঁকি গ্রহণে তারা অভ্যস্ত। কিন্তু পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্ভাব্য খনি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষভাবে বিপজ্জনক। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে ৫২১টি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এটি ৭০ শতাংশ বেশি।
৫২১টি হামলার ৯৫ শতাংশের বেশি হয়েছে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। সরকারি তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানের বেশির ভাগ খনিজ সম্পদ এই দুটি প্রদেশেই অবস্থিত। ২০২৫ সালেও এই প্রবণতা অব্যাহত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে ৫৪টি সন্ত্রাসী হামলার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৫৩টিই ছিল এই দুই প্রদেশে।
বিচ্ছিন্নতাবাদী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) পাকিস্তানের অন্যতম শক্তিশালী সহিংস গোষ্ঠী। ২০২৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিএলএ এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলার সংখ্যা ১১৯ শতাংশ বেড়েছে।
সাধারণভাবে বলতে গেলে, গত কয়েক দশকে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন এবং বড় অবকাঠামো প্রকল্প স্থানীয় সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সম্পদের শোষণ নিয়ে ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে বিএলএ হামলার অন্যতম কারণ।
ফলে, খনিজ বিনিয়োগকারীরা বারুদের স্তূপের মধ্যে পা রাখতে যাচ্ছেন, যদি তাঁরা দেশটিতে বিনিয়োগ করেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান খনিজ বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা উদ্বেগ পর্যাপ্তভাবে সমাধান করতে পারেনি, যদিও চীনের অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে রক্ষা করার জন্য হাজার হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য যেসব দেশের খনিজ বিনিয়োগকারীরা পাকিস্তানে সুযোগ খুঁজছেন, তারা হয়তো তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী আনার জন্য চাপ দিতে পারেন। এটি পাকিস্তানে অবৈধ। তবে ইসলামাবাদ যদি এতে রাজি হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠবে।
পাকিস্তানে খনিজ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবকাঠামো ও জ্বালানির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, শাহবাজ শরিফ বিনিয়োগকারীদের দেশেই খনিজ প্রক্রিয়াকরণের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানে কর্মরত কানাডাভিত্তিক ব্যারিক গোল্ডের কর্মকর্তারা বলছেন দেশটিতে পর্যাপ্ত সস্তা ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ নেই। (ব্যারিক গোল্ড বেলুচিস্তানে সোনা ও তামার খনি উন্নয়নে পাকিস্তানের সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে।)
পাকিস্তান দীর্ঘকাল ধরে তথাকথিত রিসোর্স কার্স বা সম্পদের অভিশাপের একটি উদাহরণ হয়ে আছে। বিপুল খনিজ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দেশটি অর্থনৈতিকভাবে সংগ্রাম করছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং অন্যান্য বাধা বিবেচনা করলে, এই অবস্থা থেকে খুব শিগগিরই বেরিয়ে আসা কঠিন হবে।
তথ্যসূত্র: ফরেন পলিসি

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েই ইউক্রেনের বিরল খনিজের ওপর নজর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি একটি চুক্তিরও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটন ও কিয়েভ। যদিও নানা কারণে সেই চুক্তি এখনো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইউক্রেনের খনিজে নজর দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, এবার দেশটি নজর দিয়েছে পাকিস্তানের বিরল খনিজেও।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট তথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এরিক মেয়ার গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ সফরে আসেন। সেখানে তিনি একটি খনিজ বিনিয়োগ ফোরামে যোগ দেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে এক বৈঠকে মেয়ার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো পাকিস্তানের অব্যবহৃত খনিজ সম্পদে বিনিয়োগে আগ্রহী।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক ব্যাপক আগ্রহের প্রতিফলন। আলোচনার ঠিক দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে এক ফোনালাপে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা বলেন।
এই আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসেও দেখা যাচ্ছে। কংগ্রেসের পাকিস্তান ককাসের সহসভাপতি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা জ্যাক বার্গম্যান সম্প্রতি খনিজকে অংশীদারত্বের ‘মূল খাত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বার্গম্যান গত সপ্তাহান্তে ইসলামাবাদ সফর করেন। ২০২৩ সালের পর এটি ছিল পাকিস্তানে প্রথম কোনো কংগ্রেস প্রতিনিধিদলের সফর।
পাকিস্তানের খনিজ ভান্ডারে তামা ও সোনার বিশাল মজুত ছাড়াও লিথিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে। ধারণা করা হয়, এই খনিজ সম্পদ ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমাইলের বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এটি যুক্তরাজ্যের আয়তনের দ্বিগুণেরও বেশি।
ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে তাদের খনিজ সম্পদের বিপুল পরিমাণ মজুতের কথা বলে আসছে। বর্তমানে এর আর্থিক মূল্য ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান দীর্ঘকাল ধরে আগ্রহী বিনিয়োগকারী খুঁজে পেতে হিমশিম খেয়েছে। তাই ট্রাম্প প্রশাসনের এই আগ্রহকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান খনিজ সহযোগিতার সম্ভাবনাকে বেশি করে দেখা ঠিক হবে না। গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি এ ধরনের অংশীদারত্বকে বিপজ্জনক জুয়ায় পরিণত করেছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসার পর দুই দেশের সম্পর্কে যখন অংশীদারত্বের ভিত্তি খোঁজা হচ্ছিল, তখন খনিজকে নতুন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের জোরালো আগ্রহ সুবিদিত। চীন সম্প্রতি বিরল মৃত্তিকা রপ্তানি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পাকিস্তানকে সুযোগ হিসেবে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাড়তি প্রেরণা জোগাচ্ছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান হয়তো তাদের খনিজ সম্পদকে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার সুযোগ হিসেবে দেখছে। শাহবাজ শরিফ বলেছেন, খনিজ বিনিয়োগ পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক আর্থিক নির্ভরতা কমাতে এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
তবে নিরাপত্তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। খনি কোম্পানিগুলো প্রায়শই ঝুঁকিপূর্ণ ভূখণ্ডে কাজ করে, তাই উচ্চ ঝুঁকি গ্রহণে তারা অভ্যস্ত। কিন্তু পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্ভাব্য খনি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষভাবে বিপজ্জনক। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে ৫২১টি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এটি ৭০ শতাংশ বেশি।
৫২১টি হামলার ৯৫ শতাংশের বেশি হয়েছে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। সরকারি তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানের বেশির ভাগ খনিজ সম্পদ এই দুটি প্রদেশেই অবস্থিত। ২০২৫ সালেও এই প্রবণতা অব্যাহত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে ৫৪টি সন্ত্রাসী হামলার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৫৩টিই ছিল এই দুই প্রদেশে।
বিচ্ছিন্নতাবাদী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) পাকিস্তানের অন্যতম শক্তিশালী সহিংস গোষ্ঠী। ২০২৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিএলএ এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলার সংখ্যা ১১৯ শতাংশ বেড়েছে।
সাধারণভাবে বলতে গেলে, গত কয়েক দশকে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন এবং বড় অবকাঠামো প্রকল্প স্থানীয় সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সম্পদের শোষণ নিয়ে ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে বিএলএ হামলার অন্যতম কারণ।
ফলে, খনিজ বিনিয়োগকারীরা বারুদের স্তূপের মধ্যে পা রাখতে যাচ্ছেন, যদি তাঁরা দেশটিতে বিনিয়োগ করেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান খনিজ বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা উদ্বেগ পর্যাপ্তভাবে সমাধান করতে পারেনি, যদিও চীনের অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে রক্ষা করার জন্য হাজার হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য যেসব দেশের খনিজ বিনিয়োগকারীরা পাকিস্তানে সুযোগ খুঁজছেন, তারা হয়তো তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী আনার জন্য চাপ দিতে পারেন। এটি পাকিস্তানে অবৈধ। তবে ইসলামাবাদ যদি এতে রাজি হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠবে।
পাকিস্তানে খনিজ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবকাঠামো ও জ্বালানির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, শাহবাজ শরিফ বিনিয়োগকারীদের দেশেই খনিজ প্রক্রিয়াকরণের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানে কর্মরত কানাডাভিত্তিক ব্যারিক গোল্ডের কর্মকর্তারা বলছেন দেশটিতে পর্যাপ্ত সস্তা ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ নেই। (ব্যারিক গোল্ড বেলুচিস্তানে সোনা ও তামার খনি উন্নয়নে পাকিস্তানের সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে।)
পাকিস্তান দীর্ঘকাল ধরে তথাকথিত রিসোর্স কার্স বা সম্পদের অভিশাপের একটি উদাহরণ হয়ে আছে। বিপুল খনিজ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দেশটি অর্থনৈতিকভাবে সংগ্রাম করছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং অন্যান্য বাধা বিবেচনা করলে, এই অবস্থা থেকে খুব শিগগিরই বেরিয়ে আসা কঠিন হবে।
তথ্যসূত্র: ফরেন পলিসি

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
৩ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
৩ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েই ইউক্রেনের বিরল খনিজের ওপর নজর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি একটি চুক্তিরও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটন ও কিয়েভ। যদিও নানা কারণে সেই চুক্তি এখনো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইউক্রেনের খনিজে নজর দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। এবার দেশটি নজর দিয়েছে...
১৮ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
৩ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
৩ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েই ইউক্রেনের বিরল খনিজের ওপর নজর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি একটি চুক্তিরও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটন ও কিয়েভ। যদিও নানা কারণে সেই চুক্তি এখনো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইউক্রেনের খনিজে নজর দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। এবার দেশটি নজর দিয়েছে...
১৮ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
৩ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেসিএনএন প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েই ইউক্রেনের বিরল খনিজের ওপর নজর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি একটি চুক্তিরও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটন ও কিয়েভ। যদিও নানা কারণে সেই চুক্তি এখনো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইউক্রেনের খনিজে নজর দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। এবার দেশটি নজর দিয়েছে...
১৮ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
৩ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। এর আগে দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় সম্প্রতি তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মায়ের বেঁচে থাকা নিয়ে কিম অ্যারিসের সাম্প্রতিক উদ্বেগের পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার একটি বিরল বিবৃতিতে জানায়—অং সান সু চি সুস্থ আছেন। তবে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজ’-এ প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে সু চির স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য, ছবি বা চিকিৎসা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এতে অ্যারিসের উদ্বেগ আরও বেড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রয়টার্সকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় কিম অ্যারিস বলেন, সামরিক বাহিনী সু চির সুস্থতার দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দিচ্ছে না। এমনকি তাঁর কাছে পরিবার, চিকিৎসক বা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও প্রবেশাধিকার নেই। অ্যারিস বলেন, ‘তিনি যদি সত্যিই সুস্থ থাকেন, তাহলে সেটি প্রমাণ করা তাদের জন্য কঠিন হওয়ার কথা নয়।’
জাপানে অবস্থানকালে অ্যারিস তাঁর মায়ের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি করেন এবং সামরিক সরকারের পরিকল্পিত নির্বাচনকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। সমালোচকদের মতে, এই নির্বাচন জান্তার ক্ষমতা বৈধ করার কৌশল। মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে সন্দেহের বিষয়ে অ্যারিস জানান, দীর্ঘদিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতায় তাঁর আশঙ্কা চরমে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, তিনি হয়তো মারা গিয়েও থাকতে পারেন।’
অ্যারিসের দাবি, দুই বছরের বেশি সময় ধরে সু চিকে কেউ দেখেনি, এমনকি তাঁর আইনজীবীদেরও সঙ্গেও যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। এরপর দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। বর্তমানে সু চি ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন—যা আগে ৩৩ বছর ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নির্বাচন জালিয়াতি, রাষ্ট্রদ্রোহ, করোনা বিধি ভঙ্গ, অবৈধ যোগাযোগ সরঞ্জাম রাখা এবং রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাপক সমালোচিত।
জান্তা দাবি করেছে, অ্যারিসের বক্তব্য ‘মনগড়া’ এবং আসন্ন নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোই এর উদ্দেশ্য। তবে বুধবার অ্যারিস স্পষ্ট করে জানান, মিয়ানমারের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ তাঁর উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা, গোপনীয়তা ও নীরবতায় যে কোনো সন্তানেরই ভয় বাড়ে।’

মিয়ানমারের বন্দী সাবেক নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি জীবিত ও সুস্থ আছেন—এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে দেশটির সামরিক জান্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম অ্যারিস। এর আগে দুই বছরের বেশি সময় ধরে মায়ের কোনো ছবি, কণ্ঠ বা সরাসরি খোঁজ না পাওয়ায় সম্প্রতি তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মায়ের বেঁচে থাকা নিয়ে কিম অ্যারিসের সাম্প্রতিক উদ্বেগের পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার একটি বিরল বিবৃতিতে জানায়—অং সান সু চি সুস্থ আছেন। তবে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজ’-এ প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে সু চির স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য, ছবি বা চিকিৎসা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এতে অ্যারিসের উদ্বেগ আরও বেড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রয়টার্সকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় কিম অ্যারিস বলেন, সামরিক বাহিনী সু চির সুস্থতার দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দিচ্ছে না। এমনকি তাঁর কাছে পরিবার, চিকিৎসক বা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও প্রবেশাধিকার নেই। অ্যারিস বলেন, ‘তিনি যদি সত্যিই সুস্থ থাকেন, তাহলে সেটি প্রমাণ করা তাদের জন্য কঠিন হওয়ার কথা নয়।’
জাপানে অবস্থানকালে অ্যারিস তাঁর মায়ের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি করেন এবং সামরিক সরকারের পরিকল্পিত নির্বাচনকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। সমালোচকদের মতে, এই নির্বাচন জান্তার ক্ষমতা বৈধ করার কৌশল। মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে সন্দেহের বিষয়ে অ্যারিস জানান, দীর্ঘদিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতায় তাঁর আশঙ্কা চরমে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, তিনি হয়তো মারা গিয়েও থাকতে পারেন।’
অ্যারিসের দাবি, দুই বছরের বেশি সময় ধরে সু চিকে কেউ দেখেনি, এমনকি তাঁর আইনজীবীদেরও সঙ্গেও যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। এরপর দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। বর্তমানে সু চি ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন—যা আগে ৩৩ বছর ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নির্বাচন জালিয়াতি, রাষ্ট্রদ্রোহ, করোনা বিধি ভঙ্গ, অবৈধ যোগাযোগ সরঞ্জাম রাখা এবং রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাপক সমালোচিত।
জান্তা দাবি করেছে, অ্যারিসের বক্তব্য ‘মনগড়া’ এবং আসন্ন নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোই এর উদ্দেশ্য। তবে বুধবার অ্যারিস স্পষ্ট করে জানান, মিয়ানমারের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ তাঁর উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা, গোপনীয়তা ও নীরবতায় যে কোনো সন্তানেরই ভয় বাড়ে।’

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েই ইউক্রেনের বিরল খনিজের ওপর নজর দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি একটি চুক্তিরও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটন ও কিয়েভ। যদিও নানা কারণে সেই চুক্তি এখনো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইউক্রেনের খনিজে নজর দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। এবার দেশটি নজর দিয়েছে...
১৮ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
৩ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
৩ ঘণ্টা আগে