
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির নির্বিচার আগ্রাসনে অঞ্চলটির ৪২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় লাখখানেক। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি আগ্রাসন গাজা ছাড়িয়ে লেবাননেও পৌঁছে গেছে। সেখানেও প্রায় তিন-চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
কেবল সাধারণ মানুষ নয়, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া গত জুলাইয়ে গুপ্তহত্যার শিকার হন। এরপর গোষ্ঠীটির প্রধান নির্বাচিত ইয়াহইয়া সিনওয়ার। তিনিও গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে এসেছে। তা হলো আগামী দিনে হামাসকে নেতৃত্ব দেবেন কে বা কারা।
এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নাম সামনে আছে। তাঁরা হলেন খালিদ মেশাল, খলিল আল হাইয়্যা, মুসা আবু মারজুক, মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ও মোহাম্মদ সিনওয়ার। কম আলোচনায় থাকলেও মাহমুদ আল-জাহার, মোহাম্মদ শাবানা ও রওহি মুশতাহাদের মতো নেতারাও গোষ্ঠীটিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
খালিদ মেশাল
হামাসের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৬৮ বছর বয়সী খালিদ মেশাল ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মাধ্যমে হামাসের নতুন সর্বোচ্চ নেতা হতে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছেন। হামাসের এই নেতা ১৯৯৭ সালে বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সে সময় তাঁকে হত্যার জন্য ইসরায়েলি এজেন্টরা জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি গুপ্তহত্যা মিশনে তাঁকে বিষ মেশানো ইনজেকশন দিয়েছিল।
খলিল আল-হাইয়্যা
খলিল আল-হাইয়্যা গাজায় ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ডেপুটি। সম্প্রতি হানিয়ার তত্ত্বাবধানে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তেহরানে হানিয়ার বাসভবনেই হাইয়্যার আবাস ছিল। কিন্তু যখন ভবনটিতে হামলা হয়, তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে তিনি দুই দফায় ইসরায়েলি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে এক ইসরায়েল তাঁর বাড়িতে আঘাত করে বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে হত্যা করে। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আবারও তাঁর বাড়িতে হামলা হয়। সেই দফায়ও তিনি বেঁচে যান, তবে তাঁর বড় ছেলে নিহত হন।
মুসা আবু মারজুক
মুসা আবু মারজুক ১৯৫১ সালে গাজার সীমান্ত শহর রাফাহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠার সময় অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পরে তিনি এর পলিটব্যুরোর সদস্য হন। বর্তমানেও তিনি সক্রিয়ভাবে গোষ্ঠীটির শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
মারজুকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে ফিলিস্তিনের অধিকার নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হামাসের পলিটব্যুরোর প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যোগ থাকায় ১৯৯৫ ও ১৯৯৯ সালে জর্ডান তাঁকে দুবার নির্বাসনে পাঠায়। প্রথমবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে এফবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে তাঁকে ফের জর্ডানে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে জর্ডান থেকে তাঁকে সিরিয়ায় নির্বাসন দেওয়া হয়। তিনি ২০১২ সালে সিরিয়া ত্যাগ করেন। এর পর থেকে গাজা, মিসর ও কাতারে সময় কাটাচ্ছেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ার
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার (৪৯)। তিনি গাজার খান ইউনিসে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদার সরাসরি ইসরায়েলবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি হামাসের প্রথম ব্যাচে যোগ দেওয়া কর্মীদের অন্যতম । ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৯ মাস দেশটির কারাগারে বন্দী ছিলেন। পরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাগারেও কাটিয়েছেন তিন বছর। ২০০০ সালে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের সহপ্রতিষ্ঠাতা আবদুল-আজিজ আল-রানতিসির আদর্শিক প্রভাবে বেড়ে ওঠেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার অন্যতম কারিগর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয়, ইসরায়েলি হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দায়েফ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ সিনওয়ার।
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ‘আবু ওমর হাসান’ নামেও পরিচিত। তিনি হামাসের শুরা কাউন্সিলের প্রধান। ৬ অক্টোবর তাঁকে হামাসের শুরা কাউন্সিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। এই বাইরে তাঁর সম্পর্কে খুব একটা তথ্য জানা যায় না।
মাহমুদ আল-জাহার
৭৯ বছর বয়সী মাহমুদ আল-জাহার পেশায় একজন সার্জন। ইসরায়েল ও হামাসের অন্যান্য বিরোধীর প্রতি তাঁর কট্টর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বন্ধু ও শত্রুরা তাঁকে ‘জেনারেল’ বলে ডাকত। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে জাহার কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি। এরপর তাঁকে দেখাও যায়নি। তিনি জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের এই নেতা ২০০৩ সালে একবার ইসরায়েলি হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে গৃহযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে হামাস ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোহাম্মদ শাবানা
হামাস নেতা শাবানা, আবু আনাস শাবানা নামে বেশি পরিচিত। তিনি এখনো বেঁচে থাকা হামাসের শীর্ষ ও অভিজ্ঞ সশস্ত্র কমান্ডারদের একজন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণে রাফাহে হামাসের একটি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হামাস সূত্র জানিয়েছে, শাবানা রাফাহে টানেল নেটওয়ার্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৪ সালে ৫০ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল হামাসের তিনজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার পর শাবানা রাফাহ ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব নেন।
রওহি মুশতাহা
রওহি মুশতাহা হামাসের ভেতরে সিনওয়ারের আস্থাভাজন ও শক্তিশালী মিত্র। সিনওয়ারের সঙ্গে মিলে মুশতাহা ১৯৮০–এর দশকের শেষের দিকে হামাসের প্রথম নিরাপত্তাব্যবস্থা (সিকিউরিটি সিস্টেম) প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা ফিলিস্তিনিদের ট্র্যাকিং এবং হত্যার জন্য দায়ী ছিল। তিনিও ২০১১ সালে সিনওয়ারের সঙ্গে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান। সম্প্রতি তাঁকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং অপারেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গাজায় হামাস ও মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ওয়াইনেট, ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফরেইন রিলেশন ও আল জাজিরা

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির নির্বিচার আগ্রাসনে অঞ্চলটির ৪২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় লাখখানেক। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি আগ্রাসন গাজা ছাড়িয়ে লেবাননেও পৌঁছে গেছে। সেখানেও প্রায় তিন-চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
কেবল সাধারণ মানুষ নয়, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া গত জুলাইয়ে গুপ্তহত্যার শিকার হন। এরপর গোষ্ঠীটির প্রধান নির্বাচিত ইয়াহইয়া সিনওয়ার। তিনিও গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে এসেছে। তা হলো আগামী দিনে হামাসকে নেতৃত্ব দেবেন কে বা কারা।
এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নাম সামনে আছে। তাঁরা হলেন খালিদ মেশাল, খলিল আল হাইয়্যা, মুসা আবু মারজুক, মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ও মোহাম্মদ সিনওয়ার। কম আলোচনায় থাকলেও মাহমুদ আল-জাহার, মোহাম্মদ শাবানা ও রওহি মুশতাহাদের মতো নেতারাও গোষ্ঠীটিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
খালিদ মেশাল
হামাসের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৬৮ বছর বয়সী খালিদ মেশাল ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মাধ্যমে হামাসের নতুন সর্বোচ্চ নেতা হতে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছেন। হামাসের এই নেতা ১৯৯৭ সালে বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সে সময় তাঁকে হত্যার জন্য ইসরায়েলি এজেন্টরা জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি গুপ্তহত্যা মিশনে তাঁকে বিষ মেশানো ইনজেকশন দিয়েছিল।
খলিল আল-হাইয়্যা
খলিল আল-হাইয়্যা গাজায় ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ডেপুটি। সম্প্রতি হানিয়ার তত্ত্বাবধানে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তেহরানে হানিয়ার বাসভবনেই হাইয়্যার আবাস ছিল। কিন্তু যখন ভবনটিতে হামলা হয়, তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে তিনি দুই দফায় ইসরায়েলি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে এক ইসরায়েল তাঁর বাড়িতে আঘাত করে বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে হত্যা করে। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আবারও তাঁর বাড়িতে হামলা হয়। সেই দফায়ও তিনি বেঁচে যান, তবে তাঁর বড় ছেলে নিহত হন।
মুসা আবু মারজুক
মুসা আবু মারজুক ১৯৫১ সালে গাজার সীমান্ত শহর রাফাহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠার সময় অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পরে তিনি এর পলিটব্যুরোর সদস্য হন। বর্তমানেও তিনি সক্রিয়ভাবে গোষ্ঠীটির শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
মারজুকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে ফিলিস্তিনের অধিকার নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হামাসের পলিটব্যুরোর প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যোগ থাকায় ১৯৯৫ ও ১৯৯৯ সালে জর্ডান তাঁকে দুবার নির্বাসনে পাঠায়। প্রথমবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে এফবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে তাঁকে ফের জর্ডানে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে জর্ডান থেকে তাঁকে সিরিয়ায় নির্বাসন দেওয়া হয়। তিনি ২০১২ সালে সিরিয়া ত্যাগ করেন। এর পর থেকে গাজা, মিসর ও কাতারে সময় কাটাচ্ছেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ার
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার (৪৯)। তিনি গাজার খান ইউনিসে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদার সরাসরি ইসরায়েলবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি হামাসের প্রথম ব্যাচে যোগ দেওয়া কর্মীদের অন্যতম । ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৯ মাস দেশটির কারাগারে বন্দী ছিলেন। পরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাগারেও কাটিয়েছেন তিন বছর। ২০০০ সালে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের সহপ্রতিষ্ঠাতা আবদুল-আজিজ আল-রানতিসির আদর্শিক প্রভাবে বেড়ে ওঠেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার অন্যতম কারিগর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয়, ইসরায়েলি হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দায়েফ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ সিনওয়ার।
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ‘আবু ওমর হাসান’ নামেও পরিচিত। তিনি হামাসের শুরা কাউন্সিলের প্রধান। ৬ অক্টোবর তাঁকে হামাসের শুরা কাউন্সিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। এই বাইরে তাঁর সম্পর্কে খুব একটা তথ্য জানা যায় না।
মাহমুদ আল-জাহার
৭৯ বছর বয়সী মাহমুদ আল-জাহার পেশায় একজন সার্জন। ইসরায়েল ও হামাসের অন্যান্য বিরোধীর প্রতি তাঁর কট্টর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বন্ধু ও শত্রুরা তাঁকে ‘জেনারেল’ বলে ডাকত। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে জাহার কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি। এরপর তাঁকে দেখাও যায়নি। তিনি জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের এই নেতা ২০০৩ সালে একবার ইসরায়েলি হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে গৃহযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে হামাস ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোহাম্মদ শাবানা
হামাস নেতা শাবানা, আবু আনাস শাবানা নামে বেশি পরিচিত। তিনি এখনো বেঁচে থাকা হামাসের শীর্ষ ও অভিজ্ঞ সশস্ত্র কমান্ডারদের একজন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণে রাফাহে হামাসের একটি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হামাস সূত্র জানিয়েছে, শাবানা রাফাহে টানেল নেটওয়ার্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৪ সালে ৫০ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল হামাসের তিনজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার পর শাবানা রাফাহ ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব নেন।
রওহি মুশতাহা
রওহি মুশতাহা হামাসের ভেতরে সিনওয়ারের আস্থাভাজন ও শক্তিশালী মিত্র। সিনওয়ারের সঙ্গে মিলে মুশতাহা ১৯৮০–এর দশকের শেষের দিকে হামাসের প্রথম নিরাপত্তাব্যবস্থা (সিকিউরিটি সিস্টেম) প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা ফিলিস্তিনিদের ট্র্যাকিং এবং হত্যার জন্য দায়ী ছিল। তিনিও ২০১১ সালে সিনওয়ারের সঙ্গে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান। সম্প্রতি তাঁকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং অপারেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গাজায় হামাস ও মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ওয়াইনেট, ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফরেইন রিলেশন ও আল জাজিরা

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৩ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৩ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৩ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৩ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৪ ঘণ্টা আগে