
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির নির্বিচার আগ্রাসনে অঞ্চলটির ৪২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় লাখখানেক। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি আগ্রাসন গাজা ছাড়িয়ে লেবাননেও পৌঁছে গেছে। সেখানেও প্রায় তিন-চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
কেবল সাধারণ মানুষ নয়, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া গত জুলাইয়ে গুপ্তহত্যার শিকার হন। এরপর গোষ্ঠীটির প্রধান নির্বাচিত ইয়াহইয়া সিনওয়ার। তিনিও গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে এসেছে। তা হলো আগামী দিনে হামাসকে নেতৃত্ব দেবেন কে বা কারা।
এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নাম সামনে আছে। তাঁরা হলেন খালিদ মেশাল, খলিল আল হাইয়্যা, মুসা আবু মারজুক, মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ও মোহাম্মদ সিনওয়ার। কম আলোচনায় থাকলেও মাহমুদ আল-জাহার, মোহাম্মদ শাবানা ও রওহি মুশতাহাদের মতো নেতারাও গোষ্ঠীটিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
খালিদ মেশাল
হামাসের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৬৮ বছর বয়সী খালিদ মেশাল ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মাধ্যমে হামাসের নতুন সর্বোচ্চ নেতা হতে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছেন। হামাসের এই নেতা ১৯৯৭ সালে বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সে সময় তাঁকে হত্যার জন্য ইসরায়েলি এজেন্টরা জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি গুপ্তহত্যা মিশনে তাঁকে বিষ মেশানো ইনজেকশন দিয়েছিল।
খলিল আল-হাইয়্যা
খলিল আল-হাইয়্যা গাজায় ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ডেপুটি। সম্প্রতি হানিয়ার তত্ত্বাবধানে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তেহরানে হানিয়ার বাসভবনেই হাইয়্যার আবাস ছিল। কিন্তু যখন ভবনটিতে হামলা হয়, তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে তিনি দুই দফায় ইসরায়েলি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে এক ইসরায়েল তাঁর বাড়িতে আঘাত করে বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে হত্যা করে। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আবারও তাঁর বাড়িতে হামলা হয়। সেই দফায়ও তিনি বেঁচে যান, তবে তাঁর বড় ছেলে নিহত হন।
মুসা আবু মারজুক
মুসা আবু মারজুক ১৯৫১ সালে গাজার সীমান্ত শহর রাফাহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠার সময় অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পরে তিনি এর পলিটব্যুরোর সদস্য হন। বর্তমানেও তিনি সক্রিয়ভাবে গোষ্ঠীটির শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
মারজুকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে ফিলিস্তিনের অধিকার নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হামাসের পলিটব্যুরোর প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যোগ থাকায় ১৯৯৫ ও ১৯৯৯ সালে জর্ডান তাঁকে দুবার নির্বাসনে পাঠায়। প্রথমবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে এফবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে তাঁকে ফের জর্ডানে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে জর্ডান থেকে তাঁকে সিরিয়ায় নির্বাসন দেওয়া হয়। তিনি ২০১২ সালে সিরিয়া ত্যাগ করেন। এর পর থেকে গাজা, মিসর ও কাতারে সময় কাটাচ্ছেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ার
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার (৪৯)। তিনি গাজার খান ইউনিসে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদার সরাসরি ইসরায়েলবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি হামাসের প্রথম ব্যাচে যোগ দেওয়া কর্মীদের অন্যতম । ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৯ মাস দেশটির কারাগারে বন্দী ছিলেন। পরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাগারেও কাটিয়েছেন তিন বছর। ২০০০ সালে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের সহপ্রতিষ্ঠাতা আবদুল-আজিজ আল-রানতিসির আদর্শিক প্রভাবে বেড়ে ওঠেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার অন্যতম কারিগর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয়, ইসরায়েলি হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দায়েফ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ সিনওয়ার।
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ‘আবু ওমর হাসান’ নামেও পরিচিত। তিনি হামাসের শুরা কাউন্সিলের প্রধান। ৬ অক্টোবর তাঁকে হামাসের শুরা কাউন্সিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। এই বাইরে তাঁর সম্পর্কে খুব একটা তথ্য জানা যায় না।
মাহমুদ আল-জাহার
৭৯ বছর বয়সী মাহমুদ আল-জাহার পেশায় একজন সার্জন। ইসরায়েল ও হামাসের অন্যান্য বিরোধীর প্রতি তাঁর কট্টর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বন্ধু ও শত্রুরা তাঁকে ‘জেনারেল’ বলে ডাকত। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে জাহার কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি। এরপর তাঁকে দেখাও যায়নি। তিনি জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের এই নেতা ২০০৩ সালে একবার ইসরায়েলি হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে গৃহযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে হামাস ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোহাম্মদ শাবানা
হামাস নেতা শাবানা, আবু আনাস শাবানা নামে বেশি পরিচিত। তিনি এখনো বেঁচে থাকা হামাসের শীর্ষ ও অভিজ্ঞ সশস্ত্র কমান্ডারদের একজন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণে রাফাহে হামাসের একটি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হামাস সূত্র জানিয়েছে, শাবানা রাফাহে টানেল নেটওয়ার্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৪ সালে ৫০ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল হামাসের তিনজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার পর শাবানা রাফাহ ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব নেন।
রওহি মুশতাহা
রওহি মুশতাহা হামাসের ভেতরে সিনওয়ারের আস্থাভাজন ও শক্তিশালী মিত্র। সিনওয়ারের সঙ্গে মিলে মুশতাহা ১৯৮০–এর দশকের শেষের দিকে হামাসের প্রথম নিরাপত্তাব্যবস্থা (সিকিউরিটি সিস্টেম) প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা ফিলিস্তিনিদের ট্র্যাকিং এবং হত্যার জন্য দায়ী ছিল। তিনিও ২০১১ সালে সিনওয়ারের সঙ্গে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান। সম্প্রতি তাঁকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং অপারেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গাজায় হামাস ও মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ওয়াইনেট, ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফরেইন রিলেশন ও আল জাজিরা

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির নির্বিচার আগ্রাসনে অঞ্চলটির ৪২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় লাখখানেক। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি আগ্রাসন গাজা ছাড়িয়ে লেবাননেও পৌঁছে গেছে। সেখানেও প্রায় তিন-চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
কেবল সাধারণ মানুষ নয়, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া গত জুলাইয়ে গুপ্তহত্যার শিকার হন। এরপর গোষ্ঠীটির প্রধান নির্বাচিত ইয়াহইয়া সিনওয়ার। তিনিও গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে এসেছে। তা হলো আগামী দিনে হামাসকে নেতৃত্ব দেবেন কে বা কারা।
এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নাম সামনে আছে। তাঁরা হলেন খালিদ মেশাল, খলিল আল হাইয়্যা, মুসা আবু মারজুক, মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ও মোহাম্মদ সিনওয়ার। কম আলোচনায় থাকলেও মাহমুদ আল-জাহার, মোহাম্মদ শাবানা ও রওহি মুশতাহাদের মতো নেতারাও গোষ্ঠীটিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
খালিদ মেশাল
হামাসের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৬৮ বছর বয়সী খালিদ মেশাল ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মাধ্যমে হামাসের নতুন সর্বোচ্চ নেতা হতে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছেন। হামাসের এই নেতা ১৯৯৭ সালে বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সে সময় তাঁকে হত্যার জন্য ইসরায়েলি এজেন্টরা জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি গুপ্তহত্যা মিশনে তাঁকে বিষ মেশানো ইনজেকশন দিয়েছিল।
খলিল আল-হাইয়্যা
খলিল আল-হাইয়্যা গাজায় ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ডেপুটি। সম্প্রতি হানিয়ার তত্ত্বাবধানে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তেহরানে হানিয়ার বাসভবনেই হাইয়্যার আবাস ছিল। কিন্তু যখন ভবনটিতে হামলা হয়, তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে তিনি দুই দফায় ইসরায়েলি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে এক ইসরায়েল তাঁর বাড়িতে আঘাত করে বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে হত্যা করে। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আবারও তাঁর বাড়িতে হামলা হয়। সেই দফায়ও তিনি বেঁচে যান, তবে তাঁর বড় ছেলে নিহত হন।
মুসা আবু মারজুক
মুসা আবু মারজুক ১৯৫১ সালে গাজার সীমান্ত শহর রাফাহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠার সময় অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পরে তিনি এর পলিটব্যুরোর সদস্য হন। বর্তমানেও তিনি সক্রিয়ভাবে গোষ্ঠীটির শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
মারজুকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে ফিলিস্তিনের অধিকার নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হামাসের পলিটব্যুরোর প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যোগ থাকায় ১৯৯৫ ও ১৯৯৯ সালে জর্ডান তাঁকে দুবার নির্বাসনে পাঠায়। প্রথমবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে এফবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে তাঁকে ফের জর্ডানে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে জর্ডান থেকে তাঁকে সিরিয়ায় নির্বাসন দেওয়া হয়। তিনি ২০১২ সালে সিরিয়া ত্যাগ করেন। এর পর থেকে গাজা, মিসর ও কাতারে সময় কাটাচ্ছেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ার
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার (৪৯)। তিনি গাজার খান ইউনিসে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদার সরাসরি ইসরায়েলবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি হামাসের প্রথম ব্যাচে যোগ দেওয়া কর্মীদের অন্যতম । ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৯ মাস দেশটির কারাগারে বন্দী ছিলেন। পরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাগারেও কাটিয়েছেন তিন বছর। ২০০০ সালে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের সহপ্রতিষ্ঠাতা আবদুল-আজিজ আল-রানতিসির আদর্শিক প্রভাবে বেড়ে ওঠেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার অন্যতম কারিগর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয়, ইসরায়েলি হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দায়েফ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ সিনওয়ার।
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ‘আবু ওমর হাসান’ নামেও পরিচিত। তিনি হামাসের শুরা কাউন্সিলের প্রধান। ৬ অক্টোবর তাঁকে হামাসের শুরা কাউন্সিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। এই বাইরে তাঁর সম্পর্কে খুব একটা তথ্য জানা যায় না।
মাহমুদ আল-জাহার
৭৯ বছর বয়সী মাহমুদ আল-জাহার পেশায় একজন সার্জন। ইসরায়েল ও হামাসের অন্যান্য বিরোধীর প্রতি তাঁর কট্টর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বন্ধু ও শত্রুরা তাঁকে ‘জেনারেল’ বলে ডাকত। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে জাহার কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি। এরপর তাঁকে দেখাও যায়নি। তিনি জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের এই নেতা ২০০৩ সালে একবার ইসরায়েলি হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে গৃহযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে হামাস ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোহাম্মদ শাবানা
হামাস নেতা শাবানা, আবু আনাস শাবানা নামে বেশি পরিচিত। তিনি এখনো বেঁচে থাকা হামাসের শীর্ষ ও অভিজ্ঞ সশস্ত্র কমান্ডারদের একজন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণে রাফাহে হামাসের একটি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হামাস সূত্র জানিয়েছে, শাবানা রাফাহে টানেল নেটওয়ার্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৪ সালে ৫০ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল হামাসের তিনজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার পর শাবানা রাফাহ ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব নেন।
রওহি মুশতাহা
রওহি মুশতাহা হামাসের ভেতরে সিনওয়ারের আস্থাভাজন ও শক্তিশালী মিত্র। সিনওয়ারের সঙ্গে মিলে মুশতাহা ১৯৮০–এর দশকের শেষের দিকে হামাসের প্রথম নিরাপত্তাব্যবস্থা (সিকিউরিটি সিস্টেম) প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা ফিলিস্তিনিদের ট্র্যাকিং এবং হত্যার জন্য দায়ী ছিল। তিনিও ২০১১ সালে সিনওয়ারের সঙ্গে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান। সম্প্রতি তাঁকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং অপারেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গাজায় হামাস ও মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ওয়াইনেট, ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফরেইন রিলেশন ও আল জাজিরা

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির নির্বিচার আগ্রাসনে অঞ্চলটির ৪২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় লাখখানেক। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি আগ্রাসন গাজা ছাড়িয়ে লেবাননেও পৌঁছে গেছে। সেখানেও প্রায় তিন-চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
কেবল সাধারণ মানুষ নয়, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া গত জুলাইয়ে গুপ্তহত্যার শিকার হন। এরপর গোষ্ঠীটির প্রধান নির্বাচিত ইয়াহইয়া সিনওয়ার। তিনিও গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে এসেছে। তা হলো আগামী দিনে হামাসকে নেতৃত্ব দেবেন কে বা কারা।
এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নাম সামনে আছে। তাঁরা হলেন খালিদ মেশাল, খলিল আল হাইয়্যা, মুসা আবু মারজুক, মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ও মোহাম্মদ সিনওয়ার। কম আলোচনায় থাকলেও মাহমুদ আল-জাহার, মোহাম্মদ শাবানা ও রওহি মুশতাহাদের মতো নেতারাও গোষ্ঠীটিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
খালিদ মেশাল
হামাসের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৬৮ বছর বয়সী খালিদ মেশাল ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মাধ্যমে হামাসের নতুন সর্বোচ্চ নেতা হতে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছেন। হামাসের এই নেতা ১৯৯৭ সালে বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সে সময় তাঁকে হত্যার জন্য ইসরায়েলি এজেন্টরা জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি গুপ্তহত্যা মিশনে তাঁকে বিষ মেশানো ইনজেকশন দিয়েছিল।
খলিল আল-হাইয়্যা
খলিল আল-হাইয়্যা গাজায় ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ডেপুটি। সম্প্রতি হানিয়ার তত্ত্বাবধানে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তেহরানে হানিয়ার বাসভবনেই হাইয়্যার আবাস ছিল। কিন্তু যখন ভবনটিতে হামলা হয়, তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে তিনি দুই দফায় ইসরায়েলি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে এক ইসরায়েল তাঁর বাড়িতে আঘাত করে বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে হত্যা করে। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আবারও তাঁর বাড়িতে হামলা হয়। সেই দফায়ও তিনি বেঁচে যান, তবে তাঁর বড় ছেলে নিহত হন।
মুসা আবু মারজুক
মুসা আবু মারজুক ১৯৫১ সালে গাজার সীমান্ত শহর রাফাহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠার সময় অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পরে তিনি এর পলিটব্যুরোর সদস্য হন। বর্তমানেও তিনি সক্রিয়ভাবে গোষ্ঠীটির শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
মারজুকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে ফিলিস্তিনের অধিকার নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হামাসের পলিটব্যুরোর প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যোগ থাকায় ১৯৯৫ ও ১৯৯৯ সালে জর্ডান তাঁকে দুবার নির্বাসনে পাঠায়। প্রথমবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে এফবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে তাঁকে ফের জর্ডানে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে জর্ডান থেকে তাঁকে সিরিয়ায় নির্বাসন দেওয়া হয়। তিনি ২০১২ সালে সিরিয়া ত্যাগ করেন। এর পর থেকে গাজা, মিসর ও কাতারে সময় কাটাচ্ছেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ার
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার (৪৯)। তিনি গাজার খান ইউনিসে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদার সরাসরি ইসরায়েলবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি হামাসের প্রথম ব্যাচে যোগ দেওয়া কর্মীদের অন্যতম । ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৯ মাস দেশটির কারাগারে বন্দী ছিলেন। পরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাগারেও কাটিয়েছেন তিন বছর। ২০০০ সালে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের সহপ্রতিষ্ঠাতা আবদুল-আজিজ আল-রানতিসির আদর্শিক প্রভাবে বেড়ে ওঠেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার অন্যতম কারিগর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয়, ইসরায়েলি হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দায়েফ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ সিনওয়ার।
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ‘আবু ওমর হাসান’ নামেও পরিচিত। তিনি হামাসের শুরা কাউন্সিলের প্রধান। ৬ অক্টোবর তাঁকে হামাসের শুরা কাউন্সিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। এই বাইরে তাঁর সম্পর্কে খুব একটা তথ্য জানা যায় না।
মাহমুদ আল-জাহার
৭৯ বছর বয়সী মাহমুদ আল-জাহার পেশায় একজন সার্জন। ইসরায়েল ও হামাসের অন্যান্য বিরোধীর প্রতি তাঁর কট্টর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বন্ধু ও শত্রুরা তাঁকে ‘জেনারেল’ বলে ডাকত। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে জাহার কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি। এরপর তাঁকে দেখাও যায়নি। তিনি জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের এই নেতা ২০০৩ সালে একবার ইসরায়েলি হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে গৃহযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে হামাস ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোহাম্মদ শাবানা
হামাস নেতা শাবানা, আবু আনাস শাবানা নামে বেশি পরিচিত। তিনি এখনো বেঁচে থাকা হামাসের শীর্ষ ও অভিজ্ঞ সশস্ত্র কমান্ডারদের একজন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণে রাফাহে হামাসের একটি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হামাস সূত্র জানিয়েছে, শাবানা রাফাহে টানেল নেটওয়ার্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৪ সালে ৫০ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল হামাসের তিনজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার পর শাবানা রাফাহ ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব নেন।
রওহি মুশতাহা
রওহি মুশতাহা হামাসের ভেতরে সিনওয়ারের আস্থাভাজন ও শক্তিশালী মিত্র। সিনওয়ারের সঙ্গে মিলে মুশতাহা ১৯৮০–এর দশকের শেষের দিকে হামাসের প্রথম নিরাপত্তাব্যবস্থা (সিকিউরিটি সিস্টেম) প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা ফিলিস্তিনিদের ট্র্যাকিং এবং হত্যার জন্য দায়ী ছিল। তিনিও ২০১১ সালে সিনওয়ারের সঙ্গে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান। সম্প্রতি তাঁকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং অপারেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গাজায় হামাস ও মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ওয়াইনেট, ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফরেইন রিলেশন ও আল জাজিরা

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির নির্বিচার আগ্রাসনে অঞ্চলটির ৪২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় লাখখানেক। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি আগ্রাসন গাজা ছাড়িয়ে লেবাননেও পৌঁছে গেছে। সেখানেও প্রায় তিন-চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
কেবল সাধারণ মানুষ নয়, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া গত জুলাইয়ে গুপ্তহত্যার শিকার হন। এরপর গোষ্ঠীটির প্রধান নির্বাচিত ইয়াহইয়া সিনওয়ার। তিনিও গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে এসেছে। তা হলো আগামী দিনে হামাসকে নেতৃত্ব দেবেন কে বা কারা।
এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নাম সামনে আছে। তাঁরা হলেন খালিদ মেশাল, খলিল আল হাইয়্যা, মুসা আবু মারজুক, মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ও মোহাম্মদ সিনওয়ার। কম আলোচনায় থাকলেও মাহমুদ আল-জাহার, মোহাম্মদ শাবানা ও রওহি মুশতাহাদের মতো নেতারাও গোষ্ঠীটিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
খালিদ মেশাল
হামাসের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৬৮ বছর বয়সী খালিদ মেশাল ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মাধ্যমে হামাসের নতুন সর্বোচ্চ নেতা হতে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছেন। হামাসের এই নেতা ১৯৯৭ সালে বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সে সময় তাঁকে হত্যার জন্য ইসরায়েলি এজেন্টরা জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি গুপ্তহত্যা মিশনে তাঁকে বিষ মেশানো ইনজেকশন দিয়েছিল।
খলিল আল-হাইয়্যা
খলিল আল-হাইয়্যা গাজায় ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ডেপুটি। সম্প্রতি হানিয়ার তত্ত্বাবধানে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তেহরানে হানিয়ার বাসভবনেই হাইয়্যার আবাস ছিল। কিন্তু যখন ভবনটিতে হামলা হয়, তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে তিনি দুই দফায় ইসরায়েলি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে এক ইসরায়েল তাঁর বাড়িতে আঘাত করে বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে হত্যা করে। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আবারও তাঁর বাড়িতে হামলা হয়। সেই দফায়ও তিনি বেঁচে যান, তবে তাঁর বড় ছেলে নিহত হন।
মুসা আবু মারজুক
মুসা আবু মারজুক ১৯৫১ সালে গাজার সীমান্ত শহর রাফাহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠার সময় অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পরে তিনি এর পলিটব্যুরোর সদস্য হন। বর্তমানেও তিনি সক্রিয়ভাবে গোষ্ঠীটির শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
মারজুকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে ফিলিস্তিনের অধিকার নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হামাসের পলিটব্যুরোর প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যোগ থাকায় ১৯৯৫ ও ১৯৯৯ সালে জর্ডান তাঁকে দুবার নির্বাসনে পাঠায়। প্রথমবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে এফবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে তাঁকে ফের জর্ডানে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে জর্ডান থেকে তাঁকে সিরিয়ায় নির্বাসন দেওয়া হয়। তিনি ২০১২ সালে সিরিয়া ত্যাগ করেন। এর পর থেকে গাজা, মিসর ও কাতারে সময় কাটাচ্ছেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ার
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইয়াহইয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার (৪৯)। তিনি গাজার খান ইউনিসে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদার সরাসরি ইসরায়েলবিরোধী কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি হামাসের প্রথম ব্যাচে যোগ দেওয়া কর্মীদের অন্যতম । ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৯ মাস দেশটির কারাগারে বন্দী ছিলেন। পরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাগারেও কাটিয়েছেন তিন বছর। ২০০০ সালে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের সহপ্রতিষ্ঠাতা আবদুল-আজিজ আল-রানতিসির আদর্শিক প্রভাবে বেড়ে ওঠেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার অন্যতম কারিগর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয়, ইসরায়েলি হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দায়েফ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ সিনওয়ার।
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ
মোহাম্মদ ইসমাইল দারবিশ ‘আবু ওমর হাসান’ নামেও পরিচিত। তিনি হামাসের শুরা কাউন্সিলের প্রধান। ৬ অক্টোবর তাঁকে হামাসের শুরা কাউন্সিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। এই বাইরে তাঁর সম্পর্কে খুব একটা তথ্য জানা যায় না।
মাহমুদ আল-জাহার
৭৯ বছর বয়সী মাহমুদ আল-জাহার পেশায় একজন সার্জন। ইসরায়েল ও হামাসের অন্যান্য বিরোধীর প্রতি তাঁর কট্টর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বন্ধু ও শত্রুরা তাঁকে ‘জেনারেল’ বলে ডাকত। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে জাহার কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি। এরপর তাঁকে দেখাও যায়নি। তিনি জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের এই নেতা ২০০৩ সালে একবার ইসরায়েলি হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। ২০০৭ সালে গৃহযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে হামাস ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোহাম্মদ শাবানা
হামাস নেতা শাবানা, আবু আনাস শাবানা নামে বেশি পরিচিত। তিনি এখনো বেঁচে থাকা হামাসের শীর্ষ ও অভিজ্ঞ সশস্ত্র কমান্ডারদের একজন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণে রাফাহে হামাসের একটি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হামাস সূত্র জানিয়েছে, শাবানা রাফাহে টানেল নেটওয়ার্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৪ সালে ৫০ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল হামাসের তিনজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার পর শাবানা রাফাহ ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব নেন।
রওহি মুশতাহা
রওহি মুশতাহা হামাসের ভেতরে সিনওয়ারের আস্থাভাজন ও শক্তিশালী মিত্র। সিনওয়ারের সঙ্গে মিলে মুশতাহা ১৯৮০–এর দশকের শেষের দিকে হামাসের প্রথম নিরাপত্তাব্যবস্থা (সিকিউরিটি সিস্টেম) প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা ফিলিস্তিনিদের ট্র্যাকিং এবং হত্যার জন্য দায়ী ছিল। তিনিও ২০১১ সালে সিনওয়ারের সঙ্গে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান। সম্প্রতি তাঁকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং অপারেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গাজায় হামাস ও মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ওয়াইনেট, ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফরেইন রিলেশন ও আল জাজিরা

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩৪ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩৪ মিনিট আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩৪ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ইউরোপে ফেরার পথে তিনি এ তথ্য জানান।
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির মধ্যেও পূর্ব ইউক্রেনের বিতর্কিত দনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দুই নেতা। ক্রেমলিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দোনেৎস্ক অঞ্চলের ‘ফোর্ট্রেস বেল্ট’ বা দুর্গ শহরগুলো থেকে ইউক্রেনীয় সেো সরিয়ে না নিলে তারা কোনো চুক্তিতে আসবে না।
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যার অন্যতম মূল অংশ হলো মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি। ইউক্রেনীয় পার্লামেন্ট এবং মার্কিন কংগ্রেস যৌথভাবে এ প্রতিশ্রুতির পক্ষে ভোট দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছরের গ্যারান্টি দিলেও জেলেনস্কি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন এই মেয়াদ ৩০, ৪০ বা ৫০ বছর করার জন্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলেনস্কি মনে করেন, কোনো শান্তিচুক্তি হলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি হবে নিরাপত্তার সেরা রূপ। তবে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন কোনো শান্তিবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হবে না।
বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছেন, শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে তাঁরা প্রায় ৯৫ শতাংশ সফল। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কিয়েভ দ্রুত চুক্তিতে না এলে আরও ভূখণ্ড হারাবে। রাশিয়া অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়ার বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
এদিকে, জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে ভূমি ছাড়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, বর্তমান ফ্রন্টলাইন বরাবর একটি ‘অসামরিক ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তোলার, যেখান থেকে উভয় পক্ষ তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। জেলেনস্কির প্রস্তাবে আরও আছে, চূড়ান্ত শান্তি পরিকল্পনাটি ইউক্রেনের জনগণের সম্মতির জন্য একটি গণভোটে পেশ করা হবে। এই গণভোট আয়োজনের জন্য অন্তত ৬০ দিনের একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পুতিন এই ৬০ দিনের বিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে আগ্রহী নন।
এদিকে, জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির পরবর্তী বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, চুক্তির ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হলেও বাকি ৫ শতাংশ ‘জটিল ইস্যু’ (দনবাস ও ভূখণ্ড) সমাধান করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ইউরোপে ফেরার পথে তিনি এ তথ্য জানান।
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির মধ্যেও পূর্ব ইউক্রেনের বিতর্কিত দনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দুই নেতা। ক্রেমলিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দোনেৎস্ক অঞ্চলের ‘ফোর্ট্রেস বেল্ট’ বা দুর্গ শহরগুলো থেকে ইউক্রেনীয় সেো সরিয়ে না নিলে তারা কোনো চুক্তিতে আসবে না।
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যার অন্যতম মূল অংশ হলো মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি। ইউক্রেনীয় পার্লামেন্ট এবং মার্কিন কংগ্রেস যৌথভাবে এ প্রতিশ্রুতির পক্ষে ভোট দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছরের গ্যারান্টি দিলেও জেলেনস্কি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন এই মেয়াদ ৩০, ৪০ বা ৫০ বছর করার জন্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলেনস্কি মনে করেন, কোনো শান্তিচুক্তি হলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি হবে নিরাপত্তার সেরা রূপ। তবে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন কোনো শান্তিবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হবে না।
বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছেন, শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে তাঁরা প্রায় ৯৫ শতাংশ সফল। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কিয়েভ দ্রুত চুক্তিতে না এলে আরও ভূখণ্ড হারাবে। রাশিয়া অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়ার বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
এদিকে, জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে ভূমি ছাড়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, বর্তমান ফ্রন্টলাইন বরাবর একটি ‘অসামরিক ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তোলার, যেখান থেকে উভয় পক্ষ তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। জেলেনস্কির প্রস্তাবে আরও আছে, চূড়ান্ত শান্তি পরিকল্পনাটি ইউক্রেনের জনগণের সম্মতির জন্য একটি গণভোটে পেশ করা হবে। এই গণভোট আয়োজনের জন্য অন্তত ৬০ দিনের একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পুতিন এই ৬০ দিনের বিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে আগ্রহী নন।
এদিকে, জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির পরবর্তী বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, চুক্তির ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হলেও বাকি ৫ শতাংশ ‘জটিল ইস্যু’ (দনবাস ও ভূখণ্ড) সমাধান করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

সিনওয়ারের নিহত ওয়ার পর থেকেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, গাজায় কি ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে? তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়ে গেছে। যা–ই হোক, সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নতুন করে একটি বিষয় সামনে
১৮ অক্টোবর ২০২৪
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩৪ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
২ ঘণ্টা আগে