আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছে আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। তাদের মতে, আলোচনার অগ্রগতি হলেও তা সীমিত পর্যায়ের একটি সমঝোতায় থামতে পারে।
ওয়াশিংটন চাইছে এ মাসের শেষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর আগে আলোচনায় অন্তত কিছু অগ্রগতি হোক। এতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে গিয়ে এই সাফল্যকে নিজের কৃতিত্ব হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন। চারটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, আলোচনার সাফল্য যতই সীমিত হোক না কেন, ট্রাম্প সেটিকে মধ্যপ্রাচ্যে নিজের এক বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবে উপস্থাপন করবেন।
তবে বাস্তবে পরিস্থিতি অনেক জটিল। ইসরায়েল কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সিরিয়ার ভেতরে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও দক্ষিণাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় দামেস্ক দুর্বল অবস্থানে আছে। আলোচনায় অবহিত ৯ জনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স—এর মধ্যে আছেন সিরিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা, দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—সম্প্রতি দখলকৃত এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতির অধীনে গঠিত নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন পুনর্বহাল এবং ইসরায়েলের বিমান হামলা ও স্থল অভিযান বন্ধ করা। তবে গোলান মালভূমির প্রসঙ্গ আলোচনায় আসেনি। দামেস্কের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বলেছে, গোলানের প্রশ্ন ‘ভবিষ্যতের জন্য রাখা হয়েছে।’
তবে গোলান নিয়েই সবচেয়ে বড় জটিলতা। ছয়টি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদেও এ অঞ্চল ফেরত দিতে রাজি নয় ইসরায়েল। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেই গোলানকে একতরফাভাবে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বরং, ইসরায়েল মার্কিন দূত টমাস বারাকের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে গোলান ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমাদের মার্কিন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, সেটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাব।’
এক সিরিয়ার কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বুঝতে পারছেন যে, গোলান নিয়ে ছাড় দিলে তাঁর শাসন টিকবে না। তাই তিনি বারাককে বলেছেন, নিরাপত্তা চুক্তি ১৯৭৪ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে হতে হবে।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ আলোচনায় জোর দিচ্ছে। এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়াকে চাপ দিচ্ছে নিরাপত্তা চুক্তি দ্রুত করার জন্য—এটি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। তিনি চান মধ্যপ্রাচ্যে এক বড় কূটনৈতিক সাফল্যের স্থপতি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে।’ কিন্তু ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইসরায়েল খুব বেশি কিছু দিচ্ছে না।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও আলোচনার নেতৃত্ব দেওয়া রন ডারমারের কার্যালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটন ‘ইসরায়েল, সিরিয়া ও প্রতিবেশীদের মধ্যে টেকসই স্থিতিশীলতা ও শান্তি বয়ে আনবে—এমন যেকোনো প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।’
আলোচনায় প্রবল অবিশ্বাসের ছায়া রয়ে গেছে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেওয়া এক পশ্চিমা কূটনীতিক বলেন, ‘প্রাথমিক আস্থার উপাদানই নেই।’ সিরিয়ার পক্ষও বলছে, শারা যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে আলোচনায় গতি আনছেন, তবে এখনো বিস্তৃত শান্তিচুক্তির পরিবেশ তৈরি হয়নি।
এদিকে, মাঠের বাস্তবতায় শারার পথ আরও সংকীর্ণ। একদিকে, ইসরায়েলের হামলা ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সমর্থন জনমনে ক্ষোভ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, সিরিয়ার ভেতরে ভূমি দখল দামেস্কের জন্য বড় হুমকি। সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বে থাকা এক সিরিয়ার সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি টহল এড়িয়ে চলে। তাঁর মতে, ‘তারা প্রায়ই গ্রামে ঢুকে বাড়ি-বাড়ি খোঁজখবর নেয় এবং অস্ত্র খোঁজে।’
রয়টার্সের প্রশ্নে ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, তাদের অভিযান অস্ত্র জব্দ, চোরাচালান ঠেকানো এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকানোর জন্য। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ স্পষ্ট করে বলেছেন, হারমোন পাহাড়ে নতুন যে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েল, সেটি ছাড়বে না।
গাজা ও লেবাননের মতো এখন দক্ষিণ সিরিয়াতেও বিস্তৃত নিরস্ত্রীকৃত এলাকা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইসরায়েল বলে বিশ্লেষকদের মন্তব্য। সিরিয়ার নিরাপত্তা বিশ্লেষক ওয়ায়েল আলওয়ান বলেন, ‘যেমন উত্তর গাজা ও দক্ষিণ লেবাননে করেছে, তেমনি এখন দক্ষিণ সিরিয়ায়ও বিস্তৃত নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল গড়ে তুলছে ইসরায়েল।’
সুয়াইদায় দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সিরিয়ার বাহিনীর সংঘর্ষে নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বেসামরিক হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে সিরিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এর পর থেকে দ্রুজ নেতারা স্বাধীনতার দাবি তুলছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ গোলান থেকে সুয়াইদা পর্যন্ত মানবিক করিডরের প্রস্তাব তুলেছেন। দুই প্রবীণ দ্রুজ নেতা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েল এখন বিভক্ত দ্রুজ গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করছে এবং অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছে। এমনকি ৩ হাজার দ্রুজ যোদ্ধার একটি বাহিনীর বেতনও দিচ্ছে তারা। যদিও স্বাধীনভাবে এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এ অবস্থায় শারা জানেন, ইসরায়েলকে উত্তেজিত করলে তাঁর পুনর্গঠন পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী বলেছেন, ‘উসকানি এড়িয়ে চলাই তাঁর পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু।’ অন্যদিকে, বিশ্লেষকেরা বলছেন অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও বৈদেশিক সহায়তার জন্য শারা কিছু বাস্তববাদী ছাড় দিতে পারেন। তবে গোলান মালভূমি নিয়ে কোনো সমঝোতায় যাওয়া তাঁর জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়াবে।
সব মিলিয়ে সিরিয়া-ইসরায়েল আলোচনার বর্তমান অগ্রগতি একদিকে মার্কিন প্রশাসনের কূটনৈতিক সাফল্যের প্রচেষ্টার অংশ, অন্যদিকে শারার জন্য এক সংকীর্ণ পথ। তিনি ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাইছেন, কিন্তু অভ্যন্তরীণ বৈধতা ও ভূখণ্ড রক্ষার চাপে তাঁর বিকল্প সীমিত হয়ে পড়ছে।

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছে আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। তাদের মতে, আলোচনার অগ্রগতি হলেও তা সীমিত পর্যায়ের একটি সমঝোতায় থামতে পারে।
ওয়াশিংটন চাইছে এ মাসের শেষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর আগে আলোচনায় অন্তত কিছু অগ্রগতি হোক। এতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে গিয়ে এই সাফল্যকে নিজের কৃতিত্ব হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন। চারটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, আলোচনার সাফল্য যতই সীমিত হোক না কেন, ট্রাম্প সেটিকে মধ্যপ্রাচ্যে নিজের এক বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবে উপস্থাপন করবেন।
তবে বাস্তবে পরিস্থিতি অনেক জটিল। ইসরায়েল কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সিরিয়ার ভেতরে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও দক্ষিণাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় দামেস্ক দুর্বল অবস্থানে আছে। আলোচনায় অবহিত ৯ জনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স—এর মধ্যে আছেন সিরিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা, দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—সম্প্রতি দখলকৃত এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতির অধীনে গঠিত নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন পুনর্বহাল এবং ইসরায়েলের বিমান হামলা ও স্থল অভিযান বন্ধ করা। তবে গোলান মালভূমির প্রসঙ্গ আলোচনায় আসেনি। দামেস্কের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বলেছে, গোলানের প্রশ্ন ‘ভবিষ্যতের জন্য রাখা হয়েছে।’
তবে গোলান নিয়েই সবচেয়ে বড় জটিলতা। ছয়টি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদেও এ অঞ্চল ফেরত দিতে রাজি নয় ইসরায়েল। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেই গোলানকে একতরফাভাবে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বরং, ইসরায়েল মার্কিন দূত টমাস বারাকের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে গোলান ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমাদের মার্কিন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, সেটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাব।’
এক সিরিয়ার কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বুঝতে পারছেন যে, গোলান নিয়ে ছাড় দিলে তাঁর শাসন টিকবে না। তাই তিনি বারাককে বলেছেন, নিরাপত্তা চুক্তি ১৯৭৪ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে হতে হবে।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ আলোচনায় জোর দিচ্ছে। এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়াকে চাপ দিচ্ছে নিরাপত্তা চুক্তি দ্রুত করার জন্য—এটি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। তিনি চান মধ্যপ্রাচ্যে এক বড় কূটনৈতিক সাফল্যের স্থপতি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে।’ কিন্তু ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইসরায়েল খুব বেশি কিছু দিচ্ছে না।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও আলোচনার নেতৃত্ব দেওয়া রন ডারমারের কার্যালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটন ‘ইসরায়েল, সিরিয়া ও প্রতিবেশীদের মধ্যে টেকসই স্থিতিশীলতা ও শান্তি বয়ে আনবে—এমন যেকোনো প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।’
আলোচনায় প্রবল অবিশ্বাসের ছায়া রয়ে গেছে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেওয়া এক পশ্চিমা কূটনীতিক বলেন, ‘প্রাথমিক আস্থার উপাদানই নেই।’ সিরিয়ার পক্ষও বলছে, শারা যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে আলোচনায় গতি আনছেন, তবে এখনো বিস্তৃত শান্তিচুক্তির পরিবেশ তৈরি হয়নি।
এদিকে, মাঠের বাস্তবতায় শারার পথ আরও সংকীর্ণ। একদিকে, ইসরায়েলের হামলা ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সমর্থন জনমনে ক্ষোভ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, সিরিয়ার ভেতরে ভূমি দখল দামেস্কের জন্য বড় হুমকি। সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বে থাকা এক সিরিয়ার সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি টহল এড়িয়ে চলে। তাঁর মতে, ‘তারা প্রায়ই গ্রামে ঢুকে বাড়ি-বাড়ি খোঁজখবর নেয় এবং অস্ত্র খোঁজে।’
রয়টার্সের প্রশ্নে ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, তাদের অভিযান অস্ত্র জব্দ, চোরাচালান ঠেকানো এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকানোর জন্য। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ স্পষ্ট করে বলেছেন, হারমোন পাহাড়ে নতুন যে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েল, সেটি ছাড়বে না।
গাজা ও লেবাননের মতো এখন দক্ষিণ সিরিয়াতেও বিস্তৃত নিরস্ত্রীকৃত এলাকা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইসরায়েল বলে বিশ্লেষকদের মন্তব্য। সিরিয়ার নিরাপত্তা বিশ্লেষক ওয়ায়েল আলওয়ান বলেন, ‘যেমন উত্তর গাজা ও দক্ষিণ লেবাননে করেছে, তেমনি এখন দক্ষিণ সিরিয়ায়ও বিস্তৃত নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল গড়ে তুলছে ইসরায়েল।’
সুয়াইদায় দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সিরিয়ার বাহিনীর সংঘর্ষে নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বেসামরিক হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে সিরিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এর পর থেকে দ্রুজ নেতারা স্বাধীনতার দাবি তুলছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ গোলান থেকে সুয়াইদা পর্যন্ত মানবিক করিডরের প্রস্তাব তুলেছেন। দুই প্রবীণ দ্রুজ নেতা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েল এখন বিভক্ত দ্রুজ গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করছে এবং অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছে। এমনকি ৩ হাজার দ্রুজ যোদ্ধার একটি বাহিনীর বেতনও দিচ্ছে তারা। যদিও স্বাধীনভাবে এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এ অবস্থায় শারা জানেন, ইসরায়েলকে উত্তেজিত করলে তাঁর পুনর্গঠন পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী বলেছেন, ‘উসকানি এড়িয়ে চলাই তাঁর পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু।’ অন্যদিকে, বিশ্লেষকেরা বলছেন অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও বৈদেশিক সহায়তার জন্য শারা কিছু বাস্তববাদী ছাড় দিতে পারেন। তবে গোলান মালভূমি নিয়ে কোনো সমঝোতায় যাওয়া তাঁর জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়াবে।
সব মিলিয়ে সিরিয়া-ইসরায়েল আলোচনার বর্তমান অগ্রগতি একদিকে মার্কিন প্রশাসনের কূটনৈতিক সাফল্যের প্রচেষ্টার অংশ, অন্যদিকে শারার জন্য এক সংকীর্ণ পথ। তিনি ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাইছেন, কিন্তু অভ্যন্তরীণ বৈধতা ও ভূখণ্ড রক্ষার চাপে তাঁর বিকল্প সীমিত হয়ে পড়ছে।

আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
৭ মিনিট আগে
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম
৩ ঘণ্টা আগে
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ৬২ বছর বয়সী তে চি লপ একজন কানাডীয় নাগরিক হলেও তিনি জন্মগ্রহণ করেন চীনে। ইন্টারপোল তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম বড় মাদক সিন্ডিকেট ‘স্যাম গোর’ বা দ্য কোম্পানি-র মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিল। এই সিন্ডিকেট বছরে প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড আয় করত বলে ধারণা করা হয় এবং জাপান থেকে শুরু করে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত অন্তত ১২টি দেশে মাদক সরবরাহ করত।
২০১৯ সালে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে থমসন রয়টার্স তাঁকে বিশ্বের প্রভাবশালী ও আলোচিত মাদক সম্রাট জোয়াকিন ‘এল চ্যাপো’ গুজম্যান এবং পাবলো এসকোবারের সমতুল্য হিসেবে উল্লেখ করেছিল। এমনকি তাঁর নিরাপত্তায় থাই কিকবক্সার ভাড়া করা হতো বলেও প্রতিবেদনে উঠে আসে।
২০২১ সালে ইন্টারপোলের নোটিশের ভিত্তিতে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধে তাঁকে সেখান থেকে প্রত্যর্পণ করা হয়। আদালতে উপস্থাপিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তে চি লপ অস্ট্রেলিয়ায় বিপুল পরিমাণে মেথঅ্যামফেটামিন পাচারের ষড়যন্ত্র করেন।
রায়ে বিচারক পিটার রোজেন বলেন, মামলাটির সাজা আজীবন কারাদণ্ড হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রত্যর্পণ চুক্তির কারণে তুলনামূলক কম সাজা দিতে হয়েছে।
আদালতে দণ্ড ঘোষণার সময় তে চি লপ নীল শার্ট ও কালো চশমা পরে মাথা নিচু করে বসে ছিলেন। তিনি দশ বছর কারাভোগের পর জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট বলেন, ‘এই রায় প্রমাণ করে, অস্ট্রেলিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাত বিশ্বের যে কোনো অপরাধীর কাছে পৌঁছাতে পারে।’
তিন বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে এই আলোচিত মামলার পরিসমাপ্তি ঘটল।

আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ৬২ বছর বয়সী তে চি লপ একজন কানাডীয় নাগরিক হলেও তিনি জন্মগ্রহণ করেন চীনে। ইন্টারপোল তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম বড় মাদক সিন্ডিকেট ‘স্যাম গোর’ বা দ্য কোম্পানি-র মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিল। এই সিন্ডিকেট বছরে প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড আয় করত বলে ধারণা করা হয় এবং জাপান থেকে শুরু করে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত অন্তত ১২টি দেশে মাদক সরবরাহ করত।
২০১৯ সালে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে থমসন রয়টার্স তাঁকে বিশ্বের প্রভাবশালী ও আলোচিত মাদক সম্রাট জোয়াকিন ‘এল চ্যাপো’ গুজম্যান এবং পাবলো এসকোবারের সমতুল্য হিসেবে উল্লেখ করেছিল। এমনকি তাঁর নিরাপত্তায় থাই কিকবক্সার ভাড়া করা হতো বলেও প্রতিবেদনে উঠে আসে।
২০২১ সালে ইন্টারপোলের নোটিশের ভিত্তিতে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধে তাঁকে সেখান থেকে প্রত্যর্পণ করা হয়। আদালতে উপস্থাপিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তে চি লপ অস্ট্রেলিয়ায় বিপুল পরিমাণে মেথঅ্যামফেটামিন পাচারের ষড়যন্ত্র করেন।
রায়ে বিচারক পিটার রোজেন বলেন, মামলাটির সাজা আজীবন কারাদণ্ড হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রত্যর্পণ চুক্তির কারণে তুলনামূলক কম সাজা দিতে হয়েছে।
আদালতে দণ্ড ঘোষণার সময় তে চি লপ নীল শার্ট ও কালো চশমা পরে মাথা নিচু করে বসে ছিলেন। তিনি দশ বছর কারাভোগের পর জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট বলেন, ‘এই রায় প্রমাণ করে, অস্ট্রেলিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাত বিশ্বের যে কোনো অপরাধীর কাছে পৌঁছাতে পারে।’
তিন বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে এই আলোচিত মামলার পরিসমাপ্তি ঘটল।

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছেন, আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম
৩ ঘণ্টা আগে
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ হার্ভার্ড ল স্কুলের একজন অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও ব্রাজিলের নাগরিক কার্লোস পর্তুগাল গুভেয়াকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গুভেয়ার অস্থায়ী নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা বাতিল করার পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হার্ভার্ডও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে অধ্যাপক গুভেয়ার বিরুদ্ধে ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসবের আগের দিন ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের একটি সিনাগগের (ইহুদি উপাসনালয়) বাইরে পেলেট গান (ছররা গুলি) ছোড়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ম্যাসাচুসেটসের ব্রুকলাইনে টেম্পল বেথ জিয়নের (ইহুদি উপসনালয়) কাছে গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় অস্ত্র হাতে এক ব্যক্তির উপস্থিতির খবর পায় পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে পুলিশ গুভেয়াকে আটক করে। ওই সময়টা ছিল ইহুদিদের পবিত্র উৎসব ইয়ম কিপুরের আগের দিন। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুভেয়া দাবি করেছিলেন, তিনি কাছাকাছি ইঁদুর মারতে পেলেট গান ব্যবহার করছিলেন।
কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ওই ঘটনাকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ ঘটনা বলে আখ্যা দেয়। অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির বিপরীতে টেম্পল বেথ জিয়ন জানায়, ঘটনাটি ইহুদিবিদ্বেষ থেকে ঘটেছে বলে মনে হয় না। ঘটনাটি তদন্তের পর ব্রুকলাইন পুলিশ বিভাগও একই মত দেয়। উপসনালয়টির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পুলিশ তাদের জানিয়েছে, গুভেয়া জানতেন না যে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানে একটি উপাসনালয় আছে বা ওই দিন সেখানে কোনো ধর্মীয় উৎসব চলছে।
তবে গত মাসে অবৈধভাবে পেলেট গান ছোড়ার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেন গুভোয়া। এরপর তিনি ছয় মাসের প্রিট্রায়াল প্রবেশন (বিচার পূর্ববর্তী বিশেষ ব্যবস্থা) মেনে নেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে আনা শান্তিভঙ্গ, বিশৃঙ্খল আচরণ ও সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগগুলো প্লিয়া ডিলের (ফৌজদারি আইনের একটি প্রক্রিয়া) অংশ হিসেবে বাতিল করা হয়।
কিন্তু গত বুধবার ছয় মাসের প্রিট্রায়াল প্রবেশন শেষ হওয়ার আগেই অস্থায়ী নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা বাতিল করে অধ্যাপক গুভেয়াকে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে গুভেয়ার গ্রেপ্তারের খবর এমন সময়ে এল, যখন ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে চাপ দিচ্ছে।
হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—বিশ্ববিদ্যালয়টি ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি এবং ক্যাম্পাসে ইহুদি শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে হার্ভার্ড কিছু সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত সেপ্টেম্বরে একজন বিচারক রায় দেন যে ট্রাম্প প্রশাসন বেআইনিভাবে হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দ করা ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি গবেষণা অনুদান বাতিল করেছিল।

মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ হার্ভার্ড ল স্কুলের একজন অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও ব্রাজিলের নাগরিক কার্লোস পর্তুগাল গুভেয়াকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গুভেয়ার অস্থায়ী নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা বাতিল করার পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হার্ভার্ডও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে অধ্যাপক গুভেয়ার বিরুদ্ধে ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসবের আগের দিন ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের একটি সিনাগগের (ইহুদি উপাসনালয়) বাইরে পেলেট গান (ছররা গুলি) ছোড়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ম্যাসাচুসেটসের ব্রুকলাইনে টেম্পল বেথ জিয়নের (ইহুদি উপসনালয়) কাছে গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় অস্ত্র হাতে এক ব্যক্তির উপস্থিতির খবর পায় পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে পুলিশ গুভেয়াকে আটক করে। ওই সময়টা ছিল ইহুদিদের পবিত্র উৎসব ইয়ম কিপুরের আগের দিন। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুভেয়া দাবি করেছিলেন, তিনি কাছাকাছি ইঁদুর মারতে পেলেট গান ব্যবহার করছিলেন।
কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ওই ঘটনাকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ ঘটনা বলে আখ্যা দেয়। অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির বিপরীতে টেম্পল বেথ জিয়ন জানায়, ঘটনাটি ইহুদিবিদ্বেষ থেকে ঘটেছে বলে মনে হয় না। ঘটনাটি তদন্তের পর ব্রুকলাইন পুলিশ বিভাগও একই মত দেয়। উপসনালয়টির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পুলিশ তাদের জানিয়েছে, গুভেয়া জানতেন না যে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানে একটি উপাসনালয় আছে বা ওই দিন সেখানে কোনো ধর্মীয় উৎসব চলছে।
তবে গত মাসে অবৈধভাবে পেলেট গান ছোড়ার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেন গুভোয়া। এরপর তিনি ছয় মাসের প্রিট্রায়াল প্রবেশন (বিচার পূর্ববর্তী বিশেষ ব্যবস্থা) মেনে নেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে আনা শান্তিভঙ্গ, বিশৃঙ্খল আচরণ ও সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগগুলো প্লিয়া ডিলের (ফৌজদারি আইনের একটি প্রক্রিয়া) অংশ হিসেবে বাতিল করা হয়।
কিন্তু গত বুধবার ছয় মাসের প্রিট্রায়াল প্রবেশন শেষ হওয়ার আগেই অস্থায়ী নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা বাতিল করে অধ্যাপক গুভেয়াকে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে গুভেয়ার গ্রেপ্তারের খবর এমন সময়ে এল, যখন ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে চাপ দিচ্ছে।
হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—বিশ্ববিদ্যালয়টি ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি এবং ক্যাম্পাসে ইহুদি শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে হার্ভার্ড কিছু সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত সেপ্টেম্বরে একজন বিচারক রায় দেন যে ট্রাম্প প্রশাসন বেআইনিভাবে হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দ করা ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি গবেষণা অনুদান বাতিল করেছিল।

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছেন, আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
৭ মিনিট আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম
৩ ঘণ্টা আগে
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম সফর। এই সম্মেলন এমন এক সময় হচ্ছে, যখন ভারত রুশ তেল কেনার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের মুখোমুখি।
আলোচনা শুরুর সময় মোদি পুতিনকে বলেন, ভারত নিরপেক্ষ নয়—ভারতের একটি অবস্থান আছে আর সেই অবস্থান হলো শান্তির পক্ষে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শান্তির জন্য নেওয়া সমস্ত প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি এবং শান্তির জন্য নেওয়া প্রতিটি উদ্যোগের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াই।’
জবাবে পুতিন সংঘাত মেটানোর লক্ষ্যে মোদির মনোযোগ ও প্রচেষ্টার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনে কী ঘটছে এবং এই সংকটের সম্ভাব্য শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে আমরা অন্য কয়েকটি শরিক, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যৌথভাবে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছি—তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার সুযোগ আমরা পেয়েছি এবং আপনি আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছেন।’
পুতিনের এই সফর এমন এক সময়ে এল, যখন মস্কো ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে। ভারত রাশিয়ার অস্ত্রের প্রধান ক্রেতা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের সর্বোচ্চ ৬৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তাঁরা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারে বাড়াতে চান।
আজ শুক্রবার পুতিনের সফরসূচি শুরু হয় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার মাধ্যমে, যেখানে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পুতিনকে স্বাগত জানাতে মুর্মুর সঙ্গে মোদিও উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে পুতিনকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর পুতিন রাজঘাটে গিয়ে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে মাল্যদান করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার মোদি উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে বিমানবন্দরে হাজির হয়ে পুতিনকে আলিঙ্গন ও হাত মিলিয়ে স্বাগত জানান। পরে তিনি রুশ নেতাকে তাঁর বাসভবনে এক নৈশভোজে আপ্যায়ন করেন। দিল্লি থেকে আল–জাজিরার সাংবাদিক নেহা পুনিয়া মন্তব্য করেন, অনেক আলিঙ্গন ও হাত মেলানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখন নজর শুক্রবারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের দিকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই নেতা এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করবেন যে—রুশ নেতা একঘরে নন এবং পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ সত্ত্বেও ভারতের মতো দেশ তাঁকে স্বাগত জানায়।
২০২৩ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ইউক্রেনীয় শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। ভারত আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয় এবং তাঁর চুক্তি বা নিয়মের দ্বারা আবদ্ধও নয়। সেই কারণে পুতিন গ্রেপ্তারের ভয় ছাড়াই ভারতে সফর করতে পেরেছেন।
রুশ নেতা স্থানীয় সময় আজ রাত ৯টায় ভারত ছাড়বেন। রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে ২৫ বছর ধরে কৌশলগত শরিকানা রয়েছে, যা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুতিনের প্রথম বছর থেকেই শুরু। তবে রাশিয়ার ২০২২ সালের আগ্রাসনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রাখার এই ভারসাম্যের কাজটি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। রুশ কার্যক্রমের কারণে নেতাদের বার্ষিক সফরের বহুদিনের প্রথা ব্যাহত হয়। তবে গত বছর মোদির রাশিয়া সফরের মাধ্যমে তা কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
যুদ্ধের মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলো যখন রুশ অপরিশোধিত তেলের ওপর তাদের নির্ভরতা কমাতে শুরু করে, ভারত তখন তার ক্রয় বাড়ায়। কিন্তু আগস্টে ট্রাম্প পুতিনকে যুদ্ধবিরতি মানতে চাপ দেওয়ার জন্য ভারতের রুশ তেল কেনার শাস্তিস্বরূপ ভারতীয় পণ্যের ওপর আগে আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করে দেন। তা সত্ত্বেও ভারত রুশ তেল কেনা চালিয়ে যায়।
তবে এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে—নভেম্বরে রুশ তেল কোম্পানি রোজনেফ্ট ও ল্যুকওয়েলের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, সঙ্গে এই সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য করা অন্য দেশের সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার হুমকি আসে। ভারতের মোট তেল আমদানির প্রায় ৬০ শতাংশ আসে এই দুটি কোম্পানি থেকে।
নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তাদের অন্যায়ভাবে নিশানা করা হচ্ছে। তারা উল্লেখ করে যে—পশ্চিমা দেশগুলোও যখন তাদের স্বার্থের প্রয়োজন হয়, তখন মস্কোর সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যায়। নয়াদিল্লি আসার আগে এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সাংবাদিকদের কাছে পুতিনও একই রকম যুক্তি দেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই তাদের নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এখনো আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে।’ তিনি আরও যোগ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যদি রুশ জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতেরও ‘একই সুবিধা’ পাওয়া উচিত।
পুতিন ভারতকে আরও রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মস্কো ভারতে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও এসইউ-৫৭ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আশা করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিতে এই শুক্রবারের বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন আগেই পুতিন মস্কোয় মার্কিন এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পর উভয় পক্ষই অগ্রগতির প্রশংসা করে, যদিও কোনো যুগান্তকারী সমাধান হয়নি। গতকাল মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম সফর। এই সম্মেলন এমন এক সময় হচ্ছে, যখন ভারত রুশ তেল কেনার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের মুখোমুখি।
আলোচনা শুরুর সময় মোদি পুতিনকে বলেন, ভারত নিরপেক্ষ নয়—ভারতের একটি অবস্থান আছে আর সেই অবস্থান হলো শান্তির পক্ষে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শান্তির জন্য নেওয়া সমস্ত প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি এবং শান্তির জন্য নেওয়া প্রতিটি উদ্যোগের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াই।’
জবাবে পুতিন সংঘাত মেটানোর লক্ষ্যে মোদির মনোযোগ ও প্রচেষ্টার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনে কী ঘটছে এবং এই সংকটের সম্ভাব্য শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে আমরা অন্য কয়েকটি শরিক, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যৌথভাবে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছি—তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার সুযোগ আমরা পেয়েছি এবং আপনি আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছেন।’
পুতিনের এই সফর এমন এক সময়ে এল, যখন মস্কো ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে। ভারত রাশিয়ার অস্ত্রের প্রধান ক্রেতা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের সর্বোচ্চ ৬৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তাঁরা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারে বাড়াতে চান।
আজ শুক্রবার পুতিনের সফরসূচি শুরু হয় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার মাধ্যমে, যেখানে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পুতিনকে স্বাগত জানাতে মুর্মুর সঙ্গে মোদিও উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে পুতিনকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর পুতিন রাজঘাটে গিয়ে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে মাল্যদান করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার মোদি উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে বিমানবন্দরে হাজির হয়ে পুতিনকে আলিঙ্গন ও হাত মিলিয়ে স্বাগত জানান। পরে তিনি রুশ নেতাকে তাঁর বাসভবনে এক নৈশভোজে আপ্যায়ন করেন। দিল্লি থেকে আল–জাজিরার সাংবাদিক নেহা পুনিয়া মন্তব্য করেন, অনেক আলিঙ্গন ও হাত মেলানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখন নজর শুক্রবারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের দিকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই নেতা এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করবেন যে—রুশ নেতা একঘরে নন এবং পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ সত্ত্বেও ভারতের মতো দেশ তাঁকে স্বাগত জানায়।
২০২৩ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ইউক্রেনীয় শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। ভারত আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয় এবং তাঁর চুক্তি বা নিয়মের দ্বারা আবদ্ধও নয়। সেই কারণে পুতিন গ্রেপ্তারের ভয় ছাড়াই ভারতে সফর করতে পেরেছেন।
রুশ নেতা স্থানীয় সময় আজ রাত ৯টায় ভারত ছাড়বেন। রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে ২৫ বছর ধরে কৌশলগত শরিকানা রয়েছে, যা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুতিনের প্রথম বছর থেকেই শুরু। তবে রাশিয়ার ২০২২ সালের আগ্রাসনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রাখার এই ভারসাম্যের কাজটি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। রুশ কার্যক্রমের কারণে নেতাদের বার্ষিক সফরের বহুদিনের প্রথা ব্যাহত হয়। তবে গত বছর মোদির রাশিয়া সফরের মাধ্যমে তা কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
যুদ্ধের মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলো যখন রুশ অপরিশোধিত তেলের ওপর তাদের নির্ভরতা কমাতে শুরু করে, ভারত তখন তার ক্রয় বাড়ায়। কিন্তু আগস্টে ট্রাম্প পুতিনকে যুদ্ধবিরতি মানতে চাপ দেওয়ার জন্য ভারতের রুশ তেল কেনার শাস্তিস্বরূপ ভারতীয় পণ্যের ওপর আগে আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করে দেন। তা সত্ত্বেও ভারত রুশ তেল কেনা চালিয়ে যায়।
তবে এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে—নভেম্বরে রুশ তেল কোম্পানি রোজনেফ্ট ও ল্যুকওয়েলের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, সঙ্গে এই সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য করা অন্য দেশের সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার হুমকি আসে। ভারতের মোট তেল আমদানির প্রায় ৬০ শতাংশ আসে এই দুটি কোম্পানি থেকে।
নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তাদের অন্যায়ভাবে নিশানা করা হচ্ছে। তারা উল্লেখ করে যে—পশ্চিমা দেশগুলোও যখন তাদের স্বার্থের প্রয়োজন হয়, তখন মস্কোর সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যায়। নয়াদিল্লি আসার আগে এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সাংবাদিকদের কাছে পুতিনও একই রকম যুক্তি দেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই তাদের নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এখনো আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে।’ তিনি আরও যোগ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যদি রুশ জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতেরও ‘একই সুবিধা’ পাওয়া উচিত।
পুতিন ভারতকে আরও রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মস্কো ভারতে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও এসইউ-৫৭ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আশা করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিতে এই শুক্রবারের বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন আগেই পুতিন মস্কোয় মার্কিন এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পর উভয় পক্ষই অগ্রগতির প্রশংসা করে, যদিও কোনো যুগান্তকারী সমাধান হয়নি। গতকাল মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছেন, আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
৭ মিনিট আগে
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন প্রকল্প নতুন গতি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের মার্কিন আপত্তি দূর হওয়ায় এই উদ্যোগ এখন এশিয়ার নিরাপত্তাকাঠামো পাল্টে দিতে পারে এবং পানির নিচে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে।
উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় বহুদিন ধরে পরমাণুচালিত সাবমেরিনের অভিজাত ক্লাবে যোগ দিতে চেয়েছে সিউল। ট্রাম্পের সম্মতি পাওয়ায় দুই দেশের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জ্বালানির প্রবেশাধিকার মিলেছে, যা এত দিন ছিল বড় বাধা।
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাবমেরিন ক্যাপ্টেন চোই ইল বলেন, সাবমেরিন অত্যন্ত কার্যকর আক্রমণাত্মক অস্ত্র। তাই এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা অনিবার্য।
সিউলের যুক্তি, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে থাকা হুমকি, বিশেষ করে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় পরমাণুচালিত সাবমেরিন অপরিহার্য।
দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বারবার বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না তারা।
গত বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে পাওয়া এই চুক্তিকে ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নমনীয়তা বাড়াবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারাও একই ধরনের সক্ষমতা বিকাশে মনোনিবেশ করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখায়, কিম জং-উন একটি তথাকথিত পরমাণুচালিত সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার কর্মসূচি কতটা এগিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু বিশ্লেষকের সন্দেহ, পিয়ংইয়ং হয়তো রাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে, তবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন প্রকল্প নতুন গতি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের মার্কিন আপত্তি দূর হওয়ায় এই উদ্যোগ এখন এশিয়ার নিরাপত্তাকাঠামো পাল্টে দিতে পারে এবং পানির নিচে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে।
উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় বহুদিন ধরে পরমাণুচালিত সাবমেরিনের অভিজাত ক্লাবে যোগ দিতে চেয়েছে সিউল। ট্রাম্পের সম্মতি পাওয়ায় দুই দেশের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জ্বালানির প্রবেশাধিকার মিলেছে, যা এত দিন ছিল বড় বাধা।
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাবমেরিন ক্যাপ্টেন চোই ইল বলেন, সাবমেরিন অত্যন্ত কার্যকর আক্রমণাত্মক অস্ত্র। তাই এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা অনিবার্য।
সিউলের যুক্তি, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে থাকা হুমকি, বিশেষ করে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় পরমাণুচালিত সাবমেরিন অপরিহার্য।
দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বারবার বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না তারা।
গত বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে পাওয়া এই চুক্তিকে ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নমনীয়তা বাড়াবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারাও একই ধরনের সক্ষমতা বিকাশে মনোনিবেশ করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখায়, কিম জং-উন একটি তথাকথিত পরমাণুচালিত সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার কর্মসূচি কতটা এগিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু বিশ্লেষকের সন্দেহ, পিয়ংইয়ং হয়তো রাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে, তবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছেন, আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
৭ মিনিট আগে
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম
৩ ঘণ্টা আগে