আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ গাজার আল-নাসের হাসপাতালে নিজ ছেলে আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আসমাহান শাআত। শোকে, হতবাক হয়ে তাঁর গলা দিয়ে বেরিয়ে আসে হৃদয়বিদারক কান্না। চারপাশে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে তাঁর আর্তনাদ।
২৩ বছর বয়সী মৃত ছেলের মুখ, হাত আর পায়ে চুমু খেতে খেতে বিলাপ করতে থাকেন আসমাহান। তাঁর ৬ সন্তান আর আত্মীয়রা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি কাউকে কাছে ভিড়তে দেননি। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে আমার কাছে থাকতে দাও। আহমেদ আবার কথা বলবে। সে আমাকে বলেছিল, “মা, আমি মরব না। আমি রাফার সাহায্য কেন্দ্র থেকে তোমার জন্য কিছু নিয়ে আসব”।’
আল-মাওয়াসিতে নিজেদের শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে খাবারের খোঁজে বেরিয়েছিল আহমেদ। সে আর ফিরে আসেনি। আহমেদের সঙ্গে ছিল তাঁর চাচাতো ভাই মাজেন শাআত। মাজেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত রাফার সাহায্য বিতরণকেন্দ্রের কাছে ভিড়ের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে আহমেদের পেটে গুলি লাগে। সেদিন আরও অনেকেই নিহত ও আহত হয়।
গাজার সরকারি জনসংযোগ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে জিএইচএফ-এর সাহায্য বিতরণকেন্দ্রের আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে। যে কেন্দ্রগুলো মানুষের জন্য জীবন রক্ষাকারী হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোই এখন মৃত্যুকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলো জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘ কর্মকর্তারা এই বিতরণ পদ্ধতিকে সামরিকীকৃত, বিপজ্জনক এবং বেআইনি বলে সমালোচনা করেছেন। শুক্রবার ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনারা বলেছেন, তাদের নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমনকি কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও।
শোকাহত আসমাহানের ক্রোধে ফেটে পড়া স্বাভাবিক। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘খাবার আনতে গিয়ে কি কারও মরার কথা? এই বিশ্ব কোথায়, যারা নিজেদের মুক্ত বলে দাবি করে? আমাদের এই যন্ত্রণা আর কত দিন চলবে?’ ইসরায়েলের অবরোধ আর টানা ২১ মাসের বোমাবর্ষণ ও বাস্তুচ্যুতির ফলে গাজার ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মার্চের ২ তারিখ থেকে ইসরায়েল সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে, যার ফলে খুব অল্প পরিমাণ সাহায্যই ভেতরে প্রবেশ করতে পারছে।
আর-নাসের হাসপাতালের মর্গে যেখানে আহমেদের মরদেহ পড়ে ছিল, তার পাশেই স্বামী খলিল আল-খতিবের মরদেহ জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ২৫ বছরের শিরিন। দাঁড়ানোর শক্তিটুকুও নেই তাঁর। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলতে থাকেন, ‘খলিল, উঠো। তোমার ছেলে উবাইদা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি সকালে বলেছিলাম, ‘‘তোমার বাবা, একটু পরেই ফিরে আসবে। ” আমাদের খাবার লাগবে না, আমরা তোমাকে চাই (খলিল)।’
খলিলও আল-মাওয়াসি থেকে খাবারের খোঁজে বেরিয়েছিলেন। তাঁর শ্বশুর ইউসুফ আল-রুমাইলাত বলেন, খলিল খুব সাবধানে চলাফেরা করত। তিনি কখনো ভাবেননি যে, তাঁকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে। ইউসুফ বলেন, ‘সে খুব সহজ-সরল মানুষ ছিল। সবকিছুই যখন প্রাণঘাতী হয়ে গেছে, তখন সে নিরাপত্তার জন্য ভয় পেত। এই অবস্থায় সে তাঁর সন্তানদের জন্য কিছুই জোগাড় করতে পারত না। তার পাঁচ বছরের ছেলে উবাইদা যখন খাবার বা চাল চাইত, তখন সে কিছু দিতে পারত না। যুদ্ধ শুরুর কদিন পরই জন্ম নেওয়া ছোট সন্তানের জন্য দুধ জোগাড় করাও তার পক্ষে সম্ভব ছিল না।’
তীব্র ক্ষোভ নিয়ে ইউসুফ বলেন, ‘ওরা আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে। একজন পুরুষের জন্য সবচেয়ে কষ্টের হলো নিজের পরিবারের জন্য কিছু করতে না পারা। এখন এসব সাহায্য কেন্দ্র মৃত্যুকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এটা কোনো সাহায্য নয়, এটা গণহত্যা।’ তিনি বলেন, ‘নতুন এই মানবিক সহায়তার পদ্ধতির ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। আমরা এই রক্তমাখা সাহায্য চাই না। আমাদের আগের মতো জাতিসংঘের মাধ্যমে সাহায্য চাই। অন্তত সেসময় খাবার আনতে গিয়ে মরতে হতো না।’
ইসরায়েলের সমন্বয়ে চালু হওয়া জিএইচএফ প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ গাজায় খাবার পাঠানোর কথা থাকলেও এসব সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর মাধ্যমে যায় না। ইসরায়েল বারবার ইউএনআরডব্লিউএর বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তুললেও এর পক্ষে এখনো সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। সমালোচকদের মতে, এই পদ্ধতির কারণে পর্যাপ্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, তারা শুধু ‘হুমকির’ জবাব দিচ্ছে ও সাহায্যের পথ উন্মুক্ত রেখেছে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও বিভিন্ন প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র উঠে আসছে। রাফাহ থেকে বাস্তুচ্যুত মুস্তাফা নাবিল আবু ঈদ (৩১) ও তাঁর বন্ধু আবদুল্লাহ আবু ঘালি (৩৯) কিছু চাল, ডাল আর পাস্তা নিয়ে সাহায্য কেন্দ্র থেকে ফিরছিলেন।
মুস্তাফা পুরো বিষয়টিকে বর্ণনা করেন ‘মৃত্যুর যাত্রা’ বলে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয় ওই এলাকায়। তারপর অপেক্ষা করি—কখনো কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা—কখন ট্যাংক সরবে। ট্যাংক সরলেই খোলা ময়দান পেরিয়ে দৌড় দিই। জানি না খাবার নিয়ে ফিরতে পারব, না গুলিতে মরব।’
তাঁকে সবাই জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে কেন যান? মুস্তাফার উত্তর, ‘আর কোনো উপায় নেই। তাঁবুতে থাকলে মারা যাব ক্ষুধায়, রোগে, বোমায়। বাইরে গেলে মরতে পারি, আবার হয়তো বাচ্চাদের জন্য কিছু নিয়ে ফিরতেও পারি।’ মুস্তাফার পাঁচ সন্তান। বড় মেয়ে সাবার বয়স ১০। সবচেয়ে ছোট, যমজ দুই মেয়ে হুর আর নূরের বয়স তিন বছর। তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষুধায় কাঁদে। এটা সহ্য করতে পারি না। আমরা মৃত্যুর মাঝখানে জীবন খুঁজছি।’
সাহায্য সংস্থাগুলো আগেই সতর্ক করেছে, গাজার কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। জুন মাসে প্রকাশিত আইপিসি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরো গাজায় তীব্র খাদ্য সংকট চলছে এবং ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অনাহারের মুখে। অনেক শিশু অপুষ্টি আর পানিশূন্যতায় মারা যাচ্ছে। ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রম সীমিত হয়ে যাওয়া এবং জিএইচএফ-এর অনিরাপদ ও অপ্রতুল সহায়তা মানুষকে খাবারের জন্য জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
গত ২৭ মে থেকে চালু হওয়া মার্কিন-ইসরায়েলি উদ্যোগের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন নিখোঁজ বা নিহত বলে জানিয়েছে গাজার সরকার। এদের কেউ কেউ হয়তো বেওয়ারিশ কবরে শুয়ে আছেন কিংবা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।
মানবাধিকার আইনজীবী ও সংগঠনগুলোর মতে, সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এমন হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে সংঘাতরত পক্ষগুলোর বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং নির্বিচারে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক কার্যালয় জুনে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিক, সাহায্যকর্মী বা সাহায্য বিতরণকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা করা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’ কিন্তু শাআত বা খতিব পরিবারের মতো মানুষের জন্য এসব আইনি সংজ্ঞার খুব একটা মূল্য নেই। আসমাহান শুধু একটা আশা নিয়ে বেঁচে আছেন—তাঁর ছেলে আহমেদের নাম যেন হারিয়ে না যায়।
আসমাহান আরও বলেন, ‘ও শুধু আমাদের খাবার দিতে চেয়েছিল। ও কোনো ভুল করেনি। ওদের হাতে ওকে এমনভাবে মেরে ফেলা হলো যেন তার জীবনের কোনো মূল্যই নেই। দুনিয়াকে বলো, আমরা শুধু সংখ্যা নই। আমরা মানুষ, আর আমরা ক্ষুধায় মরছি।’

দক্ষিণ গাজার আল-নাসের হাসপাতালে নিজ ছেলে আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আসমাহান শাআত। শোকে, হতবাক হয়ে তাঁর গলা দিয়ে বেরিয়ে আসে হৃদয়বিদারক কান্না। চারপাশে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে তাঁর আর্তনাদ।
২৩ বছর বয়সী মৃত ছেলের মুখ, হাত আর পায়ে চুমু খেতে খেতে বিলাপ করতে থাকেন আসমাহান। তাঁর ৬ সন্তান আর আত্মীয়রা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি কাউকে কাছে ভিড়তে দেননি। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে আমার কাছে থাকতে দাও। আহমেদ আবার কথা বলবে। সে আমাকে বলেছিল, “মা, আমি মরব না। আমি রাফার সাহায্য কেন্দ্র থেকে তোমার জন্য কিছু নিয়ে আসব”।’
আল-মাওয়াসিতে নিজেদের শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে খাবারের খোঁজে বেরিয়েছিল আহমেদ। সে আর ফিরে আসেনি। আহমেদের সঙ্গে ছিল তাঁর চাচাতো ভাই মাজেন শাআত। মাজেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত রাফার সাহায্য বিতরণকেন্দ্রের কাছে ভিড়ের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে আহমেদের পেটে গুলি লাগে। সেদিন আরও অনেকেই নিহত ও আহত হয়।
গাজার সরকারি জনসংযোগ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে জিএইচএফ-এর সাহায্য বিতরণকেন্দ্রের আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে। যে কেন্দ্রগুলো মানুষের জন্য জীবন রক্ষাকারী হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোই এখন মৃত্যুকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলো জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘ কর্মকর্তারা এই বিতরণ পদ্ধতিকে সামরিকীকৃত, বিপজ্জনক এবং বেআইনি বলে সমালোচনা করেছেন। শুক্রবার ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনারা বলেছেন, তাদের নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমনকি কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও।
শোকাহত আসমাহানের ক্রোধে ফেটে পড়া স্বাভাবিক। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘খাবার আনতে গিয়ে কি কারও মরার কথা? এই বিশ্ব কোথায়, যারা নিজেদের মুক্ত বলে দাবি করে? আমাদের এই যন্ত্রণা আর কত দিন চলবে?’ ইসরায়েলের অবরোধ আর টানা ২১ মাসের বোমাবর্ষণ ও বাস্তুচ্যুতির ফলে গাজার ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মার্চের ২ তারিখ থেকে ইসরায়েল সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে, যার ফলে খুব অল্প পরিমাণ সাহায্যই ভেতরে প্রবেশ করতে পারছে।
আর-নাসের হাসপাতালের মর্গে যেখানে আহমেদের মরদেহ পড়ে ছিল, তার পাশেই স্বামী খলিল আল-খতিবের মরদেহ জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ২৫ বছরের শিরিন। দাঁড়ানোর শক্তিটুকুও নেই তাঁর। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলতে থাকেন, ‘খলিল, উঠো। তোমার ছেলে উবাইদা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি সকালে বলেছিলাম, ‘‘তোমার বাবা, একটু পরেই ফিরে আসবে। ” আমাদের খাবার লাগবে না, আমরা তোমাকে চাই (খলিল)।’
খলিলও আল-মাওয়াসি থেকে খাবারের খোঁজে বেরিয়েছিলেন। তাঁর শ্বশুর ইউসুফ আল-রুমাইলাত বলেন, খলিল খুব সাবধানে চলাফেরা করত। তিনি কখনো ভাবেননি যে, তাঁকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে। ইউসুফ বলেন, ‘সে খুব সহজ-সরল মানুষ ছিল। সবকিছুই যখন প্রাণঘাতী হয়ে গেছে, তখন সে নিরাপত্তার জন্য ভয় পেত। এই অবস্থায় সে তাঁর সন্তানদের জন্য কিছুই জোগাড় করতে পারত না। তার পাঁচ বছরের ছেলে উবাইদা যখন খাবার বা চাল চাইত, তখন সে কিছু দিতে পারত না। যুদ্ধ শুরুর কদিন পরই জন্ম নেওয়া ছোট সন্তানের জন্য দুধ জোগাড় করাও তার পক্ষে সম্ভব ছিল না।’
তীব্র ক্ষোভ নিয়ে ইউসুফ বলেন, ‘ওরা আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে। একজন পুরুষের জন্য সবচেয়ে কষ্টের হলো নিজের পরিবারের জন্য কিছু করতে না পারা। এখন এসব সাহায্য কেন্দ্র মৃত্যুকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এটা কোনো সাহায্য নয়, এটা গণহত্যা।’ তিনি বলেন, ‘নতুন এই মানবিক সহায়তার পদ্ধতির ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। আমরা এই রক্তমাখা সাহায্য চাই না। আমাদের আগের মতো জাতিসংঘের মাধ্যমে সাহায্য চাই। অন্তত সেসময় খাবার আনতে গিয়ে মরতে হতো না।’
ইসরায়েলের সমন্বয়ে চালু হওয়া জিএইচএফ প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ গাজায় খাবার পাঠানোর কথা থাকলেও এসব সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর মাধ্যমে যায় না। ইসরায়েল বারবার ইউএনআরডব্লিউএর বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তুললেও এর পক্ষে এখনো সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। সমালোচকদের মতে, এই পদ্ধতির কারণে পর্যাপ্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, তারা শুধু ‘হুমকির’ জবাব দিচ্ছে ও সাহায্যের পথ উন্মুক্ত রেখেছে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও বিভিন্ন প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র উঠে আসছে। রাফাহ থেকে বাস্তুচ্যুত মুস্তাফা নাবিল আবু ঈদ (৩১) ও তাঁর বন্ধু আবদুল্লাহ আবু ঘালি (৩৯) কিছু চাল, ডাল আর পাস্তা নিয়ে সাহায্য কেন্দ্র থেকে ফিরছিলেন।
মুস্তাফা পুরো বিষয়টিকে বর্ণনা করেন ‘মৃত্যুর যাত্রা’ বলে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয় ওই এলাকায়। তারপর অপেক্ষা করি—কখনো কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা—কখন ট্যাংক সরবে। ট্যাংক সরলেই খোলা ময়দান পেরিয়ে দৌড় দিই। জানি না খাবার নিয়ে ফিরতে পারব, না গুলিতে মরব।’
তাঁকে সবাই জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে কেন যান? মুস্তাফার উত্তর, ‘আর কোনো উপায় নেই। তাঁবুতে থাকলে মারা যাব ক্ষুধায়, রোগে, বোমায়। বাইরে গেলে মরতে পারি, আবার হয়তো বাচ্চাদের জন্য কিছু নিয়ে ফিরতেও পারি।’ মুস্তাফার পাঁচ সন্তান। বড় মেয়ে সাবার বয়স ১০। সবচেয়ে ছোট, যমজ দুই মেয়ে হুর আর নূরের বয়স তিন বছর। তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষুধায় কাঁদে। এটা সহ্য করতে পারি না। আমরা মৃত্যুর মাঝখানে জীবন খুঁজছি।’
সাহায্য সংস্থাগুলো আগেই সতর্ক করেছে, গাজার কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। জুন মাসে প্রকাশিত আইপিসি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরো গাজায় তীব্র খাদ্য সংকট চলছে এবং ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অনাহারের মুখে। অনেক শিশু অপুষ্টি আর পানিশূন্যতায় মারা যাচ্ছে। ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রম সীমিত হয়ে যাওয়া এবং জিএইচএফ-এর অনিরাপদ ও অপ্রতুল সহায়তা মানুষকে খাবারের জন্য জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
গত ২৭ মে থেকে চালু হওয়া মার্কিন-ইসরায়েলি উদ্যোগের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন নিখোঁজ বা নিহত বলে জানিয়েছে গাজার সরকার। এদের কেউ কেউ হয়তো বেওয়ারিশ কবরে শুয়ে আছেন কিংবা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।
মানবাধিকার আইনজীবী ও সংগঠনগুলোর মতে, সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এমন হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে সংঘাতরত পক্ষগুলোর বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং নির্বিচারে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক কার্যালয় জুনে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিক, সাহায্যকর্মী বা সাহায্য বিতরণকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা করা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’ কিন্তু শাআত বা খতিব পরিবারের মতো মানুষের জন্য এসব আইনি সংজ্ঞার খুব একটা মূল্য নেই। আসমাহান শুধু একটা আশা নিয়ে বেঁচে আছেন—তাঁর ছেলে আহমেদের নাম যেন হারিয়ে না যায়।
আসমাহান আরও বলেন, ‘ও শুধু আমাদের খাবার দিতে চেয়েছিল। ও কোনো ভুল করেনি। ওদের হাতে ওকে এমনভাবে মেরে ফেলা হলো যেন তার জীবনের কোনো মূল্যই নেই। দুনিয়াকে বলো, আমরা শুধু সংখ্যা নই। আমরা মানুষ, আর আমরা ক্ষুধায় মরছি।’

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

তাঁকে সবাই জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে কেন যান? মুস্তাফার উত্তর, ‘আর কোনো উপায় নেই। তাঁবুতে থাকলে মারা যাব ক্ষুধায়, রোগে, বোমায়। বাইরে গেলে মরতে পারি, আবার হয়তো বাচ্চাদের জন্য কিছু নিয়ে ফিরতেও পারি।’ মুস্তাফার পাঁচ সন্তান। বড় মেয়ে সাবার বয়স ১০। সবচেয়ে ছোট, যমজ দুই মেয়ে হুর আর নূরের বয়স তিন বছর। তিনি বলেন,
০৩ জুলাই ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

তাঁকে সবাই জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে কেন যান? মুস্তাফার উত্তর, ‘আর কোনো উপায় নেই। তাঁবুতে থাকলে মারা যাব ক্ষুধায়, রোগে, বোমায়। বাইরে গেলে মরতে পারি, আবার হয়তো বাচ্চাদের জন্য কিছু নিয়ে ফিরতেও পারি।’ মুস্তাফার পাঁচ সন্তান। বড় মেয়ে সাবার বয়স ১০। সবচেয়ে ছোট, যমজ দুই মেয়ে হুর আর নূরের বয়স তিন বছর। তিনি বলেন,
০৩ জুলাই ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাঁকে সবাই জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে কেন যান? মুস্তাফার উত্তর, ‘আর কোনো উপায় নেই। তাঁবুতে থাকলে মারা যাব ক্ষুধায়, রোগে, বোমায়। বাইরে গেলে মরতে পারি, আবার হয়তো বাচ্চাদের জন্য কিছু নিয়ে ফিরতেও পারি।’ মুস্তাফার পাঁচ সন্তান। বড় মেয়ে সাবার বয়স ১০। সবচেয়ে ছোট, যমজ দুই মেয়ে হুর আর নূরের বয়স তিন বছর। তিনি বলেন,
০৩ জুলাই ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

তাঁকে সবাই জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে কেন যান? মুস্তাফার উত্তর, ‘আর কোনো উপায় নেই। তাঁবুতে থাকলে মারা যাব ক্ষুধায়, রোগে, বোমায়। বাইরে গেলে মরতে পারি, আবার হয়তো বাচ্চাদের জন্য কিছু নিয়ে ফিরতেও পারি।’ মুস্তাফার পাঁচ সন্তান। বড় মেয়ে সাবার বয়স ১০। সবচেয়ে ছোট, যমজ দুই মেয়ে হুর আর নূরের বয়স তিন বছর। তিনি বলেন,
০৩ জুলাই ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে