Ajker Patrika

গাজার ১০ লাখ বাসিন্দাকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় সরাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, ১৫: ২৫
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার একটি অঞ্চল। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার একটি অঞ্চল। ছবি: এএফপি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজা উপত্যকা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে জানেন এমন পাঁচটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ট্রাম্প প্রশাসন এই পরিকল্পনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। প্রশাসন লিবিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে জানিয়েছেন দুজন প্রত্যক্ষদর্শী ও সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা। তাঁরা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র এক দশকের বেশি সময় আগে লিবিয়ার জব্দ করা কয়েক বিলিয়ন ডলারের তহবিল ছাড়তে পারে। তবে চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়নি। এই আলোচনা সম্পর্কে ইসরায়েলকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেই তিন সূত্র।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক মুখপাত্র এনবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘এই প্রতিবেদনের তথ্য অসত্য।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে এমন পরিকল্পনা অনুপযোগী। এমন কোনো পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়নি এবং এর কোনো অর্থ হয় না।’

এদিকে, এ বিষয়ে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় স্থানান্তরের কোনো আলোচনার বিষয়ে হামাস অবগত নয়। বাসেম নাইম এনবিসি নিউজের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তাদের মাতৃভূমিতে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত, মাতৃভূমির প্রতি অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে এবং তাদের জমি, তাদের মাতৃভূমি, তাদের পরিবার এবং তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য সবকিছু উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।’

হামাসের এই নেতা আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরাই একমাত্র পক্ষ, যাদের গাজাবাসীসহ ফিলিস্তিনিদের কী করা উচিত বা অনুচিত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ ইসরায়েল সরকারের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

লিবিয়া প্রায় ১৪ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক কোন্দলে জর্জরিত। দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশটিতে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার আছে। দেশের পশ্চিমাঞ্চল আবদুল হামিদ দিবেইবাহর নেতৃত্বাধীন এবং পূর্বে খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন। দুই পক্ষই সক্রিয় ও সহিংসভাবে একে অপরের এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে।

লিবিয়ায় গাজাবাসীকে স্থানান্তরে মার্কিন পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে দিবেইবাহর সরকারের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলে তারাও কোনো মন্তব্য করেনি।

গাজার কতজন ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছায় লিবিয়ায় যেতে রাজি হবেন, তা সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত প্রশ্ন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনিদের আর্থিক প্রণোদনা যেমন—বিনা মূল্যে আবাসন এমনকি বৃত্তি দেওয়ার কথা আলোচনা করেছেন বলে সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে এই স্থানান্তরের পরিকল্পনা কখন বা কীভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে তা অস্পষ্ট।

তবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, ১০ লাখ মানুষকে সেখানে পুনর্বাসনের চেষ্টায় সম্ভবত উল্লেখযোগ্য বাধা আসবে। এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হবে। ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে এর খরচ বহন করবে তা-ও স্পষ্ট নয়। অতীতে প্রশাসন বলেছিল, আরব দেশগুলো যুদ্ধের পর গাজা পুনর্গঠনে সহায়তা করবে, তবে তারা ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে স্থানান্তরে ট্রাম্পের ধারণার সমালোচনা করেছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন লিবিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত কিছু অভিবাসীকে পাঠানোর স্থান হিসেবে বিবেচনা করছে। তবে এ মাসে এক ফেডারেল বিচারক লিবিয়ায় অভিবাসীদের পাঠানোর ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন।

আশঙ্কার বিষয় হলো, ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় স্থানান্তর করা হলে তা ভঙ্গুর দেশটির ওপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়ার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭৩ লাখ ৬০ হাজার। আর্থিক দিক বিবেচনায়, জনসংখ্যার দিক থেকে লিবিয়ার ১০ লাখ অতিরিক্ত মানুষ গ্রহণ করা যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ গ্রহণের সমান হবে।

ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ার ঠিক কোথায় পুনর্বাসিত করা হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি বলে সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের আবাসনের বিকল্পগুলো খতিয়ে দেখছেন এবং গাজা থেকে লিবিয়ায় তাদের পরিবহনের প্রতিটি সম্ভাব্য পদ্ধতি—আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথ—বিবেচনা করা হচ্ছে বলে এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের একজন জানিয়েছেন। এই পদ্ধতিগুলোর সব কটিই জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুলও হবে।

এই পরিকল্পনা ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধ-পরবর্তী ‘গাজা দৃষ্টিভঙ্গির’ একটি অংশ। তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজার ‘মালিকানা’ নিয়ে এটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে গড়ে তুলবে। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ‘আমরা সেই অংশ দখল করব, এটি উন্নত করব এবং হাজার হাজার চাকরি সৃষ্টি করব এবং এটি এমন একটা কিছু হবে, যা নিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য গর্ব করতে পারবে।’

গাজা পুনর্গঠনে নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ট্রাম্প বলেছেন, সেখানকার ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে অন্য কোথাও পুনর্বাসিত করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসের বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি এখন গাজায় থাকতে পারবেন না এবং আমি মনে করি আমাদের অন্য একটি জায়গার প্রয়োজন। আমি মনে করি এটি এমন একটি জায়গা হওয়া উচিত, যা মানুষকে খুশি করবে।’

ট্রাম্প ‘একটি সুন্দর এলাকা খুঁজে বের করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, যেখানে মানুষকে স্থায়ীভাবে সুন্দর বাড়িতে পুনর্বাসিত করা যায় এবং যেখানে তারা সুখী হতে পারে এবং গুলিবিদ্ধ না হয়, নিহত না হয়, গাজায় যা ঘটছে তেমন ছুরিকাহত না হয়।’ তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না মানুষের গাজায় ফিরে যাওয়া উচিত।’

গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর না করে গাজা পুনর্গঠনে মিসরের একটি প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের লিবিয়া নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা এমন সময়ে এল, যখন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক কিছুটা তিক্ত হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের জন্য কেবল লিবিয়া নয়, বরং একাধিক স্থান বিবেচনা করেছে। এক ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আলোচনা সম্পর্কে পরিচিত এক সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা এবং এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের একজন এ তথ্য জানিয়েছেন। এক সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা ও আলোচনায় সরাসরি যুক্ত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর নতুন নেতৃত্বের অধীনে থাকা সিরিয়াও গাজায় থাকা ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের জন্য সম্ভাব্য স্থান হিসেবে আলোচনায় রয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের দিকে পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাম্প মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে এবং গত বুধবার দেশটির নতুন নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকও করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

জামায়াত-এনসিপির প্রার্থী হওয়ার চেয়ে লং স্ট্যান্ডিং পজিশন ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ: মাহফুজ আলম

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসরায়েল কেন প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসরায়েলের স্বীকৃতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে সোমালিল্যান্ড। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলের স্বীকৃতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে সোমালিল্যান্ড। ছবি: এএফপি

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।

এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

জামায়াত-এনসিপির প্রার্থী হওয়ার চেয়ে লং স্ট্যান্ডিং পজিশন ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ: মাহফুজ আলম

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৫ সালের সেরা সিইও কে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: দ্য ইকোনমিস্ট
ছবি: দ্য ইকোনমিস্ট

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।

তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।

এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।

তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

জামায়াত-এনসিপির প্রার্থী হওয়ার চেয়ে লং স্ট্যান্ডিং পজিশন ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ: মাহফুজ আলম

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এবার ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক—কী আছে সর্বশেষ ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সিএনএন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সিএনএন

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।

এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।

প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।

এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।

অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।

সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।

যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।

এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

জামায়াত-এনসিপির প্রার্থী হওয়ার চেয়ে লং স্ট্যান্ডিং পজিশন ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ: মাহফুজ আলম

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪০ শতাংশ জার্মান মনে করেন মার্জের সরকার টিকবে না

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ। ছবি: এএফপি
জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ। ছবি: এএফপি

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।

২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।

জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।

ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।

অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।

জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।

জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

জামায়াত-এনসিপির প্রার্থী হওয়ার চেয়ে লং স্ট্যান্ডিং পজিশন ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ: মাহফুজ আলম

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত