আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজা উপত্যকা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে জানেন এমন পাঁচটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন এই পরিকল্পনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। প্রশাসন লিবিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে জানিয়েছেন দুজন প্রত্যক্ষদর্শী ও সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা। তাঁরা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র এক দশকের বেশি সময় আগে লিবিয়ার জব্দ করা কয়েক বিলিয়ন ডলারের তহবিল ছাড়তে পারে। তবে চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়নি। এই আলোচনা সম্পর্কে ইসরায়েলকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেই তিন সূত্র।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক মুখপাত্র এনবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘এই প্রতিবেদনের তথ্য অসত্য।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে এমন পরিকল্পনা অনুপযোগী। এমন কোনো পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়নি এবং এর কোনো অর্থ হয় না।’
এদিকে, এ বিষয়ে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় স্থানান্তরের কোনো আলোচনার বিষয়ে হামাস অবগত নয়। বাসেম নাইম এনবিসি নিউজের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তাদের মাতৃভূমিতে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত, মাতৃভূমির প্রতি অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে এবং তাদের জমি, তাদের মাতৃভূমি, তাদের পরিবার এবং তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য সবকিছু উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।’
হামাসের এই নেতা আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরাই একমাত্র পক্ষ, যাদের গাজাবাসীসহ ফিলিস্তিনিদের কী করা উচিত বা অনুচিত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ ইসরায়েল সরকারের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
লিবিয়া প্রায় ১৪ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক কোন্দলে জর্জরিত। দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশটিতে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার আছে। দেশের পশ্চিমাঞ্চল আবদুল হামিদ দিবেইবাহর নেতৃত্বাধীন এবং পূর্বে খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন। দুই পক্ষই সক্রিয় ও সহিংসভাবে একে অপরের এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে।
লিবিয়ায় গাজাবাসীকে স্থানান্তরে মার্কিন পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে দিবেইবাহর সরকারের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলে তারাও কোনো মন্তব্য করেনি।
গাজার কতজন ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছায় লিবিয়ায় যেতে রাজি হবেন, তা সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত প্রশ্ন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনিদের আর্থিক প্রণোদনা যেমন—বিনা মূল্যে আবাসন এমনকি বৃত্তি দেওয়ার কথা আলোচনা করেছেন বলে সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে এই স্থানান্তরের পরিকল্পনা কখন বা কীভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে তা অস্পষ্ট।
তবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, ১০ লাখ মানুষকে সেখানে পুনর্বাসনের চেষ্টায় সম্ভবত উল্লেখযোগ্য বাধা আসবে। এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হবে। ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে এর খরচ বহন করবে তা-ও স্পষ্ট নয়। অতীতে প্রশাসন বলেছিল, আরব দেশগুলো যুদ্ধের পর গাজা পুনর্গঠনে সহায়তা করবে, তবে তারা ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে স্থানান্তরে ট্রাম্পের ধারণার সমালোচনা করেছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন লিবিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত কিছু অভিবাসীকে পাঠানোর স্থান হিসেবে বিবেচনা করছে। তবে এ মাসে এক ফেডারেল বিচারক লিবিয়ায় অভিবাসীদের পাঠানোর ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন।
আশঙ্কার বিষয় হলো, ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় স্থানান্তর করা হলে তা ভঙ্গুর দেশটির ওপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়ার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭৩ লাখ ৬০ হাজার। আর্থিক দিক বিবেচনায়, জনসংখ্যার দিক থেকে লিবিয়ার ১০ লাখ অতিরিক্ত মানুষ গ্রহণ করা যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ গ্রহণের সমান হবে।
ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ার ঠিক কোথায় পুনর্বাসিত করা হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি বলে সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের আবাসনের বিকল্পগুলো খতিয়ে দেখছেন এবং গাজা থেকে লিবিয়ায় তাদের পরিবহনের প্রতিটি সম্ভাব্য পদ্ধতি—আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথ—বিবেচনা করা হচ্ছে বলে এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের একজন জানিয়েছেন। এই পদ্ধতিগুলোর সব কটিই জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুলও হবে।
এই পরিকল্পনা ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধ-পরবর্তী ‘গাজা দৃষ্টিভঙ্গির’ একটি অংশ। তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজার ‘মালিকানা’ নিয়ে এটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে গড়ে তুলবে। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ‘আমরা সেই অংশ দখল করব, এটি উন্নত করব এবং হাজার হাজার চাকরি সৃষ্টি করব এবং এটি এমন একটা কিছু হবে, যা নিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য গর্ব করতে পারবে।’
গাজা পুনর্গঠনে নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ট্রাম্প বলেছেন, সেখানকার ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে অন্য কোথাও পুনর্বাসিত করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসের বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি এখন গাজায় থাকতে পারবেন না এবং আমি মনে করি আমাদের অন্য একটি জায়গার প্রয়োজন। আমি মনে করি এটি এমন একটি জায়গা হওয়া উচিত, যা মানুষকে খুশি করবে।’
ট্রাম্প ‘একটি সুন্দর এলাকা খুঁজে বের করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, যেখানে মানুষকে স্থায়ীভাবে সুন্দর বাড়িতে পুনর্বাসিত করা যায় এবং যেখানে তারা সুখী হতে পারে এবং গুলিবিদ্ধ না হয়, নিহত না হয়, গাজায় যা ঘটছে তেমন ছুরিকাহত না হয়।’ তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না মানুষের গাজায় ফিরে যাওয়া উচিত।’
গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর না করে গাজা পুনর্গঠনে মিসরের একটি প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের লিবিয়া নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা এমন সময়ে এল, যখন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক কিছুটা তিক্ত হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের জন্য কেবল লিবিয়া নয়, বরং একাধিক স্থান বিবেচনা করেছে। এক ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আলোচনা সম্পর্কে পরিচিত এক সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা এবং এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের একজন এ তথ্য জানিয়েছেন। এক সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা ও আলোচনায় সরাসরি যুক্ত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর নতুন নেতৃত্বের অধীনে থাকা সিরিয়াও গাজায় থাকা ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের জন্য সম্ভাব্য স্থান হিসেবে আলোচনায় রয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের দিকে পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাম্প মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে এবং গত বুধবার দেশটির নতুন নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকও করেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজা উপত্যকা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে জানেন এমন পাঁচটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন এই পরিকল্পনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। প্রশাসন লিবিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে জানিয়েছেন দুজন প্রত্যক্ষদর্শী ও সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা। তাঁরা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র এক দশকের বেশি সময় আগে লিবিয়ার জব্দ করা কয়েক বিলিয়ন ডলারের তহবিল ছাড়তে পারে। তবে চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়নি। এই আলোচনা সম্পর্কে ইসরায়েলকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেই তিন সূত্র।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক মুখপাত্র এনবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘এই প্রতিবেদনের তথ্য অসত্য।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে এমন পরিকল্পনা অনুপযোগী। এমন কোনো পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়নি এবং এর কোনো অর্থ হয় না।’
এদিকে, এ বিষয়ে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় স্থানান্তরের কোনো আলোচনার বিষয়ে হামাস অবগত নয়। বাসেম নাইম এনবিসি নিউজের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তাদের মাতৃভূমিতে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত, মাতৃভূমির প্রতি অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে এবং তাদের জমি, তাদের মাতৃভূমি, তাদের পরিবার এবং তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য সবকিছু উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।’
হামাসের এই নেতা আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরাই একমাত্র পক্ষ, যাদের গাজাবাসীসহ ফিলিস্তিনিদের কী করা উচিত বা অনুচিত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ ইসরায়েল সরকারের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
লিবিয়া প্রায় ১৪ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক কোন্দলে জর্জরিত। দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশটিতে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার আছে। দেশের পশ্চিমাঞ্চল আবদুল হামিদ দিবেইবাহর নেতৃত্বাধীন এবং পূর্বে খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন। দুই পক্ষই সক্রিয় ও সহিংসভাবে একে অপরের এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে।
লিবিয়ায় গাজাবাসীকে স্থানান্তরে মার্কিন পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে দিবেইবাহর সরকারের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলে তারাও কোনো মন্তব্য করেনি।
গাজার কতজন ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছায় লিবিয়ায় যেতে রাজি হবেন, তা সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত প্রশ্ন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনিদের আর্থিক প্রণোদনা যেমন—বিনা মূল্যে আবাসন এমনকি বৃত্তি দেওয়ার কথা আলোচনা করেছেন বলে সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে এই স্থানান্তরের পরিকল্পনা কখন বা কীভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে তা অস্পষ্ট।
তবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, ১০ লাখ মানুষকে সেখানে পুনর্বাসনের চেষ্টায় সম্ভবত উল্লেখযোগ্য বাধা আসবে। এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হবে। ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে এর খরচ বহন করবে তা-ও স্পষ্ট নয়। অতীতে প্রশাসন বলেছিল, আরব দেশগুলো যুদ্ধের পর গাজা পুনর্গঠনে সহায়তা করবে, তবে তারা ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে স্থানান্তরে ট্রাম্পের ধারণার সমালোচনা করেছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন লিবিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত কিছু অভিবাসীকে পাঠানোর স্থান হিসেবে বিবেচনা করছে। তবে এ মাসে এক ফেডারেল বিচারক লিবিয়ায় অভিবাসীদের পাঠানোর ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন।
আশঙ্কার বিষয় হলো, ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় স্থানান্তর করা হলে তা ভঙ্গুর দেশটির ওপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়ার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭৩ লাখ ৬০ হাজার। আর্থিক দিক বিবেচনায়, জনসংখ্যার দিক থেকে লিবিয়ার ১০ লাখ অতিরিক্ত মানুষ গ্রহণ করা যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ গ্রহণের সমান হবে।
ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ার ঠিক কোথায় পুনর্বাসিত করা হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি বলে সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের আবাসনের বিকল্পগুলো খতিয়ে দেখছেন এবং গাজা থেকে লিবিয়ায় তাদের পরিবহনের প্রতিটি সম্ভাব্য পদ্ধতি—আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথ—বিবেচনা করা হচ্ছে বলে এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের একজন জানিয়েছেন। এই পদ্ধতিগুলোর সব কটিই জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুলও হবে।
এই পরিকল্পনা ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধ-পরবর্তী ‘গাজা দৃষ্টিভঙ্গির’ একটি অংশ। তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজার ‘মালিকানা’ নিয়ে এটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে গড়ে তুলবে। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ‘আমরা সেই অংশ দখল করব, এটি উন্নত করব এবং হাজার হাজার চাকরি সৃষ্টি করব এবং এটি এমন একটা কিছু হবে, যা নিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য গর্ব করতে পারবে।’
গাজা পুনর্গঠনে নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ট্রাম্প বলেছেন, সেখানকার ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে অন্য কোথাও পুনর্বাসিত করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসের বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি এখন গাজায় থাকতে পারবেন না এবং আমি মনে করি আমাদের অন্য একটি জায়গার প্রয়োজন। আমি মনে করি এটি এমন একটি জায়গা হওয়া উচিত, যা মানুষকে খুশি করবে।’
ট্রাম্প ‘একটি সুন্দর এলাকা খুঁজে বের করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, যেখানে মানুষকে স্থায়ীভাবে সুন্দর বাড়িতে পুনর্বাসিত করা যায় এবং যেখানে তারা সুখী হতে পারে এবং গুলিবিদ্ধ না হয়, নিহত না হয়, গাজায় যা ঘটছে তেমন ছুরিকাহত না হয়।’ তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না মানুষের গাজায় ফিরে যাওয়া উচিত।’
গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর না করে গাজা পুনর্গঠনে মিসরের একটি প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের লিবিয়া নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা এমন সময়ে এল, যখন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক কিছুটা তিক্ত হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের জন্য কেবল লিবিয়া নয়, বরং একাধিক স্থান বিবেচনা করেছে। এক ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আলোচনা সম্পর্কে পরিচিত এক সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা এবং এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের একজন এ তথ্য জানিয়েছেন। এক সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা ও আলোচনায় সরাসরি যুক্ত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর নতুন নেতৃত্বের অধীনে থাকা সিরিয়াও গাজায় থাকা ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের জন্য সম্ভাব্য স্থান হিসেবে আলোচনায় রয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের দিকে পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাম্প মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে এবং গত বুধবার দেশটির নতুন নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকও করেছেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
২ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজা উপত্যকা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এই বিষয়ে জানেন এমন পাঁচটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
১৭ মে ২০২৫
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
২ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজা উপত্যকা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এই বিষয়ে জানেন এমন পাঁচটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
১৭ মে ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
২ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজা উপত্যকা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এই বিষয়ে জানেন এমন পাঁচটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
১৭ মে ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজা উপত্যকা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এই বিষয়ে জানেন এমন পাঁচটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
১৭ মে ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
২ ঘণ্টা আগে