
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। তা আছে দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের। দৃশ্যত এ কারণেই নেতানিয়াহু শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে এ সংঘাতে সরাসরি জড়ানোর চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কি কূটনীতির পথ বেছে নেবেন, নাকি ইসরায়েলের উসকানিতে বাংকার বাস্টার বোমা জোগাবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্র কোম শহরের অদূরে অবস্থিত ফোরদোয়। এখানে পাথুরে মাটির অনেক নিচে আর কংক্রিটের পুরু আবরণের নিরাপত্তায় পরমাণু কর্মসূচি চলছে। তা ধ্বংস করার ক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাংকার বাস্টার’ বোমারই রয়েছে। তার কেতাবি নাম ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর’ বা ‘জিবিইউ-৫৭’। এই বোমা ফেলতেও ব্যবহার করতে হবে বিশেষ ধরনের বি-২ বোমারু বিমান, যা ইসরায়েলের নেই।। ট্রাম্প যদি বাংকার বাস্টারের পথই বেছে নেন, তাহলে তাঁর দেশ মধ্যপ্রাচ্যের নতুন এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়বে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি আর ইরাক বা আফগানিস্তানের মতো কোনো বিদেশি সংঘাতে জড়াবেন না।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, ট্রাম্প তাঁর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকেও বৈঠকে যোগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গত সোমবার তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ‘তেহরানের সব বাসিন্দাকে অবিলম্বে সরে যেতে’ বলেন। ট্রাম্পের এই পোস্ট আভাস দিচ্ছে, নেপথ্যে বিশেষ কূটনৈতিক কোনো অগ্রগতি এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি।
সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস জানায়, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির কারণে কানাডায় চলমান জি৭ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই দেশে ফিরছেন প্রেসিডেন্ট। সে সময় ট্রাম্প বলেন, ‘এখান থেকে বিদায় নিয়েই আমরা কিছু একটা করতে চলেছি। আমাকে যেতে হবে।’ তবে ট্রাম্প ঠিক কী করবেন, তা গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।
এদিকে সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে আভাস দিয়েছেন, তাঁরা আলোচনায় বসতে এবং চুক্তি করতে প্রস্তুত। আরাগচি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর মতো ব্যক্তিকে থামাতে ওয়াশিংটন থেকে একটা ফোনকলই যথেষ্ট। সেটা করলেই কেবল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পুনরায় শুরুর পথ খুলবে।’
কিন্তু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যদি ব্যর্থ হয় কিংবা ইরানের শাসকগোষ্ঠী যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোদমে বন্ধে রাজি না হয়, তাহলে কী ঘটবে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো তখন ইরানের ফোরদো এবং অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসে বোমারু বিমান ওড়ানোর কথা ভাববেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ থেকে জো বাইডেন পর্যন্ত টানা চার সরকারের মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়ে কাজ করেছেন ব্রেট ম্যাকগার্ক। তাঁর মতে, ‘ফোরদো সব সময়ই কঠিন এক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। ইসরায়েলের অভিযান যদি ফোরদোকে ঠেকাতে না পারে, তাহলে কোনো কৌশলগত অর্জন থাকবে না।’
মার্কিন সামরিক বাহিনী ফোরদোর বিষয়টি মাথায় রেখেই দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রস্তুতিতে যেসব মহড়া হয়েছে তার সারমর্ম হলো, কেবল একটি বাংকার বাস্টার বোমা দিয়ে ফোরদো ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কয়েকটি বি২ বোমারু বিমান থেকে নিখুঁতভাবে একই জায়গায় একের পর এক বোমা ফেলতে হবে। অর্থাৎ আগের বোমার সৃষ্টি করা গর্তে পরের বোমাটি পড়ে আরও তা গভীরে ঢুকবে। আর এ অভিযানে মার্কিন পাইলট ও ক্রুদের সরাসরি অংশ নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিকল্পনায় এটাই ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই নেতানিয়াহু ‘ইসরায়েলের জন্য বিপদ আসন্ন’ দাবি করে ইরানে হামলার নির্দেশ দেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানীরা দ্রুত একটি বোমা বানানোর চেষ্টা করছেন ঠিকই। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা বড় কোনো সাফল্য পাননি। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ব্রেট ম্যাকগার্কের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ফোরদো যদি এবারের সংঘাতে টিকে যায়, তাহলে ইরান ঠিকই একদিন পারমাণবিক বোমার অধিকারী হবে। তবে তার আগে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক অবকাঠামোগুলো মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে।
ট্রাম্পের সামনে বোমা ছাড়াও আরেকটি বিকল্প রয়েছে। কিন্তু সেই বিকল্প কতটা সফল হবে, তা বলা কঠিন। ফোরদোর বিদ্যুৎ-সংযোগ কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সেন্ট্রিফিউজগুলো ধ্বংস করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, এরই মধ্যে সম্ভবত বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় নাতাঞ্জের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪ সালে বাংকার বাস্টার তৈরি শুরু করে। লক্ষ্য ছিল, তা দিয়ে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পাহাড়ে লুকানো সুরক্ষিত পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই বোমার প্রথম পরীক্ষা করা হয় এবং সামরিক বাহিনীতে এটি যুক্ত হয়। নেতানিয়াহু জর্জ বুশের সময় থেকেই তাঁদের বাংকার বাস্টার দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি সফল না হলেও চাপ এখন অনেক বেড়েছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জেরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জোয়াভ গালান্ট সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘কাজটা করতেই হবে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকেই করতে হবে।’ মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম গত রোববার সিবিএসকে বলেছেন, ‘কূটনীতি সফল না হলে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন, যাতে এই অভিযান শেষে ইরানে পরমাণু কর্মসূচির ছিটেফোঁটাও না থাকে। তার অর্থ যদি হয় বোমা (বাংকার বাস্টার) সরবরাহ করা, সেটাই করতে হবে।’
কিন্তু সব রিপাবলিকান লিন্ডসে গ্রাহামের সঙ্গে একমত নন। দলের যুদ্ধবিরোধী অংশটি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালে তার ফল ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো হতে পারে। অর্জনের বদলে তা বোঝা হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন গত শুক্রবার রিপাবলিকান পার্টির যুদ্ধবিরোধী এই অংশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে ত্যাগ করো, ওদের যুদ্ধ ওদেরই লড়তে দাও।’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। তা আছে দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের। দৃশ্যত এ কারণেই নেতানিয়াহু শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে এ সংঘাতে সরাসরি জড়ানোর চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কি কূটনীতির পথ বেছে নেবেন, নাকি ইসরায়েলের উসকানিতে বাংকার বাস্টার বোমা জোগাবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্র কোম শহরের অদূরে অবস্থিত ফোরদোয়। এখানে পাথুরে মাটির অনেক নিচে আর কংক্রিটের পুরু আবরণের নিরাপত্তায় পরমাণু কর্মসূচি চলছে। তা ধ্বংস করার ক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাংকার বাস্টার’ বোমারই রয়েছে। তার কেতাবি নাম ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর’ বা ‘জিবিইউ-৫৭’। এই বোমা ফেলতেও ব্যবহার করতে হবে বিশেষ ধরনের বি-২ বোমারু বিমান, যা ইসরায়েলের নেই।। ট্রাম্প যদি বাংকার বাস্টারের পথই বেছে নেন, তাহলে তাঁর দেশ মধ্যপ্রাচ্যের নতুন এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়বে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি আর ইরাক বা আফগানিস্তানের মতো কোনো বিদেশি সংঘাতে জড়াবেন না।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, ট্রাম্প তাঁর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকেও বৈঠকে যোগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গত সোমবার তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ‘তেহরানের সব বাসিন্দাকে অবিলম্বে সরে যেতে’ বলেন। ট্রাম্পের এই পোস্ট আভাস দিচ্ছে, নেপথ্যে বিশেষ কূটনৈতিক কোনো অগ্রগতি এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি।
সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস জানায়, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির কারণে কানাডায় চলমান জি৭ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই দেশে ফিরছেন প্রেসিডেন্ট। সে সময় ট্রাম্প বলেন, ‘এখান থেকে বিদায় নিয়েই আমরা কিছু একটা করতে চলেছি। আমাকে যেতে হবে।’ তবে ট্রাম্প ঠিক কী করবেন, তা গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।
এদিকে সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে আভাস দিয়েছেন, তাঁরা আলোচনায় বসতে এবং চুক্তি করতে প্রস্তুত। আরাগচি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর মতো ব্যক্তিকে থামাতে ওয়াশিংটন থেকে একটা ফোনকলই যথেষ্ট। সেটা করলেই কেবল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পুনরায় শুরুর পথ খুলবে।’
কিন্তু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যদি ব্যর্থ হয় কিংবা ইরানের শাসকগোষ্ঠী যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোদমে বন্ধে রাজি না হয়, তাহলে কী ঘটবে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো তখন ইরানের ফোরদো এবং অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসে বোমারু বিমান ওড়ানোর কথা ভাববেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ থেকে জো বাইডেন পর্যন্ত টানা চার সরকারের মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়ে কাজ করেছেন ব্রেট ম্যাকগার্ক। তাঁর মতে, ‘ফোরদো সব সময়ই কঠিন এক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। ইসরায়েলের অভিযান যদি ফোরদোকে ঠেকাতে না পারে, তাহলে কোনো কৌশলগত অর্জন থাকবে না।’
মার্কিন সামরিক বাহিনী ফোরদোর বিষয়টি মাথায় রেখেই দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রস্তুতিতে যেসব মহড়া হয়েছে তার সারমর্ম হলো, কেবল একটি বাংকার বাস্টার বোমা দিয়ে ফোরদো ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কয়েকটি বি২ বোমারু বিমান থেকে নিখুঁতভাবে একই জায়গায় একের পর এক বোমা ফেলতে হবে। অর্থাৎ আগের বোমার সৃষ্টি করা গর্তে পরের বোমাটি পড়ে আরও তা গভীরে ঢুকবে। আর এ অভিযানে মার্কিন পাইলট ও ক্রুদের সরাসরি অংশ নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিকল্পনায় এটাই ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই নেতানিয়াহু ‘ইসরায়েলের জন্য বিপদ আসন্ন’ দাবি করে ইরানে হামলার নির্দেশ দেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানীরা দ্রুত একটি বোমা বানানোর চেষ্টা করছেন ঠিকই। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা বড় কোনো সাফল্য পাননি। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ব্রেট ম্যাকগার্কের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ফোরদো যদি এবারের সংঘাতে টিকে যায়, তাহলে ইরান ঠিকই একদিন পারমাণবিক বোমার অধিকারী হবে। তবে তার আগে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক অবকাঠামোগুলো মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে।
ট্রাম্পের সামনে বোমা ছাড়াও আরেকটি বিকল্প রয়েছে। কিন্তু সেই বিকল্প কতটা সফল হবে, তা বলা কঠিন। ফোরদোর বিদ্যুৎ-সংযোগ কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সেন্ট্রিফিউজগুলো ধ্বংস করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, এরই মধ্যে সম্ভবত বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় নাতাঞ্জের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪ সালে বাংকার বাস্টার তৈরি শুরু করে। লক্ষ্য ছিল, তা দিয়ে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পাহাড়ে লুকানো সুরক্ষিত পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই বোমার প্রথম পরীক্ষা করা হয় এবং সামরিক বাহিনীতে এটি যুক্ত হয়। নেতানিয়াহু জর্জ বুশের সময় থেকেই তাঁদের বাংকার বাস্টার দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি সফল না হলেও চাপ এখন অনেক বেড়েছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জেরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জোয়াভ গালান্ট সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘কাজটা করতেই হবে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকেই করতে হবে।’ মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম গত রোববার সিবিএসকে বলেছেন, ‘কূটনীতি সফল না হলে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন, যাতে এই অভিযান শেষে ইরানে পরমাণু কর্মসূচির ছিটেফোঁটাও না থাকে। তার অর্থ যদি হয় বোমা (বাংকার বাস্টার) সরবরাহ করা, সেটাই করতে হবে।’
কিন্তু সব রিপাবলিকান লিন্ডসে গ্রাহামের সঙ্গে একমত নন। দলের যুদ্ধবিরোধী অংশটি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালে তার ফল ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো হতে পারে। অর্জনের বদলে তা বোঝা হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন গত শুক্রবার রিপাবলিকান পার্টির যুদ্ধবিরোধী এই অংশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে ত্যাগ করো, ওদের যুদ্ধ ওদেরই লড়তে দাও।’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। তা আছে দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের। দৃশ্যত এ কারণেই নেতানিয়াহু শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে এ সংঘাতে সরাসরি জড়ানোর চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কি কূটনীতির পথ বেছে নেবেন, নাকি ইসরায়েলের উসকানিতে বাংকার বাস্টার বোমা জোগাবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্র কোম শহরের অদূরে অবস্থিত ফোরদোয়। এখানে পাথুরে মাটির অনেক নিচে আর কংক্রিটের পুরু আবরণের নিরাপত্তায় পরমাণু কর্মসূচি চলছে। তা ধ্বংস করার ক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাংকার বাস্টার’ বোমারই রয়েছে। তার কেতাবি নাম ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর’ বা ‘জিবিইউ-৫৭’। এই বোমা ফেলতেও ব্যবহার করতে হবে বিশেষ ধরনের বি-২ বোমারু বিমান, যা ইসরায়েলের নেই।। ট্রাম্প যদি বাংকার বাস্টারের পথই বেছে নেন, তাহলে তাঁর দেশ মধ্যপ্রাচ্যের নতুন এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়বে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি আর ইরাক বা আফগানিস্তানের মতো কোনো বিদেশি সংঘাতে জড়াবেন না।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, ট্রাম্প তাঁর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকেও বৈঠকে যোগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গত সোমবার তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ‘তেহরানের সব বাসিন্দাকে অবিলম্বে সরে যেতে’ বলেন। ট্রাম্পের এই পোস্ট আভাস দিচ্ছে, নেপথ্যে বিশেষ কূটনৈতিক কোনো অগ্রগতি এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি।
সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস জানায়, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির কারণে কানাডায় চলমান জি৭ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই দেশে ফিরছেন প্রেসিডেন্ট। সে সময় ট্রাম্প বলেন, ‘এখান থেকে বিদায় নিয়েই আমরা কিছু একটা করতে চলেছি। আমাকে যেতে হবে।’ তবে ট্রাম্প ঠিক কী করবেন, তা গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।
এদিকে সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে আভাস দিয়েছেন, তাঁরা আলোচনায় বসতে এবং চুক্তি করতে প্রস্তুত। আরাগচি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর মতো ব্যক্তিকে থামাতে ওয়াশিংটন থেকে একটা ফোনকলই যথেষ্ট। সেটা করলেই কেবল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পুনরায় শুরুর পথ খুলবে।’
কিন্তু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যদি ব্যর্থ হয় কিংবা ইরানের শাসকগোষ্ঠী যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোদমে বন্ধে রাজি না হয়, তাহলে কী ঘটবে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো তখন ইরানের ফোরদো এবং অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসে বোমারু বিমান ওড়ানোর কথা ভাববেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ থেকে জো বাইডেন পর্যন্ত টানা চার সরকারের মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়ে কাজ করেছেন ব্রেট ম্যাকগার্ক। তাঁর মতে, ‘ফোরদো সব সময়ই কঠিন এক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। ইসরায়েলের অভিযান যদি ফোরদোকে ঠেকাতে না পারে, তাহলে কোনো কৌশলগত অর্জন থাকবে না।’
মার্কিন সামরিক বাহিনী ফোরদোর বিষয়টি মাথায় রেখেই দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রস্তুতিতে যেসব মহড়া হয়েছে তার সারমর্ম হলো, কেবল একটি বাংকার বাস্টার বোমা দিয়ে ফোরদো ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কয়েকটি বি২ বোমারু বিমান থেকে নিখুঁতভাবে একই জায়গায় একের পর এক বোমা ফেলতে হবে। অর্থাৎ আগের বোমার সৃষ্টি করা গর্তে পরের বোমাটি পড়ে আরও তা গভীরে ঢুকবে। আর এ অভিযানে মার্কিন পাইলট ও ক্রুদের সরাসরি অংশ নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিকল্পনায় এটাই ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই নেতানিয়াহু ‘ইসরায়েলের জন্য বিপদ আসন্ন’ দাবি করে ইরানে হামলার নির্দেশ দেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানীরা দ্রুত একটি বোমা বানানোর চেষ্টা করছেন ঠিকই। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা বড় কোনো সাফল্য পাননি। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ব্রেট ম্যাকগার্কের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ফোরদো যদি এবারের সংঘাতে টিকে যায়, তাহলে ইরান ঠিকই একদিন পারমাণবিক বোমার অধিকারী হবে। তবে তার আগে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক অবকাঠামোগুলো মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে।
ট্রাম্পের সামনে বোমা ছাড়াও আরেকটি বিকল্প রয়েছে। কিন্তু সেই বিকল্প কতটা সফল হবে, তা বলা কঠিন। ফোরদোর বিদ্যুৎ-সংযোগ কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সেন্ট্রিফিউজগুলো ধ্বংস করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, এরই মধ্যে সম্ভবত বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় নাতাঞ্জের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪ সালে বাংকার বাস্টার তৈরি শুরু করে। লক্ষ্য ছিল, তা দিয়ে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পাহাড়ে লুকানো সুরক্ষিত পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই বোমার প্রথম পরীক্ষা করা হয় এবং সামরিক বাহিনীতে এটি যুক্ত হয়। নেতানিয়াহু জর্জ বুশের সময় থেকেই তাঁদের বাংকার বাস্টার দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি সফল না হলেও চাপ এখন অনেক বেড়েছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জেরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জোয়াভ গালান্ট সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘কাজটা করতেই হবে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকেই করতে হবে।’ মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম গত রোববার সিবিএসকে বলেছেন, ‘কূটনীতি সফল না হলে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন, যাতে এই অভিযান শেষে ইরানে পরমাণু কর্মসূচির ছিটেফোঁটাও না থাকে। তার অর্থ যদি হয় বোমা (বাংকার বাস্টার) সরবরাহ করা, সেটাই করতে হবে।’
কিন্তু সব রিপাবলিকান লিন্ডসে গ্রাহামের সঙ্গে একমত নন। দলের যুদ্ধবিরোধী অংশটি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালে তার ফল ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো হতে পারে। অর্জনের বদলে তা বোঝা হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন গত শুক্রবার রিপাবলিকান পার্টির যুদ্ধবিরোধী এই অংশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে ত্যাগ করো, ওদের যুদ্ধ ওদেরই লড়তে দাও।’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। তা আছে দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের। দৃশ্যত এ কারণেই নেতানিয়াহু শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে এ সংঘাতে সরাসরি জড়ানোর চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কি কূটনীতির পথ বেছে নেবেন, নাকি ইসরায়েলের উসকানিতে বাংকার বাস্টার বোমা জোগাবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্র কোম শহরের অদূরে অবস্থিত ফোরদোয়। এখানে পাথুরে মাটির অনেক নিচে আর কংক্রিটের পুরু আবরণের নিরাপত্তায় পরমাণু কর্মসূচি চলছে। তা ধ্বংস করার ক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাংকার বাস্টার’ বোমারই রয়েছে। তার কেতাবি নাম ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর’ বা ‘জিবিইউ-৫৭’। এই বোমা ফেলতেও ব্যবহার করতে হবে বিশেষ ধরনের বি-২ বোমারু বিমান, যা ইসরায়েলের নেই।। ট্রাম্প যদি বাংকার বাস্টারের পথই বেছে নেন, তাহলে তাঁর দেশ মধ্যপ্রাচ্যের নতুন এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়বে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি আর ইরাক বা আফগানিস্তানের মতো কোনো বিদেশি সংঘাতে জড়াবেন না।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, ট্রাম্প তাঁর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকেও বৈঠকে যোগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গত সোমবার তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ‘তেহরানের সব বাসিন্দাকে অবিলম্বে সরে যেতে’ বলেন। ট্রাম্পের এই পোস্ট আভাস দিচ্ছে, নেপথ্যে বিশেষ কূটনৈতিক কোনো অগ্রগতি এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি।
সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস জানায়, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির কারণে কানাডায় চলমান জি৭ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই দেশে ফিরছেন প্রেসিডেন্ট। সে সময় ট্রাম্প বলেন, ‘এখান থেকে বিদায় নিয়েই আমরা কিছু একটা করতে চলেছি। আমাকে যেতে হবে।’ তবে ট্রাম্প ঠিক কী করবেন, তা গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।
এদিকে সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে আভাস দিয়েছেন, তাঁরা আলোচনায় বসতে এবং চুক্তি করতে প্রস্তুত। আরাগচি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর মতো ব্যক্তিকে থামাতে ওয়াশিংটন থেকে একটা ফোনকলই যথেষ্ট। সেটা করলেই কেবল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পুনরায় শুরুর পথ খুলবে।’
কিন্তু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যদি ব্যর্থ হয় কিংবা ইরানের শাসকগোষ্ঠী যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোদমে বন্ধে রাজি না হয়, তাহলে কী ঘটবে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো তখন ইরানের ফোরদো এবং অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসে বোমারু বিমান ওড়ানোর কথা ভাববেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ থেকে জো বাইডেন পর্যন্ত টানা চার সরকারের মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়ে কাজ করেছেন ব্রেট ম্যাকগার্ক। তাঁর মতে, ‘ফোরদো সব সময়ই কঠিন এক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। ইসরায়েলের অভিযান যদি ফোরদোকে ঠেকাতে না পারে, তাহলে কোনো কৌশলগত অর্জন থাকবে না।’
মার্কিন সামরিক বাহিনী ফোরদোর বিষয়টি মাথায় রেখেই দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রস্তুতিতে যেসব মহড়া হয়েছে তার সারমর্ম হলো, কেবল একটি বাংকার বাস্টার বোমা দিয়ে ফোরদো ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কয়েকটি বি২ বোমারু বিমান থেকে নিখুঁতভাবে একই জায়গায় একের পর এক বোমা ফেলতে হবে। অর্থাৎ আগের বোমার সৃষ্টি করা গর্তে পরের বোমাটি পড়ে আরও তা গভীরে ঢুকবে। আর এ অভিযানে মার্কিন পাইলট ও ক্রুদের সরাসরি অংশ নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিকল্পনায় এটাই ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই নেতানিয়াহু ‘ইসরায়েলের জন্য বিপদ আসন্ন’ দাবি করে ইরানে হামলার নির্দেশ দেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানীরা দ্রুত একটি বোমা বানানোর চেষ্টা করছেন ঠিকই। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা বড় কোনো সাফল্য পাননি। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ব্রেট ম্যাকগার্কের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ফোরদো যদি এবারের সংঘাতে টিকে যায়, তাহলে ইরান ঠিকই একদিন পারমাণবিক বোমার অধিকারী হবে। তবে তার আগে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক অবকাঠামোগুলো মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে।
ট্রাম্পের সামনে বোমা ছাড়াও আরেকটি বিকল্প রয়েছে। কিন্তু সেই বিকল্প কতটা সফল হবে, তা বলা কঠিন। ফোরদোর বিদ্যুৎ-সংযোগ কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সেন্ট্রিফিউজগুলো ধ্বংস করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, এরই মধ্যে সম্ভবত বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় নাতাঞ্জের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৪ সালে বাংকার বাস্টার তৈরি শুরু করে। লক্ষ্য ছিল, তা দিয়ে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পাহাড়ে লুকানো সুরক্ষিত পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই বোমার প্রথম পরীক্ষা করা হয় এবং সামরিক বাহিনীতে এটি যুক্ত হয়। নেতানিয়াহু জর্জ বুশের সময় থেকেই তাঁদের বাংকার বাস্টার দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি সফল না হলেও চাপ এখন অনেক বেড়েছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জেরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জোয়াভ গালান্ট সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘কাজটা করতেই হবে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকেই করতে হবে।’ মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম গত রোববার সিবিএসকে বলেছেন, ‘কূটনীতি সফল না হলে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন, যাতে এই অভিযান শেষে ইরানে পরমাণু কর্মসূচির ছিটেফোঁটাও না থাকে। তার অর্থ যদি হয় বোমা (বাংকার বাস্টার) সরবরাহ করা, সেটাই করতে হবে।’
কিন্তু সব রিপাবলিকান লিন্ডসে গ্রাহামের সঙ্গে একমত নন। দলের যুদ্ধবিরোধী অংশটি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালে তার ফল ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো হতে পারে। অর্জনের বদলে তা বোঝা হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন গত শুক্রবার রিপাবলিকান পার্টির যুদ্ধবিরোধী এই অংশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে ত্যাগ করো, ওদের যুদ্ধ ওদেরই লড়তে দাও।’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এই শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম
১ ঘণ্টা আগে
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলো ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এই শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম সফর। এই সম্মেলন এক সময় হচ্ছে যখন ভারত রুশ তেল কেনার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের মুখোমুখি।
আলোচনা শুরুর সময় মোদি পুতিনকে বলেন, ‘ভারত নিরপেক্ষ নয়—ভারতের একটি অবস্থান আছে, আর সেই অবস্থানটি হলো শান্তির পক্ষে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শান্তির জন্য নেওয়া সমস্ত প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি এবং শান্তির জন্য গ্রহণ করা প্রতিটি উদ্যোগের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াই।’
জবাবে পুতিন সংঘাত মেটানোর লক্ষ্যে মোদির মনোযোগ এবং প্রচেষ্টার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনে কী ঘটছে এবং এই সংকটের সম্ভাব্য শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে আমরা অন্যান্য কয়েকটি শরিক, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যৌথভাবে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছি—তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার সুযোগ আমরা পেয়েছি এবং আপনি আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছেন।’
পুতিনের এই সফর এমন এক সময়ে এল—যখন মস্কো ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে। ভারত রাশিয়ার অস্ত্রের প্রধান ক্রেতা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের সর্বোচ্চ ৬৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তাঁরা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারে বাড়াতে চান।
শুক্রবার পুতিনের সফরসূচি শুরু হয় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার মাধ্যমে, যেখানে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পুতিনকে স্বাগত জানাতে মুর্মুর সঙ্গে মোদিও উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে পুতিনকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর পুতিন রাজঘাটে গিয়ে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে মাল্যদান করেন।
বৃহস্পতিবার মোদি উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে বিমানবন্দরে হাজির হয়ে পুতিনকে আলিঙ্গন ও হাত মিলিয়ে স্বাগত জানান। পরে তিনি রুশ নেতাকে তাঁর বাসভবনে এক নৈশভোজে আপ্যায়ন করেন। দিল্লি থেকে আল–জাজিরার সাংবাদিক নেহা পুনিয়া মন্তব্য করেন, ‘অনেক আলিঙ্গন ও হাত মেলানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন নজর শুক্রবারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের দিকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই নেতা এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করবেন যে—রুশ নেতা একঘরে নন এবং পশ্চিমা দেশগুলির চাপ সত্ত্বেও ভারতের মতো দেশ তাঁকে স্বাগত জানায়।’
২০২৩ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ইউক্রেনীয় শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। ভারত আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয় এবং তার চুক্তি বা নিয়মের দ্বারা আবদ্ধও নয়। সেই কারণে পুতিন গ্রেপ্তারের ভয় ছাড়াই ভারতে সফর করতে পেরেছেন।
রুশ নেতা স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার রাত ৯টায় ভারত ছাড়বেন। রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে ২৫ বছর ধরে কৌশলগত শরিকানা রয়েছে, যা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুতিনের প্রথম বছর থেকেই শুরু। তবে, রাশিয়ার ২০২২ সালের আগ্রাসনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রাখার এই ভারসাম্যের কাজটি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। রুশ কার্যক্রমের কারণে নেতাদের বার্ষিক সফরের বহুদিনের প্রথা ব্যাহত হয়। তবে গত বছর মোদির রাশিয়া সফরের মাধ্যমে তা কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
যুদ্ধের মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলো যখন রুশ অপরিশোধিত তেলের ওপর তাদের নির্ভরতা কমাতে শুরু করে, ভারত তখন তার ক্রয় বাড়ায়। কিন্তু আগস্টে ট্রাম্প পুতিনকে যুদ্ধবিরতি মানতে চাপ দেওয়ার জন্য, ভারতের রুশ তেল কেনার শাস্তিস্বরূপ ভারতীয় পণ্যের ওপর পূর্বে আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করে দেন। তা সত্ত্বেও ভারত রুশ তেল কেনা চালিয়ে যায়।
তবে এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে—নভেম্বরে রুশ তেল কোম্পানি রোজনেফ্ট এবং ল্যুকওয়েলের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, সঙ্গে এই সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যকারী অন্য দেশের সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার হুমকি আসে। ভারতের মোট তেল আমদানির প্রায় ৬০ শতাংশ আসে এই দুটি কোম্পানি থেকে।
নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তাদের অন্যায়ভাবে নিশানা করা হচ্ছে। তারা উল্লেখ করে যে—পশ্চিমা দেশগুলোও যখন তাদের স্বার্থে প্রয়োজন হয়, তখন মস্কোর সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যায়। নয়াদিল্লি আসার আগে এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সাংবাদিকদের কাছে পুতিনও একইরকম যুক্তি দেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই তাদের নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এখনো আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে।’ তিনি আরও যোগ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যদি রুশ জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতেরও ‘একই সুবিধা’ পাওয়া উচিত।
পুতিন ভারতকে আরও রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মস্কো ভারতকে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এসইউ-৫৭ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আশা করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিতে এই শুক্রবারের বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন আগেই পুতিন মস্কোয় মার্কিন এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পর উভয় পক্ষই অগ্রগতির প্রশংসা করে, যদিও কোনো যুগান্তকারী সমাধান হয়নি। বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এই শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম সফর। এই সম্মেলন এক সময় হচ্ছে যখন ভারত রুশ তেল কেনার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের মুখোমুখি।
আলোচনা শুরুর সময় মোদি পুতিনকে বলেন, ‘ভারত নিরপেক্ষ নয়—ভারতের একটি অবস্থান আছে, আর সেই অবস্থানটি হলো শান্তির পক্ষে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শান্তির জন্য নেওয়া সমস্ত প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি এবং শান্তির জন্য গ্রহণ করা প্রতিটি উদ্যোগের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াই।’
জবাবে পুতিন সংঘাত মেটানোর লক্ষ্যে মোদির মনোযোগ এবং প্রচেষ্টার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনে কী ঘটছে এবং এই সংকটের সম্ভাব্য শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে আমরা অন্যান্য কয়েকটি শরিক, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যৌথভাবে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছি—তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার সুযোগ আমরা পেয়েছি এবং আপনি আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছেন।’
পুতিনের এই সফর এমন এক সময়ে এল—যখন মস্কো ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে। ভারত রাশিয়ার অস্ত্রের প্রধান ক্রেতা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের সর্বোচ্চ ৬৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তাঁরা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারে বাড়াতে চান।
শুক্রবার পুতিনের সফরসূচি শুরু হয় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার মাধ্যমে, যেখানে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পুতিনকে স্বাগত জানাতে মুর্মুর সঙ্গে মোদিও উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে পুতিনকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর পুতিন রাজঘাটে গিয়ে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে মাল্যদান করেন।
বৃহস্পতিবার মোদি উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে বিমানবন্দরে হাজির হয়ে পুতিনকে আলিঙ্গন ও হাত মিলিয়ে স্বাগত জানান। পরে তিনি রুশ নেতাকে তাঁর বাসভবনে এক নৈশভোজে আপ্যায়ন করেন। দিল্লি থেকে আল–জাজিরার সাংবাদিক নেহা পুনিয়া মন্তব্য করেন, ‘অনেক আলিঙ্গন ও হাত মেলানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন নজর শুক্রবারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের দিকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই নেতা এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করবেন যে—রুশ নেতা একঘরে নন এবং পশ্চিমা দেশগুলির চাপ সত্ত্বেও ভারতের মতো দেশ তাঁকে স্বাগত জানায়।’
২০২৩ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ইউক্রেনীয় শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। ভারত আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয় এবং তার চুক্তি বা নিয়মের দ্বারা আবদ্ধও নয়। সেই কারণে পুতিন গ্রেপ্তারের ভয় ছাড়াই ভারতে সফর করতে পেরেছেন।
রুশ নেতা স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার রাত ৯টায় ভারত ছাড়বেন। রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে ২৫ বছর ধরে কৌশলগত শরিকানা রয়েছে, যা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুতিনের প্রথম বছর থেকেই শুরু। তবে, রাশিয়ার ২০২২ সালের আগ্রাসনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রাখার এই ভারসাম্যের কাজটি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। রুশ কার্যক্রমের কারণে নেতাদের বার্ষিক সফরের বহুদিনের প্রথা ব্যাহত হয়। তবে গত বছর মোদির রাশিয়া সফরের মাধ্যমে তা কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
যুদ্ধের মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলো যখন রুশ অপরিশোধিত তেলের ওপর তাদের নির্ভরতা কমাতে শুরু করে, ভারত তখন তার ক্রয় বাড়ায়। কিন্তু আগস্টে ট্রাম্প পুতিনকে যুদ্ধবিরতি মানতে চাপ দেওয়ার জন্য, ভারতের রুশ তেল কেনার শাস্তিস্বরূপ ভারতীয় পণ্যের ওপর পূর্বে আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করে দেন। তা সত্ত্বেও ভারত রুশ তেল কেনা চালিয়ে যায়।
তবে এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে—নভেম্বরে রুশ তেল কোম্পানি রোজনেফ্ট এবং ল্যুকওয়েলের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, সঙ্গে এই সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যকারী অন্য দেশের সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার হুমকি আসে। ভারতের মোট তেল আমদানির প্রায় ৬০ শতাংশ আসে এই দুটি কোম্পানি থেকে।
নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তাদের অন্যায়ভাবে নিশানা করা হচ্ছে। তারা উল্লেখ করে যে—পশ্চিমা দেশগুলোও যখন তাদের স্বার্থে প্রয়োজন হয়, তখন মস্কোর সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যায়। নয়াদিল্লি আসার আগে এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সাংবাদিকদের কাছে পুতিনও একইরকম যুক্তি দেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই তাদের নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এখনো আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে।’ তিনি আরও যোগ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যদি রুশ জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতেরও ‘একই সুবিধা’ পাওয়া উচিত।
পুতিন ভারতকে আরও রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মস্কো ভারতকে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এসইউ-৫৭ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আশা করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিতে এই শুক্রবারের বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন আগেই পুতিন মস্কোয় মার্কিন এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পর উভয় পক্ষই অগ্রগতির প্রশংসা করে, যদিও কোনো যুগান্তকারী সমাধান হয়নি। বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা...
১৭ জুন ২০২৫
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলো ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন প্রকল্প নতুন গতি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের মার্কিন আপত্তি দূর হওয়ায় এই উদ্যোগ এখন এশিয়ার নিরাপত্তাকাঠামো পাল্টে দিতে পারে এবং পানির নিচে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে।
উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় বহুদিন ধরে পরমাণুচালিত সাবমেরিনের অভিজাত ক্লাবে যোগ দিতে চেয়েছে সিউল। ট্রাম্পের সম্মতি পাওয়ায় দুই দেশের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জ্বালানির প্রবেশাধিকার মিলেছে, যা এত দিন ছিল বড় বাধা।
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাবমেরিন ক্যাপ্টেন চোই ইল বলেন, সাবমেরিন অত্যন্ত কার্যকর আক্রমণাত্মক অস্ত্র। তাই এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা অনিবার্য।
সিউলের যুক্তি, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে থাকা হুমকি, বিশেষ করে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় পরমাণুচালিত সাবমেরিন অপরিহার্য।
দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বারবার বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না তারা।
গত বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে পাওয়া এই চুক্তিকে ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নমনীয়তা বাড়াবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারাও একই ধরনের সক্ষমতা বিকাশে মনোনিবেশ করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখায়, কিম জং-উন একটি তথাকথিত পরমাণুচালিত সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার কর্মসূচি কতটা এগিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু বিশ্লেষকের সন্দেহ, পিয়ংইয়ং হয়তো রাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে, তবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন প্রকল্প নতুন গতি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের মার্কিন আপত্তি দূর হওয়ায় এই উদ্যোগ এখন এশিয়ার নিরাপত্তাকাঠামো পাল্টে দিতে পারে এবং পানির নিচে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে।
উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় বহুদিন ধরে পরমাণুচালিত সাবমেরিনের অভিজাত ক্লাবে যোগ দিতে চেয়েছে সিউল। ট্রাম্পের সম্মতি পাওয়ায় দুই দেশের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জ্বালানির প্রবেশাধিকার মিলেছে, যা এত দিন ছিল বড় বাধা।
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাবমেরিন ক্যাপ্টেন চোই ইল বলেন, সাবমেরিন অত্যন্ত কার্যকর আক্রমণাত্মক অস্ত্র। তাই এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা অনিবার্য।
সিউলের যুক্তি, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে থাকা হুমকি, বিশেষ করে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় পরমাণুচালিত সাবমেরিন অপরিহার্য।
দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বারবার বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না তারা।
গত বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে পাওয়া এই চুক্তিকে ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নমনীয়তা বাড়াবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারাও একই ধরনের সক্ষমতা বিকাশে মনোনিবেশ করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখায়, কিম জং-উন একটি তথাকথিত পরমাণুচালিত সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার কর্মসূচি কতটা এগিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু বিশ্লেষকের সন্দেহ, পিয়ংইয়ং হয়তো রাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে, তবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা...
১৭ জুন ২০২৫
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এই শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম
১ ঘণ্টা আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলো ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী যখন খেলায় মত্ত, তখন তিনি বন্দী ছিলেন অন্ধকারে। ছয় বছর বয়সে ঘরবন্দী হওয়া লিসা ২০ বছর পর সেই দরজা পেরিয়ে বাইরে এলেও আলো দেখার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন।
কিছু গল্প ক্ষতের মতো করে উন্মোচিত হয়। কিছু শৈশব যেন কোনোদিনই শুরু হয় না। লিসার জীবন তেমনই এক গল্প। নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়া এক শৈশবের, পরিস্থিতিতে মুছে যাওয়া এক শিশুর এবং এক নারীর।
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও ছিল শুধু অন্ধকার।
ছায়াই ছিল তাঁর পরিচয়। কথোপকথন বলতে ছিল শুধু দরজার নিচ দিয়ে ঠেলে দেওয়া থালাবাটির শব্দ। দুই দশক ধরে বন্দিদশার পর এখন তিনি নিজের নামে সাড়া দিতেও হিমশিম খান।
লিসার বন্দিত্ব শুরু হয়েছিল না লোহার শিক দিয়ে, না শিকল দিয়ে—শুরু হয়েছিল আতঙ্ক দিয়ে।
২০০০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। সেই কথায় আতঙ্ক এত গভীর হয়, তিনি নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন নীরবতায়। এরই মধ্যে মারা যান তাঁর মা। কৃষক বাবা হয়ে পড়েন দুর্বল ও আতঙ্কিত। কোনো সহায়তা নেই, নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই, কারও কাছে ভরসা চাওয়ার নেই। তাই তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নেন, যা মেয়ের জীবনের পরবর্তী ২০ বছর নির্ধারণ করে দেয়।
তিনি মেয়েকে মাটির ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বলেন, অন্ধকারই তাঁকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে। জানালাবিহীন একটি ঘরই হয়ে ওঠে তাঁর পৃথিবী। না সূর্যের আলো। না কোনো কথা। না কোনো মানুষের স্পর্শ।
শুধু দরজায় রেখে যাওয়া এক প্লেট খাবার আর প্রতিদিন একটু একটু করে সংকুচিত হয়ে যাওয়া জীবনের প্রতিধ্বনি।
যে ব্যবস্থা তাঁকে রক্ষা করবে ভাবা হয়েছিল, তা-ই শেষমেশ তাঁকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে নেয়।
সমাজকল্যাণ দপ্তরের দল যখন কুঁড়েঘরে প্রবেশ করে, তারা দেখতে পায় এক নারীকে, যাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব।
চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক আলো থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে লিসার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাঁর মানসিক বিকাশও গুরুতরভাবে ব্যাহত হয়েছে। আচরণ বয়সের তুলনায় অনেক কম বয়সী শিশুর মতো। প্রতিটি শব্দে ভয় পান। যেকোনো স্পর্শে চমকে ওঠেন।
উদ্ধারের পর লিসাকে নিয়ে যাওয়া হয় জগদলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিস্তারিত পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, লিসার শৈশব থেমে যায় প্রবল ট্রমায় আর প্রাপ্তবয়স্ক জীবন গঠিত হয়েছে ইন্দ্রিয়ের বঞ্চনায়।
সমাজকল্যাণ দপ্তর পুরো ঘটনায় এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষ লিসার পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে—কেন তিনি ২০ বছর ধরে বন্দী ছিলেন এবং এই বন্দিত্ব আইনবহির্ভূত আটক হিসেবে বিবেচিত হবে কি না।
জেলার প্রশাসন কর্মকর্তারা বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে, লিসার বাবা কি ভয়ে ও অজ্ঞতার কারণে স্কুল, পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাননি?
লিসা বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের এক আশ্রমে আছেন, যেখানে সেবাকর্মী ও কাউন্সেলররা তাঁকে নতুন করে জীবন খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

পৃথিবী যখন খেলায় মত্ত, তখন তিনি বন্দী ছিলেন অন্ধকারে। ছয় বছর বয়সে ঘরবন্দী হওয়া লিসা ২০ বছর পর সেই দরজা পেরিয়ে বাইরে এলেও আলো দেখার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন।
কিছু গল্প ক্ষতের মতো করে উন্মোচিত হয়। কিছু শৈশব যেন কোনোদিনই শুরু হয় না। লিসার জীবন তেমনই এক গল্প। নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়া এক শৈশবের, পরিস্থিতিতে মুছে যাওয়া এক শিশুর এবং এক নারীর।
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও ছিল শুধু অন্ধকার।
ছায়াই ছিল তাঁর পরিচয়। কথোপকথন বলতে ছিল শুধু দরজার নিচ দিয়ে ঠেলে দেওয়া থালাবাটির শব্দ। দুই দশক ধরে বন্দিদশার পর এখন তিনি নিজের নামে সাড়া দিতেও হিমশিম খান।
লিসার বন্দিত্ব শুরু হয়েছিল না লোহার শিক দিয়ে, না শিকল দিয়ে—শুরু হয়েছিল আতঙ্ক দিয়ে।
২০০০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। সেই কথায় আতঙ্ক এত গভীর হয়, তিনি নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন নীরবতায়। এরই মধ্যে মারা যান তাঁর মা। কৃষক বাবা হয়ে পড়েন দুর্বল ও আতঙ্কিত। কোনো সহায়তা নেই, নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই, কারও কাছে ভরসা চাওয়ার নেই। তাই তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নেন, যা মেয়ের জীবনের পরবর্তী ২০ বছর নির্ধারণ করে দেয়।
তিনি মেয়েকে মাটির ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বলেন, অন্ধকারই তাঁকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে। জানালাবিহীন একটি ঘরই হয়ে ওঠে তাঁর পৃথিবী। না সূর্যের আলো। না কোনো কথা। না কোনো মানুষের স্পর্শ।
শুধু দরজায় রেখে যাওয়া এক প্লেট খাবার আর প্রতিদিন একটু একটু করে সংকুচিত হয়ে যাওয়া জীবনের প্রতিধ্বনি।
যে ব্যবস্থা তাঁকে রক্ষা করবে ভাবা হয়েছিল, তা-ই শেষমেশ তাঁকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে নেয়।
সমাজকল্যাণ দপ্তরের দল যখন কুঁড়েঘরে প্রবেশ করে, তারা দেখতে পায় এক নারীকে, যাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব।
চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক আলো থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে লিসার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাঁর মানসিক বিকাশও গুরুতরভাবে ব্যাহত হয়েছে। আচরণ বয়সের তুলনায় অনেক কম বয়সী শিশুর মতো। প্রতিটি শব্দে ভয় পান। যেকোনো স্পর্শে চমকে ওঠেন।
উদ্ধারের পর লিসাকে নিয়ে যাওয়া হয় জগদলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিস্তারিত পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, লিসার শৈশব থেমে যায় প্রবল ট্রমায় আর প্রাপ্তবয়স্ক জীবন গঠিত হয়েছে ইন্দ্রিয়ের বঞ্চনায়।
সমাজকল্যাণ দপ্তর পুরো ঘটনায় এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষ লিসার পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে—কেন তিনি ২০ বছর ধরে বন্দী ছিলেন এবং এই বন্দিত্ব আইনবহির্ভূত আটক হিসেবে বিবেচিত হবে কি না।
জেলার প্রশাসন কর্মকর্তারা বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে, লিসার বাবা কি ভয়ে ও অজ্ঞতার কারণে স্কুল, পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাননি?
লিসা বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের এক আশ্রমে আছেন, যেখানে সেবাকর্মী ও কাউন্সেলররা তাঁকে নতুন করে জীবন খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা...
১৭ জুন ২০২৫
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এই শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম
১ ঘণ্টা আগে
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলো ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলো ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সরেজমিনে দেখেছে, দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালে হাজার হাজার স্যুটকেস পড়ে রয়েছে। বহু যাত্রী মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েছেন আর কেউ কেউ ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এক যাত্রী ইন্ডিগোর এই ব্যর্থতাকে ‘মানসিক অত্যাচার’ বলে অভিহিত করে এনডিটিভিকে জানান, ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বিমান সংস্থাটির কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট জবাব পাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘আমি ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এখানে। প্রতিবার তাঁরা বলছেন—এক ঘণ্টা দেরি, দুই ঘণ্টা দেরি। আমরা একটা বিয়েতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমাদের মালপত্র পর্যন্ত হাতে নেই। ইন্ডিগোর কর্মীরা আমাদের কিছু বলছেন না। এই মুহূর্তে এটি সবচেয়ে খারাপ বিমান সংস্থা। আমি বুঝি না কেন তাঁরা নতুন যাত্রী নিচ্ছেন আর মালপত্র জমিয়ে রাখছেন।’
আরও এক যাত্রী জানালেন, তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘তারা বারবার ফ্লাইট পিছিয়ে দিচ্ছে। ইন্ডিগোর তরফ থেকে আমরা কোনো স্পষ্ট খবর পাচ্ছি না।’ আরও এক যাত্রী বলেন, ‘খুবই মানসিক চাপের বিষয় এটা। ১৪ ঘণ্টা ধরে আমি বিমানবন্দরে বসে আছি। খাবার বা অন্য কিছুর জন্য কোনো কুপন নেই। আমার কানেকটিং ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি করছেন, কিন্তু কর্মীরা কোনো স্পষ্ট জবাব দিচ্ছেন না। এমন জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কর্মীদের বিন্দুমাত্র প্রশিক্ষণ নেই।’
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বিমানবন্দরেও একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে। আটকা পড়া যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছিলেন। কারণ, তাঁদের কোনো খাবার বা থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। একদল যাত্রী প্রতিবাদস্বরূপ একটি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট পর্যন্ত আটকে দিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের এক যাত্রী বলেন, ‘আমার ফ্লাইট গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা ছিল। আমি আমার সহকর্মীকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছাই। আমাদের বলা হয়েছিল, ফ্লাইট সময়মতো চলবে। এখন আমরা এখানে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আছি। ইন্ডিগো আমাদের কোনো স্পষ্ট ধারণা দেয়নি। তারা শুধু বলে চলেছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য দেরি হচ্ছে। আমাদের কোনো স্পষ্ট খবর, খাবার বা পানি দেওয়া হয়নি। ইন্ডিগোর সাড়া একেবারেই যাচ্ছেতাই। এখানে বয়স্ক মানুষ আছেন, যাঁদের বিশেষ দায়বদ্ধতা আছে, তাঁদের জন্য কোনো সমাধান নেই। এটা খুবই হাস্যকর।’
গোয়া বিমানবন্দরে একদল যাত্রী হতাশায় ভেঙে পড়েন। এক ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁরা ইন্ডিগোর কর্মীদের লক্ষ্য করে চিৎকার করছেন। পরিস্থিতি সামলাতে বহু পুলিশ সদস্যকেও সেখানে দেখা যায়। চেন্নাই বিমানবন্দরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। সেখানে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) ইন্ডিগোর যাত্রীদের প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। বিশাখাপত্তম বিমানবন্দরে কমপক্ষে ৪৯টি বহির্গমন ও ৪৩টি ইনকামিং ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগোর এই পরিচালনগত ত্রুটি আজ চতুর্থ দিনের মতো চলছে। কুড়ি বছরের পুরোনো এই বিমান সংস্থাটি ক্রুসংকট, প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ একাধিক কারণে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার রেকর্ড তৈরি করেছে। এর মধ্যে মুম্বাই বিমানবন্দরে ১০৪টি, দিল্লি বিমানবন্দরে ২২৫টি, বেঙ্গালুরুতে ১০২টি এবং হায়দরাবাদে ৯২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ভূপাল বিমানবন্দরেও কমপক্ষে পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগো স্বীকার করেছে যে, তারা নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রুয়ের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে আন্দাজ করেছিল এবং পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল, যার ফলস্বরূপ শীতকালীন আবহাওয়া ও যানজটের সময়ে পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে। বিমান সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সময়সূচি স্বাভাবিক করার চেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর থেকে তারা আরও বিঘ্ন এড়াতে ফ্লাইট পরিচালন কমিয়ে দেবে।
অন্যদিকে, ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স কর্মীদের বলেছেন—পরিচালন স্বাভাবিক করা ও সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনা ‘সহজ লক্ষ্য হবে না’। বিমান সংস্থাটি গতকাল রাতে তাদের গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে নতুন করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘গত দুই দিন ধরে ইন্ডিগোর নেটওয়ার্ক ও পরিচালনব্যবস্থায় ব্যাপক বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের সব গ্রাহক ও শিল্প স্টেকহোল্ডারদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ তারা আরও যোগ করেছে, ‘ইন্ডিগো এই বিলম্বের প্রভাব কমাতে এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে ও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলো ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সরেজমিনে দেখেছে, দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালে হাজার হাজার স্যুটকেস পড়ে রয়েছে। বহু যাত্রী মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েছেন আর কেউ কেউ ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এক যাত্রী ইন্ডিগোর এই ব্যর্থতাকে ‘মানসিক অত্যাচার’ বলে অভিহিত করে এনডিটিভিকে জানান, ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বিমান সংস্থাটির কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট জবাব পাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘আমি ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এখানে। প্রতিবার তাঁরা বলছেন—এক ঘণ্টা দেরি, দুই ঘণ্টা দেরি। আমরা একটা বিয়েতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমাদের মালপত্র পর্যন্ত হাতে নেই। ইন্ডিগোর কর্মীরা আমাদের কিছু বলছেন না। এই মুহূর্তে এটি সবচেয়ে খারাপ বিমান সংস্থা। আমি বুঝি না কেন তাঁরা নতুন যাত্রী নিচ্ছেন আর মালপত্র জমিয়ে রাখছেন।’
আরও এক যাত্রী জানালেন, তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘তারা বারবার ফ্লাইট পিছিয়ে দিচ্ছে। ইন্ডিগোর তরফ থেকে আমরা কোনো স্পষ্ট খবর পাচ্ছি না।’ আরও এক যাত্রী বলেন, ‘খুবই মানসিক চাপের বিষয় এটা। ১৪ ঘণ্টা ধরে আমি বিমানবন্দরে বসে আছি। খাবার বা অন্য কিছুর জন্য কোনো কুপন নেই। আমার কানেকটিং ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি করছেন, কিন্তু কর্মীরা কোনো স্পষ্ট জবাব দিচ্ছেন না। এমন জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কর্মীদের বিন্দুমাত্র প্রশিক্ষণ নেই।’
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বিমানবন্দরেও একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে। আটকা পড়া যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছিলেন। কারণ, তাঁদের কোনো খাবার বা থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। একদল যাত্রী প্রতিবাদস্বরূপ একটি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট পর্যন্ত আটকে দিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের এক যাত্রী বলেন, ‘আমার ফ্লাইট গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা ছিল। আমি আমার সহকর্মীকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছাই। আমাদের বলা হয়েছিল, ফ্লাইট সময়মতো চলবে। এখন আমরা এখানে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আছি। ইন্ডিগো আমাদের কোনো স্পষ্ট ধারণা দেয়নি। তারা শুধু বলে চলেছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য দেরি হচ্ছে। আমাদের কোনো স্পষ্ট খবর, খাবার বা পানি দেওয়া হয়নি। ইন্ডিগোর সাড়া একেবারেই যাচ্ছেতাই। এখানে বয়স্ক মানুষ আছেন, যাঁদের বিশেষ দায়বদ্ধতা আছে, তাঁদের জন্য কোনো সমাধান নেই। এটা খুবই হাস্যকর।’
গোয়া বিমানবন্দরে একদল যাত্রী হতাশায় ভেঙে পড়েন। এক ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁরা ইন্ডিগোর কর্মীদের লক্ষ্য করে চিৎকার করছেন। পরিস্থিতি সামলাতে বহু পুলিশ সদস্যকেও সেখানে দেখা যায়। চেন্নাই বিমানবন্দরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। সেখানে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) ইন্ডিগোর যাত্রীদের প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। বিশাখাপত্তম বিমানবন্দরে কমপক্ষে ৪৯টি বহির্গমন ও ৪৩টি ইনকামিং ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগোর এই পরিচালনগত ত্রুটি আজ চতুর্থ দিনের মতো চলছে। কুড়ি বছরের পুরোনো এই বিমান সংস্থাটি ক্রুসংকট, প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ একাধিক কারণে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার রেকর্ড তৈরি করেছে। এর মধ্যে মুম্বাই বিমানবন্দরে ১০৪টি, দিল্লি বিমানবন্দরে ২২৫টি, বেঙ্গালুরুতে ১০২টি এবং হায়দরাবাদে ৯২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ভূপাল বিমানবন্দরেও কমপক্ষে পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগো স্বীকার করেছে যে, তারা নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রুয়ের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে আন্দাজ করেছিল এবং পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল, যার ফলস্বরূপ শীতকালীন আবহাওয়া ও যানজটের সময়ে পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে। বিমান সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সময়সূচি স্বাভাবিক করার চেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর থেকে তারা আরও বিঘ্ন এড়াতে ফ্লাইট পরিচালন কমিয়ে দেবে।
অন্যদিকে, ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স কর্মীদের বলেছেন—পরিচালন স্বাভাবিক করা ও সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনা ‘সহজ লক্ষ্য হবে না’। বিমান সংস্থাটি গতকাল রাতে তাদের গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে নতুন করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘গত দুই দিন ধরে ইন্ডিগোর নেটওয়ার্ক ও পরিচালনব্যবস্থায় ব্যাপক বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের সব গ্রাহক ও শিল্প স্টেকহোল্ডারদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ তারা আরও যোগ করেছে, ‘ইন্ডিগো এই বিলম্বের প্রভাব কমাতে এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে ও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরু করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাথুরে পাহাড়ের গহিনে লুকিয়ে থাকা ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের সক্ষমতা...
১৭ জুন ২০২৫
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু করেছেন। যেখানে বাণিজ্য এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এই শুক্রবারের এই সম্মেলন পুতিনের ভারতে প্রথম
১ ঘণ্টা আগে
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
৩ ঘণ্টা আগে