অনলাইন ডেস্ক
যুদ্ধ বন্ধের দাবি এবং হামাসকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে গাজায় বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ ফিলিস্তিনি। হামাসের বিরুদ্ধে তাঁদের স্লোগান দিতেও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতিবাদ খুবই বিরল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সূত্র ধরেই সংঘাতের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল।
বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতে সবচেয়ে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হলো গাজার উত্তর অংশ। সেখানে অধিকাংশ ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং বহু মানুষ বারবার তাদের আশ্রয় পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেইত লাহিয়ার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ভবনগুলোর মাঝ দিয়ে ধূলিমলিন রাস্তায় লোকজন মিছিল করছে এবং ‘বিদায় হামাস’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ‘এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ছিল। কারণ মানুষ ক্লান্ত এবং তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। অনেকেই হামাসের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে, যদিও সবাই নয়। মানুষ ক্লান্ত এবং তাদের দোষ দেওয়া উচিত নয়।’
সামাজিক মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতে এই ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ভবন, বিদ্যুৎ খুঁটি ও রাস্তার বিন্যাস দেখে ভিডিওটির অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে রয়টার্স। তবে ভিডিওটির নির্দিষ্ট তারিখ স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, ২৫ মার্চই ওই এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে।
অন্যান্য পোস্টে দেখা গেছে—একটি ব্যানারে লেখা আছে, ‘যুদ্ধ যথেষ্ট হয়েছে’ এবং লোকজন ‘আমরা যুদ্ধ চাই না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল।
এই বিষয়ে হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইম বলেছেন—জনগণ তাদের ভোগান্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার অধিকার রাখে। তবে তিনি অভিযোগ করেন, সন্দেহজনক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘পশ্চিম তীরে কী ঘটছে? তারা কেন সেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে পারছে না?’
ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযান শুরু হয়েছিল। হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন সেদিন এবং আরও ২৫১ জনকে অপহরণ করা হয়।
ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। এর ফলে গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কোনো সমঝোতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। হামাস ২০০৭ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ফাতাহ দলকে সরিয়ে গাজা শাসন শুরু করেছিল।
ফাতাহ এবং হামাস বহু বছর ধরে মতবিরোধে লিপ্ত এবং গাজার যুদ্ধোত্তর ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, গাজার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকতে হবে। অন্যদিকে, হামাস বলছে তারা সরাসরি সরকার পরিচালনা না করলেও, পরবর্তী প্রশাসন নির্বাচনে তাদের ভূমিকা থাকতে হবে।
যুদ্ধ বন্ধের দাবি এবং হামাসকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে গাজায় বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ ফিলিস্তিনি। হামাসের বিরুদ্ধে তাঁদের স্লোগান দিতেও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতিবাদ খুবই বিরল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সূত্র ধরেই সংঘাতের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল।
বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতে সবচেয়ে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হলো গাজার উত্তর অংশ। সেখানে অধিকাংশ ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং বহু মানুষ বারবার তাদের আশ্রয় পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেইত লাহিয়ার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ভবনগুলোর মাঝ দিয়ে ধূলিমলিন রাস্তায় লোকজন মিছিল করছে এবং ‘বিদায় হামাস’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ‘এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ছিল। কারণ মানুষ ক্লান্ত এবং তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। অনেকেই হামাসের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে, যদিও সবাই নয়। মানুষ ক্লান্ত এবং তাদের দোষ দেওয়া উচিত নয়।’
সামাজিক মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতে এই ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ভবন, বিদ্যুৎ খুঁটি ও রাস্তার বিন্যাস দেখে ভিডিওটির অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে রয়টার্স। তবে ভিডিওটির নির্দিষ্ট তারিখ স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, ২৫ মার্চই ওই এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে।
অন্যান্য পোস্টে দেখা গেছে—একটি ব্যানারে লেখা আছে, ‘যুদ্ধ যথেষ্ট হয়েছে’ এবং লোকজন ‘আমরা যুদ্ধ চাই না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল।
এই বিষয়ে হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইম বলেছেন—জনগণ তাদের ভোগান্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার অধিকার রাখে। তবে তিনি অভিযোগ করেন, সন্দেহজনক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘পশ্চিম তীরে কী ঘটছে? তারা কেন সেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে পারছে না?’
ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযান শুরু হয়েছিল। হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন সেদিন এবং আরও ২৫১ জনকে অপহরণ করা হয়।
ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। এর ফলে গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কোনো সমঝোতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। হামাস ২০০৭ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ফাতাহ দলকে সরিয়ে গাজা শাসন শুরু করেছিল।
ফাতাহ এবং হামাস বহু বছর ধরে মতবিরোধে লিপ্ত এবং গাজার যুদ্ধোত্তর ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, গাজার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকতে হবে। অন্যদিকে, হামাস বলছে তারা সরাসরি সরকার পরিচালনা না করলেও, পরবর্তী প্রশাসন নির্বাচনে তাদের ভূমিকা থাকতে হবে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১৩ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
১৫ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে