কলকাতা প্রতিনিধি

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় চলছে ভারতে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরোধী শিবিরের সব দলই কম বেশি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে দলবদল করে শাসক শিবিরে নাম লেখালেই সমস্ত অভিযোগ ধামাচাপা। তাই বেড়ে গিয়েছে দলবদলের হার। শাসক দলের ‘ওয়াশিং মেশিন’ ব্যস্ত দলবদলকারীদের গায়ে থাকা কালির দাগ তুলতে।
ভারতের একাধিক তদন্তকারী সংস্থার অতি সক্রিয়তায় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরের নেতাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। তাদের দাবি, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিও মোদির শাসনামলে কম্পমান! দিল্লি থেকে মুম্বাই, কলকাতা থেকে তিরুবন্তপুরম সর্বত্রই একই ছবি।
ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যস্ত বিরোধী শিবিরের নেতাদের দুর্নীতি প্রমাণে। অথচ, শাসক দল বা জোটের নেতারা বহাল তবিয়তে। তাঁদের টিকিটিও স্পর্শ করা হচ্ছে না। এমনকি, ‘বিরোধী শিবির ছেড়ে শাসক জোটে এলেও নাকি সাত খুন মাফ! বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সব পাপ ধুয়ে সাফ!’ —এমন কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে শাসক দলকে।
কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, তদন্তের নামে প্রকৃতপক্ষে করা হচ্ছে সরকারের সমালোচকদের। বিজেপির আমলে গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে। এসব নিয়ে দেশটির পার্লামেন্টেও আওয়াজ তুলেছেন বিরোধী এমপিরা। আর তাই বর্ষাকালীন অধিবেশন বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিদিন।
দিল্লিতে আম আদমি পার্টির বর্ষীয়ান নেতা ও মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক। মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি বন্দী হয়েছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। মন্ত্রী থাকাকালেই গ্রেপ্তার হন দুই এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ এবং নবাব মালিক। অনিল ছিলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও শাসক দল তৃণমূলের মহাসচিব শিল্পমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হন ইডির হাতে। কেরালার বামপন্থী মুখ্যমন্ত্রী পিলারাই বিজয়ননের মতো মানুষের বিরুদ্ধেও স্বর্ণ পাচারের অভিযোগকে মাঝেমধ্যেই খোঁচানো হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশ বা তামিলনাডুতেও সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে একই ছবি। গোটা দেশেই কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই বা ইডি বিরোধী দলের নেতাদেরই নিশানা করছে। অথচ শাসক দলের কাউকেই তাঁদের নজরে দেখা যাচ্ছে না।
এমনকি, এক সময়ে কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা ও মন্ত্রী এবং বর্তমানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বা সাবেক তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী এবং বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও নীরব সিবিআই-ইডি। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে আর্থিক অপরাধের একাধিক অভিযোগ। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে বন্ধ সিবিআই বা ইডির সক্রিয়তা। বিজেপিতে যোগদানের আগে হিমন্তের বিরুদ্ধে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে সোচ্চার ছিলেন বিজেপি নেতারা। তদন্তকারীরা তলব করেছিলেন তাঁর স্ত্রীকে। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে লুইস বার্গার কোম্পানি থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। এমনকি, হিমন্তের স্ত্রীর সংস্থা কোভিড মহামারির সময় অনেক বেশি টাকায় করোনা চিকিৎসার সামগ্রী সরবরাহ করেছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু এখন আর তিনি নেই গোয়েন্দাদের নজরে।
ঠিক তেমনি বিজেপি এক সময়ে ভিডিও ক্লিপিংস দেখিয়ে অভিযোগ করেছিল, শুভেন্দু নারদা গণমাধ্যমের স্টিং অপারেশন থেকে টাকা নিচ্ছেন। এই স্টিং অপারেশনে টাকা নিতে গিয়ে ধরা পড়ে তৃণমূলের অন্য নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হলেও রহস্যজনকভাবে ছাড় পান শুভেন্দু। বিজেপিতে যোগদানের কারণেই নাকি তাঁর সাত খুন মাপ! ওয়াশিং মেশিন বিজেপি?
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রয়েছে রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। কোভিড মোকাবিলায় পিএম কেয়ারস ফান্ড নিয়েও তিনি সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের সম্পদ বৃদ্ধিও বিরোধীদের কাছে শুধু আর্থিক অপরাধই নয়, বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ বা আসামে পুলিশের ভুয়া সংঘর্ষ বা হেফাজতে মৃত্যুর তদন্ত হচ্ছে না।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বহুবার মন্তব্য করেছেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই আসলে খাঁচায় বন্দী তোতাপাখি। তাদের স্ব–শাসনের কথা বলা হলেও তদন্ত চলে সরকারের মর্জিতেই। এখন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে শাসক দলের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়ছে।
মোদী সরকারের এমন ভূমিকা নিয়ে তুমুল হট্টগোল চলছে জাতীয় সংসদে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মতে, ‘বিজেপির ভূমিকা ওয়াশিং মেশিনের মতো। তাদের দলে যোগ দিলেই সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ সাফ হয়ে যায়। অন্যের দল ভাঙ্গাতেই বিজেপি তাদের ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করছে।’ কুণালের সাফ কথা, ‘বিরোধীদের দল বা সরকার ভাঙাতে ব্যবহৃত হচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।’
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা অনেক দিন ধরেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিজেপির শাখা সংগঠন বলে কটাক্ষ করে চলেছেন। বিজেপি অবশ্য এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের পাল্টা দাবি, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি হাতে নিয়েছে মোদী সরকার। তাই বিরোধীরা নাকি এখন দিশেহারা। আর কংগ্রেস ব্যস্ত গান্ধী পরিবারকে বাঁচাতে।’
এর আগে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ৫ দিনে ৫০ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। কংগ্রেস সভানেত্রী ৭৫ বছরের অসুস্থ সোনিয়া গান্ধীকেও দুবার হাজিরা দিতে হয়েছে ইডির দপ্তরে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার টাকা নয়ছয়ের। অথচ, সাবেক মন্ত্রী ও প্রবীণ নেতা পি চিদাম্বরমের মতে, ‘মোদী সরকারের আমলেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেতাদের ক্লিন চিট দেওয়া হয়।’ অথচ সংসদের অধিবেশন চলার সময় হাজিরা দিতে ডেকে পাঠানো হচ্ছে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। খাড়গের অভিযোগ, ‘সংসদীয় রীতিনীতির প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা নেই মোদী সরকারের।’ তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অতি সক্রিয়তা নিয়ে সংসদে আলোচনারও দাবি তোলেন।
কংগ্রেসসহ বিরোধীরা একাধিক মুলতবি প্রস্তাব জমা দিলেও সরকার আলোচনায় রাজি নয়। বিজেপির মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের পাল্টা দাবি, দুর্নীতি দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সরকার। তাই স্বশাসিত সংস্থাগুলি স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর পাল্টা অভিযোগ, কংগ্রেসের আমলেই বিরোধীদের ঘায়েল করতে ব্যবহৃত হতো আইনরক্ষকদের।
অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে কলঙ্কের প্রলেপ দিন দিন বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি পাল্টা আলকাতরা থিওরির কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় দৃশ্যতই বিরোধীরা দুর্নীতির জাঁতাকলে বিদ্ধ। রাহুল গান্ধী বা শারদ পাওয়াররা যাই বলেন না কেন, কেলেঙ্কারির বহর বেড়েই চলেছে। আর সেই কেলেঙ্কারির জাল থেকে অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুক্তও হচ্ছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তাই দল ভাঙানোর খেলায় বা বিরোধীদের ঘায়েল করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগও ক্রমশই সাধারণ মানুষের কাছে নেতাদের দুর্নীতির মতোই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে ভারতে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় চলছে ভারতে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরোধী শিবিরের সব দলই কম বেশি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে দলবদল করে শাসক শিবিরে নাম লেখালেই সমস্ত অভিযোগ ধামাচাপা। তাই বেড়ে গিয়েছে দলবদলের হার। শাসক দলের ‘ওয়াশিং মেশিন’ ব্যস্ত দলবদলকারীদের গায়ে থাকা কালির দাগ তুলতে।
ভারতের একাধিক তদন্তকারী সংস্থার অতি সক্রিয়তায় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরের নেতাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। তাদের দাবি, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিও মোদির শাসনামলে কম্পমান! দিল্লি থেকে মুম্বাই, কলকাতা থেকে তিরুবন্তপুরম সর্বত্রই একই ছবি।
ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যস্ত বিরোধী শিবিরের নেতাদের দুর্নীতি প্রমাণে। অথচ, শাসক দল বা জোটের নেতারা বহাল তবিয়তে। তাঁদের টিকিটিও স্পর্শ করা হচ্ছে না। এমনকি, ‘বিরোধী শিবির ছেড়ে শাসক জোটে এলেও নাকি সাত খুন মাফ! বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সব পাপ ধুয়ে সাফ!’ —এমন কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে শাসক দলকে।
কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, তদন্তের নামে প্রকৃতপক্ষে করা হচ্ছে সরকারের সমালোচকদের। বিজেপির আমলে গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে। এসব নিয়ে দেশটির পার্লামেন্টেও আওয়াজ তুলেছেন বিরোধী এমপিরা। আর তাই বর্ষাকালীন অধিবেশন বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিদিন।
দিল্লিতে আম আদমি পার্টির বর্ষীয়ান নেতা ও মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক। মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি বন্দী হয়েছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। মন্ত্রী থাকাকালেই গ্রেপ্তার হন দুই এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ এবং নবাব মালিক। অনিল ছিলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও শাসক দল তৃণমূলের মহাসচিব শিল্পমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হন ইডির হাতে। কেরালার বামপন্থী মুখ্যমন্ত্রী পিলারাই বিজয়ননের মতো মানুষের বিরুদ্ধেও স্বর্ণ পাচারের অভিযোগকে মাঝেমধ্যেই খোঁচানো হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশ বা তামিলনাডুতেও সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে একই ছবি। গোটা দেশেই কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই বা ইডি বিরোধী দলের নেতাদেরই নিশানা করছে। অথচ শাসক দলের কাউকেই তাঁদের নজরে দেখা যাচ্ছে না।
এমনকি, এক সময়ে কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা ও মন্ত্রী এবং বর্তমানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বা সাবেক তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী এবং বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও নীরব সিবিআই-ইডি। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে আর্থিক অপরাধের একাধিক অভিযোগ। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে বন্ধ সিবিআই বা ইডির সক্রিয়তা। বিজেপিতে যোগদানের আগে হিমন্তের বিরুদ্ধে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে সোচ্চার ছিলেন বিজেপি নেতারা। তদন্তকারীরা তলব করেছিলেন তাঁর স্ত্রীকে। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে লুইস বার্গার কোম্পানি থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। এমনকি, হিমন্তের স্ত্রীর সংস্থা কোভিড মহামারির সময় অনেক বেশি টাকায় করোনা চিকিৎসার সামগ্রী সরবরাহ করেছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু এখন আর তিনি নেই গোয়েন্দাদের নজরে।
ঠিক তেমনি বিজেপি এক সময়ে ভিডিও ক্লিপিংস দেখিয়ে অভিযোগ করেছিল, শুভেন্দু নারদা গণমাধ্যমের স্টিং অপারেশন থেকে টাকা নিচ্ছেন। এই স্টিং অপারেশনে টাকা নিতে গিয়ে ধরা পড়ে তৃণমূলের অন্য নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হলেও রহস্যজনকভাবে ছাড় পান শুভেন্দু। বিজেপিতে যোগদানের কারণেই নাকি তাঁর সাত খুন মাপ! ওয়াশিং মেশিন বিজেপি?
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রয়েছে রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। কোভিড মোকাবিলায় পিএম কেয়ারস ফান্ড নিয়েও তিনি সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের সম্পদ বৃদ্ধিও বিরোধীদের কাছে শুধু আর্থিক অপরাধই নয়, বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ বা আসামে পুলিশের ভুয়া সংঘর্ষ বা হেফাজতে মৃত্যুর তদন্ত হচ্ছে না।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বহুবার মন্তব্য করেছেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই আসলে খাঁচায় বন্দী তোতাপাখি। তাদের স্ব–শাসনের কথা বলা হলেও তদন্ত চলে সরকারের মর্জিতেই। এখন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে শাসক দলের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়ছে।
মোদী সরকারের এমন ভূমিকা নিয়ে তুমুল হট্টগোল চলছে জাতীয় সংসদে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মতে, ‘বিজেপির ভূমিকা ওয়াশিং মেশিনের মতো। তাদের দলে যোগ দিলেই সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ সাফ হয়ে যায়। অন্যের দল ভাঙ্গাতেই বিজেপি তাদের ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করছে।’ কুণালের সাফ কথা, ‘বিরোধীদের দল বা সরকার ভাঙাতে ব্যবহৃত হচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।’
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা অনেক দিন ধরেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিজেপির শাখা সংগঠন বলে কটাক্ষ করে চলেছেন। বিজেপি অবশ্য এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের পাল্টা দাবি, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি হাতে নিয়েছে মোদী সরকার। তাই বিরোধীরা নাকি এখন দিশেহারা। আর কংগ্রেস ব্যস্ত গান্ধী পরিবারকে বাঁচাতে।’
এর আগে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ৫ দিনে ৫০ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। কংগ্রেস সভানেত্রী ৭৫ বছরের অসুস্থ সোনিয়া গান্ধীকেও দুবার হাজিরা দিতে হয়েছে ইডির দপ্তরে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার টাকা নয়ছয়ের। অথচ, সাবেক মন্ত্রী ও প্রবীণ নেতা পি চিদাম্বরমের মতে, ‘মোদী সরকারের আমলেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেতাদের ক্লিন চিট দেওয়া হয়।’ অথচ সংসদের অধিবেশন চলার সময় হাজিরা দিতে ডেকে পাঠানো হচ্ছে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। খাড়গের অভিযোগ, ‘সংসদীয় রীতিনীতির প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা নেই মোদী সরকারের।’ তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অতি সক্রিয়তা নিয়ে সংসদে আলোচনারও দাবি তোলেন।
কংগ্রেসসহ বিরোধীরা একাধিক মুলতবি প্রস্তাব জমা দিলেও সরকার আলোচনায় রাজি নয়। বিজেপির মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের পাল্টা দাবি, দুর্নীতি দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সরকার। তাই স্বশাসিত সংস্থাগুলি স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর পাল্টা অভিযোগ, কংগ্রেসের আমলেই বিরোধীদের ঘায়েল করতে ব্যবহৃত হতো আইনরক্ষকদের।
অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে কলঙ্কের প্রলেপ দিন দিন বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি পাল্টা আলকাতরা থিওরির কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় দৃশ্যতই বিরোধীরা দুর্নীতির জাঁতাকলে বিদ্ধ। রাহুল গান্ধী বা শারদ পাওয়াররা যাই বলেন না কেন, কেলেঙ্কারির বহর বেড়েই চলেছে। আর সেই কেলেঙ্কারির জাল থেকে অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুক্তও হচ্ছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তাই দল ভাঙানোর খেলায় বা বিরোধীদের ঘায়েল করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগও ক্রমশই সাধারণ মানুষের কাছে নেতাদের দুর্নীতির মতোই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে ভারতে।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় চলছে ভারতে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরোধী শিবিরের সব দলই কম বেশি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে দলবদল করে শাসক শিবিরে নাম লেখালেই সমস্ত অভিযোগ ধামাচাপা। তাই বেড়ে গিয়েছে দলবদলের
০৫ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় চলছে ভারতে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরোধী শিবিরের সব দলই কম বেশি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে দলবদল করে শাসক শিবিরে নাম লেখালেই সমস্ত অভিযোগ ধামাচাপা। তাই বেড়ে গিয়েছে দলবদলের
০৫ আগস্ট ২০২২
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় চলছে ভারতে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরোধী শিবিরের সব দলই কম বেশি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে দলবদল করে শাসক শিবিরে নাম লেখালেই সমস্ত অভিযোগ ধামাচাপা। তাই বেড়ে গিয়েছে দলবদলের
০৫ আগস্ট ২০২২
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৭ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় চলছে ভারতে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরোধী শিবিরের সব দলই কম বেশি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে দলবদল করে শাসক শিবিরে নাম লেখালেই সমস্ত অভিযোগ ধামাচাপা। তাই বেড়ে গিয়েছে দলবদলের
০৫ আগস্ট ২০২২
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে