কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতীয় শিক্ষাঙ্গনে ফের বিতর্কের ঝড়। স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরও দেশভাগের ইতিহাসকে ঘিরে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন বিতর্ক। এনসিইআরটির প্রকাশিত সাম্প্রতিক মডিউলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশভাগ কোনো একক নেতার কাজ ছিল না। তিনটি প্রধান শক্তি একত্রে কাজ করেছে—জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন, কংগ্রেস যারা অবশেষে বিভাজন মেনে নিয়েছিল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন যিনি তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
এই নতুন পাঠ্য অধ্যায় প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়েছে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ’ বলে আখ্যা দেন এবং এনসিইআরটির মডিউল পুড়িয়ে ফেলার আহ্বান জানান। তাঁর অভিযোগ, ইতিহাসকে বিকৃত করে কংগ্রেসের ভূমিকা ছোট করা হচ্ছে এবং বিজেপি-আরএসএসের রাজনৈতিক মতাদর্শকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
আসলে এর আগে থেকেই অভিযোগ উঠছিল যে, মোদি সরকারের সময়ে পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে আরএসএসের ভূমিকা, নাথুরাম গডসের সংস্রব, কিংবা গুজরাট দাঙ্গার মতো অধ্যায়। সমালোচকদের মতে, এর উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু মৌলবাদী শক্তিকে দায়মুক্ত করা। এবারে দেশভাগের দায় সরাসরি কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপানোয় বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে—তারা ইতিহাসকে নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ অনুযায়ী পুনর্লিখন করছে।
আন্তর্জাতিক মহলেও এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বহু ইতিহাসবিদ মনে করেন, দেশভাগ ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতি, মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের সমন্বিত ফল। কিন্তু এনসিইআরটির এই একতরফা বিশ্লেষণ ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। বিদেশি গবেষকদের দৃষ্টিতে এটি প্রমাণ করছে, ভারতে শিক্ষা ও ইতিহাসকেও ভোট রাজনীতির চাপে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভারতের সংবিধান নিজেকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু আজ বিজেপি ও আরএসএস যেভাবে ইতিহাসের অধ্যায় পরিবর্তন করছে, তা কি সেই ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আসলে এভাবেই বিজেপি তাদের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি প্রজন্মের পর প্রজন্মে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। ফলে তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই কাঠগড়ায় দাঁড়াচ্ছে—যেখানে প্রশ্ন উঠছে, ভারত কি সত্যিই একটি উদার গণতন্ত্র হিসেবে থেকে যাচ্ছে, নাকি শিক্ষা ও ইতিহাসও দলীয় মতাদর্শের শিকার হচ্ছে।
এই বিতর্কের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হচ্ছে, কেবল ইতিহাস নয়, ভারতের রাজনৈতিক বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও একধরনের লড়াই শুরু হয়ে গেছে। দেশভাগের দায় নিয়ে মডিউলের এ বিতর্ক হয়তো পাঠ্যক্রমের সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে।

ভারতীয় শিক্ষাঙ্গনে ফের বিতর্কের ঝড়। স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরও দেশভাগের ইতিহাসকে ঘিরে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন বিতর্ক। এনসিইআরটির প্রকাশিত সাম্প্রতিক মডিউলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশভাগ কোনো একক নেতার কাজ ছিল না। তিনটি প্রধান শক্তি একত্রে কাজ করেছে—জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন, কংগ্রেস যারা অবশেষে বিভাজন মেনে নিয়েছিল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন যিনি তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
এই নতুন পাঠ্য অধ্যায় প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়েছে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ’ বলে আখ্যা দেন এবং এনসিইআরটির মডিউল পুড়িয়ে ফেলার আহ্বান জানান। তাঁর অভিযোগ, ইতিহাসকে বিকৃত করে কংগ্রেসের ভূমিকা ছোট করা হচ্ছে এবং বিজেপি-আরএসএসের রাজনৈতিক মতাদর্শকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
আসলে এর আগে থেকেই অভিযোগ উঠছিল যে, মোদি সরকারের সময়ে পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে আরএসএসের ভূমিকা, নাথুরাম গডসের সংস্রব, কিংবা গুজরাট দাঙ্গার মতো অধ্যায়। সমালোচকদের মতে, এর উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু মৌলবাদী শক্তিকে দায়মুক্ত করা। এবারে দেশভাগের দায় সরাসরি কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপানোয় বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে—তারা ইতিহাসকে নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ অনুযায়ী পুনর্লিখন করছে।
আন্তর্জাতিক মহলেও এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বহু ইতিহাসবিদ মনে করেন, দেশভাগ ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতি, মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের সমন্বিত ফল। কিন্তু এনসিইআরটির এই একতরফা বিশ্লেষণ ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। বিদেশি গবেষকদের দৃষ্টিতে এটি প্রমাণ করছে, ভারতে শিক্ষা ও ইতিহাসকেও ভোট রাজনীতির চাপে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভারতের সংবিধান নিজেকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু আজ বিজেপি ও আরএসএস যেভাবে ইতিহাসের অধ্যায় পরিবর্তন করছে, তা কি সেই ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আসলে এভাবেই বিজেপি তাদের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি প্রজন্মের পর প্রজন্মে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। ফলে তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই কাঠগড়ায় দাঁড়াচ্ছে—যেখানে প্রশ্ন উঠছে, ভারত কি সত্যিই একটি উদার গণতন্ত্র হিসেবে থেকে যাচ্ছে, নাকি শিক্ষা ও ইতিহাসও দলীয় মতাদর্শের শিকার হচ্ছে।
এই বিতর্কের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হচ্ছে, কেবল ইতিহাস নয়, ভারতের রাজনৈতিক বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও একধরনের লড়াই শুরু হয়ে গেছে। দেশভাগের দায় নিয়ে মডিউলের এ বিতর্ক হয়তো পাঠ্যক্রমের সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে।

পাকিস্তানের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন—কাবুলকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে নাকি পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)-কে সমর্থন করবে।
৪ মিনিট আগে
এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোর পক্ষে তাঁর মেয়ে আনা করিনা সোসা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নরওয়ের রাজধানী অসলো সিটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোসা তাঁর মায়ের পক্ষ থেকে লেখা একটি বক্তব্যও পড়ে শোনান।
১ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তানে কঠোর পোশাকবিধি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ভঙ্গের অভিযোগে ব্রিটিশ জনপ্রিয় ক্রাইম ড্রামা ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’-এর চরিত্রের মতো পোশাক পরার কারণে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে তালেবান। ওই যুবকেরা হেরাত প্রদেশের জেবরাইল টাউনশিপে নিজেদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছিলেন এবং এগুলো দ্রুত ভ
১ ঘণ্টা আগে
সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য–পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন—কাবুলকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে নাকি পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)-কে সমর্থন করবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে বেড়ে ওঠা সহিংসতা ও হামলার পেছনে টিটিপি-কে দায়ী করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডির সামরিক সদর দপ্তরে গার্ড অব অনার গ্রহণের সময় ওই বার্তা দেন আসিম মুনির। তিন বাহিনীর সমন্বয়ে নতুন যৌথ সামরিক কমান্ড গঠনকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা কাঠামোয় একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের দাবি—নতুন কাঠামো আর্মি, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয় আরও শক্তিশালী করবে এবং সাইবার নিরাপত্তা থেকে তথ্যযুদ্ধ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াবে।
মুনির বলেন, আফগান সরকারকে ইতিমধ্যে স্পষ্ট বার্তা পাঠানো হয়েছে—পাকিস্তান আর টিটিপি—এই দুইয়ের মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ টিটিপি-কে ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ নামে অভিহিত করে থাকে। আফগান তালেবান পৃথক সংগঠন হলেও তাদের সঙ্গে টিটিপি-র ঘনিষ্ঠ আদর্শিক সম্পর্ক রয়েছে এবং ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতায় ফেরার পর টিটিপি আরও সক্রিয় হয়েছে।
আসিম মুনিরের বার্তার বিষয়ে কাবুল এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এই উত্তেজনার জেরে গত অক্টোবরে দুই দেশের সীমান্তে কয়েক দিনের সংঘর্ষে সৈন্য, বেসামরিক এবং সন্দেহভাজন জঙ্গিসহ বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এরপর কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গত নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আলোচনাগুলো দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
জেনারেল মুনির বলেন—ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার সময় পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের সাফল্য ভবিষ্যৎ যুদ্ধনীতির দালিলিক উদাহরণ হয়ে থাকবে। তিনি কড়া ভাষায় সতর্ক করেন—পরবর্তী সংঘাতে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া আরও দ্রুত এবং কঠোর হবে।
তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র হলেও সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা এবং স্থিতিশীলতার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর পাকিস্তান ও ভারত তিনবার যুদ্ধ করেছে। কাশ্মীর ইস্যু ঘিরে এখনো দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পাকিস্তানের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন—কাবুলকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে নাকি পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)-কে সমর্থন করবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে বেড়ে ওঠা সহিংসতা ও হামলার পেছনে টিটিপি-কে দায়ী করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডির সামরিক সদর দপ্তরে গার্ড অব অনার গ্রহণের সময় ওই বার্তা দেন আসিম মুনির। তিন বাহিনীর সমন্বয়ে নতুন যৌথ সামরিক কমান্ড গঠনকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা কাঠামোয় একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের দাবি—নতুন কাঠামো আর্মি, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয় আরও শক্তিশালী করবে এবং সাইবার নিরাপত্তা থেকে তথ্যযুদ্ধ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াবে।
মুনির বলেন, আফগান সরকারকে ইতিমধ্যে স্পষ্ট বার্তা পাঠানো হয়েছে—পাকিস্তান আর টিটিপি—এই দুইয়ের মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ টিটিপি-কে ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ নামে অভিহিত করে থাকে। আফগান তালেবান পৃথক সংগঠন হলেও তাদের সঙ্গে টিটিপি-র ঘনিষ্ঠ আদর্শিক সম্পর্ক রয়েছে এবং ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতায় ফেরার পর টিটিপি আরও সক্রিয় হয়েছে।
আসিম মুনিরের বার্তার বিষয়ে কাবুল এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এই উত্তেজনার জেরে গত অক্টোবরে দুই দেশের সীমান্তে কয়েক দিনের সংঘর্ষে সৈন্য, বেসামরিক এবং সন্দেহভাজন জঙ্গিসহ বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এরপর কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গত নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আলোচনাগুলো দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
জেনারেল মুনির বলেন—ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার সময় পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের সাফল্য ভবিষ্যৎ যুদ্ধনীতির দালিলিক উদাহরণ হয়ে থাকবে। তিনি কড়া ভাষায় সতর্ক করেন—পরবর্তী সংঘাতে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া আরও দ্রুত এবং কঠোর হবে।
তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র হলেও সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা এবং স্থিতিশীলতার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর পাকিস্তান ও ভারত তিনবার যুদ্ধ করেছে। কাশ্মীর ইস্যু ঘিরে এখনো দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

দেশভাগ কোনো একক নেতার কাজ ছিল না। তিনটি প্রধান শক্তি একত্রে কাজ করেছে—জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন, কংগ্রেস যারা অবশেষে বিভাজন মেনে নিয়েছিল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন যিনি তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
১৬ আগস্ট ২০২৫
এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোর পক্ষে তাঁর মেয়ে আনা করিনা সোসা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নরওয়ের রাজধানী অসলো সিটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোসা তাঁর মায়ের পক্ষ থেকে লেখা একটি বক্তব্যও পড়ে শোনান।
১ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তানে কঠোর পোশাকবিধি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ভঙ্গের অভিযোগে ব্রিটিশ জনপ্রিয় ক্রাইম ড্রামা ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’-এর চরিত্রের মতো পোশাক পরার কারণে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে তালেবান। ওই যুবকেরা হেরাত প্রদেশের জেবরাইল টাউনশিপে নিজেদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছিলেন এবং এগুলো দ্রুত ভ
১ ঘণ্টা আগে
সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য–পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোর পক্ষে তাঁর মেয়ে আনা করিনা সোসা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নরওয়ের রাজধানী অসলো সিটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোসা তাঁর মায়ের পক্ষ থেকে লেখা একটি বক্তব্যও পড়ে শোনান।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মাচাদো বর্তমানে নিরাপদে আছেন এবং অসলোর পথে রয়েছেন। তবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। নোবেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিস্টিয়ান বার্গ হার্পভিকেন আশা করছেন, তিনি বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল—এই সময়ের মধ্যে অসলো পৌঁছাবেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় মাচাদোর কন্যা আনা করিনা সোসা জানান, তাঁর মা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলার স্বপ্ন দেখেন এবং সেই লক্ষ্য থেকে কখনো সরে দাঁড়াবেন না। মায়ের সম্পর্কে সোসা বলেন, ‘তিনি জানেন, তার সংগ্রাম শুধুমাত্র রাজনীতি নয়—এটা তার দেশের মানুষের মর্যাদা রক্ষার লড়াই।’
নোবেল কমিটি মাচাদোকে এবার পুরস্কৃত করেছে ভেনেজুয়েলায় ‘স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণের লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকার’ স্বীকৃতি হিসেবে।
বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মাচাদো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নানা জল্পনা ছিল। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। নির্বাচনটি দেশীয় বিরোধী দল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জালিয়াতিপূর্ণ বলে প্রত্যাখ্যান করে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর শপথগ্রহণের বিরুদ্ধে গত ৯ জানুয়ারি এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার পর থেকেই মাচাদো আর জনসমক্ষে দেখা দেননি। নির্বাচনের পর দেশজুড়ে সহিংসতা ও দমন-পীড়নে প্রায় দুই হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে মাচাদোর জোটের অনেক নেতা কর্মীও আছেন।
তবে লুকিয়ে থাকলেও সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তা ও সাক্ষাৎকার দিয়ে সমর্থকদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে আসছিলেন মাচাদো। নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা তাঁর সমর্থকদের নতুন করে উজ্জীবিত করেছে। তবে এখনো সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়েছে—তিনি কীভাবে আত্মগোপন থেকে বের হলেন এবং কোন পথে ইউরোপে পৌঁছালেন। তাঁর মা ও দুই সন্তান ইতিমধ্যেই অসলোতে অবস্থান করছেন—আবার দেখা হওয়ার অপেক্ষায়। সম্প্রতি তাঁর ছেলে দাবি করেছিলেন, মায়ের সঙ্গে তাঁর প্রায় দুই বছর দেখা হয়নি।

এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোর পক্ষে তাঁর মেয়ে আনা করিনা সোসা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নরওয়ের রাজধানী অসলো সিটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোসা তাঁর মায়ের পক্ষ থেকে লেখা একটি বক্তব্যও পড়ে শোনান।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মাচাদো বর্তমানে নিরাপদে আছেন এবং অসলোর পথে রয়েছেন। তবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। নোবেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিস্টিয়ান বার্গ হার্পভিকেন আশা করছেন, তিনি বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল—এই সময়ের মধ্যে অসলো পৌঁছাবেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় মাচাদোর কন্যা আনা করিনা সোসা জানান, তাঁর মা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলার স্বপ্ন দেখেন এবং সেই লক্ষ্য থেকে কখনো সরে দাঁড়াবেন না। মায়ের সম্পর্কে সোসা বলেন, ‘তিনি জানেন, তার সংগ্রাম শুধুমাত্র রাজনীতি নয়—এটা তার দেশের মানুষের মর্যাদা রক্ষার লড়াই।’
নোবেল কমিটি মাচাদোকে এবার পুরস্কৃত করেছে ভেনেজুয়েলায় ‘স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণের লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকার’ স্বীকৃতি হিসেবে।
বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মাচাদো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নানা জল্পনা ছিল। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। নির্বাচনটি দেশীয় বিরোধী দল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জালিয়াতিপূর্ণ বলে প্রত্যাখ্যান করে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর শপথগ্রহণের বিরুদ্ধে গত ৯ জানুয়ারি এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার পর থেকেই মাচাদো আর জনসমক্ষে দেখা দেননি। নির্বাচনের পর দেশজুড়ে সহিংসতা ও দমন-পীড়নে প্রায় দুই হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে মাচাদোর জোটের অনেক নেতা কর্মীও আছেন।
তবে লুকিয়ে থাকলেও সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তা ও সাক্ষাৎকার দিয়ে সমর্থকদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে আসছিলেন মাচাদো। নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা তাঁর সমর্থকদের নতুন করে উজ্জীবিত করেছে। তবে এখনো সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়েছে—তিনি কীভাবে আত্মগোপন থেকে বের হলেন এবং কোন পথে ইউরোপে পৌঁছালেন। তাঁর মা ও দুই সন্তান ইতিমধ্যেই অসলোতে অবস্থান করছেন—আবার দেখা হওয়ার অপেক্ষায়। সম্প্রতি তাঁর ছেলে দাবি করেছিলেন, মায়ের সঙ্গে তাঁর প্রায় দুই বছর দেখা হয়নি।

দেশভাগ কোনো একক নেতার কাজ ছিল না। তিনটি প্রধান শক্তি একত্রে কাজ করেছে—জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন, কংগ্রেস যারা অবশেষে বিভাজন মেনে নিয়েছিল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন যিনি তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
১৬ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন—কাবুলকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে নাকি পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)-কে সমর্থন করবে।
৪ মিনিট আগে
আফগানিস্তানে কঠোর পোশাকবিধি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ভঙ্গের অভিযোগে ব্রিটিশ জনপ্রিয় ক্রাইম ড্রামা ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’-এর চরিত্রের মতো পোশাক পরার কারণে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে তালেবান। ওই যুবকেরা হেরাত প্রদেশের জেবরাইল টাউনশিপে নিজেদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছিলেন এবং এগুলো দ্রুত ভ
১ ঘণ্টা আগে
সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য–পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আফগানিস্তানে কঠোর পোশাকবিধি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ভঙ্গের অভিযোগে ব্রিটিশ জনপ্রিয় ক্রাইম ড্রামা ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’-এর চরিত্রের মতো পোশাক পরার কারণে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে তালেবান। ওই যুবকেরা হেরাত প্রদেশের জেবরাইল টাউনশিপে নিজেদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছিলেন এবং এগুলো দ্রুত ভাইরাল হচ্ছিল।
ভিডিওতে দেখা যায়—চার যুবক স্যুট, ওয়েস্টকোট, ওভারকোট, ফ্ল্যাট ক্যাপ পরে শহরে ঘুরছেন। তাঁরা সিগার সদৃশ সিগারেটও হাতে রেখেছিলেন। এই পোশাক ও আচরণকে ‘বিদেশি সংস্কৃতি প্রচার’ এবং ‘ইসলামিক মূল্যবোধের পরিপন্থী’ বলে অভিযুক্ত করেছে তালেবান। পরে ওই যুবকদের গ্রেপ্তার করে একটি সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এই বিষয়ে তালেবানের নৈতিকতা ও শালীনতা রক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফ খাইবার বলেছেন, ‘আমরা মুসলমান এবং আফগান; আমাদের নিজস্ব ধর্ম, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ আছে। বিদেশি সংস্কৃতি ও নষ্টাচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে আমরা বড় ত্যাগ স্বীকার করেছি এবং আবারও করব।’
তালেবান দাবি করেছে, সংশ্লিষ্ট চারজনকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে এবং তাঁরা ‘অনুশোচনা’ প্রকাশ করেছেন। তবে ক্ষমা আদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দা অব্যাহত আছে। চার বছর ক্ষমতায় থাকলেও এখনো কোনো রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তালেবান সরকার আফগান পুরুষদের দাড়ি রাখা এবং ঐতিহ্যবাহী কাবুলি পোশাক ও পাগড়ি বা টুপি পরাকে বাধ্যতামূলক করেছে। আর পাশ্চাত্য পোশাক, বিনোদন, সংগীত, টেলিভিশন ও নারীশিক্ষাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আফগানিস্তানে কঠোর পোশাকবিধি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ভঙ্গের অভিযোগে ব্রিটিশ জনপ্রিয় ক্রাইম ড্রামা ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’-এর চরিত্রের মতো পোশাক পরার কারণে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে তালেবান। ওই যুবকেরা হেরাত প্রদেশের জেবরাইল টাউনশিপে নিজেদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছিলেন এবং এগুলো দ্রুত ভাইরাল হচ্ছিল।
ভিডিওতে দেখা যায়—চার যুবক স্যুট, ওয়েস্টকোট, ওভারকোট, ফ্ল্যাট ক্যাপ পরে শহরে ঘুরছেন। তাঁরা সিগার সদৃশ সিগারেটও হাতে রেখেছিলেন। এই পোশাক ও আচরণকে ‘বিদেশি সংস্কৃতি প্রচার’ এবং ‘ইসলামিক মূল্যবোধের পরিপন্থী’ বলে অভিযুক্ত করেছে তালেবান। পরে ওই যুবকদের গ্রেপ্তার করে একটি সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এই বিষয়ে তালেবানের নৈতিকতা ও শালীনতা রক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফ খাইবার বলেছেন, ‘আমরা মুসলমান এবং আফগান; আমাদের নিজস্ব ধর্ম, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ আছে। বিদেশি সংস্কৃতি ও নষ্টাচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে আমরা বড় ত্যাগ স্বীকার করেছি এবং আবারও করব।’
তালেবান দাবি করেছে, সংশ্লিষ্ট চারজনকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে এবং তাঁরা ‘অনুশোচনা’ প্রকাশ করেছেন। তবে ক্ষমা আদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দা অব্যাহত আছে। চার বছর ক্ষমতায় থাকলেও এখনো কোনো রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তালেবান সরকার আফগান পুরুষদের দাড়ি রাখা এবং ঐতিহ্যবাহী কাবুলি পোশাক ও পাগড়ি বা টুপি পরাকে বাধ্যতামূলক করেছে। আর পাশ্চাত্য পোশাক, বিনোদন, সংগীত, টেলিভিশন ও নারীশিক্ষাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

দেশভাগ কোনো একক নেতার কাজ ছিল না। তিনটি প্রধান শক্তি একত্রে কাজ করেছে—জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন, কংগ্রেস যারা অবশেষে বিভাজন মেনে নিয়েছিল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন যিনি তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
১৬ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন—কাবুলকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে নাকি পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)-কে সমর্থন করবে।
৪ মিনিট আগে
এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোর পক্ষে তাঁর মেয়ে আনা করিনা সোসা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নরওয়ের রাজধানী অসলো সিটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোসা তাঁর মায়ের পক্ষ থেকে লেখা একটি বক্তব্যও পড়ে শোনান।
১ ঘণ্টা আগে
সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য–পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের এক গ্রামে সাদা কাপড়ে মোড়ানো দুই কিশোরের নিথর দেহের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। কাঁদছে সবাই। কেউ বিশ্বাসই করতে চাইছে না, কিশোর দুটি তাদের মাঝে আর নেই।
সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য, পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
শেষ পর্যন্ত তাদের আর ফেরা হলো না। সোনার জন্য যে গর্ত তারা খুঁড়ছিল, সেটি ধসে তাদের ওপর পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়।
ওই অঞ্চলে গত চার বছরে এ নিয়ে তিনটি খনি দুর্ঘটনা ঘটল, যাতে প্রাণ হারায় কমপক্ষে পাঁচটি শিশু।
এলাকার হেডটিচার ও স্থানীয় কর্মীদের মতে, বাঙ্গুরা ও জেন্নেহর মতো সিয়েরা লিওনের আরও অনেক শিশু স্কুল ফেলে ঝুঁকিপূর্ণ খনিতে সোনা তুলতে যায়। এ প্রবণতা সেখানে ক্রমেই বাড়ছে।
বিবিসি আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিয়েরা লিয়নের পূর্বাঞ্চল হীরার খনির জন্য বিখ্যাত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হীরার মজুত ফুরিয়ে আসায় সোনা খনন বেড়েছে।
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা অঞ্চলটিতে স্থানীয় মানুষজন যেখানেই কোনো কিছুর মজুত খুঁজে পায়, সেখানেই খনির কাজ শুরু হয়ে যায়। তা চাষের জমি, পুরোনো কবরস্থান বা নদীর তীর—যাই হোক না কেন।
অঞ্চলটিতে নামীদামি কোনো খনন কোম্পানি নেই বললেই চলে। যেসব এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে খনি চালানো লাভজনক নয়, সেসব জায়গায় ছড়িয়ে আছে এসব অনিয়ন্ত্রিত খনি; যার গভীরতা কখনো কখনো ৪ মিটারও (১৩ ফুট) হয়।
আফ্রিকার আরও বহু দেশে এমন খনির দেখা মেলে, যেখান থেকে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়।
নিমবাদুর অধিকাংশ পরিবারের জীবিকা চাষাবাদ আর ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। বিকল্প কর্মসংস্থান খুব কম। তাই বাড়তি আয়ের সুযোগ লোভনীয় মনে হয় গ্রামবাসীর।
তবে গ্রামের মানুষ এও জানে, এই আয় কখনো কখনো মূল্য দাবি করে। এবার সেই মূল্য দিতে হয়েছে সম্ভাবনাময় দুই কিশোরকে।
ইয়ায়াহ জেন্নেহর মা নামিনা জেন্নেহর স্বামী মারা গেছেন। পাঁচ সন্তানের সংসার চালাতে কিশোর ছেলেটির ওপরই ভরসা ছিল তাঁর।
একসময় এসব খনিতে কাজ করতেন নামিনা। বিবিসির কাছে তিনি স্বীকার করেন, ছেলেকে তিনিই খনির কাজে অভ্যস্ত করেছিলেন। তবে বলেন, ‘ও আমাকে বলেনি, ওই জায়গায় যাবে। জানলে আমি যেতে দিতাম না।’

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের এক গ্রামে সাদা কাপড়ে মোড়ানো দুই কিশোরের নিথর দেহের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। কাঁদছে সবাই। কেউ বিশ্বাসই করতে চাইছে না, কিশোর দুটি তাদের মাঝে আর নেই।
সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য, পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
শেষ পর্যন্ত তাদের আর ফেরা হলো না। সোনার জন্য যে গর্ত তারা খুঁড়ছিল, সেটি ধসে তাদের ওপর পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়।
ওই অঞ্চলে গত চার বছরে এ নিয়ে তিনটি খনি দুর্ঘটনা ঘটল, যাতে প্রাণ হারায় কমপক্ষে পাঁচটি শিশু।
এলাকার হেডটিচার ও স্থানীয় কর্মীদের মতে, বাঙ্গুরা ও জেন্নেহর মতো সিয়েরা লিওনের আরও অনেক শিশু স্কুল ফেলে ঝুঁকিপূর্ণ খনিতে সোনা তুলতে যায়। এ প্রবণতা সেখানে ক্রমেই বাড়ছে।
বিবিসি আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিয়েরা লিয়নের পূর্বাঞ্চল হীরার খনির জন্য বিখ্যাত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হীরার মজুত ফুরিয়ে আসায় সোনা খনন বেড়েছে।
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা অঞ্চলটিতে স্থানীয় মানুষজন যেখানেই কোনো কিছুর মজুত খুঁজে পায়, সেখানেই খনির কাজ শুরু হয়ে যায়। তা চাষের জমি, পুরোনো কবরস্থান বা নদীর তীর—যাই হোক না কেন।
অঞ্চলটিতে নামীদামি কোনো খনন কোম্পানি নেই বললেই চলে। যেসব এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে খনি চালানো লাভজনক নয়, সেসব জায়গায় ছড়িয়ে আছে এসব অনিয়ন্ত্রিত খনি; যার গভীরতা কখনো কখনো ৪ মিটারও (১৩ ফুট) হয়।
আফ্রিকার আরও বহু দেশে এমন খনির দেখা মেলে, যেখান থেকে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়।
নিমবাদুর অধিকাংশ পরিবারের জীবিকা চাষাবাদ আর ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। বিকল্প কর্মসংস্থান খুব কম। তাই বাড়তি আয়ের সুযোগ লোভনীয় মনে হয় গ্রামবাসীর।
তবে গ্রামের মানুষ এও জানে, এই আয় কখনো কখনো মূল্য দাবি করে। এবার সেই মূল্য দিতে হয়েছে সম্ভাবনাময় দুই কিশোরকে।
ইয়ায়াহ জেন্নেহর মা নামিনা জেন্নেহর স্বামী মারা গেছেন। পাঁচ সন্তানের সংসার চালাতে কিশোর ছেলেটির ওপরই ভরসা ছিল তাঁর।
একসময় এসব খনিতে কাজ করতেন নামিনা। বিবিসির কাছে তিনি স্বীকার করেন, ছেলেকে তিনিই খনির কাজে অভ্যস্ত করেছিলেন। তবে বলেন, ‘ও আমাকে বলেনি, ওই জায়গায় যাবে। জানলে আমি যেতে দিতাম না।’

দেশভাগ কোনো একক নেতার কাজ ছিল না। তিনটি প্রধান শক্তি একত্রে কাজ করেছে—জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন, কংগ্রেস যারা অবশেষে বিভাজন মেনে নিয়েছিল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন যিনি তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
১৬ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন—কাবুলকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে নাকি পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)-কে সমর্থন করবে।
৪ মিনিট আগে
এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোর পক্ষে তাঁর মেয়ে আনা করিনা সোসা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নরওয়ের রাজধানী অসলো সিটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোসা তাঁর মায়ের পক্ষ থেকে লেখা একটি বক্তব্যও পড়ে শোনান।
১ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তানে কঠোর পোশাকবিধি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ভঙ্গের অভিযোগে ব্রিটিশ জনপ্রিয় ক্রাইম ড্রামা ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’-এর চরিত্রের মতো পোশাক পরার কারণে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে তালেবান। ওই যুবকেরা হেরাত প্রদেশের জেবরাইল টাউনশিপে নিজেদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছিলেন এবং এগুলো দ্রুত ভ
১ ঘণ্টা আগে