Ajker Patrika

প্রতিদিন ১ লাখ নতুন ভোটারকে বার্তা পাঠাচ্ছে বিজেপি

আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, ২১: ৪৬
প্রতিদিন ১ লাখ নতুন ভোটারকে বার্তা পাঠাচ্ছে বিজেপি

লোকসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে প্রতিদিন এক লাখ ভোটারকে নানা ধরনের বার্তা পাঠাচ্ছে। ভোটারদের বিজেপি ‘শুভ সকাল’ এবং মিমসও পাঠাচ্ছে। 

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

বিজেপির এমনই একজন সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী অঙ্কুর রানা। তিনি উত্তর প্রদেশের মিরাট সংসদীয় আসনে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া শাখার সমন্বয়কারী। অঙ্কুর রানা শত শত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিজেপির নির্বাচনী বার্তা পাঠান। 

গত মাসে ভোটের প্রচারণার ব্যাখ্যা করে অঙ্কুর রানা বলেন, ‘আমার ৪০০-৫০০টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। যার প্রতিটিতে প্রায় ২০০-৩০০ জন সদস্য রয়েছে। এর বাইরে, আমার কাছে প্রায় পাঁচ হাজার মোবাইল নম্বর রয়েছে। এভাবে আমি একাই প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার ভোটারের কাছে বিজেপির বার্তা পৌঁছাই।’ 

তিনি বিজেপির একটি ‘ক্র্যাক টিমের’ সদস্য ছিলেন। ওই টিমের লক্ষ্য ছিল শুধু উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী এলাকাতেই লাখ লাখ ভোটারদের কাছে বিজেপির বার্তা পৌঁছে দেওয়া। উদ্বেগজনক হলেও বিজেপি এমনটাই করছে। দলটি এই বছরের লোকসভা নির্বাচনে ৩৭০ আসন জিততে হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য ম্যাসেজিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর ওপরই নির্ভর করছে। কারণ, বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ভারতীয়। দেশটিতে ৫০ কোটিরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী রয়েছে, যাঁরা দিনে কয়েক ঘণ্টা ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যয় করেন। 

বিজেপি ভোটারদের ‘শুভ সকাল’ থেকে শুরু করে মিমস এবং বিভিন্ন ভাষায় রাজনৈতিক বক্তব্য পাঠাচ্ছে। অঙ্কুরের মতো স্বেচ্ছাসেবকেরা নির্বাচনী যন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁরা বিজেপির বার্তা পাঠাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। 

হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোটারদের বার্তা পাঠাতে ব্যস্ত বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকেরা। ছবি: সংগৃহীতবিবিসি অঙ্কুরের মতো আরও ১০ জন বিজেপি স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে কথা বলেছে, যাঁরা উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী এলাকা সোশ্যাল মিডিয়া সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা সবাই বলেছেন, তাঁরা শত শত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালান, যার সদস্য সংখ্যা ২০০ থেকে ২ হাজারের মধ্যে। 

মিরাটে বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকেরা বলছেন, প্রতিদিন দলের সদর দপ্তর দিল্লি থেকে রাজনৈতিক বার্তা এবং হ্যাশট্যাগ রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে পাঠানো হয়। এসব বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির প্রশংসা ও রাজ্যে বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করা হয়। 

কেন্দ্র থেকে শুধু মিরাটেই অঙ্কুরসহ ১৮০ জন নির্বাচনী স্বেচ্ছাসেবকের কাছে এসব বার্তা পৌঁছে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের অধীনে আবার আরও বার্তা প্রেরক রয়েছেন। এমনকি প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রচারণা পরিচালনাকারীদের কাছেও পৌঁছায় এসব বার্তা। 

অঙ্কুর বলেছেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ তরুণদের কাছে বার্তা পৌঁছানোর জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। আর চল্লিশোর্ধ্বরা ফেসবুকে বেশি সক্রিয়। গড়ে আমাদের লক্ষ্য প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ নতুন মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছানো।’ 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণার কথা উঠলে বিজেপি অন্য যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে শত ক্রোশ এগিয়ে। কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ের তথ্য ছাড়া এসব করা সম্ভব নয়। দলীয় কর্মীরা বলছেন, বিশেষ করে প্রথমে তাঁদের মানুষের নম্বর পেতে হয়। 

মিরাটের একটি ভোটকেন্দ্রে বিজেপির প্রচারণার দায়িত্বে থাকা ভিপিন ভিপালা বলেন, ‘দলের প্রতিটি সদস্যর ওপর ৬০ জন ভোটারের নম্বর সংগ্রহের দায়িত্ব। এটি দলের নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তরের সভাপতি পর্যন্ত। নির্ধারিত ৬০ জনের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ করতে হবে এবং তাঁদের বিজেপিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করতে হবে। তাঁদের মোবাইল নম্বর নেওয়া এবং ম্যাসেজিং গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করাও আমাদের দায়িত্ব।’ 

ভোটারদের জন্য ভিপিনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের নাম ‘হিউম্যানিটি ইজ লাইফ’। এই ক্ষেত্রে প্রকাশ্যভাবে রাজনৈতিক নাম না দেওয়া দলটির বিশেষ আবেদন সৃষ্টির অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভোটারদের কাছে পাঠানো বার্তায় আর সেসবের কোনো রাখঢাক থাকছে না। 

মিরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিবিসির প্রতিনিধিদল। ছবি: সংগৃহীত বেশ কয়েকটি গ্রুপে বহুবার ফরোয়ার্ড করা একটি ভাইরাল বার্তা যাচাই করেছে বিবিসি। বার্তাটিতে কংগ্রেস দল সংখ্যালঘু মুসলিমদের তুষ্ট করছে বলে অভিযোগ করা হয়। বার্তাটিতে লেখা ছিল, ‘কংগ্রেস এরই মধ্যে ভারতকে একটি ইসলামিক দেশে রূপান্তরিত করেছে। তারা শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ঘোষণা করেনি।’ 

এই বার্তা কোথা থেকে প্রথমে পাঠানো হয়েছে, তার উৎস বের করা অসম্ভব। তবে এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নির্বাচনী সমাবেশে বিজেপি নেতাদের বক্তব্যের সারার্থ। এপ্রিলে মোদির বিরুদ্ধে ‘ইসলামবিদ্বেষের’ অভিযোগে ওঠে। তিনি এক সমাবেশে মুসলিমদের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘বিরোধীরা ক্ষমতায় গেলে “অনুপ্রবেশকারী”দের কাছে জনগণের সম্পদ বিতরণ করবে।’ 

বিজেপির নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলো এই বক্তব্যর ভিডিও অ্যানিমেটেড করে শেয়ার করেছে। দলটির নেতারা দাবি করেছেন, এমনটিই কংগ্রেসের ইশতেহারে লেখা আছে। তবে কংগ্রেসের কোনো নথিতে সম্পদ পুনর্বণ্টন বা মুসলিম শব্দের উল্লেখ নেই। এই ধরনের বার্তা প্রতিনিয়ত কোনো প্ল্যাটফর্মে ছড়াতে থাকলে অনেকেই সত্য বলে বিশ্বাস করে ফেলেন। 

সাম্প্রতিক প্রচারে বিজেপি দাবি করেছে, ভারতীয় ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য মোদি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ থামিয়েছিলেন। ২০২২ সালের মার্চে প্রথম এই দাবিটি করেছিল দলটির নেতা-কর্মীরা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই এক্সে এবং কিছু নিউজ চ্যানেলে এই ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল। 

সে সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। একজন মুখপাত্র বলেন, ‘কেউ বোমা হামলা বন্ধ করে রেখেছে বলার অর্থ, আমরা যুদ্ধ সমন্বয় করছি। তাই আমি মনে করি, এমন তথ্য একেবারেই ভুল।’ 

দুই বছর পর বিজেপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচনী প্রচারে এই দাবি আবারও সামনে এনেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে। বিজেপি কেন এই দাবির পুনরাবৃত্তি করছে—এমন প্রশ্নের জবাব দেয়নি দলটি। 

মিরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিবিসি ২০ বছর বয়সী ছাত্রদের সঙ্গে দেখা কথা বলেছে, যাঁরা এই নির্বাচনে প্রথমবারের ভোটার। মোদির ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর তথ্য তাঁরা বিশ্বাস করেছে কি না জিজ্ঞেস করলে তাঁদের অধিকাংশই জানান, তাঁরা বিশ্বাস করেছেন। 

বিশাল ভার্মা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা বিশ্বাস করি, ভারতের অনুরোধের কারণে যুদ্ধ থামানো হয়েছিল।’ এ সময় তাঁর বন্ধু ও চারপাশে জড়ো হওয়া অন্যরাও সম্মতিতে মাথা নাড়ে। 

মাত্র কয়েকজন ছাত্র দ্বিমত পোষণ করেন। তাঁদের একজন কবির। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক নয়। আমি নিজেও যুদ্ধকবলিত ছাত্রদের বানানো ভিডিও দেখেছি, যারা বলেছে সরকার তাদের সাহায্য করেনি।’ 

বিবিসি গ্রামের লোকদেরও একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে, যাঁদের অনেকেই টিভিতে আগেই এই সংবাদ দেখেছেন। তেমনই একজন ৪১ বছর বয়সী কৃষক সঞ্জীব কাশ্যপ, ‘হ্যাঁ, যুদ্ধ বন্ধ করা হয়েছিল কারণ মোদিকে বিশ্বব্যাপী সম্মান করা হয়।’ 

৭৫ বছর বয়সী জগদীশ চৌধুরী বলেন, ‘দেখুন, আমরা শুনেছি যুদ্ধ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা নিজেরা দেখতে যাইনি। কিন্তু আমার মনে হয়, এতে কিছু সত্যতা আছে।’ গ্রামের আরও চারজন তাঁর সঙ্গে একমত হন। 

মানুষকে ভুল তথ্য বিশ্বাস করানো এক বড় শক্তি। কারণ, ভোটাররা শেষ পর্যন্ত কাকে ভোট দেবে তা নির্ভর করে—সে যা বিশ্বাস করে তার ওপর। এখানে বিজেপি সেই সুযোগটাই নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভেনেজুয়েলার উপকূলে আবার তেলের ট্যাংকার জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত
গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।

এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।

গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।

গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।

ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’

নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।

নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।

নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।

এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’

তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বন্ধু ট্রাম্পকে খুশি করতে মোদির ‘শান্তি’ বিল পাস, বিরোধীদের সমালোচনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।

জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।

তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।

জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’

কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।

কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে

মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।

বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।

তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।

বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।

সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।

বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রিস উপকূলে মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ ৫৪০ অভিবাসী উদ্ধার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।

তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত