আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত কয়েক দিনের কথা মনে করে ভারতের আসাম রাজ্যের বরপেটা জেলার ৫৮ বছর বয়সী সোনা বানু এখনো শিউরে ওঠেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত ২৫ মে তাঁকে স্থানীয় থানায় ডেকে নেওয়া হয়। পরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে গিয়ে, সেখান থেকে তাঁকে ও আরও প্রায় ১৩ জনকে বন্দুকের মুখে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন তাঁকে এমন করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি বলে জানান সোনা বানু।
সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে একাধিক পুশ ইনের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের দাবি, তারা অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করছে। শুরুটা হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পর। ভারতের নানা রাজ্যে শুরু হয় এক বিশেষ অভিযান—‘অবৈধ বাংলাদেশি চিহ্নিত’ করার অভিযান। প্রথম অভিযানটা হয়েছিল গুজরাটে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বিষয়টি নিয়ে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ভুক্তভোগী অনেকের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি জানতে পেয়েছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সোনা বানু, সারা জীবন আসামেই বসবাস করেছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তাঁকে বারবার প্রমাণ করতে হচ্ছে, তিনি ভারতীয় নাগরিক। বাংলাদেশের ‘অবৈধ অভিবাসী’ নন। চোখের জল মুছতে মুছতে বানু বলেন, ‘বন্দুক ঠেকিয়ে আমাকে ওপারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দুদিন ধরে আমি ভারত ও বাংলাদেশের মাঝখানে, হাঁটুসমান জলের মাঠে মশার কামড় ও জোঁকের মধ্যে খাবার-পানি ছাড়া কাটিয়েছি।’ দুই দিন পর তাঁকে বাংলাদেশ সীমান্তের একটি পুরোনো জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর, তাঁকে ও আরও কয়েকজনকে বাংলাদেশি কর্মকর্তারা সীমান্তের ওপারে নিয়ে যান। পরবর্তী সময় ভারতীয় কর্মকর্তারা তাঁদের গ্রহণ করেন এবং বাড়িতে ফেরত পাঠান।
সোনা বানুকে কেন হঠাৎ বাংলাদেশে পাঠানো হলো এবং আবার কেন ফিরিয়ে আনা হলো, তা স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর ঘটনাটি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এমন একাধিক ঘটনার মধ্যে একটি। আসামের কর্তৃপক্ষ তাদের ট্রাইব্যুনাল থেকে ঘোষিত সন্দেহভাজন ‘অবৈধ বাংলাদেশি’দের ধরে নিয়ে সীমান্তে ঠেলে দিচ্ছেন। বিবিসি এমন ছয়টি ঘটনা খুঁজে পেয়েছে। ভুক্তভোগী এই মানুষজন অভিযোগ করেছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের তুলে নিয়ে সীমান্তে পাঠানো হয়েছে এবং ‘ওপারে (বাংলাদেশে) ঠেলে দেওয়া হয়েছে’।
বিবিসির পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ), আসাম পুলিশ ও রাজ্য সরকারের কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনো জবাব মেলেনি।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যার অনেক সংবেদনশীল এলাকা কড়া পাহারায় থাকা সত্ত্বেও সীমান্ত পেরোনো তুলনামূলক সহজ। তবে আইনজীবীরা বলছেন, নিয়ম মেনে আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া হঠাৎ কাউকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অন্য দেশে ঠেলে দেওয়ার ঘটনা বিরল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ধরনের ঘটনা বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে।

ভারতের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, সাম্প্রতিক অভিযানে কতজনকে ওপারে পাঠানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশি প্রশাসনের কয়েকটি উচ্চপদস্থ সূত্র দাবি করেছে, শুধু মে মাসেই ভারত ‘অবৈধভাবে’ ১ হাজার ২০০-এর বেশি মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। শুধু আসাম নয়, অন্যান্য রাজ্য থেকেও এসেছে। এই সূত্রগুলো নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ এই ১ হাজার ২০০ জনের মধ্যে ১০০ জনকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করে আবার তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব চেষ্টা রুখতে তারা সীমান্তে টহল বাড়িয়েছে। তবে ভারত বাংলাদেশ বা বিজিবির এই অভিযোগগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সাম্প্রতিক এই অভিযানে অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমরাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে আসামের পরিস্থিতি তুলনামূলক জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ, যেখানে নাগরিকত্ব আর জাতিগত পরিচয় দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির প্রধান বিষয়।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এসব সীমান্তবর্তী এলাকার অনেক মানুষই সুযোগের সন্ধানে বা ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ভারতে প্রবেশ করেন। ফলে আসামের স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে জনসংখ্যার বিন্যাস বদলে যাচ্ছে ও স্থানীয়দের সম্পদ কমে যাচ্ছে।

আসাম ও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বারবার অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যের জাতীয় নাগরিক পুঞ্জি (এনআরসি) তৈরির কাজকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এই পঞ্জিকা এমন একটি তালিকা যেখানে বলা হয়েছে, যাঁরা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের (বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার আগের দিন) মধ্যে আসামে এসেছিলেন, কেবল তাঁরাই স্থান পেয়েছেন। তালিকাটি একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে। এ ছাড়া যাঁদের নাম বাদ পড়েছিল, তাঁদের ‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল’ নামক আধা বিচারিক ফোরামে সরকারি নথি দেখিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
তবে নানান আলোচনা-সমালোচনার পর একটি বিশৃঙ্খল প্রক্রিয়ায় ২০১৯ সালে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে আসামের প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা বাদ পড়েন। তাঁদের মধ্যে অনেককে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়, অন্যরা তাঁদের বাদ পড়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। সোনা বানু জানান, তাঁর মামলাটিই সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এটা জেনেও তাঁকে জোর করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।
বিবিসি আসামের আরও ছয়জন মুসলিমের কাছ থেকে একই ধরনের কথা শুনেছে। এরা সবাই অভিযোগ করেছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও সোনা বানুর সঙ্গে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি ছিল ও তাঁরা কয়েক প্রজন্ম ধরে ভারতে বসবাস করছেন জেনেও প্রশাসন এই কাজ করেছে। এই ছয়জন মুসলিমের মধ্যে চারজন এখন বাড়িতে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কেন তাঁদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তার কোনো উত্তর এখনো তাঁরা পাননি।
আসামের ৩ কোটি ২০ লাখ বাসিন্দার এক-তৃতীয়াংশ মুসলিম। তাদের মধ্যে অনেকে ব্রিটিশ শাসনের সময় এখানে বসতি স্থাপনকারী অভিবাসীদের বংশধর।
আসামের বরপেটার ৬৭ বছর বয়সী মালেকা খাতুন এখনো বাংলাদেশে রয়েছেন। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটি পরিবার তাঁকে অস্থায়ী আশ্রয় দিয়েছে। তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘এখানে আমার কেউ নেই।’ তাঁর পরিবার তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পেরেছে, কিন্তু তিনি কখন ফিরতে পারবেন, তা জানেন না। তিনি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল ও রাজ্যের হাইকোর্টে মামলা হেরেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেননি, তাই তাঁকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিবিসি বরপেটা থেকে প্রায় ১৬৭ কিলোমিটার দূরে মরিগাঁওয়ের রিতা খানমের সঙ্গে কথা বলে। তিনি একটি টেবিলের কাছে বসেছিলেন, যেখানে অনেকগুলো কাগজের স্তূপ ছিল। তাঁর স্বামী খাইরুল ইসলাম (৫১), একজন স্কুলশিক্ষক। রিতা খানম জানান, সোনা বানুর সঙ্গে তাঁর স্বামী খাইরুল ইসলামকেও তুলে নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। একটি ট্রাইব্যুনাল ২০১৬ সালে তাঁকে বিদেশি ঘোষণা করেছিল। এরপর প্রায় দুই বছর তিনি একটি ডিটেনশন সেন্টারেও কাটান। সোনা বানুর মতো, তাঁর মামলাও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
রিতা খানম বলেন, ‘আমার স্বামী ভারতীয়, তাঁর প্রমাণ হিসেবে সব নথি রয়েছে।’ তিনি তাঁর স্বামীর স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার সনদপত্র ও কিছু জমির রেকর্ডও দেখান। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছে জাতীয়তা প্রমাণ করার জন্য এগুলো যথেষ্ট ছিল না।

রিতা খানম জানান, গত ২৩ মে পুলিশ তাঁদের বাড়িতে এসে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই খাইরুল ইসলামকে নিয়ে যায়। কয়েক দিন পর যখন একজন বাংলাদেশি সাংবাদিকের খাইরুল ইসলামকে নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়—তখনই পরিবার জানতে পারে তিনি কোথায় আছেন। সোনা বানুর মতো খাইরুল ইসলামকেও এখন ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁর পরিবার তাঁর ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে আসাম পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে, তাদের কাছে খাইরুল ইসলামের ফেরত আসার ‘কোনো তথ্য নেই’।
হঠাৎ বিশেষ অভিযান কেন শুরু হলো, কেনই-বা ভারতে আটক হওয়ার পরে কয়েকজনকে বাংলাদেশে দেখা গেল, তা নিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি আসাম পুলিশ।
পুলিশের মহানির্দেশকের কাছে এই বিষয়ে তথ্য চেয়ে ই-মেইল করা হয়েছে, তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার জবাব আসেনি।
সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পর, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন। যেখানে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি ঘোষিত’ কিন্তু ডিটেনশন সেন্টারে থাকা ব্যক্তিদের পুশ ব্যাক করার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘যাঁরা বিদেশি হিসেবে ঘোষিত, কিন্তু আদালতে আপিল করেননি, আমরা তাঁদের ফেরত পাঠাচ্ছি।’ তিনি দাবি করেন, যাঁদের আদালতের আপিল বিচারাধীন, তাঁদের ‘বিরক্ত করা হচ্ছে না’।
তবে আসামে নাগরিকত্ব মামলা নিয়ে কাজ করা আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া অভিযোগ করেছেন, সাম্প্রতিক অনেক ঘটনায় নিয়ম মেনে (ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বয় করে) কাজ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘যা ঘটছে তা আদালতের আদেশের ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপব্যাখ্যা।’
আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া সম্প্রতি একটি ছাত্রসংগঠনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন, যেখানে তাঁরা ‘জোরপূর্বক ও অবৈধ পুশ ব্যাক নীতি’ বন্ধ করার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের প্রথমে আসাম হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত কয়েক দিনের কথা মনে করে ভারতের আসাম রাজ্যের বরপেটা জেলার ৫৮ বছর বয়সী সোনা বানু এখনো শিউরে ওঠেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত ২৫ মে তাঁকে স্থানীয় থানায় ডেকে নেওয়া হয়। পরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে গিয়ে, সেখান থেকে তাঁকে ও আরও প্রায় ১৩ জনকে বন্দুকের মুখে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন তাঁকে এমন করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি বলে জানান সোনা বানু।
সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে একাধিক পুশ ইনের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের দাবি, তারা অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করছে। শুরুটা হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পর। ভারতের নানা রাজ্যে শুরু হয় এক বিশেষ অভিযান—‘অবৈধ বাংলাদেশি চিহ্নিত’ করার অভিযান। প্রথম অভিযানটা হয়েছিল গুজরাটে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বিষয়টি নিয়ে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ভুক্তভোগী অনেকের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি জানতে পেয়েছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সোনা বানু, সারা জীবন আসামেই বসবাস করেছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তাঁকে বারবার প্রমাণ করতে হচ্ছে, তিনি ভারতীয় নাগরিক। বাংলাদেশের ‘অবৈধ অভিবাসী’ নন। চোখের জল মুছতে মুছতে বানু বলেন, ‘বন্দুক ঠেকিয়ে আমাকে ওপারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দুদিন ধরে আমি ভারত ও বাংলাদেশের মাঝখানে, হাঁটুসমান জলের মাঠে মশার কামড় ও জোঁকের মধ্যে খাবার-পানি ছাড়া কাটিয়েছি।’ দুই দিন পর তাঁকে বাংলাদেশ সীমান্তের একটি পুরোনো জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর, তাঁকে ও আরও কয়েকজনকে বাংলাদেশি কর্মকর্তারা সীমান্তের ওপারে নিয়ে যান। পরবর্তী সময় ভারতীয় কর্মকর্তারা তাঁদের গ্রহণ করেন এবং বাড়িতে ফেরত পাঠান।
সোনা বানুকে কেন হঠাৎ বাংলাদেশে পাঠানো হলো এবং আবার কেন ফিরিয়ে আনা হলো, তা স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর ঘটনাটি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এমন একাধিক ঘটনার মধ্যে একটি। আসামের কর্তৃপক্ষ তাদের ট্রাইব্যুনাল থেকে ঘোষিত সন্দেহভাজন ‘অবৈধ বাংলাদেশি’দের ধরে নিয়ে সীমান্তে ঠেলে দিচ্ছেন। বিবিসি এমন ছয়টি ঘটনা খুঁজে পেয়েছে। ভুক্তভোগী এই মানুষজন অভিযোগ করেছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের তুলে নিয়ে সীমান্তে পাঠানো হয়েছে এবং ‘ওপারে (বাংলাদেশে) ঠেলে দেওয়া হয়েছে’।
বিবিসির পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ), আসাম পুলিশ ও রাজ্য সরকারের কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনো জবাব মেলেনি।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যার অনেক সংবেদনশীল এলাকা কড়া পাহারায় থাকা সত্ত্বেও সীমান্ত পেরোনো তুলনামূলক সহজ। তবে আইনজীবীরা বলছেন, নিয়ম মেনে আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া হঠাৎ কাউকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অন্য দেশে ঠেলে দেওয়ার ঘটনা বিরল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ধরনের ঘটনা বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে।

ভারতের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, সাম্প্রতিক অভিযানে কতজনকে ওপারে পাঠানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশি প্রশাসনের কয়েকটি উচ্চপদস্থ সূত্র দাবি করেছে, শুধু মে মাসেই ভারত ‘অবৈধভাবে’ ১ হাজার ২০০-এর বেশি মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। শুধু আসাম নয়, অন্যান্য রাজ্য থেকেও এসেছে। এই সূত্রগুলো নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ এই ১ হাজার ২০০ জনের মধ্যে ১০০ জনকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করে আবার তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব চেষ্টা রুখতে তারা সীমান্তে টহল বাড়িয়েছে। তবে ভারত বাংলাদেশ বা বিজিবির এই অভিযোগগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সাম্প্রতিক এই অভিযানে অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমরাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে আসামের পরিস্থিতি তুলনামূলক জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ, যেখানে নাগরিকত্ব আর জাতিগত পরিচয় দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির প্রধান বিষয়।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এসব সীমান্তবর্তী এলাকার অনেক মানুষই সুযোগের সন্ধানে বা ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ভারতে প্রবেশ করেন। ফলে আসামের স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে জনসংখ্যার বিন্যাস বদলে যাচ্ছে ও স্থানীয়দের সম্পদ কমে যাচ্ছে।

আসাম ও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বারবার অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যের জাতীয় নাগরিক পুঞ্জি (এনআরসি) তৈরির কাজকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এই পঞ্জিকা এমন একটি তালিকা যেখানে বলা হয়েছে, যাঁরা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের (বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার আগের দিন) মধ্যে আসামে এসেছিলেন, কেবল তাঁরাই স্থান পেয়েছেন। তালিকাটি একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে। এ ছাড়া যাঁদের নাম বাদ পড়েছিল, তাঁদের ‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল’ নামক আধা বিচারিক ফোরামে সরকারি নথি দেখিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
তবে নানান আলোচনা-সমালোচনার পর একটি বিশৃঙ্খল প্রক্রিয়ায় ২০১৯ সালে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে আসামের প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা বাদ পড়েন। তাঁদের মধ্যে অনেককে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়, অন্যরা তাঁদের বাদ পড়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। সোনা বানু জানান, তাঁর মামলাটিই সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এটা জেনেও তাঁকে জোর করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।
বিবিসি আসামের আরও ছয়জন মুসলিমের কাছ থেকে একই ধরনের কথা শুনেছে। এরা সবাই অভিযোগ করেছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও সোনা বানুর সঙ্গে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি ছিল ও তাঁরা কয়েক প্রজন্ম ধরে ভারতে বসবাস করছেন জেনেও প্রশাসন এই কাজ করেছে। এই ছয়জন মুসলিমের মধ্যে চারজন এখন বাড়িতে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কেন তাঁদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তার কোনো উত্তর এখনো তাঁরা পাননি।
আসামের ৩ কোটি ২০ লাখ বাসিন্দার এক-তৃতীয়াংশ মুসলিম। তাদের মধ্যে অনেকে ব্রিটিশ শাসনের সময় এখানে বসতি স্থাপনকারী অভিবাসীদের বংশধর।
আসামের বরপেটার ৬৭ বছর বয়সী মালেকা খাতুন এখনো বাংলাদেশে রয়েছেন। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটি পরিবার তাঁকে অস্থায়ী আশ্রয় দিয়েছে। তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘এখানে আমার কেউ নেই।’ তাঁর পরিবার তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পেরেছে, কিন্তু তিনি কখন ফিরতে পারবেন, তা জানেন না। তিনি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল ও রাজ্যের হাইকোর্টে মামলা হেরেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেননি, তাই তাঁকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিবিসি বরপেটা থেকে প্রায় ১৬৭ কিলোমিটার দূরে মরিগাঁওয়ের রিতা খানমের সঙ্গে কথা বলে। তিনি একটি টেবিলের কাছে বসেছিলেন, যেখানে অনেকগুলো কাগজের স্তূপ ছিল। তাঁর স্বামী খাইরুল ইসলাম (৫১), একজন স্কুলশিক্ষক। রিতা খানম জানান, সোনা বানুর সঙ্গে তাঁর স্বামী খাইরুল ইসলামকেও তুলে নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। একটি ট্রাইব্যুনাল ২০১৬ সালে তাঁকে বিদেশি ঘোষণা করেছিল। এরপর প্রায় দুই বছর তিনি একটি ডিটেনশন সেন্টারেও কাটান। সোনা বানুর মতো, তাঁর মামলাও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
রিতা খানম বলেন, ‘আমার স্বামী ভারতীয়, তাঁর প্রমাণ হিসেবে সব নথি রয়েছে।’ তিনি তাঁর স্বামীর স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার সনদপত্র ও কিছু জমির রেকর্ডও দেখান। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছে জাতীয়তা প্রমাণ করার জন্য এগুলো যথেষ্ট ছিল না।

রিতা খানম জানান, গত ২৩ মে পুলিশ তাঁদের বাড়িতে এসে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই খাইরুল ইসলামকে নিয়ে যায়। কয়েক দিন পর যখন একজন বাংলাদেশি সাংবাদিকের খাইরুল ইসলামকে নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়—তখনই পরিবার জানতে পারে তিনি কোথায় আছেন। সোনা বানুর মতো খাইরুল ইসলামকেও এখন ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁর পরিবার তাঁর ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে আসাম পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে, তাদের কাছে খাইরুল ইসলামের ফেরত আসার ‘কোনো তথ্য নেই’।
হঠাৎ বিশেষ অভিযান কেন শুরু হলো, কেনই-বা ভারতে আটক হওয়ার পরে কয়েকজনকে বাংলাদেশে দেখা গেল, তা নিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি আসাম পুলিশ।
পুলিশের মহানির্দেশকের কাছে এই বিষয়ে তথ্য চেয়ে ই-মেইল করা হয়েছে, তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার জবাব আসেনি।
সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা শুরু হওয়ার কয়েক দিন পর, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন। যেখানে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি ঘোষিত’ কিন্তু ডিটেনশন সেন্টারে থাকা ব্যক্তিদের পুশ ব্যাক করার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘যাঁরা বিদেশি হিসেবে ঘোষিত, কিন্তু আদালতে আপিল করেননি, আমরা তাঁদের ফেরত পাঠাচ্ছি।’ তিনি দাবি করেন, যাঁদের আদালতের আপিল বিচারাধীন, তাঁদের ‘বিরক্ত করা হচ্ছে না’।
তবে আসামে নাগরিকত্ব মামলা নিয়ে কাজ করা আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া অভিযোগ করেছেন, সাম্প্রতিক অনেক ঘটনায় নিয়ম মেনে (ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বয় করে) কাজ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘যা ঘটছে তা আদালতের আদেশের ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপব্যাখ্যা।’
আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া সম্প্রতি একটি ছাত্রসংগঠনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন, যেখানে তাঁরা ‘জোরপূর্বক ও অবৈধ পুশ ব্যাক নীতি’ বন্ধ করার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের প্রথমে আসাম হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

সোনা বানু, সারা জীবন আসামেই বসবাস করেছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তাঁকে বারবার প্রমাণ করতে হচ্ছে, তিনি ভারতীয় নাগরিক। বাংলাদেশের ‘অবৈধ অভিবাসী’ নন।
০৫ জুন ২০২৫
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

সোনা বানু, সারা জীবন আসামেই বসবাস করেছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তাঁকে বারবার প্রমাণ করতে হচ্ছে, তিনি ভারতীয় নাগরিক। বাংলাদেশের ‘অবৈধ অভিবাসী’ নন।
০৫ জুন ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সোনা বানু, সারা জীবন আসামেই বসবাস করেছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তাঁকে বারবার প্রমাণ করতে হচ্ছে, তিনি ভারতীয় নাগরিক। বাংলাদেশের ‘অবৈধ অভিবাসী’ নন।
০৫ জুন ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

সোনা বানু, সারা জীবন আসামেই বসবাস করেছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তাঁকে বারবার প্রমাণ করতে হচ্ছে, তিনি ভারতীয় নাগরিক। বাংলাদেশের ‘অবৈধ অভিবাসী’ নন।
০৫ জুন ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে