Ajker Patrika

পররাষ্ট্রনীতিতে উচ্চাকাঙ্ক্ষার তুলনায় দপ্তরের পরিধি বাড়াতে পারেনি ভারত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯: ৪২
পররাষ্ট্রনীতিতে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়লেও তা মেটাতে কর্মীবাহিনী তৈরি করতে পারেনি ভারত। ছবি: সংগৃহীত
পররাষ্ট্রনীতিতে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়লেও তা মেটাতে কর্মীবাহিনী তৈরি করতে পারেনি ভারত। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত। ভৌগোলিক অবস্থানসহ নানা কারণেই বর্তমান বিশ্বে ভারতের আলাদা অবস্থান আছে। সেই অবস্থানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়লেও দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর বা বিভাগের লোকবল সেই অর্থে বাড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন দিল্লিভিত্তিক থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক প্রোগ্রেসের (সিএসইপি) ফরেন পলিসি অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো কনস্টান্টিনো জেভিয়ার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে গ্লোবাল ভারতের ২০২৫ সালের ফেডারেল বাজেট এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর এর প্রভাব নিয়ে কনস্টান্টিনো জেভিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছে। সাক্ষাৎকারে ভারতের কূটনৈতিক সক্ষমতা এবং এর ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মূল উদ্বেগগুলো তুলে ধরেছেন জেভিয়ার।

জেভিয়ার ভারতের কূটনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও বর্তমান কূটনৈতিক সক্ষমতা বা কাঠামোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান ফারাকের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্র নীতির উচ্চাকাঙ্ক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে বিস্তৃত হয়েছে, কিন্তু ফরেন সার্ভিস বা পররাষ্ট্র বিভাগের আকার প্রায় স্থিরই রয়ে গেছে। দেশের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য মাত্র প্রায় ১ হাজার কর্মকর্তা রয়েছেন।’

ভারতের বৈশ্বিক প্রভাব বৃদ্ধির এই প্রেক্ষাপটে এই অসামঞ্জস্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ বলে মনে করেন জেভিয়ায়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ভারতের অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে একটি বৃহত্তর ও আরও দক্ষ কূটনৈতিক কর্মীবাহিনী অপরিহার্য।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের বর্তমান কূটনৈতিক বাহিনীর আকার কৌশলগত প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়, বিশেষ করে দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে।’

জেভিয়ার আরও বলেন, ‘ভারতের বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ফরেন সার্ভিসের আকার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো দরকার। আমি সুপারিশ করব, আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এর পরিমাণ তিন গুণ বৃদ্ধি করা উচিত।’ তিনি বলেন যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া ভারত তার বৈশ্বিক সম্ভাবনা অর্জনে পিছিয়ে পড়তে পারে।

কূটনৈতিক সক্ষমতার এই ঘাটতি পূরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জেভিয়ার বলেন, ‘যদি ভারত তার ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অবস্থানকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে চায়, তবে ভারতের ফরেন সার্ভিসের পরিধি তার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাবের প্রতিফলন ঘটানোর জন্য বিকশিত হওয়া প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত