Ajker Patrika

আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে কে—২০ বছর পর আসামিদের খালাস পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৪
ভারত কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই নিঠারি হত্যাকাণ্ড। ছবি: ইন্ডিয়া ডট কম
ভারত কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই নিঠারি হত্যাকাণ্ড। ছবি: ইন্ডিয়া ডট কম

২০০৬ সাল। দিল্লির অদূরে নয়ডার এক বাংলোর পাশের নর্দমায় পাওয়া গেল হাড় ও দেহাংশ। এরপর আরও তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হলো প্রায় ১৯ জন নারী-শিশুর কঙ্কাল ও দেহাংশ। আটক করা হয় ওই বাংলোর মালিক ও গৃহকর্মীকে। প্রকাশ্যে আসে প্রায় দুই বছর ধরে নিঠারি বস্তি থেকে একের পর এক শিশু ও নারী নিখোঁজের তথ্য। এই ঘটনা নাড়িয়ে দেয় পুরো ভারতকে।

নয়ডার এই বাংলো বাড়ির সামনের নর্দমায় মিলেছিল ১৯ নারী-শিশুর কঙ্কাল-দেহাংশ। ছবি: এএফপি।
নয়ডার এই বাংলো বাড়ির সামনের নর্দমায় মিলেছিল ১৯ নারী-শিশুর কঙ্কাল-দেহাংশ। ছবি: এএফপি।

বাংলোর মালিক মনিন্দর সিং পান্ধের ও গৃহকর্মী সুরিন্দর কোলির বিরুদ্ধে হত্যা, নরমাংস ভক্ষণ ও মৃতদেহের প্রতি বিকৃত আচরণের অভিযোগ ওঠে। ১৩টি মামলা হয় তাদের বিরুদ্ধে। আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকারও করেন তারা। কারাগারে ঠাঁই হয় তাদের। দুইজনকেই ধর্ষণ ও হত্যার দণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় বছরের পর বছর কাটতে থাকে তাদের।

এর প্রায় ২০ বছর পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে ‘নিঠারি হত্যাকাণ্ড’।

২০০৬ সালে ডিসেম্বরে হওয়া ওই মামলায় তথ্যপ্রমাণের অপর্যাপ্ততা উল্লেখ করে মালিক মনিন্দরকে ২০২৩ সালে খালাস করা হয়। এবার একই কারণ দেখিয়ে গত ১২ নভেম্বর বেকসুর খালাস দেওয়া হলো গৃহকর্মী সুরিন্দরকে। আদালতে সুরিন্দর দাবি করেন, নির্যাতন করে তাদের স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল। এই দাবিকে গ্রাহ্য করে এবং তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় খালাস পান তিনি।

বাংলোর মালিক মনিন্দর সিং পান্ধের ও গৃহকর্মী সুরিন্দর কোলি। ছবি: দ্য হিন্দু
বাংলোর মালিক মনিন্দর সিং পান্ধের ও গৃহকর্মী সুরিন্দর কোলি। ছবি: দ্য হিন্দু

এই বেকসুর খালাস পাওয়ার খবরে নিঠারিবাসীর মনে এখন একটাই প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে, ‘যদি মনিন্দর আর সুরিন্দর দোষী না-ই হয়, তাহলে আমাদের সন্তানদের হত্যা করল কে?’

নিঠারির বাসিন্দারা সমাজের হতদরিদ্র বা দিনমজুর সমাজের মানুষ। এই বিভীষিকা ভুলতে নিঠারি বস্তি ছেড়ে অনত্র চলে গিয়েছেন অনেকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে কিছু বলার মতো বা মামলায় লড়াই করার মতোও তাদের এখন আর সামর্থ্যে কুলাচ্ছে না।

২০০৫ সালের গ্রীষ্মে নিখোঁজ হয় নিঠারির বাসিন্দা ১০ বছর বয়সী জ্যোতি। নয়ডার ওই বাংলোর পাশে পাওয়া কঙ্কাল ও দেহাংশর ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় জ্যোতিও এই হত্যাকাণ্ডের শিকার। রায় শুনে তার মা সুনীতা কানৌজিয়া অশ্রুসজল চোখে প্রশ্ন করেন, ‘তারা যদি নির্দোষই হয়ে থাকে, তাহলে কেন ১৮ বছর জেলে থাকতে হলো? তিনি বলতে থাকেন, ‘যারা আমার জ্যোতিকে হত্যা করেছে, ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করবেন না।’

জ্যোতির বাবা ঝাব্বু লাল কানৌজিয়া এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে শুরু থেকে সাহায্য করেছিলেন। সুরিন্দরের খালাসের খবর শুনে হতাশায় ভেঙে পড়েন তিনি। এত বছর ধরে মামলার জন্য সংগ্রহ করা সব তথ্যপ্রমাণ জ্বালিয়ে দেন।

৮ বছর বয়সী রচনা নিখোঁজের অভিযোগ না নিয়ে পুলিশ বলে, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। ছবি: রচনার বাবা পাপ্পু লাল/বিবিসি
৮ বছর বয়সী রচনা নিখোঁজের অভিযোগ না নিয়ে পুলিশ বলে, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। ছবি: রচনার বাবা পাপ্পু লাল/বিবিসি

মেয়ের নিখোঁজের পর ১৫ মাস ধরে নিয়মিত থানায় ধরনা দিয়েছেন ঝাব্বু লাল। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ সংগ্রহ করতে বছরের পর বছর মনিন্দরের বাংলোর পাশে কাপড় ইস্ত্রি করার কাজ করেছেন তিনি।

ঝাব্বু লাল বলেন, ‘কেউ হারিয়ে গেলে আর কিছু করার থাকে না। এটা সারাজীবনের ক্ষত হয়ে থেকে যায়। আর যন্ত্রণা দিয়ে যায়। সবসময় মাথায় ঘুরতে থাকে, তারা কোথায় আছে, কেমন আছে?’

তাঁর মনে এখন বারবার এই প্রশ্নই আসে, ‘যদি তারা দোষী না হয়, তাহলে দোষী কে? আর আমাদের সন্তানদের ভাগ্যে তখন কি ঘটেছিল?’

দোষী সাব্যস্ত দুজনেরই এমনভাবে মুক্তি মানসিক শান্তি কেড়ে নিয়েছে জ্যোতির বাবা ঝাব্বু লালের। পুরনো ক্ষতগুলো আবারও যেন রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘আর কোনো লড়াই বাকি আছে কি না জানি না। আমি এক বৃদ্ধ মানুষ। ভেঙে পড়েছি আমি।’

সুরিন্দরকে খালাসের আদেশে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘নিঠারিতে সংঘটিত অপরাধগুলো ছিল নৃশংস। পরিবারগুলোর যন্ত্রণার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা করা যায় না।’

২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়ার পর বাংলোর মালিক মনিন্দর সিং পান্ধের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। অন্যদিকে গৃহকর্মী সুরিন্দর কোলি কারাগার থেকে বের হওয়ার পর থেকে একবারও প্রকাশ্যে আসেননি। এ নিয়ে কোনো মন্তব্যও করেননি।

সুরিন্দরের খালাসের রায় দেওয়ার সময় বিচারকেরা বলেন, তার স্বীকারোক্তি থেকে ‘মনে হচ্ছিল, তাকে টিউটর করা হচ্ছে।’ হেফাজতে রাখার ৬০ দিন পর এই জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল।

তার বিরুদ্ধে উপস্থাপিত সব প্রমাণই ছিল সাজানো বলে দাবি করেন তার আইনজীবী যুগ মোহিত চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘১৯ বছর পার হয়েছে। যে ১৩টি মামলায় সুরিন্দরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ১২টিতেই তিনি ইতিমধ্যে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। একটি মামলা বাকি ছিল, যাতে পাঁচটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।’

সুরিন্দরের আইনজীবী পিটিআইকে বলেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলায় আগের চার-পাঁচটি রায়ও বাতিল করে দিয়েছে। অভিযোগগুলো ছিল অত্যন্ত গুরুতর, কিন্তু সব প্রমাণই সাজানো ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য এই অসহায় মানুষটিকে ফাঁসানো হয়েছিল। প্রতিটি প্রমাণ ছিল জাল। একটি প্রমাণও এমন ছিল না যা দিয়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যেত।’

যুগ মোহিত চৌধুরী আরও বলেন, ‘আপনাদের এ প্রশ্ন সিবিআইকে (ফেডারেল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) করা উচিত। কারণ এটা স্পষ্ট, সিবিআই আসল অপরাধী কে সেটা জানার পরও নির্দোষ মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ তৈরি করে ফাঁসিয়েছে। সিবিআইকে এই প্রশ্নগুলো করুন।’

আদেশে তদন্তকারীরা তদন্তের নির্দেশনা অনুসরণ করেননি উল্লেখ করে আদালতও পুলিশ এবং তদন্ত সংস্থাগুলোকে সমালোচনা করেন। আদেশে বলা হয়, তদন্তকারীরা ‘সহজ পথ বেছে নিয়ে বাড়ির দরিদ্র গৃহকর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছেন এবং তাকে ভয়ংকর রূপে উপস্থাপন করেছেন।’

জ্যোতির বাবা ঝাব্বু লাল বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত এমন পুলিশকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হবে না, ততক্ষণ আমরা ন্যায়ের সন্ধান পাব না।’

অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের কাছে নিঠারির নিখোঁজ শিশু বিশেষ করে মেয়েদের অভিভাবকেরা যতবারই গিয়েছিলেন, তারা একই উত্তর দিয়েছেন যে তাদের মেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে।

নিঠারির বাসিন্দা পাপ্পু লালের মেয়ে রচনা ২০০৬ সালের ১০ এপ্রিল দাদা-দাদীকে দেখতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। পাপ্পু লাল জানান, মনিন্দরের বাংলোর দুই বাড়ি পরে থাকতেন রচনার দাদা-দাদি। ৮ বছরের ওই শিশুটির খোঁজ না পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ বলে, তাদের মেয়ে হয়তো প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে।

রচনার খোঁজে অন্যান্য শহর ও রাজ্যে গিয়েছেন পাপ্পু লাল। এর তাঁর এই খোঁজের অবসান ঘটে আট মাস পর, মনিন্দরের বাংলোর পেছনের গলি থেকে রচনার কাপড় ও জুতো উদ্ধারের মাধ্যমে।

পাপ্পু লাল বলেন, ‘যদি পুলিশ সময়মতো পদক্ষেপ নিত, রচনাকে বাঁচানো যেত। আরও অনেক শিশুকেও বাঁচানো যেত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখনো সেই দিনগুলো ভুলতে পারছি না। আমি পুলিশে গিয়ে নতুন অভিযোগ করব। তাদের খুঁজে বের করতে হবে, আমাদের সন্তানদের কে হত্যা করেছে।’

ন্যায়বিচারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের লড়াই এখন সরকারের সঙ্গে। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদেরও আছে। আমাদের সন্তানরা কি ভারতের সন্তান নয়?’

তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সহায়তা করে আসা বেটার ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন চ্যারিটির অনুপম নাগোলিয়া মনে করছেন, এখন আর এই পরিবারগুলোর লড়াইয়ের পথ নেই। তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ বেঞ্চ থেকে রায়টি এসেছে। এখন তাদের আপিল করার মতো আর কোনো জায়গা আমি দেখি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর হারানোর সদস্যদের কথা মনে করে কাঁদা ও শোক পালন করা আর কিছুই করার নেই।’

তবে কিছু আইন বিশেষজ্ঞ বলছেন, পরিবারগুলোর সামনে এখনো একটি শেষ বিকল্প আছে। তারা সুপ্রিম কোর্টে পুনরায় তদন্তের নির্দেশনার জন্য আবেদন করতে পারে।

অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি মদন লোকুর বলেন, ‘এই পথেও ফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ এতটা দিন পেরিয়ে গেছে। প্রমাণগুলো নিশ্চয়ই হারিয়ে গেছে। আর পুনরায় তদন্তের সম্ভাবনাও কার্যত অসম্ভব।’

আর নয়ডার ওই বাংলো এখন যেন পরিণত হয়েছে ‘হরর হাউস’-এ। ইট ও কাদামাটি দিয়ে দেয়াল তৈরি করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রবেশদ্বার। বোগেনভেলিয়া গাছের জঙ্গলে ছেয়ে গেছে স্যাঁতসেঁতে দেয়ালগুলো। গোলাপি বোগেনভেলিয়ায় সেজে থাকা পরিত্যক্ত বাংলোর পাশের সেই নর্দমায় এখনো ভেসে বেড়াচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যাগ-বোতল-কাদা আর বাতাসে তীব্র দুর্গন্ধ।

২০০৬ সালে ডিসেম্বরের তীব্র শীতের দিনে এই নর্দমায় আরও অনেকের সঙ্গে কঙ্কাল, হাড় ও দেহাংশ উদ্ধারের জন্য নেমেছিলেন জ্যোতির বাবা ঝাব্বুলাল। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত খুলি ছিল ১৯টির চেয়েও অনেক বেশি।

সূত্র: বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসরায়েল কেন প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসরায়েলের স্বীকৃতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে সোমালিল্যান্ড। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলের স্বীকৃতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে সোমালিল্যান্ড। ছবি: এএফপি

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।

এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৫ সালের সেরা সিইও কে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: দ্য ইকোনমিস্ট
ছবি: দ্য ইকোনমিস্ট

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।

তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।

এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।

তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এবার ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক—কী আছে সর্বশেষ ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সিএনএন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সিএনএন

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।

এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।

প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।

এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।

অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।

সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।

যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।

এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪০ শতাংশ জার্মান মনে করেন মার্জের সরকার টিকবে না

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ। ছবি: এএফপি
জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ। ছবি: এএফপি

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।

২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।

জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।

ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।

অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।

জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।

জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত