আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সময়টা ১৯৭৬ সালের নভেম্বরের এক শীতের রাত। সবাই দৌড়ে পালাচ্ছিল। কেউ জঙ্গলের দিকে, কেউ আশপাশের গ্রামে, কেউ বা সরকারি কর্মকর্তাদের ভয়ে লুকিয়ে পড়ছিল কুয়োর ভেতর। তবে মোহাম্মদ দীনু ছিলেন স্থির। উত্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের মেওয়াট অঞ্চলের উত্তাওয়ার গ্রামের বাসিন্দা তিনি। রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরের এই গ্রাম। ১৯৭৬ সালের নভেম্বরের সেই ঠান্ডা রাতে পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। তাদের ওপর নির্দেশ ছিল, গ্রামের সব প্রজননক্ষম বয়স্ক পুরুষকে মাঠে জমায়েত করতে হবে।
সে সময় ভারত দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঘোষিত জাতীয় জরুরি অবস্থার ১৭ মাস পার হচ্ছিল। ওই সময়ে দেশের সব নাগরিক স্বাধীনতা কার্যত স্থগিত ছিল। হাজার হাজার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিচার ছাড়াই জেলে পাঠানো হয়েছিল। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। বিশ্বব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহযোগিতায় শুরু হয়েছিল ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত ‘জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি।’
মোহাম্মদ দীনু এবং তাঁর আরও ১৪ জন বন্ধু এই কর্মসূচির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অব্যবস্থাপনা আর অযত্নে ভরা বন্ধ্যাকরণ শিবিরে। দীনুর চোখে এটি ছিল এক ধরনের ‘ত্যাগ’, যা নাকি গ্রামের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করেছে।
বর্তমানে ফিরে এসে ভাঙাচোরা একটি খাটে বসে ৯০ বছর বয়সী দীনু সেই দিনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘সবাই যখন নিজেদের বাঁচাতে দৌড়াচ্ছিল, গ্রামের কিছু বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ বুঝেছিলেন, কেউ ধরা না পড়লে আরও বড় বিপদ আসবে। তাই গ্রামের কিছু পুরুষকে একত্র করে হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের ত্যাগের মাধ্যমে এই গ্রামকে বাঁচিয়েছি। চারপাশে দেখো, আজ গ্রামের প্রতিটি কোনায় আল্লাহর দেওয়া শিশুরা দৌড়ে বেড়াচ্ছে।’
বিশ্বের ‘বৃহত্তম গণতন্ত্র’ বলে দাবি করা ভারত আজ থেকে ৫০ বছর আগে, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন যে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, সেই দিনের বার্ষিকী পালন করছে। আর উত্তাওয়ারে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণের শিকার পুরুষদের মধ্যে এখন বেঁচে আছেন একমাত্র মোহাম্মদ দীনু।
১৯৭৫ সালের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত চলা জরুরি অবস্থার সময়, ভারতে ৮০ লাখের বেশি পুরুষকে জোরপূর্বক ভ্যাসেক্টমি বা বন্ধ্যাকরণের মধ্যে দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। শুধু ১৯৭৬ সালেই এই সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ। অব্যবস্থাপনার কারণে অন্তত ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও সেই ক্ষত এখনো রয়ে গেছে উত্তাওয়ারে। ভারত স্বাধীনতার মাত্র পাঁচ বছর পর, ১৯৫২ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গ্রহণ করে। তখন সরকার শুধু নিরুৎসাহিত করতে চেয়েছিল দুই সন্তানের বেশি না নিতে।
কিন্তু ১৯৬০-এর দশকে, যখন ভারতের নারীদের গড় সন্তানসংখ্যা ছিল নারীপ্রতি প্রায় ৬ জন, তখন ইন্দিরা গান্ধীর সরকার আরও কঠোর অবস্থান নিতে শুরু করে। জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে দেশের অর্থনীতির জন্য বোঝা মনে করা হতো। কারণ, স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গড় হার ছিল মাত্র ৪ শতাংশ।
পাশ্চাত্যও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। বিশ্বব্যাংক ভারতের জন্য ৬৬ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচির জন্য। যুক্তরাষ্ট্রও দুর্ভিক্ষে কাতর ভারতের জন্য খাদ্য সাহায্য নির্ভর করে রাখে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের সাফল্যের ওপর।
কিন্তু জরুরি অবস্থার সময়, যখন সব গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল, তখন ইন্দিরা গান্ধীর সরকার পুরোপুরি লাগামছাড়া হয়ে পড়ে। সরকার ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর ছিল বন্ধ্যাকরণের নির্দিষ্ট কোটা পূরণের চাপ। কোটা পূরণ না করলে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হতো, চাকরি হারানোর হুমকি দেওয়া হতো। এমনকি যারা রাজি হতো না, সেই সব গ্রামের পানি-সেচও বন্ধ করে দেওয়া হতো।
এই বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচির বিরোধিতা যারা করেছিলেন, তাদের ওপরও নেমে এসেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর হামলা। সেই হামলার শিকার হয়েছিল উত্তাওয়ার গ্রামও। ওই গ্রামে মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ থাকতেন। সে সময় ভারতে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধি হার অন্যদের তুলনায় বেশি ছিল। যে কারণে তাদের ওপর বিশেষ নজর পড়েছিল এই গণ-বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচির আওতায়।
দীনুর বাড়ির পাশের গলিতে থাকতেন মোহাম্মদ নূর। তখন তিনি কেবল ১৩ বছরের কিশোর, বাবার কোলে বাড়ির সামনে খাটিয়ায় ঘুমাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ঘোড়ায় চড়ে কিছু পুলিশ সদস্যসহ নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে হানা দেয়। তাঁর বাবা দৌড়ে পাশের জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যান, নূর ভয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে।
সে দিনের স্মৃতিচারণ করে নূর বলেন, ‘তারা দরজা-জানালা সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দেয়, যা সামনে পেয়েছে সবকিছু ধ্বংস করেছে। আমাদের দুর্ভোগ বাড়াতে, তারা আটা-চালে বালি মিশিয়ে দেয়। পরের চার দিন গ্রামের কোনো ঘরেই রান্না হয়নি।’ পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে স্থানীয় থানায় মারধর করে। তবে তখন তাঁর বয়স ১৫ বছরের কম হওয়ায়, বন্ধ্যাকরণের জন্য তাকে অযোগ্য বিবেচনা করে ছেড়ে দেয়।
গ্রামবাসীরা ওই রাতকে এখনো ‘ভয়ের রাত’ নামে স্মরণ করে। ওই রাত থেকেই জন্ম নেয় উত্তাওয়ারের স্থানীয় লোককথা, যার কেন্দ্রীয় চরিত্র তৎকালীন গ্রামপ্রধান আব্দুর রহমান। এই বিষয়ে নূরের বন্ধু ৬৩ বছর বয়সী তাজাম্মুল বলেন, ‘গ্রামের বাইরের লোকেরা হয়তো তাঁর নাম ভুলে গেছে, কিন্তু আমরা কেউ ভুলিনি।’
তাজাম্মুল জানান, উত্তাওয়ারে অভিযান চালানোর আগে বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা এসে আব্দুর রহমানকে অনুরোধ করেন কিছু পুরুষকে তাদের হাতে তুলে দিতে। তিনি বলেন, ‘কিন্তু তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে তাদের প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেছিলেন, আমি কোনো পরিবারের সদস্যকে এই অবস্থায় দিতে পারব না।’ স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী, আব্দুর রহমান তখন সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘আমি আমার এলাকা থেকে একটা কুকুরও দেব না, আর তোমরা মানুষের দাবি করছ! সেটা কখনোই হবে না!’
তবে আব্দুর রহমানের এই দৃঢ় মনোভাবও শেষ পর্যন্ত তাঁর গ্রামকে বাঁচাতে পারেনি। পুলিশের অভিযান শেষে গ্রাম শোকের আবহে ডুবে গিয়েছিল। এই বিষয়ে নূর বলেন, ‘যারা পালিয়ে গিয়েছিল, বা যাদের পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তারা সপ্তাহের পর সপ্তাহ ফেরেনি। উত্তাওয়ার যেন কবরস্থানে পরিণত হয়েছিল, নিস্তব্ধতা ছাড়া আর কিছুই ছিল না।’
এরপরের বছরগুলোতে এই ঘটনার পরিণতি আরও বেশি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। আশপাশের গ্রামের লোকেরা উত্তাওয়ারের ছেলেদের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হতেন না। এমনকি যারা বন্ধ্যাকৃতও হয়নি তাদের সঙ্গেও নয়। কেউ কেউ বিদ্যমান বাগদানও ভেঙে দেয়। কাসিম নামে স্থানীয় এক সমাজকর্মী বলেন, ‘অনেকেই ওই মানসিক আঘাত থেকে আর কোনো দিনই বেরিয়ে আসতে পারেননি। দুশ্চিন্তা, ভীতি আর সামাজিক কলঙ্কে তারা ধীরে ধীরে ভেঙে পড়েন, অনেকের জীবন দ্রুতই শেষ হয়ে যায়।’
আজকের দিনে ভারতে কোনো জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি নেই। দেশের গড় প্রজনন হার এখন দুইয়ের কিছু বেশি। কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, জরুরি অবস্থার সময় যে ভীতি আর দমন-পীড়নের পরিবেশ ছিল, সেটাই নতুন রূপে ফিরে এসেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে।
ভারতের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ৭৫ বছর বয়সী শিব বিশ্বনাথন মনে করেন, ‘জরুরি অবস্থার মাধ্যমে ভারতে কর্তৃত্ববাদ আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।’ ১৯৭৫ সালের ১২ জুন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয় যে, ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭১ সালের নির্বাচন জিততে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করেছেন। আদালত তাঁকে ছয় বছরের জন্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ করে। মাত্র ১৩ দিন পর ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথন আল-জাজিরাকে বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদকে স্বাভাবিক করে তোলার যে প্রক্রিয়া, সেটাই জরুরি অবস্থার জন্ম দিয়েছিল, কোনো অনুতাপ ছিল না। আসলে, জরুরি অবস্থাই আজকের ভারতের আরও অনেক “জরুরি অবস্থার” বীজ রোপণ করেছে। এটিই আধুনিক ভারতের কর্তৃত্ববাদী ভিত।’
ইন্দিরা গান্ধীর ভক্তরা তাঁকে কখনো হিন্দু দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করতেন। শব্দের খেলায় তাঁকে ভারতের সঙ্গেও এক করে দেখা হতো—ঠিক যেমন এখন নরেন্দ্র মোদীর সমর্থকেরা তাকে হিন্দু ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে তুলনা করেন। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ব্যক্তিপূজার সংস্কৃতি যখন বাড়তে থাকে, তখন দেশবাসীর বাস্তবতা বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে যায় বলে মনে করেন সমাজবিদ শিব বিশ্বনাথন। তিনি বলেন, ‘ইমার্জেন্সির মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদ শাসনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।’
বিশ্বনাথনের মতে, ১৯৭৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটলেও, তার পর থেকেই ভারত ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ কর্তৃত্ববাদের দিকে এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত—প্রত্যেকেই কিছু না কিছু করে দেশটাকে একনায়কতন্ত্রের দিকে ঠেলে দিয়েছেন, যদিও বাইরের মুখে সবাই গণতন্ত্রের কথা বলেছেন।’
২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূচকে ভারতের গণতন্ত্রের অবস্থা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে। বিরোধী নেতাদের কারাবন্দী করা, সাংবাদিকদের হয়রানি এবং বাক্স্বাধীনতার ওপর নানা বিধিনিষেধ এর জন্য দায়ী।
ভারতে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করা সংগঠন ‘ফ্রি স্পিচ কালেকটিভের’ সহপ্রতিষ্ঠাতা গীতা শেঠু বলেন, জরুরি অবস্থার সময়ের সঙ্গে আজকের ভারতের মিল হলো মূলধারার সংবাদমাধ্যমের আত্মসমর্পণের জায়গাটিতে। তিনি বলেন, ‘তখন আইন করে নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, আর এখন আইনের অপব্যবহার করে সেটা করা হচ্ছে। তখনকার সেই ভয়, আত্মনিয়ন্ত্রণ—আজও বিদ্যমান, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়নি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিম আলীর মতে, জরুরি অবস্থার সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো—যখন কোনো নেতৃত্ব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও ক্ষমতাশালী হয়, তখন কীভাবে দেশের সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। তবে জরুরি অবস্থার আরেকটি বড় শিক্ষা হলো—এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সফল আন্দোলন। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধী এবং তাঁর কংগ্রেস দলকে হারিয়ে দিয়েছিল বিরোধীরা। তাদের নির্বাচনী প্রচারে সরকারের অমানবিক কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে গণ-বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি ছিল বড় ইস্যু।
আসিম আলী বলেন, ‘সত্তরের দশকের মতোই, এখন দেখার বিষয় হলো, মোদির পরে ভারতীয় গণতন্ত্র আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না।’
১৯৭৬ সালের নভেম্বরে দীনু যখন পুলিশের ভ্যানে বসেছিলেন, তখন তাঁর মনে শুধু তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সালিমার কথাই ঘুরছিল। সালিমা তখন বাড়িতে ছিলেন। দীনু বলেন, ‘অনেক পুরুষ, যাদের বিয়ে হয়নি বা সন্তান ছিল না, তারা পুলিশের কাছে অনুরোধ করছিলেন ছেড়ে দেওয়ার জন্য।’ কিন্তু দীনুর ১৪ জন বন্ধুর কাউকেই ছাড়া হয়নি। দীনু বলেন, ‘নাসবন্দি (বন্ধ্যাকরণ) এমন এক অভিশাপ, যা সেই সময় থেকে উত্তাওয়ার গ্রামের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।’
ধরে নিয়ে যাওয়ার ৮ দিন পর পুলিশ হেফাজতে দীনুকে পাশের শহর পালওয়ালের একটি বন্ধ্যাকরণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর অপারেশন করা হয়। এক মাস পর দীনু যখন অপারেশনের পর বাড়ি ফেরেন, তখন সালিমা তাদের একমাত্র সন্তানের জন্ম দেন। আজ দীনুর তিন নাতি ও বেশ কয়েকজন পৌত্র-প্রপৌত্র রয়েছে।
দীনু হেসে বলেন, ‘এই গ্রামকে আমরাই বাঁচিয়েছি। না হলে ইন্দিরা তো পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দিতেন।’ ২০২৪ সালে সালিমা দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মারা যান। দীনু এখনো বেঁচে আছেন এবং নিজের দীর্ঘজীবনের জন্য বেশ গর্বিত। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ঠাকুরদার সঙ্গে খেলেছি, এখন আমার প্রপৌত্রদের সঙ্গে খেলছি।’ প্লাস্টিকের কাপ থেকে ঠান্ডা সোডা পান করতে করতে দীনু বলেন, ‘সাত পুরুষ! এমন সৌভাগ্য কয় জনেরই বা হয়?’

সময়টা ১৯৭৬ সালের নভেম্বরের এক শীতের রাত। সবাই দৌড়ে পালাচ্ছিল। কেউ জঙ্গলের দিকে, কেউ আশপাশের গ্রামে, কেউ বা সরকারি কর্মকর্তাদের ভয়ে লুকিয়ে পড়ছিল কুয়োর ভেতর। তবে মোহাম্মদ দীনু ছিলেন স্থির। উত্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের মেওয়াট অঞ্চলের উত্তাওয়ার গ্রামের বাসিন্দা তিনি। রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরের এই গ্রাম। ১৯৭৬ সালের নভেম্বরের সেই ঠান্ডা রাতে পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। তাদের ওপর নির্দেশ ছিল, গ্রামের সব প্রজননক্ষম বয়স্ক পুরুষকে মাঠে জমায়েত করতে হবে।
সে সময় ভারত দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঘোষিত জাতীয় জরুরি অবস্থার ১৭ মাস পার হচ্ছিল। ওই সময়ে দেশের সব নাগরিক স্বাধীনতা কার্যত স্থগিত ছিল। হাজার হাজার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিচার ছাড়াই জেলে পাঠানো হয়েছিল। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। বিশ্বব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহযোগিতায় শুরু হয়েছিল ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত ‘জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি।’
মোহাম্মদ দীনু এবং তাঁর আরও ১৪ জন বন্ধু এই কর্মসূচির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অব্যবস্থাপনা আর অযত্নে ভরা বন্ধ্যাকরণ শিবিরে। দীনুর চোখে এটি ছিল এক ধরনের ‘ত্যাগ’, যা নাকি গ্রামের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করেছে।
বর্তমানে ফিরে এসে ভাঙাচোরা একটি খাটে বসে ৯০ বছর বয়সী দীনু সেই দিনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘সবাই যখন নিজেদের বাঁচাতে দৌড়াচ্ছিল, গ্রামের কিছু বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ বুঝেছিলেন, কেউ ধরা না পড়লে আরও বড় বিপদ আসবে। তাই গ্রামের কিছু পুরুষকে একত্র করে হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের ত্যাগের মাধ্যমে এই গ্রামকে বাঁচিয়েছি। চারপাশে দেখো, আজ গ্রামের প্রতিটি কোনায় আল্লাহর দেওয়া শিশুরা দৌড়ে বেড়াচ্ছে।’
বিশ্বের ‘বৃহত্তম গণতন্ত্র’ বলে দাবি করা ভারত আজ থেকে ৫০ বছর আগে, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন যে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল, সেই দিনের বার্ষিকী পালন করছে। আর উত্তাওয়ারে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণের শিকার পুরুষদের মধ্যে এখন বেঁচে আছেন একমাত্র মোহাম্মদ দীনু।
১৯৭৫ সালের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত চলা জরুরি অবস্থার সময়, ভারতে ৮০ লাখের বেশি পুরুষকে জোরপূর্বক ভ্যাসেক্টমি বা বন্ধ্যাকরণের মধ্যে দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। শুধু ১৯৭৬ সালেই এই সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ। অব্যবস্থাপনার কারণে অন্তত ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও সেই ক্ষত এখনো রয়ে গেছে উত্তাওয়ারে। ভারত স্বাধীনতার মাত্র পাঁচ বছর পর, ১৯৫২ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গ্রহণ করে। তখন সরকার শুধু নিরুৎসাহিত করতে চেয়েছিল দুই সন্তানের বেশি না নিতে।
কিন্তু ১৯৬০-এর দশকে, যখন ভারতের নারীদের গড় সন্তানসংখ্যা ছিল নারীপ্রতি প্রায় ৬ জন, তখন ইন্দিরা গান্ধীর সরকার আরও কঠোর অবস্থান নিতে শুরু করে। জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে দেশের অর্থনীতির জন্য বোঝা মনে করা হতো। কারণ, স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গড় হার ছিল মাত্র ৪ শতাংশ।
পাশ্চাত্যও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। বিশ্বব্যাংক ভারতের জন্য ৬৬ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচির জন্য। যুক্তরাষ্ট্রও দুর্ভিক্ষে কাতর ভারতের জন্য খাদ্য সাহায্য নির্ভর করে রাখে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের সাফল্যের ওপর।
কিন্তু জরুরি অবস্থার সময়, যখন সব গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল, তখন ইন্দিরা গান্ধীর সরকার পুরোপুরি লাগামছাড়া হয়ে পড়ে। সরকার ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর ছিল বন্ধ্যাকরণের নির্দিষ্ট কোটা পূরণের চাপ। কোটা পূরণ না করলে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হতো, চাকরি হারানোর হুমকি দেওয়া হতো। এমনকি যারা রাজি হতো না, সেই সব গ্রামের পানি-সেচও বন্ধ করে দেওয়া হতো।
এই বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচির বিরোধিতা যারা করেছিলেন, তাদের ওপরও নেমে এসেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর হামলা। সেই হামলার শিকার হয়েছিল উত্তাওয়ার গ্রামও। ওই গ্রামে মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ থাকতেন। সে সময় ভারতে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধি হার অন্যদের তুলনায় বেশি ছিল। যে কারণে তাদের ওপর বিশেষ নজর পড়েছিল এই গণ-বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচির আওতায়।
দীনুর বাড়ির পাশের গলিতে থাকতেন মোহাম্মদ নূর। তখন তিনি কেবল ১৩ বছরের কিশোর, বাবার কোলে বাড়ির সামনে খাটিয়ায় ঘুমাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ঘোড়ায় চড়ে কিছু পুলিশ সদস্যসহ নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে হানা দেয়। তাঁর বাবা দৌড়ে পাশের জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যান, নূর ভয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে।
সে দিনের স্মৃতিচারণ করে নূর বলেন, ‘তারা দরজা-জানালা সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দেয়, যা সামনে পেয়েছে সবকিছু ধ্বংস করেছে। আমাদের দুর্ভোগ বাড়াতে, তারা আটা-চালে বালি মিশিয়ে দেয়। পরের চার দিন গ্রামের কোনো ঘরেই রান্না হয়নি।’ পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে স্থানীয় থানায় মারধর করে। তবে তখন তাঁর বয়স ১৫ বছরের কম হওয়ায়, বন্ধ্যাকরণের জন্য তাকে অযোগ্য বিবেচনা করে ছেড়ে দেয়।
গ্রামবাসীরা ওই রাতকে এখনো ‘ভয়ের রাত’ নামে স্মরণ করে। ওই রাত থেকেই জন্ম নেয় উত্তাওয়ারের স্থানীয় লোককথা, যার কেন্দ্রীয় চরিত্র তৎকালীন গ্রামপ্রধান আব্দুর রহমান। এই বিষয়ে নূরের বন্ধু ৬৩ বছর বয়সী তাজাম্মুল বলেন, ‘গ্রামের বাইরের লোকেরা হয়তো তাঁর নাম ভুলে গেছে, কিন্তু আমরা কেউ ভুলিনি।’
তাজাম্মুল জানান, উত্তাওয়ারে অভিযান চালানোর আগে বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা এসে আব্দুর রহমানকে অনুরোধ করেন কিছু পুরুষকে তাদের হাতে তুলে দিতে। তিনি বলেন, ‘কিন্তু তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে তাদের প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেছিলেন, আমি কোনো পরিবারের সদস্যকে এই অবস্থায় দিতে পারব না।’ স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী, আব্দুর রহমান তখন সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘আমি আমার এলাকা থেকে একটা কুকুরও দেব না, আর তোমরা মানুষের দাবি করছ! সেটা কখনোই হবে না!’
তবে আব্দুর রহমানের এই দৃঢ় মনোভাবও শেষ পর্যন্ত তাঁর গ্রামকে বাঁচাতে পারেনি। পুলিশের অভিযান শেষে গ্রাম শোকের আবহে ডুবে গিয়েছিল। এই বিষয়ে নূর বলেন, ‘যারা পালিয়ে গিয়েছিল, বা যাদের পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তারা সপ্তাহের পর সপ্তাহ ফেরেনি। উত্তাওয়ার যেন কবরস্থানে পরিণত হয়েছিল, নিস্তব্ধতা ছাড়া আর কিছুই ছিল না।’
এরপরের বছরগুলোতে এই ঘটনার পরিণতি আরও বেশি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। আশপাশের গ্রামের লোকেরা উত্তাওয়ারের ছেলেদের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হতেন না। এমনকি যারা বন্ধ্যাকৃতও হয়নি তাদের সঙ্গেও নয়। কেউ কেউ বিদ্যমান বাগদানও ভেঙে দেয়। কাসিম নামে স্থানীয় এক সমাজকর্মী বলেন, ‘অনেকেই ওই মানসিক আঘাত থেকে আর কোনো দিনই বেরিয়ে আসতে পারেননি। দুশ্চিন্তা, ভীতি আর সামাজিক কলঙ্কে তারা ধীরে ধীরে ভেঙে পড়েন, অনেকের জীবন দ্রুতই শেষ হয়ে যায়।’
আজকের দিনে ভারতে কোনো জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি নেই। দেশের গড় প্রজনন হার এখন দুইয়ের কিছু বেশি। কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, জরুরি অবস্থার সময় যে ভীতি আর দমন-পীড়নের পরিবেশ ছিল, সেটাই নতুন রূপে ফিরে এসেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে।
ভারতের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ৭৫ বছর বয়সী শিব বিশ্বনাথন মনে করেন, ‘জরুরি অবস্থার মাধ্যমে ভারতে কর্তৃত্ববাদ আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।’ ১৯৭৫ সালের ১২ জুন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয় যে, ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭১ সালের নির্বাচন জিততে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করেছেন। আদালত তাঁকে ছয় বছরের জন্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ করে। মাত্র ১৩ দিন পর ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথন আল-জাজিরাকে বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদকে স্বাভাবিক করে তোলার যে প্রক্রিয়া, সেটাই জরুরি অবস্থার জন্ম দিয়েছিল, কোনো অনুতাপ ছিল না। আসলে, জরুরি অবস্থাই আজকের ভারতের আরও অনেক “জরুরি অবস্থার” বীজ রোপণ করেছে। এটিই আধুনিক ভারতের কর্তৃত্ববাদী ভিত।’
ইন্দিরা গান্ধীর ভক্তরা তাঁকে কখনো হিন্দু দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করতেন। শব্দের খেলায় তাঁকে ভারতের সঙ্গেও এক করে দেখা হতো—ঠিক যেমন এখন নরেন্দ্র মোদীর সমর্থকেরা তাকে হিন্দু ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে তুলনা করেন। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ব্যক্তিপূজার সংস্কৃতি যখন বাড়তে থাকে, তখন দেশবাসীর বাস্তবতা বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে যায় বলে মনে করেন সমাজবিদ শিব বিশ্বনাথন। তিনি বলেন, ‘ইমার্জেন্সির মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদ শাসনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।’
বিশ্বনাথনের মতে, ১৯৭৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটলেও, তার পর থেকেই ভারত ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ কর্তৃত্ববাদের দিকে এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত—প্রত্যেকেই কিছু না কিছু করে দেশটাকে একনায়কতন্ত্রের দিকে ঠেলে দিয়েছেন, যদিও বাইরের মুখে সবাই গণতন্ত্রের কথা বলেছেন।’
২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূচকে ভারতের গণতন্ত্রের অবস্থা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে। বিরোধী নেতাদের কারাবন্দী করা, সাংবাদিকদের হয়রানি এবং বাক্স্বাধীনতার ওপর নানা বিধিনিষেধ এর জন্য দায়ী।
ভারতে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করা সংগঠন ‘ফ্রি স্পিচ কালেকটিভের’ সহপ্রতিষ্ঠাতা গীতা শেঠু বলেন, জরুরি অবস্থার সময়ের সঙ্গে আজকের ভারতের মিল হলো মূলধারার সংবাদমাধ্যমের আত্মসমর্পণের জায়গাটিতে। তিনি বলেন, ‘তখন আইন করে নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, আর এখন আইনের অপব্যবহার করে সেটা করা হচ্ছে। তখনকার সেই ভয়, আত্মনিয়ন্ত্রণ—আজও বিদ্যমান, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়নি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিম আলীর মতে, জরুরি অবস্থার সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো—যখন কোনো নেতৃত্ব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও ক্ষমতাশালী হয়, তখন কীভাবে দেশের সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। তবে জরুরি অবস্থার আরেকটি বড় শিক্ষা হলো—এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সফল আন্দোলন। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধী এবং তাঁর কংগ্রেস দলকে হারিয়ে দিয়েছিল বিরোধীরা। তাদের নির্বাচনী প্রচারে সরকারের অমানবিক কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে গণ-বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি ছিল বড় ইস্যু।
আসিম আলী বলেন, ‘সত্তরের দশকের মতোই, এখন দেখার বিষয় হলো, মোদির পরে ভারতীয় গণতন্ত্র আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না।’
১৯৭৬ সালের নভেম্বরে দীনু যখন পুলিশের ভ্যানে বসেছিলেন, তখন তাঁর মনে শুধু তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সালিমার কথাই ঘুরছিল। সালিমা তখন বাড়িতে ছিলেন। দীনু বলেন, ‘অনেক পুরুষ, যাদের বিয়ে হয়নি বা সন্তান ছিল না, তারা পুলিশের কাছে অনুরোধ করছিলেন ছেড়ে দেওয়ার জন্য।’ কিন্তু দীনুর ১৪ জন বন্ধুর কাউকেই ছাড়া হয়নি। দীনু বলেন, ‘নাসবন্দি (বন্ধ্যাকরণ) এমন এক অভিশাপ, যা সেই সময় থেকে উত্তাওয়ার গ্রামের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।’
ধরে নিয়ে যাওয়ার ৮ দিন পর পুলিশ হেফাজতে দীনুকে পাশের শহর পালওয়ালের একটি বন্ধ্যাকরণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর অপারেশন করা হয়। এক মাস পর দীনু যখন অপারেশনের পর বাড়ি ফেরেন, তখন সালিমা তাদের একমাত্র সন্তানের জন্ম দেন। আজ দীনুর তিন নাতি ও বেশ কয়েকজন পৌত্র-প্রপৌত্র রয়েছে।
দীনু হেসে বলেন, ‘এই গ্রামকে আমরাই বাঁচিয়েছি। না হলে ইন্দিরা তো পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দিতেন।’ ২০২৪ সালে সালিমা দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মারা যান। দীনু এখনো বেঁচে আছেন এবং নিজের দীর্ঘজীবনের জন্য বেশ গর্বিত। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ঠাকুরদার সঙ্গে খেলেছি, এখন আমার প্রপৌত্রদের সঙ্গে খেলছি।’ প্লাস্টিকের কাপ থেকে ঠান্ডা সোডা পান করতে করতে দীনু বলেন, ‘সাত পুরুষ! এমন সৌভাগ্য কয় জনেরই বা হয়?’

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

১৯৭৫ সালের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত চলা জরুরি অবস্থার সময়, ভারতে ৮০ লাখের বেশি পুরুষকে জোরপূর্বক ভ্যাসেক্টমি বা বন্ধ্যাকরণের মধ্যে দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। শুধু ১৯৭৬ সালেই এই সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ। অব্যবস্থাপনার কারণে অন্তত ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
২৫ জুন ২০২৫
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

১৯৭৫ সালের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত চলা জরুরি অবস্থার সময়, ভারতে ৮০ লাখের বেশি পুরুষকে জোরপূর্বক ভ্যাসেক্টমি বা বন্ধ্যাকরণের মধ্যে দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। শুধু ১৯৭৬ সালেই এই সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ। অব্যবস্থাপনার কারণে অন্তত ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
২৫ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

১৯৭৫ সালের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত চলা জরুরি অবস্থার সময়, ভারতে ৮০ লাখের বেশি পুরুষকে জোরপূর্বক ভ্যাসেক্টমি বা বন্ধ্যাকরণের মধ্যে দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। শুধু ১৯৭৬ সালেই এই সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ। অব্যবস্থাপনার কারণে অন্তত ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
২৫ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

১৯৭৫ সালের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত চলা জরুরি অবস্থার সময়, ভারতে ৮০ লাখের বেশি পুরুষকে জোরপূর্বক ভ্যাসেক্টমি বা বন্ধ্যাকরণের মধ্যে দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। শুধু ১৯৭৬ সালেই এই সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ। অব্যবস্থাপনার কারণে অন্তত ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
২৫ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে