
ভারতের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ইতিহাস বলছে ৬৪ বছরের এই নারী দেশটির সবচেয়ে কম বয়েসি প্রেসিডেন্ট। ভারতে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের হয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আগামী ২৫ জুলাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের জায়গায় শপথ নেবেন দ্রৌপদী।
দ্রৌপদীর জন্ম ১৯৫৮ সালে। ভারতের ওডিশা রাজ্যের ময়ূরভঞ্জ জেলার উপরবেদা গ্রামে। আদিবাসীপ্রধান ময়ূরভঞ্জ জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চায়েত এই উপরবেদা। দ্রৌপদীর বাবা এবং দাদা এই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন বহু বছর ধরে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পড়ালেখার পাঠ নিজ এলাকায় শেষ করেন দ্রৌপদী। পরে, উচ্চমাধ্যমিক পড়তে গিয়ে ঘটে বিপত্তি।
নিকটবর্তী এলাকায় কোনো ভালো কলেজ ছিল না। পরে, তাঁর পরিবার তাঁদের এক আত্মীয় এবং স্থানীয় বিধায়কের শরণাপন্ন হয়। সেই বিধায়কের সহায়তায় মুর্মু ওডিশার বিখ্যাত প্রাচীন নগরী ভুবনেশ্বর যান পড়ালেখার উদ্দেশ্যে। ভর্তি হন তৎকালীন রাম দেবী মহিলা কলেজে। কলেজটি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। সেদিন সাহস করে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসা এক সাঁওতাল তরুণীই পৌঁছে গেছেন দিল্লির রাইসিনা হিলের রাষ্ট্রপতি ভবনে।
পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে ওডিশার সচিবালয়ে কেরানি হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তার কিছুদিন পরেই বিয়ে করেন ব্যাংক কর্মকর্তা শ্যাম চরণ মুর্মুকে। শ্যাম চরণ মুর্মু ২০১৪ সালে মারা যান। নিজের কাজের পাশাপাশি শিশুদের পড়ানোর দায়িত্বও পালন করতেন মুর্মু। পরে মুর্মু স্থানীয় শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি ওডিশা সরকারের সেচ বিভাগের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করতেন তিনি।
পরে, ১৯৯৭ সালে দ্রৌপদী মুর্মু ভারতীয় জনতা পার্টি–বিজেপিতে যোগ দেন এবং রায়রাংপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে রায়রাংপুর নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। একই সময়ে তিনি বিজেপির তফসিলি আদিবাসী মোর্চার জাতীয় ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেন।
২০০০ সালে ওডিশায় বিজেপি এবং বিজু জনতা দলের জোট সরকারের সময় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন দ্রৌপদী মুর্মু। সে বছরই তিনি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বাণিজ্য এবং পরিবহন খাতের দেখভাল করতেন। পরে ২০০২ সালের আগস্টে তিনি ওডিশা রাজ্য সরকারের মৎস্য এবং প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্ব পান। দায়িত্ব পালন করেন ২০০৪ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়া সরকারের আরও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
পরে, ২০১৫ সালের ১৮ মে ঝাড়খণ্ডের প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান দ্রৌপদী। গভর্নর থাকাকালীন দ্রৌপদী ২০১৭ সালে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ১৯০৮ সালের ছোট নাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন এবং ১৯৪৯ সালের সাঁওতাল পরগণা প্রজাস্বত্ব আইনের সংশোধনী চেয়ে পাস করা একটি বিলে সম্মতি দেননি। ওই বিল পাস হলে ঝাড়খণ্ড সরকার আদিবাসীদের জমি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের সুযোগ লাভ করত। ২০২১ সালের ১২ জুলাই তাঁর গভর্নরের মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর, সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী এনডিএ–এর হয়ে প্রার্থিতা দেন এবং জয়লাভ করেন।

ভারতের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ইতিহাস বলছে ৬৪ বছরের এই নারী দেশটির সবচেয়ে কম বয়েসি প্রেসিডেন্ট। ভারতে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের হয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আগামী ২৫ জুলাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের জায়গায় শপথ নেবেন দ্রৌপদী।
দ্রৌপদীর জন্ম ১৯৫৮ সালে। ভারতের ওডিশা রাজ্যের ময়ূরভঞ্জ জেলার উপরবেদা গ্রামে। আদিবাসীপ্রধান ময়ূরভঞ্জ জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চায়েত এই উপরবেদা। দ্রৌপদীর বাবা এবং দাদা এই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন বহু বছর ধরে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পড়ালেখার পাঠ নিজ এলাকায় শেষ করেন দ্রৌপদী। পরে, উচ্চমাধ্যমিক পড়তে গিয়ে ঘটে বিপত্তি।
নিকটবর্তী এলাকায় কোনো ভালো কলেজ ছিল না। পরে, তাঁর পরিবার তাঁদের এক আত্মীয় এবং স্থানীয় বিধায়কের শরণাপন্ন হয়। সেই বিধায়কের সহায়তায় মুর্মু ওডিশার বিখ্যাত প্রাচীন নগরী ভুবনেশ্বর যান পড়ালেখার উদ্দেশ্যে। ভর্তি হন তৎকালীন রাম দেবী মহিলা কলেজে। কলেজটি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। সেদিন সাহস করে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসা এক সাঁওতাল তরুণীই পৌঁছে গেছেন দিল্লির রাইসিনা হিলের রাষ্ট্রপতি ভবনে।
পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে ওডিশার সচিবালয়ে কেরানি হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তার কিছুদিন পরেই বিয়ে করেন ব্যাংক কর্মকর্তা শ্যাম চরণ মুর্মুকে। শ্যাম চরণ মুর্মু ২০১৪ সালে মারা যান। নিজের কাজের পাশাপাশি শিশুদের পড়ানোর দায়িত্বও পালন করতেন মুর্মু। পরে মুর্মু স্থানীয় শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি ওডিশা সরকারের সেচ বিভাগের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করতেন তিনি।
পরে, ১৯৯৭ সালে দ্রৌপদী মুর্মু ভারতীয় জনতা পার্টি–বিজেপিতে যোগ দেন এবং রায়রাংপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে রায়রাংপুর নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। একই সময়ে তিনি বিজেপির তফসিলি আদিবাসী মোর্চার জাতীয় ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেন।
২০০০ সালে ওডিশায় বিজেপি এবং বিজু জনতা দলের জোট সরকারের সময় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন দ্রৌপদী মুর্মু। সে বছরই তিনি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বাণিজ্য এবং পরিবহন খাতের দেখভাল করতেন। পরে ২০০২ সালের আগস্টে তিনি ওডিশা রাজ্য সরকারের মৎস্য এবং প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্ব পান। দায়িত্ব পালন করেন ২০০৪ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়া সরকারের আরও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
পরে, ২০১৫ সালের ১৮ মে ঝাড়খণ্ডের প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান দ্রৌপদী। গভর্নর থাকাকালীন দ্রৌপদী ২০১৭ সালে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ১৯০৮ সালের ছোট নাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন এবং ১৯৪৯ সালের সাঁওতাল পরগণা প্রজাস্বত্ব আইনের সংশোধনী চেয়ে পাস করা একটি বিলে সম্মতি দেননি। ওই বিল পাস হলে ঝাড়খণ্ড সরকার আদিবাসীদের জমি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের সুযোগ লাভ করত। ২০২১ সালের ১২ জুলাই তাঁর গভর্নরের মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর, সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী এনডিএ–এর হয়ে প্রার্থিতা দেন এবং জয়লাভ করেন।

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
৫ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগে