
চরমপন্থীরা বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে এখন আত্মোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছে। উগ্র ডানপন্থীরা অনলাইন ফিটনেস গ্রুপগুলোর মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করছে। কোভিড মহামারিকালে এসব গ্রুপের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় এই প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এই গ্রুপগুলোতে নতুন সদস্যদের সহিংসতার জন্য উসকানি দেওয়া হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, ফিটনেস ফ্রিকদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট গবেষক ও পর্যেবক্ষকদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
গবেষকেরা মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে অনলাইন ‘ফ্যাসিবাদী ফিটনেস’ চ্যাট গ্রুপের একটি নেটওয়ার্ক সনাক্ত করেছেন। এগুলোর মধ্যে একটি বড় অংশ ফ্যাসিবাদী সংগঠন ‘নিও-নাজি প্যাট্রিয়টিক অল্টারনেটিভ’-এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এই সংগঠনটি ব্রিটেনে বৃহত্তম চরম ডানপন্থী গোষ্ঠী।
বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়া এবং অংশ নেওয়ার অপরাধে ২০১৮ সালে কুখ্যাত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী রাইজ অ্যাবভ মুভমেন্টের (র্যাম) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ধরনের গোষ্ঠীগুলো ইউরোপীয় এবং মার্কিন ফাইট গ্রুপগুলোকে নিয়মিত মহিমান্বিত করে উপস্থাপন করে।
র্যামের প্রশংসা করার জন্য যুক্তরাজ্যের গ্রুপগুলোর মধ্যে হোয়াইট স্ট্যাগ অ্যাথলেটিক ক্লাবের (ডব্লিউএসএসি) সদস্যরা স্বস্তিকা আঁকা পতাকার ছবি পোস্ট করে। গত নভেম্বরে কাইল রিটেনহাউস জেল থেকে খালাস পাওয়া উদযাপন করে। কাইল ২০২০ সালে উইসকনসিনে দুই বর্ণবাদ-বিরোধী প্রতিবাদকারীকে গুলি করে হত্যা করেন।
মহামারী চলাকালীন ফিটনেস অ্যাপের সাহায্যে ঘরে ফিটনেস চর্চার প্রবণতা বেড়েছে। এসব অ্যাপের লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী। এ সময় জিম বন্ধ থাকায় অনলাইন গ্রুপগুলো এর মাধ্যমেই ফিটনেস ফ্রিকদের আকৃষ্ট করেছে।
অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট সংগঠন হোপ নট হেট-এর বিশ্লেষণ বলছে, ব্রিটেনের চরম ডানপন্থীরা এখন ‘বিস্তৃত রাজনৈতিক সংগ্রামের’ অংশ হিসেবে শারীরিক ফিটনেসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরেও কীভাবে ডব্লিউএসএসি-এর মতো অনলাইন গ্রুপগুলোর বাড়বাড়ন্ত অব্যাহত থাকতে পারে সেটির ব্যাখ্যা হিসেবে এই প্রবণতাকে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
হোপ নট হেট-এর বার্ষিক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে সম্ভাব্য বিপদ নিহিত রয়েছে দুটি প্রবণতার মধ্যে। প্রথমত, তারা কর্মীদের যোদ্ধায় রূপান্তরিত করার ওপর জোর দিচ্ছে। এতে নতুন সদস্যরা সহিংসতামূলক কাজ করতে অনুপ্রাণিত হতে পারে। দ্বিতীয়ত, তারা যে গোষ্ঠী তৈরি করছে, সেখানে সদস্যরা ফ্যাসিবাদে বিশ্বাসের পাশাপাশি জীবনে বাস্তব ও ইতিবাচক পরিবর্তন যুক্ত করতে শুরু করে।
জ্যেষ্ঠ গবেষক প্যাট্রিক হারম্যানসন বলেন, ‘এই ফিটনেস গ্রুপগুলো একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত উন্নতিকে যুক্ত করে। তারা শারীরিক সংঘাত এবং সহিংসতাকে বৈধ এবং প্রয়োজনীয় বলে বিশ্বাস করে। এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে নতুন প্রেরণা এবং লক্ষ্যের অনুভূতি তৈরি করে। তারা চরম ডানপন্থী লোকদের জড়ো করার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।’
ডব্লিউএসএসি নামে নাৎসী গ্রুপটি তৈরি হয় মহামারি চলাকালে। ইয়র্কশায়ার-ভিত্তিক একজন নিরাপত্তা প্রহরী এটি চালান, তাঁর ছদ্মনাম ‘সার্জ’। তাঁর সঙ্গে প্যাট্রিয়টিক অল্টারনেটিভের (পিএ) সম্পর্ক রয়েছে। গ্রুপটি আগে একটি ফ্যাসিবাদী পডকাস্ট চালু করতে সহায়তা করেছিল। তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে সম্প্রতি পিএ নেতা মার্ক কোলেট এবং চরম ডানপন্থী ইউটিউবার লরা টাওলারকে নিয়ে ফিচার করা হয়েছে।
ডব্লিউএসএসি এখন সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম টেলিগ্রামেও বিস্তৃত করেছে। ‘চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে সম্মিলিত লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার’ কথা প্রচার করে এ গ্রুপ। সহিংসতা পরিচালনার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেয়।
বেশ কয়েক মাস ধরে ফিটনেস গ্রুপগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন হারম্যানসন। তিনি দেখেছেন, সদস্যদের প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য টিপস দিয়ে প্রলুব্ধ করা হয়। পরে ক্লোজড চ্যাট গ্রুপগুলোতে এনে চরমপন্থা দীক্ষা দেওয়া হয়। এসব গ্রুপে যুক্ত হওয়া অনেক ফিটনেস ফ্রিক তাঁদের সফলতার গল্পও বলেছেন। যেমন-দ্রুত ওজন কমানো, ক্যারিয়ারে উন্নতি ইত্যাদি।
গবেষক হারম্যানসন বলছেন, ‘একটি হিংস্র এবং ঘৃণ্য মতাদর্শের সঙ্গে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন যুক্ত হওয়ার এমন ঘটনা স্পষ্টতই বিপজ্জনক।’
গ্রুপগুলোতে পোস্ট করা ছবির মধ্যে হিটলারের আবক্ষ ছবি দেখা যায়। ‘আপনার জাতিকে রক্ষা করুন, আপনার ভূমি রক্ষা করুন, অমরত্ব লাভ করুন’—এ ধরনের বার্তা আদান প্রদান করেন তাঁরা।
বেন এলি নামে আরেকজন গবেষক বলেন, চরম ডানপন্থী আত্ম উন্নয়নকামী গ্রুপের সদস্যরা বিশ্বাস করেন, শারীরিকভাবে শক্তিশালী হয়ে তাঁরা শ্বেতাঙ্গ জাতিকে ধ্বংসের হাতে থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারবেন। আত্ম উন্নয়ন ‘একটি ন্যায্য ম্যানিকিয়ান যুদ্ধের অংশ হয়ে উঠছে। এরা আত্মদান এবং পুরস্কারের ভারসাম্যকে ব্যাপকভাবে বিকৃত করে।’
বিশ শততের ব্রিটিশ রাজনীতিক ও ফ্যাসিস্ট অসওয়াল্ড মোসলে এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘ব্রিটিশ ইউনিয়ন অব ফ্যাসিস্ট’ নামের সংগঠনটিও সমর্থকদের শারীরিক ফিটনেসের ওপর জোর দিয়েছিল। এ লক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে নিয়মিত স্পোর্টস ক্লাবের আয়োজন করা হতো। সংগঠনের ম্যাগাজিনে সাপ্তাহিক ফিটনেস টিপসের একটি কলাম থাকতো।

চরমপন্থীরা বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে এখন আত্মোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছে। উগ্র ডানপন্থীরা অনলাইন ফিটনেস গ্রুপগুলোর মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করছে। কোভিড মহামারিকালে এসব গ্রুপের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় এই প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এই গ্রুপগুলোতে নতুন সদস্যদের সহিংসতার জন্য উসকানি দেওয়া হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, ফিটনেস ফ্রিকদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট গবেষক ও পর্যেবক্ষকদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
গবেষকেরা মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে অনলাইন ‘ফ্যাসিবাদী ফিটনেস’ চ্যাট গ্রুপের একটি নেটওয়ার্ক সনাক্ত করেছেন। এগুলোর মধ্যে একটি বড় অংশ ফ্যাসিবাদী সংগঠন ‘নিও-নাজি প্যাট্রিয়টিক অল্টারনেটিভ’-এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এই সংগঠনটি ব্রিটেনে বৃহত্তম চরম ডানপন্থী গোষ্ঠী।
বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়া এবং অংশ নেওয়ার অপরাধে ২০১৮ সালে কুখ্যাত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী রাইজ অ্যাবভ মুভমেন্টের (র্যাম) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ধরনের গোষ্ঠীগুলো ইউরোপীয় এবং মার্কিন ফাইট গ্রুপগুলোকে নিয়মিত মহিমান্বিত করে উপস্থাপন করে।
র্যামের প্রশংসা করার জন্য যুক্তরাজ্যের গ্রুপগুলোর মধ্যে হোয়াইট স্ট্যাগ অ্যাথলেটিক ক্লাবের (ডব্লিউএসএসি) সদস্যরা স্বস্তিকা আঁকা পতাকার ছবি পোস্ট করে। গত নভেম্বরে কাইল রিটেনহাউস জেল থেকে খালাস পাওয়া উদযাপন করে। কাইল ২০২০ সালে উইসকনসিনে দুই বর্ণবাদ-বিরোধী প্রতিবাদকারীকে গুলি করে হত্যা করেন।
মহামারী চলাকালীন ফিটনেস অ্যাপের সাহায্যে ঘরে ফিটনেস চর্চার প্রবণতা বেড়েছে। এসব অ্যাপের লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী। এ সময় জিম বন্ধ থাকায় অনলাইন গ্রুপগুলো এর মাধ্যমেই ফিটনেস ফ্রিকদের আকৃষ্ট করেছে।
অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট সংগঠন হোপ নট হেট-এর বিশ্লেষণ বলছে, ব্রিটেনের চরম ডানপন্থীরা এখন ‘বিস্তৃত রাজনৈতিক সংগ্রামের’ অংশ হিসেবে শারীরিক ফিটনেসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরেও কীভাবে ডব্লিউএসএসি-এর মতো অনলাইন গ্রুপগুলোর বাড়বাড়ন্ত অব্যাহত থাকতে পারে সেটির ব্যাখ্যা হিসেবে এই প্রবণতাকে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
হোপ নট হেট-এর বার্ষিক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে সম্ভাব্য বিপদ নিহিত রয়েছে দুটি প্রবণতার মধ্যে। প্রথমত, তারা কর্মীদের যোদ্ধায় রূপান্তরিত করার ওপর জোর দিচ্ছে। এতে নতুন সদস্যরা সহিংসতামূলক কাজ করতে অনুপ্রাণিত হতে পারে। দ্বিতীয়ত, তারা যে গোষ্ঠী তৈরি করছে, সেখানে সদস্যরা ফ্যাসিবাদে বিশ্বাসের পাশাপাশি জীবনে বাস্তব ও ইতিবাচক পরিবর্তন যুক্ত করতে শুরু করে।
জ্যেষ্ঠ গবেষক প্যাট্রিক হারম্যানসন বলেন, ‘এই ফিটনেস গ্রুপগুলো একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত উন্নতিকে যুক্ত করে। তারা শারীরিক সংঘাত এবং সহিংসতাকে বৈধ এবং প্রয়োজনীয় বলে বিশ্বাস করে। এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে নতুন প্রেরণা এবং লক্ষ্যের অনুভূতি তৈরি করে। তারা চরম ডানপন্থী লোকদের জড়ো করার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।’
ডব্লিউএসএসি নামে নাৎসী গ্রুপটি তৈরি হয় মহামারি চলাকালে। ইয়র্কশায়ার-ভিত্তিক একজন নিরাপত্তা প্রহরী এটি চালান, তাঁর ছদ্মনাম ‘সার্জ’। তাঁর সঙ্গে প্যাট্রিয়টিক অল্টারনেটিভের (পিএ) সম্পর্ক রয়েছে। গ্রুপটি আগে একটি ফ্যাসিবাদী পডকাস্ট চালু করতে সহায়তা করেছিল। তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে সম্প্রতি পিএ নেতা মার্ক কোলেট এবং চরম ডানপন্থী ইউটিউবার লরা টাওলারকে নিয়ে ফিচার করা হয়েছে।
ডব্লিউএসএসি এখন সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম টেলিগ্রামেও বিস্তৃত করেছে। ‘চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে সম্মিলিত লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার’ কথা প্রচার করে এ গ্রুপ। সহিংসতা পরিচালনার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেয়।
বেশ কয়েক মাস ধরে ফিটনেস গ্রুপগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন হারম্যানসন। তিনি দেখেছেন, সদস্যদের প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য টিপস দিয়ে প্রলুব্ধ করা হয়। পরে ক্লোজড চ্যাট গ্রুপগুলোতে এনে চরমপন্থা দীক্ষা দেওয়া হয়। এসব গ্রুপে যুক্ত হওয়া অনেক ফিটনেস ফ্রিক তাঁদের সফলতার গল্পও বলেছেন। যেমন-দ্রুত ওজন কমানো, ক্যারিয়ারে উন্নতি ইত্যাদি।
গবেষক হারম্যানসন বলছেন, ‘একটি হিংস্র এবং ঘৃণ্য মতাদর্শের সঙ্গে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন যুক্ত হওয়ার এমন ঘটনা স্পষ্টতই বিপজ্জনক।’
গ্রুপগুলোতে পোস্ট করা ছবির মধ্যে হিটলারের আবক্ষ ছবি দেখা যায়। ‘আপনার জাতিকে রক্ষা করুন, আপনার ভূমি রক্ষা করুন, অমরত্ব লাভ করুন’—এ ধরনের বার্তা আদান প্রদান করেন তাঁরা।
বেন এলি নামে আরেকজন গবেষক বলেন, চরম ডানপন্থী আত্ম উন্নয়নকামী গ্রুপের সদস্যরা বিশ্বাস করেন, শারীরিকভাবে শক্তিশালী হয়ে তাঁরা শ্বেতাঙ্গ জাতিকে ধ্বংসের হাতে থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারবেন। আত্ম উন্নয়ন ‘একটি ন্যায্য ম্যানিকিয়ান যুদ্ধের অংশ হয়ে উঠছে। এরা আত্মদান এবং পুরস্কারের ভারসাম্যকে ব্যাপকভাবে বিকৃত করে।’
বিশ শততের ব্রিটিশ রাজনীতিক ও ফ্যাসিস্ট অসওয়াল্ড মোসলে এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘ব্রিটিশ ইউনিয়ন অব ফ্যাসিস্ট’ নামের সংগঠনটিও সমর্থকদের শারীরিক ফিটনেসের ওপর জোর দিয়েছিল। এ লক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে নিয়মিত স্পোর্টস ক্লাবের আয়োজন করা হতো। সংগঠনের ম্যাগাজিনে সাপ্তাহিক ফিটনেস টিপসের একটি কলাম থাকতো।

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়া এবং অংশ নেওয়ার অপরাধে ২০১৮ সালে কুখ্যাত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী রাইজ অ্যাবভ মুভমেন্টের (র্যাম) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ধরনের গোষ্ঠীগুলো ইউরোপীয় এবং মার্কিন ফাইট গ্রুপগুলোকে নিয়মিত মহিমান্বিত করে উপস্থাপন করে।
০৭ মার্চ ২০২২
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়া এবং অংশ নেওয়ার অপরাধে ২০১৮ সালে কুখ্যাত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী রাইজ অ্যাবভ মুভমেন্টের (র্যাম) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ধরনের গোষ্ঠীগুলো ইউরোপীয় এবং মার্কিন ফাইট গ্রুপগুলোকে নিয়মিত মহিমান্বিত করে উপস্থাপন করে।
০৭ মার্চ ২০২২
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়া এবং অংশ নেওয়ার অপরাধে ২০১৮ সালে কুখ্যাত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী রাইজ অ্যাবভ মুভমেন্টের (র্যাম) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ধরনের গোষ্ঠীগুলো ইউরোপীয় এবং মার্কিন ফাইট গ্রুপগুলোকে নিয়মিত মহিমান্বিত করে উপস্থাপন করে।
০৭ মার্চ ২০২২
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়া এবং অংশ নেওয়ার অপরাধে ২০১৮ সালে কুখ্যাত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী রাইজ অ্যাবভ মুভমেন্টের (র্যাম) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ধরনের গোষ্ঠীগুলো ইউরোপীয় এবং মার্কিন ফাইট গ্রুপগুলোকে নিয়মিত মহিমান্বিত করে উপস্থাপন করে।
০৭ মার্চ ২০২২
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৮ ঘণ্টা আগে