আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পাঁচ ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়ন গত মঙ্গলবার ৮৬০ কোটি তথা ৮৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের এই প্যাকেজের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান ভন ডার লেয়ন বলেছেন, ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা এবং সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি পাঁচ ধাপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ইউরো (৮৬০ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার) সংগ্রহ করতে পারে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য স্থগিত করার পর ইউক্রেনকে জরুরি সামরিক সহায়তা প্রদানে সহায়তা করতে পারে এই তহবিল থেকে।
ভন ডর লেয়ন গত মঙ্গলবার জানান, ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা বিনিয়োগের জন্য আরও রাজস্ব সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করবে। সেই সঙ্গে এই খাতে বিনিয়োগের জন্য ১৫০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ প্রদান করবে এবং বেসরকারি পুঁজি সংগ্রহ করার লক্ষ্য রাখবে।
ব্রাসেলসে ‘রিআর্ম ইউরোপ’ বা ইউরোপের পুনঃঅস্ত্রীকরণ প্যাকেজ উপস্থাপন করে ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘এটি ইউরোপের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং আমরা এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। এই প্রস্তাব একটি নিরাপদ ও স্থিতিস্থাপক ইউরোপের জন্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ইউরোর প্রতিরক্ষা ব্যয় সংগ্রহ করতে পারে।’
সেদিনই, জার্মানির পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাওয়া নেতারা বলেছেন, তাঁরা দেশটির ঋণ নিয়ম শিথিল করে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করবে। দেশটির সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী রক্ষণশীল নেতা ফ্রেডরিখ মের্ৎস বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে জোট সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেছেন, উভয় পক্ষ জিডিপির ১ শতাংশের বেশি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করবে।
ব্রাসেলস ও বার্লিনের এই ঘোষণা এমন একসময়ে সামনে এল, যখন ওয়াশিংটন ইউক্রেনে সব সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সম্মত হতে বাধ্য করার জন্য বিলিয়ন ডলারের গোলাবারুদ, সমরযান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এই ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে রোববার লন্ডনে আয়োজিত এক বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ান।
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সরাসরি যোগাযোগ ও পদক্ষেপ ইউক্রেনের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে এবং ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা আজ বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় নিয়ে একটি বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। যদিও কূটনীতিকেরা বলেছেন, দৃঢ় প্রতিশ্রুতির বাইরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা কম।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় নেতাদের কাছে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘এক নতুন যুগ আমাদের সামনে এসেছে। ইউরোপ এমন এক স্পষ্ট বিপদের মুখোমুখি হয়েছে, যা আমাদের প্রজন্মের কেউ দেখেনি...আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিপজ্জনক সময়ে বাস করছি।’
কমিশনের পরিকল্পনায় ১৫০ বিলিয়ন ইউরোর নতুন যৌথ ইউরোপীয় ঋণ, যা ইউরোপীয় সরকারগুলোকে যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, আর্টিলারি বা গোলন্দাজ সিস্টেম, ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ, ড্রোন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্যান-ইউরোপীয় সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দেওয়া হবে।
ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘এই প্যাকেজ সদস্য দেশগুলোকে চাহিদা সমন্বয় করতে এবং একসঙ্গে ক্রয় করতে সাহায্য করবে। এটি খরচ কমাবে, বিভাজন কমাবে, পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় করে বাহিনী পরিচালনার সুযোগ দেবে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পের ভিত্তিকে শক্তিশালী করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব সরঞ্জামের মাধ্যমে সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনে তাদের সমর্থন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে পারবে।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিশন আরও প্রস্তাব করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকারি ব্যয়ের ওপর যে রাজস্ব সীমাবদ্ধতা আরোপ করে, তা শিথিল করা হবে যাতে ‘সদস্য দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে’।
ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘যদি সদস্য দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় গড়ে জিডিপির দেড় শতাংশ বৃদ্ধি করে, তবে এটি চার বছরের মধ্যে প্রায় ৬৫০ বিলিয়ন ইউরোর তহবিল তৈরি সুযোগ দেবে।’ প্রসংগত, অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা—জিডিপির ২ শতাংশের নিচে।

ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পাঁচ ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়ন গত মঙ্গলবার ৮৬০ কোটি তথা ৮৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের এই প্যাকেজের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান ভন ডার লেয়ন বলেছেন, ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা এবং সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি পাঁচ ধাপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ইউরো (৮৬০ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার) সংগ্রহ করতে পারে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য স্থগিত করার পর ইউক্রেনকে জরুরি সামরিক সহায়তা প্রদানে সহায়তা করতে পারে এই তহবিল থেকে।
ভন ডর লেয়ন গত মঙ্গলবার জানান, ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা বিনিয়োগের জন্য আরও রাজস্ব সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করবে। সেই সঙ্গে এই খাতে বিনিয়োগের জন্য ১৫০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ প্রদান করবে এবং বেসরকারি পুঁজি সংগ্রহ করার লক্ষ্য রাখবে।
ব্রাসেলসে ‘রিআর্ম ইউরোপ’ বা ইউরোপের পুনঃঅস্ত্রীকরণ প্যাকেজ উপস্থাপন করে ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘এটি ইউরোপের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং আমরা এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। এই প্রস্তাব একটি নিরাপদ ও স্থিতিস্থাপক ইউরোপের জন্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ইউরোর প্রতিরক্ষা ব্যয় সংগ্রহ করতে পারে।’
সেদিনই, জার্মানির পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাওয়া নেতারা বলেছেন, তাঁরা দেশটির ঋণ নিয়ম শিথিল করে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করবে। দেশটির সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী রক্ষণশীল নেতা ফ্রেডরিখ মের্ৎস বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে জোট সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেছেন, উভয় পক্ষ জিডিপির ১ শতাংশের বেশি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করবে।
ব্রাসেলস ও বার্লিনের এই ঘোষণা এমন একসময়ে সামনে এল, যখন ওয়াশিংটন ইউক্রেনে সব সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সম্মত হতে বাধ্য করার জন্য বিলিয়ন ডলারের গোলাবারুদ, সমরযান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এই ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে রোববার লন্ডনে আয়োজিত এক বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ান।
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সরাসরি যোগাযোগ ও পদক্ষেপ ইউক্রেনের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে এবং ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা আজ বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় নিয়ে একটি বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। যদিও কূটনীতিকেরা বলেছেন, দৃঢ় প্রতিশ্রুতির বাইরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা কম।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় নেতাদের কাছে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘এক নতুন যুগ আমাদের সামনে এসেছে। ইউরোপ এমন এক স্পষ্ট বিপদের মুখোমুখি হয়েছে, যা আমাদের প্রজন্মের কেউ দেখেনি...আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিপজ্জনক সময়ে বাস করছি।’
কমিশনের পরিকল্পনায় ১৫০ বিলিয়ন ইউরোর নতুন যৌথ ইউরোপীয় ঋণ, যা ইউরোপীয় সরকারগুলোকে যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, আর্টিলারি বা গোলন্দাজ সিস্টেম, ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ, ড্রোন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্যান-ইউরোপীয় সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দেওয়া হবে।
ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘এই প্যাকেজ সদস্য দেশগুলোকে চাহিদা সমন্বয় করতে এবং একসঙ্গে ক্রয় করতে সাহায্য করবে। এটি খরচ কমাবে, বিভাজন কমাবে, পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় করে বাহিনী পরিচালনার সুযোগ দেবে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পের ভিত্তিকে শক্তিশালী করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব সরঞ্জামের মাধ্যমে সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনে তাদের সমর্থন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে পারবে।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিশন আরও প্রস্তাব করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকারি ব্যয়ের ওপর যে রাজস্ব সীমাবদ্ধতা আরোপ করে, তা শিথিল করা হবে যাতে ‘সদস্য দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে’।
ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘যদি সদস্য দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় গড়ে জিডিপির দেড় শতাংশ বৃদ্ধি করে, তবে এটি চার বছরের মধ্যে প্রায় ৬৫০ বিলিয়ন ইউরোর তহবিল তৈরি সুযোগ দেবে।’ প্রসংগত, অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা—জিডিপির ২ শতাংশের নিচে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পাঁচ ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়ন গত মঙ্গলবার ৮৬০ কোটি তথা ৮৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের এই প্যাকেজের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান ভন ডার লেয়ন বলেছেন, ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা এবং সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি পাঁচ ধাপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ইউরো (৮৬০ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার) সংগ্রহ করতে পারে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য স্থগিত করার পর ইউক্রেনকে জরুরি সামরিক সহায়তা প্রদানে সহায়তা করতে পারে এই তহবিল থেকে।
ভন ডর লেয়ন গত মঙ্গলবার জানান, ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা বিনিয়োগের জন্য আরও রাজস্ব সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করবে। সেই সঙ্গে এই খাতে বিনিয়োগের জন্য ১৫০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ প্রদান করবে এবং বেসরকারি পুঁজি সংগ্রহ করার লক্ষ্য রাখবে।
ব্রাসেলসে ‘রিআর্ম ইউরোপ’ বা ইউরোপের পুনঃঅস্ত্রীকরণ প্যাকেজ উপস্থাপন করে ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘এটি ইউরোপের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং আমরা এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। এই প্রস্তাব একটি নিরাপদ ও স্থিতিস্থাপক ইউরোপের জন্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ইউরোর প্রতিরক্ষা ব্যয় সংগ্রহ করতে পারে।’
সেদিনই, জার্মানির পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাওয়া নেতারা বলেছেন, তাঁরা দেশটির ঋণ নিয়ম শিথিল করে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করবে। দেশটির সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী রক্ষণশীল নেতা ফ্রেডরিখ মের্ৎস বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে জোট সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেছেন, উভয় পক্ষ জিডিপির ১ শতাংশের বেশি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করবে।
ব্রাসেলস ও বার্লিনের এই ঘোষণা এমন একসময়ে সামনে এল, যখন ওয়াশিংটন ইউক্রেনে সব সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সম্মত হতে বাধ্য করার জন্য বিলিয়ন ডলারের গোলাবারুদ, সমরযান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এই ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে রোববার লন্ডনে আয়োজিত এক বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ান।
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সরাসরি যোগাযোগ ও পদক্ষেপ ইউক্রেনের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে এবং ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা আজ বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় নিয়ে একটি বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। যদিও কূটনীতিকেরা বলেছেন, দৃঢ় প্রতিশ্রুতির বাইরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা কম।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় নেতাদের কাছে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘এক নতুন যুগ আমাদের সামনে এসেছে। ইউরোপ এমন এক স্পষ্ট বিপদের মুখোমুখি হয়েছে, যা আমাদের প্রজন্মের কেউ দেখেনি...আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিপজ্জনক সময়ে বাস করছি।’
কমিশনের পরিকল্পনায় ১৫০ বিলিয়ন ইউরোর নতুন যৌথ ইউরোপীয় ঋণ, যা ইউরোপীয় সরকারগুলোকে যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, আর্টিলারি বা গোলন্দাজ সিস্টেম, ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ, ড্রোন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্যান-ইউরোপীয় সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দেওয়া হবে।
ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘এই প্যাকেজ সদস্য দেশগুলোকে চাহিদা সমন্বয় করতে এবং একসঙ্গে ক্রয় করতে সাহায্য করবে। এটি খরচ কমাবে, বিভাজন কমাবে, পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় করে বাহিনী পরিচালনার সুযোগ দেবে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পের ভিত্তিকে শক্তিশালী করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব সরঞ্জামের মাধ্যমে সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনে তাদের সমর্থন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে পারবে।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিশন আরও প্রস্তাব করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকারি ব্যয়ের ওপর যে রাজস্ব সীমাবদ্ধতা আরোপ করে, তা শিথিল করা হবে যাতে ‘সদস্য দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে’।
ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘যদি সদস্য দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় গড়ে জিডিপির দেড় শতাংশ বৃদ্ধি করে, তবে এটি চার বছরের মধ্যে প্রায় ৬৫০ বিলিয়ন ইউরোর তহবিল তৈরি সুযোগ দেবে।’ প্রসংগত, অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা—জিডিপির ২ শতাংশের নিচে।

ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পাঁচ ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়ন গত মঙ্গলবার ৮৬০ কোটি তথা ৮৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের এই প্যাকেজের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান ভন ডার লেয়ন বলেছেন, ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা এবং সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি পাঁচ ধাপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ইউরো (৮৬০ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার) সংগ্রহ করতে পারে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য স্থগিত করার পর ইউক্রেনকে জরুরি সামরিক সহায়তা প্রদানে সহায়তা করতে পারে এই তহবিল থেকে।
ভন ডর লেয়ন গত মঙ্গলবার জানান, ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা বিনিয়োগের জন্য আরও রাজস্ব সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করবে। সেই সঙ্গে এই খাতে বিনিয়োগের জন্য ১৫০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ প্রদান করবে এবং বেসরকারি পুঁজি সংগ্রহ করার লক্ষ্য রাখবে।
ব্রাসেলসে ‘রিআর্ম ইউরোপ’ বা ইউরোপের পুনঃঅস্ত্রীকরণ প্যাকেজ উপস্থাপন করে ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘এটি ইউরোপের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং আমরা এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। এই প্রস্তাব একটি নিরাপদ ও স্থিতিস্থাপক ইউরোপের জন্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ইউরোর প্রতিরক্ষা ব্যয় সংগ্রহ করতে পারে।’
সেদিনই, জার্মানির পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাওয়া নেতারা বলেছেন, তাঁরা দেশটির ঋণ নিয়ম শিথিল করে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করবে। দেশটির সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী রক্ষণশীল নেতা ফ্রেডরিখ মের্ৎস বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে জোট সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেছেন, উভয় পক্ষ জিডিপির ১ শতাংশের বেশি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করবে।
ব্রাসেলস ও বার্লিনের এই ঘোষণা এমন একসময়ে সামনে এল, যখন ওয়াশিংটন ইউক্রেনে সব সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সম্মত হতে বাধ্য করার জন্য বিলিয়ন ডলারের গোলাবারুদ, সমরযান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এই ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে রোববার লন্ডনে আয়োজিত এক বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ান।
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সরাসরি যোগাযোগ ও পদক্ষেপ ইউক্রেনের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে এবং ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা আজ বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় নিয়ে একটি বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। যদিও কূটনীতিকেরা বলেছেন, দৃঢ় প্রতিশ্রুতির বাইরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা কম।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় নেতাদের কাছে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘এক নতুন যুগ আমাদের সামনে এসেছে। ইউরোপ এমন এক স্পষ্ট বিপদের মুখোমুখি হয়েছে, যা আমাদের প্রজন্মের কেউ দেখেনি...আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিপজ্জনক সময়ে বাস করছি।’
কমিশনের পরিকল্পনায় ১৫০ বিলিয়ন ইউরোর নতুন যৌথ ইউরোপীয় ঋণ, যা ইউরোপীয় সরকারগুলোকে যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, আর্টিলারি বা গোলন্দাজ সিস্টেম, ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ, ড্রোন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্যান-ইউরোপীয় সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দেওয়া হবে।
ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘এই প্যাকেজ সদস্য দেশগুলোকে চাহিদা সমন্বয় করতে এবং একসঙ্গে ক্রয় করতে সাহায্য করবে। এটি খরচ কমাবে, বিভাজন কমাবে, পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় করে বাহিনী পরিচালনার সুযোগ দেবে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পের ভিত্তিকে শক্তিশালী করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব সরঞ্জামের মাধ্যমে সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনে তাদের সমর্থন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে পারবে।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিশন আরও প্রস্তাব করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকারি ব্যয়ের ওপর যে রাজস্ব সীমাবদ্ধতা আরোপ করে, তা শিথিল করা হবে যাতে ‘সদস্য দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে’।
ভন ডার লেয়ন বলেন, ‘যদি সদস্য দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় গড়ে জিডিপির দেড় শতাংশ বৃদ্ধি করে, তবে এটি চার বছরের মধ্যে প্রায় ৬৫০ বিলিয়ন ইউরোর তহবিল তৈরি সুযোগ দেবে।’ প্রসংগত, অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা—জিডিপির ২ শতাংশের নিচে।

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
৫ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পাঁচ ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়ন গত মঙ্গলবার ৮৬০ কোটি তথা ৮৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের এই প্যাকেজের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
০৬ মার্চ ২০২৫
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পাঁচ ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়ন গত মঙ্গলবার ৮৬০ কোটি তথা ৮৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের এই প্যাকেজের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
০৬ মার্চ ২০২৫
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’
ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’
ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পাঁচ ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়ন গত মঙ্গলবার ৮৬০ কোটি তথা ৮৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের এই প্যাকেজের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
০৬ মার্চ ২০২৫
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
৫ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল অধিকৃত গাজার পশ্চিম তীরে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তির ওপর বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) এক সেনা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এই রোমহর্ষক ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
আইডিএফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযুক্ত সেনাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার ওই ফিলিস্তিনিকে ঘটনার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি বাড়িতে থাকলেও তাঁর দুই পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা মাজিদি আবু মোখো। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভিডিওতে দেখা না গেলেও ওই সেনা তাঁর ছেলের চোখে ‘পিপার স্প্রে’ বা মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়েছিলেন।
মাজিদি আবু মোখো ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, আক্রমণকারী ব্যক্তি ওই এলাকার একজন কট্টরপন্থী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। তিনি গ্রামের কাছে একটি অবৈধ চৌকি স্থাপন করেছেন। অন্য বসতি স্থাপনকারীদের নিয়ে তিনি এখানে গবাদিপশু চরাতে আসেন, রাস্তা অবরোধ করেন এবং গ্রামবাসীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন রিজার্ভ সেনা ছিলেন। ঘটনার পরপরই তাঁকে সামরিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁর কাছে থাকা সরকারি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সেনাকে গতকাল রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি পাঁচ দিনের জন্য গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে ওই ব্যক্তি গ্রামে গুলিবর্ষণ করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালটি গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের (বসতি স্থাপনকারী) হামলার ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ‘সহিংস বছর’।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।

ইসরায়েল অধিকৃত গাজার পশ্চিম তীরে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তির ওপর বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) এক সেনা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এই রোমহর্ষক ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
আইডিএফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযুক্ত সেনাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার ওই ফিলিস্তিনিকে ঘটনার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি বাড়িতে থাকলেও তাঁর দুই পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা মাজিদি আবু মোখো। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভিডিওতে দেখা না গেলেও ওই সেনা তাঁর ছেলের চোখে ‘পিপার স্প্রে’ বা মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়েছিলেন।
মাজিদি আবু মোখো ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, আক্রমণকারী ব্যক্তি ওই এলাকার একজন কট্টরপন্থী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। তিনি গ্রামের কাছে একটি অবৈধ চৌকি স্থাপন করেছেন। অন্য বসতি স্থাপনকারীদের নিয়ে তিনি এখানে গবাদিপশু চরাতে আসেন, রাস্তা অবরোধ করেন এবং গ্রামবাসীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন রিজার্ভ সেনা ছিলেন। ঘটনার পরপরই তাঁকে সামরিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁর কাছে থাকা সরকারি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সেনাকে গতকাল রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি পাঁচ দিনের জন্য গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে ওই ব্যক্তি গ্রামে গুলিবর্ষণ করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালটি গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের (বসতি স্থাপনকারী) হামলার ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ‘সহিংস বছর’।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।

ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পাঁচ ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়ন গত মঙ্গলবার ৮৬০ কোটি তথা ৮৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের এই প্যাকেজের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
০৬ মার্চ ২০২৫
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
৫ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
৮ ঘণ্টা আগে