আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে প্রায় তিন বছর ধরে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ৩৫ হাজার শিশুর কোনো হদিস নেই। এ দাবি করেছে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তাঁদের ধারণা, এই ৩৫ হাজারেরও বেশি শিশুর এখনো রাশিয়া বা রুশ অধিকৃত অঞ্চলে আটকে রাখা হয়েছে। এদিকে শিশুদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সন্তানদের উদ্ধারে তাঁরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বাধ্য হচ্ছেন চরম ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয়। এ সময় ইউক্রেন থেকে শিশুদের অপহরণ করে রুশ সৈন্যরা। কখনো অনাথ আশ্রমগুলো থেকে, কখনো মৃত বাবা-মায়ের পাশ থেকে আবার কখনো পরিবারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে শিশুসন্তানকে।
এই জোরপূর্বক অপহরণ করে নেওয়া শিশুদের ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাশিয়া। চলতি মাসে তুরস্কে অনুষ্ঠিত যুদ্ধবিরতির আলোচনায় এক রুশ কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ইউক্রেন হারিয়ে যাওয়া শিশুদের নিয়ে নাটক করছে।
প্রায় ছয় মাস রাশিয়ার একটি ক্যাম্পে আটক থাকা দুই কিশোর ছেলেকে তাদের মা কীভাবে উদ্ধার করেছিলেন, সে নাটকীয় ঘটনা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তের খেরসন শহর দখল করে নেয়। সেই শহরের বাসিন্দা নাতালিয়াকে তাঁর এক প্রতিবেশী ছেলেদের রাশিয়ার সমুদ্রের তীরবর্তী রিসোর্টের শহর আনাপার একটি শিশুশিবিরে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।
নাতালিয়া বলছিলেন, ‘২১ দিনের জন্য সেখানে থাকার কথা ছিল। কোনো খরচ দিতে হয়নি এর জন্য। কথা ছিল সফর শেষে তাঁর ছেলেরা খেরসনে ফিরে আসবে। ছেলেরাও শুনে আগ্রহী হয়েছিল। আর আমি যেতে অনুমতি দিয়েছিলাম, যা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।’
২০২২ সালের শেষের দিকে খেরসন মুক্ত করে ইউক্রেনের সেনারা। কিন্তু ফ্রন্টলাইনের অন্য পাশের ওই ক্যাম্পে এখনো নাতালিয়ার সন্তানরাসহ আরও কিছু শিশু রয়ে গিয়েছিল। রাশিয়া তাদের ফিরতে দিচ্ছিল না নিজ দেশে।
নাতালিয়া বলতে থাকেন, ‘ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ আমার শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া বাচ্চাদের ছাড়তে রাজি ছিল না। আমি কী করব বুঝতে পারছিলাম না।’
অবশেষে, ইউক্রেনের একটি সংস্থার সহায়তায় নাতালিয়া দুই ছেলের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। এরপর তিনি একাই যাত্রা শুরু করেন। পাড়ি দেন সীমান্ত, পৌঁছান কৃষ্ণ সাগরের উত্তর উপকূলে রাশিয়ার আনাপা শহরে। পথে পার হতে হয় অসংখ্য সীমান্ত চৌকি, যেখানে বারবার রুশ সৈন্যদের জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। বারবার ব্যাখ্যা করতে হয় কেন তিনি রাশিয়ায় এসেছেন।
যুদ্ধের তুমুল গোলাগুলির মধ্যেই নাতালিয়া টানা ছয় দিন চলতে থাকেন ছেলেদের ফিরে পাওয়ার দৃঢ় মনোবলকে সঙ্গী করে। অবশেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর যাত্রার ইতি হয়। কাছে পান দুই সন্তানকে।
স্মৃতিচারণ করে নাতালিয়া বলেন, ‘আমার মনের অবস্থা কেমন ছিল সেটা কল্পনাও করতে পারবেন না। আমার সন্তানেরাই আমার সবকিছু।’
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর থেকে অপহরণ হওয়া বা রাশিয়ায় থাকা ইউক্রেনীয় শিশুদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ব্রিং কিডস ব্যাক নামের একটি সংগঠন। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৩৬৬টি শিশু ইউক্রেনে ফিরে বা পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞদের একটি দল অনুমান করছে, রাশিয়া ও দেশটির অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে প্রায় ৩৫ হাজার শিশু আটক থাকতে পারে।
আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে অনেক শিশুকে রুশ বাহিনী সামরিক প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠিয়েছে। আর কারও ঠাঁই হয়েছে সরকারি শিশু নিবাসে। আবার কারও নতুন জীবন শুরু হয়েছে রাশিয়ার কোনো পরিবারে সন্তান হিসেবে।
রুশ ডেটাবেস, সরকারি নথি, পারিবারিক সংযোগ এবং রুশ সাইট, সরকারি ভবন ও অন্যান্য উৎসের স্যাটেলাইট ইমেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে হাজার হাজার শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা।
এই গবেষণা দলের সদস্য ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের নির্বাহী পরিচালক নাথানিয়েল রেমন্ড বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় শিশু অপহরণের ঘটনা। নাৎসিদের হাতে পোলিশ শিশুদের জার্মানিকরণের (Germanification) সঙ্গে এ ঘটনাকে তুলনা করা যায়।
সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া ইউক্রেনীয় শিশুদের কাছ থেকে জানা যায়, রুশ আর্মি ক্যাম্পগুলোতে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। মাতৃভাষায় কথা বললে তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।
উদ্ধার হওয়া একটি ৯ বছর বয়সী শিশু জানায়, ‘আমাদের রুশ জাতীয় সংগীত গাইতে হতো। রাশিয়ার পতাকা আঁকতে হতো।’
অপহৃত শিশুদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে কাজ করা সংগঠন ইউক্রেনিয়ান চাইল্ড রাইটস নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন দারিয়া কাসিয়ানোভা বলেন, শিশুদের বোঝানো হতো, তারা যদি কথা না শোনে, তাহলে তাদের বাবা-মাকে এর জন্য ভুগতে হবে।
অ্যাকটিভিস্ট ও গবেষকদের মতে, ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক স্থানান্তর ও অপহরণ নতুন কিছু নয়। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের সময়ও তিনি একই ধরনের অপহরণ ও নির্বাসনের ঘটনা দেখেছেন বলে জানান কাসিয়ানোভা।
দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে তখন তিনি ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে কাজ করেছিলেন, যার মধ্য ১২ হাজারই শিশু। কাসিয়ানোভা বলতে থাকেন, ‘আমার মেয়ের বয়স তখন ১১। সে ও তার বন্ধু পিছিয়ে পড়েছিল। তাদের তখন রুশ আর্মি ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’
অ্যাকটিভিস্টদের আশঙ্কা, অপহৃত অনেক শিশুই রাশিয়ার নতুন দত্তক আইনের কারণে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে সম্প্রতি আইনে পরিবর্তন এনে রুশ নাগরিকদের ইউক্রেনীয় শিশুদের দত্তক ও লালন-পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কাসিয়ানোভা বলেন, ‘কখনো কখনো দেখা যায়, বাবা-মা ইউক্রেনে আর শিশু দখল করা অঞ্চলে। যদি সেই বাবা-মা মারা যান বা গ্রেপ্তার হন, তাহলে শিশুটি অনাথ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। তাকে অনাথ আশ্রমেও পাঠানো হতে পারে। আর যদি এটা হয়ে যায়, তাহলে সেই শিশুকে ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে তারা।’
ইয়েল ইউনিভার্সিটির অপহৃত শিশুদের ব্যাপারে তদন্ত করা দলের প্রধান নাথানিয়েল রেমন্ড বলেন, ‘এই শিশুদের জোরপূর্বক নির্বাসনের নথিভুক্ত করা জরুরি। এক জাতি বা দেশের শিশুকে নিয়ে অন্য জাতি বা দেশের অংশ করে তোলার চেষ্টা করা যুদ্ধাপরাধ।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও (আইসিসি) এ বিষয়ে একমত। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁরা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনের ‘যুদ্ধাপরাধের’ অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এই শিশুদের ফিরিয়ে আনা এখন শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান দাবি। ইউক্রেনীয় দাতব্য সংস্থা হেল্পিং টু লিভের বিশেষজ্ঞ ক্সেনিয়া বলেন, ‘আমরা ভূখণ্ড নিয়ে আলোচনা করছি। কিন্তু আমাদের জনগণ, আমাদের শিশু, তারাই তো আমাদের ভূখণ্ড। আমরা তাদের কীভাবে ছেড়ে দিতে পারি?’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের সন্তান, ইউক্রেনের সন্তান। তাদের অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের ওপর রাশিয়ার কোনো অধিকার নেই।’
এখন দর-কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে এই শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করেন রেমন্ড। তিনি বলেন, রাশিয়ানরা যখন এই সংঘাত শুরু করেছিল, তারা ভেবেছিল দ্রুত জয় আসবে। তখন এই অপহরণ শুরু হয়েছিল শিশুদের ব্যবহার বা দখলে রাখার জন্য নয়, বরং ইউক্রেনকে ‘রুশীকরণ’ (Russification) করার জন্য।
রেমন্ডের মতে, ‘যখন যুদ্ধের পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকল, তখন তারা কৌশল পাল্টে ফেলল। এখন এই শিশুদের জিম্মি করে আলোচনায় সুবিধা নিতে চায় রাশিয়া।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে প্রায় তিন বছর ধরে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ৩৫ হাজার শিশুর কোনো হদিস নেই। এ দাবি করেছে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তাঁদের ধারণা, এই ৩৫ হাজারেরও বেশি শিশুর এখনো রাশিয়া বা রুশ অধিকৃত অঞ্চলে আটকে রাখা হয়েছে। এদিকে শিশুদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সন্তানদের উদ্ধারে তাঁরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বাধ্য হচ্ছেন চরম ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয়। এ সময় ইউক্রেন থেকে শিশুদের অপহরণ করে রুশ সৈন্যরা। কখনো অনাথ আশ্রমগুলো থেকে, কখনো মৃত বাবা-মায়ের পাশ থেকে আবার কখনো পরিবারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে শিশুসন্তানকে।
এই জোরপূর্বক অপহরণ করে নেওয়া শিশুদের ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাশিয়া। চলতি মাসে তুরস্কে অনুষ্ঠিত যুদ্ধবিরতির আলোচনায় এক রুশ কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ইউক্রেন হারিয়ে যাওয়া শিশুদের নিয়ে নাটক করছে।
প্রায় ছয় মাস রাশিয়ার একটি ক্যাম্পে আটক থাকা দুই কিশোর ছেলেকে তাদের মা কীভাবে উদ্ধার করেছিলেন, সে নাটকীয় ঘটনা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তের খেরসন শহর দখল করে নেয়। সেই শহরের বাসিন্দা নাতালিয়াকে তাঁর এক প্রতিবেশী ছেলেদের রাশিয়ার সমুদ্রের তীরবর্তী রিসোর্টের শহর আনাপার একটি শিশুশিবিরে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।
নাতালিয়া বলছিলেন, ‘২১ দিনের জন্য সেখানে থাকার কথা ছিল। কোনো খরচ দিতে হয়নি এর জন্য। কথা ছিল সফর শেষে তাঁর ছেলেরা খেরসনে ফিরে আসবে। ছেলেরাও শুনে আগ্রহী হয়েছিল। আর আমি যেতে অনুমতি দিয়েছিলাম, যা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।’
২০২২ সালের শেষের দিকে খেরসন মুক্ত করে ইউক্রেনের সেনারা। কিন্তু ফ্রন্টলাইনের অন্য পাশের ওই ক্যাম্পে এখনো নাতালিয়ার সন্তানরাসহ আরও কিছু শিশু রয়ে গিয়েছিল। রাশিয়া তাদের ফিরতে দিচ্ছিল না নিজ দেশে।
নাতালিয়া বলতে থাকেন, ‘ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ আমার শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া বাচ্চাদের ছাড়তে রাজি ছিল না। আমি কী করব বুঝতে পারছিলাম না।’
অবশেষে, ইউক্রেনের একটি সংস্থার সহায়তায় নাতালিয়া দুই ছেলের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। এরপর তিনি একাই যাত্রা শুরু করেন। পাড়ি দেন সীমান্ত, পৌঁছান কৃষ্ণ সাগরের উত্তর উপকূলে রাশিয়ার আনাপা শহরে। পথে পার হতে হয় অসংখ্য সীমান্ত চৌকি, যেখানে বারবার রুশ সৈন্যদের জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। বারবার ব্যাখ্যা করতে হয় কেন তিনি রাশিয়ায় এসেছেন।
যুদ্ধের তুমুল গোলাগুলির মধ্যেই নাতালিয়া টানা ছয় দিন চলতে থাকেন ছেলেদের ফিরে পাওয়ার দৃঢ় মনোবলকে সঙ্গী করে। অবশেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর যাত্রার ইতি হয়। কাছে পান দুই সন্তানকে।
স্মৃতিচারণ করে নাতালিয়া বলেন, ‘আমার মনের অবস্থা কেমন ছিল সেটা কল্পনাও করতে পারবেন না। আমার সন্তানেরাই আমার সবকিছু।’
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর থেকে অপহরণ হওয়া বা রাশিয়ায় থাকা ইউক্রেনীয় শিশুদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ব্রিং কিডস ব্যাক নামের একটি সংগঠন। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৩৬৬টি শিশু ইউক্রেনে ফিরে বা পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞদের একটি দল অনুমান করছে, রাশিয়া ও দেশটির অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে প্রায় ৩৫ হাজার শিশু আটক থাকতে পারে।
আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে অনেক শিশুকে রুশ বাহিনী সামরিক প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠিয়েছে। আর কারও ঠাঁই হয়েছে সরকারি শিশু নিবাসে। আবার কারও নতুন জীবন শুরু হয়েছে রাশিয়ার কোনো পরিবারে সন্তান হিসেবে।
রুশ ডেটাবেস, সরকারি নথি, পারিবারিক সংযোগ এবং রুশ সাইট, সরকারি ভবন ও অন্যান্য উৎসের স্যাটেলাইট ইমেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে হাজার হাজার শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা।
এই গবেষণা দলের সদস্য ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের নির্বাহী পরিচালক নাথানিয়েল রেমন্ড বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় শিশু অপহরণের ঘটনা। নাৎসিদের হাতে পোলিশ শিশুদের জার্মানিকরণের (Germanification) সঙ্গে এ ঘটনাকে তুলনা করা যায়।
সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া ইউক্রেনীয় শিশুদের কাছ থেকে জানা যায়, রুশ আর্মি ক্যাম্পগুলোতে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। মাতৃভাষায় কথা বললে তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।
উদ্ধার হওয়া একটি ৯ বছর বয়সী শিশু জানায়, ‘আমাদের রুশ জাতীয় সংগীত গাইতে হতো। রাশিয়ার পতাকা আঁকতে হতো।’
অপহৃত শিশুদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে কাজ করা সংগঠন ইউক্রেনিয়ান চাইল্ড রাইটস নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন দারিয়া কাসিয়ানোভা বলেন, শিশুদের বোঝানো হতো, তারা যদি কথা না শোনে, তাহলে তাদের বাবা-মাকে এর জন্য ভুগতে হবে।
অ্যাকটিভিস্ট ও গবেষকদের মতে, ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক স্থানান্তর ও অপহরণ নতুন কিছু নয়। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের সময়ও তিনি একই ধরনের অপহরণ ও নির্বাসনের ঘটনা দেখেছেন বলে জানান কাসিয়ানোভা।
দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে তখন তিনি ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে কাজ করেছিলেন, যার মধ্য ১২ হাজারই শিশু। কাসিয়ানোভা বলতে থাকেন, ‘আমার মেয়ের বয়স তখন ১১। সে ও তার বন্ধু পিছিয়ে পড়েছিল। তাদের তখন রুশ আর্মি ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’
অ্যাকটিভিস্টদের আশঙ্কা, অপহৃত অনেক শিশুই রাশিয়ার নতুন দত্তক আইনের কারণে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে সম্প্রতি আইনে পরিবর্তন এনে রুশ নাগরিকদের ইউক্রেনীয় শিশুদের দত্তক ও লালন-পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কাসিয়ানোভা বলেন, ‘কখনো কখনো দেখা যায়, বাবা-মা ইউক্রেনে আর শিশু দখল করা অঞ্চলে। যদি সেই বাবা-মা মারা যান বা গ্রেপ্তার হন, তাহলে শিশুটি অনাথ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। তাকে অনাথ আশ্রমেও পাঠানো হতে পারে। আর যদি এটা হয়ে যায়, তাহলে সেই শিশুকে ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে তারা।’
ইয়েল ইউনিভার্সিটির অপহৃত শিশুদের ব্যাপারে তদন্ত করা দলের প্রধান নাথানিয়েল রেমন্ড বলেন, ‘এই শিশুদের জোরপূর্বক নির্বাসনের নথিভুক্ত করা জরুরি। এক জাতি বা দেশের শিশুকে নিয়ে অন্য জাতি বা দেশের অংশ করে তোলার চেষ্টা করা যুদ্ধাপরাধ।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও (আইসিসি) এ বিষয়ে একমত। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁরা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনের ‘যুদ্ধাপরাধের’ অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এই শিশুদের ফিরিয়ে আনা এখন শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান দাবি। ইউক্রেনীয় দাতব্য সংস্থা হেল্পিং টু লিভের বিশেষজ্ঞ ক্সেনিয়া বলেন, ‘আমরা ভূখণ্ড নিয়ে আলোচনা করছি। কিন্তু আমাদের জনগণ, আমাদের শিশু, তারাই তো আমাদের ভূখণ্ড। আমরা তাদের কীভাবে ছেড়ে দিতে পারি?’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের সন্তান, ইউক্রেনের সন্তান। তাদের অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের ওপর রাশিয়ার কোনো অধিকার নেই।’
এখন দর-কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে এই শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করেন রেমন্ড। তিনি বলেন, রাশিয়ানরা যখন এই সংঘাত শুরু করেছিল, তারা ভেবেছিল দ্রুত জয় আসবে। তখন এই অপহরণ শুরু হয়েছিল শিশুদের ব্যবহার বা দখলে রাখার জন্য নয়, বরং ইউক্রেনকে ‘রুশীকরণ’ (Russification) করার জন্য।
রেমন্ডের মতে, ‘যখন যুদ্ধের পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকল, তখন তারা কৌশল পাল্টে ফেলল। এখন এই শিশুদের জিম্মি করে আলোচনায় সুবিধা নিতে চায় রাশিয়া।’

বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৬ মিনিট আগে
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
৩ ঘণ্টা আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে রাশিয়ায় বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী বিত্তবান গোষ্ঠী, যারা অলিগার্ক নামে পরিচিত, তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রভাব প্রায় পুরোটাই হারিয়েছে তারা।
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
শাস্তির এই কড়াকড়ি ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা সাবেক ব্যাংকিং বিলিয়নিয়ার ওলেগ তিনকভ খুব ভালো করেই জানেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করার ঠিক পরদিনই ক্রেমলিন থেকে তাঁর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনকভকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা না হয়, তাহলে তৎকালীন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক তিনকভ ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনকভ বলেন, ‘আমি দাম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাইনি। অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার মতো অবস্থা, যা অফার করা হবে, তা-ই নিতে হবে। দর-কষাকষির কোনো উপায় ছিল না।’
এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্লাদিমির পোতানিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি কিনে নেয়।
উল্লেখ্য, পোতানিন বর্তমানে রাশিয়ার পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। রুশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য নিকেল সরবরাহ করেন তিনি।
তিনকভের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটিকে তার প্রকৃত মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনকভ তাঁর প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারান এবং রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।
পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার উদীয়মান পুঁজিবাদের সুযোগ নিয়ে এবং বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কুক্ষিগত করে একদল মানুষ অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়ে এই সম্পদ তাঁদের হাতে বিপুল ক্ষমতা ও প্রভাব এনে দেয়, যার ফলে তাঁরা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান।
রাশিয়ার সেই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী অলিগার্ক বোরিস বেরেজোভস্কি দাবি করেছিলেন, ২০০০ সালে পুতিনকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি।
তবে এর কয়েক বছর পরেই তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি তাঁর (পুতিন) মধ্যে সেই লোভী স্বৈরশাসক ও জবরদখলকারীকে দেখতে পাইনি, যিনি কিনা স্বাধীনতাকে পদদলিত করবেন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন থামিয়ে দেবেন।’
বেরেজোভস্কি হয়তো নিজের ভূমিকার কথা একটু বাড়িয়েই বলেছিলেন। তবে রাশিয়ার অলিগার্করা যে একসময় ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রাখতেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই ক্ষমাপ্রার্থনার ঠিক এক বছর পরেই যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে বেরেজোভস্কির মরদেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ধনকুবেরদের রাজনৈতিক দাপটেরও চূড়ান্ত অবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে রাশিয়ায় বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী বিত্তবান গোষ্ঠী, যারা অলিগার্ক নামে পরিচিত, তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রভাব প্রায় পুরোটাই হারিয়েছে তারা।
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
শাস্তির এই কড়াকড়ি ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা সাবেক ব্যাংকিং বিলিয়নিয়ার ওলেগ তিনকভ খুব ভালো করেই জানেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করার ঠিক পরদিনই ক্রেমলিন থেকে তাঁর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনকভকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা না হয়, তাহলে তৎকালীন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক তিনকভ ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনকভ বলেন, ‘আমি দাম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাইনি। অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার মতো অবস্থা, যা অফার করা হবে, তা-ই নিতে হবে। দর-কষাকষির কোনো উপায় ছিল না।’
এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্লাদিমির পোতানিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি কিনে নেয়।
উল্লেখ্য, পোতানিন বর্তমানে রাশিয়ার পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। রুশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য নিকেল সরবরাহ করেন তিনি।
তিনকভের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটিকে তার প্রকৃত মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনকভ তাঁর প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারান এবং রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।
পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার উদীয়মান পুঁজিবাদের সুযোগ নিয়ে এবং বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কুক্ষিগত করে একদল মানুষ অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়ে এই সম্পদ তাঁদের হাতে বিপুল ক্ষমতা ও প্রভাব এনে দেয়, যার ফলে তাঁরা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান।
রাশিয়ার সেই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী অলিগার্ক বোরিস বেরেজোভস্কি দাবি করেছিলেন, ২০০০ সালে পুতিনকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি।
তবে এর কয়েক বছর পরেই তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি তাঁর (পুতিন) মধ্যে সেই লোভী স্বৈরশাসক ও জবরদখলকারীকে দেখতে পাইনি, যিনি কিনা স্বাধীনতাকে পদদলিত করবেন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন থামিয়ে দেবেন।’
বেরেজোভস্কি হয়তো নিজের ভূমিকার কথা একটু বাড়িয়েই বলেছিলেন। তবে রাশিয়ার অলিগার্করা যে একসময় ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রাখতেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই ক্ষমাপ্রার্থনার ঠিক এক বছর পরেই যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে বেরেজোভস্কির মরদেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ধনকুবেরদের রাজনৈতিক দাপটেরও চূড়ান্ত অবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে প্রায় তিন বছর ধরে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ৩৫ হাজার শিশুর কোনো হদিস নেই। এ দাবি করছে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তাঁদের ধারণা, এই ৩৫ হাজারেরও বেশি শিশুর এখনো রাশিয়া বা রুশ অধিকৃত অঞ্চলে আটকে রাখা হয়েছে। এদিকে শিশুদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সন্তানদের...
২৭ জুন ২০২৫
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
৩ ঘণ্টা আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
৪ ঘণ্টা আগেহিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
তবে মেঘালয় পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুলিশের এই দাবি সঠিক নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ‘ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’ খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতের মেঘালয় পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ওসমান হাদি হত্যা মামলার দুই প্রধান আসামি অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে—এমন দাবি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’। ভারতের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই ছাড়া এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্য প্রচার সীমান্তের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করার পাশাপাশি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার নিরাপত্তামূলক আস্থায় ফাটল ধরাতে পারে।
বাংলাদেশ পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওসমান হাদি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মেঘালয়ে প্রবেশ করেছে এবং বর্তমানে তাঁরা ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন। ‘পুর্তি’ নামক এক স্থানীয় সহায়তাকারী এবং ‘সামী’ নামে এক ট্যাক্সি চালক তাঁদের মেঘালয়ের তুরা শহরে পৌঁছে দিয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার এই দাবির বিষয়ে মেঘালয় পুলিশ সদর দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো তথ্যই আমাদের জানানো হয়নি। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও মাঠ পর্যায়ের ভেরিফিকেশনে ওই অভিযুক্তদের গারো হিলস বা মেঘালয়ের কোথাও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনে উল্লিখিত ‘পুর্তি’ বা ‘সামী’ নামক কোনো ব্যক্তিরও হদিস পাওয়া যায়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তার করার খবরটিও বানোয়াট।
মেঘালয় পুলিশের পাশাপাশি বিএসএফ-ও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। বিএসএফের মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) ও. পি. উপাধ্যায়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, হালুয়াঘাট সেক্টর দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভারতে প্রবেশের কোনো প্রমাণ বা ইন্টেলিজেন্স ইনপুট তাঁদের কাছে নেই। বিএসএফ অত্যন্ত কঠোর প্রটোকল মেনে সীমান্ত পাহারা দেয় এবং এমন কোনো অনুপ্রবেশ আমাদের নজরে আসেনি। তিনি এই ধরনের দাবিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করেন, মেঘালয় একটি সংবেদনশীল সীমান্ত রাজ্য হওয়ার কারণে এখানে নিয়মিত আন্তসীমান্ত অপরাধ ও ছোটখাটো সংঘর্ষের মোকাবিলা করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমে যাচাই না করা তথ্য ছড়ালে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
অনুপ্রবেশের খবরটি নাকচ করা হলেও, বাড়তি সতর্কতা হিসেবে মেঘালয় পুলিশ ও বিএসএফ সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা একটি স্বাভাবিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং এটি কোনোভাবেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই ভুল খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে না।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
তবে মেঘালয় পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুলিশের এই দাবি সঠিক নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ‘ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’ খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতের মেঘালয় পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ওসমান হাদি হত্যা মামলার দুই প্রধান আসামি অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে—এমন দাবি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’। ভারতের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই ছাড়া এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্য প্রচার সীমান্তের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করার পাশাপাশি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার নিরাপত্তামূলক আস্থায় ফাটল ধরাতে পারে।
বাংলাদেশ পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওসমান হাদি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মেঘালয়ে প্রবেশ করেছে এবং বর্তমানে তাঁরা ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন। ‘পুর্তি’ নামক এক স্থানীয় সহায়তাকারী এবং ‘সামী’ নামে এক ট্যাক্সি চালক তাঁদের মেঘালয়ের তুরা শহরে পৌঁছে দিয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার এই দাবির বিষয়ে মেঘালয় পুলিশ সদর দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো তথ্যই আমাদের জানানো হয়নি। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও মাঠ পর্যায়ের ভেরিফিকেশনে ওই অভিযুক্তদের গারো হিলস বা মেঘালয়ের কোথাও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনে উল্লিখিত ‘পুর্তি’ বা ‘সামী’ নামক কোনো ব্যক্তিরও হদিস পাওয়া যায়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তার করার খবরটিও বানোয়াট।
মেঘালয় পুলিশের পাশাপাশি বিএসএফ-ও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। বিএসএফের মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) ও. পি. উপাধ্যায়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, হালুয়াঘাট সেক্টর দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভারতে প্রবেশের কোনো প্রমাণ বা ইন্টেলিজেন্স ইনপুট তাঁদের কাছে নেই। বিএসএফ অত্যন্ত কঠোর প্রটোকল মেনে সীমান্ত পাহারা দেয় এবং এমন কোনো অনুপ্রবেশ আমাদের নজরে আসেনি। তিনি এই ধরনের দাবিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করেন, মেঘালয় একটি সংবেদনশীল সীমান্ত রাজ্য হওয়ার কারণে এখানে নিয়মিত আন্তসীমান্ত অপরাধ ও ছোটখাটো সংঘর্ষের মোকাবিলা করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমে যাচাই না করা তথ্য ছড়ালে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
অনুপ্রবেশের খবরটি নাকচ করা হলেও, বাড়তি সতর্কতা হিসেবে মেঘালয় পুলিশ ও বিএসএফ সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা একটি স্বাভাবিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং এটি কোনোভাবেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই ভুল খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে না।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে প্রায় তিন বছর ধরে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ৩৫ হাজার শিশুর কোনো হদিস নেই। এ দাবি করছে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তাঁদের ধারণা, এই ৩৫ হাজারেরও বেশি শিশুর এখনো রাশিয়া বা রুশ অধিকৃত অঞ্চলে আটকে রাখা হয়েছে। এদিকে শিশুদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সন্তানদের...
২৭ জুন ২০২৫
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৬ মিনিট আগে
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
৩ ঘণ্টা আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে শুরু হয়েছে এক বিতর্কিত নির্বাচন, যা দেশ-বিদেশে ‘প্রহসন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যাত। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতি, শীর্ষ নেতাদের কারাবাস এবং চলমান সংঘাতের কারণে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকারবঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন হচ্ছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সামরিক জান্তা সরকার। ওই অভ্যুত্থান দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল, যা পরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারে আজ রোববার শুরু হওয়া ভোট গ্রহণের মধ্যে দেশটির একাধিক অঞ্চলে বিস্ফোরণ ও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
মান্দালয় অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী বিবিসিকে নিশ্চিত করেন, আজ ভোরে ওই অঞ্চলের একটি জনশূন্য বাড়িতে রকেট হামলার পর তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে গতকাল রাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মায়াওয়াদ্দি শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১০টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, ওই হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে এবং তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
তবে কিছু ভোটার বিবিসির কাছে দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচন আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘সুশৃঙ্খল’।
মান্দালয় অঞ্চলের বাসিন্দা মা সু জারচি বলেন, ‘ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা এবার অনেক বদলে গেছে। ভোট দেওয়ার আগে আমি ভয়ে ছিলাম। এখন ভোট দিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি। দেশের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি—এমন একজন নাগরিক হিসেবে আমি আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।’
২২ বছর বয়সে প্রথমবার ভোট দিয়ে পেয়ি ফিয়ো মাউং বিবিসিকে জানান, তিনি ভোট দিয়েছেন। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন ভোট দেওয়া ‘প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব’।
মাউং বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। আমি এমন কাউকে সমর্থন করতে চাই, যিনি লড়াই করা এসব মানুষের জন্য নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনতে পারবেন। আমি এমন একজন প্রেসিডেন্ট চাই, যিনি সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবেন।’
এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই নির্বাচন ঘিরে সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য দেশকে ‘বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা’।
রাজধানী নেপিডোর এক কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ভোটকেন্দ্রে আজ ভোট দিয়ে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বিবিসিকে বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
জান্তাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমি চাইলেই বলতে পারি না, আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, যারা ভোট প্রত্যাখ্যান করছে, তারা আসলে ‘গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতিকে’ প্রত্যাখ্যান করছে।
মিয়ানমারে নতুন এক আইনের অধীনে নির্বাচনে বাধা দেওয়া বা বিরোধিতা করার অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই আইনে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে শুরু হয়েছে এক বিতর্কিত নির্বাচন, যা দেশ-বিদেশে ‘প্রহসন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যাত। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতি, শীর্ষ নেতাদের কারাবাস এবং চলমান সংঘাতের কারণে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকারবঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন হচ্ছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সামরিক জান্তা সরকার। ওই অভ্যুত্থান দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল, যা পরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারে আজ রোববার শুরু হওয়া ভোট গ্রহণের মধ্যে দেশটির একাধিক অঞ্চলে বিস্ফোরণ ও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
মান্দালয় অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী বিবিসিকে নিশ্চিত করেন, আজ ভোরে ওই অঞ্চলের একটি জনশূন্য বাড়িতে রকেট হামলার পর তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে গতকাল রাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মায়াওয়াদ্দি শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১০টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, ওই হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে এবং তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
তবে কিছু ভোটার বিবিসির কাছে দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচন আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘সুশৃঙ্খল’।
মান্দালয় অঞ্চলের বাসিন্দা মা সু জারচি বলেন, ‘ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা এবার অনেক বদলে গেছে। ভোট দেওয়ার আগে আমি ভয়ে ছিলাম। এখন ভোট দিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি। দেশের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি—এমন একজন নাগরিক হিসেবে আমি আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।’
২২ বছর বয়সে প্রথমবার ভোট দিয়ে পেয়ি ফিয়ো মাউং বিবিসিকে জানান, তিনি ভোট দিয়েছেন। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন ভোট দেওয়া ‘প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব’।
মাউং বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। আমি এমন কাউকে সমর্থন করতে চাই, যিনি লড়াই করা এসব মানুষের জন্য নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনতে পারবেন। আমি এমন একজন প্রেসিডেন্ট চাই, যিনি সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবেন।’
এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই নির্বাচন ঘিরে সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য দেশকে ‘বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা’।
রাজধানী নেপিডোর এক কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ভোটকেন্দ্রে আজ ভোট দিয়ে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বিবিসিকে বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
জান্তাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমি চাইলেই বলতে পারি না, আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, যারা ভোট প্রত্যাখ্যান করছে, তারা আসলে ‘গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতিকে’ প্রত্যাখ্যান করছে।
মিয়ানমারে নতুন এক আইনের অধীনে নির্বাচনে বাধা দেওয়া বা বিরোধিতা করার অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই আইনে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে প্রায় তিন বছর ধরে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ৩৫ হাজার শিশুর কোনো হদিস নেই। এ দাবি করছে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তাঁদের ধারণা, এই ৩৫ হাজারেরও বেশি শিশুর এখনো রাশিয়া বা রুশ অধিকৃত অঞ্চলে আটকে রাখা হয়েছে। এদিকে শিশুদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সন্তানদের...
২৭ জুন ২০২৫
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৬ মিনিট আগে
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী যখন ক্যামেরার সামনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এবং তাঁদের কথোপকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের কথা বলেন তখন ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার কিছুই হবে না।’
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। তিনি রামপুর বাঘেলান নগর পরিষদের এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অশোক সিংকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করতে এবং ভুক্তভোগী নারীকে হুমকি দিতে দেখা যায়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপটিতে অভিযুক্তকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কী হবে? কিছুই হবে না। যেখানে খুশি অভিযোগ করো, আমার কিছুই হবে না।’ ভিডিওর নেপথ্যে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ দায়েরের কথা বলতে শোনা যায়।
গত সোমবার সাতনার পুলিশ সুপার (এসপি) হংসরাজ সিংয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। নিজের ও পরিবারের প্রাণনাশের হুমকির কারণে এতদিন তিনি মুখ খোলেননি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসপি তদন্তের দায়িত্ব ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) মনোজ ত্রিবেদীর কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, কারহি এলাকার বাসিন্দা অশোক সিং তাঁর বাড়িতে ঢুকে ছুরির মুখে তাঁকে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এবং এই বিষয়ে মুখ খুললে নারী ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ওই নারী অভিযোগে আরও বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর অশোক সিং আবার তাঁর কাছে আসেন, তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং আবারও ভিডিওটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। বলেন, তাঁর কথামতো না চললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর দাবি, অশোক সিংয়ের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল এবং একসময় তাঁকে জেলা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এই কারণেই সে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে প্রকাশ্যে তাঁকে হুমকি দিতে সাহস পেয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অশোক সিং নিয়মিত তাঁর দোকানে এসে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বারবার হুমকি দেন। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার ভীতি ও হয়রানির মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
ওই নারী আরও অভিযোগ করেছেন, পাঁচ দিন আগে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি। তিনি বলেন, তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনো ক্ষতি হলে এর জন্য পুলিশই দায়ী থাকবে।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং সব প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী যখন ক্যামেরার সামনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এবং তাঁদের কথোপকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের কথা বলেন তখন ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার কিছুই হবে না।’
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। তিনি রামপুর বাঘেলান নগর পরিষদের এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অশোক সিংকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করতে এবং ভুক্তভোগী নারীকে হুমকি দিতে দেখা যায়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপটিতে অভিযুক্তকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কী হবে? কিছুই হবে না। যেখানে খুশি অভিযোগ করো, আমার কিছুই হবে না।’ ভিডিওর নেপথ্যে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ দায়েরের কথা বলতে শোনা যায়।
গত সোমবার সাতনার পুলিশ সুপার (এসপি) হংসরাজ সিংয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। নিজের ও পরিবারের প্রাণনাশের হুমকির কারণে এতদিন তিনি মুখ খোলেননি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসপি তদন্তের দায়িত্ব ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) মনোজ ত্রিবেদীর কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, কারহি এলাকার বাসিন্দা অশোক সিং তাঁর বাড়িতে ঢুকে ছুরির মুখে তাঁকে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এবং এই বিষয়ে মুখ খুললে নারী ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ওই নারী অভিযোগে আরও বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর অশোক সিং আবার তাঁর কাছে আসেন, তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং আবারও ভিডিওটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। বলেন, তাঁর কথামতো না চললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর দাবি, অশোক সিংয়ের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল এবং একসময় তাঁকে জেলা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এই কারণেই সে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে প্রকাশ্যে তাঁকে হুমকি দিতে সাহস পেয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অশোক সিং নিয়মিত তাঁর দোকানে এসে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বারবার হুমকি দেন। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার ভীতি ও হয়রানির মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
ওই নারী আরও অভিযোগ করেছেন, পাঁচ দিন আগে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি। তিনি বলেন, তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনো ক্ষতি হলে এর জন্য পুলিশই দায়ী থাকবে।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং সব প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে প্রায় তিন বছর ধরে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ৩৫ হাজার শিশুর কোনো হদিস নেই। এ দাবি করছে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তাঁদের ধারণা, এই ৩৫ হাজারেরও বেশি শিশুর এখনো রাশিয়া বা রুশ অধিকৃত অঞ্চলে আটকে রাখা হয়েছে। এদিকে শিশুদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সন্তানদের...
২৭ জুন ২০২৫
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৬ মিনিট আগে
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
৩ ঘণ্টা আগে