আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নরিমান জেলিয়ালকে রুশ কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে সাইবেরিয়ার এক তীব্র শীতল কারাগারে পাঠায়। সে সময় বন্দীদের খাবার বলতে ছিল শুধু রুটি আর পাতলা স্যুপ। চশমা পরা, দাড়িওয়ালা এই ক্রিমিয়ান তাতার নেতা ধর্মপ্রাণ মুসলিম। কিন্তু তাঁকে যে খাবার দেওয়া হতো, তার বেশির ভাগই ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি—যা ইসলামে হারাম।
জেলিয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং বিস্ফোরক পাচার করেছিলেন। তবে ইউক্রেন এই মামলাকে রাশিয়ার সাজানো নাটক বলেই দাবি করেছে। জেলিয়াল খাবার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি কেবল রুটিই খেতাম, সেটাও ভালো মানের ছিল না, আর সঙ্গে থাকত চা।’ তিনি এখন ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জেলিয়াল শুরু থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
পরে সাইবেরিয়ার শীতলতম এলাকা থেকে জোলিয়ালকে প্রায় জনশূন্য মাইনুসিনস্ক শহরের কারাগারে নেওয়া হয়। সেখানে অবশ্য তাঁর খাবারের মান কিঞ্চিৎ উন্নত হয়। সকালের খাবারে থাকত বিস্বাদ স্যুপ; রাতে মাছ। আর দুপুরের খাবারের তিনটি পদের একটি ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি।
তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
‘মুকুটধারী চোর’ বা ‘কৃষ্ণ গোত্রের অপরাধী’—নামে একদল দুর্ধর্ষ অপরাধী কারাগারে একধরনের গ্যাং-সংস্কৃতি কায়েম করেছে। কারাগারের ভেতরেই তারা জুয়ার আসর বসায়, মাদক চোরাচালান করে, নির্মম হিংস্রতার শাসন চালায়। এসব কারাগারকে বলা হয় ‘কালো কারাগার’। আর এসব কাজে অপরাধীদের সঙ্গে আঁতাত করে চলে কারারক্ষীরা।
আরেক ধরনের কারাগার আছে, যেখানে মূল নিয়ন্ত্রণ থাকে কারারক্ষীদের হাতে। সেগুলোকে বলা হয় ‘লাল কারাগার’। এসব কারাগারে বন্দীদের ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন—নির্জন কারাবাস, অপুষ্টি, এমনকি ধর্ষণের শিকারও হতে হয় অনেককে।
কিন্তু গত দুই দশকে রাশিয়ার কারাগারের আরেকটি ভিন্ন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মুসলিম বন্দীকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘উগ্রপন্থার’ অভিযোগে কারাবন্দী করা হয়েছে। রাশিয়ার ১৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে ১৫ শতাংশই মুসলিম। কিন্তু কারাগারে এই অনুপাত অনেক বেশি। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রুশ মুফতি আলবির ক্রগানোভ জানান, রাশিয়ার ২ লাখ ৬ হাজার বন্দীর মধ্যে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা ৩১ হাজার।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কারাবন্দীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে কত মুসলিম বন্দী যুদ্ধের নামে কারাগার থেকে সরানো হয়েছে, তা জানা যায়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, রাশিয়ার কারাগারে কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাঁকে ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে’ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এমনকি তাঁর সাজাও বাড়ানো হতে পারে।
সাবেক কারা বিশ্লেষক আন্না কারেতনিকোভা বলেন, ‘কোনো বন্দী যদি অর্থোডক্স খ্রিষ্টান হয়ে গির্জায় গিয়ে ব্যাপ্টিজম নেয়, তবে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। কিন্তু কেউ ইসলাম গ্রহণ করলেই তাঁকে উগ্রপন্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়, কারা প্রশাসনকে তিরস্কার করা হয়, আর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর ওপর নজরদারি বাড়িয়ে দেয়।’

মধ্য এশিয়া থেকে আসা অভিবাসী মুসলিম শ্রমিকেরাও এই নির্যাতনের শিকার হন। ভাষা, আইন এবং জীবনধারার অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে পুলিশ ও কৌঁসুলিরা তাদের ফাঁসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ আছে। মস্কোর নির্মাণশ্রমিক আব্দুল আজিজ বলেন, ২০২২ সালে পুলিশ তাঁর ছোট ভাই আব্দুল মুমিনের কাছে ‘স্পাইস’ নামের কৃত্রিম মাদক রেখে দেয়। এরপর বৈদ্যুতিক শক এবং প্লাস্টিক বোতল দিয়ে মারধর করে জবানবন্দি আদায় করে যে, সে পার্কের বেঞ্চের নিচে মাদক রেখেছিল। পরে এক বিচারক তাকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ভাগ্য ভালো, ওখানে অনেক সবুজ (মুসলিম) বন্দী আছে। ওরা নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে, তাই অন্য বন্দীরা ওদের সঙ্গে ঝামেলা করে না...সমস্যা হলো, কারারক্ষীরা। তবে তাদেরও ঘুষ দিয়ে সামলানো যায়।’
রাশিয়ার কিছু কারাগার মুসলিম বন্দীদের জন্য একেবারেই প্রতিকূল। অনেক কারাগারে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে বিছানা ছেড়ে ওঠা নিষিদ্ধ। ফলে ফজরের নামাজ পড়লে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। রমজানে রোজা রাখাও কঠিন হয়ে ওঠে।
তবে কিছু কারাগারে পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো বলে জানান রুশ একটি কারাগারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী আজাত গাউনুতদিনভ। তিনি বলেন, ‘তারা যদি ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো জানে, যদি মুসলিম বন্দীদের মানসিকতা বোঝে, তাহলে অনেক সমস্যা কমে যায়।’ তিনি ইসলাম গ্রহণের পর মুসলিম বন্দীদের অধিকার রক্ষায় কাজ শুরু করেছেন।
মাইনুসিনস্কের কারাগারে জেলিয়াল এবং অন্যান্য মুসলিম বন্দীদের নামাজ পড়ার অনুমতি ছিল। তাঁরা বিছানায় বসেই রোজার ইফতার করতে পারতেন। কারাগারের গ্রন্থাগার থেকে কোরআন এবং ইসলামবিষয়ক বই পাওয়া যেত। কিন্তু অন্যান্য কারাগারে মুসলিম বন্দীদের এতটুকু স্বাধীনতাও নেই। কোরআন পড়া তো দূরের কথা, আরবি ভাষা শেখাও নিষিদ্ধ।
২০০০ সালের শুরুর দিকে দ্বিতীয় চেচনিয়া যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার কারাগারে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু বিশ্লেষক কারেতনিকোভা বলেন, এত দিনেও রুশ প্রশাসন এই সমস্যার কোনো কার্যকর সমাধান বের করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘কেবল শাস্তি আর পুরস্কারের নীতি চলছে। কোনো বোঝাপড়া নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই।’

নরিমান জেলিয়ালকে রুশ কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে সাইবেরিয়ার এক তীব্র শীতল কারাগারে পাঠায়। সে সময় বন্দীদের খাবার বলতে ছিল শুধু রুটি আর পাতলা স্যুপ। চশমা পরা, দাড়িওয়ালা এই ক্রিমিয়ান তাতার নেতা ধর্মপ্রাণ মুসলিম। কিন্তু তাঁকে যে খাবার দেওয়া হতো, তার বেশির ভাগই ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি—যা ইসলামে হারাম।
জেলিয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং বিস্ফোরক পাচার করেছিলেন। তবে ইউক্রেন এই মামলাকে রাশিয়ার সাজানো নাটক বলেই দাবি করেছে। জেলিয়াল খাবার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি কেবল রুটিই খেতাম, সেটাও ভালো মানের ছিল না, আর সঙ্গে থাকত চা।’ তিনি এখন ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জেলিয়াল শুরু থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
পরে সাইবেরিয়ার শীতলতম এলাকা থেকে জোলিয়ালকে প্রায় জনশূন্য মাইনুসিনস্ক শহরের কারাগারে নেওয়া হয়। সেখানে অবশ্য তাঁর খাবারের মান কিঞ্চিৎ উন্নত হয়। সকালের খাবারে থাকত বিস্বাদ স্যুপ; রাতে মাছ। আর দুপুরের খাবারের তিনটি পদের একটি ছিল শূকরের মাংস দিয়ে তৈরি।
তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
‘মুকুটধারী চোর’ বা ‘কৃষ্ণ গোত্রের অপরাধী’—নামে একদল দুর্ধর্ষ অপরাধী কারাগারে একধরনের গ্যাং-সংস্কৃতি কায়েম করেছে। কারাগারের ভেতরেই তারা জুয়ার আসর বসায়, মাদক চোরাচালান করে, নির্মম হিংস্রতার শাসন চালায়। এসব কারাগারকে বলা হয় ‘কালো কারাগার’। আর এসব কাজে অপরাধীদের সঙ্গে আঁতাত করে চলে কারারক্ষীরা।
আরেক ধরনের কারাগার আছে, যেখানে মূল নিয়ন্ত্রণ থাকে কারারক্ষীদের হাতে। সেগুলোকে বলা হয় ‘লাল কারাগার’। এসব কারাগারে বন্দীদের ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন—নির্জন কারাবাস, অপুষ্টি, এমনকি ধর্ষণের শিকারও হতে হয় অনেককে।
কিন্তু গত দুই দশকে রাশিয়ার কারাগারের আরেকটি ভিন্ন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মুসলিম বন্দীকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘উগ্রপন্থার’ অভিযোগে কারাবন্দী করা হয়েছে। রাশিয়ার ১৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে ১৫ শতাংশই মুসলিম। কিন্তু কারাগারে এই অনুপাত অনেক বেশি। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রুশ মুফতি আলবির ক্রগানোভ জানান, রাশিয়ার ২ লাখ ৬ হাজার বন্দীর মধ্যে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা ৩১ হাজার।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কারাবন্দীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে কত মুসলিম বন্দী যুদ্ধের নামে কারাগার থেকে সরানো হয়েছে, তা জানা যায়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, রাশিয়ার কারাগারে কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাঁকে ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে’ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এমনকি তাঁর সাজাও বাড়ানো হতে পারে।
সাবেক কারা বিশ্লেষক আন্না কারেতনিকোভা বলেন, ‘কোনো বন্দী যদি অর্থোডক্স খ্রিষ্টান হয়ে গির্জায় গিয়ে ব্যাপ্টিজম নেয়, তবে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। কিন্তু কেউ ইসলাম গ্রহণ করলেই তাঁকে উগ্রপন্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়, কারা প্রশাসনকে তিরস্কার করা হয়, আর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর ওপর নজরদারি বাড়িয়ে দেয়।’

মধ্য এশিয়া থেকে আসা অভিবাসী মুসলিম শ্রমিকেরাও এই নির্যাতনের শিকার হন। ভাষা, আইন এবং জীবনধারার অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে পুলিশ ও কৌঁসুলিরা তাদের ফাঁসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ আছে। মস্কোর নির্মাণশ্রমিক আব্দুল আজিজ বলেন, ২০২২ সালে পুলিশ তাঁর ছোট ভাই আব্দুল মুমিনের কাছে ‘স্পাইস’ নামের কৃত্রিম মাদক রেখে দেয়। এরপর বৈদ্যুতিক শক এবং প্লাস্টিক বোতল দিয়ে মারধর করে জবানবন্দি আদায় করে যে, সে পার্কের বেঞ্চের নিচে মাদক রেখেছিল। পরে এক বিচারক তাকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ভাগ্য ভালো, ওখানে অনেক সবুজ (মুসলিম) বন্দী আছে। ওরা নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে, তাই অন্য বন্দীরা ওদের সঙ্গে ঝামেলা করে না...সমস্যা হলো, কারারক্ষীরা। তবে তাদেরও ঘুষ দিয়ে সামলানো যায়।’
রাশিয়ার কিছু কারাগার মুসলিম বন্দীদের জন্য একেবারেই প্রতিকূল। অনেক কারাগারে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে বিছানা ছেড়ে ওঠা নিষিদ্ধ। ফলে ফজরের নামাজ পড়লে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। রমজানে রোজা রাখাও কঠিন হয়ে ওঠে।
তবে কিছু কারাগারে পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো বলে জানান রুশ একটি কারাগারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী আজাত গাউনুতদিনভ। তিনি বলেন, ‘তারা যদি ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো জানে, যদি মুসলিম বন্দীদের মানসিকতা বোঝে, তাহলে অনেক সমস্যা কমে যায়।’ তিনি ইসলাম গ্রহণের পর মুসলিম বন্দীদের অধিকার রক্ষায় কাজ শুরু করেছেন।
মাইনুসিনস্কের কারাগারে জেলিয়াল এবং অন্যান্য মুসলিম বন্দীদের নামাজ পড়ার অনুমতি ছিল। তাঁরা বিছানায় বসেই রোজার ইফতার করতে পারতেন। কারাগারের গ্রন্থাগার থেকে কোরআন এবং ইসলামবিষয়ক বই পাওয়া যেত। কিন্তু অন্যান্য কারাগারে মুসলিম বন্দীদের এতটুকু স্বাধীনতাও নেই। কোরআন পড়া তো দূরের কথা, আরবি ভাষা শেখাও নিষিদ্ধ।
২০০০ সালের শুরুর দিকে দ্বিতীয় চেচনিয়া যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার কারাগারে মুসলিম বন্দীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু বিশ্লেষক কারেতনিকোভা বলেন, এত দিনেও রুশ প্রশাসন এই সমস্যার কোনো কার্যকর সমাধান বের করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘কেবল শাস্তি আর পুরস্কারের নীতি চলছে। কোনো বোঝাপড়া নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই।’

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১১ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
২২ মার্চ ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
২২ মার্চ ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
২২ মার্চ ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১১ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তবে খাবার সংকট মুসলিম বন্দীদের জন্য বড় সমস্যা হলেও, রাশিয়ার কারাগারগুলোতে তাদের আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সোভিয়েত আমল থেকেই রাশিয়ার কারাগারগুলোর পরিচয় এক নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে। এখানে চলে অদৃশ্য, অলিখিত আইন।
২২ মার্চ ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১১ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে