
সৌদি আরবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদা আলোচনা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সম্ভাব্য সাময়িক যুদ্ধবিরতির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নির্ধারণ করাই এই আলোচনার উদ্দেশ্য। রাশিয়া-ইউক্রেন উভয় পক্ষই গত সপ্তাহে সাময়িকভাবে জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ করতে সম্মত হলেও, হামলা অব্যাহত থাকায় কীভাবে এবং কখন সেই আংশিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
রোববার ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম আলোচনা করে। এরপর আজ সোমবার রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবে মার্কিন প্রতিনিধিরা। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, রোববার কিয়েভ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আলোচনা শুরু হয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর শেষ হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উমেরভ লিখেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ এবং সুনির্দিষ্ট ছিল—আমরা জ্বালানি সহ মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’ তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি এই মন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানান, অগ্রগতি হলে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল সোমবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত এবং ইউক্রেন সংকট নিরসনে বিশেষ দায়িত্ব পাওয়া স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আলোচনার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি, যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য সময় দেবে। কিন্তু এ ধরনের যুদ্ধবিরতির পথ অনিশ্চিত।
মস্কো ইউক্রেনের দখল করা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা এবং ইউক্রেন যাতে কখনো ন্যাটোতে যোগ না দেয়, সেই বিষয়ে তাদের সর্বোচ্চ অবস্থান বজায় রেখেছে। ইউক্রেন সরকার বারবার বলেছে, তারা ক্রেমলিনের দাবি মেনে নেবে না এবং পুতিন সময়ক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ করেছে।
আগের যুদ্ধবিরতি আলোচনাগুলোয় সব পক্ষের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। এবারও তারাই এই আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন। নতুন দফার এই আলোচনায় টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং এতে মূলত কূটনীতিক ও সরকারি উপদেষ্টারা অংশ নেবেন। ইউক্রেন বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলে তাঁর কিছু কর্মী, পররাষ্ট্র দপ্তরের নীতি পরিকল্পনা পরিচালক মাইকেল অ্যান্টন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সহকারী মাইকেল ওয়াল্টজ আছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার বলেছেন, পুতিন ব্যক্তিগতভাবে আলোচনার জন্য আলোচক নির্বাচন করেছেন। রুশ কূটনীতিক ও আইনপ্রণেতা গ্রেগরি কারাসিন এবং গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস বা এফএসবি-এর প্রধানের উপদেষ্টা সের্গেই বেসেদার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে।
কারাসিন আগে সংবেদনশীল বৈদেশিক নীতি আলোচনায় জড়িত থাকলেও, বেসেদার নির্বাচন অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। প্রভাবশালী গোয়েন্দা প্রধান বেসেদা আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য দায়ী এফএসবির প্রধান ছিলেন। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁকে সেই প্রধান গোয়েন্দা সূত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা ২০২২ সালে পুতিনকে বিশ্বাস করিয়েছিল যে, ইউক্রেনে রুশপন্থী মনোভাব রয়েছে এবং দ্রুত আক্রমণ করে কিয়েভের সরকারকে সহজেই ভেঙে দেওয়া যাবে।
২০২৩ সালে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ বেসেদাকে ইউক্রেনের জন্য ‘খুব বিপজ্জনক ব্যক্তি’ বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনের ‘অনেক ক্ষতি করেছেন।’
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনার বিষয়বস্তুর বিষয়ে বলেছেন, ইউক্রেন অবকাঠামোগত স্থাপনার একটি তালিকা তৈরি করেছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তিনি আরও যোগ করেছেন, তৃতীয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং পরামর্শ দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এটি করতে পারে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন জ্বালানি ও জাহাজ চলাচল নিয়ে আলোচনায় সমঝোতায় পৌঁছাতে পারলেও, উভয় পক্ষ সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জন্য এমন শর্ত রেখেছে, যা মীমাংসা করা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। এটি মূলত বিস্তৃত শান্তি আলোচনায় কঠিন চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোন কথোপকথনের সময় পুতিন বলেন, রাশিয়া শুধুমাত্র তখনই সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, যখন ইউক্রেন সৈন্যদের ফিরিয়ে নেবে, প্রশিক্ষণ দেওয়া আপাতত বন্ধ করবে এবং যুদ্ধবিরতির সময় অস্ত্র আমদানি বন্ধ করবে।
ক্রেমলিনে প্রকাশ করা ট্রাম্প-পুতিনের টেলিফোন আলাপের বিবরণীতে বলা হয়েছে, পুতিন কিয়েভে বৈদেশিক সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন, যা ‘সংঘাতের বৃদ্ধি রোধ এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এর সমাধানের দিকে অগ্রগতি অর্জনের মূল শর্ত।’
তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, ক্রেমলিনের দাবি সত্ত্বেও ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে মস্কোর আহ্বানের বিষয়ে কম স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছে এবং কখনো কখনো ক্রেমলিনের অবস্থানের সঙ্গেও একমত হয়েছে বলে মনে হয়েছে।
উইটকফ রোববার ক্রেমলিনের বক্তব্য প্রতিধ্বনিত করে ইউক্রেনের কিছু অংশে রুশ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত গণভোটকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেন, যা সামরিক শক্তির মাধ্যমে দখল করা অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকে ন্যায্যতা দেয়। উইটকফ বলেন, ‘রাশিয়ার অভ্যন্তরে একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে যে, এগুলো রুশ অঞ্চল। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে গণভোট হয়েছে, যা এই পদক্ষেপগুলোকে ন্যায্যতা দেয়।’
মূলত, সংঘাতের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান একই আছে। ক্রেমলিন বলছে, তারা ‘সংকটের মূল কারণগুলো দূর করতে’ চায়। এর অর্থ হবে রাশিয়া যে অঞ্চলগুলো দখল করে নিয়েছে সেগুলো মস্কোর বলে স্বীকার করতে হবে কিয়েভকে। পাশাপাশি, ইউক্রেনকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার ঘোষণা করা এবং সামরিক বাহিনী সংকুচিত করতে সম্মত হতে হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরোধে ইউক্রেন এর আগে সব যুদ্ধ কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু মস্কো যখন শুধুমাত্র জ্বালানি অবকাঠামোতে আংশিক যুদ্ধবিরতি সমর্থন করবে বলে জানায়, তখন জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন এবং সীমিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হন।
সাম্প্রতিক সময়ে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য কিছু চূড়ান্ত বিষয় নির্ধারণ করেছেন। দেশটি বলেছে, কিয়েভ কখনই দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চলের ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব মেনে নেবে না, ন্যাটোতে যোগদানে বাধা দিতে বা তার সেনাবাহিনীর আকার কমাতে সম্মত হবে না এবং যে কোনো শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে তার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
অনেক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষক এমনকি একটি সীমিত যুদ্ধবিরতিও দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কারণ, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে আগের যুদ্ধবিরতিগুলো নিয়মিতভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে এবং প্রতিটি পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করেছে।
উইটকফ গত বুধবার ব্লুমবার্গ নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্প এবং পুতিন ‘সম্ভবত’ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরবে সাক্ষাৎ করবেন। মার্কিন কর্মকর্তারা সম্ভবত সম্ভাব্য সীমিত যুদ্ধবিরতির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে তাদের রুশ এবং ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চালিয়ে যাবেন।

সৌদি আরবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদা আলোচনা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সম্ভাব্য সাময়িক যুদ্ধবিরতির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নির্ধারণ করাই এই আলোচনার উদ্দেশ্য। রাশিয়া-ইউক্রেন উভয় পক্ষই গত সপ্তাহে সাময়িকভাবে জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ করতে সম্মত হলেও, হামলা অব্যাহত থাকায় কীভাবে এবং কখন সেই আংশিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
রোববার ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম আলোচনা করে। এরপর আজ সোমবার রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবে মার্কিন প্রতিনিধিরা। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, রোববার কিয়েভ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আলোচনা শুরু হয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর শেষ হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উমেরভ লিখেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ এবং সুনির্দিষ্ট ছিল—আমরা জ্বালানি সহ মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’ তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি এই মন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানান, অগ্রগতি হলে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল সোমবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত এবং ইউক্রেন সংকট নিরসনে বিশেষ দায়িত্ব পাওয়া স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আলোচনার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি, যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য সময় দেবে। কিন্তু এ ধরনের যুদ্ধবিরতির পথ অনিশ্চিত।
মস্কো ইউক্রেনের দখল করা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা এবং ইউক্রেন যাতে কখনো ন্যাটোতে যোগ না দেয়, সেই বিষয়ে তাদের সর্বোচ্চ অবস্থান বজায় রেখেছে। ইউক্রেন সরকার বারবার বলেছে, তারা ক্রেমলিনের দাবি মেনে নেবে না এবং পুতিন সময়ক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ করেছে।
আগের যুদ্ধবিরতি আলোচনাগুলোয় সব পক্ষের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। এবারও তারাই এই আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন। নতুন দফার এই আলোচনায় টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং এতে মূলত কূটনীতিক ও সরকারি উপদেষ্টারা অংশ নেবেন। ইউক্রেন বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলে তাঁর কিছু কর্মী, পররাষ্ট্র দপ্তরের নীতি পরিকল্পনা পরিচালক মাইকেল অ্যান্টন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সহকারী মাইকেল ওয়াল্টজ আছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার বলেছেন, পুতিন ব্যক্তিগতভাবে আলোচনার জন্য আলোচক নির্বাচন করেছেন। রুশ কূটনীতিক ও আইনপ্রণেতা গ্রেগরি কারাসিন এবং গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস বা এফএসবি-এর প্রধানের উপদেষ্টা সের্গেই বেসেদার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে।
কারাসিন আগে সংবেদনশীল বৈদেশিক নীতি আলোচনায় জড়িত থাকলেও, বেসেদার নির্বাচন অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। প্রভাবশালী গোয়েন্দা প্রধান বেসেদা আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য দায়ী এফএসবির প্রধান ছিলেন। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁকে সেই প্রধান গোয়েন্দা সূত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা ২০২২ সালে পুতিনকে বিশ্বাস করিয়েছিল যে, ইউক্রেনে রুশপন্থী মনোভাব রয়েছে এবং দ্রুত আক্রমণ করে কিয়েভের সরকারকে সহজেই ভেঙে দেওয়া যাবে।
২০২৩ সালে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ বেসেদাকে ইউক্রেনের জন্য ‘খুব বিপজ্জনক ব্যক্তি’ বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনের ‘অনেক ক্ষতি করেছেন।’
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনার বিষয়বস্তুর বিষয়ে বলেছেন, ইউক্রেন অবকাঠামোগত স্থাপনার একটি তালিকা তৈরি করেছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তিনি আরও যোগ করেছেন, তৃতীয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং পরামর্শ দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এটি করতে পারে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন জ্বালানি ও জাহাজ চলাচল নিয়ে আলোচনায় সমঝোতায় পৌঁছাতে পারলেও, উভয় পক্ষ সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জন্য এমন শর্ত রেখেছে, যা মীমাংসা করা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। এটি মূলত বিস্তৃত শান্তি আলোচনায় কঠিন চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোন কথোপকথনের সময় পুতিন বলেন, রাশিয়া শুধুমাত্র তখনই সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, যখন ইউক্রেন সৈন্যদের ফিরিয়ে নেবে, প্রশিক্ষণ দেওয়া আপাতত বন্ধ করবে এবং যুদ্ধবিরতির সময় অস্ত্র আমদানি বন্ধ করবে।
ক্রেমলিনে প্রকাশ করা ট্রাম্প-পুতিনের টেলিফোন আলাপের বিবরণীতে বলা হয়েছে, পুতিন কিয়েভে বৈদেশিক সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন, যা ‘সংঘাতের বৃদ্ধি রোধ এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এর সমাধানের দিকে অগ্রগতি অর্জনের মূল শর্ত।’
তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, ক্রেমলিনের দাবি সত্ত্বেও ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে মস্কোর আহ্বানের বিষয়ে কম স্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছে এবং কখনো কখনো ক্রেমলিনের অবস্থানের সঙ্গেও একমত হয়েছে বলে মনে হয়েছে।
উইটকফ রোববার ক্রেমলিনের বক্তব্য প্রতিধ্বনিত করে ইউক্রেনের কিছু অংশে রুশ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত গণভোটকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেন, যা সামরিক শক্তির মাধ্যমে দখল করা অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকে ন্যায্যতা দেয়। উইটকফ বলেন, ‘রাশিয়ার অভ্যন্তরে একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে যে, এগুলো রুশ অঞ্চল। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে গণভোট হয়েছে, যা এই পদক্ষেপগুলোকে ন্যায্যতা দেয়।’
মূলত, সংঘাতের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান একই আছে। ক্রেমলিন বলছে, তারা ‘সংকটের মূল কারণগুলো দূর করতে’ চায়। এর অর্থ হবে রাশিয়া যে অঞ্চলগুলো দখল করে নিয়েছে সেগুলো মস্কোর বলে স্বীকার করতে হবে কিয়েভকে। পাশাপাশি, ইউক্রেনকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার ঘোষণা করা এবং সামরিক বাহিনী সংকুচিত করতে সম্মত হতে হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরোধে ইউক্রেন এর আগে সব যুদ্ধ কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু মস্কো যখন শুধুমাত্র জ্বালানি অবকাঠামোতে আংশিক যুদ্ধবিরতি সমর্থন করবে বলে জানায়, তখন জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন এবং সীমিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হন।
সাম্প্রতিক সময়ে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য কিছু চূড়ান্ত বিষয় নির্ধারণ করেছেন। দেশটি বলেছে, কিয়েভ কখনই দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চলের ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব মেনে নেবে না, ন্যাটোতে যোগদানে বাধা দিতে বা তার সেনাবাহিনীর আকার কমাতে সম্মত হবে না এবং যে কোনো শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে তার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
অনেক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষক এমনকি একটি সীমিত যুদ্ধবিরতিও দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কারণ, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে আগের যুদ্ধবিরতিগুলো নিয়মিতভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে এবং প্রতিটি পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করেছে।
উইটকফ গত বুধবার ব্লুমবার্গ নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্প এবং পুতিন ‘সম্ভবত’ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরবে সাক্ষাৎ করবেন। মার্কিন কর্মকর্তারা সম্ভবত সম্ভাব্য সীমিত যুদ্ধবিরতির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে তাদের রুশ এবং ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চালিয়ে যাবেন।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ মিনিট আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ মিনিট আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
বুধবার রাতে (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হলে ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিকানা বিক্রি করতে বাধ্য হন আব্রামোভিচ। সেই বিক্রি থেকে প্রাপ্ত প্রায় ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড (৩.৩৮ বিলিয়ন ডলার) তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের ভুক্তভোগীদের সহায়তায় ব্যয় করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেই অর্থ এখনো একটি ব্রিটিশ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা অবস্থায় রয়েছে এবং ব্যবহার নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্য সরকার চায় এই অর্থ শুধু ইউক্রেনের মানবিক সহায়তায় ব্যয় হোক। অন্যদিকে আব্রামোভিচের অবস্থান হলো—এই অর্থ যুদ্ধের সব ভুক্তভোগীর জন্য ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্যে রাশিয়ার নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এই মতবিরোধের কারণেই অর্থ ছাড় বিলম্বিত হচ্ছে।
বুধবার পার্লামেন্টে বক্তব্যের সময় বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, ‘আমার বার্তা পরিষ্কার—সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।’ তিনি জানান, সরকার ইতিমধ্যে একটি লাইসেন্স ইস্যু করেছে, যার মাধ্যমে চেলসি বিক্রির অর্থ স্থানান্তরের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, আব্রামোভিচ যদি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করেন, তাহলে সরকার আদালতের শরণাপন্ন হবে, যাতে প্রতিটি পয়সা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছায়।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপারও বিবিসিকে বলেছেন—আব্রামোভিচের উচিত অবিলম্বে তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। তিনি জানান, আইনি লড়াই দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করতে পারে, তাই সরকার চাইছে বিষয়টি আদালতের বাইরে দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। তবে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী অর্থটি কেবল ইউক্রেনের মানবিক কাজে ব্যয় করা যাবে এবং কোনোভাবেই আব্রামোভিচ বা অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ব্যক্তি এতে লাভবান হতে পারবেন না।
রুশ তেল ও গ্যাস খাত থেকে বিপুল সম্পদের মালিক আব্রামোভিচের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে আসছেন। জানা গেছে, যুক্তরাজ্য সরকার আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তাঁকে প্রায় ৯০ দিনের সময় দিয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইউক্রেনের বাজেট ও প্রতিরক্ষা চাহিদা মেটাতে জব্দ করা রুশ সম্পদের অর্থ ব্যবহারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করবেন।

ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের দাবি জানিয়ে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন—আব্রামোভিচ যদি এখনই অর্থ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত।
বুধবার রাতে (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হলে ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিকানা বিক্রি করতে বাধ্য হন আব্রামোভিচ। সেই বিক্রি থেকে প্রাপ্ত প্রায় ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড (৩.৩৮ বিলিয়ন ডলার) তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের ভুক্তভোগীদের সহায়তায় ব্যয় করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেই অর্থ এখনো একটি ব্রিটিশ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা অবস্থায় রয়েছে এবং ব্যবহার নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্য সরকার চায় এই অর্থ শুধু ইউক্রেনের মানবিক সহায়তায় ব্যয় হোক। অন্যদিকে আব্রামোভিচের অবস্থান হলো—এই অর্থ যুদ্ধের সব ভুক্তভোগীর জন্য ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্যে রাশিয়ার নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এই মতবিরোধের কারণেই অর্থ ছাড় বিলম্বিত হচ্ছে।
বুধবার পার্লামেন্টে বক্তব্যের সময় বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, ‘আমার বার্তা পরিষ্কার—সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।’ তিনি জানান, সরকার ইতিমধ্যে একটি লাইসেন্স ইস্যু করেছে, যার মাধ্যমে চেলসি বিক্রির অর্থ স্থানান্তরের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, আব্রামোভিচ যদি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করেন, তাহলে সরকার আদালতের শরণাপন্ন হবে, যাতে প্রতিটি পয়সা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছায়।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপারও বিবিসিকে বলেছেন—আব্রামোভিচের উচিত অবিলম্বে তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। তিনি জানান, আইনি লড়াই দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করতে পারে, তাই সরকার চাইছে বিষয়টি আদালতের বাইরে দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। তবে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী অর্থটি কেবল ইউক্রেনের মানবিক কাজে ব্যয় করা যাবে এবং কোনোভাবেই আব্রামোভিচ বা অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ব্যক্তি এতে লাভবান হতে পারবেন না।
রুশ তেল ও গ্যাস খাত থেকে বিপুল সম্পদের মালিক আব্রামোভিচের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে আসছেন। জানা গেছে, যুক্তরাজ্য সরকার আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তাঁকে প্রায় ৯০ দিনের সময় দিয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইউক্রেনের বাজেট ও প্রতিরক্ষা চাহিদা মেটাতে জব্দ করা রুশ সম্পদের অর্থ ব্যবহারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করবেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা এখানে মধ্যস্থতা করছেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
১১ মিনিট আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
২ ঘণ্টা আগে