Ajker Patrika

মিয়ানমারে তিন দিনে তিনটি ঘাঁটি ও এক ডজনের বেশি সৈন্য হারিয়েছে জান্তা

মিয়ানমারে তিন দিনে তিনটি ঘাঁটি ও এক ডজনের বেশি সৈন্য হারিয়েছে জান্তা

মিয়ানমারের বিদ্রোহী জাতিগত গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন্স (ইএও) দেশ জুড়ে জান্তার লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। এতে গত তিন দিনে মিয়ানমার জান্তা আরও তিনটি শক্তিশালী ঘাঁটি এবং এক ডজনেরও বেশি সৈন্য হারিয়েছে। মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্য ইরাবতী এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

সম্মুখ যুদ্ধে জান্তা বিরোধী কয়েকজন যোদ্ধাও প্রাণ হারিয়েছেন। কাচিন, রাখাইন রাজ্য এবং মান্দালয়, সাগাইং, ম্যাগওয়ে এবং তানিনথারি অঞ্চলে গত তিন দিনে এসব ঘটনা ঘটেছে। পিডিএফ এবং ইয়ও-এর বরাত দিয়ে এসব খবর দিয়েছে ইরাবতী। তবে তথ্যগুলোর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।

স্থানীয় কাচিন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, জাতিগত কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং কাচিন অঞ্চলের পিডিএফ গ্রুপ যৌথভাবে কাচিন রাজ্যের মানসি টাউনশিপে তিন দিনের হামলার পর মাজি গাং-এ জান্তার তিনটি সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে।

কাছাকাছি অবস্থিত ঘাঁটিতে অবস্থান করছিল তিনটি জান্তা লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা। ঘাঁটি দখলের সময় একজন কেআইএ কর্মকর্তা নিহত এবং পাঁচজন পিডিএফ সদস্য আহত হন। গত জানুয়ারিতে কেআইএ এবং সহযোগী প্রতিরোধ গোষ্ঠী মানসীতে একটি পুলিশ স্টেশন এবং ফাঁড়িসহ জান্তার কমপক্ষে তিনটি সামরিক স্থাপনা দখল করে।

এদিকে জাতিগত আরাকান আর্মি (এএ) বলেছিল যে, তারা গত শনিবার রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ের কাছে পোন্নাগিউন শহরে জান্তার লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন ৫৫০-এর ঘাঁটি দখলের লক্ষ্যে আক্রমণ জোরদার করেছে। পোন্নাগিউন শহরেই আছে জান্তার হাতে থাকা সর্বশেষ সামরিক ঘাঁটি। এএ সৈন্যরা বেশ কিছু দিন আগে সেই ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করেছিল। সম্প্রতি এএ বলেছে যে, এটিও পুরোপুরি দখলের কাছাকাছি রয়েছে তারা।

এ ছাড়া, মংডু শহরের উত্তরে ইয়ান অং পাইনে জান্তার ঘাঁটিও দখল করার চেষ্টা করছিল এএ।

পিডিএফের দক্ষিণ সামরিক অঞ্চলের কমান্ড বলেছে যে, তানিনথারি পিডিএফের তিনটি গ্রুপ গত শনিবার অঞ্চলটির দাওয়েই টাউনশিপের ইয়ং মাও গ্রামের কাছে জান্তার একটি ক্যাম্পে অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে জান্তার অন্তত এক ডজন সৈন্য নিহত হয় এবং প্রায় ১০টি অস্ত্র এবং কিছু গোলাবারুদ জব্দ করা হয়। পিডিএফ বাহিনীর ওপর বোমা ফেলতে জান্তা এমআই-২ হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছিল। এতে একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা নিহত হন।

গত অক্টোবরের শেষ দিকে উত্তর মিয়ানমারের একটি অংশ জুড়ে আক্রমণ শুরু করে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) সমন্বয়ে গঠিত থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এরপর ধারাবাহিকভাবে চীনের সঙ্গে সীমান্তে বেশ কয়েকটি শহর এবং লাভজনক বাণিজ্য কেন্দ্র দখল করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর এই জোট।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলছে সংঘাত। গত তিন বছরে গৃহযুদ্ধ মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে দেশটির অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থায়।

এরই মধ্যে দেশের বহু এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা সরকার। ক্রমেই বিদ্রোহী জোট শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ২০২৩ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্য হলে যুদ্ধ গতি পায়। জান্তা বাহিনীর স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল (এসএসি) বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক পরাজয়ের স্বাদ পেতে থাকে। এতে জান্তা বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনীর মধ্যে শৃঙ্খলা ও মনোবল ভেঙে পড়েছে, অভিজাত বিভাগগুলোর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বিনষ্ট হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে আইনি লড়াইয়ে পরাজয়, দুই শিশুকে বিষ খাইয়ে বাবা-দাদির আত্মহত্যা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৫
দুই শিশুকে নিজের কাছে রাখতে না পারার যন্ত্রণা সইতে পারেননি বাবা ও দাদি। ছবি: সংগৃহীত
দুই শিশুকে নিজের কাছে রাখতে না পারার যন্ত্রণা সইতে পারেননি বাবা ও দাদি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কেরালা রাজ্যে সন্তানদের নিজের কাছে রাখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর আইনি লড়াইয়ের এক মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সন্তানদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে নিজেরাও আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা ও দাদি। কেরালার কান্নুর জেলার পায়্যানুরের রামান্থালিতে এ ঘটনা ঘটে।

তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত কালাধরন এবং তাঁর মা উষা দুই শিশুকে দুধের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাইয়েছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দুধের বোতল এবং কীটনাশকের খালি শিশি উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সন্তানদের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর কালাধরন ও উষা একই বিষ পান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। গতকাল সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দিলে এই আত্মহত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

কালাধরন এবং তাঁর স্ত্রী নয়নতারা দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহের জেরে আলাদা বসবাস করছিলেন। তাঁদের দুই শিশুসন্তান কালাধরন ও তাঁর মা উষার কাছেই ছিল। সন্তানদের নিজের হেফাজতে পেতে নয়নতারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত নয়নতারার পক্ষে রায় দেন এবং সোমবারের মধ্যে সন্তানদের তাঁর কাছে হস্তান্তরের সময়সীমা বেঁধে দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার রাতেই স্থানীয় থানা থেকে কালাধরনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল যাতে সোমবার সকালে কোনো ঝামেলা ছাড়াই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু সন্তানদের মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি কালাধরন ও তাঁর মা।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সেখানে সন্তানদের বিচ্ছেদ সহ্য করতে না পারা এবং আদালতের আদেশের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ ও মানসিক যন্ত্রণার কথা উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ বর্তমানে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র মামলা করেছে। কান্নুর জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং আবেগতাড়িত হত্যাকাণ্ড। আইনি নির্দেশ অমান্য করার চরম পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা।’

পায়্যানুর এলাকায় এ ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিবেশীদের ভাষ্যমতে, কালাধরন সন্তানদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন, কিন্তু সেই ভালোবাসার এমন নৃশংস রূপ কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকে বলছেন, বড়দের দ্বন্দ্বে এভাবে নিরপরাধ শিশুদের প্রাণ যাওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

পুলিশ শিশুদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আলোচনা প্রকৃত ফলাফলের খুব কাছাকাছি: জেলেনস্কি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৩
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে চলমান আলোচনা ‘প্রকৃত ফলাফলের খুব কাছাকাছি’ পৌঁছে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউক্রেন সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রুস্তম উমেরভের নেতৃত্বে ইউক্রেনীয় আলোচক দল ও ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে যাচ্ছেন, যার মধ্যে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিনিয়োগবিষয়ক দূত ও আলোচক কিরিল দিমিত্রিভও ফ্লোরিডায় মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইউক্রেন ও রাশিয়া—উভয় দেশের কর্মকর্তারাই জানিয়েছেন, আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করতে তাঁদের প্রতিনিধিদল নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে। ইউক্রেনীয় কূটনীতিকদের এক সমাবেশে জেলেনস্কি বলেন, ‘সবকিছুই বেশ সম্মানজনক মনে হচ্ছে... এবং এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটি আমাদের (ইউক্রেন) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—উভয় পক্ষেরই কাজ। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, আমরা একটি প্রকৃত ফলাফলের খুব কাছাকাছি রয়েছি।’

জেলেনস্কি আরও জানান, আলোচকেরা মার্কিন প্রতিনিধিদের প্রস্তাবিত ২০ দফার একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে এটি নিয়ে আলোচনা চলছে। এর আগে প্রাথমিক খসড়াটি রাশিয়ার দিকে বেশি ঝুঁকে আছে—এমন সমালোচনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়রা। তিনি বলেন, এর সবকিছু আদর্শিক না হলেও একটি পরিকল্পনা অন্তত আছে।

লড়াই থামার পর ভবিষ্যতে রাশিয়ার সম্ভাব্য সামরিক তৎপরতা রুখতে ইউক্রেন নিরাপত্তা গ্যারান্টি চেয়ে আসছে এবং দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, ‘সব নথিপত্রের মৌলিক কাঠামো তৈরি, এটি খুবই প্রাথমিক বিষয়। এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলোর জন্য আমরা প্রস্তুত নই। আবার আমি নিশ্চিত যে, এমন কিছু বিষয়ও আছে, যার জন্য রুশরা প্রস্তুত নয়।’

ফ্লোরিডার এই আলোচনায় মার্কিন দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও তাঁর সাবেক জামাতা জ্যারেড কুশনার। পরে রাতে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেন, এখন মূল বিষয় হলো, এটা নিশ্চিত করা যে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কাছ থেকে কোনো সাড়া পায় কি না—অর্থাৎ দেশটি আগ্রাসন বাদ দিয়ে অন্য কোনো বিষয়ে মনোনিবেশ করতে সত্যিই প্রস্তুত কি না।

জেলেনস্কি আরও উল্লেখ করেন, মস্কোর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা কমিয়ে আনতে ক্রেমলিনের ওপর ক্রমাগত চাপ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, রুশ তেলের দাম কমানো, কঠোর বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য চাপ অব্যাহত রাখাই কেবল একজন জেদি মানুষকে রাজি করাতে পারে। রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রের জন্য বরাদ্দ অর্থ কমিয়ে আনতে এ বছর ইতিমধ্যে অনেক কিছু করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ‘রিল তারকা’ বলায় ৪ কলেজশিক্ষার্থী আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৭
রাজস্থানের বারমের জেলার জেলা কালেক্টর টিনা দাবি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
রাজস্থানের বারমের জেলার জেলা কালেক্টর টিনা দাবি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ভারতে এক নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ‘রিল তারকা’ বলে মন্তব্য করায় চার কলেজশিক্ষার্থীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী কর্মকর্তা হলেন রাজস্থানের বারমেরের জেলা কালেক্টর টিনা দাবি। ২২ বছর বয়সে প্রথম চেষ্টায়ই ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নজির স্থাপন করেছেন এই আলোচিত ভারতীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা (আইএএস)।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গত শনিবার বারমেরের মহারানা ভূপাল গার্লস কলেজের বাইরে পরীক্ষার ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাতে জেলা কালেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, এক কর্মকর্তা তাঁদের উদ্দেশে বলেন, টিনা দাবি তাঁদের ‘রোল মডেল’। ওই কর্মকর্তার বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেন বিজেপি–সমর্থিত ছাত্রসংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)–এর সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘কালেক্টর কোনো রোল মডেল নন। তিনি যদি রোল মডেল হতেন, তাহলে শিক্ষার্থীদের দাবি শুনতে এখানে আসতেন। তিনি একজন রিল স্টার, সব জায়গায় গিয়ে রিল বানান। কিন্তু আমাদের সমস্যার দিকে কোনো নজর দেন না।’

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর পুলিশ তাঁদের আটক করে। এর প্রতিবাদে অনেক শিক্ষার্থী থানার সামনে জড়ো হন। আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানান তাঁরা।

তবে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা মনোজ কুমার দাবি করেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

মনোজ কুমার এনডিটিভিকে জানান, পুলিশ কাউকেই আটক বা গ্রেপ্তার করেনি। কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে, বিশেষ করে, কোনো মেয়ের সঙ্গে অসদাচরণও করা হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত করতে চারজন ছেলেকে থানায় আনা হয়েছিল। পরে তাঁদের চলে যেতে বলা হয়। তবে এরপর শিক্ষার্থীরা থানার সামনে জড়ো হয়ে প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানার। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে কথা বলার পর কিছুক্ষণ পর তাঁরা সরে যান।

শিক্ষার্থী আটকের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন জেলা কালেক্টর টিনা দাবিও। লিখিত বিবৃতিতে তিনি এনডিটিভিকে বলেন, ‘কাউকেই গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। ফি বাড়ানোর বিষয়টি সমাধান হয়ে যাওয়ার পরও কয়েকজন শিক্ষার্থী রাস্তা অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছিল। আমার অধস্তন কর্মকর্তারা কথা বলা ও পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তাদের থানায় নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তারা চলে যায়। এরপর আর কোনো সমস্যা ছিল না।’

টিনা দাবি আরও বলেন, বিষয়টি এখন কেবল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই রয়েছে। সেখানে যা ছড়ানো হচ্ছে, তা শুধু বদনাম করা ও সস্তা প্রচারের চেষ্টা।

এই বক্তব্যের পর টিনা দাবিকে ঘিরে সমালোচনা তীব্র হয়। রাজ্যসভার সদস্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীসহ অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লেখেন, ‘ভারতে আমলাদের অসহিষ্ণু আচরণের আরেকটি উদাহরণ এটি। দুর্নীতি, ক্ষমতার দম্ভ এবং এখন অসহিষ্ণুতার পরও তাঁরা কঠোর জবাবদিহির বাইরে থেকে যান।’

এদিকে বিজেপি–সমর্থিত ছাত্রসংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) জানিয়েছে, মতপ্রকাশের কারণে শিক্ষার্থীদের ‘গ্রেপ্তার’ করা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং এটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলে আঘাত করে।

এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে এবিভিপি প্রশ্ন তোলে, ‘মতপ্রকাশ কবে থেকে অপরাধ হয়ে গেল?’

তারা জানায়, ‘এই দমনমূলক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবিভিপি এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৮
কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করে গেরুয়া পতাকাধারী একদল লোক। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করে গেরুয়া পতাকাধারী একদল লোক। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে একদল বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এরপর পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনেও একই ধরনের প্রচেষ্টা নিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু দেশটির সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছিল বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে কয়েক শ মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিল।’

কারা এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল, তা উল্লেখ করেনি পিটিআই বা দ্য হিন্দু। তবে তাদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, একদল লোক গেরুয়া রঙের পতাকা হাতে উত্তেজিত হয়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া গতকাল সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ হয়।

এর আগে আজ সকালের দিকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিশাল বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন’ এবং ‘ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বজরং দলের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হাইকমিশনের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুরো এলাকাটি তিন স্তরের ব্যারিকেডে ঘিরে রাখা হয়েছে এবং সেখানে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত নির্যাতন ও উপাসনালয় ভাঙচুরের নিন্দা জানাতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল এই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। দূতাবাসের সামনে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। অন্তত দুটি ব্যারিকেড ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় ব্যারিকেড পুনঃস্থাপন করা গেছে। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।

এর আগে ২০ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গেটে বিক্ষোভ করে একদল লোক। এ বিষয়ে দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার মো. ফয়সাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে করে কিছু লোক এসে বাংলাদেশ ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। তারা বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে কিছু কথাবার্তা বলেছে—হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে হবে; হাইকমিশনারকে ধরো। পরে তারা মেইন গেটের সামনে এসে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। ওরা চিৎকার করে চলে গেছে—এতটুকুই আমি জানি।’

পরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দেয় ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ ঘটনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশি কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা লক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০-২৫ জন যুবক জড়ো হয়েছিলেন। ওই যুবকেরা ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছিলেন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছিলেন।’

মুখপাত্র বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশনের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা করেনি বা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি।’

প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রেস নোটকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তোলে ঢাকা।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ২১ ডিসেম্বর বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের ওই প্রেস নোটের বিষয়টি আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন এটি খুবই সাধারণ ঘটনা; অথচ বাস্তবে তা নয়। আমাদের মিশন কূটনৈতিক এলাকার একেবারে ভেতরে অবস্থিত, কোনোভাবেই প্রান্তিক এলাকায় নয়।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতের প্রেস নোটে বিষয়টি অতি সরলীকরণ করা হয়েছে, অথচ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ মিশন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কূটনৈতিক অঞ্চলের গভীরে অবস্থিত।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ২৫-৩০ জনের একটি দল, যাদের একটি উগ্র হিন্দু সংগঠনের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে, এমন সংবেদনশীল এলাকায় প্রবেশ করতে সক্ষম হলো। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অনুমতি ছাড়া সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হওয়ার কথা নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত