Ajker Patrika

লাঞ্চে সুশি খেয়ে জাপানের পক্ষে অবস্থান নিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে তাঁর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সুশি-চপস্টিক হাতে সোফায় বসে থাকা এই ছবি শেয়ার করেন। ছবি: এক্স
প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে তাঁর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সুশি-চপস্টিক হাতে সোফায় বসে থাকা এই ছবি শেয়ার করেন। ছবি: এক্স

জাপানের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক বিরোধ চলছে। এর মধ্যেই জাপানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুশি খাওয়ার ছবি প্রকাশ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে।

প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে তাঁর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সুশি-চপস্টিক হাতে সোফায় বসে থাকা একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আপনারা কী খাচ্ছেন? এখন হয়তো জাপানি খাবার খাওয়ার উপযুক্ত সময়।’

তিনি সুশি সম্পর্কে বলেন, এই সুশি তাইওয়ান ও জাপানের ‘দৃঢ় বন্ধুত্বের’ প্রতীক। এই সুশিতে তাইওয়ানের কাঁকড়া এবং জাপানের কাগওসিমা থেকে আনা ইয়েলোটেইল ও হোক্কাইডো দ্বীপের স্ক্যালপসের মতো উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্প্রতি টোকিওর দুজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদি চীন তাইওয়ানকে আক্রমণ করে, তাহলে জাপান সেখানে হস্তক্ষেপ করবে। এর বিপরীতে চীন জাপানের সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি বন্ধ করে দেবে বলে ইঙ্গিত দেয়। এরপরই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন থেকেই চীন তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে। তবে তাইপে বরাবরই এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং তাইওয়ানিজ আনারস, মাছসহ বেশ কিছু পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করে। তাইপের মতে, এগুলো চীনের চাপ প্রয়োগের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।

গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুং বলেন, ‘অন্যান্য দেশকে ভয় দেখাতে চীনের অর্থনৈতিক জবরদস্তি ও সামরিক ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা এত বেশি যে আলাদাভাবে উল্লেখ করা সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘এই সংকটময় মুহূর্তে আমাদেরও জাপানকে সমর্থন জানাতে হবে, যাতে তারা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে পারে এবং চীনা কমিউনিস্টদের বুলিং আচরণ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে।’

পরে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বক্তব্যে লিন বলেন, তাইওয়ানিরা যেন বেশি বেশি জাপান সফর করেন এবং জাপানি পণ্য ক্রয় করেন। এভাবে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হতে পারে।

অন্যদিকে বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। লাই চিংতে প্রশাসন যত কথাই বলুক, এই অকাট্য সত্য বদলানো যাবে না।’

চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে দেখে এবং দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ নিতে শক্তি প্রয়োগের আশঙ্কা বাদ দেয়নি। অন্যদিকে তাইওয়ান বলছে, তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার একমাত্র তাইওয়ানের জনগণের।

জাপান ও তাইওয়ানের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলেও আনুষ্ঠানিক নয়; দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কও গভীর। ১৮৯৫ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত (১৯৪৫) তাইওয়ান ছিল জাপানের উপনিবেশ। তাইওয়ান থেকে নিকটতম জাপানি ভূখণ্ডের দূরত্ব মাত্র ১১০ কিলোমিটার (৬৮ মাইল)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ