Ajker Patrika

মিথ্যাকে ঢাকতে জলি জোসেফের ৬ খুন আবার আলোচনায়

আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১: ২১
মিথ্যাকে ঢাকতে জলি জোসেফের ৬ খুন আবার আলোচনায়

গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ‘কারি অ্যান্ড সায়ানাইড: দ্য জোলি জোসেফ কেস’ নামে নতুন একটি তথ্যচিত্র মুক্তি দিয়েছে নেটফ্লিক্স। মূলত মিথ্যাকে ধামাচাপা, সম্পদের লোভ এবং বিবাহিত এক ব্যক্তিকে নিজের করে পেতে ঠান্ডা মাথায় একে একে ৬ জনকে খুন করা ভারতীয় নারী জলি জোসেফের জীবনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়েই এই তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। 

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, একটি খুন করে অন্য খুনটি করার আগে বেশ সময় নিতেন জলি জোসেফ; যেন কেউ সন্দেহ করতে না পারে। ২০০২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মোট ১৪ বছরে শ্বশুরবাড়িতে ওই ৬টি খুন করেছিলেন তিনি। 

এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—জলিকে সবাই খুব হাসিখুশি আর বন্ধুসুলভ হিসেবেই জানত। কেরালার ইদুক্কি জেলার এক ধনি কৃষকের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। নিজের পরিবার থেকে তিনিই প্রথম কলেজে গিয়েছিলেন পড়াশোনা করার জন্য। উচ্চাভিলাষী জোলি খেত-খামারের বাইরে কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন শৈশব থেকেই। 

 ১৯৯৭ সালে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল জোলি জোসেফ এবং রয় থমাসের মধ্যে। রয়ের বাবা টম ছিলেন শিক্ষাবোর্ডের পদস্থ কর্মকর্তা আর মা আন্নাম্মা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। রয়ের ছোট একজন ভাই ও বোনও ছিল। কেরালার কোঝিকোদ জেলার কোদাথাই গ্রামে সম্ভ্রান্ত এই পরিবারটি বসবাস করত। 

অল্প সময়ের মধ্যেই জোলি এবং রয়ের মধ্যে ভাব হয়ে গিয়েছিল। সেই বছরের শেষদিকেই তাঁদের রোমান্স বিয়েতে গড়ায়। তবে বিয়ের আগের এবং পরের পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। জলি বুঝতে পারেন, হায়দ্রাবাদে চাকরির কথা বললেও রয় ছিলেন আসলে বেকার। সারা দিন বাড়িতে শুয়ে-বসে আলসেমি করে কাটাতেন। মিথ্যা বলেছিলেন জলি নিজেও। কলেজের পড়াশোনা শেষ না করেও এম-কম ডিগ্রি থাকার দাবি করেছিলেন তিনি।

জলির প্রথম শিকার
মিথ্যা ঢাকার জন্যই নিজের শাশুড়ি আন্নাম্মা থমাসকে প্রথম খুন করেছিলেন জলি। এম-কম ডিগ্রির কথা জেনে জলিকে চাকরি কিংবা পড়াশোনা আরও চালিয়ে যাওয়ার তাগাদা দিয়েছিলেন ৫৭ বছর বয়সী আন্নাম্মা। অবসর গ্রহণের পর জলিকে তাগাদা আরও বড়িয়ে দেন তিনি। 

এ অবস্থায় আরেকটি মিথ্যার আশ্রয় নেন জলি। দাবি করেন, কোট্টায়াম কলেজে অতিথি লেকচারারের চাকরি পেয়েছেন তিনি। এমনকি কলেজে পড়ানোর কথা বলে তিনি বাড়িও ছেড়ে যান এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ফিরতেন। কিন্তু এই মিথ্যা শাশুড়ির কাছে ধরা পড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করতেন তিনি। তাই ২০০২ সালে শাশুড়িকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা মাথায় আসে তাঁর। সেই মোতাবেক স্থানীয় পশু হাসপাতাল থেকে কুকুর মারার বিষ সংগ্রহ করেন। তারপর ওই বছরেরই ২২ আগস্ট শাশুড়ির স্যুপে এটি মিশিয়ে দেন তিনি। মারা যান আন্নাম্মা। 

এবার সম্পদের লোভে
জোলির দ্বিতীয় শিকার ছিলেন তাঁর শ্বশুর ৬৬ বছর বয়সী টম থমাস। বিপুল ভূ-সম্পদ, প্রায় ১৬০০ বর্গমিটার জমির মালিক ছিলেন তিনি।

জলি আশঙ্কা করেছিলেন, আমেরিকা প্রবাসী ছোট সন্তানকে সব উইল করে দিয়ে নিজেও প্রবাসী হয়ে যাবেন টম। তাই বিপুল সম্পদ দখল করতে ২০০৮ সালে আরও একটি হত্যা পরিকল্পনা করেন জলি। 

সেই বছর একমাত্র মেয়েকে দেখতে কলম্বো গিয়েছিলেন টম থমাস। কথা ছিল, সেখান থেকে আমেরিকায়ও যাবেন তিনি। কিন্তু নিজের সন্তান গর্ভধারণ এবং স্বামীর মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের খবর দিয়ে টমকে কৌশলে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন জলি। কৌশলে টমের সম্পদের সব চুক্তিনামাও হস্তগত করেন জলি এবং জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে সব সম্পদ তাঁর স্বামী রয়ের নামে উইল করে দেন। তারপর কাকতালীয়ভাবে সেদিনও ছিল ২২ আগস্ট। শাশুড়িকে হত্যার ঠিক ৬ বছর পরের সেই দিনটিতে শ্বশুরকেও সায়ানাইড বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলেন জলি। 

ওই সায়ানাইড ম্যাথিউ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন জলি। ম্যাথিউয়ের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। ম্যাথিউকে বলেছিলেন—তাঁদের সম্পর্কের কথা জেনে গেছেন শ্বশুর টম থমাস। তাই টমকে হত্যার কথা বলে ম্যাথিউয়ের কাছ থেকে সায়ানাইড নিতে সমর্থ হয়েছিলেন। 

স্বামীকেও হত্যা
 ২০১১ সালে জলির পরবর্তী শিকার ছিলেন তাঁর স্বামী রয় থমাস। রয়ের মৃত্যুকেই প্রথমবারের মতো হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। টম থমাসের মৃত্যুর পর সব সম্পদ নিজের দখলে নিয়েছিলেন রয়। তাই রয়কে মেরে ফেলে সব সম্পদ নিজের করে নিতে চাইছিলেন জলি। 

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর বাথরুমের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় রয় থমাসকে। তাঁর মুখ দিয়ে বমি এবং লালা ঝরছিল। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে হত্যাকাণ্ড সন্দেহে মামা এবং ভাই-বোনদের চেষ্টায় রয়ের মরদেহের একটি ময়নাতদন্ত হয় এবং তার শরীরে সায়ানাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়। 

ছবি: সংগৃহীতযদিও পরবর্তীতে জলি পুলিশকে বোঝাতে সক্ষম হন যে—তাঁর স্বামী রয় ছিলেন একজন বিষাদগ্রস্ত মাতাল। তিনি নিজেই নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ এই যুক্তির পর আর জল ঘোলা করেনি। স্বামীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শ্বশুরবাড়ির বিপুল সম্পদে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন জলি। 

ধামাচাপার জন্য
তবে বিষয়টির এমন উপসংহারে সন্তুষ্ট ছিলেন না রয়ের মামা ও ভাই-বোন। বিশেষ করে রয়ের মামা রয় ছাড়াও তাঁর বাবা-মায়ের মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। যা হওয়ার তাই হলো—জলির এবারের টার্গেটে পরিণত হন রয়ের মামা। ২০১৪ সালের একদিন মামা শ্বশুরের সান্ধ্যকালীন পানীয়তে সায়ানাইড মিশিয়ে দেওয়া হয়। অচেতন অবস্থায় পরে তাঁকে জলি এবং প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। 

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে আরও দুটি হত্যা
এর মধ্যেই জলি আরেকটি বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তিনি আর কেউ নন জলির স্বামী রয়ের চাচাতো ভাই সাজু। রয়ের মতো অকর্মণ্য ছিলেন না সাজু। শিক্ষকতার পাশাপাশি আয়ের নানা উৎস ছিল তাঁর। জলি আর সাজু একসঙ্গে বসবাসের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও কয়েকটি বাধা দূর করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এই বাধাগুলো দূর করতেই ২০১৪ সালের ১ মে সাজুর মেয়ে আলফির শরীরে সায়ানাইড প্রয়োগ করেন জলি। কয়েক দিন পর আলফির মৃত্যু হয়। দেড় বছর পর ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি সাজুর স্ত্রী সিলিকে দাঁতের ওষুধের সঙ্গে সায়ানাইড মিশিয়ে হত্যা করেন। সিলির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগাগোড়া ছিলেন জলি। সব দায়িত্ব নিজ হাতে সামলেছেন। সাজুর বাড়িতে এ জন্য সকাল-সন্ধ্যা যাতায়াত শুরু হয় তাঁর। ২০১৭ সালেই তাঁরা বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বসবাস শুরু করেন। 

তবে এই বেশি দিন টিকতে দেননি জলির প্রয়াত স্বামীর আমেরিকা প্রবাসী ভাই রোজো থমাস। তিনি তাঁর বাবা-মা, ভাই ও মামাসহ প্রত্যেকটি মরদেহের ফরেনসিক তদন্তের জন্য পুলিশকে রাজি করান। ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা যায়, মৃত্যুর আগে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু খেয়েছিলেন এবং প্রত্যেকের শরীরেই সায়ানাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আর প্রতিটা মৃত্যুর সময়ই ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিলেন জলি। 

 ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর জলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় সায়ানাইড সরবরাহ করা তাঁর গোপন প্রেমিক ম্যাথিউকেও। দুজনই এখন জেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ভোটে নতুন সমীকরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসরায়েল কেন প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসরায়েলের স্বীকৃতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে সোমালিল্যান্ড। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলের স্বীকৃতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে সোমালিল্যান্ড। ছবি: এএফপি

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।

এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ভোটে নতুন সমীকরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৫ সালের সেরা সিইও কে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: দ্য ইকোনমিস্ট
ছবি: দ্য ইকোনমিস্ট

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।

তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।

এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।

তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ভোটে নতুন সমীকরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এবার ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক—কী আছে সর্বশেষ ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সিএনএন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সিএনএন

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।

এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।

প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।

এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।

অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।

সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।

যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।

এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ভোটে নতুন সমীকরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪০ শতাংশ জার্মান মনে করেন মার্জের সরকার টিকবে না

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ। ছবি: এএফপি
জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ। ছবি: এএফপি

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।

২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।

জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।

ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।

অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।

জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।

জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ভোটে নতুন সমীকরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত