আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিঙ্গাপুরের ব্যস্ততম একটি সড়কে হঠাৎ তৈরি হওয়া এক সুবিশাল গর্তে গাড়ি সমেত পড়ে যান এক নারী। সড়কের পাশে কর্মরত একদল নির্মাণশ্রমিক রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় উদ্ধার করেন তাঁকে। গর্তের ভেতর থেকে ওই নারীকে উদ্ধারে শ্রমিকদের সময় লেগেছে পাঁচ মিনিটেরও কম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৬ জুলাই দুর্ঘটনাটি ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নির্মাণ শ্রমিকদের ফোরম্যান সুপ্পিয়াহ পিচাই উদাইয়াপ্পান দেরি না করে একটি দড়ি নিয়ে এগিয়ে যান। গর্তের ভেতর ছুড়ে দেন দড়িটি। কোনোমতে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন চালক ওই নারী। পরে, ওই দড়ি ধরে টেনে তাঁকে ওপরে তোলা হয়। পরে উদাইয়াপ্পান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা খালি মনে হয়েছিল, যেকোনো মূল্যে ওই নারীকে বাঁচাতে হবে।’
এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল তাঁদের সেই দুঃসাহসিক উদ্ধার অভিযান। অনেকেই তাঁদের ‘হিরো’ আখ্যা দিচ্ছেন। এই শ্রমিকদের সবাই অভিবাসী। উদ্ধারকারী সাত ভারতীয় অভিবাসী শ্রমিককে ব্যক্তিগতভাবে ইস্তানা প্যালেস ওপেন হাউসে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট থারমান শানমুগরত্নম। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় এই শ্রমিকদের ‘প্রশংসা মুদ্রা’ দিয়ে সম্মানিত করেছে এবং অভিবাসী শ্রমিকদের একটি দাতব্য সংস্থা তাঁদের জন্য ৭২ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার সংগ্রহ করেছে।
দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকদের এমন বীরত্বের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে চলতি বছর এপ্রিলেও একটি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বীরত্ব দেখিয়েছে অভিবাসী শ্রমিকেরা। দোকানটিতে আটকা পড়া শিশুদের উদ্ধার করেছেন তাঁরা।
সরকারের এমন স্বীকৃতি সত্ত্বেও, অভিবাসী শ্রমিকেরা কম বেতন, অনিশ্চিত পরিস্থিতি এবং স্থায়ী বসবাসের অধিকার না পাওয়ার মতো বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বহুদিন ধরেই।
এবারের এই ঘটনাটি সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা। সাধারণত, স্থানীয়রা যেসব কম বেতনের শ্রমসাধ্য কাজ এড়িয়ে চলেন, সেগুলোই করেন এসব শ্রমিক। ভবন নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণ এবং উৎপাদন খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে তাঁদের অবদান ব্যাপক।
কিন্তু সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য কোনো ন্যূনতম মজুরি দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, কিছু শ্রমিক মাসে মাত্র ৩০০ সিঙ্গাপুরি ডলার (২৩৩ মার্কিন ডলার) উপার্জন করেন। তাঁরা সাধারণত আবাসিক এলাকা থেকে দূরে, ঘিঞ্জি ডরমিটরিতে থাকেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, অনেক সময়ই তাঁদের নিয়োগকারী সংস্থা বা মালিকদের দ্বারা শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ওভারটাইম মজুরি ছাড়াই অতিরিক্ত কাজ, মজুরি না পাওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে বাধ্য হওয়ার মতো শোষণের শিকার হন তাঁরা। এই সমস্যাগুলো বহু বছর ধরে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় থাকলেও, অধিকার কর্মীরা বলছেন, পরিস্থিতি খুব বেশি বদলায়নি।
সিঙ্গাপুরের সমাজকর্মী সুরেন্দ্র কুমার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আজ আপনারা তাঁদের বীর হিসেবে সম্মান জানাচ্ছেন। কিন্তু আগামীকাল আবার তাঁদেরই “প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও নোংরা” বলে সাধারণীকরণ করবেন।’
২০২০ সালের কোভিড মহামারির সময় এই শ্রমিকদের দুর্দশা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাঁদের ডরমিটরিগুলো ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এবং প্রতিদিন শত শত শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের জীবনযাত্রা নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়, যার ফলস্বরূপ বাধ্য হয়ে ডরমিটরির মান উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ।
সিঙ্কহোলের ঘটনাটি শ্রমিকদের আরেকটি গুরুতর সমস্যার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সেটি হলো ফ্ল্যাট-বেড ট্রাকে (বাংলাদেশের লেগুনার মতো) করে তাঁদের কর্মস্থলে যাতায়াত। অধিকার কর্মী সুরেন্দ্র কুমার এই পরিস্থিতিকে ‘করুণ বাস্তবতা’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, যেসব শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন সিঙ্গাপুরি নারীকে উদ্ধার করেছেন, সম্ভবত তাঁরা লরিতে করেই যাতায়াত করেন।
সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী, জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ মানুষের ট্রাকে করে যাতায়াত নিষিদ্ধ। তবে, যদি শ্রমিকেরা ওই ট্রাকের মালিকের কর্মচারী হন, তাহলে এই নিয়ম শিথিল। কিন্তু এই পরিবহন ব্যবস্থার ফলে বহু দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায়শই ১২ জন পর্যন্ত শ্রমিককে ট্রাকে গাদাগাদি করে পরিবহন করা হয়, এতে কোনো সিটবেল্ট নেই। এই পদ্ধতি অনেক নিয়োগকর্তার জন্য সাশ্রয়ী, কারণ তাঁরা একই ট্রাকে পণ্যও পরিবহন করতে পারেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে এ রকম এক দুর্ঘটনায় দুজন প্রবাসী শ্রমিক নিহত হন। এমনকি গত বছরও ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হন অন্তত চারজন শ্রমিক। এতে আহত হয়েছিলেন আরও চার শতাধিক।
অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের পরিবহন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। বিষয়টি একাধিকবার পার্লামেন্টেও আলোচিত হয়েছে, কিন্তু খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। সিঙ্গাপুর সরকার বারবার বলে আসছে, তারা কোম্পানিগুলোকে বাসে করে শ্রমিক পরিবহনের জন্য উৎসাহিত করছে। কিন্তু ছোট ব্যবসার জন্য এই ধরনের ট্রাক নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়। একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী গত ফেব্রুয়ারিতে পার্লামেন্টে বলেন, ‘বাসে শ্রমিক পরিবহনে বাধ্য করলে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হবে। এতে দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের শ্রমিকই কাজ হারাবে। এতে আবাসন, স্কুল, হাসপাতাল এবং ট্রেন লাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বিলম্বিত হবে এবং সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের জন্য খরচও বাড়বে।’
শ্রমিকদের অধিকারকে কেবল অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ওই সময় সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। অধিকারকর্মীরা উল্লেখ করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মতো যেসব দেশ অভিবাসী শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল, তারাও ট্রাকে করে মানুষ পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। সুরেন্দ্র কুমার বলেন, সরকার বিদেশি শ্রমিকদের থেকে যে কর বা লেভি সংগ্রহ করে, তা ব্যবহার করে শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, এতে ব্যবসা ও ভোক্তাদের ওপর বাড়তি খরচ চাপবে না।
মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যানিটেরিয়ান অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন ইকোনমিকসের’ সিনিয়র গবেষক জয়া অনিল কুমার বলেন, সরকারের এই ধরনের যুক্তিই অভিবাসী শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর নিয়োগকর্তাদের অন্যায্য নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার উৎস।
শ্রমিকদের সুরক্ষায় ট্রাকে পরিবহন নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি আরও কিছু পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে, যেমন—যথাযথ মজুরি, হুইসেলব্লোয়ার (গোপন তথ্য ফাঁসকারী) সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাতে ভর্তুকি। দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে কাজ করেও এই শ্রমিকেরা স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান না, কারণ বিদেশি পেশাজীবী ও কর্মকর্তাদের চেয়ে তাঁদের কর্মসংস্থান ভিসা ভিন্ন। সুপ্পিয়াহ উদাইয়াপ্পান, যার নেতৃত্বে শ্রমিকেরা ওই সিঙ্গাপুরি নারীকে গর্ত থেকে উদ্ধার করেছেন, তিনি ২২ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে কাজ করছেন, তাঁরও স্থায়ীভাবে বসবাসের কোনো সুযোগ নেই।
এ ছাড়া কর্মসংস্থান ভিসাধারীদের সিঙ্গাপুরিদের বিয়ে করার জন্যও সরকারের অনুমতি নিতে হয়—এটিও অধিকার কর্মীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। অনিল কুমার বলেন, ‘খুব ধীর গতিতে আইনের পরিবর্তন হচ্ছে, কারণ কার্যকর পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সদিচ্ছা নেই।’
এই সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ সিঙ্কহোল থেকে উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া সাতজন শ্রমিককে ‘অ্যাপ্রেসিয়েশন কয়েন’ দিয়ে সম্মানিত করেছে। কিন্তু অনেকেই এই পদক্ষেপকে ‘টোকেনিজম’ বলে সমালোচনা করেছেন। সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘তাঁদের বীরত্বের জন্য যত ধন্যবাদই দেওয়া হোক না কেন, তা সেই শোষণমূলক অর্থনৈতিক মডেলকে ন্যায্যতা দিতে পারে না, যা প্রতিদিন তাঁদের দমিয়ে রেখে সিঙ্গাপুরে আমাদের জীবনধারা টিকিয়ে রাখে।’
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কথার প্রতিধ্বনি তুলেছেন এবং বলেছেন যে এই শ্রমিকদের আরও বেশি স্বীকৃতি প্রাপ্য। কেউ কেউ তাঁদের আর্থিক পুরস্কার এবং এমনকি স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন। সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অভিবাসী শ্রমিকদের আরও নানাভাবে সম্মান জানানোর জন্য পাওয়া ফিডব্যাকে আমরা উৎসাহিত।’ তবে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে তাঁরা সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি।
অভিবাসী অধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘ইটস রেইনিং রেইনকোটস’ ৭২ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার সংগ্রহ করেছে। উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া সাত শ্রমিকের মধ্যে এই অর্থ সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশি শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনাকারী একেএম মহসিন এ প্রসঙ্গে বিবিসিকে বলেন, ‘এই শ্রমিকেরা প্রায়শই নিজেদের জীবন বিপন্ন করে অনেক সিঙ্গাপুরিকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। তাঁরা সংবাদমাধ্যমে প্রশংসিত হন এবং মানবিক কাজের চমৎকার উদাহরণ হিসেবে পরিচিতি পান, কিন্তু কর্মস্থলে, পরিবহনে এবং বাসস্থানে তাঁদের মানবাধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
মানবাধিকার কর্মীদের মতে, অভিবাসী শ্রমিকদের নিজেদের তুলনায় একটি ভিন্ন এবং নিম্ন শ্রেণির মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে অধিকাংশ সিঙ্গাপুরি।
অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ট্রানজিয়েন্ট ওয়ার্কার্স কাউন্ট টু-এর সহসভাপতি অ্যালেক্স আউ নির্দ্বিধায় বলেন, ‘আমরা মূলত তাদের ভিন্ন শ্রেণির মানুষ হিসেবে দেখি। আমরা তাদের কাছ থেকে সেবা আশা করি এবং বিশ্বাস করি যে তারা এই জন্যই এখানে আছে। আর ভৃত্যদের অবশ্যই তাদের প্রভুদের বিপদে এগিয়ে আসা উচিত।’

সিঙ্গাপুরের ব্যস্ততম একটি সড়কে হঠাৎ তৈরি হওয়া এক সুবিশাল গর্তে গাড়ি সমেত পড়ে যান এক নারী। সড়কের পাশে কর্মরত একদল নির্মাণশ্রমিক রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় উদ্ধার করেন তাঁকে। গর্তের ভেতর থেকে ওই নারীকে উদ্ধারে শ্রমিকদের সময় লেগেছে পাঁচ মিনিটেরও কম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৬ জুলাই দুর্ঘটনাটি ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নির্মাণ শ্রমিকদের ফোরম্যান সুপ্পিয়াহ পিচাই উদাইয়াপ্পান দেরি না করে একটি দড়ি নিয়ে এগিয়ে যান। গর্তের ভেতর ছুড়ে দেন দড়িটি। কোনোমতে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন চালক ওই নারী। পরে, ওই দড়ি ধরে টেনে তাঁকে ওপরে তোলা হয়। পরে উদাইয়াপ্পান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা খালি মনে হয়েছিল, যেকোনো মূল্যে ওই নারীকে বাঁচাতে হবে।’
এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল তাঁদের সেই দুঃসাহসিক উদ্ধার অভিযান। অনেকেই তাঁদের ‘হিরো’ আখ্যা দিচ্ছেন। এই শ্রমিকদের সবাই অভিবাসী। উদ্ধারকারী সাত ভারতীয় অভিবাসী শ্রমিককে ব্যক্তিগতভাবে ইস্তানা প্যালেস ওপেন হাউসে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট থারমান শানমুগরত্নম। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় এই শ্রমিকদের ‘প্রশংসা মুদ্রা’ দিয়ে সম্মানিত করেছে এবং অভিবাসী শ্রমিকদের একটি দাতব্য সংস্থা তাঁদের জন্য ৭২ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার সংগ্রহ করেছে।
দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকদের এমন বীরত্বের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে চলতি বছর এপ্রিলেও একটি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বীরত্ব দেখিয়েছে অভিবাসী শ্রমিকেরা। দোকানটিতে আটকা পড়া শিশুদের উদ্ধার করেছেন তাঁরা।
সরকারের এমন স্বীকৃতি সত্ত্বেও, অভিবাসী শ্রমিকেরা কম বেতন, অনিশ্চিত পরিস্থিতি এবং স্থায়ী বসবাসের অধিকার না পাওয়ার মতো বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বহুদিন ধরেই।
এবারের এই ঘটনাটি সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা। সাধারণত, স্থানীয়রা যেসব কম বেতনের শ্রমসাধ্য কাজ এড়িয়ে চলেন, সেগুলোই করেন এসব শ্রমিক। ভবন নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণ এবং উৎপাদন খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে তাঁদের অবদান ব্যাপক।
কিন্তু সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য কোনো ন্যূনতম মজুরি দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, কিছু শ্রমিক মাসে মাত্র ৩০০ সিঙ্গাপুরি ডলার (২৩৩ মার্কিন ডলার) উপার্জন করেন। তাঁরা সাধারণত আবাসিক এলাকা থেকে দূরে, ঘিঞ্জি ডরমিটরিতে থাকেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, অনেক সময়ই তাঁদের নিয়োগকারী সংস্থা বা মালিকদের দ্বারা শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ওভারটাইম মজুরি ছাড়াই অতিরিক্ত কাজ, মজুরি না পাওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে বাধ্য হওয়ার মতো শোষণের শিকার হন তাঁরা। এই সমস্যাগুলো বহু বছর ধরে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় থাকলেও, অধিকার কর্মীরা বলছেন, পরিস্থিতি খুব বেশি বদলায়নি।
সিঙ্গাপুরের সমাজকর্মী সুরেন্দ্র কুমার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আজ আপনারা তাঁদের বীর হিসেবে সম্মান জানাচ্ছেন। কিন্তু আগামীকাল আবার তাঁদেরই “প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও নোংরা” বলে সাধারণীকরণ করবেন।’
২০২০ সালের কোভিড মহামারির সময় এই শ্রমিকদের দুর্দশা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাঁদের ডরমিটরিগুলো ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এবং প্রতিদিন শত শত শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের জীবনযাত্রা নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়, যার ফলস্বরূপ বাধ্য হয়ে ডরমিটরির মান উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ।
সিঙ্কহোলের ঘটনাটি শ্রমিকদের আরেকটি গুরুতর সমস্যার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সেটি হলো ফ্ল্যাট-বেড ট্রাকে (বাংলাদেশের লেগুনার মতো) করে তাঁদের কর্মস্থলে যাতায়াত। অধিকার কর্মী সুরেন্দ্র কুমার এই পরিস্থিতিকে ‘করুণ বাস্তবতা’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, যেসব শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন সিঙ্গাপুরি নারীকে উদ্ধার করেছেন, সম্ভবত তাঁরা লরিতে করেই যাতায়াত করেন।
সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী, জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ মানুষের ট্রাকে করে যাতায়াত নিষিদ্ধ। তবে, যদি শ্রমিকেরা ওই ট্রাকের মালিকের কর্মচারী হন, তাহলে এই নিয়ম শিথিল। কিন্তু এই পরিবহন ব্যবস্থার ফলে বহু দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায়শই ১২ জন পর্যন্ত শ্রমিককে ট্রাকে গাদাগাদি করে পরিবহন করা হয়, এতে কোনো সিটবেল্ট নেই। এই পদ্ধতি অনেক নিয়োগকর্তার জন্য সাশ্রয়ী, কারণ তাঁরা একই ট্রাকে পণ্যও পরিবহন করতে পারেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে এ রকম এক দুর্ঘটনায় দুজন প্রবাসী শ্রমিক নিহত হন। এমনকি গত বছরও ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হন অন্তত চারজন শ্রমিক। এতে আহত হয়েছিলেন আরও চার শতাধিক।
অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের পরিবহন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। বিষয়টি একাধিকবার পার্লামেন্টেও আলোচিত হয়েছে, কিন্তু খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। সিঙ্গাপুর সরকার বারবার বলে আসছে, তারা কোম্পানিগুলোকে বাসে করে শ্রমিক পরিবহনের জন্য উৎসাহিত করছে। কিন্তু ছোট ব্যবসার জন্য এই ধরনের ট্রাক নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়। একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী গত ফেব্রুয়ারিতে পার্লামেন্টে বলেন, ‘বাসে শ্রমিক পরিবহনে বাধ্য করলে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হবে। এতে দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের শ্রমিকই কাজ হারাবে। এতে আবাসন, স্কুল, হাসপাতাল এবং ট্রেন লাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বিলম্বিত হবে এবং সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের জন্য খরচও বাড়বে।’
শ্রমিকদের অধিকারকে কেবল অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ওই সময় সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। অধিকারকর্মীরা উল্লেখ করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মতো যেসব দেশ অভিবাসী শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল, তারাও ট্রাকে করে মানুষ পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। সুরেন্দ্র কুমার বলেন, সরকার বিদেশি শ্রমিকদের থেকে যে কর বা লেভি সংগ্রহ করে, তা ব্যবহার করে শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, এতে ব্যবসা ও ভোক্তাদের ওপর বাড়তি খরচ চাপবে না।
মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যানিটেরিয়ান অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন ইকোনমিকসের’ সিনিয়র গবেষক জয়া অনিল কুমার বলেন, সরকারের এই ধরনের যুক্তিই অভিবাসী শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর নিয়োগকর্তাদের অন্যায্য নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার উৎস।
শ্রমিকদের সুরক্ষায় ট্রাকে পরিবহন নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি আরও কিছু পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে, যেমন—যথাযথ মজুরি, হুইসেলব্লোয়ার (গোপন তথ্য ফাঁসকারী) সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাতে ভর্তুকি। দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে কাজ করেও এই শ্রমিকেরা স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান না, কারণ বিদেশি পেশাজীবী ও কর্মকর্তাদের চেয়ে তাঁদের কর্মসংস্থান ভিসা ভিন্ন। সুপ্পিয়াহ উদাইয়াপ্পান, যার নেতৃত্বে শ্রমিকেরা ওই সিঙ্গাপুরি নারীকে গর্ত থেকে উদ্ধার করেছেন, তিনি ২২ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে কাজ করছেন, তাঁরও স্থায়ীভাবে বসবাসের কোনো সুযোগ নেই।
এ ছাড়া কর্মসংস্থান ভিসাধারীদের সিঙ্গাপুরিদের বিয়ে করার জন্যও সরকারের অনুমতি নিতে হয়—এটিও অধিকার কর্মীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। অনিল কুমার বলেন, ‘খুব ধীর গতিতে আইনের পরিবর্তন হচ্ছে, কারণ কার্যকর পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সদিচ্ছা নেই।’
এই সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ সিঙ্কহোল থেকে উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া সাতজন শ্রমিককে ‘অ্যাপ্রেসিয়েশন কয়েন’ দিয়ে সম্মানিত করেছে। কিন্তু অনেকেই এই পদক্ষেপকে ‘টোকেনিজম’ বলে সমালোচনা করেছেন। সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘তাঁদের বীরত্বের জন্য যত ধন্যবাদই দেওয়া হোক না কেন, তা সেই শোষণমূলক অর্থনৈতিক মডেলকে ন্যায্যতা দিতে পারে না, যা প্রতিদিন তাঁদের দমিয়ে রেখে সিঙ্গাপুরে আমাদের জীবনধারা টিকিয়ে রাখে।’
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কথার প্রতিধ্বনি তুলেছেন এবং বলেছেন যে এই শ্রমিকদের আরও বেশি স্বীকৃতি প্রাপ্য। কেউ কেউ তাঁদের আর্থিক পুরস্কার এবং এমনকি স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন। সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অভিবাসী শ্রমিকদের আরও নানাভাবে সম্মান জানানোর জন্য পাওয়া ফিডব্যাকে আমরা উৎসাহিত।’ তবে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে তাঁরা সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি।
অভিবাসী অধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘ইটস রেইনিং রেইনকোটস’ ৭২ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার সংগ্রহ করেছে। উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া সাত শ্রমিকের মধ্যে এই অর্থ সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশি শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনাকারী একেএম মহসিন এ প্রসঙ্গে বিবিসিকে বলেন, ‘এই শ্রমিকেরা প্রায়শই নিজেদের জীবন বিপন্ন করে অনেক সিঙ্গাপুরিকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। তাঁরা সংবাদমাধ্যমে প্রশংসিত হন এবং মানবিক কাজের চমৎকার উদাহরণ হিসেবে পরিচিতি পান, কিন্তু কর্মস্থলে, পরিবহনে এবং বাসস্থানে তাঁদের মানবাধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
মানবাধিকার কর্মীদের মতে, অভিবাসী শ্রমিকদের নিজেদের তুলনায় একটি ভিন্ন এবং নিম্ন শ্রেণির মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে অধিকাংশ সিঙ্গাপুরি।
অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ট্রানজিয়েন্ট ওয়ার্কার্স কাউন্ট টু-এর সহসভাপতি অ্যালেক্স আউ নির্দ্বিধায় বলেন, ‘আমরা মূলত তাদের ভিন্ন শ্রেণির মানুষ হিসেবে দেখি। আমরা তাদের কাছ থেকে সেবা আশা করি এবং বিশ্বাস করি যে তারা এই জন্যই এখানে আছে। আর ভৃত্যদের অবশ্যই তাদের প্রভুদের বিপদে এগিয়ে আসা উচিত।’

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

একটি দুর্ঘটনা সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা।
০১ আগস্ট ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

একটি দুর্ঘটনা সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা।
০১ আগস্ট ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

একটি দুর্ঘটনা সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা।
০১ আগস্ট ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

একটি দুর্ঘটনা সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা।
০১ আগস্ট ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে