আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছে আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। তাদের মতে, আলোচনার অগ্রগতি হলেও তা সীমিত পর্যায়ের একটি সমঝোতায় থামতে পারে।
ওয়াশিংটন চাইছে এ মাসের শেষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর আগে আলোচনায় অন্তত কিছু অগ্রগতি হোক। এতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে গিয়ে এই সাফল্যকে নিজের কৃতিত্ব হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন। চারটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, আলোচনার সাফল্য যতই সীমিত হোক না কেন, ট্রাম্প সেটিকে মধ্যপ্রাচ্যে নিজের এক বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবে উপস্থাপন করবেন।
তবে বাস্তবে পরিস্থিতি অনেক জটিল। ইসরায়েল কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সিরিয়ার ভেতরে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও দক্ষিণাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় দামেস্ক দুর্বল অবস্থানে আছে। আলোচনায় অবহিত ৯ জনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স—এর মধ্যে আছেন সিরিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা, দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—সম্প্রতি দখলকৃত এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতির অধীনে গঠিত নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন পুনর্বহাল এবং ইসরায়েলের বিমান হামলা ও স্থল অভিযান বন্ধ করা। তবে গোলান মালভূমির প্রসঙ্গ আলোচনায় আসেনি। দামেস্কের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বলেছে, গোলানের প্রশ্ন ‘ভবিষ্যতের জন্য রাখা হয়েছে।’
তবে গোলান নিয়েই সবচেয়ে বড় জটিলতা। ছয়টি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদেও এ অঞ্চল ফেরত দিতে রাজি নয় ইসরায়েল। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেই গোলানকে একতরফাভাবে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বরং, ইসরায়েল মার্কিন দূত টমাস বারাকের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে গোলান ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমাদের মার্কিন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, সেটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাব।’
এক সিরিয়ার কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বুঝতে পারছেন যে, গোলান নিয়ে ছাড় দিলে তাঁর শাসন টিকবে না। তাই তিনি বারাককে বলেছেন, নিরাপত্তা চুক্তি ১৯৭৪ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে হতে হবে।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ আলোচনায় জোর দিচ্ছে। এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়াকে চাপ দিচ্ছে নিরাপত্তা চুক্তি দ্রুত করার জন্য—এটি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। তিনি চান মধ্যপ্রাচ্যে এক বড় কূটনৈতিক সাফল্যের স্থপতি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে।’ কিন্তু ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইসরায়েল খুব বেশি কিছু দিচ্ছে না।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও আলোচনার নেতৃত্ব দেওয়া রন ডারমারের কার্যালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটন ‘ইসরায়েল, সিরিয়া ও প্রতিবেশীদের মধ্যে টেকসই স্থিতিশীলতা ও শান্তি বয়ে আনবে—এমন যেকোনো প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।’
আলোচনায় প্রবল অবিশ্বাসের ছায়া রয়ে গেছে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেওয়া এক পশ্চিমা কূটনীতিক বলেন, ‘প্রাথমিক আস্থার উপাদানই নেই।’ সিরিয়ার পক্ষও বলছে, শারা যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে আলোচনায় গতি আনছেন, তবে এখনো বিস্তৃত শান্তিচুক্তির পরিবেশ তৈরি হয়নি।
এদিকে, মাঠের বাস্তবতায় শারার পথ আরও সংকীর্ণ। একদিকে, ইসরায়েলের হামলা ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সমর্থন জনমনে ক্ষোভ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, সিরিয়ার ভেতরে ভূমি দখল দামেস্কের জন্য বড় হুমকি। সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বে থাকা এক সিরিয়ার সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি টহল এড়িয়ে চলে। তাঁর মতে, ‘তারা প্রায়ই গ্রামে ঢুকে বাড়ি-বাড়ি খোঁজখবর নেয় এবং অস্ত্র খোঁজে।’
রয়টার্সের প্রশ্নে ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, তাদের অভিযান অস্ত্র জব্দ, চোরাচালান ঠেকানো এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকানোর জন্য। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ স্পষ্ট করে বলেছেন, হারমোন পাহাড়ে নতুন যে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েল, সেটি ছাড়বে না।
গাজা ও লেবাননের মতো এখন দক্ষিণ সিরিয়াতেও বিস্তৃত নিরস্ত্রীকৃত এলাকা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইসরায়েল বলে বিশ্লেষকদের মন্তব্য। সিরিয়ার নিরাপত্তা বিশ্লেষক ওয়ায়েল আলওয়ান বলেন, ‘যেমন উত্তর গাজা ও দক্ষিণ লেবাননে করেছে, তেমনি এখন দক্ষিণ সিরিয়ায়ও বিস্তৃত নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল গড়ে তুলছে ইসরায়েল।’
সুয়াইদায় দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সিরিয়ার বাহিনীর সংঘর্ষে নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বেসামরিক হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে সিরিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এর পর থেকে দ্রুজ নেতারা স্বাধীনতার দাবি তুলছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ গোলান থেকে সুয়াইদা পর্যন্ত মানবিক করিডরের প্রস্তাব তুলেছেন। দুই প্রবীণ দ্রুজ নেতা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েল এখন বিভক্ত দ্রুজ গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করছে এবং অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছে। এমনকি ৩ হাজার দ্রুজ যোদ্ধার একটি বাহিনীর বেতনও দিচ্ছে তারা। যদিও স্বাধীনভাবে এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এ অবস্থায় শারা জানেন, ইসরায়েলকে উত্তেজিত করলে তাঁর পুনর্গঠন পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী বলেছেন, ‘উসকানি এড়িয়ে চলাই তাঁর পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু।’ অন্যদিকে, বিশ্লেষকেরা বলছেন অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও বৈদেশিক সহায়তার জন্য শারা কিছু বাস্তববাদী ছাড় দিতে পারেন। তবে গোলান মালভূমি নিয়ে কোনো সমঝোতায় যাওয়া তাঁর জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়াবে।
সব মিলিয়ে সিরিয়া-ইসরায়েল আলোচনার বর্তমান অগ্রগতি একদিকে মার্কিন প্রশাসনের কূটনৈতিক সাফল্যের প্রচেষ্টার অংশ, অন্যদিকে শারার জন্য এক সংকীর্ণ পথ। তিনি ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাইছেন, কিন্তু অভ্যন্তরীণ বৈধতা ও ভূখণ্ড রক্ষার চাপে তাঁর বিকল্প সীমিত হয়ে পড়ছে।

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছে আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। তাদের মতে, আলোচনার অগ্রগতি হলেও তা সীমিত পর্যায়ের একটি সমঝোতায় থামতে পারে।
ওয়াশিংটন চাইছে এ মাসের শেষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর আগে আলোচনায় অন্তত কিছু অগ্রগতি হোক। এতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে গিয়ে এই সাফল্যকে নিজের কৃতিত্ব হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন। চারটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, আলোচনার সাফল্য যতই সীমিত হোক না কেন, ট্রাম্প সেটিকে মধ্যপ্রাচ্যে নিজের এক বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবে উপস্থাপন করবেন।
তবে বাস্তবে পরিস্থিতি অনেক জটিল। ইসরায়েল কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সিরিয়ার ভেতরে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও দক্ষিণাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় দামেস্ক দুর্বল অবস্থানে আছে। আলোচনায় অবহিত ৯ জনের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স—এর মধ্যে আছেন সিরিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা, দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—সম্প্রতি দখলকৃত এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতির অধীনে গঠিত নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন পুনর্বহাল এবং ইসরায়েলের বিমান হামলা ও স্থল অভিযান বন্ধ করা। তবে গোলান মালভূমির প্রসঙ্গ আলোচনায় আসেনি। দামেস্কের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বলেছে, গোলানের প্রশ্ন ‘ভবিষ্যতের জন্য রাখা হয়েছে।’
তবে গোলান নিয়েই সবচেয়ে বড় জটিলতা। ছয়টি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদেও এ অঞ্চল ফেরত দিতে রাজি নয় ইসরায়েল। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেই গোলানকে একতরফাভাবে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বরং, ইসরায়েল মার্কিন দূত টমাস বারাকের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে গোলান ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমাদের মার্কিন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, সেটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাব।’
এক সিরিয়ার কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বুঝতে পারছেন যে, গোলান নিয়ে ছাড় দিলে তাঁর শাসন টিকবে না। তাই তিনি বারাককে বলেছেন, নিরাপত্তা চুক্তি ১৯৭৪ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে হতে হবে।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ আলোচনায় জোর দিচ্ছে। এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়াকে চাপ দিচ্ছে নিরাপত্তা চুক্তি দ্রুত করার জন্য—এটি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। তিনি চান মধ্যপ্রাচ্যে এক বড় কূটনৈতিক সাফল্যের স্থপতি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে।’ কিন্তু ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইসরায়েল খুব বেশি কিছু দিচ্ছে না।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও আলোচনার নেতৃত্ব দেওয়া রন ডারমারের কার্যালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটন ‘ইসরায়েল, সিরিয়া ও প্রতিবেশীদের মধ্যে টেকসই স্থিতিশীলতা ও শান্তি বয়ে আনবে—এমন যেকোনো প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।’
আলোচনায় প্রবল অবিশ্বাসের ছায়া রয়ে গেছে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেওয়া এক পশ্চিমা কূটনীতিক বলেন, ‘প্রাথমিক আস্থার উপাদানই নেই।’ সিরিয়ার পক্ষও বলছে, শারা যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে আলোচনায় গতি আনছেন, তবে এখনো বিস্তৃত শান্তিচুক্তির পরিবেশ তৈরি হয়নি।
এদিকে, মাঠের বাস্তবতায় শারার পথ আরও সংকীর্ণ। একদিকে, ইসরায়েলের হামলা ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সমর্থন জনমনে ক্ষোভ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, সিরিয়ার ভেতরে ভূমি দখল দামেস্কের জন্য বড় হুমকি। সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বে থাকা এক সিরিয়ার সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি টহল এড়িয়ে চলে। তাঁর মতে, ‘তারা প্রায়ই গ্রামে ঢুকে বাড়ি-বাড়ি খোঁজখবর নেয় এবং অস্ত্র খোঁজে।’
রয়টার্সের প্রশ্নে ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, তাদের অভিযান অস্ত্র জব্দ, চোরাচালান ঠেকানো এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকানোর জন্য। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ স্পষ্ট করে বলেছেন, হারমোন পাহাড়ে নতুন যে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েল, সেটি ছাড়বে না।
গাজা ও লেবাননের মতো এখন দক্ষিণ সিরিয়াতেও বিস্তৃত নিরস্ত্রীকৃত এলাকা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইসরায়েল বলে বিশ্লেষকদের মন্তব্য। সিরিয়ার নিরাপত্তা বিশ্লেষক ওয়ায়েল আলওয়ান বলেন, ‘যেমন উত্তর গাজা ও দক্ষিণ লেবাননে করেছে, তেমনি এখন দক্ষিণ সিরিয়ায়ও বিস্তৃত নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল গড়ে তুলছে ইসরায়েল।’
সুয়াইদায় দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সিরিয়ার বাহিনীর সংঘর্ষে নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বেসামরিক হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে সিরিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এর পর থেকে দ্রুজ নেতারা স্বাধীনতার দাবি তুলছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ গোলান থেকে সুয়াইদা পর্যন্ত মানবিক করিডরের প্রস্তাব তুলেছেন। দুই প্রবীণ দ্রুজ নেতা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েল এখন বিভক্ত দ্রুজ গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করছে এবং অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছে। এমনকি ৩ হাজার দ্রুজ যোদ্ধার একটি বাহিনীর বেতনও দিচ্ছে তারা। যদিও স্বাধীনভাবে এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এ অবস্থায় শারা জানেন, ইসরায়েলকে উত্তেজিত করলে তাঁর পুনর্গঠন পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী বলেছেন, ‘উসকানি এড়িয়ে চলাই তাঁর পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু।’ অন্যদিকে, বিশ্লেষকেরা বলছেন অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও বৈদেশিক সহায়তার জন্য শারা কিছু বাস্তববাদী ছাড় দিতে পারেন। তবে গোলান মালভূমি নিয়ে কোনো সমঝোতায় যাওয়া তাঁর জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়াবে।
সব মিলিয়ে সিরিয়া-ইসরায়েল আলোচনার বর্তমান অগ্রগতি একদিকে মার্কিন প্রশাসনের কূটনৈতিক সাফল্যের প্রচেষ্টার অংশ, অন্যদিকে শারার জন্য এক সংকীর্ণ পথ। তিনি ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাইছেন, কিন্তু অভ্যন্তরীণ বৈধতা ও ভূখণ্ড রক্ষার চাপে তাঁর বিকল্প সীমিত হয়ে পড়ছে।

গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
২৯ মিনিট আগে
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যাকশনএইড, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি এবং নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতো পরিচিত আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (আইএনজিও) গুলোর লাইসেন্স ১ জানুয়ারি থেকে স্থগিত করা হবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যসহ ১০টি দেশ। তারা বলছে, নতুন নিয়মগুলো ‘অতিরিক্তভাবে কঠোর’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’।
এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রম জোরপূর্বক বন্ধ করে দিলে স্বাস্থ্যসেবাসহ জরুরি সেবায় প্রবেশাধিকার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি এখনো ‘বিপর্যয়কর’ উল্লেখ করে তাঁরা ইসরায়েল সরকারকে আহ্বান জানান, যাতে এনজিওগুলো টেকসই এবং আগের মতো কাজ করতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই পদক্ষেপগুলোর ফলে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহে কোনো প্রভাব পড়বে না। মন্ত্রণালয়টি জানায়, জাতিসংঘের সংস্থা, দ্বিপক্ষীয় অংশীদার এবং মানবিক সংগঠনসহ ‘অনুমোদিত ও যাচাইকৃত চ্যানেল’ দিয়ে সহায়তা সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
তাদের দাবি, সহায়তা সংস্থাগুলোর লাইসেন্স বাতিলের প্রধান কারণ হলো, তাদের কর্মীদের বিষয়ে সম্পূর্ণ ও যাচাইযোগ্য তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো যা মানবিক কাঠামোয় ‘সন্ত্রাসী অপারেটিভদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে ইসরায়েল।
এ মাসের শুরুতে জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা বলেন, অক্টোবর মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় পুষ্টি ও খাদ্য সরবরাহে কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে পরের মাসেও প্রায় ১ লাখ মানুষ ‘চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মুখোমুখি ছিল।
তবে গাজার সীমান্ত ক্রসিংগুলো নিয়ন্ত্রণকারী ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাত দাবি করেছে, যেসব সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত করা হবে, তারা বর্তমান যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় কোনো সহায়তা আনেনি। সংস্থাটি আরও জানায়, অতীতেও তাদের সম্মিলিত অবদান মোট সহায়তার মাত্র প্রায় ১ শতাংশ ছিল।
ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ১৫ শতাংশেরও কম নতুন নিয়ন্ত্রক কাঠামো লঙ্ঘন করেছে।
ওই নিয়ন্ত্রক কাঠামোতে লাইসেন্স বাতিলের একাধিক ভিত্তি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
১. ইসরায়েলকে একটি ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার না করা
২. হলোকাস্ট বা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো হামলা অস্বীকার করা
৩. শত্রু রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামকে সমর্থন করা
৪. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অবৈধতা আরোপের প্রচারণা’ চালানো
৫. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বয়কটের আহ্বান জানানো বা তাতে অংশ নেওয়ার অঙ্গীকার করা
৬. বিদেশি বা আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকে সমর্থন করা
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের সংস্থা এবং ২০০টিরও বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিম আগেই সতর্ক করে বলেছিল, নতুন নিবন্ধন নীতিমালা গাজা ও পশ্চিম তীরে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রমকে মৌলিকভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
তাদের ভাষায়, ‘এই ব্যবস্থা অস্পষ্ট, খামখেয়ালি ও অত্যন্ত রাজনৈতিক মানদণ্ডের ওপর নির্ভরশীল এবং এমন সব শর্ত আরোপ করছে, যা মানবিক সংস্থাগুলোর পক্ষে আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন না করে বা মানবিক নীতির মূল ভিত্তি ক্ষুণ্ন না করে পূরণ করা সম্ভব নয়।’
হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিমের মতে, বর্তমানে গাজায় অধিকাংশ ফিল্ড হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা বা সহায়তা, জরুরি আশ্রয় কার্যক্রম, পানি ও স্যানিটেশন সেবা, তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য পুষ্টি স্থিতিশীলকরণ কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ মাইন অপসারণ কার্যক্রম আইএনজিওগুলোর মাধ্যমেই পরিচালিত বা সমর্থিত হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক ও ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলা বিষয়ক মন্ত্রী আমিখাই চিকলি বলেন, ‘বার্তাটি স্পষ্ট: মানবিক সহায়তা স্বাগত কিন্তু সন্ত্রাসবাদের জন্য মানবিক কাঠামোর অপব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।’
কার্যক্রম স্থগিত হতে যাচ্ছে এমন সংস্থাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে কেয়ার, মেডিকো ইন্টারন্যাশনাল এবং মেডিক্যাল এইড ফর প্যালেস্টিনিয়ানস।

গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যাকশনএইড, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি এবং নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতো পরিচিত আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (আইএনজিও) গুলোর লাইসেন্স ১ জানুয়ারি থেকে স্থগিত করা হবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যসহ ১০টি দেশ। তারা বলছে, নতুন নিয়মগুলো ‘অতিরিক্তভাবে কঠোর’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’।
এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রম জোরপূর্বক বন্ধ করে দিলে স্বাস্থ্যসেবাসহ জরুরি সেবায় প্রবেশাধিকার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি এখনো ‘বিপর্যয়কর’ উল্লেখ করে তাঁরা ইসরায়েল সরকারকে আহ্বান জানান, যাতে এনজিওগুলো টেকসই এবং আগের মতো কাজ করতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই পদক্ষেপগুলোর ফলে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহে কোনো প্রভাব পড়বে না। মন্ত্রণালয়টি জানায়, জাতিসংঘের সংস্থা, দ্বিপক্ষীয় অংশীদার এবং মানবিক সংগঠনসহ ‘অনুমোদিত ও যাচাইকৃত চ্যানেল’ দিয়ে সহায়তা সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
তাদের দাবি, সহায়তা সংস্থাগুলোর লাইসেন্স বাতিলের প্রধান কারণ হলো, তাদের কর্মীদের বিষয়ে সম্পূর্ণ ও যাচাইযোগ্য তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো যা মানবিক কাঠামোয় ‘সন্ত্রাসী অপারেটিভদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে ইসরায়েল।
এ মাসের শুরুতে জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা বলেন, অক্টোবর মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় পুষ্টি ও খাদ্য সরবরাহে কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে পরের মাসেও প্রায় ১ লাখ মানুষ ‘চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মুখোমুখি ছিল।
তবে গাজার সীমান্ত ক্রসিংগুলো নিয়ন্ত্রণকারী ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাত দাবি করেছে, যেসব সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত করা হবে, তারা বর্তমান যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় কোনো সহায়তা আনেনি। সংস্থাটি আরও জানায়, অতীতেও তাদের সম্মিলিত অবদান মোট সহায়তার মাত্র প্রায় ১ শতাংশ ছিল।
ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ১৫ শতাংশেরও কম নতুন নিয়ন্ত্রক কাঠামো লঙ্ঘন করেছে।
ওই নিয়ন্ত্রক কাঠামোতে লাইসেন্স বাতিলের একাধিক ভিত্তি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
১. ইসরায়েলকে একটি ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার না করা
২. হলোকাস্ট বা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো হামলা অস্বীকার করা
৩. শত্রু রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামকে সমর্থন করা
৪. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অবৈধতা আরোপের প্রচারণা’ চালানো
৫. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বয়কটের আহ্বান জানানো বা তাতে অংশ নেওয়ার অঙ্গীকার করা
৬. বিদেশি বা আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকে সমর্থন করা
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের সংস্থা এবং ২০০টিরও বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিম আগেই সতর্ক করে বলেছিল, নতুন নিবন্ধন নীতিমালা গাজা ও পশ্চিম তীরে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রমকে মৌলিকভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
তাদের ভাষায়, ‘এই ব্যবস্থা অস্পষ্ট, খামখেয়ালি ও অত্যন্ত রাজনৈতিক মানদণ্ডের ওপর নির্ভরশীল এবং এমন সব শর্ত আরোপ করছে, যা মানবিক সংস্থাগুলোর পক্ষে আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন না করে বা মানবিক নীতির মূল ভিত্তি ক্ষুণ্ন না করে পূরণ করা সম্ভব নয়।’
হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিমের মতে, বর্তমানে গাজায় অধিকাংশ ফিল্ড হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা বা সহায়তা, জরুরি আশ্রয় কার্যক্রম, পানি ও স্যানিটেশন সেবা, তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য পুষ্টি স্থিতিশীলকরণ কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ মাইন অপসারণ কার্যক্রম আইএনজিওগুলোর মাধ্যমেই পরিচালিত বা সমর্থিত হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক ও ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলা বিষয়ক মন্ত্রী আমিখাই চিকলি বলেন, ‘বার্তাটি স্পষ্ট: মানবিক সহায়তা স্বাগত কিন্তু সন্ত্রাসবাদের জন্য মানবিক কাঠামোর অপব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।’
কার্যক্রম স্থগিত হতে যাচ্ছে এমন সংস্থাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে কেয়ার, মেডিকো ইন্টারন্যাশনাল এবং মেডিক্যাল এইড ফর প্যালেস্টিনিয়ানস।

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছেন, আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছেন, আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
২৯ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছেন, আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
২৯ মিনিট আগে
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনায় গতি আনছে সিরিয়া। দামেস্ক আশা করছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সম্প্রতি যে ভূমি দখল করেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের কাছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তিতে রূপ নেবে না বলেই মনে করছেন, আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
২৯ মিনিট আগে
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২ দিন আগে