Ajker Patrika

অভিবাসন ও সুবিধা বাড়িয়ে বিশ্বসেরা মেধাবীদের নিয়ে যেতে চায় কানাডা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত
কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন বিশ্বসেরা গবেষকদের আকর্ষণে বড় ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থ ছাঁটাই ও নীতিগত চাপের কারণে আমেরিকান অনেক গবেষক যখন অনিশ্চয়তায় পড়েছেন, ঠিক তখনই নতুন তহবিল ও অভিবাসন কাঠামো ঘোষণার মাধ্যমে গবেষকদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে কানাডা।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, অটোয়ার ঘোষিত ১.৭ বিলিয়ন কানাডীয় ডলারের এই পরিকল্পনার লক্ষ্য আগামী এক দশকে হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক গবেষককে কানাডায় নিয়ে যাওয়া। ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্য কয়েকজন গবেষক যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে কানাডায় যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন এমআইটির খ্যাতনামা কানাডীয় অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট সারা সিগার, যিনি আগামী সেপ্টেম্বর থেকে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেবেন।

সারা সিগার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞান গবেষণায় বাজেট সংকোচন এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কারণেই তিনি কানাডায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

টরন্টো, আলবার্টা, ম্যাকমাস্টার এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার মতো কানাডার বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জানিয়েছে—সরকার ঘোষিত নতুন অর্থায়ন তাদেরকে বৈশ্বিক মানসম্পন্ন গবেষক ও প্রফেসর নিয়োগে সহায়তা করবে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই জলবায়ুবিজ্ঞান থেকে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে ১০০ নতুন পোস্ট ডক্টরাল পজিশন ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন অর্থ সংকটের মুখে। এমআইটি-এর প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি বছরে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট ঘাটতির ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে অনেক গবেষণা প্রকল্প কমিয়ে আনতে হয়েছে বা স্থগিত করতে হয়েছে।

এদিকে, নতুন নীতির অংশ হিসেবে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসাধারী বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য দ্রুত ভিসা সুবিধা চালু করছে। ২০২৬ সাল থেকে দেশটিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিট কোটা থেকেও বাদ দেওয়া হবে এবং তাঁদের ভিসা প্রক্রিয়ার সময় কমিয়ে ১৪ দিন করা হবে।

তবে চ্যালেঞ্জও আছে। অতীত অভিজ্ঞতার পরিসংখ্যান বলছে, কানাডায় উচ্চশিক্ষিত অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেকই পাঁচ বছরের মধ্যেই দেশটি ছেড়ে যান। মূলত কম বেতন ও সীমিত সুযোগের কারণেই তাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায়।

তারপরও বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অস্থিরতার এই সময়টি কানাডার জন্য ‘একটি ঐতিহাসিক সুযোগ’—যার সদ্ব্যবহার করলে দেশটি আগামী দশকে বৈশ্বিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের শক্ত কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ