Ajker Patrika

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ঊর্ধ্বতন সামরিক নেতৃত্বের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ছবি: আইএসপিআর (পাকিস্তান)
রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ঊর্ধ্বতন সামরিক নেতৃত্বের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ছবি: আইএসপিআর (পাকিস্তান)

পাকিস্তান শান্তিপ্রিয় জাতি—এ কথা উল্লেখ করে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বলেছেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা পরীক্ষার কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত হবে আগের চেয়ে ‘আরও দ্রুত ও মারাত্মক’। তিনি ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা যেন হুঁশে থাকে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে (জিএইচকিউ) গার্ড অব অনারের পর সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তিনি বলেন, পাকিস্তান শান্তির পক্ষে, তবে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো হুমকি বা চ্যালেঞ্জ বরদাশত করা হবে না।

চলতি বছরের ৭ মে ভারত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জেরে পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি অভিযান চালায়। ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ‘জঙ্গি অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে এই অভিযান চালিয়েছে।

এই অভিযানের পর দুই দেশের মধ্যে চার দিনের তীব্র সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ১০ মে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। পাকিস্তান এ সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দেয়। তবে ভারত বলে, এখানে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা ছিল না।

ফিল্ড মার্শাল মুনির তাঁর ভাষণে পুনরায় বলেন, পাকিস্তান শান্তিকামী হলেও দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।

আফগানিস্তানকে ঘিরে উত্তেজনার প্রসঙ্গে আসিম মুনির বলেন, কাবুলের তালেবান সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তালেবানদের এখন বেছে নিতে হবে—ফিতনা আল-খাওয়ারিজ (টিটিপি) নাকি পাকিস্তান।

গত বছর পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ হিসেবে আখ্যা দেয়। এ ছাড়া বেলুচিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে তারা ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ বলে উল্লেখ করে থাকে। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, মূলত ভারতের মদদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বোঝাতেই এই শব্দ ব্যবহার করা হয়।

ফিল্ড মার্শাল মুনির বলেন, সদ্য প্রতিষ্ঠিত ডিফেন্স ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাকাঠামোর একটি মৌলিক পরিবর্তনের প্রতীক। তিনি বলেন, বর্ধিত ও পরিবর্তনশীল হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তিন বাহিনীর সমন্বিত নেতৃত্বে বহুমাত্রিক সামরিক সক্ষমতা আরও উন্নত করা জরুরি। প্রতিটি বাহিনী তাদের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য ও প্রস্তুতি বজায় রাখবে আর সিডিএফ সদর দপ্তর তিন বাহিনীর যৌথ অভিযান সমন্বয় করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দু, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভেদ আশরাফ ও তিন বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

গত সপ্তাহে পাঁচ বছরের মেয়াদে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে আসিম মুনিরের নিয়োগসংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে পাকিস্তান সরকার। তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্বও একযোগে পালন করবেন।

সিডিএফ পদটি গঠিত হয়েছে গত মাসে পাস হওয়া ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী এবং পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী সংশোধনী বিল, ২০২৫-এর ভিত্তিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

সিরাজগঞ্জে ‘মিছিল নিয়ে’ ওয়াজ মাহফিলে জামায়াত নেতা, হামলার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি গৃহকর্মী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১০ কোটি ডলারের সরকারি বাড়িতে উঠছেন মামদানি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গ্রেসি ম্যানশন ১৭৯৯ সালে নির্মিত, ১৯৪০-এর দশক থেকে এটি নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেসি ম্যানশন ১৭৯৯ সালে নির্মিত, ১৯৪০-এর দশক থেকে এটি নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

তবে গতকাল এক বিবৃতিতে মামদানি জানান, তিনি তাঁর ঠিকানা বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা। এর পাশাপাশি গ্রেসি ম্যানশনে থাকার ফলে তিনি নিউইয়র্কবাসীর জন্য তাঁর ‘অ্যাফোর্ডেবিলিটি অ্যাজেন্ডা’ (সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন ও জীবনযাত্রা) বাস্তবায়নে আরও ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন।

মামদানি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি এসেছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও নিউইয়র্কবাসী যে অ্যাজেন্ডার জন্য আমাকে ভোট দিয়েছেন, তার কথা ভেবে। এখন নিউইয়র্কবাসীর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকেই আমার মনোযোগ থাকবে।’

ম্যানহাটনে স্থানান্তরের প্রস্তুতি হিসেবে মামদানি তাঁর কুইন্সের ভাড়া বাড়ি অ্যাস্টোরিয়াকে বিদায় জানান। তিনি বলেন, অ্যাস্টোরিয়ার সব স্মৃতি তাঁর কাজের মধ্যে সব সময় জীবিত থাকবে। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়া দিয়ে এই বাড়িতে থাকতেন জোহরান মামদানি।

অন্যদিকে, গ্রেসি ম্যানশন নির্মিত হয় ১৭৯৯ সালে। এর মূল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। ঐতিহাসিক বাড়িটি ১৯৪০-এর দশক থেকে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২২৬ বছরের পুরোনো গ্রেসি ম্যানশন ১১ হাজার বর্গফুটের একটি প্রাসাদ। এটি ম্যানহাটনের ইয়র্কভিল নেবারহুডে ইস্ট অ্যান্ড এভিনিউয়ের ৮৮-স্ট্রিটে অবস্থিত।

প্রসঙ্গত, জোহরান মামদানি আগামী ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

সিরাজগঞ্জে ‘মিছিল নিয়ে’ ওয়াজ মাহফিলে জামায়াত নেতা, হামলার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি গৃহকর্মী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার লাখো শিশু দেখবে তাদের ‘আইডি’ উধাও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবনিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’

অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।

এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।

বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।

সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।

এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

সিরাজগঞ্জে ‘মিছিল নিয়ে’ ওয়াজ মাহফিলে জামায়াত নেতা, হামলার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি গৃহকর্মী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অভিবাসন ও সুবিধা বাড়িয়ে বিশ্বসেরা মেধাবীদের নিয়ে যেতে চায় কানাডা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত
কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন বিশ্বসেরা গবেষকদের আকর্ষণে বড় ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থ ছাঁটাই ও নীতিগত চাপের কারণে আমেরিকান অনেক গবেষক যখন অনিশ্চয়তায় পড়েছেন, ঠিক তখনই নতুন তহবিল ও অভিবাসন কাঠামো ঘোষণার মাধ্যমে গবেষকদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে কানাডা।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, অটোয়ার ঘোষিত ১.৭ বিলিয়ন কানাডীয় ডলারের এই পরিকল্পনার লক্ষ্য আগামী এক দশকে হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক গবেষককে কানাডায় নিয়ে যাওয়া। ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্য কয়েকজন গবেষক যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে কানাডায় যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন এমআইটির খ্যাতনামা কানাডীয় অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট সারা সিগার, যিনি আগামী সেপ্টেম্বর থেকে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেবেন।

সারা সিগার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞান গবেষণায় বাজেট সংকোচন এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কারণেই তিনি কানাডায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

টরন্টো, আলবার্টা, ম্যাকমাস্টার এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার মতো কানাডার বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জানিয়েছে—সরকার ঘোষিত নতুন অর্থায়ন তাদেরকে বৈশ্বিক মানসম্পন্ন গবেষক ও প্রফেসর নিয়োগে সহায়তা করবে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই জলবায়ুবিজ্ঞান থেকে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে ১০০ নতুন পোস্ট ডক্টরাল পজিশন ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন অর্থ সংকটের মুখে। এমআইটি-এর প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি বছরে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট ঘাটতির ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে অনেক গবেষণা প্রকল্প কমিয়ে আনতে হয়েছে বা স্থগিত করতে হয়েছে।

এদিকে, নতুন নীতির অংশ হিসেবে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসাধারী বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য দ্রুত ভিসা সুবিধা চালু করছে। ২০২৬ সাল থেকে দেশটিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিট কোটা থেকেও বাদ দেওয়া হবে এবং তাঁদের ভিসা প্রক্রিয়ার সময় কমিয়ে ১৪ দিন করা হবে।

তবে চ্যালেঞ্জও আছে। অতীত অভিজ্ঞতার পরিসংখ্যান বলছে, কানাডায় উচ্চশিক্ষিত অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেকই পাঁচ বছরের মধ্যেই দেশটি ছেড়ে যান। মূলত কম বেতন ও সীমিত সুযোগের কারণেই তাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায়।

তারপরও বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অস্থিরতার এই সময়টি কানাডার জন্য ‘একটি ঐতিহাসিক সুযোগ’—যার সদ্ব্যবহার করলে দেশটি আগামী দশকে বৈশ্বিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের শক্ত কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

সিরাজগঞ্জে ‘মিছিল নিয়ে’ ওয়াজ মাহফিলে জামায়াত নেতা, হামলার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি গৃহকর্মী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউরোপে জব্দ করা রুশ সম্পদ ইউক্রেনকে দেওয়ার চুক্তি শিগগির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩১
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) লন্ডনে ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) লন্ডনে ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনকে সহায়তা করতে ইউরোপে আটকে থাকা রাশিয়ার প্রায় ১০০ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পদ দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশা করছে, কয়েক দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে একটি চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) লন্ডনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। এই বৈঠকে ভবিষ্যতে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং রাশিয়ার ওপর চাপ বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, জব্দ করা রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ ইউক্রেনের পুনর্গঠনে ব্যবহার করার বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। এই সম্পদের মধ্যে শুধু যুক্তরাজ্যের ব্যাংকেই প্রায় ৮ বিলিয়ন পাউন্ড রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৈঠক শেষে জেলেনস্কি বলেন—ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া ইউক্রেন টিকে থাকতে পারবে না। তিনি জানান, প্রতিরক্ষা সহায়তা, নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং শান্তি আলোচনার পরবর্তী ধাপ নিয়ে ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনাটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।

কিয়ার স্টারমার বলেন, ইউক্রেন ইস্যু এখন ‘গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে’ দাঁড়িয়ে আছে এবং ইউরোপকে আরও কঠোরভাবে কূটনৈতিক চাপ ও সামরিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও জানান, যে কোনো সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি হতে হবে ‘ন্যায়সংগত ও স্থায়ী’।

তবে রাশিয়ার জব্দ সম্পদ ইউক্রেনকে দেওয়ার প্রশ্নে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেলজিয়াম। এই দেশটিতেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রুশ সম্পদ গচ্ছিত আছে। কিন্তু রুশ সম্পদ মুক্তির বিষয়ে আইনি ও আর্থিক ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে কিছু আপত্তি জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর প্রস্তাবিত হালনাগাদ করা শান্তি প্রস্তাবনাটি ভালো করে পড়েই দেখেননি জেলেনস্কি। তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওই প্রস্তাবে পুতিন রাজি আছেন।

তবে ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য ও তাদের মিত্ররা এই অবস্থানে এখনো অটল আছে যে, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার একমাত্র ইউক্রেনেরই এবং কোনো শান্তিচুক্তির বিনিময়ে রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

সিরাজগঞ্জে ‘মিছিল নিয়ে’ ওয়াজ মাহফিলে জামায়াত নেতা, হামলার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি গৃহকর্মী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত