
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে, আরব বসন্তের সময়। যা পরে এক রক্তাক্ত, বহুমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই সংঘর্ষে দেশীয় বিরোধী গোষ্ঠী, চরমপন্থী গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক শক্তি জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি সিরিয়ান নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী দ্রুতগতিতে আক্রমণ চালিয়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাশাপাশি দেশটির রাজধানী দখল করে নিয়েছে। যা দেশটিতে এক যুগের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা ভেঙে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশত্যাগ করেছেন।
আপাতদৃষ্টিতে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির সূচনা মনে হলেও দেশটি আসলে কোন দিকে যাবে তা জানার জন্য আরও অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে দেশটিতে বিভিন্ন স্থানীয় শক্তি ও আন্তর্জাতিক শক্তি জড়িত থাকায় আগামী দিন যে খুব একটা সহজ হবে না তা অনুমেয়।
কে কার বিরুদ্ধে লড়েছে
বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বে সরকারি বাহিনী
বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বে সিরিয়ার সরকার ২০১১ সালে শুরু হওয়া দীর্ঘস্থায়ী এবং ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধের অন্যতম পক্ষ। তিনি ২০০০ সালে তাঁর বাবা হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন। হাফিজ আল-আসাদ ১৯৭১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। হাফিজ মারা যান ২০০০ সালে। আসাদ শুরুতে নিজেকে আধুনিক সংস্কারক হিসেবে উপস্থাপন করলেও আরব বসন্তের সময় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন, যা দেশজুড়ে বিদ্রোহের সৃষ্টি করে।

যুদ্ধের কয়েক বছর পর ইরান, রাশিয়া এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়ার সহায়তায় আসাদ সরকার বিদ্রোহীদের কাছ থেকে হারানো বেশির ভাগ অঞ্চল পুনর্দখল করে। তবে সম্প্রতি বাশার আল-আসাদের মিত্ররা বিভিন্ন সংঘাতে দুর্বল হয়ে পড়েছে বা অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়ায় আসাদ সরকার আবার বিপদে পড়ে।
হায়াত তাহরির আল-শাম
হায়াত তাহরির আল-শাম (শাম মুক্তির সংগঠন) সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরুতে জিহাদি গোষ্ঠী আল-নুসরা ফ্রন্ট হিসেবে গঠিত হয়েছিল। এটি আসাদবিরোধী বাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত আক্রমণ চালিয়েছে, যার মধ্যে আত্মঘাতী হামলাও ছিল। প্রথমদিকে ইসলামিক স্টেট ও পরে আল-কায়েদার সঙ্গে গোষ্ঠীটির যোগসূত্র ছিল। তবে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি আল-নুসরা ফ্রন্ট তাদের চরমপন্থী পরিচয় ঝেড়ে ফেলে এবং অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে হায়াত তাহরির আল-শাম গঠন করে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এটিকে এখনো একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করে।
গোষ্ঠীটির নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জালানি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নিপীড়নমূলক শাসন থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করা। তিনি ইদলিব অঞ্চলে সরকারি সেবা দিয়ে করে বৈধতা অর্জনের চেষ্টা করছেন।
কুর্দি বাহিনী
সিরিয়ার কুর্দি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাহিনী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্থানীয় মিত্র হয়ে ওঠে এবং সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের অধীনে লড়াই চালায়। গোষ্ঠীটি পরাজিত হওয়ার পর কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলে। তবে তাদের দীর্ঘদিনের শত্রু তুরস্ক। কারণ দেশটি মনে করে, সিরিয়ার এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে তুরস্কের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। এই বিষয়টি কুর্দি যোদ্ধাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এ ছাড়াও সিরিয়ার বিভিন্ন মিলিশিয়া দল রয়েছে, যাদের নিজস্ব এজেন্ডা ও মিত্র রয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদেশি খেলোয়াড়
তুরস্ক
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তুরস্ক একাধিকবার সীমান্ত পেরিয়ে সামরিক হস্তক্ষেপ চালিয়েছে, মূলত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে তুরস্ক কার্যত সিরিয়ার উত্তর সীমান্ত বরাবর একটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। তুরস্ক সিরিয়ার কুর্দিদের বিরোধিতা করলেও সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির মতো গোষ্ঠীগুলোকেও সমর্থন করে। এটি সিরিয়ার বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট। বিশ্লেষকেরা বলছেন, হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বাধীন আক্রমণেও তুরস্ক সম্ভবত পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান শুক্রবার বিদ্রোহীদের অগ্রগতিকে সরাসরি সমর্থন দেন। ইস্তাম্বুলে শুক্রবারের জুমার নামাজ শেষে তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘...ইদলিব, হামা, হোমস এবং অবশ্যই লক্ষ্য হলো দামেস্ক। বিরোধীদের মার্চ অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ইচ্ছা, সিরিয়ায় এই অগ্রগতি কোনো দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় ছাড়াই চলতে থাকবে।’ সিরিয়ার নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা (বাশার আল— ) আসাদকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আসুন, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ একসঙ্গে নির্ধারণ করি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’
রাশিয়া
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বিদেশি সমর্থকদের একটি রাশিয়া। আসাদের বাহিনীকে সমর্থন দিতে রুশ সৈন্য ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর পাশাপাশি সিরিয়ায় কৌশলগত সামরিক উপস্থিতি ধরে রেখেছে রাশিয়া। এ অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য তারা বিমান ও নৌঘাঁটি ব্যবহার করে।
তবে ইউক্রেনের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে রাশিয়া সিরিয়ার সরকারকে পূর্বের মতো সক্রিয়ভাবে সমর্থন করতে পারছে না বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন। বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকাতে রুশ বিমান হামলা তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।
ইরান ও হিজবুল্লাহ
সিরিয়া হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইয়েমেনের হুতিদের নিয়ে গঠিত ইরানের নেতৃত্বে ‘অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘প্রতিরোধ অক্ষের’ একটি মূল অংশ। এই অক্ষের লক্ষ্য হলো ইসরায়েল ধ্বংস করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান প্রভাব হ্রাস করা। ইরান সিরিয়া এবং ইরাক হয়ে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাচার করে। এর বিনিময়ে ইরান ও হিজবুল্লাহ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদের পক্ষে হাজার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে। গত শুক্রবার ইরান তার সামরিক কমান্ডার ও কর্মীদের সিরিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করে। এটি সিরিয়ায় ইরানের অবস্থান হারানোর একটি ইঙ্গিত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। ওবামা প্রশাসন শুরুতে বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছিল, যদিও তাতে সীমিত ফলাফল মিলেছিল। আবার ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা ও কুর্দি বাহিনীর সহায়তায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তেলক্ষেত্র এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইরাক ও জর্ডান সীমান্তের কাছে একটি ঘাঁটিতে প্রায় ৯০০ সৈন্য এখনো মোতায়েন রয়েছে।
ইসরায়েল সিরিয়ায় বেশির ভাগ সময় হিজবুল্লাহ ও ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। বিশেষত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের, অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রগুলো এবং ইরান থেকে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাঠানোর করিডর লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে।
বিদ্রোহীদের বিজয় কী অর্থ বহন করে?
বিদ্রোহীরা বলছে, তাদের লক্ষ্য হলো আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তবে তাঁর পতন হলে কী ঘটবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই তাঁকে সিরিয়ার নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল, যদিও তিনি বিরোধীদের দমন এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।
অনেক দেশের কাছে আসাদ কিছুটা স্থিতিশীলতার প্রতীক, ফলে বিদ্রোহীদের ক্ষমতা দখল অঞ্চলে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে। গত বছর কিছু আরব দেশ দীর্ঘকাল আসাদের সরকারকে বয়কট করার পর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা শুরু করেছে।
সরকারিভাবে আমেরিকান কর্মকর্তারা হায়াত তাহরির আল-শামের বিষয়ে সতর্ক ছিলেন। তবে মার্কিন সরকারের কিছু অংশ মনে করে, গোষ্ঠীটির বাস্তববাদী হওয়ার প্রবণতা সত্যিকারের হতে পারে। নেতারা জানেন, যদি তাদের জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে তারা সিরিয়ার সরকারে যোগদান বা নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না।
বিদ্রোহীরা সফল হোক বা না হোক, ইসরায়েল, ইরান ও তুরস্কের মতো প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলোর এই যুদ্ধে বড় ধরনের স্বার্থ রয়েছে। ফলে এর প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো বৈশ্বিক শক্তিতেও পড়বে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে এক শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পরে এই যুদ্ধ সশস্ত্র বিদ্রোহী, চরমপন্থী এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে জটিল সংঘাতে রূপ নেয়। এই সংঘাত শুরু হয় যখন সিরিয়ার জনগণ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের জবাবে সহিংস দমন চালানো হয় এবং নিজেদের রক্ষার জন্য বিভিন্ন সম্প্রদায় অস্ত্র তুলে নেয়। এর পরপরই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে সিরিয়ার জাতিগত কুর্দি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী অস্ত্র হাতে তুলে নেয় এবং ধীরে ধীরে তাদের নিজেদের বলে দাবি করা এলাকা দখল করে। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অংশ দখল করে এবং সেই অঞ্চলকে নিজেদের ‘খেলাফত’ ঘোষণা করে, যা এই অঞ্চলে আরও অস্থিরতা তৈরি করে।
আল-আসাদ সরকার ইরান, রাশিয়া এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন পেয়েছে। অন্যদিকে, বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মতো তেলসমৃদ্ধ আরব রাষ্ট্রগুলো। কুর্দি মিলিশিয়াদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে তুরস্কও হস্তক্ষেপ করে।
এই যুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আসাদপন্থী বাহিনীই সবচেয়ে বেশি নৃশংসতার জন্য দায়ী। সরকার সাধারণ মানুষকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে রাসায়নিক অস্ত্র, ব্যারেল বোমা এবং ক্ষুধা নীতি ব্যবহার করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে অনূদিত

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে, আরব বসন্তের সময়। যা পরে এক রক্তাক্ত, বহুমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই সংঘর্ষে দেশীয় বিরোধী গোষ্ঠী, চরমপন্থী গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক শক্তি জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি সিরিয়ান নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী দ্রুতগতিতে আক্রমণ চালিয়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাশাপাশি দেশটির রাজধানী দখল করে নিয়েছে। যা দেশটিতে এক যুগের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা ভেঙে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশত্যাগ করেছেন।
আপাতদৃষ্টিতে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির সূচনা মনে হলেও দেশটি আসলে কোন দিকে যাবে তা জানার জন্য আরও অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে দেশটিতে বিভিন্ন স্থানীয় শক্তি ও আন্তর্জাতিক শক্তি জড়িত থাকায় আগামী দিন যে খুব একটা সহজ হবে না তা অনুমেয়।
কে কার বিরুদ্ধে লড়েছে
বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বে সরকারি বাহিনী
বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বে সিরিয়ার সরকার ২০১১ সালে শুরু হওয়া দীর্ঘস্থায়ী এবং ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধের অন্যতম পক্ষ। তিনি ২০০০ সালে তাঁর বাবা হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন। হাফিজ আল-আসাদ ১৯৭১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। হাফিজ মারা যান ২০০০ সালে। আসাদ শুরুতে নিজেকে আধুনিক সংস্কারক হিসেবে উপস্থাপন করলেও আরব বসন্তের সময় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন, যা দেশজুড়ে বিদ্রোহের সৃষ্টি করে।

যুদ্ধের কয়েক বছর পর ইরান, রাশিয়া এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়ার সহায়তায় আসাদ সরকার বিদ্রোহীদের কাছ থেকে হারানো বেশির ভাগ অঞ্চল পুনর্দখল করে। তবে সম্প্রতি বাশার আল-আসাদের মিত্ররা বিভিন্ন সংঘাতে দুর্বল হয়ে পড়েছে বা অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়ায় আসাদ সরকার আবার বিপদে পড়ে।
হায়াত তাহরির আল-শাম
হায়াত তাহরির আল-শাম (শাম মুক্তির সংগঠন) সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরুতে জিহাদি গোষ্ঠী আল-নুসরা ফ্রন্ট হিসেবে গঠিত হয়েছিল। এটি আসাদবিরোধী বাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত আক্রমণ চালিয়েছে, যার মধ্যে আত্মঘাতী হামলাও ছিল। প্রথমদিকে ইসলামিক স্টেট ও পরে আল-কায়েদার সঙ্গে গোষ্ঠীটির যোগসূত্র ছিল। তবে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি আল-নুসরা ফ্রন্ট তাদের চরমপন্থী পরিচয় ঝেড়ে ফেলে এবং অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে হায়াত তাহরির আল-শাম গঠন করে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এটিকে এখনো একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করে।
গোষ্ঠীটির নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জালানি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নিপীড়নমূলক শাসন থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করা। তিনি ইদলিব অঞ্চলে সরকারি সেবা দিয়ে করে বৈধতা অর্জনের চেষ্টা করছেন।
কুর্দি বাহিনী
সিরিয়ার কুর্দি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাহিনী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্থানীয় মিত্র হয়ে ওঠে এবং সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের অধীনে লড়াই চালায়। গোষ্ঠীটি পরাজিত হওয়ার পর কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলে। তবে তাদের দীর্ঘদিনের শত্রু তুরস্ক। কারণ দেশটি মনে করে, সিরিয়ার এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে তুরস্কের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। এই বিষয়টি কুর্দি যোদ্ধাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এ ছাড়াও সিরিয়ার বিভিন্ন মিলিশিয়া দল রয়েছে, যাদের নিজস্ব এজেন্ডা ও মিত্র রয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদেশি খেলোয়াড়
তুরস্ক
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তুরস্ক একাধিকবার সীমান্ত পেরিয়ে সামরিক হস্তক্ষেপ চালিয়েছে, মূলত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে তুরস্ক কার্যত সিরিয়ার উত্তর সীমান্ত বরাবর একটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। তুরস্ক সিরিয়ার কুর্দিদের বিরোধিতা করলেও সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির মতো গোষ্ঠীগুলোকেও সমর্থন করে। এটি সিরিয়ার বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট। বিশ্লেষকেরা বলছেন, হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বাধীন আক্রমণেও তুরস্ক সম্ভবত পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান শুক্রবার বিদ্রোহীদের অগ্রগতিকে সরাসরি সমর্থন দেন। ইস্তাম্বুলে শুক্রবারের জুমার নামাজ শেষে তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘...ইদলিব, হামা, হোমস এবং অবশ্যই লক্ষ্য হলো দামেস্ক। বিরোধীদের মার্চ অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ইচ্ছা, সিরিয়ায় এই অগ্রগতি কোনো দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় ছাড়াই চলতে থাকবে।’ সিরিয়ার নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা (বাশার আল— ) আসাদকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আসুন, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ একসঙ্গে নির্ধারণ করি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’
রাশিয়া
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বিদেশি সমর্থকদের একটি রাশিয়া। আসাদের বাহিনীকে সমর্থন দিতে রুশ সৈন্য ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর পাশাপাশি সিরিয়ায় কৌশলগত সামরিক উপস্থিতি ধরে রেখেছে রাশিয়া। এ অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য তারা বিমান ও নৌঘাঁটি ব্যবহার করে।
তবে ইউক্রেনের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে রাশিয়া সিরিয়ার সরকারকে পূর্বের মতো সক্রিয়ভাবে সমর্থন করতে পারছে না বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন। বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকাতে রুশ বিমান হামলা তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।
ইরান ও হিজবুল্লাহ
সিরিয়া হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইয়েমেনের হুতিদের নিয়ে গঠিত ইরানের নেতৃত্বে ‘অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘প্রতিরোধ অক্ষের’ একটি মূল অংশ। এই অক্ষের লক্ষ্য হলো ইসরায়েল ধ্বংস করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান প্রভাব হ্রাস করা। ইরান সিরিয়া এবং ইরাক হয়ে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাচার করে। এর বিনিময়ে ইরান ও হিজবুল্লাহ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদের পক্ষে হাজার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে। গত শুক্রবার ইরান তার সামরিক কমান্ডার ও কর্মীদের সিরিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করে। এটি সিরিয়ায় ইরানের অবস্থান হারানোর একটি ইঙ্গিত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। ওবামা প্রশাসন শুরুতে বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছিল, যদিও তাতে সীমিত ফলাফল মিলেছিল। আবার ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা ও কুর্দি বাহিনীর সহায়তায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তেলক্ষেত্র এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইরাক ও জর্ডান সীমান্তের কাছে একটি ঘাঁটিতে প্রায় ৯০০ সৈন্য এখনো মোতায়েন রয়েছে।
ইসরায়েল সিরিয়ায় বেশির ভাগ সময় হিজবুল্লাহ ও ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। বিশেষত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের, অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রগুলো এবং ইরান থেকে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাঠানোর করিডর লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে।
বিদ্রোহীদের বিজয় কী অর্থ বহন করে?
বিদ্রোহীরা বলছে, তাদের লক্ষ্য হলো আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তবে তাঁর পতন হলে কী ঘটবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই তাঁকে সিরিয়ার নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল, যদিও তিনি বিরোধীদের দমন এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।
অনেক দেশের কাছে আসাদ কিছুটা স্থিতিশীলতার প্রতীক, ফলে বিদ্রোহীদের ক্ষমতা দখল অঞ্চলে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে। গত বছর কিছু আরব দেশ দীর্ঘকাল আসাদের সরকারকে বয়কট করার পর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা শুরু করেছে।
সরকারিভাবে আমেরিকান কর্মকর্তারা হায়াত তাহরির আল-শামের বিষয়ে সতর্ক ছিলেন। তবে মার্কিন সরকারের কিছু অংশ মনে করে, গোষ্ঠীটির বাস্তববাদী হওয়ার প্রবণতা সত্যিকারের হতে পারে। নেতারা জানেন, যদি তাদের জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে তারা সিরিয়ার সরকারে যোগদান বা নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না।
বিদ্রোহীরা সফল হোক বা না হোক, ইসরায়েল, ইরান ও তুরস্কের মতো প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলোর এই যুদ্ধে বড় ধরনের স্বার্থ রয়েছে। ফলে এর প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো বৈশ্বিক শক্তিতেও পড়বে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে এক শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পরে এই যুদ্ধ সশস্ত্র বিদ্রোহী, চরমপন্থী এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে জটিল সংঘাতে রূপ নেয়। এই সংঘাত শুরু হয় যখন সিরিয়ার জনগণ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের জবাবে সহিংস দমন চালানো হয় এবং নিজেদের রক্ষার জন্য বিভিন্ন সম্প্রদায় অস্ত্র তুলে নেয়। এর পরপরই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে সিরিয়ার জাতিগত কুর্দি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী অস্ত্র হাতে তুলে নেয় এবং ধীরে ধীরে তাদের নিজেদের বলে দাবি করা এলাকা দখল করে। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অংশ দখল করে এবং সেই অঞ্চলকে নিজেদের ‘খেলাফত’ ঘোষণা করে, যা এই অঞ্চলে আরও অস্থিরতা তৈরি করে।
আল-আসাদ সরকার ইরান, রাশিয়া এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন পেয়েছে। অন্যদিকে, বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মতো তেলসমৃদ্ধ আরব রাষ্ট্রগুলো। কুর্দি মিলিশিয়াদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে তুরস্কও হস্তক্ষেপ করে।
এই যুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আসাদপন্থী বাহিনীই সবচেয়ে বেশি নৃশংসতার জন্য দায়ী। সরকার সাধারণ মানুষকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে রাসায়নিক অস্ত্র, ব্যারেল বোমা এবং ক্ষুধা নীতি ব্যবহার করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে অনূদিত

হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৪ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৪ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৪ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
৪ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে