
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে, আরব বসন্তের সময়। যা পরে এক রক্তাক্ত, বহুমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই সংঘর্ষে দেশীয় বিরোধী গোষ্ঠী, চরমপন্থী গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক শক্তি জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি সিরিয়ান নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী দ্রুতগতিতে আক্রমণ চালিয়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাশাপাশি দেশটির রাজধানী দখল করে নিয়েছে। যা দেশটিতে এক যুগের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা ভেঙে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশত্যাগ করেছেন।
আপাতদৃষ্টিতে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির সূচনা মনে হলেও দেশটি আসলে কোন দিকে যাবে তা জানার জন্য আরও অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে দেশটিতে বিভিন্ন স্থানীয় শক্তি ও আন্তর্জাতিক শক্তি জড়িত থাকায় আগামী দিন যে খুব একটা সহজ হবে না তা অনুমেয়।
কে কার বিরুদ্ধে লড়েছে
বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বে সরকারি বাহিনী
বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বে সিরিয়ার সরকার ২০১১ সালে শুরু হওয়া দীর্ঘস্থায়ী এবং ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধের অন্যতম পক্ষ। তিনি ২০০০ সালে তাঁর বাবা হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন। হাফিজ আল-আসাদ ১৯৭১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। হাফিজ মারা যান ২০০০ সালে। আসাদ শুরুতে নিজেকে আধুনিক সংস্কারক হিসেবে উপস্থাপন করলেও আরব বসন্তের সময় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন, যা দেশজুড়ে বিদ্রোহের সৃষ্টি করে।

যুদ্ধের কয়েক বছর পর ইরান, রাশিয়া এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়ার সহায়তায় আসাদ সরকার বিদ্রোহীদের কাছ থেকে হারানো বেশির ভাগ অঞ্চল পুনর্দখল করে। তবে সম্প্রতি বাশার আল-আসাদের মিত্ররা বিভিন্ন সংঘাতে দুর্বল হয়ে পড়েছে বা অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়ায় আসাদ সরকার আবার বিপদে পড়ে।
হায়াত তাহরির আল-শাম
হায়াত তাহরির আল-শাম (শাম মুক্তির সংগঠন) সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরুতে জিহাদি গোষ্ঠী আল-নুসরা ফ্রন্ট হিসেবে গঠিত হয়েছিল। এটি আসাদবিরোধী বাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত আক্রমণ চালিয়েছে, যার মধ্যে আত্মঘাতী হামলাও ছিল। প্রথমদিকে ইসলামিক স্টেট ও পরে আল-কায়েদার সঙ্গে গোষ্ঠীটির যোগসূত্র ছিল। তবে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি আল-নুসরা ফ্রন্ট তাদের চরমপন্থী পরিচয় ঝেড়ে ফেলে এবং অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে হায়াত তাহরির আল-শাম গঠন করে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এটিকে এখনো একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করে।
গোষ্ঠীটির নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জালানি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নিপীড়নমূলক শাসন থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করা। তিনি ইদলিব অঞ্চলে সরকারি সেবা দিয়ে করে বৈধতা অর্জনের চেষ্টা করছেন।
কুর্দি বাহিনী
সিরিয়ার কুর্দি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাহিনী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্থানীয় মিত্র হয়ে ওঠে এবং সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের অধীনে লড়াই চালায়। গোষ্ঠীটি পরাজিত হওয়ার পর কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলে। তবে তাদের দীর্ঘদিনের শত্রু তুরস্ক। কারণ দেশটি মনে করে, সিরিয়ার এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে তুরস্কের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। এই বিষয়টি কুর্দি যোদ্ধাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এ ছাড়াও সিরিয়ার বিভিন্ন মিলিশিয়া দল রয়েছে, যাদের নিজস্ব এজেন্ডা ও মিত্র রয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদেশি খেলোয়াড়
তুরস্ক
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তুরস্ক একাধিকবার সীমান্ত পেরিয়ে সামরিক হস্তক্ষেপ চালিয়েছে, মূলত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে তুরস্ক কার্যত সিরিয়ার উত্তর সীমান্ত বরাবর একটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। তুরস্ক সিরিয়ার কুর্দিদের বিরোধিতা করলেও সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির মতো গোষ্ঠীগুলোকেও সমর্থন করে। এটি সিরিয়ার বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট। বিশ্লেষকেরা বলছেন, হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বাধীন আক্রমণেও তুরস্ক সম্ভবত পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান শুক্রবার বিদ্রোহীদের অগ্রগতিকে সরাসরি সমর্থন দেন। ইস্তাম্বুলে শুক্রবারের জুমার নামাজ শেষে তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘...ইদলিব, হামা, হোমস এবং অবশ্যই লক্ষ্য হলো দামেস্ক। বিরোধীদের মার্চ অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ইচ্ছা, সিরিয়ায় এই অগ্রগতি কোনো দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় ছাড়াই চলতে থাকবে।’ সিরিয়ার নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা (বাশার আল— ) আসাদকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আসুন, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ একসঙ্গে নির্ধারণ করি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’
রাশিয়া
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বিদেশি সমর্থকদের একটি রাশিয়া। আসাদের বাহিনীকে সমর্থন দিতে রুশ সৈন্য ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর পাশাপাশি সিরিয়ায় কৌশলগত সামরিক উপস্থিতি ধরে রেখেছে রাশিয়া। এ অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য তারা বিমান ও নৌঘাঁটি ব্যবহার করে।
তবে ইউক্রেনের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে রাশিয়া সিরিয়ার সরকারকে পূর্বের মতো সক্রিয়ভাবে সমর্থন করতে পারছে না বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন। বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকাতে রুশ বিমান হামলা তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।
ইরান ও হিজবুল্লাহ
সিরিয়া হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইয়েমেনের হুতিদের নিয়ে গঠিত ইরানের নেতৃত্বে ‘অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘প্রতিরোধ অক্ষের’ একটি মূল অংশ। এই অক্ষের লক্ষ্য হলো ইসরায়েল ধ্বংস করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান প্রভাব হ্রাস করা। ইরান সিরিয়া এবং ইরাক হয়ে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাচার করে। এর বিনিময়ে ইরান ও হিজবুল্লাহ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদের পক্ষে হাজার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে। গত শুক্রবার ইরান তার সামরিক কমান্ডার ও কর্মীদের সিরিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করে। এটি সিরিয়ায় ইরানের অবস্থান হারানোর একটি ইঙ্গিত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। ওবামা প্রশাসন শুরুতে বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছিল, যদিও তাতে সীমিত ফলাফল মিলেছিল। আবার ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা ও কুর্দি বাহিনীর সহায়তায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তেলক্ষেত্র এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইরাক ও জর্ডান সীমান্তের কাছে একটি ঘাঁটিতে প্রায় ৯০০ সৈন্য এখনো মোতায়েন রয়েছে।
ইসরায়েল সিরিয়ায় বেশির ভাগ সময় হিজবুল্লাহ ও ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। বিশেষত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের, অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রগুলো এবং ইরান থেকে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাঠানোর করিডর লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে।
বিদ্রোহীদের বিজয় কী অর্থ বহন করে?
বিদ্রোহীরা বলছে, তাদের লক্ষ্য হলো আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তবে তাঁর পতন হলে কী ঘটবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই তাঁকে সিরিয়ার নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল, যদিও তিনি বিরোধীদের দমন এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।
অনেক দেশের কাছে আসাদ কিছুটা স্থিতিশীলতার প্রতীক, ফলে বিদ্রোহীদের ক্ষমতা দখল অঞ্চলে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে। গত বছর কিছু আরব দেশ দীর্ঘকাল আসাদের সরকারকে বয়কট করার পর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা শুরু করেছে।
সরকারিভাবে আমেরিকান কর্মকর্তারা হায়াত তাহরির আল-শামের বিষয়ে সতর্ক ছিলেন। তবে মার্কিন সরকারের কিছু অংশ মনে করে, গোষ্ঠীটির বাস্তববাদী হওয়ার প্রবণতা সত্যিকারের হতে পারে। নেতারা জানেন, যদি তাদের জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে তারা সিরিয়ার সরকারে যোগদান বা নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না।
বিদ্রোহীরা সফল হোক বা না হোক, ইসরায়েল, ইরান ও তুরস্কের মতো প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলোর এই যুদ্ধে বড় ধরনের স্বার্থ রয়েছে। ফলে এর প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো বৈশ্বিক শক্তিতেও পড়বে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে এক শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পরে এই যুদ্ধ সশস্ত্র বিদ্রোহী, চরমপন্থী এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে জটিল সংঘাতে রূপ নেয়। এই সংঘাত শুরু হয় যখন সিরিয়ার জনগণ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের জবাবে সহিংস দমন চালানো হয় এবং নিজেদের রক্ষার জন্য বিভিন্ন সম্প্রদায় অস্ত্র তুলে নেয়। এর পরপরই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে সিরিয়ার জাতিগত কুর্দি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী অস্ত্র হাতে তুলে নেয় এবং ধীরে ধীরে তাদের নিজেদের বলে দাবি করা এলাকা দখল করে। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অংশ দখল করে এবং সেই অঞ্চলকে নিজেদের ‘খেলাফত’ ঘোষণা করে, যা এই অঞ্চলে আরও অস্থিরতা তৈরি করে।
আল-আসাদ সরকার ইরান, রাশিয়া এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন পেয়েছে। অন্যদিকে, বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মতো তেলসমৃদ্ধ আরব রাষ্ট্রগুলো। কুর্দি মিলিশিয়াদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে তুরস্কও হস্তক্ষেপ করে।
এই যুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আসাদপন্থী বাহিনীই সবচেয়ে বেশি নৃশংসতার জন্য দায়ী। সরকার সাধারণ মানুষকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে রাসায়নিক অস্ত্র, ব্যারেল বোমা এবং ক্ষুধা নীতি ব্যবহার করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে অনূদিত

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে, আরব বসন্তের সময়। যা পরে এক রক্তাক্ত, বহুমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই সংঘর্ষে দেশীয় বিরোধী গোষ্ঠী, চরমপন্থী গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক শক্তি জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি সিরিয়ান নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী দ্রুতগতিতে আক্রমণ চালিয়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাশাপাশি দেশটির রাজধানী দখল করে নিয়েছে। যা দেশটিতে এক যুগের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা ভেঙে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশত্যাগ করেছেন।
আপাতদৃষ্টিতে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির সূচনা মনে হলেও দেশটি আসলে কোন দিকে যাবে তা জানার জন্য আরও অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে দেশটিতে বিভিন্ন স্থানীয় শক্তি ও আন্তর্জাতিক শক্তি জড়িত থাকায় আগামী দিন যে খুব একটা সহজ হবে না তা অনুমেয়।
কে কার বিরুদ্ধে লড়েছে
বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বে সরকারি বাহিনী
বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বে সিরিয়ার সরকার ২০১১ সালে শুরু হওয়া দীর্ঘস্থায়ী এবং ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধের অন্যতম পক্ষ। তিনি ২০০০ সালে তাঁর বাবা হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন। হাফিজ আল-আসাদ ১৯৭১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। হাফিজ মারা যান ২০০০ সালে। আসাদ শুরুতে নিজেকে আধুনিক সংস্কারক হিসেবে উপস্থাপন করলেও আরব বসন্তের সময় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন, যা দেশজুড়ে বিদ্রোহের সৃষ্টি করে।

যুদ্ধের কয়েক বছর পর ইরান, রাশিয়া এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়ার সহায়তায় আসাদ সরকার বিদ্রোহীদের কাছ থেকে হারানো বেশির ভাগ অঞ্চল পুনর্দখল করে। তবে সম্প্রতি বাশার আল-আসাদের মিত্ররা বিভিন্ন সংঘাতে দুর্বল হয়ে পড়েছে বা অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়ায় আসাদ সরকার আবার বিপদে পড়ে।
হায়াত তাহরির আল-শাম
হায়াত তাহরির আল-শাম (শাম মুক্তির সংগঠন) সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরুতে জিহাদি গোষ্ঠী আল-নুসরা ফ্রন্ট হিসেবে গঠিত হয়েছিল। এটি আসাদবিরোধী বাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত আক্রমণ চালিয়েছে, যার মধ্যে আত্মঘাতী হামলাও ছিল। প্রথমদিকে ইসলামিক স্টেট ও পরে আল-কায়েদার সঙ্গে গোষ্ঠীটির যোগসূত্র ছিল। তবে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি আল-নুসরা ফ্রন্ট তাদের চরমপন্থী পরিচয় ঝেড়ে ফেলে এবং অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে হায়াত তাহরির আল-শাম গঠন করে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এটিকে এখনো একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে গণ্য করে।
গোষ্ঠীটির নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জালানি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নিপীড়নমূলক শাসন থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করা। তিনি ইদলিব অঞ্চলে সরকারি সেবা দিয়ে করে বৈধতা অর্জনের চেষ্টা করছেন।
কুর্দি বাহিনী
সিরিয়ার কুর্দি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাহিনী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্থানীয় মিত্র হয়ে ওঠে এবং সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের অধীনে লড়াই চালায়। গোষ্ঠীটি পরাজিত হওয়ার পর কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলে। তবে তাদের দীর্ঘদিনের শত্রু তুরস্ক। কারণ দেশটি মনে করে, সিরিয়ার এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে তুরস্কের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। এই বিষয়টি কুর্দি যোদ্ধাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এ ছাড়াও সিরিয়ার বিভিন্ন মিলিশিয়া দল রয়েছে, যাদের নিজস্ব এজেন্ডা ও মিত্র রয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদেশি খেলোয়াড়
তুরস্ক
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তুরস্ক একাধিকবার সীমান্ত পেরিয়ে সামরিক হস্তক্ষেপ চালিয়েছে, মূলত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে তুরস্ক কার্যত সিরিয়ার উত্তর সীমান্ত বরাবর একটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। তুরস্ক সিরিয়ার কুর্দিদের বিরোধিতা করলেও সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির মতো গোষ্ঠীগুলোকেও সমর্থন করে। এটি সিরিয়ার বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট। বিশ্লেষকেরা বলছেন, হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বাধীন আক্রমণেও তুরস্ক সম্ভবত পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান শুক্রবার বিদ্রোহীদের অগ্রগতিকে সরাসরি সমর্থন দেন। ইস্তাম্বুলে শুক্রবারের জুমার নামাজ শেষে তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘...ইদলিব, হামা, হোমস এবং অবশ্যই লক্ষ্য হলো দামেস্ক। বিরোধীদের মার্চ অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ইচ্ছা, সিরিয়ায় এই অগ্রগতি কোনো দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় ছাড়াই চলতে থাকবে।’ সিরিয়ার নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা (বাশার আল— ) আসাদকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আসুন, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ একসঙ্গে নির্ধারণ করি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’
রাশিয়া
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বিদেশি সমর্থকদের একটি রাশিয়া। আসাদের বাহিনীকে সমর্থন দিতে রুশ সৈন্য ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর পাশাপাশি সিরিয়ায় কৌশলগত সামরিক উপস্থিতি ধরে রেখেছে রাশিয়া। এ অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য তারা বিমান ও নৌঘাঁটি ব্যবহার করে।
তবে ইউক্রেনের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে রাশিয়া সিরিয়ার সরকারকে পূর্বের মতো সক্রিয়ভাবে সমর্থন করতে পারছে না বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন। বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকাতে রুশ বিমান হামলা তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।
ইরান ও হিজবুল্লাহ
সিরিয়া হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইয়েমেনের হুতিদের নিয়ে গঠিত ইরানের নেতৃত্বে ‘অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘প্রতিরোধ অক্ষের’ একটি মূল অংশ। এই অক্ষের লক্ষ্য হলো ইসরায়েল ধ্বংস করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান প্রভাব হ্রাস করা। ইরান সিরিয়া এবং ইরাক হয়ে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাচার করে। এর বিনিময়ে ইরান ও হিজবুল্লাহ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদের পক্ষে হাজার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে। গত শুক্রবার ইরান তার সামরিক কমান্ডার ও কর্মীদের সিরিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করে। এটি সিরিয়ায় ইরানের অবস্থান হারানোর একটি ইঙ্গিত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। ওবামা প্রশাসন শুরুতে বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছিল, যদিও তাতে সীমিত ফলাফল মিলেছিল। আবার ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা ও কুর্দি বাহিনীর সহায়তায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তেলক্ষেত্র এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইরাক ও জর্ডান সীমান্তের কাছে একটি ঘাঁটিতে প্রায় ৯০০ সৈন্য এখনো মোতায়েন রয়েছে।
ইসরায়েল সিরিয়ায় বেশির ভাগ সময় হিজবুল্লাহ ও ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। বিশেষত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের, অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রগুলো এবং ইরান থেকে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাঠানোর করিডর লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে।
বিদ্রোহীদের বিজয় কী অর্থ বহন করে?
বিদ্রোহীরা বলছে, তাদের লক্ষ্য হলো আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তবে তাঁর পতন হলে কী ঘটবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই তাঁকে সিরিয়ার নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল, যদিও তিনি বিরোধীদের দমন এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।
অনেক দেশের কাছে আসাদ কিছুটা স্থিতিশীলতার প্রতীক, ফলে বিদ্রোহীদের ক্ষমতা দখল অঞ্চলে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে। গত বছর কিছু আরব দেশ দীর্ঘকাল আসাদের সরকারকে বয়কট করার পর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা শুরু করেছে।
সরকারিভাবে আমেরিকান কর্মকর্তারা হায়াত তাহরির আল-শামের বিষয়ে সতর্ক ছিলেন। তবে মার্কিন সরকারের কিছু অংশ মনে করে, গোষ্ঠীটির বাস্তববাদী হওয়ার প্রবণতা সত্যিকারের হতে পারে। নেতারা জানেন, যদি তাদের জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে তারা সিরিয়ার সরকারে যোগদান বা নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না।
বিদ্রোহীরা সফল হোক বা না হোক, ইসরায়েল, ইরান ও তুরস্কের মতো প্রধান আঞ্চলিক শক্তিগুলোর এই যুদ্ধে বড় ধরনের স্বার্থ রয়েছে। ফলে এর প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো বৈশ্বিক শক্তিতেও পড়বে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে এক শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পরে এই যুদ্ধ সশস্ত্র বিদ্রোহী, চরমপন্থী এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে জটিল সংঘাতে রূপ নেয়। এই সংঘাত শুরু হয় যখন সিরিয়ার জনগণ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের জবাবে সহিংস দমন চালানো হয় এবং নিজেদের রক্ষার জন্য বিভিন্ন সম্প্রদায় অস্ত্র তুলে নেয়। এর পরপরই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে সিরিয়ার জাতিগত কুর্দি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী অস্ত্র হাতে তুলে নেয় এবং ধীরে ধীরে তাদের নিজেদের বলে দাবি করা এলাকা দখল করে। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অংশ দখল করে এবং সেই অঞ্চলকে নিজেদের ‘খেলাফত’ ঘোষণা করে, যা এই অঞ্চলে আরও অস্থিরতা তৈরি করে।
আল-আসাদ সরকার ইরান, রাশিয়া এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন পেয়েছে। অন্যদিকে, বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মতো তেলসমৃদ্ধ আরব রাষ্ট্রগুলো। কুর্দি মিলিশিয়াদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে তুরস্কও হস্তক্ষেপ করে।
এই যুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আসাদপন্থী বাহিনীই সবচেয়ে বেশি নৃশংসতার জন্য দায়ী। সরকার সাধারণ মানুষকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে রাসায়নিক অস্ত্র, ব্যারেল বোমা এবং ক্ষুধা নীতি ব্যবহার করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে অনূদিত

মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক মাহভাশ সিদ্দিকি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতীয়রা এইচ-১বি ভিসা পেতে জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেন করছেন। তাঁর মতে, অযোগ্য প্রার্থীরা এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মার্কিন কর্মীদের কর্মসংস্থান দখল করছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যান্টি ইমিগ্রেশন থিংকট্যাংক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজে (সিআইএস) লেখা এক নিবন্ধে মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এর আগে এক পডকাস্টে মাহভাশ সিদ্দিকি বলেন, চেন্নাইয়ে তিনি ১৫ জন জুনিয়র ভিসা কর্মকর্তার একজন ছিলেন। তিনি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত, এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মাহভাশ সিদ্দিকি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ আবেদনকারীর কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি থাকলেও তাঁদের মৌলিক কোডিং জ্ঞান নেই। হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকায় জাল ডিগ্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও জাল ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিক্রির একটি ‘শিল্প’ গড়ে উঠেছে বলে তিনি দাবি করেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উভয় স্থানেই দুর্নীতিবাজ এইচআর কর্মকর্তারা জাল চাকরির চিঠি তৈরি করতে সহায়তা করেন। তিনি একে একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি অনুযায়ী, এই ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন—ভারতীয়দের জালিয়াতির ফলে যোগ্য মার্কিন আইটি গ্র্যাজুয়েটদের সরিয়ে কম যোগ্য এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় লবিস্ট ও সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মাহভাশ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তাঁরা মার্কিন কর্মীদের অদক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক সময়ই অবগত নয় এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
যদিও এইচ-১বি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ দেওয়া, মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, এটি কার্যত একটি দেশের আধিপত্যে পরিণত হয়ে অভিবাসনের শর্টকাটে রূপ নিয়েছে।
তবে কেবল আইটি সেক্টরেই নয়, বরং চিকিৎসাক্ষেত্রের ভিসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি, ভারতের অনেক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট কোটা বা ঘুষের মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে জে-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন এবং মার্কিন চিকিৎসকদের তুলনায় নিম্নমানের দক্ষতা নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মার্কিন সরকারকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশ হিসেবে তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় নতুন ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, ডিগ্রি ও দক্ষতা যাচাই, পর্যাপ্ত আমেরিকান কর্মী থাকলে সেই সেক্টরে বিদেশি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও জালিয়াতি ধরা পড়লে জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক মাহভাশ সিদ্দিকি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতীয়রা এইচ-১বি ভিসা পেতে জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেন করছেন। তাঁর মতে, অযোগ্য প্রার্থীরা এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মার্কিন কর্মীদের কর্মসংস্থান দখল করছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যান্টি ইমিগ্রেশন থিংকট্যাংক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজে (সিআইএস) লেখা এক নিবন্ধে মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এর আগে এক পডকাস্টে মাহভাশ সিদ্দিকি বলেন, চেন্নাইয়ে তিনি ১৫ জন জুনিয়র ভিসা কর্মকর্তার একজন ছিলেন। তিনি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত, এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মাহভাশ সিদ্দিকি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ আবেদনকারীর কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি থাকলেও তাঁদের মৌলিক কোডিং জ্ঞান নেই। হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকায় জাল ডিগ্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও জাল ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিক্রির একটি ‘শিল্প’ গড়ে উঠেছে বলে তিনি দাবি করেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উভয় স্থানেই দুর্নীতিবাজ এইচআর কর্মকর্তারা জাল চাকরির চিঠি তৈরি করতে সহায়তা করেন। তিনি একে একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি অনুযায়ী, এই ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন—ভারতীয়দের জালিয়াতির ফলে যোগ্য মার্কিন আইটি গ্র্যাজুয়েটদের সরিয়ে কম যোগ্য এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় লবিস্ট ও সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মাহভাশ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তাঁরা মার্কিন কর্মীদের অদক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক সময়ই অবগত নয় এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
যদিও এইচ-১বি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ দেওয়া, মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, এটি কার্যত একটি দেশের আধিপত্যে পরিণত হয়ে অভিবাসনের শর্টকাটে রূপ নিয়েছে।
তবে কেবল আইটি সেক্টরেই নয়, বরং চিকিৎসাক্ষেত্রের ভিসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি, ভারতের অনেক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট কোটা বা ঘুষের মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে জে-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন এবং মার্কিন চিকিৎসকদের তুলনায় নিম্নমানের দক্ষতা নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মার্কিন সরকারকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশ হিসেবে তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় নতুন ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, ডিগ্রি ও দক্ষতা যাচাই, পর্যাপ্ত আমেরিকান কর্মী থাকলে সেই সেক্টরে বিদেশি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও জালিয়াতি ধরা পড়লে জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। অ্যাসাঞ্জের দাবি, এই পুরস্কার দিয়ে নোবেল তহবিলের ‘চরম অপব্যবহার’ করা হয়েছে এবং সুইডিশ আইনের আওতায় এটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তার শামিল।
অভিযোগে অ্যাসাঞ্জ বলেন, শান্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নোবেল পুরস্কারকে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘যুদ্ধের হাতিয়ারে’ পরিণত করা হয়েছে। তিনি মাচাদোর হাতে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে বরাদ্দ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা) হস্তান্তর স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে নোবেল ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জনের বিরুদ্ধে তহবিল অপব্যবহার, যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসী অপরাধে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে নোবেল কমিটি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল—মাচাদো ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কাজ করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতি মাচাদোর প্রকাশ্য সমর্থন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। মাচাদো ক্ষমতায় গেলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের অঙ্গীকারও করেছেন।
অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের যে নীতিকে মাচাদো সমর্থন করেছেন, তা তাঁকে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা থেকে ‘সম্পূর্ণভাবে বাদ’ দেয়। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এই সামরিক অভিযানে ইতিমধ্যে বহু প্রাণহানি ঘটেছে এবং ভেনেজুয়েলায় আগ্রাসনের আশঙ্কা বাড়ছে।
আলফ্রেড নোবেলের উইলের কথা উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন—শান্তিতে নোবেল পুরস্কার সেই ব্যক্তিকে দিতে হবে, যিনি মানবজাতির কল্যাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এবং জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। উইকিলিকসের পক্ষ থেকেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পুরস্কারের অর্থ মানবিক উদ্দেশ্যের বদলে আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধে ব্যবহৃত হতে পারে।
নরওয়ের অসলোতে একটি কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিলেও অ্যাসাঞ্জ যুক্তি দিয়েছেন—সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশনকেই এই পুরস্কারের আর্থিক দায়ভার নিতে হবে। সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। অ্যাসাঞ্জের দাবি, এই পুরস্কার দিয়ে নোবেল তহবিলের ‘চরম অপব্যবহার’ করা হয়েছে এবং সুইডিশ আইনের আওতায় এটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তার শামিল।
অভিযোগে অ্যাসাঞ্জ বলেন, শান্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নোবেল পুরস্কারকে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘যুদ্ধের হাতিয়ারে’ পরিণত করা হয়েছে। তিনি মাচাদোর হাতে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে বরাদ্দ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা) হস্তান্তর স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে নোবেল ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জনের বিরুদ্ধে তহবিল অপব্যবহার, যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসী অপরাধে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে নোবেল কমিটি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল—মাচাদো ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কাজ করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতি মাচাদোর প্রকাশ্য সমর্থন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। মাচাদো ক্ষমতায় গেলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের অঙ্গীকারও করেছেন।
অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের যে নীতিকে মাচাদো সমর্থন করেছেন, তা তাঁকে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা থেকে ‘সম্পূর্ণভাবে বাদ’ দেয়। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এই সামরিক অভিযানে ইতিমধ্যে বহু প্রাণহানি ঘটেছে এবং ভেনেজুয়েলায় আগ্রাসনের আশঙ্কা বাড়ছে।
আলফ্রেড নোবেলের উইলের কথা উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন—শান্তিতে নোবেল পুরস্কার সেই ব্যক্তিকে দিতে হবে, যিনি মানবজাতির কল্যাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এবং জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। উইকিলিকসের পক্ষ থেকেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পুরস্কারের অর্থ মানবিক উদ্দেশ্যের বদলে আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধে ব্যবহৃত হতে পারে।
নরওয়ের অসলোতে একটি কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিলেও অ্যাসাঞ্জ যুক্তি দিয়েছেন—সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশনকেই এই পুরস্কারের আর্থিক দায়ভার নিতে হবে। সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং গত মঙ্গলবার এক সরকারি ব্রিফিংয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এই সাহসী প্রস্তাব দেন। তিনি যুক্তি দেখান, একসময় চুল পড়ার চিকিৎসাকে স্রেফ ‘প্রসাধন’ বা সাজসজ্জা হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু আধুনিক সময়ে এটি মানুষের কাছে রীতিমতো ‘টিকে থাকার লড়াই’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিমা কেবল অসুস্থতাজনিত কারণে চুল পড়লে তার খরচ বহন করে। কিন্তু বংশগত কারণে টাক পড়লে বিমার টাকা পাওয়া যায় না। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জং ইউন-কিয়ং স্পষ্ট জানিয়েছেন, যেহেতু এটি জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য সরাসরি হুমকি নয়, তাই একে বিমার আওতাভুক্ত করা হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট লি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বংশগত সমস্যাকে কেন রোগ হিসেবে দেখা হবে না?’
দক্ষিণ কোরিয়া কঠোর সৌন্দর্যের মানদণ্ডের জন্য পরিচিত। সেখানে টাক পড়া এক ধরনের সামাজিক কলঙ্ক, যা বিশেষ করে তরুণদের খুব কষ্ট দেয়। সরকারি তথ্য বলছে—গত বছর চুল পড়ার সমস্যায় হাসপাতালে যাওয়া ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশই ছিল ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী।
৩৩ বছর বয়সী লি ওন-উ নামে এক যুবক জানান, সামনের দিকে চুল কমে যাওয়ায় তিনি কোনো হেয়ার স্টাইল করতে পারেন না। তাঁর ভাষায়, ‘নিজেকে অগোছালো আর কুৎসিত মনে হয়, যা আমার আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে।’
প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তাঁকে ‘ইতিহাসের সেরা প্রেসিডেন্ট’ বলে আকাশচুম্বী প্রশংসা করছেন। তবে সবাই কিন্তু উচ্ছ্বসিত নন। খোদ ভুক্তভোগীদের মধ্যেও কেউ কেউ একে দেখছেন ‘ভোট পাওয়ার সস্তা কৌশল’ হিসেবে।
সমালোচকদের ভাষ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা গত বছর বড় ধরনের লোকসানের (প্রায় ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) মুখে পড়েছে। প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই চাপ আরও বাড়বে। কোরিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, টাকের চেয়েও মারাত্মক অনেক রোগ আছে যেগুলোতে আগে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া উচিত।
নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, যেখানে স্যানিটারি প্যাড বা স্তন ক্যানসারের ওষুধের খরচ দিতেই সরকারি তহবিলের টান পড়ে, সেখানে টাকের চিকিৎসায় বিমা সুবিধা দেওয়াটা এক ধরনের ‘নিষ্ঠুর রসিকতা’।
২০২২ সালের নির্বাচনে হেরে গেলেও এবার প্রেসিডেন্ট লি জয়ী হয়েছেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ২০২৬-এর স্থানীয় নির্বাচন সামনে রেখে তরুণ পুরুষ ভোটারদের তুষ্ট করতেই তিনি এই ‘কৌশলী আচরণ’ করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার তীব্র প্রতিযোগিতামূলক সমাজে তরুণেরা এমনিতেই কোণঠাসা। তাদের মনে এই বিশ্বাস জন্মানো যে রাষ্ট্র তাদের ছোটখাটো সমস্যা নিয়েও ভাবছে—এটিই হতে পারে লির রাজনৈতিক লক্ষ্য।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং গত মঙ্গলবার এক সরকারি ব্রিফিংয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এই সাহসী প্রস্তাব দেন। তিনি যুক্তি দেখান, একসময় চুল পড়ার চিকিৎসাকে স্রেফ ‘প্রসাধন’ বা সাজসজ্জা হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু আধুনিক সময়ে এটি মানুষের কাছে রীতিমতো ‘টিকে থাকার লড়াই’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিমা কেবল অসুস্থতাজনিত কারণে চুল পড়লে তার খরচ বহন করে। কিন্তু বংশগত কারণে টাক পড়লে বিমার টাকা পাওয়া যায় না। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জং ইউন-কিয়ং স্পষ্ট জানিয়েছেন, যেহেতু এটি জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য সরাসরি হুমকি নয়, তাই একে বিমার আওতাভুক্ত করা হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট লি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বংশগত সমস্যাকে কেন রোগ হিসেবে দেখা হবে না?’
দক্ষিণ কোরিয়া কঠোর সৌন্দর্যের মানদণ্ডের জন্য পরিচিত। সেখানে টাক পড়া এক ধরনের সামাজিক কলঙ্ক, যা বিশেষ করে তরুণদের খুব কষ্ট দেয়। সরকারি তথ্য বলছে—গত বছর চুল পড়ার সমস্যায় হাসপাতালে যাওয়া ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশই ছিল ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী।
৩৩ বছর বয়সী লি ওন-উ নামে এক যুবক জানান, সামনের দিকে চুল কমে যাওয়ায় তিনি কোনো হেয়ার স্টাইল করতে পারেন না। তাঁর ভাষায়, ‘নিজেকে অগোছালো আর কুৎসিত মনে হয়, যা আমার আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে।’
প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তাঁকে ‘ইতিহাসের সেরা প্রেসিডেন্ট’ বলে আকাশচুম্বী প্রশংসা করছেন। তবে সবাই কিন্তু উচ্ছ্বসিত নন। খোদ ভুক্তভোগীদের মধ্যেও কেউ কেউ একে দেখছেন ‘ভোট পাওয়ার সস্তা কৌশল’ হিসেবে।
সমালোচকদের ভাষ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা গত বছর বড় ধরনের লোকসানের (প্রায় ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) মুখে পড়েছে। প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই চাপ আরও বাড়বে। কোরিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, টাকের চেয়েও মারাত্মক অনেক রোগ আছে যেগুলোতে আগে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া উচিত।
নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, যেখানে স্যানিটারি প্যাড বা স্তন ক্যানসারের ওষুধের খরচ দিতেই সরকারি তহবিলের টান পড়ে, সেখানে টাকের চিকিৎসায় বিমা সুবিধা দেওয়াটা এক ধরনের ‘নিষ্ঠুর রসিকতা’।
২০২২ সালের নির্বাচনে হেরে গেলেও এবার প্রেসিডেন্ট লি জয়ী হয়েছেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ২০২৬-এর স্থানীয় নির্বাচন সামনে রেখে তরুণ পুরুষ ভোটারদের তুষ্ট করতেই তিনি এই ‘কৌশলী আচরণ’ করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার তীব্র প্রতিযোগিতামূলক সমাজে তরুণেরা এমনিতেই কোণঠাসা। তাদের মনে এই বিশ্বাস জন্মানো যে রাষ্ট্র তাদের ছোটখাটো সমস্যা নিয়েও ভাবছে—এটিই হতে পারে লির রাজনৈতিক লক্ষ্য।

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ আপাতত ব্যবহার না করে বরং পুঁজিবাজার থেকে অর্থ ধার করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা তহবিলের জোগান দেওয়া হবে। কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নানা আইনি ও রাজনৈতিক জটিলতা কাটানোর চেষ্টা চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তোনিও কস্তা লিখেছেন, ‘চুক্তি হয়ে গেছে। ২০২৬-২৭ সালের জন্য ইউক্রেনকে প্রায় ১০৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হলো। আমরা কথা দিয়েছিলাম, আমরা তা রেখেছি।’
তহবিলের উৎস নিয়ে কস্তা বিস্তারিত কিছু না জানালেও রয়টার্সের কাছে আসা এক খসড়া নথি বলছে, এই অর্থ আসবে সরাসরি পুঁজিবাজার থেকে এবং এর নিশ্চয়তা থাকবে ইইউ বাজেটের ওপর। রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহারের যে বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে আগে আলোচনা হচ্ছিল, তা থেকে আপাতত সরে আসা হয়েছে। তবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদকে ভিত্তি করে কোনো ঋণ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সরকারগুলোর মধ্যে আলোচনা চলবে।
এই চুক্তিতে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর কোনো আর্থিক দায় চাপানো হয়নি। কারণ দেশগুলো এই অর্থায়নে অংশ নিতে রাজি ছিল না। শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেন এই ঋণ তখনই শোধ করবে যখন তারা মস্কোর কাছ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বা ‘ওয়ার রিপারেশন’ পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ার সম্পদগুলো অচল অবস্থায় পড়ে থাকবে। তবে প্রয়োজনে সেই সম্পদ থেকে ঋণ শোধ করার অধিকারও ইইউ নিজের হাতে রেখেছে।
এক ইইউ কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য অন্তত আগামী দুই বছরের অর্থের সংস্থান নিশ্চিত হওয়াটা একটা ইতিবাচক দিক।’ তবে অন্য একজন কূটনীতিকের মন্তব্য ছিল খানিকটা তির্যক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ইউক্রেনকে বাঁচানোর চেয়ে বরং নিজেদের মান বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’
রাশিয়ার টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেলজিয়াম। রাশিয়ার জব্দ করা ২১০ বিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ১৮৫ বিলিয়ন ইউরোই আছে বেলজিয়ামের ইউরোক্লিয়ার নামক প্রতিষ্ঠানে। মস্কোর আইনি ও আর্থিক পাল্টা আঘাতের ভয়ে বেলজিয়াম সরকার বেশ আতঙ্কিত ছিল। ক্রেমলিন আগেই জানিয়ে রেখেছে, তাদের সম্পদ ধরা হলে তারা আদালতে যাবে এবং রাশিয়ায় থাকা বিদেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে।
এই বৈঠকের আগে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির সম্ভাবনা ছিল ‘ফিফটি-ফিফটি।’ বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভারও আইনি ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন অন্য ইইউ দেশগুলো যেন সম্ভাব্য সব ক্ষতির দায়ভার নিতে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়।
শুক্রবার সকালে অবশ্য ডি ওয়েভার বেশ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার থেকে ঋণ নেওয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে ইইউ দেশগুলোর মধ্যে অন্তত বড় কোনো ‘বিশৃঙ্খলা বা বিভাজন’ তৈরি হয়নি।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই সম্পদ ব্যবহারের যেকোনো চেষ্টা হলে তারা ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করবে। বিশ্লেষক ক্রিস উইফার মনে করেন, মস্কো বিষয়টিকে একটি ‘আর্থিক যুদ্ধ’ হিসেবে দেখবে এবং কড়া প্রতিশোধ নেবে। তিনি বলেন, অনেক ইইউ রাষ্ট্রই এখন সরাসরি ইউক্রেনকে অর্থ দিতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই তারা মরিয়া হয়ে বিকল্প কোনো উৎসের সন্ধান করছে।

ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ আপাতত ব্যবহার না করে বরং পুঁজিবাজার থেকে অর্থ ধার করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা তহবিলের জোগান দেওয়া হবে। কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নানা আইনি ও রাজনৈতিক জটিলতা কাটানোর চেষ্টা চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তোনিও কস্তা লিখেছেন, ‘চুক্তি হয়ে গেছে। ২০২৬-২৭ সালের জন্য ইউক্রেনকে প্রায় ১০৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হলো। আমরা কথা দিয়েছিলাম, আমরা তা রেখেছি।’
তহবিলের উৎস নিয়ে কস্তা বিস্তারিত কিছু না জানালেও রয়টার্সের কাছে আসা এক খসড়া নথি বলছে, এই অর্থ আসবে সরাসরি পুঁজিবাজার থেকে এবং এর নিশ্চয়তা থাকবে ইইউ বাজেটের ওপর। রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহারের যে বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে আগে আলোচনা হচ্ছিল, তা থেকে আপাতত সরে আসা হয়েছে। তবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদকে ভিত্তি করে কোনো ঋণ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সরকারগুলোর মধ্যে আলোচনা চলবে।
এই চুক্তিতে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর কোনো আর্থিক দায় চাপানো হয়নি। কারণ দেশগুলো এই অর্থায়নে অংশ নিতে রাজি ছিল না। শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেন এই ঋণ তখনই শোধ করবে যখন তারা মস্কোর কাছ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বা ‘ওয়ার রিপারেশন’ পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ার সম্পদগুলো অচল অবস্থায় পড়ে থাকবে। তবে প্রয়োজনে সেই সম্পদ থেকে ঋণ শোধ করার অধিকারও ইইউ নিজের হাতে রেখেছে।
এক ইইউ কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য অন্তত আগামী দুই বছরের অর্থের সংস্থান নিশ্চিত হওয়াটা একটা ইতিবাচক দিক।’ তবে অন্য একজন কূটনীতিকের মন্তব্য ছিল খানিকটা তির্যক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ইউক্রেনকে বাঁচানোর চেয়ে বরং নিজেদের মান বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’
রাশিয়ার টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেলজিয়াম। রাশিয়ার জব্দ করা ২১০ বিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ১৮৫ বিলিয়ন ইউরোই আছে বেলজিয়ামের ইউরোক্লিয়ার নামক প্রতিষ্ঠানে। মস্কোর আইনি ও আর্থিক পাল্টা আঘাতের ভয়ে বেলজিয়াম সরকার বেশ আতঙ্কিত ছিল। ক্রেমলিন আগেই জানিয়ে রেখেছে, তাদের সম্পদ ধরা হলে তারা আদালতে যাবে এবং রাশিয়ায় থাকা বিদেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে।
এই বৈঠকের আগে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির সম্ভাবনা ছিল ‘ফিফটি-ফিফটি।’ বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভারও আইনি ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন অন্য ইইউ দেশগুলো যেন সম্ভাব্য সব ক্ষতির দায়ভার নিতে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়।
শুক্রবার সকালে অবশ্য ডি ওয়েভার বেশ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার থেকে ঋণ নেওয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে ইইউ দেশগুলোর মধ্যে অন্তত বড় কোনো ‘বিশৃঙ্খলা বা বিভাজন’ তৈরি হয়নি।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই সম্পদ ব্যবহারের যেকোনো চেষ্টা হলে তারা ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করবে। বিশ্লেষক ক্রিস উইফার মনে করেন, মস্কো বিষয়টিকে একটি ‘আর্থিক যুদ্ধ’ হিসেবে দেখবে এবং কড়া প্রতিশোধ নেবে। তিনি বলেন, অনেক ইইউ রাষ্ট্রই এখন সরাসরি ইউক্রেনকে অর্থ দিতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই তারা মরিয়া হয়ে বিকল্প কোনো উৎসের সন্ধান করছে।

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আজ রোববার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি দীর্ঘদিনের স্থবিরতা ভেঙে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে দিয়েছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
৪ ঘণ্টা আগে